"বেগম জিয়া শিমুল বিশ্বাসে"র "অনৈতিক সম্পর্ক" জনমনে প্রভাব বিস্তার শুরু ; অতীতে ঘটে যাওয়া ঘটনা সমুহ বাতাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে"---

      "বেগম জিয়া শিমুল বিশ্বাসে"র 'অনৈতিক' সম্পর্ক জনমনে প্রভাব বিস্তার শুরু ; অতীতে ঘটে যাওয়া ঘটনা সমুহ  বাতাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে" ! -----
"রুহুল আমিন মজুমদার"
            _____________________________
            ______________________________
রাজনীতিতে ব্যাক্তিগত অভ্যেস বা বদভ্যেস খুব বেশী ধর্তব্যের মধ্যে আসেনা। বেশীর ভাগ আঞ্চলিক নেতাদের সুনাম -দুর্নামের মুখরোচক  কাহিনী লোকের মুখে মুখে আলোচনার খোরাক হয়ে নির্বাচনের মাঠে ঘুরে বেড়ায়।জনগন খুব বেশী আমলে নেয় বলে মনে হয়না। নানেয়ার বহুবীদ কারনও আছে।দুর্নাম যদিও বা একাধিক থাকে সুনাম থাকে আকাশ চোঁয়া।জনগনের দরজায় তাঁর যাতায়াত সময়ে অসময়ে ঘটে বিধায় সম্পর্ক থাকে বন্ধু ভাইয়ের অধিক।ফলে তাঁর দুর্নামকে পেছনে পেলে সুনামগুলী নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারে গুরুত্বপুর্ণ হয়ে উঠে।
জাতীয় রাজনীতি আঞ্চলিক রাজনীতি একনয়।জাতীয় রাজনীতি আঞ্চলিক রাজনীতিকে প্রভাবিত করে; আঞ্চলিক রাজনীতি জাতীয় রাজনীতিকে প্রভাবিত করতে পারেনা। জাতীয় রাজনীতিতে যে সমস্ত নেতা দেশে বিদেশে পরিচিত বা প্রভাব প্রতিপত্তি নিয়ে অবস্থান করেন তাঁদেরকে আমরা বলি "শীর্ষ নেতা" বা "জাতীয় নেতা"।  শীর্ষনেতাদের ভালমন্দ আন্তজাতিক মহল পয্যবেক্ষনে রাখেন; কারন দেশের শীর্ষ নেতাদের রাজনৈতিক অবস্থানের উপর আন্তজাতিক মহলের স্বার্থ জড়িত থাকে।দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন ধারার রাজনীতি প্রচলিত থাকে-যেমন ডান, বাম মধ্যপন্থি, সাম্প্রদায়িক, অসাম্প্রয়িক, একনায়কতান্ত্রিক,ফ্যাসিবাদি ইত্যাদি। আন্তজাতিক মহলের মধ্যেও এইরুপ বিভাজন স্পষ্ট।প্রত্যেক ক্ষমতাধর রাষ্ট্র চায় তাঁর প্রতিবেশী বন্ধুরাষ্ট্র তাঁদের আদর্শের অনুরুপ আদর্শের রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় বসুক।
ভারতের জাতীয় নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবি এবং বর্তমান মৌদি নেতৃত্বে বিজেপি দল একক সংখ্যাগরিষ্টতায় সরকার গঠন করার সম্ভাবনা দেখা দিলে বাংলাদেশের অনুরুপ সাম্প্রদায়িক শিবিরে আনন্দের বন্যা দেখা দেয়; চারিদকে মিষ্টি বিতরনের হিড়িক পড়ে।বিএনপি এবং তাঁর শীর্ষনেত্রী খালেদা জিয়াও দলীয় অফিসে মিষ্টিমুখ, মিষ্টি বিতরন করে উল্লাসে ফেটে পড়েছিল।বর্তমানে আমেরিকা যুক্ত রাষ্ট্রের নির্বাচনেও 'হিলারী ক্লিনটনে'র অগ্রগামিতায় বিএনপি শিবিরে আনন্দের  ধারা প্রবাহমান দেখা যাচ্ছে। ট্রাম্পের মুসলিম বিদ্বেসী মনোভাব, নারীর প্রতি বিদ্বেস বিশ্বজুড়ে আলোচনার বিষয় বস্তুতে পরিনত হয়েছে।
বাংলাদেশ একটি শক্তিহীন, দুর্নীতিপ্রবন, প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবন,মনুষ্যসৃষ্ট সমস্যা সংকুল ছোট দেশ। শক্তিশালী দেশের নির্বাচন নিয়ে বিশ্বব্যাপী যত বেশী আলোচনা হয় ততবেশী না হলেও ভৌগলিক অবস্থানের কারনে কেবল কমও হয়না।আন্তজাতিক মিডিয়া বাংলাদেশের রাজনীতির গতিপ্রকৃতি নিয়ে যতবেশী উৎসাহী অন্য কোন দেশ নিয়ে ততবেশী আলোচনা করতে দেখা যায়না।ক্ষমতাধর প্রত্যেক রাষ্ট্রের মিডিয়া গুলীতে বাংলাদেশের খবর প্রচারে 'বাংলা অনুষ্ঠান' বিশেষ করে খবর এবং 'খবরের পয্যালোচনা'র জন্য দুই তিন ঘন্টারও বেশী সময় বরাদ্ধ রাখতে দেখা যায়। এমন কিছু সংবাদ বাংলাদেশের মানুষ জানার আগে বিদেশী মিডিয়ায় একাধিকবার প্রকাশ হতে অতীতে আমরা দেখেছি।
আন্তজাতিক অঙ্গনে এমন একটি দেশের শীর্ষনেতার প্রকাশ্য বেলাল্লাপনা বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে-শুসিল মহলের মনে চিন্তার উদ্রেক করেছে।বিএনপি নেত্রীর গোপন সম্পর্ককে সত্যে পরিনত করার একাধিক তৎসম্পকীত ঘটনা আগে থেকেই ঘটে চলেছে।যে সমস্ত ঘটনা যে কারো বেলায় উল্লেখীত বেহায়াপনার নিমিত্তে-যে কোন ব্যাক্তির পারিবারিক,সামাজিক, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ঘটা একান্তই স্বাভাবিক। এইরুপ কতিপয় ঘটনা আপনাদের স্মরণ করে দিতে চাই--
   "মোসাদ্দেক আলী ফালু বিএনপি'র কেন্দ্রীয় কমিটির লোভনীয় পদ ত্যাগ করেছেন। অফিস কর্মচারী শিমূল বিশ্বাসের স্ত্রী তাঁদের দাম্পত্য জীবনের কলহ শেষ পয্যন্ত থানা কোর্ট পয্যন্ত গড়িয়েছে। শিমূল বিশ্বাসের নামে চল্লিশ/বিয়াল্লিশ টি মামলা চলমান রয়েছে। উক্ত মামলা মাথায় নিয়ে খালেদা জিয়ার বাসভবনে বছরব্যাপি আত্মগোপনে রয়েছেন। যেহেতু সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে পুলিষী তল্লাসি করার আগাম হাইকোর্টের আদেশের প্রয়োজন সেহেতু উক্ত বাসভবন পলাতক আসামীর নিসন্দেহে  নিরাপদ আবাস। বেতনভোগী অফিস কর্মচারি হয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের পাত্তা দিয়ে কথা বলেন না। অনেক আগে থেকে বিএনপি নেতাদের অভিযোগ 'শিমুল বিশ্বাসে'র আদেশ নির্দেশে বিএনপি দল পরিচালিত হয়; এবং কি নেতারাও মেনে চলতে বাধ্য হন। হাই প্রোফাইল চৈনিক রাষ্ট্র প্রধানের সঙ্গে খালেদা জিয়া এবং বিএনপি নেতৃবৃন্দের আলোচনায় অনুপস্থীত নেতার চেয়ারে বসে (তালিকায় নাম না থাকা সত্বেও) তালিকায় থাকা নেতাদের চেয়ে আরো কয়েকধাপ সমুজ্জল ব্যাক্তিত্বে সদর্পে আলোচনায় অংশ গ্রহন করা ; যদিও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ছাড়া অফিস কর্মচারী বা ব্যাক্তিগত কর্মচারি/কর্মকর্তার "দলীয় আলোচনায় অংশগ্রহন কোন রাজনৈতিক দলের বিধানে নেই"--"বিদেশী রাষ্ট্রের রাষ্ট্র প্রধান বা দুতাবাস প্রধানের" সাথে বৈঠকে অংশ নেয়ার প্রশ্নই আসেনা।
       আগুন সন্ত্রাস,লুটপাট, অরাজকতা সৃষ্টির আন্দোলনের ফাঁদে পড়ে দেশব্যাপি আঞ্চলিক নেতৃবৃন্দ এবং কি তৃনমুলের নেতারাও যেখানে মামলার খেসারত দিতে দিতে নিস্তেজ হয়ে আন্দোলন সংগ্রাম বিমুখ হয়ে অনেকে  বিদেশ পাড়ি দিয়েছেন অনেকে দেয়ার সুযোগ খুঁচ্ছেন; সেখানে এতগুলী মামলায় জড়িত থাকার পরেও এবং কি রাজনৈতিক পদ পদবী বহন না করা সত্বেও শিমুল বিশ্বাসের গাঁয়ে অদ্যাবদি আইন তাঁর লম্বা হাতের সামান্যতম চোঁয়াও লাগাতে পারেনি ---!!!!
       উপরে উল্লেখিত ঘটনা সমুহ বিশ্লেষন করে ধারনা করা যায় "খালেদা জিয়া ফালুকে ত্যাগ করে অধিকতর কম বয়সের শিমুল বিশ্বাসের প্রতি ঝুঁকে পড়েছেন"। ইহা অত্যান্ত ভাল একটি ব্যবস্থা "জৈবিক তাড়না" নিরাময়ের জন্য তিনি "গোপন সম্পর্ক" করে নিয়েছেন।আরো ভাল করেছেন "বৃদ্ধ ফালু"কে ত্যাগ করে "যুবক শিমুল"কে গ্রহন করেছেন।
          কিন্তু তাঁর মনে রাখা প্রয়োজন ছিল তিনি বাংলাদেশের সাবেক প্রধান মন্ত্রী এবং বিএনপি দলের প্রধান নেত্রী। এই দেশটি মুসলিম প্রধান দেশ।ইসলামে বেলেল্লাপনার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। তাছাড়া বর্তমান যুগ গনতান্ত্রীক যুগ-দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে বলতে হয় অদ্য সভায় কি সিদ্ধান্ত নেয়া হল। রাজা বাদশাহর যুগ শেষ হয়ে গেছে অনেক আগেই-তাঁদের শাষনামলে রঙ মহল, বাঈজী মহল,সুরা মহল, দাস দাসীর নানাহ কাহিনী ইতিহাসে পাওয়া যায়। রাজা, বাদশাহদের শৌয্য বিয্য প্রদর্শনের নিমিত্তে প্রচলনও ছিল সেই আমলে।সেই যুগের পতন ঘটিয়ে জনগন আরো আধুনিক শাষন ব্যবস্থা কায়েমের লক্ষে তাঁদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিতেও কুন্ঠাবোধ করেনি। গনতান্ত্রীক দেশের নেতা নেত্রীদের খাওয়া দাওয়া, চলাফেরা, দৈনন্দিন জীবনাচার পয্যবেক্ষনে থাকে সর্বক্ষন জনগনের। সংবাদ কর্মীরা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করার স্বাধীনতা আছে ;এবং কি বিদেশী দুতাবাস সমুহের ও নজরদারি থাকায় কোনপ্রকার বাধা নেই।
     রাতের অন্ধকারের গোপন সম্পর্ককে প্রকাশ্যে আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসার কারনে এই মহুর্তে "দেশব্যাপি আলোচনার সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে খালেদা জিয়া এবং শিমুল বিশ্বাসের সম্পর্ক আদৌ কর্মচারি মণিবের সম্পর্ক না অন্য কিছু"। "ফালু এবং খালেদার সম্পর্ক নিয়ে  মুখরোচক আলোচনার রেশ কাটতে  না কাটতে শিমুল বিশ্বাসের সঙ্গে তদ্রুপ সম্পর্কের বিষয়টি জনগন মেনে নিবে কিনা এই মহুর্তে বুঝা না গেলেও বিএনপি নেতারা যে শংকিত তা সম্যক ভাবে উপলব্দি করার যথেষ্ট উপকরন পাওয়া যাচ্ছে।"
     বিএনপি দলের মহাসচিব জনাব ফকরুল ইসলাম আলমগীর এক সভায় প্রকাশ্য বক্তব্যে শংকা প্রকাশ করে বলেন- "এই অবস্থায় চলতে থাকলে বিএনপি ৫/৭ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে "। আক্তারুজ্জমান বলেছেন- খালেদা  নাবালকের পরামর্শে দলকে ডুবিয়ে দিচ্ছেন"।গায়েশ্বর একাধিকবার বিরুপ মন্তব্য করে বলেছেন-বর্তমান বিএনপি নেত্রী কার পরামর্শে দল পরিচালনা করেন জানিনা"।
ইতিমধ্যে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে--"তারেক -খালেদা টেলিফোনে হটটক বিনিময়, আন্দোলন সংগ্রামে কোন কেন্দ্রীয় নেতার অংশগ্রহন না করা ইত্যাদির হেতু কি শিমুল বিশ্বাস? বয়োজৈষ্ঠ নেতাদের পদত্যাগ, দলের একাধিক ড্রেসিং হিরুইনের দলত্যাগ, জেলা উপজেলা নেতাদের নিস্ক্রিয়তা, কেন্দ্রীয় নেতাদের খালেদার বাসভবন বিমুখ, তারেক জিয়ার নিস্ক্রিয়তা ইত্যাদি "অধিক বয়সের নেত্রী খালেদা জিয়ার যুবতী মেয়ে তুল্য" প্রকাশ্যে বেলাল্লাপনার হেতু?
       তবে কি "বাংলাদেশের বিরুধী দলের রাজনীতি শেষ পয্যন্ত ধর্ষনের শিকার? জৈবিক সুখানুভুতিতে মগ্ন? প্রেমের সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে? পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়েছে? আদিম যুগের বহু বিবাহের নীতিতে ফিরে গেছে? পতিতাবৃত্তিতে জড়িয়ে গেছে? পতিতালয়ে চলে গেছে? প্রকাশ্য বেলাল্লাপনায় জড়িয়ে গেছে? আদি যুগের হেরেম, রঙ্গ মহলের চেতনায় ফিরে গেছে?""
          বই পুস্তকে দেখেছিলাম 'বাঙ্গালী'মেয়েরা কুড়িতে বুড়ি।সাধারনত: চল্লিশ বছর বয়সের পর সন্তান ধারনের  ক্ষমতা থাকে না। পরিবেশ, পুষ্টিসমৃদ্ধ আহারের গুনে আরো দশ বছর বোনাস দেয়া হলেও খালেদা জিয়া অনেক বেশী বয়সের অধিকারি। তবে কি খালেদা "বাঙ্গালী" পিতার জম্ম নয়?
       "বাংলাদেশের সংবিধানে স্পষ্ট উল্লেখ আছে, কোন সংখ্যালুঘু,বিজাতীয় ব্যাক্তি রাষ্ট্র পরিচালনার সর্বোচ্ছ পদে অধিষ্ঠিত হইতে পারিবেনা।সচেতন মহল থেকে ইতিমধ্যে দাবী উঠেছে -" অবিলম্ভে খালেদা জিয়ার ডি, এন এ টেষ্ট করা হোক।তার জম্ম কোন 'জাতির পুরুষের' দ্বারা সংঘঠিত হয়েছিল  নির্ণয় করা হোক। একজন বিরুধীদলীয় নেত্রীর ব্যভিচারের কারনে বাংলাদেশ বিরুধীদল শুন্য থাকুক, জনগনের ন্যায্য সংগ্রাম বিচ্যুত থাকুক -- কোন সচেতন নাগরীক চাইতে পারেনা।"
       উল্লেখিত দেশকাঁপানো বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের কোন স্তরের নেতৃবৃন্দ অদ্য পয্যন্ত মুখ খোলেনি। হয়ত বা তাঁদের রুচিতে আসেনা মন্তব্য করা; তাই বিরত রয়েছেন মন্তব্য  থেকে। তাঁদের জানা উচিৎ দেশ ও জাতির জন্য ইহা অত্যান্ত গুরুত্বপুর্ন বিষয়।জনগন ভাবতে শুরু করেছে "উপরের তলায় যাই ঘটুক প্রকাশ হলেও আইনের চোখ বন্ধ থাকে।নিছু তলায় যাই ঘটুক মানুষ জানার আগে আইনের চোখে দেখা যায়। শতকরা নব্বইজন বাঙ্গালী মুসলিম অধ্যুষীত বাংলাদেশের শাষক শ্রেনীর "প্রকাশ্য বেলেল্লাপনা" মেনে নিবে কিনা চিরবিদ্রোহী বাঙ্গালী মুসলমান সমাজ আগামীতে দেখার অপেক্ষায় রইলাম"।
             "খালেদা জিয়ার বারংবার যৌনসম্পর্কের ঘটনা সমুহ নি:সন্দেহে জাতী হিসেবে আমাদের মান সম্মান ধূলায় লুটিয়ে দেয়ার সমতুল্য।সুতারাং দেশ, জনগন, জাতীর "মান ইজ্জত"  বিবেচনায় 'খালেদা জিয়া'র ডিএনএ টেষ্ট করা অভিলম্ভে রাষ্ট্রের কর্তব্য বলে মনে করে"।
                  ruhulaminmujumder27@gmail.com
                             " জয়বাংলা      জয়বঙ্গবন্ধু"

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন