"বেগম জিয়া শিমুল বিশ্বাসে"র "অনৈতিক সম্পর্ক" জনমনে প্রভাব বিস্তার শুরু ; অতীতে ঘটে যাওয়া ঘটনা সমুহ বাতাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে"---

      "বেগম জিয়া শিমুল বিশ্বাসে"র 'অনৈতিক' সম্পর্ক জনমনে প্রভাব বিস্তার শুরু ; অতীতে ঘটে যাওয়া ঘটনা সমুহ  বাতাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে" ! -----
"রুহুল আমিন মজুমদার"
            _____________________________
            ______________________________
রাজনীতিতে ব্যাক্তিগত অভ্যেস বা বদভ্যেস খুব বেশী ধর্তব্যের মধ্যে আসেনা। বেশীর ভাগ আঞ্চলিক নেতাদের সুনাম -দুর্নামের মুখরোচক  কাহিনী লোকের মুখে মুখে আলোচনার খোরাক হয়ে নির্বাচনের মাঠে ঘুরে বেড়ায়।জনগন খুব বেশী আমলে নেয় বলে মনে হয়না। নানেয়ার বহুবীদ কারনও আছে।দুর্নাম যদিও বা একাধিক থাকে সুনাম থাকে আকাশ চোঁয়া।জনগনের দরজায় তাঁর যাতায়াত সময়ে অসময়ে ঘটে বিধায় সম্পর্ক থাকে বন্ধু ভাইয়ের অধিক।ফলে তাঁর দুর্নামকে পেছনে পেলে সুনামগুলী নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারে গুরুত্বপুর্ণ হয়ে উঠে।
জাতীয় রাজনীতি আঞ্চলিক রাজনীতি একনয়।জাতীয় রাজনীতি আঞ্চলিক রাজনীতিকে প্রভাবিত করে; আঞ্চলিক রাজনীতি জাতীয় রাজনীতিকে প্রভাবিত করতে পারেনা। জাতীয় রাজনীতিতে যে সমস্ত নেতা দেশে বিদেশে পরিচিত বা প্রভাব প্রতিপত্তি নিয়ে অবস্থান করেন তাঁদেরকে আমরা বলি "শীর্ষ নেতা" বা "জাতীয় নেতা"।  শীর্ষনেতাদের ভালমন্দ আন্তজাতিক মহল পয্যবেক্ষনে রাখেন; কারন দেশের শীর্ষ নেতাদের রাজনৈতিক অবস্থানের উপর আন্তজাতিক মহলের স্বার্থ জড়িত থাকে।দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন ধারার রাজনীতি প্রচলিত থাকে-যেমন ডান, বাম মধ্যপন্থি, সাম্প্রদায়িক, অসাম্প্রয়িক, একনায়কতান্ত্রিক,ফ্যাসিবাদি ইত্যাদি। আন্তজাতিক মহলের মধ্যেও এইরুপ বিভাজন স্পষ্ট।প্রত্যেক ক্ষমতাধর রাষ্ট্র চায় তাঁর প্রতিবেশী বন্ধুরাষ্ট্র তাঁদের আদর্শের অনুরুপ আদর্শের রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় বসুক।
ভারতের জাতীয় নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবি এবং বর্তমান মৌদি নেতৃত্বে বিজেপি দল একক সংখ্যাগরিষ্টতায় সরকার গঠন করার সম্ভাবনা দেখা দিলে বাংলাদেশের অনুরুপ সাম্প্রদায়িক শিবিরে আনন্দের বন্যা দেখা দেয়; চারিদকে মিষ্টি বিতরনের হিড়িক পড়ে।বিএনপি এবং তাঁর শীর্ষনেত্রী খালেদা জিয়াও দলীয় অফিসে মিষ্টিমুখ, মিষ্টি বিতরন করে উল্লাসে ফেটে পড়েছিল।বর্তমানে আমেরিকা যুক্ত রাষ্ট্রের নির্বাচনেও 'হিলারী ক্লিনটনে'র অগ্রগামিতায় বিএনপি শিবিরে আনন্দের  ধারা প্রবাহমান দেখা যাচ্ছে। ট্রাম্পের মুসলিম বিদ্বেসী মনোভাব, নারীর প্রতি বিদ্বেস বিশ্বজুড়ে আলোচনার বিষয় বস্তুতে পরিনত হয়েছে।
বাংলাদেশ একটি শক্তিহীন, দুর্নীতিপ্রবন, প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবন,মনুষ্যসৃষ্ট সমস্যা সংকুল ছোট দেশ। শক্তিশালী দেশের নির্বাচন নিয়ে বিশ্বব্যাপী যত বেশী আলোচনা হয় ততবেশী না হলেও ভৌগলিক অবস্থানের কারনে কেবল কমও হয়না।আন্তজাতিক মিডিয়া বাংলাদেশের রাজনীতির গতিপ্রকৃতি নিয়ে যতবেশী উৎসাহী অন্য কোন দেশ নিয়ে ততবেশী আলোচনা করতে দেখা যায়না।ক্ষমতাধর প্রত্যেক রাষ্ট্রের মিডিয়া গুলীতে বাংলাদেশের খবর প্রচারে 'বাংলা অনুষ্ঠান' বিশেষ করে খবর এবং 'খবরের পয্যালোচনা'র জন্য দুই তিন ঘন্টারও বেশী সময় বরাদ্ধ রাখতে দেখা যায়। এমন কিছু সংবাদ বাংলাদেশের মানুষ জানার আগে বিদেশী মিডিয়ায় একাধিকবার প্রকাশ হতে অতীতে আমরা দেখেছি।
আন্তজাতিক অঙ্গনে এমন একটি দেশের শীর্ষনেতার প্রকাশ্য বেলাল্লাপনা বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে-শুসিল মহলের মনে চিন্তার উদ্রেক করেছে।বিএনপি নেত্রীর গোপন সম্পর্ককে সত্যে পরিনত করার একাধিক তৎসম্পকীত ঘটনা আগে থেকেই ঘটে চলেছে।যে সমস্ত ঘটনা যে কারো বেলায় উল্লেখীত বেহায়াপনার নিমিত্তে-যে কোন ব্যাক্তির পারিবারিক,সামাজিক, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ঘটা একান্তই স্বাভাবিক। এইরুপ কতিপয় ঘটনা আপনাদের স্মরণ করে দিতে চাই--
   "মোসাদ্দেক আলী ফালু বিএনপি'র কেন্দ্রীয় কমিটির লোভনীয় পদ ত্যাগ করেছেন। অফিস কর্মচারী শিমূল বিশ্বাসের স্ত্রী তাঁদের দাম্পত্য জীবনের কলহ শেষ পয্যন্ত থানা কোর্ট পয্যন্ত গড়িয়েছে। শিমূল বিশ্বাসের নামে চল্লিশ/বিয়াল্লিশ টি মামলা চলমান রয়েছে। উক্ত মামলা মাথায় নিয়ে খালেদা জিয়ার বাসভবনে বছরব্যাপি আত্মগোপনে রয়েছেন। যেহেতু সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে পুলিষী তল্লাসি করার আগাম হাইকোর্টের আদেশের প্রয়োজন সেহেতু উক্ত বাসভবন পলাতক আসামীর নিসন্দেহে  নিরাপদ আবাস। বেতনভোগী অফিস কর্মচারি হয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের পাত্তা দিয়ে কথা বলেন না। অনেক আগে থেকে বিএনপি নেতাদের অভিযোগ 'শিমুল বিশ্বাসে'র আদেশ নির্দেশে বিএনপি দল পরিচালিত হয়; এবং কি নেতারাও মেনে চলতে বাধ্য হন। হাই প্রোফাইল চৈনিক রাষ্ট্র প্রধানের সঙ্গে খালেদা জিয়া এবং বিএনপি নেতৃবৃন্দের আলোচনায় অনুপস্থীত নেতার চেয়ারে বসে (তালিকায় নাম না থাকা সত্বেও) তালিকায় থাকা নেতাদের চেয়ে আরো কয়েকধাপ সমুজ্জল ব্যাক্তিত্বে সদর্পে আলোচনায় অংশ গ্রহন করা ; যদিও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ছাড়া অফিস কর্মচারী বা ব্যাক্তিগত কর্মচারি/কর্মকর্তার "দলীয় আলোচনায় অংশগ্রহন কোন রাজনৈতিক দলের বিধানে নেই"--"বিদেশী রাষ্ট্রের রাষ্ট্র প্রধান বা দুতাবাস প্রধানের" সাথে বৈঠকে অংশ নেয়ার প্রশ্নই আসেনা।
       আগুন সন্ত্রাস,লুটপাট, অরাজকতা সৃষ্টির আন্দোলনের ফাঁদে পড়ে দেশব্যাপি আঞ্চলিক নেতৃবৃন্দ এবং কি তৃনমুলের নেতারাও যেখানে মামলার খেসারত দিতে দিতে নিস্তেজ হয়ে আন্দোলন সংগ্রাম বিমুখ হয়ে অনেকে  বিদেশ পাড়ি দিয়েছেন অনেকে দেয়ার সুযোগ খুঁচ্ছেন; সেখানে এতগুলী মামলায় জড়িত থাকার পরেও এবং কি রাজনৈতিক পদ পদবী বহন না করা সত্বেও শিমুল বিশ্বাসের গাঁয়ে অদ্যাবদি আইন তাঁর লম্বা হাতের সামান্যতম চোঁয়াও লাগাতে পারেনি ---!!!!
       উপরে উল্লেখিত ঘটনা সমুহ বিশ্লেষন করে ধারনা করা যায় "খালেদা জিয়া ফালুকে ত্যাগ করে অধিকতর কম বয়সের শিমুল বিশ্বাসের প্রতি ঝুঁকে পড়েছেন"। ইহা অত্যান্ত ভাল একটি ব্যবস্থা "জৈবিক তাড়না" নিরাময়ের জন্য তিনি "গোপন সম্পর্ক" করে নিয়েছেন।আরো ভাল করেছেন "বৃদ্ধ ফালু"কে ত্যাগ করে "যুবক শিমুল"কে গ্রহন করেছেন।
          কিন্তু তাঁর মনে রাখা প্রয়োজন ছিল তিনি বাংলাদেশের সাবেক প্রধান মন্ত্রী এবং বিএনপি দলের প্রধান নেত্রী। এই দেশটি মুসলিম প্রধান দেশ।ইসলামে বেলেল্লাপনার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। তাছাড়া বর্তমান যুগ গনতান্ত্রীক যুগ-দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে বলতে হয় অদ্য সভায় কি সিদ্ধান্ত নেয়া হল। রাজা বাদশাহর যুগ শেষ হয়ে গেছে অনেক আগেই-তাঁদের শাষনামলে রঙ মহল, বাঈজী মহল,সুরা মহল, দাস দাসীর নানাহ কাহিনী ইতিহাসে পাওয়া যায়। রাজা, বাদশাহদের শৌয্য বিয্য প্রদর্শনের নিমিত্তে প্রচলনও ছিল সেই আমলে।সেই যুগের পতন ঘটিয়ে জনগন আরো আধুনিক শাষন ব্যবস্থা কায়েমের লক্ষে তাঁদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিতেও কুন্ঠাবোধ করেনি। গনতান্ত্রীক দেশের নেতা নেত্রীদের খাওয়া দাওয়া, চলাফেরা, দৈনন্দিন জীবনাচার পয্যবেক্ষনে থাকে সর্বক্ষন জনগনের। সংবাদ কর্মীরা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করার স্বাধীনতা আছে ;এবং কি বিদেশী দুতাবাস সমুহের ও নজরদারি থাকায় কোনপ্রকার বাধা নেই।
     রাতের অন্ধকারের গোপন সম্পর্ককে প্রকাশ্যে আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসার কারনে এই মহুর্তে "দেশব্যাপি আলোচনার সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে খালেদা জিয়া এবং শিমুল বিশ্বাসের সম্পর্ক আদৌ কর্মচারি মণিবের সম্পর্ক না অন্য কিছু"। "ফালু এবং খালেদার সম্পর্ক নিয়ে  মুখরোচক আলোচনার রেশ কাটতে  না কাটতে শিমুল বিশ্বাসের সঙ্গে তদ্রুপ সম্পর্কের বিষয়টি জনগন মেনে নিবে কিনা এই মহুর্তে বুঝা না গেলেও বিএনপি নেতারা যে শংকিত তা সম্যক ভাবে উপলব্দি করার যথেষ্ট উপকরন পাওয়া যাচ্ছে।"
     বিএনপি দলের মহাসচিব জনাব ফকরুল ইসলাম আলমগীর এক সভায় প্রকাশ্য বক্তব্যে শংকা প্রকাশ করে বলেন- "এই অবস্থায় চলতে থাকলে বিএনপি ৫/৭ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে "। আক্তারুজ্জমান বলেছেন- খালেদা  নাবালকের পরামর্শে দলকে ডুবিয়ে দিচ্ছেন"।গায়েশ্বর একাধিকবার বিরুপ মন্তব্য করে বলেছেন-বর্তমান বিএনপি নেত্রী কার পরামর্শে দল পরিচালনা করেন জানিনা"।
ইতিমধ্যে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে--"তারেক -খালেদা টেলিফোনে হটটক বিনিময়, আন্দোলন সংগ্রামে কোন কেন্দ্রীয় নেতার অংশগ্রহন না করা ইত্যাদির হেতু কি শিমুল বিশ্বাস? বয়োজৈষ্ঠ নেতাদের পদত্যাগ, দলের একাধিক ড্রেসিং হিরুইনের দলত্যাগ, জেলা উপজেলা নেতাদের নিস্ক্রিয়তা, কেন্দ্রীয় নেতাদের খালেদার বাসভবন বিমুখ, তারেক জিয়ার নিস্ক্রিয়তা ইত্যাদি "অধিক বয়সের নেত্রী খালেদা জিয়ার যুবতী মেয়ে তুল্য" প্রকাশ্যে বেলাল্লাপনার হেতু?
       তবে কি "বাংলাদেশের বিরুধী দলের রাজনীতি শেষ পয্যন্ত ধর্ষনের শিকার? জৈবিক সুখানুভুতিতে মগ্ন? প্রেমের সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে? পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়েছে? আদিম যুগের বহু বিবাহের নীতিতে ফিরে গেছে? পতিতাবৃত্তিতে জড়িয়ে গেছে? পতিতালয়ে চলে গেছে? প্রকাশ্য বেলাল্লাপনায় জড়িয়ে গেছে? আদি যুগের হেরেম, রঙ্গ মহলের চেতনায় ফিরে গেছে?""
          বই পুস্তকে দেখেছিলাম 'বাঙ্গালী'মেয়েরা কুড়িতে বুড়ি।সাধারনত: চল্লিশ বছর বয়সের পর সন্তান ধারনের  ক্ষমতা থাকে না। পরিবেশ, পুষ্টিসমৃদ্ধ আহারের গুনে আরো দশ বছর বোনাস দেয়া হলেও খালেদা জিয়া অনেক বেশী বয়সের অধিকারি। তবে কি খালেদা "বাঙ্গালী" পিতার জম্ম নয়?
       "বাংলাদেশের সংবিধানে স্পষ্ট উল্লেখ আছে, কোন সংখ্যালুঘু,বিজাতীয় ব্যাক্তি রাষ্ট্র পরিচালনার সর্বোচ্ছ পদে অধিষ্ঠিত হইতে পারিবেনা।সচেতন মহল থেকে ইতিমধ্যে দাবী উঠেছে -" অবিলম্ভে খালেদা জিয়ার ডি, এন এ টেষ্ট করা হোক।তার জম্ম কোন 'জাতির পুরুষের' দ্বারা সংঘঠিত হয়েছিল  নির্ণয় করা হোক। একজন বিরুধীদলীয় নেত্রীর ব্যভিচারের কারনে বাংলাদেশ বিরুধীদল শুন্য থাকুক, জনগনের ন্যায্য সংগ্রাম বিচ্যুত থাকুক -- কোন সচেতন নাগরীক চাইতে পারেনা।"
       উল্লেখিত দেশকাঁপানো বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের কোন স্তরের নেতৃবৃন্দ অদ্য পয্যন্ত মুখ খোলেনি। হয়ত বা তাঁদের রুচিতে আসেনা মন্তব্য করা; তাই বিরত রয়েছেন মন্তব্য  থেকে। তাঁদের জানা উচিৎ দেশ ও জাতির জন্য ইহা অত্যান্ত গুরুত্বপুর্ন বিষয়।জনগন ভাবতে শুরু করেছে "উপরের তলায় যাই ঘটুক প্রকাশ হলেও আইনের চোখ বন্ধ থাকে।নিছু তলায় যাই ঘটুক মানুষ জানার আগে আইনের চোখে দেখা যায়। শতকরা নব্বইজন বাঙ্গালী মুসলিম অধ্যুষীত বাংলাদেশের শাষক শ্রেনীর "প্রকাশ্য বেলেল্লাপনা" মেনে নিবে কিনা চিরবিদ্রোহী বাঙ্গালী মুসলমান সমাজ আগামীতে দেখার অপেক্ষায় রইলাম"।
             "খালেদা জিয়ার বারংবার যৌনসম্পর্কের ঘটনা সমুহ নি:সন্দেহে জাতী হিসেবে আমাদের মান সম্মান ধূলায় লুটিয়ে দেয়ার সমতুল্য।সুতারাং দেশ, জনগন, জাতীর "মান ইজ্জত"  বিবেচনায় 'খালেদা জিয়া'র ডিএনএ টেষ্ট করা অভিলম্ভে রাষ্ট্রের কর্তব্য বলে মনে করে"।
                  ruhulaminmujumder27@gmail.com
                             " জয়বাংলা      জয়বঙ্গবন্ধু"

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা