"বেগম জিয়া শিমুল বিশ্বাসে"র "অনৈতিক সম্পর্ক" জনমনে প্রভাব বিস্তার শুরু ; অতীতে ঘটে যাওয়া ঘটনা সমুহ বাতাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে"---
"বেগম জিয়া শিমুল বিশ্বাসে"র 'অনৈতিক' সম্পর্ক জনমনে প্রভাব বিস্তার শুরু ; অতীতে ঘটে যাওয়া ঘটনা সমুহ বাতাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে" ! -----
"রুহুল আমিন মজুমদার"
_____________________________
______________________________
রাজনীতিতে ব্যাক্তিগত অভ্যেস বা বদভ্যেস খুব বেশী ধর্তব্যের মধ্যে আসেনা। বেশীর ভাগ আঞ্চলিক নেতাদের সুনাম -দুর্নামের মুখরোচক কাহিনী লোকের মুখে মুখে আলোচনার খোরাক হয়ে নির্বাচনের মাঠে ঘুরে বেড়ায়।জনগন খুব বেশী আমলে নেয় বলে মনে হয়না। নানেয়ার বহুবীদ কারনও আছে।দুর্নাম যদিও বা একাধিক থাকে সুনাম থাকে আকাশ চোঁয়া।জনগনের দরজায় তাঁর যাতায়াত সময়ে অসময়ে ঘটে বিধায় সম্পর্ক থাকে বন্ধু ভাইয়ের অধিক।ফলে তাঁর দুর্নামকে পেছনে পেলে সুনামগুলী নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারে গুরুত্বপুর্ণ হয়ে উঠে।
জাতীয় রাজনীতি আঞ্চলিক রাজনীতি একনয়।জাতীয় রাজনীতি আঞ্চলিক রাজনীতিকে প্রভাবিত করে; আঞ্চলিক রাজনীতি জাতীয় রাজনীতিকে প্রভাবিত করতে পারেনা। জাতীয় রাজনীতিতে যে সমস্ত নেতা দেশে বিদেশে পরিচিত বা প্রভাব প্রতিপত্তি নিয়ে অবস্থান করেন তাঁদেরকে আমরা বলি "শীর্ষ নেতা" বা "জাতীয় নেতা"। শীর্ষনেতাদের ভালমন্দ আন্তজাতিক মহল পয্যবেক্ষনে রাখেন; কারন দেশের শীর্ষ নেতাদের রাজনৈতিক অবস্থানের উপর আন্তজাতিক মহলের স্বার্থ জড়িত থাকে।দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন ধারার রাজনীতি প্রচলিত থাকে-যেমন ডান, বাম মধ্যপন্থি, সাম্প্রদায়িক, অসাম্প্রয়িক, একনায়কতান্ত্রিক,ফ্যাসিবাদি ইত্যাদি। আন্তজাতিক মহলের মধ্যেও এইরুপ বিভাজন স্পষ্ট।প্রত্যেক ক্ষমতাধর রাষ্ট্র চায় তাঁর প্রতিবেশী বন্ধুরাষ্ট্র তাঁদের আদর্শের অনুরুপ আদর্শের রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় বসুক।
ভারতের জাতীয় নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবি এবং বর্তমান মৌদি নেতৃত্বে বিজেপি দল একক সংখ্যাগরিষ্টতায় সরকার গঠন করার সম্ভাবনা দেখা দিলে বাংলাদেশের অনুরুপ সাম্প্রদায়িক শিবিরে আনন্দের বন্যা দেখা দেয়; চারিদকে মিষ্টি বিতরনের হিড়িক পড়ে।বিএনপি এবং তাঁর শীর্ষনেত্রী খালেদা জিয়াও দলীয় অফিসে মিষ্টিমুখ, মিষ্টি বিতরন করে উল্লাসে ফেটে পড়েছিল।বর্তমানে আমেরিকা যুক্ত রাষ্ট্রের নির্বাচনেও 'হিলারী ক্লিনটনে'র অগ্রগামিতায় বিএনপি শিবিরে আনন্দের ধারা প্রবাহমান দেখা যাচ্ছে। ট্রাম্পের মুসলিম বিদ্বেসী মনোভাব, নারীর প্রতি বিদ্বেস বিশ্বজুড়ে আলোচনার বিষয় বস্তুতে পরিনত হয়েছে।
বাংলাদেশ একটি শক্তিহীন, দুর্নীতিপ্রবন, প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবন,মনুষ্যসৃষ্ট সমস্যা সংকুল ছোট দেশ। শক্তিশালী দেশের নির্বাচন নিয়ে বিশ্বব্যাপী যত বেশী আলোচনা হয় ততবেশী না হলেও ভৌগলিক অবস্থানের কারনে কেবল কমও হয়না।আন্তজাতিক মিডিয়া বাংলাদেশের রাজনীতির গতিপ্রকৃতি নিয়ে যতবেশী উৎসাহী অন্য কোন দেশ নিয়ে ততবেশী আলোচনা করতে দেখা যায়না।ক্ষমতাধর প্রত্যেক রাষ্ট্রের মিডিয়া গুলীতে বাংলাদেশের খবর প্রচারে 'বাংলা অনুষ্ঠান' বিশেষ করে খবর এবং 'খবরের পয্যালোচনা'র জন্য দুই তিন ঘন্টারও বেশী সময় বরাদ্ধ রাখতে দেখা যায়। এমন কিছু সংবাদ বাংলাদেশের মানুষ জানার আগে বিদেশী মিডিয়ায় একাধিকবার প্রকাশ হতে অতীতে আমরা দেখেছি।
আন্তজাতিক অঙ্গনে এমন একটি দেশের শীর্ষনেতার প্রকাশ্য বেলাল্লাপনা বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে-শুসিল মহলের মনে চিন্তার উদ্রেক করেছে।বিএনপি নেত্রীর গোপন সম্পর্ককে সত্যে পরিনত করার একাধিক তৎসম্পকীত ঘটনা আগে থেকেই ঘটে চলেছে।যে সমস্ত ঘটনা যে কারো বেলায় উল্লেখীত বেহায়াপনার নিমিত্তে-যে কোন ব্যাক্তির পারিবারিক,সামাজিক, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ঘটা একান্তই স্বাভাবিক। এইরুপ কতিপয় ঘটনা আপনাদের স্মরণ করে দিতে চাই--
"মোসাদ্দেক আলী ফালু বিএনপি'র কেন্দ্রীয় কমিটির লোভনীয় পদ ত্যাগ করেছেন। অফিস কর্মচারী শিমূল বিশ্বাসের স্ত্রী তাঁদের দাম্পত্য জীবনের কলহ শেষ পয্যন্ত থানা কোর্ট পয্যন্ত গড়িয়েছে। শিমূল বিশ্বাসের নামে চল্লিশ/বিয়াল্লিশ টি মামলা চলমান রয়েছে। উক্ত মামলা মাথায় নিয়ে খালেদা জিয়ার বাসভবনে বছরব্যাপি আত্মগোপনে রয়েছেন। যেহেতু সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে পুলিষী তল্লাসি করার আগাম হাইকোর্টের আদেশের প্রয়োজন সেহেতু উক্ত বাসভবন পলাতক আসামীর নিসন্দেহে নিরাপদ আবাস। বেতনভোগী অফিস কর্মচারি হয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের পাত্তা দিয়ে কথা বলেন না। অনেক আগে থেকে বিএনপি নেতাদের অভিযোগ 'শিমুল বিশ্বাসে'র আদেশ নির্দেশে বিএনপি দল পরিচালিত হয়; এবং কি নেতারাও মেনে চলতে বাধ্য হন। হাই প্রোফাইল চৈনিক রাষ্ট্র প্রধানের সঙ্গে খালেদা জিয়া এবং বিএনপি নেতৃবৃন্দের আলোচনায় অনুপস্থীত নেতার চেয়ারে বসে (তালিকায় নাম না থাকা সত্বেও) তালিকায় থাকা নেতাদের চেয়ে আরো কয়েকধাপ সমুজ্জল ব্যাক্তিত্বে সদর্পে আলোচনায় অংশ গ্রহন করা ; যদিও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ছাড়া অফিস কর্মচারী বা ব্যাক্তিগত কর্মচারি/কর্মকর্তার "দলীয় আলোচনায় অংশগ্রহন কোন রাজনৈতিক দলের বিধানে নেই"--"বিদেশী রাষ্ট্রের রাষ্ট্র প্রধান বা দুতাবাস প্রধানের" সাথে বৈঠকে অংশ নেয়ার প্রশ্নই আসেনা।
আগুন সন্ত্রাস,লুটপাট, অরাজকতা সৃষ্টির আন্দোলনের ফাঁদে পড়ে দেশব্যাপি আঞ্চলিক নেতৃবৃন্দ এবং কি তৃনমুলের নেতারাও যেখানে মামলার খেসারত দিতে দিতে নিস্তেজ হয়ে আন্দোলন সংগ্রাম বিমুখ হয়ে অনেকে বিদেশ পাড়ি দিয়েছেন অনেকে দেয়ার সুযোগ খুঁচ্ছেন; সেখানে এতগুলী মামলায় জড়িত থাকার পরেও এবং কি রাজনৈতিক পদ পদবী বহন না করা সত্বেও শিমুল বিশ্বাসের গাঁয়ে অদ্যাবদি আইন তাঁর লম্বা হাতের সামান্যতম চোঁয়াও লাগাতে পারেনি ---!!!!
উপরে উল্লেখিত ঘটনা সমুহ বিশ্লেষন করে ধারনা করা যায় "খালেদা জিয়া ফালুকে ত্যাগ করে অধিকতর কম বয়সের শিমুল বিশ্বাসের প্রতি ঝুঁকে পড়েছেন"। ইহা অত্যান্ত ভাল একটি ব্যবস্থা "জৈবিক তাড়না" নিরাময়ের জন্য তিনি "গোপন সম্পর্ক" করে নিয়েছেন।আরো ভাল করেছেন "বৃদ্ধ ফালু"কে ত্যাগ করে "যুবক শিমুল"কে গ্রহন করেছেন।
কিন্তু তাঁর মনে রাখা প্রয়োজন ছিল তিনি বাংলাদেশের সাবেক প্রধান মন্ত্রী এবং বিএনপি দলের প্রধান নেত্রী। এই দেশটি মুসলিম প্রধান দেশ।ইসলামে বেলেল্লাপনার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। তাছাড়া বর্তমান যুগ গনতান্ত্রীক যুগ-দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে বলতে হয় অদ্য সভায় কি সিদ্ধান্ত নেয়া হল। রাজা বাদশাহর যুগ শেষ হয়ে গেছে অনেক আগেই-তাঁদের শাষনামলে রঙ মহল, বাঈজী মহল,সুরা মহল, দাস দাসীর নানাহ কাহিনী ইতিহাসে পাওয়া যায়। রাজা, বাদশাহদের শৌয্য বিয্য প্রদর্শনের নিমিত্তে প্রচলনও ছিল সেই আমলে।সেই যুগের পতন ঘটিয়ে জনগন আরো আধুনিক শাষন ব্যবস্থা কায়েমের লক্ষে তাঁদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিতেও কুন্ঠাবোধ করেনি। গনতান্ত্রীক দেশের নেতা নেত্রীদের খাওয়া দাওয়া, চলাফেরা, দৈনন্দিন জীবনাচার পয্যবেক্ষনে থাকে সর্বক্ষন জনগনের। সংবাদ কর্মীরা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করার স্বাধীনতা আছে ;এবং কি বিদেশী দুতাবাস সমুহের ও নজরদারি থাকায় কোনপ্রকার বাধা নেই।
রাতের অন্ধকারের গোপন সম্পর্ককে প্রকাশ্যে আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসার কারনে এই মহুর্তে "দেশব্যাপি আলোচনার সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে খালেদা জিয়া এবং শিমুল বিশ্বাসের সম্পর্ক আদৌ কর্মচারি মণিবের সম্পর্ক না অন্য কিছু"। "ফালু এবং খালেদার সম্পর্ক নিয়ে মুখরোচক আলোচনার রেশ কাটতে না কাটতে শিমুল বিশ্বাসের সঙ্গে তদ্রুপ সম্পর্কের বিষয়টি জনগন মেনে নিবে কিনা এই মহুর্তে বুঝা না গেলেও বিএনপি নেতারা যে শংকিত তা সম্যক ভাবে উপলব্দি করার যথেষ্ট উপকরন পাওয়া যাচ্ছে।"
বিএনপি দলের মহাসচিব জনাব ফকরুল ইসলাম আলমগীর এক সভায় প্রকাশ্য বক্তব্যে শংকা প্রকাশ করে বলেন- "এই অবস্থায় চলতে থাকলে বিএনপি ৫/৭ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে "। আক্তারুজ্জমান বলেছেন- খালেদা নাবালকের পরামর্শে দলকে ডুবিয়ে দিচ্ছেন"।গায়েশ্বর একাধিকবার বিরুপ মন্তব্য করে বলেছেন-বর্তমান বিএনপি নেত্রী কার পরামর্শে দল পরিচালনা করেন জানিনা"।
ইতিমধ্যে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে--"তারেক -খালেদা টেলিফোনে হটটক বিনিময়, আন্দোলন সংগ্রামে কোন কেন্দ্রীয় নেতার অংশগ্রহন না করা ইত্যাদির হেতু কি শিমুল বিশ্বাস? বয়োজৈষ্ঠ নেতাদের পদত্যাগ, দলের একাধিক ড্রেসিং হিরুইনের দলত্যাগ, জেলা উপজেলা নেতাদের নিস্ক্রিয়তা, কেন্দ্রীয় নেতাদের খালেদার বাসভবন বিমুখ, তারেক জিয়ার নিস্ক্রিয়তা ইত্যাদি "অধিক বয়সের নেত্রী খালেদা জিয়ার যুবতী মেয়ে তুল্য" প্রকাশ্যে বেলাল্লাপনার হেতু?
তবে কি "বাংলাদেশের বিরুধী দলের রাজনীতি শেষ পয্যন্ত ধর্ষনের শিকার? জৈবিক সুখানুভুতিতে মগ্ন? প্রেমের সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে? পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়েছে? আদিম যুগের বহু বিবাহের নীতিতে ফিরে গেছে? পতিতাবৃত্তিতে জড়িয়ে গেছে? পতিতালয়ে চলে গেছে? প্রকাশ্য বেলাল্লাপনায় জড়িয়ে গেছে? আদি যুগের হেরেম, রঙ্গ মহলের চেতনায় ফিরে গেছে?""
বই পুস্তকে দেখেছিলাম 'বাঙ্গালী'মেয়েরা কুড়িতে বুড়ি।সাধারনত: চল্লিশ বছর বয়সের পর সন্তান ধারনের ক্ষমতা থাকে না। পরিবেশ, পুষ্টিসমৃদ্ধ আহারের গুনে আরো দশ বছর বোনাস দেয়া হলেও খালেদা জিয়া অনেক বেশী বয়সের অধিকারি। তবে কি খালেদা "বাঙ্গালী" পিতার জম্ম নয়?
"বাংলাদেশের সংবিধানে স্পষ্ট উল্লেখ আছে, কোন সংখ্যালুঘু,বিজাতীয় ব্যাক্তি রাষ্ট্র পরিচালনার সর্বোচ্ছ পদে অধিষ্ঠিত হইতে পারিবেনা।সচেতন মহল থেকে ইতিমধ্যে দাবী উঠেছে -" অবিলম্ভে খালেদা জিয়ার ডি, এন এ টেষ্ট করা হোক।তার জম্ম কোন 'জাতির পুরুষের' দ্বারা সংঘঠিত হয়েছিল নির্ণয় করা হোক। একজন বিরুধীদলীয় নেত্রীর ব্যভিচারের কারনে বাংলাদেশ বিরুধীদল শুন্য থাকুক, জনগনের ন্যায্য সংগ্রাম বিচ্যুত থাকুক -- কোন সচেতন নাগরীক চাইতে পারেনা।"
উল্লেখিত দেশকাঁপানো বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের কোন স্তরের নেতৃবৃন্দ অদ্য পয্যন্ত মুখ খোলেনি। হয়ত বা তাঁদের রুচিতে আসেনা মন্তব্য করা; তাই বিরত রয়েছেন মন্তব্য থেকে। তাঁদের জানা উচিৎ দেশ ও জাতির জন্য ইহা অত্যান্ত গুরুত্বপুর্ন বিষয়।জনগন ভাবতে শুরু করেছে "উপরের তলায় যাই ঘটুক প্রকাশ হলেও আইনের চোখ বন্ধ থাকে।নিছু তলায় যাই ঘটুক মানুষ জানার আগে আইনের চোখে দেখা যায়। শতকরা নব্বইজন বাঙ্গালী মুসলিম অধ্যুষীত বাংলাদেশের শাষক শ্রেনীর "প্রকাশ্য বেলেল্লাপনা" মেনে নিবে কিনা চিরবিদ্রোহী বাঙ্গালী মুসলমান সমাজ আগামীতে দেখার অপেক্ষায় রইলাম"।
"খালেদা জিয়ার বারংবার যৌনসম্পর্কের ঘটনা সমুহ নি:সন্দেহে জাতী হিসেবে আমাদের মান সম্মান ধূলায় লুটিয়ে দেয়ার সমতুল্য।সুতারাং দেশ, জনগন, জাতীর "মান ইজ্জত" বিবেচনায় 'খালেদা জিয়া'র ডিএনএ টেষ্ট করা অভিলম্ভে রাষ্ট্রের কর্তব্য বলে মনে করে"।
ruhulaminmujumder27@gmail.com
" জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু"
"রুহুল আমিন মজুমদার"
_____________________________
______________________________
রাজনীতিতে ব্যাক্তিগত অভ্যেস বা বদভ্যেস খুব বেশী ধর্তব্যের মধ্যে আসেনা। বেশীর ভাগ আঞ্চলিক নেতাদের সুনাম -দুর্নামের মুখরোচক কাহিনী লোকের মুখে মুখে আলোচনার খোরাক হয়ে নির্বাচনের মাঠে ঘুরে বেড়ায়।জনগন খুব বেশী আমলে নেয় বলে মনে হয়না। নানেয়ার বহুবীদ কারনও আছে।দুর্নাম যদিও বা একাধিক থাকে সুনাম থাকে আকাশ চোঁয়া।জনগনের দরজায় তাঁর যাতায়াত সময়ে অসময়ে ঘটে বিধায় সম্পর্ক থাকে বন্ধু ভাইয়ের অধিক।ফলে তাঁর দুর্নামকে পেছনে পেলে সুনামগুলী নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারে গুরুত্বপুর্ণ হয়ে উঠে।
জাতীয় রাজনীতি আঞ্চলিক রাজনীতি একনয়।জাতীয় রাজনীতি আঞ্চলিক রাজনীতিকে প্রভাবিত করে; আঞ্চলিক রাজনীতি জাতীয় রাজনীতিকে প্রভাবিত করতে পারেনা। জাতীয় রাজনীতিতে যে সমস্ত নেতা দেশে বিদেশে পরিচিত বা প্রভাব প্রতিপত্তি নিয়ে অবস্থান করেন তাঁদেরকে আমরা বলি "শীর্ষ নেতা" বা "জাতীয় নেতা"। শীর্ষনেতাদের ভালমন্দ আন্তজাতিক মহল পয্যবেক্ষনে রাখেন; কারন দেশের শীর্ষ নেতাদের রাজনৈতিক অবস্থানের উপর আন্তজাতিক মহলের স্বার্থ জড়িত থাকে।দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন ধারার রাজনীতি প্রচলিত থাকে-যেমন ডান, বাম মধ্যপন্থি, সাম্প্রদায়িক, অসাম্প্রয়িক, একনায়কতান্ত্রিক,ফ্যাসিবাদি ইত্যাদি। আন্তজাতিক মহলের মধ্যেও এইরুপ বিভাজন স্পষ্ট।প্রত্যেক ক্ষমতাধর রাষ্ট্র চায় তাঁর প্রতিবেশী বন্ধুরাষ্ট্র তাঁদের আদর্শের অনুরুপ আদর্শের রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় বসুক।
ভারতের জাতীয় নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবি এবং বর্তমান মৌদি নেতৃত্বে বিজেপি দল একক সংখ্যাগরিষ্টতায় সরকার গঠন করার সম্ভাবনা দেখা দিলে বাংলাদেশের অনুরুপ সাম্প্রদায়িক শিবিরে আনন্দের বন্যা দেখা দেয়; চারিদকে মিষ্টি বিতরনের হিড়িক পড়ে।বিএনপি এবং তাঁর শীর্ষনেত্রী খালেদা জিয়াও দলীয় অফিসে মিষ্টিমুখ, মিষ্টি বিতরন করে উল্লাসে ফেটে পড়েছিল।বর্তমানে আমেরিকা যুক্ত রাষ্ট্রের নির্বাচনেও 'হিলারী ক্লিনটনে'র অগ্রগামিতায় বিএনপি শিবিরে আনন্দের ধারা প্রবাহমান দেখা যাচ্ছে। ট্রাম্পের মুসলিম বিদ্বেসী মনোভাব, নারীর প্রতি বিদ্বেস বিশ্বজুড়ে আলোচনার বিষয় বস্তুতে পরিনত হয়েছে।
বাংলাদেশ একটি শক্তিহীন, দুর্নীতিপ্রবন, প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবন,মনুষ্যসৃষ্ট সমস্যা সংকুল ছোট দেশ। শক্তিশালী দেশের নির্বাচন নিয়ে বিশ্বব্যাপী যত বেশী আলোচনা হয় ততবেশী না হলেও ভৌগলিক অবস্থানের কারনে কেবল কমও হয়না।আন্তজাতিক মিডিয়া বাংলাদেশের রাজনীতির গতিপ্রকৃতি নিয়ে যতবেশী উৎসাহী অন্য কোন দেশ নিয়ে ততবেশী আলোচনা করতে দেখা যায়না।ক্ষমতাধর প্রত্যেক রাষ্ট্রের মিডিয়া গুলীতে বাংলাদেশের খবর প্রচারে 'বাংলা অনুষ্ঠান' বিশেষ করে খবর এবং 'খবরের পয্যালোচনা'র জন্য দুই তিন ঘন্টারও বেশী সময় বরাদ্ধ রাখতে দেখা যায়। এমন কিছু সংবাদ বাংলাদেশের মানুষ জানার আগে বিদেশী মিডিয়ায় একাধিকবার প্রকাশ হতে অতীতে আমরা দেখেছি।
আন্তজাতিক অঙ্গনে এমন একটি দেশের শীর্ষনেতার প্রকাশ্য বেলাল্লাপনা বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে-শুসিল মহলের মনে চিন্তার উদ্রেক করেছে।বিএনপি নেত্রীর গোপন সম্পর্ককে সত্যে পরিনত করার একাধিক তৎসম্পকীত ঘটনা আগে থেকেই ঘটে চলেছে।যে সমস্ত ঘটনা যে কারো বেলায় উল্লেখীত বেহায়াপনার নিমিত্তে-যে কোন ব্যাক্তির পারিবারিক,সামাজিক, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ঘটা একান্তই স্বাভাবিক। এইরুপ কতিপয় ঘটনা আপনাদের স্মরণ করে দিতে চাই--
"মোসাদ্দেক আলী ফালু বিএনপি'র কেন্দ্রীয় কমিটির লোভনীয় পদ ত্যাগ করেছেন। অফিস কর্মচারী শিমূল বিশ্বাসের স্ত্রী তাঁদের দাম্পত্য জীবনের কলহ শেষ পয্যন্ত থানা কোর্ট পয্যন্ত গড়িয়েছে। শিমূল বিশ্বাসের নামে চল্লিশ/বিয়াল্লিশ টি মামলা চলমান রয়েছে। উক্ত মামলা মাথায় নিয়ে খালেদা জিয়ার বাসভবনে বছরব্যাপি আত্মগোপনে রয়েছেন। যেহেতু সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে পুলিষী তল্লাসি করার আগাম হাইকোর্টের আদেশের প্রয়োজন সেহেতু উক্ত বাসভবন পলাতক আসামীর নিসন্দেহে নিরাপদ আবাস। বেতনভোগী অফিস কর্মচারি হয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের পাত্তা দিয়ে কথা বলেন না। অনেক আগে থেকে বিএনপি নেতাদের অভিযোগ 'শিমুল বিশ্বাসে'র আদেশ নির্দেশে বিএনপি দল পরিচালিত হয়; এবং কি নেতারাও মেনে চলতে বাধ্য হন। হাই প্রোফাইল চৈনিক রাষ্ট্র প্রধানের সঙ্গে খালেদা জিয়া এবং বিএনপি নেতৃবৃন্দের আলোচনায় অনুপস্থীত নেতার চেয়ারে বসে (তালিকায় নাম না থাকা সত্বেও) তালিকায় থাকা নেতাদের চেয়ে আরো কয়েকধাপ সমুজ্জল ব্যাক্তিত্বে সদর্পে আলোচনায় অংশ গ্রহন করা ; যদিও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ছাড়া অফিস কর্মচারী বা ব্যাক্তিগত কর্মচারি/কর্মকর্তার "দলীয় আলোচনায় অংশগ্রহন কোন রাজনৈতিক দলের বিধানে নেই"--"বিদেশী রাষ্ট্রের রাষ্ট্র প্রধান বা দুতাবাস প্রধানের" সাথে বৈঠকে অংশ নেয়ার প্রশ্নই আসেনা।
আগুন সন্ত্রাস,লুটপাট, অরাজকতা সৃষ্টির আন্দোলনের ফাঁদে পড়ে দেশব্যাপি আঞ্চলিক নেতৃবৃন্দ এবং কি তৃনমুলের নেতারাও যেখানে মামলার খেসারত দিতে দিতে নিস্তেজ হয়ে আন্দোলন সংগ্রাম বিমুখ হয়ে অনেকে বিদেশ পাড়ি দিয়েছেন অনেকে দেয়ার সুযোগ খুঁচ্ছেন; সেখানে এতগুলী মামলায় জড়িত থাকার পরেও এবং কি রাজনৈতিক পদ পদবী বহন না করা সত্বেও শিমুল বিশ্বাসের গাঁয়ে অদ্যাবদি আইন তাঁর লম্বা হাতের সামান্যতম চোঁয়াও লাগাতে পারেনি ---!!!!
উপরে উল্লেখিত ঘটনা সমুহ বিশ্লেষন করে ধারনা করা যায় "খালেদা জিয়া ফালুকে ত্যাগ করে অধিকতর কম বয়সের শিমুল বিশ্বাসের প্রতি ঝুঁকে পড়েছেন"। ইহা অত্যান্ত ভাল একটি ব্যবস্থা "জৈবিক তাড়না" নিরাময়ের জন্য তিনি "গোপন সম্পর্ক" করে নিয়েছেন।আরো ভাল করেছেন "বৃদ্ধ ফালু"কে ত্যাগ করে "যুবক শিমুল"কে গ্রহন করেছেন।
কিন্তু তাঁর মনে রাখা প্রয়োজন ছিল তিনি বাংলাদেশের সাবেক প্রধান মন্ত্রী এবং বিএনপি দলের প্রধান নেত্রী। এই দেশটি মুসলিম প্রধান দেশ।ইসলামে বেলেল্লাপনার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। তাছাড়া বর্তমান যুগ গনতান্ত্রীক যুগ-দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে বলতে হয় অদ্য সভায় কি সিদ্ধান্ত নেয়া হল। রাজা বাদশাহর যুগ শেষ হয়ে গেছে অনেক আগেই-তাঁদের শাষনামলে রঙ মহল, বাঈজী মহল,সুরা মহল, দাস দাসীর নানাহ কাহিনী ইতিহাসে পাওয়া যায়। রাজা, বাদশাহদের শৌয্য বিয্য প্রদর্শনের নিমিত্তে প্রচলনও ছিল সেই আমলে।সেই যুগের পতন ঘটিয়ে জনগন আরো আধুনিক শাষন ব্যবস্থা কায়েমের লক্ষে তাঁদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিতেও কুন্ঠাবোধ করেনি। গনতান্ত্রীক দেশের নেতা নেত্রীদের খাওয়া দাওয়া, চলাফেরা, দৈনন্দিন জীবনাচার পয্যবেক্ষনে থাকে সর্বক্ষন জনগনের। সংবাদ কর্মীরা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করার স্বাধীনতা আছে ;এবং কি বিদেশী দুতাবাস সমুহের ও নজরদারি থাকায় কোনপ্রকার বাধা নেই।
রাতের অন্ধকারের গোপন সম্পর্ককে প্রকাশ্যে আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসার কারনে এই মহুর্তে "দেশব্যাপি আলোচনার সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে খালেদা জিয়া এবং শিমুল বিশ্বাসের সম্পর্ক আদৌ কর্মচারি মণিবের সম্পর্ক না অন্য কিছু"। "ফালু এবং খালেদার সম্পর্ক নিয়ে মুখরোচক আলোচনার রেশ কাটতে না কাটতে শিমুল বিশ্বাসের সঙ্গে তদ্রুপ সম্পর্কের বিষয়টি জনগন মেনে নিবে কিনা এই মহুর্তে বুঝা না গেলেও বিএনপি নেতারা যে শংকিত তা সম্যক ভাবে উপলব্দি করার যথেষ্ট উপকরন পাওয়া যাচ্ছে।"
বিএনপি দলের মহাসচিব জনাব ফকরুল ইসলাম আলমগীর এক সভায় প্রকাশ্য বক্তব্যে শংকা প্রকাশ করে বলেন- "এই অবস্থায় চলতে থাকলে বিএনপি ৫/৭ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে "। আক্তারুজ্জমান বলেছেন- খালেদা নাবালকের পরামর্শে দলকে ডুবিয়ে দিচ্ছেন"।গায়েশ্বর একাধিকবার বিরুপ মন্তব্য করে বলেছেন-বর্তমান বিএনপি নেত্রী কার পরামর্শে দল পরিচালনা করেন জানিনা"।
ইতিমধ্যে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে--"তারেক -খালেদা টেলিফোনে হটটক বিনিময়, আন্দোলন সংগ্রামে কোন কেন্দ্রীয় নেতার অংশগ্রহন না করা ইত্যাদির হেতু কি শিমুল বিশ্বাস? বয়োজৈষ্ঠ নেতাদের পদত্যাগ, দলের একাধিক ড্রেসিং হিরুইনের দলত্যাগ, জেলা উপজেলা নেতাদের নিস্ক্রিয়তা, কেন্দ্রীয় নেতাদের খালেদার বাসভবন বিমুখ, তারেক জিয়ার নিস্ক্রিয়তা ইত্যাদি "অধিক বয়সের নেত্রী খালেদা জিয়ার যুবতী মেয়ে তুল্য" প্রকাশ্যে বেলাল্লাপনার হেতু?
তবে কি "বাংলাদেশের বিরুধী দলের রাজনীতি শেষ পয্যন্ত ধর্ষনের শিকার? জৈবিক সুখানুভুতিতে মগ্ন? প্রেমের সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে? পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়েছে? আদিম যুগের বহু বিবাহের নীতিতে ফিরে গেছে? পতিতাবৃত্তিতে জড়িয়ে গেছে? পতিতালয়ে চলে গেছে? প্রকাশ্য বেলাল্লাপনায় জড়িয়ে গেছে? আদি যুগের হেরেম, রঙ্গ মহলের চেতনায় ফিরে গেছে?""
বই পুস্তকে দেখেছিলাম 'বাঙ্গালী'মেয়েরা কুড়িতে বুড়ি।সাধারনত: চল্লিশ বছর বয়সের পর সন্তান ধারনের ক্ষমতা থাকে না। পরিবেশ, পুষ্টিসমৃদ্ধ আহারের গুনে আরো দশ বছর বোনাস দেয়া হলেও খালেদা জিয়া অনেক বেশী বয়সের অধিকারি। তবে কি খালেদা "বাঙ্গালী" পিতার জম্ম নয়?
"বাংলাদেশের সংবিধানে স্পষ্ট উল্লেখ আছে, কোন সংখ্যালুঘু,বিজাতীয় ব্যাক্তি রাষ্ট্র পরিচালনার সর্বোচ্ছ পদে অধিষ্ঠিত হইতে পারিবেনা।সচেতন মহল থেকে ইতিমধ্যে দাবী উঠেছে -" অবিলম্ভে খালেদা জিয়ার ডি, এন এ টেষ্ট করা হোক।তার জম্ম কোন 'জাতির পুরুষের' দ্বারা সংঘঠিত হয়েছিল নির্ণয় করা হোক। একজন বিরুধীদলীয় নেত্রীর ব্যভিচারের কারনে বাংলাদেশ বিরুধীদল শুন্য থাকুক, জনগনের ন্যায্য সংগ্রাম বিচ্যুত থাকুক -- কোন সচেতন নাগরীক চাইতে পারেনা।"
উল্লেখিত দেশকাঁপানো বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের কোন স্তরের নেতৃবৃন্দ অদ্য পয্যন্ত মুখ খোলেনি। হয়ত বা তাঁদের রুচিতে আসেনা মন্তব্য করা; তাই বিরত রয়েছেন মন্তব্য থেকে। তাঁদের জানা উচিৎ দেশ ও জাতির জন্য ইহা অত্যান্ত গুরুত্বপুর্ন বিষয়।জনগন ভাবতে শুরু করেছে "উপরের তলায় যাই ঘটুক প্রকাশ হলেও আইনের চোখ বন্ধ থাকে।নিছু তলায় যাই ঘটুক মানুষ জানার আগে আইনের চোখে দেখা যায়। শতকরা নব্বইজন বাঙ্গালী মুসলিম অধ্যুষীত বাংলাদেশের শাষক শ্রেনীর "প্রকাশ্য বেলেল্লাপনা" মেনে নিবে কিনা চিরবিদ্রোহী বাঙ্গালী মুসলমান সমাজ আগামীতে দেখার অপেক্ষায় রইলাম"।
"খালেদা জিয়ার বারংবার যৌনসম্পর্কের ঘটনা সমুহ নি:সন্দেহে জাতী হিসেবে আমাদের মান সম্মান ধূলায় লুটিয়ে দেয়ার সমতুল্য।সুতারাং দেশ, জনগন, জাতীর "মান ইজ্জত" বিবেচনায় 'খালেদা জিয়া'র ডিএনএ টেষ্ট করা অভিলম্ভে রাষ্ট্রের কর্তব্য বলে মনে করে"।
ruhulaminmujumder27@gmail.com
" জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু"
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন