চিনের বিশাল সহযোগিতা প্রাপ্তি শেখ হাসিনার কূটনৈতিক সফলতায় "বঙ্গবন্ধুর সৃজিত" পররাষ্ট্রনীতি অনুসরনের ফসল----------
চীনের বিশাল সহযোগিতা প্রাপ্তি শেখ হাসিনার কূটনৈতিক সফলতায় "বঙ্গবন্ধুর" সৃজিত পররাষ্ট্র নীতি অনুসরনের ফসল---
_____________________________________________________
বাংলাদেশ ও চীনের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভূরাজনৈতিক তাৎপর্য অনেক। এটা আশার কথা যে চীন ও ভারতের ‘দুই বিশাল অর্থনীতি’র মাঝে বাংলাদেশ ধীরে ধীরে নিজের অবস্থান সংহত করে নিচ্ছে। "কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব। আমাদের পররাষ্ট্রনীতির মূল লক্ষ্য। ' ৭২ ইং সালের সংবিধানে পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে গৃহিত বঙ্গবন্ধু সরকারের এই কালজয়ী নীতি 'সেনা শাষক ' কতৃক বিগত ৪০ বছর ভুলুন্ঠিত হলেও জাতির জনকের কন্যার সরকার সর্বতো কায্যকরে উদ্যোগি ভুমিকা প্রসংশার দাবি রাখে।এতদিন বক্তৃতায় বললেও কায্যক্ষেত্রে অ-প্রকাশ্য ছিল '৭২ এর সংবিধান। দ্বিতীয় মেয়াদের সরকারের মাঝামাঝিতে এসে দৃশ্যমান ভারতের চিরশত্রু চীনের ক্ষেত্রে দুরদর্শী কুটনীতির সফলতায় প্রকাশীত না হয়ে আর পারেনি।বহুবার তাঁর বক্তৃতা বিবৃতিতে প্রকাশ করলেও প্রগতিশীল ধারা, আওয়ামী ঘরনার বুদ্ধিজীবি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির বড় অংশটি এবং দলের অধিকাংশ নেতাকর্মী অনেকটা ভিতরে ভিতরে সন্দিহান থাকতে দেখা গেছে। আদৌ বর্তমান সরকার '৭২ এর সংবিধানে ফিরে গেল কি না।
সর্বোচ্চ আদালত কতৃক প্রধান দুই সামরিক সরকারের সংবিধান সংশোধনী বাতিল করলে সংবিধান কোন জায়গায় গিয়ে স্থীর হতে পারে সাধারনের বুঝার ঘাটতি থাকার কথা নয়।যে সমস্ত বিষয়াবলী গ্রহন করা বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় সমীচিন হবে বলে মনে করেননি সেই সমস্ত বিষয়াবলি রায় পরবর্তী সংসদ অধিবেশনে পুণ:সংযোজন করে নিয়েছেন তিনি।
স্নায়ু যুদ্ধোত্তর বিশ্বে কোনো দিকে ঝুঁকে না পড়ে জাতীয় স্বার্থকে সর্বাধিক অগ্রাধিকারের ভিত্তিতেই আমাদের পররাষ্ট্রনীতি পরিচালিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু সরকার।যদিও সামাজতান্ত্রিক রাশিয়া মুক্তিযুদ্ধে ভারতের পাশাপাশি পরিক্ষিত বন্ধুর পরিচয় তুলে ধরেছিলেন।বর্তমানেও দুই বৈরি শক্তিকে সমান্তরালে রেখে এযাবত কালের সর্বোচ্ছ আর্থিক সহযোগীতা আদায় করে নিয়েছেন বর্তমান সরকার। বঙ্গবন্ধুর রচিত '৭২ এর সংবিধানের ক্ষমতাবলে।দেশের অভ্যন্তরে কোন রাজনৈতিক দল বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন দুরের কথা স্বাগতই জানিয়েছেন প্রকারান্তরে। চীনের এই বিশাল অর্থিক সহযোগীতা '২০২১ সালের আগে বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের দেশের রুপান্তরের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে আর কোন সংশয় কোন পক্ষেরই রইল না। এক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের সাফল্যের তুলনা শুধুই বর্তমান সরকার ছাড়া আর কোন সরকারের কথা ভাবা কি যায়?
বঙ্গবন্ধু সরকারের পররাষ্ট্র নীতির আরো একটি গুরুত্বপুর্ণ দিক খুব কমই উম্মোচিত হয়েছে। আর তা হচ্ছে ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইলের সংগে কোন প্রকার কুটনীতি, ব্যবসা বা ভ্রমন না করার নীতি গ্রহন।বিশ্বমোড়ল আমেরিকাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে বিমানে বসেই তিনি ফিলিস্তিনী মুসলিম ভাইদের সংগ্রামের প্রতি তাঁর সমর্থন জ্ঞাপন করেন। শুধু তাই নয় ঢাকায় তাঁদের অফিসের জন্য সবার আগে জমিও বরাদ্ধ দেন। আজও বাংলাদেশের পাসপোর্টে ইসরাইল ব্যাতিত বিশ্বের সব কয়টি দেশ ভ্রমনের অনুমতি রয়েছে। শেখ হাসিনাও তাঁর তিন মেয়াদের সরকারে সেই ধারা অক্ষুন্ন রেখে ফিলিস্তিন মুসলিম ভাইদের প্রতি বাংলাদেশের সাহায্য সমর্থন অব্যাহত রেখেছেন।
""দু:খ্যজনক হলেও সত্য--বাংলাদেশের তথাকথিত ইসলামের জন্য জিহাদকারি দল সমুহ এবং তাঁদের ধর্মীয় জ্ঞানে অজ্ঞ ইমাম খালেদা জিয়ার দল ফিলিস্তিনী ভাইদের শত্রু, নবী (স:) এর শত্রু ইহুদী রাষ্ট্রের সঙ্গে গোপনে হাত মিলাতে উদ্যোগি হয়। যার প্রমান তাঁদের অখ্যাত রাজনৈতিক নেতা 'নবনির্বাচিত যুগ্ম-মহাসচিব'কে জেলে যেতে বাধ্য করেছে।""
এখানে আরো একটি বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন-"চিনের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ সফরের পরবর্তি ভারত সফর প্রমান করে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থানে ভারত নারাজ নয়।বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাতির জনকের কন্যা চীনের 'বিরাট অর্থনৈতিক সহযোগিতা'কে পাস কাটিয়ে 'আঞ্চলিক শান্তি ও স্থীতি শীলতা'র প্রতি অধিক গুরুত্ব প্রদান করেছেন। শেখ হাসিনার কৌশলি শান্তিরক্ষার প্রস্তাবের অর্থই হচ্ছে ভারত পাকিস্তান বৈরিতা যেন কোন অবস্থায় যুদ্ধের রুপ পরিগ্রহ না করতে পারে। এবং চীনকেও যুদ্ধের দামমামা থেকে সরে আসার আলতো কুটনৈতিক চাপ বলা যেতে পারে। আরও একটি বিষয় চীনকে আশ্বস্ত করা এই যে বাংলাদেশ যুদ্ধে পক্ষ নেয়া তো নয়ই- যুদ্ধেরই পক্ষে নয়'। কারন ভারত -পাকিস্তান যুদ্ধ বেঁধে গেলে তাঁর প্রভাব থেকে দক্ষিন-: পুর্ব এশিয়ার দেশ সমুহ মুক্ত থাকবে না। ঘনবসতিপুর্ণ এই অঞ্চলে যুদ্ধের ভয়াবহতা সম্পর্কে আগাম আবাস দেয়া মুলত: কারোপক্ষেই সম্ভব নয়। সবদিক বিবেচনায় বাংলাদেশ শান্তির পক্ষে তাঁর অবস্থান 'চীনের প্রেসিডেন্টে'র নিকট তুলে ধরার প্রয়াস শতভাগ সফলতা পেয়েছে--'আমি মনে করি।'
রাজনৈতিক দল হিসেবে বৈরি দুই দল 'আওয়ামী লীগ ও বিএনপি' চীনা প্রেসিডেন্টের সফরকে স্বাগত জানিয়েছে। এটাই হওয়া উচিত যে কোনো দায়িত্বশীল ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের অবস্থান। নিকট-প্রতিবেশী হিসেবে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিক ও গভীর। সি চিন পিংয়ের সফর সেই সম্পর্ককে আরও সামনে এগিয়ে নেবে বলে আশা করে বাংলাদেশের আপামর জনগন।
ruhulpaminmujumderp27@gmail.com
"জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু"
_____________________________________________________
বাংলাদেশ ও চীনের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভূরাজনৈতিক তাৎপর্য অনেক। এটা আশার কথা যে চীন ও ভারতের ‘দুই বিশাল অর্থনীতি’র মাঝে বাংলাদেশ ধীরে ধীরে নিজের অবস্থান সংহত করে নিচ্ছে। "কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব। আমাদের পররাষ্ট্রনীতির মূল লক্ষ্য। ' ৭২ ইং সালের সংবিধানে পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে গৃহিত বঙ্গবন্ধু সরকারের এই কালজয়ী নীতি 'সেনা শাষক ' কতৃক বিগত ৪০ বছর ভুলুন্ঠিত হলেও জাতির জনকের কন্যার সরকার সর্বতো কায্যকরে উদ্যোগি ভুমিকা প্রসংশার দাবি রাখে।এতদিন বক্তৃতায় বললেও কায্যক্ষেত্রে অ-প্রকাশ্য ছিল '৭২ এর সংবিধান। দ্বিতীয় মেয়াদের সরকারের মাঝামাঝিতে এসে দৃশ্যমান ভারতের চিরশত্রু চীনের ক্ষেত্রে দুরদর্শী কুটনীতির সফলতায় প্রকাশীত না হয়ে আর পারেনি।বহুবার তাঁর বক্তৃতা বিবৃতিতে প্রকাশ করলেও প্রগতিশীল ধারা, আওয়ামী ঘরনার বুদ্ধিজীবি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির বড় অংশটি এবং দলের অধিকাংশ নেতাকর্মী অনেকটা ভিতরে ভিতরে সন্দিহান থাকতে দেখা গেছে। আদৌ বর্তমান সরকার '৭২ এর সংবিধানে ফিরে গেল কি না।
সর্বোচ্চ আদালত কতৃক প্রধান দুই সামরিক সরকারের সংবিধান সংশোধনী বাতিল করলে সংবিধান কোন জায়গায় গিয়ে স্থীর হতে পারে সাধারনের বুঝার ঘাটতি থাকার কথা নয়।যে সমস্ত বিষয়াবলী গ্রহন করা বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় সমীচিন হবে বলে মনে করেননি সেই সমস্ত বিষয়াবলি রায় পরবর্তী সংসদ অধিবেশনে পুণ:সংযোজন করে নিয়েছেন তিনি।
স্নায়ু যুদ্ধোত্তর বিশ্বে কোনো দিকে ঝুঁকে না পড়ে জাতীয় স্বার্থকে সর্বাধিক অগ্রাধিকারের ভিত্তিতেই আমাদের পররাষ্ট্রনীতি পরিচালিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু সরকার।যদিও সামাজতান্ত্রিক রাশিয়া মুক্তিযুদ্ধে ভারতের পাশাপাশি পরিক্ষিত বন্ধুর পরিচয় তুলে ধরেছিলেন।বর্তমানেও দুই বৈরি শক্তিকে সমান্তরালে রেখে এযাবত কালের সর্বোচ্ছ আর্থিক সহযোগীতা আদায় করে নিয়েছেন বর্তমান সরকার। বঙ্গবন্ধুর রচিত '৭২ এর সংবিধানের ক্ষমতাবলে।দেশের অভ্যন্তরে কোন রাজনৈতিক দল বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন দুরের কথা স্বাগতই জানিয়েছেন প্রকারান্তরে। চীনের এই বিশাল অর্থিক সহযোগীতা '২০২১ সালের আগে বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের দেশের রুপান্তরের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে আর কোন সংশয় কোন পক্ষেরই রইল না। এক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের সাফল্যের তুলনা শুধুই বর্তমান সরকার ছাড়া আর কোন সরকারের কথা ভাবা কি যায়?
বঙ্গবন্ধু সরকারের পররাষ্ট্র নীতির আরো একটি গুরুত্বপুর্ণ দিক খুব কমই উম্মোচিত হয়েছে। আর তা হচ্ছে ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইলের সংগে কোন প্রকার কুটনীতি, ব্যবসা বা ভ্রমন না করার নীতি গ্রহন।বিশ্বমোড়ল আমেরিকাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে বিমানে বসেই তিনি ফিলিস্তিনী মুসলিম ভাইদের সংগ্রামের প্রতি তাঁর সমর্থন জ্ঞাপন করেন। শুধু তাই নয় ঢাকায় তাঁদের অফিসের জন্য সবার আগে জমিও বরাদ্ধ দেন। আজও বাংলাদেশের পাসপোর্টে ইসরাইল ব্যাতিত বিশ্বের সব কয়টি দেশ ভ্রমনের অনুমতি রয়েছে। শেখ হাসিনাও তাঁর তিন মেয়াদের সরকারে সেই ধারা অক্ষুন্ন রেখে ফিলিস্তিন মুসলিম ভাইদের প্রতি বাংলাদেশের সাহায্য সমর্থন অব্যাহত রেখেছেন।
""দু:খ্যজনক হলেও সত্য--বাংলাদেশের তথাকথিত ইসলামের জন্য জিহাদকারি দল সমুহ এবং তাঁদের ধর্মীয় জ্ঞানে অজ্ঞ ইমাম খালেদা জিয়ার দল ফিলিস্তিনী ভাইদের শত্রু, নবী (স:) এর শত্রু ইহুদী রাষ্ট্রের সঙ্গে গোপনে হাত মিলাতে উদ্যোগি হয়। যার প্রমান তাঁদের অখ্যাত রাজনৈতিক নেতা 'নবনির্বাচিত যুগ্ম-মহাসচিব'কে জেলে যেতে বাধ্য করেছে।""
এখানে আরো একটি বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন-"চিনের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ সফরের পরবর্তি ভারত সফর প্রমান করে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থানে ভারত নারাজ নয়।বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাতির জনকের কন্যা চীনের 'বিরাট অর্থনৈতিক সহযোগিতা'কে পাস কাটিয়ে 'আঞ্চলিক শান্তি ও স্থীতি শীলতা'র প্রতি অধিক গুরুত্ব প্রদান করেছেন। শেখ হাসিনার কৌশলি শান্তিরক্ষার প্রস্তাবের অর্থই হচ্ছে ভারত পাকিস্তান বৈরিতা যেন কোন অবস্থায় যুদ্ধের রুপ পরিগ্রহ না করতে পারে। এবং চীনকেও যুদ্ধের দামমামা থেকে সরে আসার আলতো কুটনৈতিক চাপ বলা যেতে পারে। আরও একটি বিষয় চীনকে আশ্বস্ত করা এই যে বাংলাদেশ যুদ্ধে পক্ষ নেয়া তো নয়ই- যুদ্ধেরই পক্ষে নয়'। কারন ভারত -পাকিস্তান যুদ্ধ বেঁধে গেলে তাঁর প্রভাব থেকে দক্ষিন-: পুর্ব এশিয়ার দেশ সমুহ মুক্ত থাকবে না। ঘনবসতিপুর্ণ এই অঞ্চলে যুদ্ধের ভয়াবহতা সম্পর্কে আগাম আবাস দেয়া মুলত: কারোপক্ষেই সম্ভব নয়। সবদিক বিবেচনায় বাংলাদেশ শান্তির পক্ষে তাঁর অবস্থান 'চীনের প্রেসিডেন্টে'র নিকট তুলে ধরার প্রয়াস শতভাগ সফলতা পেয়েছে--'আমি মনে করি।'
রাজনৈতিক দল হিসেবে বৈরি দুই দল 'আওয়ামী লীগ ও বিএনপি' চীনা প্রেসিডেন্টের সফরকে স্বাগত জানিয়েছে। এটাই হওয়া উচিত যে কোনো দায়িত্বশীল ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের অবস্থান। নিকট-প্রতিবেশী হিসেবে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিক ও গভীর। সি চিন পিংয়ের সফর সেই সম্পর্ককে আরও সামনে এগিয়ে নেবে বলে আশা করে বাংলাদেশের আপামর জনগন।
ruhulpaminmujumderp27@gmail.com
"জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু"
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন