দল ও সরকারে বিভাজন সর্বত্র গনতন্ত্রায়নের উদ্যোগ জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনার যুগান্তকারী পদক্ষেপ--
দল ও সরকারে বিভাজন ও গনতন্ত্রায়নের উদ্যোগ জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনার যুগান্তকারী পদক্ষেপ--
রুহুল আমিন মজুমদার
------------------------------------------------------
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এবারের সম্মেলনে গুনগত পরিবর্তন নিয়ে আসবে আগেও বার কয়েক বলেছিলাম।গনতন্ত্রায়নের ধারাকে রাষ্ট্রের সর্বত্র অনুশীলন করার সময় এখনই।রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে কালশক্তি সমুহ গনতন্ত্রের অভিযাত্রাকে বিঘ্নিত করার অপচেষ্টা আমরা লক্ষ করেছি এর আগে।যখনই বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ শা
ষন ক্ষমতা হাতে নিয়েছে তখনই অশুভ শক্তি সমুহ বিনা নোটিশে দলবদ্ধ হয়ে দেশকে অস্থীতিশীল করার চেষ্টা করেছে।সফলও হয়েছে বার কয়েক।
২০১৪/১৫ ইং সালে অশুভ শক্তি সমুহ একজোটে বিনা অজুহাতে কোরা'আন ও সুন্নাহ বিরুধী আইন প্রনয়ন করা থেকে বিরত রাখতে কি তান্ডব চালিয়েছিল সকলের স্মরণে থাকার কথা।"কথিত আইনটি কি, কেমন তাঁর ধরন,ইসলামের রীতিনীতির কোন পয্যায়ে ব্যবধান উক্ত আইনের ; অদ্যাবদি অশুভশক্তির পক্ষ থেকে তাঁর কোন ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি।তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল পরিস্কার -"নাস্তিক্যবাদের অপবাদে আওয়ামীলীগকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করে শতবছর একক ক্ষমতা পরিচালনার অভিসন্ধি"।অথছ স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে তাঁরাই নাম অদলবদলে ক্ষমতায় ছিল দীর্ঘ ত্রিশ বছরের অধিককাল।বঙ্গবন্ধুর ইসলামের প্রচার প্রসারে যে সমস্ত মৌলিক কাজগুলী সমাপন করেছিলেন সেই সমস্ত কাজকে সম্প্রসারনের জন্য তাঁর বীপরীতে শুন্য পরিমান কাজও করেনি।বরঞ্চ বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সংবিধানকে ছিন্নভিন্ন করে শাষন শোষন লুটপাট অব্যাহত রাখতে জাতিকে নিয়ে গেছেন অন্ধকার শাষন ৭১ এর আগে পাকিস্তানী ভাবধারায়।
গনতন্ত্র শুধুমাত্র নির্বাচন নয়; নির্বাচন হচ্ছে জনগনের পছন্দকে প্রাধান্য দেয়ার একটি রীতি।বিশ্বে বহু ধরনের গনতন্ত্র চলমান রয়েছে।প্রতিটি দেশ তাঁদের আবাহাওয়া, জনগনের মনমেজাজের উপর নির্ভর করে গনতন্ত্রের চর্চা করছে।বাংলাদেশ তাঁর নিজস্ব পারিপাশ্বিক অবস্থা, জনগনের মনমেজাজ ও চাহিদা অনুযায়ী যখনই গনতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান সমুহকে সাজাবার প্রক্রিয়া গ্রহন করার উদ্যোগ নিয়েছে তখনই অশুভ শক্তি তাঁদের সর্বশক্তি নিয়োগ করে বাঁধা দিয়েছে। গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেশকে এগিয়ে নেয়ার পুর্বশর্ত শিক্ষিত, আধুনিক,বিজ্ঞানমনস্ক, প্রযুক্তি নির্ভর "সুশিক্ষিতজাতি"।সে জায়গাটিতে হাত দিতে গেলেই অশুভশক্তি বিনানোটিশে দলবদ্ধ হয়ে দেশকে অস্থীতিশীল করে তোলে।
রাষ্ট্র ব্যাবস্থাপনায় তাঁর কর্ম সঞ্চালনের নিমিত্তে বহু অঙ্গপ্রত্যঙ্গ রয়েছে-যেমন শাষন বিভাগ, বিচার বিভাগ, আইন বিভাগ মুল ভিত্তির অভ্যন্তরে অন্যান্ন প্রত্যঙ্গের সামষ্ঠিকতার স্বরুপ। পুর্ণাঙ্গ রাষ্ট্র এর নির্দিষ্ট জনসমষ্টি, ভুখন্ড, সার্বভৌমত্বের গ্যারান্টি মায্যদাশীল রাষ্ট্রের প্রতীক। রাষ্ট্রের সমুদয় অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে জনগনের কল্যানে নিয়োজিত রাখার নির্দিষ্ট নীতি গ্রহন করে গড়ে উঠে রাজনৈতিক দল।নির্বাচনের মাধ্যমে অধিক জনগনের মতামতের ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনার অঙ্গিকার নিয়ে তাঁরা রাষ্ট্র যন্ত্র পরিচালনার ক্ষমতাপ্রাপ্ত হন। জনগনের অধিক কল্যানে নিয়োজিত থাকা রাজনৈতিক দলকে তাঁরা বারে বারে ক্ষমতায় নিয়ে আসার ও অধিকার রাখেন। দেখা যাচ্ছে যে-" নির্বাচন রাষ্ট্রের মুল ভিত্তি নয়; জনগনের পছন্দের দলকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দেয়ার মোক্ষম পদ্ধতি।" "রাষ্ট্রের একটি কায্যকর গনতন্ত্রের অনুষঙ্গ মাত্র"।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ইতিপুর্বে অনুষ্ঠিত দলের জাতীয় সম্মেলন সম্পুর্ণ গনতান্ত্রিক ভাবে, নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে সম্পাদন করে বাংলাদেশের এযাবৎ কালের ইতিহাসে নজির স্থাপন করেছেন।নেতা নির্বাচনে খোলাখোলি বিতর্কে অংশ নিয়েছে সারাদেশব্যাপি নেতাকর্মীগন।কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের একজন কায্যকরি কমিটির সদস্যকেও মনোনীত করা হয়নি ;নির্বাচিত সভানেত্রী এবং সাধারন সম্পাদকের নেতৃত্বে সাধারন আলোচনার ভিত্তিতে প্রস্তাব ও সমথনের মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয়েছে।এই ধারা তৃনমূল পয্যন্ত বিস্তৃত করার একাধিকবার ঘোষনাও দিচ্ছেন নবনির্বাচিত সভানেত্রী ও সাধারন সম্পাদক।উক্ত ধারা অব্যাহত রাখা গেলে সর্বস্তরে উন্নত চরিত্রের অধিকারি, দক্ষ, কর্মঠ, জ্ঞানী,রাজনীতি সচেতন রাজনৈতিক ব্যাক্তিরাই রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ পাবে ;ঐতিহ্য হীন, মুর্খ, লুটেরা, অর্থলোভী,দখলকার, সন্ত্রাসী, মাস্তান স্বয়ংক্রিয় ভাবে দল থেকে বিতাড়িত হতে বাধ্য হবে।
মাননীয় সভানেত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা আর একটি যুগান্তকারি পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন ইতিমধ্যে পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছে।আমিও যৎকিঞ্চিত লেখালেখি করেছিলাম সম্মেলনের আগে।অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে নেত্রীর আগামী দিনের গতিপথ সেদিকেই নির্দিষ্ট করতে সচেষ্ট রয়েছেন।আমি বলতে চেয়েছিলাম দীর্ঘবছর ক্ষমতা উপভোগের কারনে দলে স্থবিরতা এসেছে; বাহিরে হৃষ্টপুষ্ট দেখা গেলেও অভ্যন্তরে উইপোকায় খেয়ে জির্ণশীর্ণ করে ফেলেছে ঐতিহ্যবাহী দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে। অবিলম্বে সরকার এবং দলের মধ্যে বিভাজন রেখা টেনে বিচ্ছিন্ন করার আবেদন তৎসঙ্গে কতিপয় সুপারীশ সংযুক্ত করেছিলাম।ইতিমধ্যে আমি অদমের চিন্তা চেতনার সঙ্গে মাননীয় সভানেত্রীর চিন্তা চেতনার মিল দেখে মনের অজান্তে সাংঘাতিক গর্ব অনূভব হচ্ছে।
সরকার ও দলকে আলাদা করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে আমার প্রানপ্রিয় দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।বিভাজনের রুপরেখা নিম্নরুপ হওয়ার সম্ভাবনাই উজ্জল--" মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সরকার পরিচালনা করবেন। আর সংগঠন শক্তিশালী করবেন কেন্দ্রীয় নেতারা। আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ে থেকে জেনে এমনই আভাস দিচ্ছেন পত্রপত্রিকা সমুহ।যারা মন্ত্রিসভায় থাকবেন, তাদের দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা হচ্ছে না। তবে আঞ্চলিকতার কারণে কাউকে কাউকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করা হতে পারে। যারা মন্ত্রী ও একই সঙ্গে দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন, তাদের বিষয়ে নিকট ভবিষ্যতে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়, সে ব্যাপারে দলে চিন্তা-ভাবনা শুরু হয়েছে।
দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর মন্ত্রিসভায় রদবদল আনা হচ্ছে। যাদের কেন্দ্রীয় কমিটিতে নেওয়া হবে না, তাদের মন্ত্রিসভায় দেখা যেতে পারে। সদ্য ঘোষিত চার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের একজনও মন্ত্রিসভায় নেই। এর মধ্যে দীপু মনি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাহাঙ্গীর কবির নানক ছিলেন স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী। অবশ্য প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী। আট সাংগঠনিক সম্পাদকের কেউ মন্ত্রিসভার সদস্য নন। বিগত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বীর বাহাদুর পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন। তাকে এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কমিটিতে রাখা হয়নি। সম্পাদকমণ্ডলীর ঘোষিত ২২টি পদধারীর কেউ মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী নন। বরং বিগত কমিটিতে থাকা চারজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কোনো পদে নেই।
এতে পরিস্কার ধারণা করা যাচ্ছে, দলকে গতিশীল ও সরকারের কর্মকাণ্ড আরও বেগবান করতেই এ নীতি নেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের গত কমিটির অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল (লোটাস কামাল), সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান। ঘোষিত কমিটিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক পদ পেয়েছেন টিপু মুন্সী। আর সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার উকিলকে। গত কমিটিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদকের পদে ছিলেন ইয়াফেস ওসমান। এ কমিটিতে এখনো কাউকে নেওয়া হয়নি। অবশ্য ১৪ জন প্রেসিডিয়াম সদস্যের মধ্যে কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ দলীয় পদ এবং সরকার দুই জায়গায়ই আছেন। পাশাপাশি সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এখন থেকেই মাঠ গোছানোর কাজ শুরু করেছে দলের উচ্চ পর্যায়। সে কারণেই জাতীয় সম্মেলনের এক দিন পর জেলা নেতাদের সঙ্গে মতবিনিয় সভায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
পুর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনকের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় নেতাদের সাংগঠনিক সফর শুরু হবে আশা করি।যারা দলীয় পদে রয়েছেন তারা কেবল দলেই সময় দেবেন। তাদের মন্ত্রিসভায় নেওয়া হবে না,কতিপয় ব্যাতিক্রম ছাড়া"। আর যারা মন্ত্রিসভায় থাকবেন, তারা দেশ পরিচালনা করবেন। আওয়ামী লীগের ঘোষিত ৪৩টি পদের মধ্যে ২৭টিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা কেউ মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে নেই।
এই রুপে দল ও সরকারকে আলাদা করার চিন্তাভাবনা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জীবিতবস্থা থেকেই আওয়ামী লীগে ছিল।জাতির জনক পারেননি সময় তাঁকে চায়নি।তাঁর কন্যা এতদিন পারেননি দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতার কারনে। উদ্যোগ নিয়েও নেত্রী বার বার পিছনে যেতে বাধ্য হয়েছেন।এবার উদ্যোগটি নেয়া হচ্ছে সব দিক গুছিয়ে, পরিকল্পিতভাবে এবং সুশৃংখলভাবে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে।
মুলত: কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।ক্ষমতায় থাকার কারণে দল সরকারে মিশে গেছে। এতে তৃণমূল পর্যায়ে বিভক্তি চরম আকার ধারণ করেছে। অধিকাংশ স্থানেই মন্ত্রী-এমপিদের সঙ্গে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের ভালো সম্পর্ক নেই। তাই একসঙ্গে দল ও সরকারে দুটি পদে একই ব্যাক্তিকে না রাখার সিদ্ধান্ত অত্যান্ত যুগোপযুগী,আধুনিক, সুদুরপ্রসারী চিন্তা চেতনার ফসল, আমি মনে করি।
জাতির জনকের কন্যা এমন একটি দল, দেশ এবং শাষন ব্যবস্থা রেখে যেতে চান-- "যে দল বাঙ্গালী মানসের চিন্তাচেতনার সঙ্গে সম্পুর্ণ সামজস্যপুর্ণ,গনতান্ত্রিক, আধুনিকতার ধারকবাহক হয়ে জনগনের সেবায় ব্রতি থাকবে আবহমান কাল।এমন একটি শাষন ব্যবস্থা প্রবর্তন করার উদাহরন তিনি রেখে যেতে চান-যে শাষন ব্যাবস্থায় অশুভশক্তির কোন ছায়া যেন আগামী প্রজম্মের অগ্রগতির পথ রুদ্ধ করে জাতিকে শতবছর পিছিয়ে দিতে না পারে।তিনি এমন একটা দেশ গড়ে তোলার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন-যে দেশটি কোন বিষয়ে যেন কারো মুখাপেক্ষি না থাকে। সম্পুর্ণ স্বাধীন,আত্মমায্যদাশীল, স্বাবলম্ভি, উন্নত,সমৃদ্ধ বিজ্ঞানভিত্তিক আধুনীক,তথ্য ও প্রযুক্তিতে শক্তিশালী স্বনির্ভর বাংলাদেশ।তাঁর সকল কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে ২০২১-২০৪১ ভিশনকে সামনে রেখে।""
পরিশেষে শুধু একটি কথাই বলব-কাজী নজরুল ইসলামের মাথার দাম নির্ধারন করেছিল সাম্প্রদায়িকগোষ্টি; সময়ের ব্যবধানে তাঁর রচিত কবিতা গান আর গজল ছাড়া তাঁদের সভা জমে না, বাঙ্গালী জাতি তাঁকে জাতীয় কবির মায্যদায় ভুষিত করে মাথায় তুলে রেখেছেন।একুশ বছর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু নিষিদ্ধ ছিলেন অঘোষিত ভাবে; তিনি ফিরে এসেছেন বাঙ্গালীচিত্তে সগৌরবে,স্বমহিমায়, উজ্জলতর আলোক বিচ্ছুরনের মাধ্যমে।তাঁর কন্যারও দেহবসান হবে চিরায়ত বিধানে।শত বছর পরেও তিনি ফিরে আসবেন বার বার বাঙ্গালী মানসে তাঁর যুগশ্রেষ্ঠ সংস্কার,সমৃদ্ধ বাংলাদেশ,গনতন্ত্রের অভিযাত্রায় শ্রেষ্ঠত্বের ভুমিকা পালনকারিনী ধরিত্রীর মানস কন্যারুপে।
ruhulaminmujumder27@gmail.com
"জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু"
রুহুল আমিন মজুমদার
------------------------------------------------------
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এবারের সম্মেলনে গুনগত পরিবর্তন নিয়ে আসবে আগেও বার কয়েক বলেছিলাম।গনতন্ত্রায়নের ধারাকে রাষ্ট্রের সর্বত্র অনুশীলন করার সময় এখনই।রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে কালশক্তি সমুহ গনতন্ত্রের অভিযাত্রাকে বিঘ্নিত করার অপচেষ্টা আমরা লক্ষ করেছি এর আগে।যখনই বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ শা
ষন ক্ষমতা হাতে নিয়েছে তখনই অশুভ শক্তি সমুহ বিনা নোটিশে দলবদ্ধ হয়ে দেশকে অস্থীতিশীল করার চেষ্টা করেছে।সফলও হয়েছে বার কয়েক।
২০১৪/১৫ ইং সালে অশুভ শক্তি সমুহ একজোটে বিনা অজুহাতে কোরা'আন ও সুন্নাহ বিরুধী আইন প্রনয়ন করা থেকে বিরত রাখতে কি তান্ডব চালিয়েছিল সকলের স্মরণে থাকার কথা।"কথিত আইনটি কি, কেমন তাঁর ধরন,ইসলামের রীতিনীতির কোন পয্যায়ে ব্যবধান উক্ত আইনের ; অদ্যাবদি অশুভশক্তির পক্ষ থেকে তাঁর কোন ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি।তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল পরিস্কার -"নাস্তিক্যবাদের অপবাদে আওয়ামীলীগকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করে শতবছর একক ক্ষমতা পরিচালনার অভিসন্ধি"।অথছ স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে তাঁরাই নাম অদলবদলে ক্ষমতায় ছিল দীর্ঘ ত্রিশ বছরের অধিককাল।বঙ্গবন্ধুর ইসলামের প্রচার প্রসারে যে সমস্ত মৌলিক কাজগুলী সমাপন করেছিলেন সেই সমস্ত কাজকে সম্প্রসারনের জন্য তাঁর বীপরীতে শুন্য পরিমান কাজও করেনি।বরঞ্চ বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সংবিধানকে ছিন্নভিন্ন করে শাষন শোষন লুটপাট অব্যাহত রাখতে জাতিকে নিয়ে গেছেন অন্ধকার শাষন ৭১ এর আগে পাকিস্তানী ভাবধারায়।
গনতন্ত্র শুধুমাত্র নির্বাচন নয়; নির্বাচন হচ্ছে জনগনের পছন্দকে প্রাধান্য দেয়ার একটি রীতি।বিশ্বে বহু ধরনের গনতন্ত্র চলমান রয়েছে।প্রতিটি দেশ তাঁদের আবাহাওয়া, জনগনের মনমেজাজের উপর নির্ভর করে গনতন্ত্রের চর্চা করছে।বাংলাদেশ তাঁর নিজস্ব পারিপাশ্বিক অবস্থা, জনগনের মনমেজাজ ও চাহিদা অনুযায়ী যখনই গনতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান সমুহকে সাজাবার প্রক্রিয়া গ্রহন করার উদ্যোগ নিয়েছে তখনই অশুভ শক্তি তাঁদের সর্বশক্তি নিয়োগ করে বাঁধা দিয়েছে। গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেশকে এগিয়ে নেয়ার পুর্বশর্ত শিক্ষিত, আধুনিক,বিজ্ঞানমনস্ক, প্রযুক্তি নির্ভর "সুশিক্ষিতজাতি"।সে জায়গাটিতে হাত দিতে গেলেই অশুভশক্তি বিনানোটিশে দলবদ্ধ হয়ে দেশকে অস্থীতিশীল করে তোলে।
রাষ্ট্র ব্যাবস্থাপনায় তাঁর কর্ম সঞ্চালনের নিমিত্তে বহু অঙ্গপ্রত্যঙ্গ রয়েছে-যেমন শাষন বিভাগ, বিচার বিভাগ, আইন বিভাগ মুল ভিত্তির অভ্যন্তরে অন্যান্ন প্রত্যঙ্গের সামষ্ঠিকতার স্বরুপ। পুর্ণাঙ্গ রাষ্ট্র এর নির্দিষ্ট জনসমষ্টি, ভুখন্ড, সার্বভৌমত্বের গ্যারান্টি মায্যদাশীল রাষ্ট্রের প্রতীক। রাষ্ট্রের সমুদয় অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে জনগনের কল্যানে নিয়োজিত রাখার নির্দিষ্ট নীতি গ্রহন করে গড়ে উঠে রাজনৈতিক দল।নির্বাচনের মাধ্যমে অধিক জনগনের মতামতের ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনার অঙ্গিকার নিয়ে তাঁরা রাষ্ট্র যন্ত্র পরিচালনার ক্ষমতাপ্রাপ্ত হন। জনগনের অধিক কল্যানে নিয়োজিত থাকা রাজনৈতিক দলকে তাঁরা বারে বারে ক্ষমতায় নিয়ে আসার ও অধিকার রাখেন। দেখা যাচ্ছে যে-" নির্বাচন রাষ্ট্রের মুল ভিত্তি নয়; জনগনের পছন্দের দলকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দেয়ার মোক্ষম পদ্ধতি।" "রাষ্ট্রের একটি কায্যকর গনতন্ত্রের অনুষঙ্গ মাত্র"।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ইতিপুর্বে অনুষ্ঠিত দলের জাতীয় সম্মেলন সম্পুর্ণ গনতান্ত্রিক ভাবে, নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে সম্পাদন করে বাংলাদেশের এযাবৎ কালের ইতিহাসে নজির স্থাপন করেছেন।নেতা নির্বাচনে খোলাখোলি বিতর্কে অংশ নিয়েছে সারাদেশব্যাপি নেতাকর্মীগন।কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের একজন কায্যকরি কমিটির সদস্যকেও মনোনীত করা হয়নি ;নির্বাচিত সভানেত্রী এবং সাধারন সম্পাদকের নেতৃত্বে সাধারন আলোচনার ভিত্তিতে প্রস্তাব ও সমথনের মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয়েছে।এই ধারা তৃনমূল পয্যন্ত বিস্তৃত করার একাধিকবার ঘোষনাও দিচ্ছেন নবনির্বাচিত সভানেত্রী ও সাধারন সম্পাদক।উক্ত ধারা অব্যাহত রাখা গেলে সর্বস্তরে উন্নত চরিত্রের অধিকারি, দক্ষ, কর্মঠ, জ্ঞানী,রাজনীতি সচেতন রাজনৈতিক ব্যাক্তিরাই রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ পাবে ;ঐতিহ্য হীন, মুর্খ, লুটেরা, অর্থলোভী,দখলকার, সন্ত্রাসী, মাস্তান স্বয়ংক্রিয় ভাবে দল থেকে বিতাড়িত হতে বাধ্য হবে।
মাননীয় সভানেত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা আর একটি যুগান্তকারি পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন ইতিমধ্যে পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছে।আমিও যৎকিঞ্চিত লেখালেখি করেছিলাম সম্মেলনের আগে।অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে নেত্রীর আগামী দিনের গতিপথ সেদিকেই নির্দিষ্ট করতে সচেষ্ট রয়েছেন।আমি বলতে চেয়েছিলাম দীর্ঘবছর ক্ষমতা উপভোগের কারনে দলে স্থবিরতা এসেছে; বাহিরে হৃষ্টপুষ্ট দেখা গেলেও অভ্যন্তরে উইপোকায় খেয়ে জির্ণশীর্ণ করে ফেলেছে ঐতিহ্যবাহী দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে। অবিলম্বে সরকার এবং দলের মধ্যে বিভাজন রেখা টেনে বিচ্ছিন্ন করার আবেদন তৎসঙ্গে কতিপয় সুপারীশ সংযুক্ত করেছিলাম।ইতিমধ্যে আমি অদমের চিন্তা চেতনার সঙ্গে মাননীয় সভানেত্রীর চিন্তা চেতনার মিল দেখে মনের অজান্তে সাংঘাতিক গর্ব অনূভব হচ্ছে।
সরকার ও দলকে আলাদা করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে আমার প্রানপ্রিয় দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।বিভাজনের রুপরেখা নিম্নরুপ হওয়ার সম্ভাবনাই উজ্জল--" মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সরকার পরিচালনা করবেন। আর সংগঠন শক্তিশালী করবেন কেন্দ্রীয় নেতারা। আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ে থেকে জেনে এমনই আভাস দিচ্ছেন পত্রপত্রিকা সমুহ।যারা মন্ত্রিসভায় থাকবেন, তাদের দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা হচ্ছে না। তবে আঞ্চলিকতার কারণে কাউকে কাউকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করা হতে পারে। যারা মন্ত্রী ও একই সঙ্গে দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন, তাদের বিষয়ে নিকট ভবিষ্যতে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়, সে ব্যাপারে দলে চিন্তা-ভাবনা শুরু হয়েছে।
দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর মন্ত্রিসভায় রদবদল আনা হচ্ছে। যাদের কেন্দ্রীয় কমিটিতে নেওয়া হবে না, তাদের মন্ত্রিসভায় দেখা যেতে পারে। সদ্য ঘোষিত চার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের একজনও মন্ত্রিসভায় নেই। এর মধ্যে দীপু মনি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাহাঙ্গীর কবির নানক ছিলেন স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী। অবশ্য প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী। আট সাংগঠনিক সম্পাদকের কেউ মন্ত্রিসভার সদস্য নন। বিগত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বীর বাহাদুর পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন। তাকে এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কমিটিতে রাখা হয়নি। সম্পাদকমণ্ডলীর ঘোষিত ২২টি পদধারীর কেউ মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী নন। বরং বিগত কমিটিতে থাকা চারজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কোনো পদে নেই।
এতে পরিস্কার ধারণা করা যাচ্ছে, দলকে গতিশীল ও সরকারের কর্মকাণ্ড আরও বেগবান করতেই এ নীতি নেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের গত কমিটির অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল (লোটাস কামাল), সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান। ঘোষিত কমিটিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক পদ পেয়েছেন টিপু মুন্সী। আর সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার উকিলকে। গত কমিটিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদকের পদে ছিলেন ইয়াফেস ওসমান। এ কমিটিতে এখনো কাউকে নেওয়া হয়নি। অবশ্য ১৪ জন প্রেসিডিয়াম সদস্যের মধ্যে কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ দলীয় পদ এবং সরকার দুই জায়গায়ই আছেন। পাশাপাশি সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এখন থেকেই মাঠ গোছানোর কাজ শুরু করেছে দলের উচ্চ পর্যায়। সে কারণেই জাতীয় সম্মেলনের এক দিন পর জেলা নেতাদের সঙ্গে মতবিনিয় সভায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
পুর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনকের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় নেতাদের সাংগঠনিক সফর শুরু হবে আশা করি।যারা দলীয় পদে রয়েছেন তারা কেবল দলেই সময় দেবেন। তাদের মন্ত্রিসভায় নেওয়া হবে না,কতিপয় ব্যাতিক্রম ছাড়া"। আর যারা মন্ত্রিসভায় থাকবেন, তারা দেশ পরিচালনা করবেন। আওয়ামী লীগের ঘোষিত ৪৩টি পদের মধ্যে ২৭টিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা কেউ মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে নেই।
এই রুপে দল ও সরকারকে আলাদা করার চিন্তাভাবনা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জীবিতবস্থা থেকেই আওয়ামী লীগে ছিল।জাতির জনক পারেননি সময় তাঁকে চায়নি।তাঁর কন্যা এতদিন পারেননি দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতার কারনে। উদ্যোগ নিয়েও নেত্রী বার বার পিছনে যেতে বাধ্য হয়েছেন।এবার উদ্যোগটি নেয়া হচ্ছে সব দিক গুছিয়ে, পরিকল্পিতভাবে এবং সুশৃংখলভাবে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে।
মুলত: কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।ক্ষমতায় থাকার কারণে দল সরকারে মিশে গেছে। এতে তৃণমূল পর্যায়ে বিভক্তি চরম আকার ধারণ করেছে। অধিকাংশ স্থানেই মন্ত্রী-এমপিদের সঙ্গে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের ভালো সম্পর্ক নেই। তাই একসঙ্গে দল ও সরকারে দুটি পদে একই ব্যাক্তিকে না রাখার সিদ্ধান্ত অত্যান্ত যুগোপযুগী,আধুনিক, সুদুরপ্রসারী চিন্তা চেতনার ফসল, আমি মনে করি।
জাতির জনকের কন্যা এমন একটি দল, দেশ এবং শাষন ব্যবস্থা রেখে যেতে চান-- "যে দল বাঙ্গালী মানসের চিন্তাচেতনার সঙ্গে সম্পুর্ণ সামজস্যপুর্ণ,গনতান্ত্রিক, আধুনিকতার ধারকবাহক হয়ে জনগনের সেবায় ব্রতি থাকবে আবহমান কাল।এমন একটি শাষন ব্যবস্থা প্রবর্তন করার উদাহরন তিনি রেখে যেতে চান-যে শাষন ব্যাবস্থায় অশুভশক্তির কোন ছায়া যেন আগামী প্রজম্মের অগ্রগতির পথ রুদ্ধ করে জাতিকে শতবছর পিছিয়ে দিতে না পারে।তিনি এমন একটা দেশ গড়ে তোলার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন-যে দেশটি কোন বিষয়ে যেন কারো মুখাপেক্ষি না থাকে। সম্পুর্ণ স্বাধীন,আত্মমায্যদাশীল, স্বাবলম্ভি, উন্নত,সমৃদ্ধ বিজ্ঞানভিত্তিক আধুনীক,তথ্য ও প্রযুক্তিতে শক্তিশালী স্বনির্ভর বাংলাদেশ।তাঁর সকল কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে ২০২১-২০৪১ ভিশনকে সামনে রেখে।""
পরিশেষে শুধু একটি কথাই বলব-কাজী নজরুল ইসলামের মাথার দাম নির্ধারন করেছিল সাম্প্রদায়িকগোষ্টি; সময়ের ব্যবধানে তাঁর রচিত কবিতা গান আর গজল ছাড়া তাঁদের সভা জমে না, বাঙ্গালী জাতি তাঁকে জাতীয় কবির মায্যদায় ভুষিত করে মাথায় তুলে রেখেছেন।একুশ বছর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু নিষিদ্ধ ছিলেন অঘোষিত ভাবে; তিনি ফিরে এসেছেন বাঙ্গালীচিত্তে সগৌরবে,স্বমহিমায়, উজ্জলতর আলোক বিচ্ছুরনের মাধ্যমে।তাঁর কন্যারও দেহবসান হবে চিরায়ত বিধানে।শত বছর পরেও তিনি ফিরে আসবেন বার বার বাঙ্গালী মানসে তাঁর যুগশ্রেষ্ঠ সংস্কার,সমৃদ্ধ বাংলাদেশ,গনতন্ত্রের অভিযাত্রায় শ্রেষ্ঠত্বের ভুমিকা পালনকারিনী ধরিত্রীর মানস কন্যারুপে।
ruhulaminmujumder27@gmail.com
"জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু"
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন