দল ও সরকারে বিভাজন সর্বত্র গনতন্ত্রায়নের উদ্যোগ জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনার যুগান্তকারী পদক্ষেপ--

দল ও সরকারে বিভাজন ও গনতন্ত্রায়নের উদ্যোগ জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনার যুগান্তকারী পদক্ষেপ--

           রুহুল  আমিন মজুমদার
------------------------------------------------------

    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এবারের সম্মেলনে গুনগত পরিবর্তন নিয়ে আসবে আগেও বার কয়েক বলেছিলাম।গনতন্ত্রায়নের ধারাকে রাষ্ট্রের সর্বত্র অনুশীলন করার সময় এখনই।রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে কালশক্তি সমুহ গনতন্ত্রের অভিযাত্রাকে বিঘ্নিত করার অপচেষ্টা আমরা লক্ষ করেছি এর আগে।যখনই বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ শা
ষন ক্ষমতা হাতে নিয়েছে তখনই অশুভ শক্তি সমুহ বিনা নোটিশে দলবদ্ধ হয়ে দেশকে অস্থীতিশীল করার চেষ্টা করেছে।সফলও হয়েছে বার কয়েক।
  ২০১৪/১৫ ইং সালে অশুভ শক্তি সমুহ একজোটে বিনা অজুহাতে কোরা'আন ও সুন্নাহ বিরুধী আইন প্রনয়ন করা থেকে বিরত রাখতে কি তান্ডব চালিয়েছিল সকলের স্মরণে থাকার কথা।"কথিত আইনটি কি, কেমন তাঁর ধরন,ইসলামের রীতিনীতির কোন পয্যায়ে ব্যবধান উক্ত আইনের ; অদ্যাবদি অশুভশক্তির পক্ষ থেকে তাঁর কোন ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি।তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল পরিস্কার -"নাস্তিক্যবাদের অপবাদে আওয়ামীলীগকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করে শতবছর একক ক্ষমতা পরিচালনার অভিসন্ধি"।অথছ স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে তাঁরাই নাম অদলবদলে ক্ষমতায় ছিল দীর্ঘ ত্রিশ বছরের অধিককাল।বঙ্গবন্ধুর ইসলামের প্রচার প্রসারে যে সমস্ত  মৌলিক কাজগুলী সমাপন করেছিলেন সেই সমস্ত কাজকে সম্প্রসারনের জন্য তাঁর বীপরীতে শুন্য পরিমান কাজও করেনি।বরঞ্চ বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সংবিধানকে ছিন্নভিন্ন করে শাষন শোষন লুটপাট অব্যাহত রাখতে  জাতিকে নিয়ে গেছেন অন্ধকার শাষন ৭১ এর আগে পাকিস্তানী ভাবধারায়।
    গনতন্ত্র শুধুমাত্র নির্বাচন নয়; নির্বাচন হচ্ছে জনগনের পছন্দকে প্রাধান্য দেয়ার একটি রীতি।বিশ্বে বহু ধরনের গনতন্ত্র চলমান রয়েছে।প্রতিটি দেশ তাঁদের আবাহাওয়া, জনগনের মনমেজাজের উপর নির্ভর করে গনতন্ত্রের চর্চা করছে।বাংলাদেশ তাঁর নিজস্ব পারিপাশ্বিক অবস্থা, জনগনের মনমেজাজ ও  চাহিদা অনুযায়ী যখনই গনতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান সমুহকে সাজাবার প্রক্রিয়া গ্রহন করার উদ্যোগ নিয়েছে তখনই অশুভ শক্তি তাঁদের সর্বশক্তি নিয়োগ করে বাঁধা দিয়েছে। গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেশকে এগিয়ে নেয়ার পুর্বশর্ত শিক্ষিত, আধুনিক,বিজ্ঞানমনস্ক, প্রযুক্তি নির্ভর "সুশিক্ষিতজাতি"।সে জায়গাটিতে হাত দিতে গেলেই অশুভশক্তি বিনানোটিশে দলবদ্ধ হয়ে দেশকে অস্থীতিশীল করে তোলে।
    রাষ্ট্র ব্যাবস্থাপনায় তাঁর কর্ম সঞ্চালনের নিমিত্তে বহু অঙ্গপ্রত্যঙ্গ রয়েছে-যেমন শাষন বিভাগ, বিচার বিভাগ, আইন বিভাগ মুল ভিত্তির অভ্যন্তরে অন্যান্ন প্রত্যঙ্গের সামষ্ঠিকতার  স্বরুপ। পুর্ণাঙ্গ রাষ্ট্র এর নির্দিষ্ট জনসমষ্টি, ভুখন্ড, সার্বভৌমত্বের গ্যারান্টি মায্যদাশীল রাষ্ট্রের প্রতীক। রাষ্ট্রের সমুদয় অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে জনগনের কল্যানে নিয়োজিত রাখার নির্দিষ্ট নীতি গ্রহন করে গড়ে উঠে রাজনৈতিক দল।নির্বাচনের মাধ্যমে অধিক জনগনের মতামতের ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনার অঙ্গিকার নিয়ে তাঁরা রাষ্ট্র যন্ত্র পরিচালনার ক্ষমতাপ্রাপ্ত হন। জনগনের অধিক কল্যানে নিয়োজিত থাকা রাজনৈতিক দলকে তাঁরা বারে বারে ক্ষমতায় নিয়ে আসার ও অধিকার রাখেন। দেখা যাচ্ছে যে-" নির্বাচন রাষ্ট্রের মুল ভিত্তি নয়; জনগনের পছন্দের দলকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দেয়ার মোক্ষম পদ্ধতি।" "রাষ্ট্রের একটি কায্যকর গনতন্ত্রের অনুষঙ্গ মাত্র"।
     বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ইতিপুর্বে অনুষ্ঠিত দলের জাতীয় সম্মেলন সম্পুর্ণ গনতান্ত্রিক ভাবে, নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে সম্পাদন করে বাংলাদেশের এযাবৎ কালের ইতিহাসে নজির স্থাপন করেছেন।নেতা নির্বাচনে খোলাখোলি বিতর্কে অংশ নিয়েছে সারাদেশব্যাপি নেতাকর্মীগন।কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের একজন কায্যকরি কমিটির সদস্যকেও মনোনীত করা হয়নি ;নির্বাচিত সভানেত্রী এবং সাধারন সম্পাদকের নেতৃত্বে সাধারন আলোচনার ভিত্তিতে প্রস্তাব ও সমথনের মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয়েছে।এই ধারা তৃনমূল পয্যন্ত বিস্তৃত করার একাধিকবার ঘোষনাও দিচ্ছেন নবনির্বাচিত সভানেত্রী ও সাধারন সম্পাদক।উক্ত ধারা অব্যাহত রাখা গেলে সর্বস্তরে উন্নত চরিত্রের অধিকারি, দক্ষ, কর্মঠ, জ্ঞানী,রাজনীতি সচেতন রাজনৈতিক ব্যাক্তিরাই রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ পাবে ;ঐতিহ্য হীন, মুর্খ, লুটেরা, অর্থলোভী,দখলকার, সন্ত্রাসী, মাস্তান স্বয়ংক্রিয় ভাবে দল থেকে বিতাড়িত হতে বাধ্য হবে।
    মাননীয় সভানেত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা আর একটি যুগান্তকারি পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন ইতিমধ্যে পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছে।আমিও যৎকিঞ্চিত লেখালেখি করেছিলাম সম্মেলনের আগে।অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে নেত্রীর আগামী দিনের গতিপথ সেদিকেই নির্দিষ্ট করতে সচেষ্ট রয়েছেন।আমি বলতে চেয়েছিলাম দীর্ঘবছর ক্ষমতা উপভোগের কারনে দলে স্থবিরতা এসেছে; বাহিরে হৃষ্টপুষ্ট দেখা গেলেও অভ্যন্তরে উইপোকায় খেয়ে জির্ণশীর্ণ করে ফেলেছে ঐতিহ্যবাহী দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে। অবিলম্বে সরকার এবং দলের মধ্যে বিভাজন রেখা টেনে বিচ্ছিন্ন করার আবেদন তৎসঙ্গে কতিপয় সুপারীশ সংযুক্ত করেছিলাম।ইতিমধ্যে আমি অদমের চিন্তা চেতনার সঙ্গে মাননীয় সভানেত্রীর চিন্তা চেতনার মিল দেখে মনের অজান্তে সাংঘাতিক গর্ব অনূভব হচ্ছে।
    সরকার ও দলকে আলাদা করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে আমার প্রানপ্রিয় দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।বিভাজনের রুপরেখা নিম্নরুপ হওয়ার সম্ভাবনাই উজ্জল--" মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সরকার পরিচালনা করবেন। আর সংগঠন শক্তিশালী করবেন কেন্দ্রীয় নেতারা। আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ে থেকে জেনে এমনই আভাস দিচ্ছেন পত্রপত্রিকা সমুহ।যারা মন্ত্রিসভায় থাকবেন, তাদের দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা হচ্ছে না। তবে আঞ্চলিকতার কারণে কাউকে কাউকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করা হতে পারে। যারা মন্ত্রী ও একই সঙ্গে দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন, তাদের বিষয়ে নিকট ভবিষ্যতে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়, সে ব্যাপারে দলে চিন্তা-ভাবনা শুরু হয়েছে।
             দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর মন্ত্রিসভায় রদবদল আনা হচ্ছে। যাদের কেন্দ্রীয় কমিটিতে নেওয়া হবে না, তাদের মন্ত্রিসভায় দেখা যেতে পারে। সদ্য ঘোষিত চার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের একজনও মন্ত্রিসভায় নেই। এর মধ্যে দীপু মনি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাহাঙ্গীর কবির নানক ছিলেন স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী। অবশ্য প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী। আট সাংগঠনিক সম্পাদকের কেউ মন্ত্রিসভার সদস্য নন। বিগত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বীর বাহাদুর পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন। তাকে এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কমিটিতে রাখা হয়নি। সম্পাদকমণ্ডলীর ঘোষিত ২২টি পদধারীর কেউ মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী নন। বরং বিগত কমিটিতে থাকা চারজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কোনো পদে নেই।
   এতে পরিস্কার ধারণা করা যাচ্ছে, দলকে গতিশীল ও সরকারের কর্মকাণ্ড আরও বেগবান করতেই এ নীতি নেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের গত কমিটির অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল (লোটাস কামাল), সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান। ঘোষিত কমিটিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক পদ পেয়েছেন টিপু মুন্সী। আর সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার উকিলকে। গত কমিটিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদকের পদে ছিলেন ইয়াফেস ওসমান। এ কমিটিতে এখনো কাউকে নেওয়া হয়নি। অবশ্য ১৪ জন প্রেসিডিয়াম সদস্যের মধ্যে কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ দলীয় পদ এবং সরকার দুই জায়গায়ই আছেন। পাশাপাশি সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন।

     আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এখন থেকেই মাঠ গোছানোর কাজ শুরু করেছে দলের উচ্চ পর্যায়। সে কারণেই জাতীয় সম্মেলনের এক দিন পর জেলা নেতাদের সঙ্গে মতবিনিয় সভায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
     পুর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনকের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় নেতাদের সাংগঠনিক সফর শুরু হবে আশা করি।যারা দলীয় পদে রয়েছেন তারা কেবল দলেই সময় দেবেন। তাদের মন্ত্রিসভায় নেওয়া হবে না,কতিপয় ব্যাতিক্রম ছাড়া"। আর যারা মন্ত্রিসভায় থাকবেন, তারা দেশ পরিচালনা করবেন। আওয়ামী লীগের ঘোষিত ৪৩টি পদের মধ্যে ২৭টিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা কেউ মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে নেই।
  এই রুপে  দল ও সরকারকে আলাদা করার চিন্তাভাবনা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জীবিতবস্থা থেকেই আওয়ামী লীগে ছিল।জাতির জনক পারেননি সময় তাঁকে চায়নি।তাঁর কন্যা এতদিন পারেননি দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতার কারনে। উদ্যোগ নিয়েও নেত্রী বার বার পিছনে যেতে বাধ্য হয়েছেন।এবার উদ্যোগটি নেয়া হচ্ছে সব দিক গুছিয়ে, পরিকল্পিতভাবে এবং সুশৃংখলভাবে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে।
     মুলত: কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।ক্ষমতায় থাকার কারণে দল সরকারে মিশে গেছে। এতে তৃণমূল পর্যায়ে বিভক্তি চরম আকার ধারণ করেছে। অধিকাংশ স্থানেই মন্ত্রী-এমপিদের সঙ্গে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের ভালো সম্পর্ক নেই। তাই একসঙ্গে দল ও সরকারে দুটি পদে একই ব্যাক্তিকে না রাখার সিদ্ধান্ত অত্যান্ত যুগোপযুগী,আধুনিক, সুদুরপ্রসারী চিন্তা চেতনার ফসল, আমি মনে করি।
     জাতির জনকের কন্যা এমন একটি দল, দেশ এবং শাষন ব্যবস্থা রেখে যেতে চান-- "যে দল বাঙ্গালী মানসের চিন্তাচেতনার সঙ্গে সম্পুর্ণ সামজস্যপুর্ণ,গনতান্ত্রিক, আধুনিকতার ধারকবাহক হয়ে জনগনের সেবায় ব্রতি থাকবে আবহমান কাল।এমন একটি শাষন ব্যবস্থা প্রবর্তন করার উদাহরন তিনি রেখে যেতে চান-যে শাষন ব্যাবস্থায় অশুভশক্তির কোন ছায়া যেন আগামী প্রজম্মের অগ্রগতির পথ রুদ্ধ করে জাতিকে শতবছর পিছিয়ে দিতে না পারে।তিনি এমন একটা দেশ গড়ে তোলার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন-যে দেশটি কোন বিষয়ে যেন কারো মুখাপেক্ষি না থাকে।  সম্পুর্ণ স্বাধীন,আত্মমায্যদাশীল, স্বাবলম্ভি, উন্নত,সমৃদ্ধ বিজ্ঞানভিত্তিক আধুনীক,তথ্য ও প্রযুক্তিতে শক্তিশালী স্বনির্ভর বাংলাদেশ।তাঁর সকল কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে ২০২১-২০৪১ ভিশনকে সামনে রেখে।""

      পরিশেষে শুধু একটি কথাই বলব-কাজী নজরুল ইসলামের মাথার দাম নির্ধারন করেছিল সাম্প্রদায়িকগোষ্টি; সময়ের ব্যবধানে তাঁর রচিত কবিতা গান আর গজল ছাড়া তাঁদের সভা জমে না, বাঙ্গালী জাতি তাঁকে জাতীয় কবির মায্যদায় ভুষিত করে মাথায় তুলে রেখেছেন।একুশ বছর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু নিষিদ্ধ ছিলেন অঘোষিত ভাবে; তিনি ফিরে এসেছেন বাঙ্গালীচিত্তে সগৌরবে,স্বমহিমায়, উজ্জলতর আলোক বিচ্ছুরনের মাধ্যমে।তাঁর কন্যারও দেহবসান হবে চিরায়ত বিধানে।শত বছর পরেও তিনি ফিরে আসবেন বার বার বাঙ্গালী মানসে তাঁর যুগশ্রেষ্ঠ সংস্কার,সমৃদ্ধ বাংলাদেশ,গনতন্ত্রের অভিযাত্রায় শ্রেষ্ঠত্বের ভুমিকা পালনকারিনী ধরিত্রীর মানস কন্যারুপে।

ruhulaminmujumder27@gmail.com

               "জয়বাংলা             জয়বঙ্গবন্ধু"

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা