দল ও সরকারে বিভাজন সর্বত্র গনতন্ত্রায়নের উদ্যোগ জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনার যুগান্তকারী পদক্ষেপ--

দল ও সরকারে বিভাজন ও গনতন্ত্রায়নের উদ্যোগ জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনার যুগান্তকারী পদক্ষেপ--

           রুহুল  আমিন মজুমদার
------------------------------------------------------

    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এবারের সম্মেলনে গুনগত পরিবর্তন নিয়ে আসবে আগেও বার কয়েক বলেছিলাম।গনতন্ত্রায়নের ধারাকে রাষ্ট্রের সর্বত্র অনুশীলন করার সময় এখনই।রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে কালশক্তি সমুহ গনতন্ত্রের অভিযাত্রাকে বিঘ্নিত করার অপচেষ্টা আমরা লক্ষ করেছি এর আগে।যখনই বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ শা
ষন ক্ষমতা হাতে নিয়েছে তখনই অশুভ শক্তি সমুহ বিনা নোটিশে দলবদ্ধ হয়ে দেশকে অস্থীতিশীল করার চেষ্টা করেছে।সফলও হয়েছে বার কয়েক।
  ২০১৪/১৫ ইং সালে অশুভ শক্তি সমুহ একজোটে বিনা অজুহাতে কোরা'আন ও সুন্নাহ বিরুধী আইন প্রনয়ন করা থেকে বিরত রাখতে কি তান্ডব চালিয়েছিল সকলের স্মরণে থাকার কথা।"কথিত আইনটি কি, কেমন তাঁর ধরন,ইসলামের রীতিনীতির কোন পয্যায়ে ব্যবধান উক্ত আইনের ; অদ্যাবদি অশুভশক্তির পক্ষ থেকে তাঁর কোন ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি।তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল পরিস্কার -"নাস্তিক্যবাদের অপবাদে আওয়ামীলীগকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করে শতবছর একক ক্ষমতা পরিচালনার অভিসন্ধি"।অথছ স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে তাঁরাই নাম অদলবদলে ক্ষমতায় ছিল দীর্ঘ ত্রিশ বছরের অধিককাল।বঙ্গবন্ধুর ইসলামের প্রচার প্রসারে যে সমস্ত  মৌলিক কাজগুলী সমাপন করেছিলেন সেই সমস্ত কাজকে সম্প্রসারনের জন্য তাঁর বীপরীতে শুন্য পরিমান কাজও করেনি।বরঞ্চ বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সংবিধানকে ছিন্নভিন্ন করে শাষন শোষন লুটপাট অব্যাহত রাখতে  জাতিকে নিয়ে গেছেন অন্ধকার শাষন ৭১ এর আগে পাকিস্তানী ভাবধারায়।
    গনতন্ত্র শুধুমাত্র নির্বাচন নয়; নির্বাচন হচ্ছে জনগনের পছন্দকে প্রাধান্য দেয়ার একটি রীতি।বিশ্বে বহু ধরনের গনতন্ত্র চলমান রয়েছে।প্রতিটি দেশ তাঁদের আবাহাওয়া, জনগনের মনমেজাজের উপর নির্ভর করে গনতন্ত্রের চর্চা করছে।বাংলাদেশ তাঁর নিজস্ব পারিপাশ্বিক অবস্থা, জনগনের মনমেজাজ ও  চাহিদা অনুযায়ী যখনই গনতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান সমুহকে সাজাবার প্রক্রিয়া গ্রহন করার উদ্যোগ নিয়েছে তখনই অশুভ শক্তি তাঁদের সর্বশক্তি নিয়োগ করে বাঁধা দিয়েছে। গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেশকে এগিয়ে নেয়ার পুর্বশর্ত শিক্ষিত, আধুনিক,বিজ্ঞানমনস্ক, প্রযুক্তি নির্ভর "সুশিক্ষিতজাতি"।সে জায়গাটিতে হাত দিতে গেলেই অশুভশক্তি বিনানোটিশে দলবদ্ধ হয়ে দেশকে অস্থীতিশীল করে তোলে।
    রাষ্ট্র ব্যাবস্থাপনায় তাঁর কর্ম সঞ্চালনের নিমিত্তে বহু অঙ্গপ্রত্যঙ্গ রয়েছে-যেমন শাষন বিভাগ, বিচার বিভাগ, আইন বিভাগ মুল ভিত্তির অভ্যন্তরে অন্যান্ন প্রত্যঙ্গের সামষ্ঠিকতার  স্বরুপ। পুর্ণাঙ্গ রাষ্ট্র এর নির্দিষ্ট জনসমষ্টি, ভুখন্ড, সার্বভৌমত্বের গ্যারান্টি মায্যদাশীল রাষ্ট্রের প্রতীক। রাষ্ট্রের সমুদয় অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে জনগনের কল্যানে নিয়োজিত রাখার নির্দিষ্ট নীতি গ্রহন করে গড়ে উঠে রাজনৈতিক দল।নির্বাচনের মাধ্যমে অধিক জনগনের মতামতের ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনার অঙ্গিকার নিয়ে তাঁরা রাষ্ট্র যন্ত্র পরিচালনার ক্ষমতাপ্রাপ্ত হন। জনগনের অধিক কল্যানে নিয়োজিত থাকা রাজনৈতিক দলকে তাঁরা বারে বারে ক্ষমতায় নিয়ে আসার ও অধিকার রাখেন। দেখা যাচ্ছে যে-" নির্বাচন রাষ্ট্রের মুল ভিত্তি নয়; জনগনের পছন্দের দলকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দেয়ার মোক্ষম পদ্ধতি।" "রাষ্ট্রের একটি কায্যকর গনতন্ত্রের অনুষঙ্গ মাত্র"।
     বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ইতিপুর্বে অনুষ্ঠিত দলের জাতীয় সম্মেলন সম্পুর্ণ গনতান্ত্রিক ভাবে, নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে সম্পাদন করে বাংলাদেশের এযাবৎ কালের ইতিহাসে নজির স্থাপন করেছেন।নেতা নির্বাচনে খোলাখোলি বিতর্কে অংশ নিয়েছে সারাদেশব্যাপি নেতাকর্মীগন।কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের একজন কায্যকরি কমিটির সদস্যকেও মনোনীত করা হয়নি ;নির্বাচিত সভানেত্রী এবং সাধারন সম্পাদকের নেতৃত্বে সাধারন আলোচনার ভিত্তিতে প্রস্তাব ও সমথনের মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয়েছে।এই ধারা তৃনমূল পয্যন্ত বিস্তৃত করার একাধিকবার ঘোষনাও দিচ্ছেন নবনির্বাচিত সভানেত্রী ও সাধারন সম্পাদক।উক্ত ধারা অব্যাহত রাখা গেলে সর্বস্তরে উন্নত চরিত্রের অধিকারি, দক্ষ, কর্মঠ, জ্ঞানী,রাজনীতি সচেতন রাজনৈতিক ব্যাক্তিরাই রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ পাবে ;ঐতিহ্য হীন, মুর্খ, লুটেরা, অর্থলোভী,দখলকার, সন্ত্রাসী, মাস্তান স্বয়ংক্রিয় ভাবে দল থেকে বিতাড়িত হতে বাধ্য হবে।
    মাননীয় সভানেত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা আর একটি যুগান্তকারি পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন ইতিমধ্যে পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছে।আমিও যৎকিঞ্চিত লেখালেখি করেছিলাম সম্মেলনের আগে।অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে নেত্রীর আগামী দিনের গতিপথ সেদিকেই নির্দিষ্ট করতে সচেষ্ট রয়েছেন।আমি বলতে চেয়েছিলাম দীর্ঘবছর ক্ষমতা উপভোগের কারনে দলে স্থবিরতা এসেছে; বাহিরে হৃষ্টপুষ্ট দেখা গেলেও অভ্যন্তরে উইপোকায় খেয়ে জির্ণশীর্ণ করে ফেলেছে ঐতিহ্যবাহী দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে। অবিলম্বে সরকার এবং দলের মধ্যে বিভাজন রেখা টেনে বিচ্ছিন্ন করার আবেদন তৎসঙ্গে কতিপয় সুপারীশ সংযুক্ত করেছিলাম।ইতিমধ্যে আমি অদমের চিন্তা চেতনার সঙ্গে মাননীয় সভানেত্রীর চিন্তা চেতনার মিল দেখে মনের অজান্তে সাংঘাতিক গর্ব অনূভব হচ্ছে।
    সরকার ও দলকে আলাদা করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে আমার প্রানপ্রিয় দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।বিভাজনের রুপরেখা নিম্নরুপ হওয়ার সম্ভাবনাই উজ্জল--" মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সরকার পরিচালনা করবেন। আর সংগঠন শক্তিশালী করবেন কেন্দ্রীয় নেতারা। আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ে থেকে জেনে এমনই আভাস দিচ্ছেন পত্রপত্রিকা সমুহ।যারা মন্ত্রিসভায় থাকবেন, তাদের দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা হচ্ছে না। তবে আঞ্চলিকতার কারণে কাউকে কাউকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করা হতে পারে। যারা মন্ত্রী ও একই সঙ্গে দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন, তাদের বিষয়ে নিকট ভবিষ্যতে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়, সে ব্যাপারে দলে চিন্তা-ভাবনা শুরু হয়েছে।
             দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর মন্ত্রিসভায় রদবদল আনা হচ্ছে। যাদের কেন্দ্রীয় কমিটিতে নেওয়া হবে না, তাদের মন্ত্রিসভায় দেখা যেতে পারে। সদ্য ঘোষিত চার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের একজনও মন্ত্রিসভায় নেই। এর মধ্যে দীপু মনি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাহাঙ্গীর কবির নানক ছিলেন স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী। অবশ্য প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী। আট সাংগঠনিক সম্পাদকের কেউ মন্ত্রিসভার সদস্য নন। বিগত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বীর বাহাদুর পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন। তাকে এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কমিটিতে রাখা হয়নি। সম্পাদকমণ্ডলীর ঘোষিত ২২টি পদধারীর কেউ মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী নন। বরং বিগত কমিটিতে থাকা চারজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কোনো পদে নেই।
   এতে পরিস্কার ধারণা করা যাচ্ছে, দলকে গতিশীল ও সরকারের কর্মকাণ্ড আরও বেগবান করতেই এ নীতি নেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের গত কমিটির অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল (লোটাস কামাল), সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান। ঘোষিত কমিটিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক পদ পেয়েছেন টিপু মুন্সী। আর সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার উকিলকে। গত কমিটিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদকের পদে ছিলেন ইয়াফেস ওসমান। এ কমিটিতে এখনো কাউকে নেওয়া হয়নি। অবশ্য ১৪ জন প্রেসিডিয়াম সদস্যের মধ্যে কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ দলীয় পদ এবং সরকার দুই জায়গায়ই আছেন। পাশাপাশি সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন।

     আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এখন থেকেই মাঠ গোছানোর কাজ শুরু করেছে দলের উচ্চ পর্যায়। সে কারণেই জাতীয় সম্মেলনের এক দিন পর জেলা নেতাদের সঙ্গে মতবিনিয় সভায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
     পুর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনকের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় নেতাদের সাংগঠনিক সফর শুরু হবে আশা করি।যারা দলীয় পদে রয়েছেন তারা কেবল দলেই সময় দেবেন। তাদের মন্ত্রিসভায় নেওয়া হবে না,কতিপয় ব্যাতিক্রম ছাড়া"। আর যারা মন্ত্রিসভায় থাকবেন, তারা দেশ পরিচালনা করবেন। আওয়ামী লীগের ঘোষিত ৪৩টি পদের মধ্যে ২৭টিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা কেউ মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে নেই।
  এই রুপে  দল ও সরকারকে আলাদা করার চিন্তাভাবনা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জীবিতবস্থা থেকেই আওয়ামী লীগে ছিল।জাতির জনক পারেননি সময় তাঁকে চায়নি।তাঁর কন্যা এতদিন পারেননি দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতার কারনে। উদ্যোগ নিয়েও নেত্রী বার বার পিছনে যেতে বাধ্য হয়েছেন।এবার উদ্যোগটি নেয়া হচ্ছে সব দিক গুছিয়ে, পরিকল্পিতভাবে এবং সুশৃংখলভাবে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে।
     মুলত: কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।ক্ষমতায় থাকার কারণে দল সরকারে মিশে গেছে। এতে তৃণমূল পর্যায়ে বিভক্তি চরম আকার ধারণ করেছে। অধিকাংশ স্থানেই মন্ত্রী-এমপিদের সঙ্গে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের ভালো সম্পর্ক নেই। তাই একসঙ্গে দল ও সরকারে দুটি পদে একই ব্যাক্তিকে না রাখার সিদ্ধান্ত অত্যান্ত যুগোপযুগী,আধুনিক, সুদুরপ্রসারী চিন্তা চেতনার ফসল, আমি মনে করি।
     জাতির জনকের কন্যা এমন একটি দল, দেশ এবং শাষন ব্যবস্থা রেখে যেতে চান-- "যে দল বাঙ্গালী মানসের চিন্তাচেতনার সঙ্গে সম্পুর্ণ সামজস্যপুর্ণ,গনতান্ত্রিক, আধুনিকতার ধারকবাহক হয়ে জনগনের সেবায় ব্রতি থাকবে আবহমান কাল।এমন একটি শাষন ব্যবস্থা প্রবর্তন করার উদাহরন তিনি রেখে যেতে চান-যে শাষন ব্যাবস্থায় অশুভশক্তির কোন ছায়া যেন আগামী প্রজম্মের অগ্রগতির পথ রুদ্ধ করে জাতিকে শতবছর পিছিয়ে দিতে না পারে।তিনি এমন একটা দেশ গড়ে তোলার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন-যে দেশটি কোন বিষয়ে যেন কারো মুখাপেক্ষি না থাকে।  সম্পুর্ণ স্বাধীন,আত্মমায্যদাশীল, স্বাবলম্ভি, উন্নত,সমৃদ্ধ বিজ্ঞানভিত্তিক আধুনীক,তথ্য ও প্রযুক্তিতে শক্তিশালী স্বনির্ভর বাংলাদেশ।তাঁর সকল কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে ২০২১-২০৪১ ভিশনকে সামনে রেখে।""

      পরিশেষে শুধু একটি কথাই বলব-কাজী নজরুল ইসলামের মাথার দাম নির্ধারন করেছিল সাম্প্রদায়িকগোষ্টি; সময়ের ব্যবধানে তাঁর রচিত কবিতা গান আর গজল ছাড়া তাঁদের সভা জমে না, বাঙ্গালী জাতি তাঁকে জাতীয় কবির মায্যদায় ভুষিত করে মাথায় তুলে রেখেছেন।একুশ বছর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু নিষিদ্ধ ছিলেন অঘোষিত ভাবে; তিনি ফিরে এসেছেন বাঙ্গালীচিত্তে সগৌরবে,স্বমহিমায়, উজ্জলতর আলোক বিচ্ছুরনের মাধ্যমে।তাঁর কন্যারও দেহবসান হবে চিরায়ত বিধানে।শত বছর পরেও তিনি ফিরে আসবেন বার বার বাঙ্গালী মানসে তাঁর যুগশ্রেষ্ঠ সংস্কার,সমৃদ্ধ বাংলাদেশ,গনতন্ত্রের অভিযাত্রায় শ্রেষ্ঠত্বের ভুমিকা পালনকারিনী ধরিত্রীর মানস কন্যারুপে।

ruhulaminmujumder27@gmail.com

               "জয়বাংলা             জয়বঙ্গবন্ধু"

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন