আওয়ামীলীগ---জনগন কঠিন বন্ধনে আবদ্ধ--সরকার --জনগনের অঘোষিত জাতীয় ঐক্য দৃশ্যমান।

আওয়ামীলীগ-জনগন কঠিন বন্ধন--অঘোষিত জাতীয় ঐক্য অনেক আগেই দৃশ্যমান।
____________________________________________

    মাননীয় প্রধানমন্ত্রী  বঙ্গরত্ম শেখ হাসিনা 'আসেম সম্মেলন' থেকে ফিরে এসে অদ্য সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, 'জাতিয় ঐক্য যাদের সাথে হওয়ার দরকার তাঁদের সাথে হয়ে গেছে।'তিনি অত্যান্ত সুস্পষ্ট ভাবে সত্য কথাটি উচ্চারন করতে দ্বিধা করেননি।আমি এর আগেও বার কয়েক বলার চেষ্টা করেছি বাংলাদেশে উন্নয়ন অগ্রগতি এবং জঙ্গী দমনে অঘোষিত জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে। গত ১৪/০৬ ইং তারিখের একটি লেখায়ও বলেছিলাম জাতিয় ঐক্য যেখানে হওয়ার প্রয়োজন সেখানে অনেক আগে থেকেই  জাতীয় ঐক্যের সুস্পষ্ট লক্ষন সমুহ দৃশ্যমান। "যাদের চোখ নাকের উপরে তাঁরা দেখছে-নাকের নীছে যাদের তাঁরা দেখছে না।"

    ভারতকে বিশ্বের গনতান্ত্রিক দেশ সমুহের মধ্যে অন্যতম একটি এবং আমেরিকা, বৃটেন, ফ্রান্স যেহেতু উন্নত দেশ সেহেতু ধরে নিতেই পারি গনতান্ত্রিক দেশ। নিশ্চয়ই ঐ সমস্ত দেশে বিরুধী দলের সাথে বাংলাদেশের ন্যায় আচরন করা হয়না। তবে কেন জঙ্গীরা টুইন টাওয়ার গুড়িয়ে দিল? ফ্রান্সে কেন লক্ষ মানুষের আনন্দ মিছিলে জঙ্গীরা ট্রাক উঠিয়ে দিল? ভারতে কেন বার বার জঙ্গী হামলা হচ্ছে? ভারত কেন বীরীভাপান্ন হওয়া সত্বেও যুগান্তরের সমস্যা সমাধান করে আওয়ামী সরকারের সঙ্গে তাঁদের বন্ধুত্বের নিদর্শন রাখতে সচেষ্ট হ'ল?

    অথর্ব বুদ্ধিজীবি এবং তাঁদের অনুসরনকৃত অযোগ্য বিরুধী দল বিএনপি জামায়াত গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে বলছে জঙ্গী হামলা রোধ করার জন্য তাঁদের সংগে আলোচনায় বসে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। সুশাষন পিরিয়ে আনতে হলে তাঁদের সাথে সকাঝোতা করতে হবে। সুশাষন এবং গনতন্ত্রের অভাবে জঙ্গী হামলা হচ্ছে !! তাঁদের সাথে আলোচনা ছাড়া জঙ্গী হামলা রোধ সম্ভব হবেনা !! উল্লেখীত দেশেও কি সুশাষন এবং গনতন্ত্রের অভাব !!  শেষের বিবৃতির  জন্য উন্নত দেশ সমুহে এমনই "গনতন্ত্র" অবশ্যই বিবৃতিদাতাকে জেলখানায় যেতে হত। যেহেতু প্রকাশ্য বিবৃতির মাধ্যমে স্পষ্টভাবে বিএনপির নেতারা প্রকাশ করেছেন জঙ্গী হামলাকারীরা তাঁদেরই দলীয় আস্থাভাজন নেতাকর্মী। তাঁদের নির্দেশে জঙ্গী হামলা গুলী হচ্ছে। তাঁদের সাথে আলোচনা ফলপ্রসু হলে-তাঁরা তাঁদের নিয়ন্ত্রন করবেন !! তাঁদের বিবৃতির ধরন পয্যালোচনা করলে একটা পথশিশুও এই কথাটিই বলতে বাধ্য হবে।

    মাঠে নামার সাহষ নেই, আন্দোলনের যোগ্যতা নেই, জম্ম ষড়যন্ত্রে, খমতা গ্রহন পিছনের দরজা দিয়ে--তাঁরা কিভাবে বুঝবে জনগনের নাড়ীর খবর? জম্মিতে কেউ পাঁপি হয়না, কর্মেই পাঁপ নির্ধারীত হয়। অতীতের ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা বর্তমানেও বহমান রেখে ক্ষমতা পাওয়ার ষড়যন্ত্রে ব্যার্থ্য হয়েছেন। এখন একবার বলেন সরকারের পদত্যাগ আবার চাইতেছেন জাতীয় ঐক্য !! ভোট বিহীন অবৈধ সরকারের নিকট কিসের জাতীয় ঐক্য চান আপনারা !!  সরকার স্বীকার না করে সরকারের নিকট আবদার করা কতটুকু জ্ঞান সমৃদ্ধ বিবৃতি আপনারাই চিন্তা করে দেখুন।

  '৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে নির্মভাবে হত্যা করার আগে '৭৩ এর সধারন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে ৯৫/শতাংশেরও বেশী জনসমর্থন ছিল। তারপরও দীর্ঘ একুশ বছর রাজপথে মাথা তুলে দাঁড়াতে দেননি। এমন কোন নেতাকর্মী অবশিষ্ট ছিলনা একবারও জেলের ভাত খায়নি,একবারও আপনাদের লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসীদের হাতে লাঞ্চিত হয়নি। একুশ বছর পর ১৯৯৬ইং সালে ভোটার বিহীন ৫ই ফেব্রুয়ারীর নির্বাচনের বিরুদ্ধে গনভ্যুত্থান ঘটিয়ে ১৫দিনের মাথায় আপনাদেরকে ক্ষমতাচ্যুত করে ৪২/শতাংশ ভোটে জীতে সরকার গঠন করেছিল আওয়ামীলীগ। দেশীয় ও আন্তজাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সংবিধান অনুযায়ী সরকার পদত্যাগের আধা ঘন্টার ব্যবধানে সারাদেশ আওয়ামী শুন্য করে অনুষ্ঠিত সাধারন নির্বাচনে মাত্র ৩৩/শতাংশ ভোটে জিতে আপনারা খমতা দখল করেছিলেন। তারপরের ইতিহাস আওয়ামী লীগের প্রত্যেক নেতাকর্মীর জন্য প্রত্যেকটা দিন কি নির্মম, নিষ্ঠুর, বিভৎস ছিল-একমাত্র ভুক্তভোগী ছাড়া কারো অনুমেয় হওয়ার কথা নয়। আপনাদের ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চক্রান্তের খেসারৎ জাতি দুটি বছর অনির্বাচিত সরকারের অধীনে থেকে হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে। ২০০৮ইং সালের সাধারন নির্বাচনে ৫৩/শতাংশ জনসমর্থন নিয়ে আবারও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি তথা মহাজোট সরকার গঠন করে। আপনাদের জনসমর্থন নেমে দাঁড়িয়েছিল মাত্র ২৭/শতাংশে। ৯৫/শতাংশের উপরে জনসমর্থন থাকার পরেও আপনারা আওয়ামী লীগকে নি:শেষ করে দেয়ার চক্রান্তে ২১ বছর লিপ্ত ছিলেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ জনগনের মনে জাগরুক থাকার কারনে সফল হতে পারেননি।
    মাত্র ২৭শতাংশ জনসমর্থন নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদীতা করে, স্বাধীনতার বিরুদীতা করে ৭/৮ বছরে ঘুরে দাড়ানোর সাহষ কোত্থেকে পান?  কার আদর্শ লালন করেন আপনারা ?-ষড়যন্ত্র? জয়কে হত্যা? অরাজগতা? জঙ্গী ?   অশুভশক্তি ? জামায়াত শিবির ? ধর্ম ? সেনাবাহিনী ? গুজব ?অপ্প্রচার ?  কি  ভাবে ??

     এখনও বিবৃতি দিয়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে টিকে আছেন ইহাই যথেষ্ট। জনগন জানে আপনারা আছেন।  ইহাও সম্ভব হচ্ছে একমাত্র জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা, গনতন্ত্রের মানসকন্যা, দেশরত্ম শেখহাসিনার অপরিসীম বদন্যতায়। অন্য কোন দল খমতায় থাকলে শাফলা চত্বরের তথাকথিত মাওলানাদের মদদ দেয়ার অপরাধে আপনাদের রাজনীতি করার অধিকার বাতিল হ'ত।তার চেয়ে বড় অপরাধ আদালত কতৃক ঘোষিত যুদ্ধপরাধী দল জামায়াতের সঙ্গে জোট রক্ষার অপরাধে আপনাদের দলকেও নিষিদ্ধ করা হ'ত। জননেত্রীর সরকার গনতন্ত্রের স্বার্থে, শক্তিশালী বিরুদী দলের অস্তিত্ব দেশের গনতন্ত্র বিকাসের স্বার্থে এখনও রাজনীতি করার অপরাধে আপনাদের দলকে তাঁর সরকার নিষিদ্ধ করেনি। আপনাদের উত্থান, বিকাশ এর বিরুদ্ধে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কেও বঙ্গবন্ধুর কন্যা কায্যকর করেনি। উক্ত রায় কায্যকর হলেও আপনাদের অস্তিত্ব থাকেনা। সেনাবাহিনীকে উস্কে দেয়া, জঙ্গী লালন, আগুন সন্ত্রাসের ন্যায় শত ঘটনা নাইবা বললাম। আপনাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নেয়ার একমাত্র কারন-দেশে অন্যকোন শক্তিশালী বিরুদী দলের অস্তিত্ব নেই। উন্নয়ন অগ্রগতির চাকা সঠিক রাস্তায় প্রবাহিত করার জন্য বিরুদী দলের প্রয়োজন অপরিহায্য, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী  ভাল ভাবেই জানেন।  
 
  গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় জাতীয় ইস্যুতে আপোষ হতে পারে। রাজপথ দখলে তুলে দেয়ার আপোষ হতে পারেনা। এই সামান্য ব্যাপারটি বঙ্গনেত্রী বুঝেনা যারা ভাবতে পারে তাঁরা কি আহম্মক, অথর্ব নয়? আন্দোলনের নামে জনগনকে আগুন বোমায় হত্যা, সম্পদ বিনষ্ট, লুটপাট, পবিত্র কোরান আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার অপরাধে জনগন  তাঁদেরকে রাজপথে নামতে দিচ্ছেনা। শত শত জাতীয় ইস্যু সৃষ্টি হয়ে বিলীন হয়ে গেল-রাজপথে নামার সাহষ দেখাতে পারেনি।এই ঈদ না সেই ঈদ বলতে বলতে আটটি ঈদ কেটে গেল। কোন ঈদে রাজপ্রাসাদের বাহিরে যে রাজনৈতিক দল এবং তাঁর নেত্রীকে জনগন দেখেনি-সেই রাজনৈতিক দলের সাথে সমাঝোতা করতে হবে !! এত দৈন্যতায়ও কি আওয়ামী লীগ ভুগছে !!
সমমনা দল, ব্যাক্তির সাথে সমঝোতা হয়,ঐক্য হয়, সরকার পরিচালনা, আন্দোলন সংগ্রাম সব কিছুই হওয়া সম্ভব। দুই মেরুর দুই দলের মধ্যে সমঝোতা হতে পারে-যারা চিন্তা করেন তাঁরা সুযোগ সন্ধানী মোনাফেক। দুর্বলতার সুযোগে বুক মিলিয়ে পিঠে চুরি মারার জন্য সুযোগের অন্বেশন কারি তাঁরা। অতীত ইতিহাসে তাঁদের মোনাফেকির হাজারো উদাহরন আছে।

  বর্তমান সময়ে জনগনের মনের আক্ষাংকা-হয় স্বাধীনতার জন্য যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছে তাঁরা এই দেশে থাকবে, নয়তো যারা বিরুধীতা করেছে তাঁরা থাকবে। যারা স্বাধীনতার পক্ষশক্তি তাঁরা রাজনৈতিক দল গঠনে মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকার বর্তমান রাষ্ট্রীয় ভিত্তি দলীয় গঠনতন্ত্র, ঘোষনাপত্রে সংযোজন করে রাজনীতি করবে। যারা স্বাধীনতার বিপক্ষে তাঁরা মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকার এবং রাষ্ট্রীয় মুলভিত্তির অবজ্ঞা করবে-ইহাই স্বাভাবিক। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি নিয়ে ১৪ দল গঠন করে বঙ্গনেত্রী সমাঝোতার ভিত্তিতে সরকার পরিচালনা করছে। মহাজোটের অন্যান্নদের জাতীয় ইস্যুতে সমাঝোতা করেছে কিন্তু সরকারে অংশগ্রহনের সুযোগ দেয়নি।
আপনাদের সাথেও তদ্রুপ সমঝোতা, জাতীয় ঐক্য, প্রয়োজনে সরকারের অংশগ্রহনের সুযোগও দেয়া হতে পারে--তার আগে আপনাদের অনেক গুলী কাজ করতে হবে। দলীয় গঠনতন্ত্র সংশোধন করে রাষ্ট্রীয় ভিত্তি অনুযায়ী দলীয় মুলনীতি প্রনয়ন করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধকে স্বীকার করে যুদ্ধপরাধীদের বিচার চাইতে হবে। রাজাকার আলবদর, যুদ্ধপরাধীদের সরকারে অংশগ্রহন করার সুযোগ দেয়ার অপরাধে জাতির নিকট ক্ষমা চাইতে হবে। সর্বপ্রথম দেশ এবং বিদেশের অনুরুধের মুল্যায়ন করে আদালত কতৃক স্বীকৃত যুদ্ধাপরাধী রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ কে চারদলীয় জোট থেকে বের করে দিতে হবে। তবেই ১৪ দলকে সমন্বয় করে যেহারে সরকারে অংশগ্রহন করার সুযোগ দেয়া হয়েছে,ঠিক সেই হারে আপনাদেরকেও দেয়া যেতে পারে।

১৪ দলের শরিক কোন রাজনৈতিক দলের আন্দোলন সংগ্রাম, সরকার গঠন করার যোগ্যতা নেই কিন্তু বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল।তাঁদেরও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা উপভোগের ইচ্ছা আছে। জাতির জনকের কন্যা তাঁদের সেই ইচ্ছাটাই পুরন করেছেন।আপনাদেরও আন্দোলন সংগ্রাম,নির্বাচন করে সরকার গঠন করার আর কোন যোগ্যতা অবশিষ্ট নেই। কিন্তু আপনারাও বাংলাদেশের অধিবাসী এবং এদেশেরই রাজনৈতিক দল। বাংলাদেশকে স্বীকার করতে অসুবিধা কোথায়? জনগনের চাওয়া পাওয়ার প্রতি সাড়া দিন, সমঝোতার আহব্বান  আপনাদের জানাতে হবেনা, জনগনই বাধ্য করবে আপনাদের সংঙ্গে সরকারকে সমঝোতা করতে।

জননেত্রী খোলামনেই বলে দিয়েছেন-যাদের সাথে ঐক্য হওয়ার তাঁদের সাথে হয়েছে। এই বক্তব্য জনগনের মনের মণিকোঠায় লালিত বক্তব্য। যেহেতু সংখ্যা গরিষ্ট জনগন বর্তমান সরকারের  উন্নয়ন, অগ্রগতি, চলমান জঙ্গী উত্থানরোধ, যুদ্ধপরাধীর বিচারের প্রতি আন্তরীকতায় ইতিমধ্যে বিমুগ্ধ। জনগন  জনগনের মধ্যেই অঘোষিত জাতীয় ঐক্য পরিলক্ষিত হচ্ছে। জনগনের মধ্যে সৃষ্ট জাতীয় ঐক্যের বলে বলিয়ান হয়ে জাতির জনকের কন্যা দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন। দেশপ্রেমের বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে যেভাবে উন্নয়ন অগ্রগতির বিশ্ব রোল মডেলে পরিনত করেছেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশকে সেই একই আন্তরীকতা ও দেশপ্রেমে জঙ্গী দমন করেও সমসাময়িক বিশ্ববাসীর আতংক দূর করে- বাংলাদেশকে বিশ্বের অনুসরনীয়, অনুকরনীয়  রোল মডেলে পরিনত করতে পারবেন, 'ইনশাল্লাহ।'
দেশরত্ম জাতির জনকের কন্যার ইচ্ছা শতভাগ সফল করতে হলে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের কিছু বাড়তি কাজ করতে হবে।
      সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা দলীয় নেতাকর্মীরা প্রচার করতে হবে। জঙ্গীবাদের কুফল সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে হবে। প্রচারে প্রসার -এই নীতি ধারন করে প্রত্যেক নেতাকর্মী যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারলে অবশ্যই জঙ্গীরোধ হবে। শহর, নগর গ্রাম,পাড়া মহল্লায় সর্বত্র সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে দলীয় নেতৃবৃন্দ সদাসতর্ক  এবং যে কোনো স্থানে জঙ্গীদের বা কোনো দুর্বৃত্তের সন্ধান পেলে দ্রুত আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে জানাতে পারলে জঙ্গীর উত্থান রোধ অসম্ভব হবেনা বলে বিশ্বাস করি।

  আওয়ামী লীগ যে দেশের একটি বড় রাজনৈতিক দল সেটা মানুষ বুঝে। দলের নিয়মিত সাংগঠনিক তৎপরতা জঙ্গী নিয়ন্ত্রনে কুইনিনের কাজ করতে পারে। দলের অভ্যন্তরে সৃষ্টি হওয়া প্রভুত্ববাদি মানসিকতা পরিহার করে নেতাদের দলীয় সহকর্মী, সহযোদ্ধার মানসিকতা লালনে অভ্যস্ত হওয়া জরুরী। ব্যাক্তি লীগ, ভাই লীগ, বস লীগের মানসিকতা ত্যাগ করে সর্বস্তরে আওয়ামী লীগের মন্ত্রে উজ্জিবীত হতে হবে।

   ব্যাক্তিগত ইমেজ সৃষ্টি জন্য নয়, দলীয় ইমেজ সৃষ্টির দিকে নজর দিতে হবে। আওয়ামীলীগকে জনগনের সঙ্গে দলগতভাবে  যোগাযোগ রাখতে হবে। দল ক্ষমতায় থাকায় মুষ্টিমেয় কিছু সংখ্যক নেতা-কর্মী আখের গুছিয়েছে। বেশিরভাগ ত্যাগি নেতাকর্মী বঞ্চিত হয়েছে। পাওয়া না পাওয়ার দ্বন্দ্ব-বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে। দলের আদর্শবাদী ও ত্যাগী নেতা-কর্মীরা হতাশ হয়ে রাজনীতি থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। স্থানীয় পর্যায়ের কিছু কিছু নেতা সম্পর্কে মানুষের মধ্যে বড় রকমের বিরূপ মনোভাব তৈরি হয়েছে। আগামী সম্মেলনে এই বিষয়গুলীর প্রতি দল মনোযোগী হতে পারলে বঙ্গনেত্রীর কথা ও কাজে শতভাগ মিল খুঁজে পাবে দল এবং জনগন। দলের নেতাকর্মীদের উৎসাহের চঞ্চলতায় জনবিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক দলসমুহের দাম্ভিকতা তিরুহীত হতে বাধ্য হবে-- ইনশাল্লাহ।

    জনগনের আস্থা-বিশ্বাস-ভরসা শেখ হাসিনার উপর। কিন্তু আওয়ামী নৌকার সব ভার শেখ হাসিনার উপর চাপিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের অন্যসব নেতারা নির্ভার থাকা কখনই যুক্তিযুক্ত হতে পারেনা। আসন্ন কাউন্সিলে  দলের মধ্যে সদ্য আক্রান্ত ভাইরাস সমুহ সঠিকভাবে নির্ণয় করে নিরাময়ের ব্যবস্থাপত্র দিতে পারলে '২১ নয় ৪১সালেও আওয়ামীলীগকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করিনা।
        জনগনের আস্থা ও বিশ্বাসের মুল্য রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামীলীগকে দিতেই হবে। জাতির জনকের প্রতিষ্ঠিত দলের নিকট সঙ্গত কারনে নেতাকর্মী ও জনগনের চাওয়া পাওয়ার অধিকার এবং ইচ্ছা বেশীই থাকবে--ইহাই স্বাভাবিক এবং সঙ্গত। আগামী কাউন্সিলে সেই ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটবে -আমি মনে করি -ইনশাল্লাহ।

           'জয়বাংলা    জয়বঙ্গবন্ধু'

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন