আওয়ামীলীগ---জনগন কঠিন বন্ধনে আবদ্ধ--সরকার --জনগনের অঘোষিত জাতীয় ঐক্য দৃশ্যমান।
আওয়ামীলীগ-জনগন কঠিন বন্ধন--অঘোষিত জাতীয় ঐক্য অনেক আগেই দৃশ্যমান।
____________________________________________
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গরত্ম শেখ হাসিনা 'আসেম সম্মেলন' থেকে ফিরে এসে অদ্য সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, 'জাতিয় ঐক্য যাদের সাথে হওয়ার দরকার তাঁদের সাথে হয়ে গেছে।'তিনি অত্যান্ত সুস্পষ্ট ভাবে সত্য কথাটি উচ্চারন করতে দ্বিধা করেননি।আমি এর আগেও বার কয়েক বলার চেষ্টা করেছি বাংলাদেশে উন্নয়ন অগ্রগতি এবং জঙ্গী দমনে অঘোষিত জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে। গত ১৪/০৬ ইং তারিখের একটি লেখায়ও বলেছিলাম জাতিয় ঐক্য যেখানে হওয়ার প্রয়োজন সেখানে অনেক আগে থেকেই জাতীয় ঐক্যের সুস্পষ্ট লক্ষন সমুহ দৃশ্যমান। "যাদের চোখ নাকের উপরে তাঁরা দেখছে-নাকের নীছে যাদের তাঁরা দেখছে না।"
ভারতকে বিশ্বের গনতান্ত্রিক দেশ সমুহের মধ্যে অন্যতম একটি এবং আমেরিকা, বৃটেন, ফ্রান্স যেহেতু উন্নত দেশ সেহেতু ধরে নিতেই পারি গনতান্ত্রিক দেশ। নিশ্চয়ই ঐ সমস্ত দেশে বিরুধী দলের সাথে বাংলাদেশের ন্যায় আচরন করা হয়না। তবে কেন জঙ্গীরা টুইন টাওয়ার গুড়িয়ে দিল? ফ্রান্সে কেন লক্ষ মানুষের আনন্দ মিছিলে জঙ্গীরা ট্রাক উঠিয়ে দিল? ভারতে কেন বার বার জঙ্গী হামলা হচ্ছে? ভারত কেন বীরীভাপান্ন হওয়া সত্বেও যুগান্তরের সমস্যা সমাধান করে আওয়ামী সরকারের সঙ্গে তাঁদের বন্ধুত্বের নিদর্শন রাখতে সচেষ্ট হ'ল?
অথর্ব বুদ্ধিজীবি এবং তাঁদের অনুসরনকৃত অযোগ্য বিরুধী দল বিএনপি জামায়াত গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে বলছে জঙ্গী হামলা রোধ করার জন্য তাঁদের সংগে আলোচনায় বসে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। সুশাষন পিরিয়ে আনতে হলে তাঁদের সাথে সকাঝোতা করতে হবে। সুশাষন এবং গনতন্ত্রের অভাবে জঙ্গী হামলা হচ্ছে !! তাঁদের সাথে আলোচনা ছাড়া জঙ্গী হামলা রোধ সম্ভব হবেনা !! উল্লেখীত দেশেও কি সুশাষন এবং গনতন্ত্রের অভাব !! শেষের বিবৃতির জন্য উন্নত দেশ সমুহে এমনই "গনতন্ত্র" অবশ্যই বিবৃতিদাতাকে জেলখানায় যেতে হত। যেহেতু প্রকাশ্য বিবৃতির মাধ্যমে স্পষ্টভাবে বিএনপির নেতারা প্রকাশ করেছেন জঙ্গী হামলাকারীরা তাঁদেরই দলীয় আস্থাভাজন নেতাকর্মী। তাঁদের নির্দেশে জঙ্গী হামলা গুলী হচ্ছে। তাঁদের সাথে আলোচনা ফলপ্রসু হলে-তাঁরা তাঁদের নিয়ন্ত্রন করবেন !! তাঁদের বিবৃতির ধরন পয্যালোচনা করলে একটা পথশিশুও এই কথাটিই বলতে বাধ্য হবে।
মাঠে নামার সাহষ নেই, আন্দোলনের যোগ্যতা নেই, জম্ম ষড়যন্ত্রে, খমতা গ্রহন পিছনের দরজা দিয়ে--তাঁরা কিভাবে বুঝবে জনগনের নাড়ীর খবর? জম্মিতে কেউ পাঁপি হয়না, কর্মেই পাঁপ নির্ধারীত হয়। অতীতের ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা বর্তমানেও বহমান রেখে ক্ষমতা পাওয়ার ষড়যন্ত্রে ব্যার্থ্য হয়েছেন। এখন একবার বলেন সরকারের পদত্যাগ আবার চাইতেছেন জাতীয় ঐক্য !! ভোট বিহীন অবৈধ সরকারের নিকট কিসের জাতীয় ঐক্য চান আপনারা !! সরকার স্বীকার না করে সরকারের নিকট আবদার করা কতটুকু জ্ঞান সমৃদ্ধ বিবৃতি আপনারাই চিন্তা করে দেখুন।
'৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে নির্মভাবে হত্যা করার আগে '৭৩ এর সধারন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে ৯৫/শতাংশেরও বেশী জনসমর্থন ছিল। তারপরও দীর্ঘ একুশ বছর রাজপথে মাথা তুলে দাঁড়াতে দেননি। এমন কোন নেতাকর্মী অবশিষ্ট ছিলনা একবারও জেলের ভাত খায়নি,একবারও আপনাদের লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসীদের হাতে লাঞ্চিত হয়নি। একুশ বছর পর ১৯৯৬ইং সালে ভোটার বিহীন ৫ই ফেব্রুয়ারীর নির্বাচনের বিরুদ্ধে গনভ্যুত্থান ঘটিয়ে ১৫দিনের মাথায় আপনাদেরকে ক্ষমতাচ্যুত করে ৪২/শতাংশ ভোটে জীতে সরকার গঠন করেছিল আওয়ামীলীগ। দেশীয় ও আন্তজাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সংবিধান অনুযায়ী সরকার পদত্যাগের আধা ঘন্টার ব্যবধানে সারাদেশ আওয়ামী শুন্য করে অনুষ্ঠিত সাধারন নির্বাচনে মাত্র ৩৩/শতাংশ ভোটে জিতে আপনারা খমতা দখল করেছিলেন। তারপরের ইতিহাস আওয়ামী লীগের প্রত্যেক নেতাকর্মীর জন্য প্রত্যেকটা দিন কি নির্মম, নিষ্ঠুর, বিভৎস ছিল-একমাত্র ভুক্তভোগী ছাড়া কারো অনুমেয় হওয়ার কথা নয়। আপনাদের ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চক্রান্তের খেসারৎ জাতি দুটি বছর অনির্বাচিত সরকারের অধীনে থেকে হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে। ২০০৮ইং সালের সাধারন নির্বাচনে ৫৩/শতাংশ জনসমর্থন নিয়ে আবারও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি তথা মহাজোট সরকার গঠন করে। আপনাদের জনসমর্থন নেমে দাঁড়িয়েছিল মাত্র ২৭/শতাংশে। ৯৫/শতাংশের উপরে জনসমর্থন থাকার পরেও আপনারা আওয়ামী লীগকে নি:শেষ করে দেয়ার চক্রান্তে ২১ বছর লিপ্ত ছিলেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ জনগনের মনে জাগরুক থাকার কারনে সফল হতে পারেননি।
মাত্র ২৭শতাংশ জনসমর্থন নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদীতা করে, স্বাধীনতার বিরুদীতা করে ৭/৮ বছরে ঘুরে দাড়ানোর সাহষ কোত্থেকে পান? কার আদর্শ লালন করেন আপনারা ?-ষড়যন্ত্র? জয়কে হত্যা? অরাজগতা? জঙ্গী ? অশুভশক্তি ? জামায়াত শিবির ? ধর্ম ? সেনাবাহিনী ? গুজব ?অপ্প্রচার ? কি ভাবে ??
এখনও বিবৃতি দিয়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে টিকে আছেন ইহাই যথেষ্ট। জনগন জানে আপনারা আছেন। ইহাও সম্ভব হচ্ছে একমাত্র জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা, গনতন্ত্রের মানসকন্যা, দেশরত্ম শেখহাসিনার অপরিসীম বদন্যতায়। অন্য কোন দল খমতায় থাকলে শাফলা চত্বরের তথাকথিত মাওলানাদের মদদ দেয়ার অপরাধে আপনাদের রাজনীতি করার অধিকার বাতিল হ'ত।তার চেয়ে বড় অপরাধ আদালত কতৃক ঘোষিত যুদ্ধপরাধী দল জামায়াতের সঙ্গে জোট রক্ষার অপরাধে আপনাদের দলকেও নিষিদ্ধ করা হ'ত। জননেত্রীর সরকার গনতন্ত্রের স্বার্থে, শক্তিশালী বিরুদী দলের অস্তিত্ব দেশের গনতন্ত্র বিকাসের স্বার্থে এখনও রাজনীতি করার অপরাধে আপনাদের দলকে তাঁর সরকার নিষিদ্ধ করেনি। আপনাদের উত্থান, বিকাশ এর বিরুদ্ধে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কেও বঙ্গবন্ধুর কন্যা কায্যকর করেনি। উক্ত রায় কায্যকর হলেও আপনাদের অস্তিত্ব থাকেনা। সেনাবাহিনীকে উস্কে দেয়া, জঙ্গী লালন, আগুন সন্ত্রাসের ন্যায় শত ঘটনা নাইবা বললাম। আপনাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নেয়ার একমাত্র কারন-দেশে অন্যকোন শক্তিশালী বিরুদী দলের অস্তিত্ব নেই। উন্নয়ন অগ্রগতির চাকা সঠিক রাস্তায় প্রবাহিত করার জন্য বিরুদী দলের প্রয়োজন অপরিহায্য, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভাল ভাবেই জানেন।
গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় জাতীয় ইস্যুতে আপোষ হতে পারে। রাজপথ দখলে তুলে দেয়ার আপোষ হতে পারেনা। এই সামান্য ব্যাপারটি বঙ্গনেত্রী বুঝেনা যারা ভাবতে পারে তাঁরা কি আহম্মক, অথর্ব নয়? আন্দোলনের নামে জনগনকে আগুন বোমায় হত্যা, সম্পদ বিনষ্ট, লুটপাট, পবিত্র কোরান আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার অপরাধে জনগন তাঁদেরকে রাজপথে নামতে দিচ্ছেনা। শত শত জাতীয় ইস্যু সৃষ্টি হয়ে বিলীন হয়ে গেল-রাজপথে নামার সাহষ দেখাতে পারেনি।এই ঈদ না সেই ঈদ বলতে বলতে আটটি ঈদ কেটে গেল। কোন ঈদে রাজপ্রাসাদের বাহিরে যে রাজনৈতিক দল এবং তাঁর নেত্রীকে জনগন দেখেনি-সেই রাজনৈতিক দলের সাথে সমাঝোতা করতে হবে !! এত দৈন্যতায়ও কি আওয়ামী লীগ ভুগছে !!
সমমনা দল, ব্যাক্তির সাথে সমঝোতা হয়,ঐক্য হয়, সরকার পরিচালনা, আন্দোলন সংগ্রাম সব কিছুই হওয়া সম্ভব। দুই মেরুর দুই দলের মধ্যে সমঝোতা হতে পারে-যারা চিন্তা করেন তাঁরা সুযোগ সন্ধানী মোনাফেক। দুর্বলতার সুযোগে বুক মিলিয়ে পিঠে চুরি মারার জন্য সুযোগের অন্বেশন কারি তাঁরা। অতীত ইতিহাসে তাঁদের মোনাফেকির হাজারো উদাহরন আছে।
বর্তমান সময়ে জনগনের মনের আক্ষাংকা-হয় স্বাধীনতার জন্য যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছে তাঁরা এই দেশে থাকবে, নয়তো যারা বিরুধীতা করেছে তাঁরা থাকবে। যারা স্বাধীনতার পক্ষশক্তি তাঁরা রাজনৈতিক দল গঠনে মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকার বর্তমান রাষ্ট্রীয় ভিত্তি দলীয় গঠনতন্ত্র, ঘোষনাপত্রে সংযোজন করে রাজনীতি করবে। যারা স্বাধীনতার বিপক্ষে তাঁরা মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকার এবং রাষ্ট্রীয় মুলভিত্তির অবজ্ঞা করবে-ইহাই স্বাভাবিক। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি নিয়ে ১৪ দল গঠন করে বঙ্গনেত্রী সমাঝোতার ভিত্তিতে সরকার পরিচালনা করছে। মহাজোটের অন্যান্নদের জাতীয় ইস্যুতে সমাঝোতা করেছে কিন্তু সরকারে অংশগ্রহনের সুযোগ দেয়নি।
আপনাদের সাথেও তদ্রুপ সমঝোতা, জাতীয় ঐক্য, প্রয়োজনে সরকারের অংশগ্রহনের সুযোগও দেয়া হতে পারে--তার আগে আপনাদের অনেক গুলী কাজ করতে হবে। দলীয় গঠনতন্ত্র সংশোধন করে রাষ্ট্রীয় ভিত্তি অনুযায়ী দলীয় মুলনীতি প্রনয়ন করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধকে স্বীকার করে যুদ্ধপরাধীদের বিচার চাইতে হবে। রাজাকার আলবদর, যুদ্ধপরাধীদের সরকারে অংশগ্রহন করার সুযোগ দেয়ার অপরাধে জাতির নিকট ক্ষমা চাইতে হবে। সর্বপ্রথম দেশ এবং বিদেশের অনুরুধের মুল্যায়ন করে আদালত কতৃক স্বীকৃত যুদ্ধাপরাধী রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ কে চারদলীয় জোট থেকে বের করে দিতে হবে। তবেই ১৪ দলকে সমন্বয় করে যেহারে সরকারে অংশগ্রহন করার সুযোগ দেয়া হয়েছে,ঠিক সেই হারে আপনাদেরকেও দেয়া যেতে পারে।
১৪ দলের শরিক কোন রাজনৈতিক দলের আন্দোলন সংগ্রাম, সরকার গঠন করার যোগ্যতা নেই কিন্তু বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল।তাঁদেরও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা উপভোগের ইচ্ছা আছে। জাতির জনকের কন্যা তাঁদের সেই ইচ্ছাটাই পুরন করেছেন।আপনাদেরও আন্দোলন সংগ্রাম,নির্বাচন করে সরকার গঠন করার আর কোন যোগ্যতা অবশিষ্ট নেই। কিন্তু আপনারাও বাংলাদেশের অধিবাসী এবং এদেশেরই রাজনৈতিক দল। বাংলাদেশকে স্বীকার করতে অসুবিধা কোথায়? জনগনের চাওয়া পাওয়ার প্রতি সাড়া দিন, সমঝোতার আহব্বান আপনাদের জানাতে হবেনা, জনগনই বাধ্য করবে আপনাদের সংঙ্গে সরকারকে সমঝোতা করতে।
জননেত্রী খোলামনেই বলে দিয়েছেন-যাদের সাথে ঐক্য হওয়ার তাঁদের সাথে হয়েছে। এই বক্তব্য জনগনের মনের মণিকোঠায় লালিত বক্তব্য। যেহেতু সংখ্যা গরিষ্ট জনগন বর্তমান সরকারের উন্নয়ন, অগ্রগতি, চলমান জঙ্গী উত্থানরোধ, যুদ্ধপরাধীর বিচারের প্রতি আন্তরীকতায় ইতিমধ্যে বিমুগ্ধ। জনগন জনগনের মধ্যেই অঘোষিত জাতীয় ঐক্য পরিলক্ষিত হচ্ছে। জনগনের মধ্যে সৃষ্ট জাতীয় ঐক্যের বলে বলিয়ান হয়ে জাতির জনকের কন্যা দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন। দেশপ্রেমের বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে যেভাবে উন্নয়ন অগ্রগতির বিশ্ব রোল মডেলে পরিনত করেছেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশকে সেই একই আন্তরীকতা ও দেশপ্রেমে জঙ্গী দমন করেও সমসাময়িক বিশ্ববাসীর আতংক দূর করে- বাংলাদেশকে বিশ্বের অনুসরনীয়, অনুকরনীয় রোল মডেলে পরিনত করতে পারবেন, 'ইনশাল্লাহ।'
দেশরত্ম জাতির জনকের কন্যার ইচ্ছা শতভাগ সফল করতে হলে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের কিছু বাড়তি কাজ করতে হবে।
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা দলীয় নেতাকর্মীরা প্রচার করতে হবে। জঙ্গীবাদের কুফল সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে হবে। প্রচারে প্রসার -এই নীতি ধারন করে প্রত্যেক নেতাকর্মী যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারলে অবশ্যই জঙ্গীরোধ হবে। শহর, নগর গ্রাম,পাড়া মহল্লায় সর্বত্র সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে দলীয় নেতৃবৃন্দ সদাসতর্ক এবং যে কোনো স্থানে জঙ্গীদের বা কোনো দুর্বৃত্তের সন্ধান পেলে দ্রুত আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে জানাতে পারলে জঙ্গীর উত্থান রোধ অসম্ভব হবেনা বলে বিশ্বাস করি।
আওয়ামী লীগ যে দেশের একটি বড় রাজনৈতিক দল সেটা মানুষ বুঝে। দলের নিয়মিত সাংগঠনিক তৎপরতা জঙ্গী নিয়ন্ত্রনে কুইনিনের কাজ করতে পারে। দলের অভ্যন্তরে সৃষ্টি হওয়া প্রভুত্ববাদি মানসিকতা পরিহার করে নেতাদের দলীয় সহকর্মী, সহযোদ্ধার মানসিকতা লালনে অভ্যস্ত হওয়া জরুরী। ব্যাক্তি লীগ, ভাই লীগ, বস লীগের মানসিকতা ত্যাগ করে সর্বস্তরে আওয়ামী লীগের মন্ত্রে উজ্জিবীত হতে হবে।
ব্যাক্তিগত ইমেজ সৃষ্টি জন্য নয়, দলীয় ইমেজ সৃষ্টির দিকে নজর দিতে হবে। আওয়ামীলীগকে জনগনের সঙ্গে দলগতভাবে যোগাযোগ রাখতে হবে। দল ক্ষমতায় থাকায় মুষ্টিমেয় কিছু সংখ্যক নেতা-কর্মী আখের গুছিয়েছে। বেশিরভাগ ত্যাগি নেতাকর্মী বঞ্চিত হয়েছে। পাওয়া না পাওয়ার দ্বন্দ্ব-বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে। দলের আদর্শবাদী ও ত্যাগী নেতা-কর্মীরা হতাশ হয়ে রাজনীতি থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। স্থানীয় পর্যায়ের কিছু কিছু নেতা সম্পর্কে মানুষের মধ্যে বড় রকমের বিরূপ মনোভাব তৈরি হয়েছে। আগামী সম্মেলনে এই বিষয়গুলীর প্রতি দল মনোযোগী হতে পারলে বঙ্গনেত্রীর কথা ও কাজে শতভাগ মিল খুঁজে পাবে দল এবং জনগন। দলের নেতাকর্মীদের উৎসাহের চঞ্চলতায় জনবিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক দলসমুহের দাম্ভিকতা তিরুহীত হতে বাধ্য হবে-- ইনশাল্লাহ।
জনগনের আস্থা-বিশ্বাস-ভরসা শেখ হাসিনার উপর। কিন্তু আওয়ামী নৌকার সব ভার শেখ হাসিনার উপর চাপিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের অন্যসব নেতারা নির্ভার থাকা কখনই যুক্তিযুক্ত হতে পারেনা। আসন্ন কাউন্সিলে দলের মধ্যে সদ্য আক্রান্ত ভাইরাস সমুহ সঠিকভাবে নির্ণয় করে নিরাময়ের ব্যবস্থাপত্র দিতে পারলে '২১ নয় ৪১সালেও আওয়ামীলীগকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করিনা।
জনগনের আস্থা ও বিশ্বাসের মুল্য রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামীলীগকে দিতেই হবে। জাতির জনকের প্রতিষ্ঠিত দলের নিকট সঙ্গত কারনে নেতাকর্মী ও জনগনের চাওয়া পাওয়ার অধিকার এবং ইচ্ছা বেশীই থাকবে--ইহাই স্বাভাবিক এবং সঙ্গত। আগামী কাউন্সিলে সেই ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটবে -আমি মনে করি -ইনশাল্লাহ।
'জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু'
____________________________________________
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গরত্ম শেখ হাসিনা 'আসেম সম্মেলন' থেকে ফিরে এসে অদ্য সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, 'জাতিয় ঐক্য যাদের সাথে হওয়ার দরকার তাঁদের সাথে হয়ে গেছে।'তিনি অত্যান্ত সুস্পষ্ট ভাবে সত্য কথাটি উচ্চারন করতে দ্বিধা করেননি।আমি এর আগেও বার কয়েক বলার চেষ্টা করেছি বাংলাদেশে উন্নয়ন অগ্রগতি এবং জঙ্গী দমনে অঘোষিত জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে। গত ১৪/০৬ ইং তারিখের একটি লেখায়ও বলেছিলাম জাতিয় ঐক্য যেখানে হওয়ার প্রয়োজন সেখানে অনেক আগে থেকেই জাতীয় ঐক্যের সুস্পষ্ট লক্ষন সমুহ দৃশ্যমান। "যাদের চোখ নাকের উপরে তাঁরা দেখছে-নাকের নীছে যাদের তাঁরা দেখছে না।"
ভারতকে বিশ্বের গনতান্ত্রিক দেশ সমুহের মধ্যে অন্যতম একটি এবং আমেরিকা, বৃটেন, ফ্রান্স যেহেতু উন্নত দেশ সেহেতু ধরে নিতেই পারি গনতান্ত্রিক দেশ। নিশ্চয়ই ঐ সমস্ত দেশে বিরুধী দলের সাথে বাংলাদেশের ন্যায় আচরন করা হয়না। তবে কেন জঙ্গীরা টুইন টাওয়ার গুড়িয়ে দিল? ফ্রান্সে কেন লক্ষ মানুষের আনন্দ মিছিলে জঙ্গীরা ট্রাক উঠিয়ে দিল? ভারতে কেন বার বার জঙ্গী হামলা হচ্ছে? ভারত কেন বীরীভাপান্ন হওয়া সত্বেও যুগান্তরের সমস্যা সমাধান করে আওয়ামী সরকারের সঙ্গে তাঁদের বন্ধুত্বের নিদর্শন রাখতে সচেষ্ট হ'ল?
অথর্ব বুদ্ধিজীবি এবং তাঁদের অনুসরনকৃত অযোগ্য বিরুধী দল বিএনপি জামায়াত গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে বলছে জঙ্গী হামলা রোধ করার জন্য তাঁদের সংগে আলোচনায় বসে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। সুশাষন পিরিয়ে আনতে হলে তাঁদের সাথে সকাঝোতা করতে হবে। সুশাষন এবং গনতন্ত্রের অভাবে জঙ্গী হামলা হচ্ছে !! তাঁদের সাথে আলোচনা ছাড়া জঙ্গী হামলা রোধ সম্ভব হবেনা !! উল্লেখীত দেশেও কি সুশাষন এবং গনতন্ত্রের অভাব !! শেষের বিবৃতির জন্য উন্নত দেশ সমুহে এমনই "গনতন্ত্র" অবশ্যই বিবৃতিদাতাকে জেলখানায় যেতে হত। যেহেতু প্রকাশ্য বিবৃতির মাধ্যমে স্পষ্টভাবে বিএনপির নেতারা প্রকাশ করেছেন জঙ্গী হামলাকারীরা তাঁদেরই দলীয় আস্থাভাজন নেতাকর্মী। তাঁদের নির্দেশে জঙ্গী হামলা গুলী হচ্ছে। তাঁদের সাথে আলোচনা ফলপ্রসু হলে-তাঁরা তাঁদের নিয়ন্ত্রন করবেন !! তাঁদের বিবৃতির ধরন পয্যালোচনা করলে একটা পথশিশুও এই কথাটিই বলতে বাধ্য হবে।
মাঠে নামার সাহষ নেই, আন্দোলনের যোগ্যতা নেই, জম্ম ষড়যন্ত্রে, খমতা গ্রহন পিছনের দরজা দিয়ে--তাঁরা কিভাবে বুঝবে জনগনের নাড়ীর খবর? জম্মিতে কেউ পাঁপি হয়না, কর্মেই পাঁপ নির্ধারীত হয়। অতীতের ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা বর্তমানেও বহমান রেখে ক্ষমতা পাওয়ার ষড়যন্ত্রে ব্যার্থ্য হয়েছেন। এখন একবার বলেন সরকারের পদত্যাগ আবার চাইতেছেন জাতীয় ঐক্য !! ভোট বিহীন অবৈধ সরকারের নিকট কিসের জাতীয় ঐক্য চান আপনারা !! সরকার স্বীকার না করে সরকারের নিকট আবদার করা কতটুকু জ্ঞান সমৃদ্ধ বিবৃতি আপনারাই চিন্তা করে দেখুন।
'৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে নির্মভাবে হত্যা করার আগে '৭৩ এর সধারন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে ৯৫/শতাংশেরও বেশী জনসমর্থন ছিল। তারপরও দীর্ঘ একুশ বছর রাজপথে মাথা তুলে দাঁড়াতে দেননি। এমন কোন নেতাকর্মী অবশিষ্ট ছিলনা একবারও জেলের ভাত খায়নি,একবারও আপনাদের লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসীদের হাতে লাঞ্চিত হয়নি। একুশ বছর পর ১৯৯৬ইং সালে ভোটার বিহীন ৫ই ফেব্রুয়ারীর নির্বাচনের বিরুদ্ধে গনভ্যুত্থান ঘটিয়ে ১৫দিনের মাথায় আপনাদেরকে ক্ষমতাচ্যুত করে ৪২/শতাংশ ভোটে জীতে সরকার গঠন করেছিল আওয়ামীলীগ। দেশীয় ও আন্তজাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সংবিধান অনুযায়ী সরকার পদত্যাগের আধা ঘন্টার ব্যবধানে সারাদেশ আওয়ামী শুন্য করে অনুষ্ঠিত সাধারন নির্বাচনে মাত্র ৩৩/শতাংশ ভোটে জিতে আপনারা খমতা দখল করেছিলেন। তারপরের ইতিহাস আওয়ামী লীগের প্রত্যেক নেতাকর্মীর জন্য প্রত্যেকটা দিন কি নির্মম, নিষ্ঠুর, বিভৎস ছিল-একমাত্র ভুক্তভোগী ছাড়া কারো অনুমেয় হওয়ার কথা নয়। আপনাদের ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চক্রান্তের খেসারৎ জাতি দুটি বছর অনির্বাচিত সরকারের অধীনে থেকে হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে। ২০০৮ইং সালের সাধারন নির্বাচনে ৫৩/শতাংশ জনসমর্থন নিয়ে আবারও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি তথা মহাজোট সরকার গঠন করে। আপনাদের জনসমর্থন নেমে দাঁড়িয়েছিল মাত্র ২৭/শতাংশে। ৯৫/শতাংশের উপরে জনসমর্থন থাকার পরেও আপনারা আওয়ামী লীগকে নি:শেষ করে দেয়ার চক্রান্তে ২১ বছর লিপ্ত ছিলেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ জনগনের মনে জাগরুক থাকার কারনে সফল হতে পারেননি।
মাত্র ২৭শতাংশ জনসমর্থন নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদীতা করে, স্বাধীনতার বিরুদীতা করে ৭/৮ বছরে ঘুরে দাড়ানোর সাহষ কোত্থেকে পান? কার আদর্শ লালন করেন আপনারা ?-ষড়যন্ত্র? জয়কে হত্যা? অরাজগতা? জঙ্গী ? অশুভশক্তি ? জামায়াত শিবির ? ধর্ম ? সেনাবাহিনী ? গুজব ?অপ্প্রচার ? কি ভাবে ??
এখনও বিবৃতি দিয়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে টিকে আছেন ইহাই যথেষ্ট। জনগন জানে আপনারা আছেন। ইহাও সম্ভব হচ্ছে একমাত্র জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা, গনতন্ত্রের মানসকন্যা, দেশরত্ম শেখহাসিনার অপরিসীম বদন্যতায়। অন্য কোন দল খমতায় থাকলে শাফলা চত্বরের তথাকথিত মাওলানাদের মদদ দেয়ার অপরাধে আপনাদের রাজনীতি করার অধিকার বাতিল হ'ত।তার চেয়ে বড় অপরাধ আদালত কতৃক ঘোষিত যুদ্ধপরাধী দল জামায়াতের সঙ্গে জোট রক্ষার অপরাধে আপনাদের দলকেও নিষিদ্ধ করা হ'ত। জননেত্রীর সরকার গনতন্ত্রের স্বার্থে, শক্তিশালী বিরুদী দলের অস্তিত্ব দেশের গনতন্ত্র বিকাসের স্বার্থে এখনও রাজনীতি করার অপরাধে আপনাদের দলকে তাঁর সরকার নিষিদ্ধ করেনি। আপনাদের উত্থান, বিকাশ এর বিরুদ্ধে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কেও বঙ্গবন্ধুর কন্যা কায্যকর করেনি। উক্ত রায় কায্যকর হলেও আপনাদের অস্তিত্ব থাকেনা। সেনাবাহিনীকে উস্কে দেয়া, জঙ্গী লালন, আগুন সন্ত্রাসের ন্যায় শত ঘটনা নাইবা বললাম। আপনাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নেয়ার একমাত্র কারন-দেশে অন্যকোন শক্তিশালী বিরুদী দলের অস্তিত্ব নেই। উন্নয়ন অগ্রগতির চাকা সঠিক রাস্তায় প্রবাহিত করার জন্য বিরুদী দলের প্রয়োজন অপরিহায্য, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভাল ভাবেই জানেন।
গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় জাতীয় ইস্যুতে আপোষ হতে পারে। রাজপথ দখলে তুলে দেয়ার আপোষ হতে পারেনা। এই সামান্য ব্যাপারটি বঙ্গনেত্রী বুঝেনা যারা ভাবতে পারে তাঁরা কি আহম্মক, অথর্ব নয়? আন্দোলনের নামে জনগনকে আগুন বোমায় হত্যা, সম্পদ বিনষ্ট, লুটপাট, পবিত্র কোরান আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার অপরাধে জনগন তাঁদেরকে রাজপথে নামতে দিচ্ছেনা। শত শত জাতীয় ইস্যু সৃষ্টি হয়ে বিলীন হয়ে গেল-রাজপথে নামার সাহষ দেখাতে পারেনি।এই ঈদ না সেই ঈদ বলতে বলতে আটটি ঈদ কেটে গেল। কোন ঈদে রাজপ্রাসাদের বাহিরে যে রাজনৈতিক দল এবং তাঁর নেত্রীকে জনগন দেখেনি-সেই রাজনৈতিক দলের সাথে সমাঝোতা করতে হবে !! এত দৈন্যতায়ও কি আওয়ামী লীগ ভুগছে !!
সমমনা দল, ব্যাক্তির সাথে সমঝোতা হয়,ঐক্য হয়, সরকার পরিচালনা, আন্দোলন সংগ্রাম সব কিছুই হওয়া সম্ভব। দুই মেরুর দুই দলের মধ্যে সমঝোতা হতে পারে-যারা চিন্তা করেন তাঁরা সুযোগ সন্ধানী মোনাফেক। দুর্বলতার সুযোগে বুক মিলিয়ে পিঠে চুরি মারার জন্য সুযোগের অন্বেশন কারি তাঁরা। অতীত ইতিহাসে তাঁদের মোনাফেকির হাজারো উদাহরন আছে।
বর্তমান সময়ে জনগনের মনের আক্ষাংকা-হয় স্বাধীনতার জন্য যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছে তাঁরা এই দেশে থাকবে, নয়তো যারা বিরুধীতা করেছে তাঁরা থাকবে। যারা স্বাধীনতার পক্ষশক্তি তাঁরা রাজনৈতিক দল গঠনে মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকার বর্তমান রাষ্ট্রীয় ভিত্তি দলীয় গঠনতন্ত্র, ঘোষনাপত্রে সংযোজন করে রাজনীতি করবে। যারা স্বাধীনতার বিপক্ষে তাঁরা মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকার এবং রাষ্ট্রীয় মুলভিত্তির অবজ্ঞা করবে-ইহাই স্বাভাবিক। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি নিয়ে ১৪ দল গঠন করে বঙ্গনেত্রী সমাঝোতার ভিত্তিতে সরকার পরিচালনা করছে। মহাজোটের অন্যান্নদের জাতীয় ইস্যুতে সমাঝোতা করেছে কিন্তু সরকারে অংশগ্রহনের সুযোগ দেয়নি।
আপনাদের সাথেও তদ্রুপ সমঝোতা, জাতীয় ঐক্য, প্রয়োজনে সরকারের অংশগ্রহনের সুযোগও দেয়া হতে পারে--তার আগে আপনাদের অনেক গুলী কাজ করতে হবে। দলীয় গঠনতন্ত্র সংশোধন করে রাষ্ট্রীয় ভিত্তি অনুযায়ী দলীয় মুলনীতি প্রনয়ন করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধকে স্বীকার করে যুদ্ধপরাধীদের বিচার চাইতে হবে। রাজাকার আলবদর, যুদ্ধপরাধীদের সরকারে অংশগ্রহন করার সুযোগ দেয়ার অপরাধে জাতির নিকট ক্ষমা চাইতে হবে। সর্বপ্রথম দেশ এবং বিদেশের অনুরুধের মুল্যায়ন করে আদালত কতৃক স্বীকৃত যুদ্ধাপরাধী রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ কে চারদলীয় জোট থেকে বের করে দিতে হবে। তবেই ১৪ দলকে সমন্বয় করে যেহারে সরকারে অংশগ্রহন করার সুযোগ দেয়া হয়েছে,ঠিক সেই হারে আপনাদেরকেও দেয়া যেতে পারে।
১৪ দলের শরিক কোন রাজনৈতিক দলের আন্দোলন সংগ্রাম, সরকার গঠন করার যোগ্যতা নেই কিন্তু বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল।তাঁদেরও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা উপভোগের ইচ্ছা আছে। জাতির জনকের কন্যা তাঁদের সেই ইচ্ছাটাই পুরন করেছেন।আপনাদেরও আন্দোলন সংগ্রাম,নির্বাচন করে সরকার গঠন করার আর কোন যোগ্যতা অবশিষ্ট নেই। কিন্তু আপনারাও বাংলাদেশের অধিবাসী এবং এদেশেরই রাজনৈতিক দল। বাংলাদেশকে স্বীকার করতে অসুবিধা কোথায়? জনগনের চাওয়া পাওয়ার প্রতি সাড়া দিন, সমঝোতার আহব্বান আপনাদের জানাতে হবেনা, জনগনই বাধ্য করবে আপনাদের সংঙ্গে সরকারকে সমঝোতা করতে।
জননেত্রী খোলামনেই বলে দিয়েছেন-যাদের সাথে ঐক্য হওয়ার তাঁদের সাথে হয়েছে। এই বক্তব্য জনগনের মনের মণিকোঠায় লালিত বক্তব্য। যেহেতু সংখ্যা গরিষ্ট জনগন বর্তমান সরকারের উন্নয়ন, অগ্রগতি, চলমান জঙ্গী উত্থানরোধ, যুদ্ধপরাধীর বিচারের প্রতি আন্তরীকতায় ইতিমধ্যে বিমুগ্ধ। জনগন জনগনের মধ্যেই অঘোষিত জাতীয় ঐক্য পরিলক্ষিত হচ্ছে। জনগনের মধ্যে সৃষ্ট জাতীয় ঐক্যের বলে বলিয়ান হয়ে জাতির জনকের কন্যা দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন। দেশপ্রেমের বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে যেভাবে উন্নয়ন অগ্রগতির বিশ্ব রোল মডেলে পরিনত করেছেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশকে সেই একই আন্তরীকতা ও দেশপ্রেমে জঙ্গী দমন করেও সমসাময়িক বিশ্ববাসীর আতংক দূর করে- বাংলাদেশকে বিশ্বের অনুসরনীয়, অনুকরনীয় রোল মডেলে পরিনত করতে পারবেন, 'ইনশাল্লাহ।'
দেশরত্ম জাতির জনকের কন্যার ইচ্ছা শতভাগ সফল করতে হলে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের কিছু বাড়তি কাজ করতে হবে।
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা দলীয় নেতাকর্মীরা প্রচার করতে হবে। জঙ্গীবাদের কুফল সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে হবে। প্রচারে প্রসার -এই নীতি ধারন করে প্রত্যেক নেতাকর্মী যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারলে অবশ্যই জঙ্গীরোধ হবে। শহর, নগর গ্রাম,পাড়া মহল্লায় সর্বত্র সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে দলীয় নেতৃবৃন্দ সদাসতর্ক এবং যে কোনো স্থানে জঙ্গীদের বা কোনো দুর্বৃত্তের সন্ধান পেলে দ্রুত আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে জানাতে পারলে জঙ্গীর উত্থান রোধ অসম্ভব হবেনা বলে বিশ্বাস করি।
আওয়ামী লীগ যে দেশের একটি বড় রাজনৈতিক দল সেটা মানুষ বুঝে। দলের নিয়মিত সাংগঠনিক তৎপরতা জঙ্গী নিয়ন্ত্রনে কুইনিনের কাজ করতে পারে। দলের অভ্যন্তরে সৃষ্টি হওয়া প্রভুত্ববাদি মানসিকতা পরিহার করে নেতাদের দলীয় সহকর্মী, সহযোদ্ধার মানসিকতা লালনে অভ্যস্ত হওয়া জরুরী। ব্যাক্তি লীগ, ভাই লীগ, বস লীগের মানসিকতা ত্যাগ করে সর্বস্তরে আওয়ামী লীগের মন্ত্রে উজ্জিবীত হতে হবে।
ব্যাক্তিগত ইমেজ সৃষ্টি জন্য নয়, দলীয় ইমেজ সৃষ্টির দিকে নজর দিতে হবে। আওয়ামীলীগকে জনগনের সঙ্গে দলগতভাবে যোগাযোগ রাখতে হবে। দল ক্ষমতায় থাকায় মুষ্টিমেয় কিছু সংখ্যক নেতা-কর্মী আখের গুছিয়েছে। বেশিরভাগ ত্যাগি নেতাকর্মী বঞ্চিত হয়েছে। পাওয়া না পাওয়ার দ্বন্দ্ব-বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে। দলের আদর্শবাদী ও ত্যাগী নেতা-কর্মীরা হতাশ হয়ে রাজনীতি থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। স্থানীয় পর্যায়ের কিছু কিছু নেতা সম্পর্কে মানুষের মধ্যে বড় রকমের বিরূপ মনোভাব তৈরি হয়েছে। আগামী সম্মেলনে এই বিষয়গুলীর প্রতি দল মনোযোগী হতে পারলে বঙ্গনেত্রীর কথা ও কাজে শতভাগ মিল খুঁজে পাবে দল এবং জনগন। দলের নেতাকর্মীদের উৎসাহের চঞ্চলতায় জনবিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক দলসমুহের দাম্ভিকতা তিরুহীত হতে বাধ্য হবে-- ইনশাল্লাহ।
জনগনের আস্থা-বিশ্বাস-ভরসা শেখ হাসিনার উপর। কিন্তু আওয়ামী নৌকার সব ভার শেখ হাসিনার উপর চাপিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের অন্যসব নেতারা নির্ভার থাকা কখনই যুক্তিযুক্ত হতে পারেনা। আসন্ন কাউন্সিলে দলের মধ্যে সদ্য আক্রান্ত ভাইরাস সমুহ সঠিকভাবে নির্ণয় করে নিরাময়ের ব্যবস্থাপত্র দিতে পারলে '২১ নয় ৪১সালেও আওয়ামীলীগকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করিনা।
জনগনের আস্থা ও বিশ্বাসের মুল্য রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামীলীগকে দিতেই হবে। জাতির জনকের প্রতিষ্ঠিত দলের নিকট সঙ্গত কারনে নেতাকর্মী ও জনগনের চাওয়া পাওয়ার অধিকার এবং ইচ্ছা বেশীই থাকবে--ইহাই স্বাভাবিক এবং সঙ্গত। আগামী কাউন্সিলে সেই ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটবে -আমি মনে করি -ইনশাল্লাহ।
'জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু'
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন