জঙ্গী নির্মূলে সর্বাজ্ঞে প্রয়োজন জঙ্গীর উৎমুখে পাথর ঢালাই বাঁধ নির্মান--অন্য কোন উপায় কায্যকর হবেনা।
জঙ্গী উত্থান রোধে প্রয়োজন উৎসমুখে পাথর ঢালাই বাঁধ নির্মাণ- অন্যকোন উপায় সম্ভব নয়।
________________________________
জঙ্গি উত্থান রোধে বাংলাদেশ সরকার, সরকারি দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এবং তাঁদের জোট ১৪ দলের পক্ষ থেকে যুগৎপৎ কর্মসূচি ঘোষিত হয়েছে, পত্রিকান্তরে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়।
সরকারের প্রশাসন যন্ত্রে দীর্ঘ ৪০বছরে নিয়োগ পাওয়া জামায়াত শিবিরের অনুসারীদের রেখে এবং জঙ্গির উৎসমুখ খোলা রেখে সরকার জঙ্গিবাদ নির্মুলে কতটুকু সফল হবে ভবিষ্যতেই তা বলে দেবে।
জঙ্গীদমনের একমাত্র আইনী সংস্থা বাংলাদেশ পুলিশ। আর পুলিশেই বিদ্যমান রয়ে গেছে জামায়াত শিবিরের ক্যাডার জোট সরকার খমতায় বিদ্যমান থাকাবস্থায় পত্র পত্রিকায় আলোড়ন সৃষ্টিকারি নিয়োগ পাওয়া হাজার হাজার পুলিশ কর্মকর্তা।নামমাত্র বিসিএসে অংশ নেয়া হাজার হাজার শিবিরকর্মী প্রশাসনের সর্বস্তরে বর্তমানেও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। সরকারের অনেক মন্ত্রীর আত্মীয়তার সুবাদে ঐ সমস্ত কর্মকর্তাদের এখন পয্যন্ত চিহ্নিত করাই সম্ভব হয়নি। চার শত ষাট উপজেলায় তৎসংখ্যক উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা নিয়োগের বিরুদ্ধেও অদ্যাবদি কোন সরকারি শুদ্ধি অভিযান দুরে থাকুক, চিহ্নিতকরন প্রক্রিয়াও গ্রহন করা হয়নি। সুতারাং সরকারের শতভাগ আন্তরীকতা বিদ্যমান থাকলেও জঙ্গী ঊত্থানের সরকারি প্রচেষ্টা ব্যার্থতায় পয্যবসিত হবে ভবিষ্যতবাণী করার জন্য বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।
বাংলাদেশে এমন একটি বেসরকারি অর্থাৎ সরকারের নিয়ন্ত্রহীন শিক্ষা মাধ্যম গড়ে উঠেছে, যে শিক্ষাব্যবস্থাটি ইসলামের উৎসকেন্দ্র খোদ সৌদী আরবেও নেই।সভ্য সমাজে বা বর্তমান বিশ্বব্যবস্থায় রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রন বহির্ভুত কোন সংস্থা বা শিক্ষাব্যবস্থা থাকতে পারে এটা ভাবাও যায়না।কিন্তু এই ধরনের একটা অলস শিক্ষা মাধ্যম গ্রামে গঞ্জে বেঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে অশুভ শক্তি জাতির জনকের হত্যাকারিদের সুদুরপ্রসারী চিন্তাচেতনার আলোকে। এই প্রতিষ্ঠানটির সৃষ্টির উদ্দেশ্যই হচ্ছে সাধারন বাঙালী মসুলমানদের ধর্মের বহিরাবরনের চাকচিক্যে ধর্মীয় উর্ম্মাদনায় আসক্ত করার উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে।মুলত: তাঁরা ওয়াহাবী ভাবধারায় বিশ্বাসী হিসেবে প্রচন্ড ধর্মীয় গোঁড়ামীতে পরিপূর্ন। নবী করীম (স:) তাঁর জীবদ্দশায় তাঁদের সম্পর্কে সাহাবীদের সতর্ক করে দিয়ে গিয়েছিলেন।অল্প সময়ের মধ্যেই এই শিক্ষা মাধ্যমটি কওমী মাদ্রাসা রুপে বিস্তার লাভ করেছে বাংলাদেশে। এরা মুলত: ইরানের শিয়া অনুসারীদের নেতা আয়াতুল্লা খোমেনীর ইসলামী বিপ্লবকে অনুসরন করে বাংলাদেশেও ইসলামী বিপ্লব ঘটিয়ে ওয়াহাবী ভাবধারার ইসলাম কায়েম করার আদর্শ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
আর একটি শিক্ষা মাধ্যম জামায়াতের উদর থেকে কৌশলে গ্রামগঞ্জে বিস্তার লাভ করেছে কিন্ডার গার্টেন নামে।শিশুকালে মগজ ধোলাই করে দেয়ার কারখানা এবং নীজ দলীয় কর্মীদের কর্মসংস্থান ও দলের অর্থ যোগান পাওয়ার সুদুরপ্রসারী চিন্তার আলোকে এই প্রতিষ্ঠানটি সৃষ্টি করা হয়েছে। ইসলামী সমাজ কল্যান সংস্থার আদলে আর একটি বিভ্রান্তিকর প্রতারনা মুলক শিক্ষা মাধ্যম হল কিন্ডার গার্টেন।যে শিক্ষা মাধ্যমে ছাত্র/ছাত্রীদের বহিরাবরনের চাকচিক্যে অভিভাবকদের বিভ্রান্ত করে উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের শ্রেষ্ঠ একটি কৌশল। মুলত: স্বল্প শিক্ষিত মেধাশুন্য ইন্টামেডিয়েট, ডিগ্রি পাশ শিবির নেতাকর্মীদের কর্মসংস্থানের একটি উপযুক্ত মাধ্যম হচ্ছে জামায়াতের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিন্ডার গার্টেন। প্রশিক্ষনহীন মেধাশুন্য শিক্ষকদের দ্বারা শিক্ষা কায্যক্রম চালু রেখে স্মার্টনেসকে প্রাধান্য দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিনব উপায়।সরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষালয় বিদ্যমান থাকাবস্থায় নিয়ন্ত্রনহীন এই শিক্ষা ব্যবস্থাটিও দেশে নির্বিঘ্নে শিক্ষা কায্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
আর একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যায়বাহুল্যতার কারনে উচ্চবিত্ত নব্যধনীদের প্রচন্ডভাবে আকর্ষন করতে সক্ষম হয়েছে। এই সমস্ত প্রতিষ্ঠান ধনীদের অহমিকা প্রকাশের উপযুক্ত করে গড়ে তুলেছে জামায়াতি ইসলাম।ব্যায়বহুল এই সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে উপলক্ষ করে আবার তাঁরাই গড়ে তুলেছে প্রতারনার আর একটি ফাঁদ বিভিন্ন বাহারি নামের কোচিং সেন্টার।এই সমস্ত শিক্ষালয়ে বাঙ্গালী জাতীয়তাবোধ, কৃষ্টি, সংস্কৃতিতে উদ্ভোদ্ধ করার কোন উপকরন রাখা হয়নি।বাংলাদেশের 'জাতীয় সঙ্গীত' যাহা কর্মস্থলের কাজ শুরুর আগে পরিবেশন করা বাধ্যতা মূলক জাতীয় 'সঙ্গীত' সেই জাতীয় সঙ্গীতও পরিবেশন করা হয়না।সুতারাং যে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেশপ্রেমে জাগ্রত করার ন্যায় কোন পাঠ্যসূচি অন্তভুক্ত নেই সে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছেলে মেয়েদের জাতী, দেশ, জনগন সম্মন্ধে ধারনা বা আন্তরীকতা আছে কল্পনা করা বাতুলতা মাত্র।জাতি, ধর্ম,দেশকে ধ্বংস করার কাজে তাঁদের উদ্ভোদ্ধ করা অশুভ শক্তির খুব কঠিন কাজ হবে কেন?তাছাড়া জাতীকে শোষন করা এই সমস্ত ধনীদের কর্মব্যাস্ততা, টাকার অহমিকায় ডালিং-ফার্লিং নিয়ে ঘন ঘন বিদেশ ভ্রমনের কারনে তাঁদের ঔরষজাত দুলারীরা পিতা- মাতার আদর স্নেহ থেকে বঞ্চিত হয়ে একপ্রকার বিষন্নতায়ও ভোগে। অশুভ শক্তি তাঁদের এই বিষন্নতাকে ধর্মের আফিমে গলাধ:করন করিয়ে অনায়াসে বিপদগামী করে তোলে।
সুতারাং এই ত্রিধারার উৎসমুখে শক্ত পাথর ঢালাই না দিয়ে জঙ্গী উত্থান রোধ কতটুকু সফলকাম হবে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের ভাববার বিষয় আছে বলে আমি মনে করি।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে বিলম্বে হলেও জেলা উপজেলায় জঙ্গিবাদ নির্মুলে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে।জেলা উপজেলা নেতৃবৃন্দ কতটুকু গুরুত্বের সঙ্গে কমিটি গঠনের নির্দেশ পালন করবে সময়েই তা বলে দেবে। বর্তমান রাজনীতিতে জনসম্পৃত্ত নেতৃত্বের সংকটকালে এইরুপ নির্দেশ পালিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকার কথা নয়। অনেক জেলা উপজেলায় পালিত হবেনা তা আগাম বলা যায়।অনেক জেলায় উক্ত নির্দেশ পালন করা হলেও যথাযথভাবে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি সমুহ পালিত হবেনা তাও বলা যেতে পারে।নেতারা বর্তমানে ছাত্রলীগের ননামধারি অছাত্রলীগ সন্ত্রাসী কর্মীবাহিনী এবং পুলিশ বেষ্টনীতে চলাফেরা করতে বেশী পছন্দ করেন,জনগনের মাঝে চলতে তাঁদের সম্মান, ব্যাক্তিত্ব, রাজনৈতিক পদের মুল্যায়নে ব্যাঘাত হয়।
কারন আওয়ামী লীগের তৃনমুলের নেতৃবৃন্দ জঙ্গি উত্থান রোধে যথাযথ মনোযোগি হলে জঙ্গিবাদে বিশ্বাসী কোন সংগঠনের বিস্তৃতি লাভ করার কোন কারনই ছিলনা।
বিষয়টি আরও পরিস্কার করে বলতে গেলে অনেকেই আমার উপর নাখোষ হতে পারেন। তারপরেও বলা প্রয়োজন দেশ ও জাতির স্বার্থে।আমরা প্রত্যেকটি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী জানি আমার এলাকায় কে জামায়াত শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল এবং অনেক দিন থেকে অনেক প্রতিবেশী জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীকে এলাকায় দেখা যায়না।আমরা কি খোঁজ নিয়ে দেখেছি বা জানতে চেয়েছি ঐ শিবিরের দুর্দষ্য ক্যাডার বর্তমানে কোথায়? সময় কোথায় আমাদের,প্রতিযোগীতার রাজনীতি, প্রভুত্বের নেতৃত্ব,দখলবাজির প্রতিযোগীতা, টেন্ডারবাজীর কৌশল আয়ত্ত করাতেই সময় চলে যায়, খোঁজ খবর করার সময় কোথায়? খোঁজ খবর নেয়ার সময়ের যেখানে এত অভাব-সেখানে কমিটি গঠন, জনগনকে সম্পৃত্ত করার সময় থাকার কথা নয় অবশ্যই। সুতারাং আওয়ামী লীগের নেয়া জঙ্গী পপ্রতিরোধের উদ্যোগ যে ব্যর্থ হবে বুঝিয়ে বলার কি প্রয়োজন আছে? দেখাযাক কিছুদিন পরইতো দেখব সফলতা, ব্যার্থতা।
হাস্যকর বিষয় হলেও অশুভশক্তির পৃষ্টপোষকতাকারীদের মুখে ইদানিং জোরেসোরে জাতীয় ঐক্যের আহব্বান শুনা যাচ্ছে।তাঁদের এই জাতীয় ঐক্যের আহব্বান আগুন সন্ত্রাসের কারনে, দেশধ্বংস করার আন্দোলনের কারনে জনগন থেকে তাঁরা বিচ্ছিন্ন। তাঁদের সেই জনবিচ্ছিন্নতাকে ঢেকে- আবার জনগনের মাঝে ফিরে আসার 'জাতীয় ঐক্যের আহব্বান' অভিনব ফঁন্দি ছাড়া আর কিছুই নয়।
দীর্ঘবছর নানা কৌশল অবলম্বন করেও তাঁরা জনগনের মাঝে ফিরে আসতে পারেনি।গড়ে তুলতে পারেনি আন্দোলনের প্রাথমিক ধারা।রোপন করতে পারেনি আন্দোলনের বীজ।রাজপথ একেবারেই ফাঁকা।বিদেশী রাষ্ট্র প্রধানদের চিঠি দিয়ে এই সরকারের পদত্যাগের জন্য চাপ সৃষ্টির অনুরুধ অন্যদিকে ছাগল চুরিতেও সরকারের পদত্যাগের আহব্বান হরহামেসা যাদের মুখে তাঁরা আবার সেই মুখেই জাতীয় ঐক্যের আহব্বান কতবড় প্রতারনা চিন্তার উদ্রেক করা প্রতিটি নাগরিকের প্রয়োজন। অশুভ শক্তির আধাঁর জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গত্যাগ না করে তাঁদের 'জাতীয় ঐক্যের আহব্বান কতটুকু বাস্তব সম্মত বিশ্লেষনের জন্য রাজনৈতিক বিশ্লেষক হওয়ার দরকার আছে বলে আমি মনে করি না।
এই অশুভ শক্তির প্রতিরোধে অবশ্যই প্রয়োজন আছে জাতীয় ঐক্যসাধনের। প্রয়োজন আছে সেই ধরনেরই জাতীয় ঐক্যের, যে ঐক্যে অসাম্প্রদায়িক জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতার অটুট বন্ধন আত্মস্থ করেই মানুষ প্রচণ্ডভাবে দমন করবে অপশক্তির তীব্রতাকে। উপরে উল্লেখীত এই শিক্ষা এবং চেতনা পারিবারিক পর্যায়ে কিংবা শিক্ষাঙ্গনে কখনোই যেন বড় হয়ে না দাঁড়ায়- আগে মুসলমান পরে মানুষ! জেনে রাখা উত্তম, 'ইসলামই পৃথিবীর একমাত্র যুগ উপযোগী, সবচেয়ে বড়, আধুনিক, সাম্যের, মানবতার, নিরপেক্ষতায় শ্রেষ্ঠ ধর্ম। বর্বর হায়েনাদের কারনে আজকে এই মহৎ ধর্ম কলুষিত হচ্ছে,বিতর্কিত হচ্ছে বিশ্বজুড়ে।
কোরাণে ঘোষিত সাম্য ও মানবতাবাদের মুসলমান হতে চাইলে আইসিস, আলকায়েদা, হামাস, ওয়াহাবী, হেফাজতের উৎসস্থলে পাথর ঢালাই দিয়ে অত্র অঞ্চলের মসুলমানদের তাঁদের থেকে বন্ধন মুিক্ত ঘটাতে হবে। নচেৎ কোনোদিনই ঘটবে না সমাজ এবং রাষ্ট্রীয় জীবন থেকে জঙ্গীবাদের উত্থানরোধ। ধর্মকেও একসময়ে হয়ত রাষ্ট্রধর্ম বানিয়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে। সার্বজনীন এই মহান ধর্ম তখন শুধুমাত্র মসুলমানদের একমাত্র অনুসরনযোগ্য, মসুলমানদের জীবনাদর্শে প্রয়োগযোগ্য ধর্ম হিসেবেই বিবেচিত হবে।যাহা কোন মসুলমানের কাম্য হতে পারেনা।
তখন মুক্তমনা ব্লুগাররা নৃশংসতম উপায়ে নিহত হলেও বলতে হবে বাধ্য হয়ে- হত্যা করেছে।ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করা চলবে না! সমাজের দুষ্ট জঞ্জালরা ক্রসফায়ারে নিহত হলে পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে যতবড় তীব্র রেষের ধিক্কার উঠবে ততখানি ধিক্কার খুনি অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিধ্বনিত হবে না কখনোই।
আমাদের মনে রাখা প্রয়োজন লেখক,সাহিত্যিক, সংস্কৃতি কর্মী,নেতা, বুদ্ধিজীবি একদিনে সৃষ্টি হয়না।পাঁছ দশ বছরের সাধনায় একজন লেখকের লেখা সর্বসাধারনে গ্রহন যোগ্য সুপাঠ্য হয়না। অন্যকোন সরকারের সময়ে তাঁদের হত্যার প্রয়োজন না হলেও এখন কেন প্রয়োজন হল? আমাদের আরো মনে রাখা প্রয়োজন -"কারা ক্ষমতায় থাকলে বাংলা ভাইয়ের নেতৃত্বে পুলিশ প্রহরায় স্বসস্ত্র মিছিল হয় প্রকাশ্য রাজপথে।কারা ক্ষমতায় থাকলে রাজপথ কাঁপানো আওয়াজ শুনা যায়, বাংলা হবে আফগান। কারা ক্ষমতার মসনদে থাকলে একযোগে ৬৬জেলায় বোমা ফুঁটিয়ে জানান দিতে পারে-আমরা আসছি।কারা ক্ষমতায় থাকলে জাতির জনকের কন্যাকে হত্যার জন্য লাখ লাখ মানুষের জনসভায় বোমা গুলী বৃষ্টি হতে পারে।"
""তাঁদেরকে সঙ্গে রেখে জাতীয় ঐক্য!! ""
'জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু'
________________________________
জঙ্গি উত্থান রোধে বাংলাদেশ সরকার, সরকারি দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এবং তাঁদের জোট ১৪ দলের পক্ষ থেকে যুগৎপৎ কর্মসূচি ঘোষিত হয়েছে, পত্রিকান্তরে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়।
সরকারের প্রশাসন যন্ত্রে দীর্ঘ ৪০বছরে নিয়োগ পাওয়া জামায়াত শিবিরের অনুসারীদের রেখে এবং জঙ্গির উৎসমুখ খোলা রেখে সরকার জঙ্গিবাদ নির্মুলে কতটুকু সফল হবে ভবিষ্যতেই তা বলে দেবে।
জঙ্গীদমনের একমাত্র আইনী সংস্থা বাংলাদেশ পুলিশ। আর পুলিশেই বিদ্যমান রয়ে গেছে জামায়াত শিবিরের ক্যাডার জোট সরকার খমতায় বিদ্যমান থাকাবস্থায় পত্র পত্রিকায় আলোড়ন সৃষ্টিকারি নিয়োগ পাওয়া হাজার হাজার পুলিশ কর্মকর্তা।নামমাত্র বিসিএসে অংশ নেয়া হাজার হাজার শিবিরকর্মী প্রশাসনের সর্বস্তরে বর্তমানেও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। সরকারের অনেক মন্ত্রীর আত্মীয়তার সুবাদে ঐ সমস্ত কর্মকর্তাদের এখন পয্যন্ত চিহ্নিত করাই সম্ভব হয়নি। চার শত ষাট উপজেলায় তৎসংখ্যক উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা নিয়োগের বিরুদ্ধেও অদ্যাবদি কোন সরকারি শুদ্ধি অভিযান দুরে থাকুক, চিহ্নিতকরন প্রক্রিয়াও গ্রহন করা হয়নি। সুতারাং সরকারের শতভাগ আন্তরীকতা বিদ্যমান থাকলেও জঙ্গী ঊত্থানের সরকারি প্রচেষ্টা ব্যার্থতায় পয্যবসিত হবে ভবিষ্যতবাণী করার জন্য বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।
বাংলাদেশে এমন একটি বেসরকারি অর্থাৎ সরকারের নিয়ন্ত্রহীন শিক্ষা মাধ্যম গড়ে উঠেছে, যে শিক্ষাব্যবস্থাটি ইসলামের উৎসকেন্দ্র খোদ সৌদী আরবেও নেই।সভ্য সমাজে বা বর্তমান বিশ্বব্যবস্থায় রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রন বহির্ভুত কোন সংস্থা বা শিক্ষাব্যবস্থা থাকতে পারে এটা ভাবাও যায়না।কিন্তু এই ধরনের একটা অলস শিক্ষা মাধ্যম গ্রামে গঞ্জে বেঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে অশুভ শক্তি জাতির জনকের হত্যাকারিদের সুদুরপ্রসারী চিন্তাচেতনার আলোকে। এই প্রতিষ্ঠানটির সৃষ্টির উদ্দেশ্যই হচ্ছে সাধারন বাঙালী মসুলমানদের ধর্মের বহিরাবরনের চাকচিক্যে ধর্মীয় উর্ম্মাদনায় আসক্ত করার উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে।মুলত: তাঁরা ওয়াহাবী ভাবধারায় বিশ্বাসী হিসেবে প্রচন্ড ধর্মীয় গোঁড়ামীতে পরিপূর্ন। নবী করীম (স:) তাঁর জীবদ্দশায় তাঁদের সম্পর্কে সাহাবীদের সতর্ক করে দিয়ে গিয়েছিলেন।অল্প সময়ের মধ্যেই এই শিক্ষা মাধ্যমটি কওমী মাদ্রাসা রুপে বিস্তার লাভ করেছে বাংলাদেশে। এরা মুলত: ইরানের শিয়া অনুসারীদের নেতা আয়াতুল্লা খোমেনীর ইসলামী বিপ্লবকে অনুসরন করে বাংলাদেশেও ইসলামী বিপ্লব ঘটিয়ে ওয়াহাবী ভাবধারার ইসলাম কায়েম করার আদর্শ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
আর একটি শিক্ষা মাধ্যম জামায়াতের উদর থেকে কৌশলে গ্রামগঞ্জে বিস্তার লাভ করেছে কিন্ডার গার্টেন নামে।শিশুকালে মগজ ধোলাই করে দেয়ার কারখানা এবং নীজ দলীয় কর্মীদের কর্মসংস্থান ও দলের অর্থ যোগান পাওয়ার সুদুরপ্রসারী চিন্তার আলোকে এই প্রতিষ্ঠানটি সৃষ্টি করা হয়েছে। ইসলামী সমাজ কল্যান সংস্থার আদলে আর একটি বিভ্রান্তিকর প্রতারনা মুলক শিক্ষা মাধ্যম হল কিন্ডার গার্টেন।যে শিক্ষা মাধ্যমে ছাত্র/ছাত্রীদের বহিরাবরনের চাকচিক্যে অভিভাবকদের বিভ্রান্ত করে উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের শ্রেষ্ঠ একটি কৌশল। মুলত: স্বল্প শিক্ষিত মেধাশুন্য ইন্টামেডিয়েট, ডিগ্রি পাশ শিবির নেতাকর্মীদের কর্মসংস্থানের একটি উপযুক্ত মাধ্যম হচ্ছে জামায়াতের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিন্ডার গার্টেন। প্রশিক্ষনহীন মেধাশুন্য শিক্ষকদের দ্বারা শিক্ষা কায্যক্রম চালু রেখে স্মার্টনেসকে প্রাধান্য দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিনব উপায়।সরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষালয় বিদ্যমান থাকাবস্থায় নিয়ন্ত্রনহীন এই শিক্ষা ব্যবস্থাটিও দেশে নির্বিঘ্নে শিক্ষা কায্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
আর একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যায়বাহুল্যতার কারনে উচ্চবিত্ত নব্যধনীদের প্রচন্ডভাবে আকর্ষন করতে সক্ষম হয়েছে। এই সমস্ত প্রতিষ্ঠান ধনীদের অহমিকা প্রকাশের উপযুক্ত করে গড়ে তুলেছে জামায়াতি ইসলাম।ব্যায়বহুল এই সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে উপলক্ষ করে আবার তাঁরাই গড়ে তুলেছে প্রতারনার আর একটি ফাঁদ বিভিন্ন বাহারি নামের কোচিং সেন্টার।এই সমস্ত শিক্ষালয়ে বাঙ্গালী জাতীয়তাবোধ, কৃষ্টি, সংস্কৃতিতে উদ্ভোদ্ধ করার কোন উপকরন রাখা হয়নি।বাংলাদেশের 'জাতীয় সঙ্গীত' যাহা কর্মস্থলের কাজ শুরুর আগে পরিবেশন করা বাধ্যতা মূলক জাতীয় 'সঙ্গীত' সেই জাতীয় সঙ্গীতও পরিবেশন করা হয়না।সুতারাং যে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেশপ্রেমে জাগ্রত করার ন্যায় কোন পাঠ্যসূচি অন্তভুক্ত নেই সে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছেলে মেয়েদের জাতী, দেশ, জনগন সম্মন্ধে ধারনা বা আন্তরীকতা আছে কল্পনা করা বাতুলতা মাত্র।জাতি, ধর্ম,দেশকে ধ্বংস করার কাজে তাঁদের উদ্ভোদ্ধ করা অশুভ শক্তির খুব কঠিন কাজ হবে কেন?তাছাড়া জাতীকে শোষন করা এই সমস্ত ধনীদের কর্মব্যাস্ততা, টাকার অহমিকায় ডালিং-ফার্লিং নিয়ে ঘন ঘন বিদেশ ভ্রমনের কারনে তাঁদের ঔরষজাত দুলারীরা পিতা- মাতার আদর স্নেহ থেকে বঞ্চিত হয়ে একপ্রকার বিষন্নতায়ও ভোগে। অশুভ শক্তি তাঁদের এই বিষন্নতাকে ধর্মের আফিমে গলাধ:করন করিয়ে অনায়াসে বিপদগামী করে তোলে।
সুতারাং এই ত্রিধারার উৎসমুখে শক্ত পাথর ঢালাই না দিয়ে জঙ্গী উত্থান রোধ কতটুকু সফলকাম হবে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের ভাববার বিষয় আছে বলে আমি মনে করি।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে বিলম্বে হলেও জেলা উপজেলায় জঙ্গিবাদ নির্মুলে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে।জেলা উপজেলা নেতৃবৃন্দ কতটুকু গুরুত্বের সঙ্গে কমিটি গঠনের নির্দেশ পালন করবে সময়েই তা বলে দেবে। বর্তমান রাজনীতিতে জনসম্পৃত্ত নেতৃত্বের সংকটকালে এইরুপ নির্দেশ পালিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকার কথা নয়। অনেক জেলা উপজেলায় পালিত হবেনা তা আগাম বলা যায়।অনেক জেলায় উক্ত নির্দেশ পালন করা হলেও যথাযথভাবে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি সমুহ পালিত হবেনা তাও বলা যেতে পারে।নেতারা বর্তমানে ছাত্রলীগের ননামধারি অছাত্রলীগ সন্ত্রাসী কর্মীবাহিনী এবং পুলিশ বেষ্টনীতে চলাফেরা করতে বেশী পছন্দ করেন,জনগনের মাঝে চলতে তাঁদের সম্মান, ব্যাক্তিত্ব, রাজনৈতিক পদের মুল্যায়নে ব্যাঘাত হয়।
কারন আওয়ামী লীগের তৃনমুলের নেতৃবৃন্দ জঙ্গি উত্থান রোধে যথাযথ মনোযোগি হলে জঙ্গিবাদে বিশ্বাসী কোন সংগঠনের বিস্তৃতি লাভ করার কোন কারনই ছিলনা।
বিষয়টি আরও পরিস্কার করে বলতে গেলে অনেকেই আমার উপর নাখোষ হতে পারেন। তারপরেও বলা প্রয়োজন দেশ ও জাতির স্বার্থে।আমরা প্রত্যেকটি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী জানি আমার এলাকায় কে জামায়াত শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল এবং অনেক দিন থেকে অনেক প্রতিবেশী জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীকে এলাকায় দেখা যায়না।আমরা কি খোঁজ নিয়ে দেখেছি বা জানতে চেয়েছি ঐ শিবিরের দুর্দষ্য ক্যাডার বর্তমানে কোথায়? সময় কোথায় আমাদের,প্রতিযোগীতার রাজনীতি, প্রভুত্বের নেতৃত্ব,দখলবাজির প্রতিযোগীতা, টেন্ডারবাজীর কৌশল আয়ত্ত করাতেই সময় চলে যায়, খোঁজ খবর করার সময় কোথায়? খোঁজ খবর নেয়ার সময়ের যেখানে এত অভাব-সেখানে কমিটি গঠন, জনগনকে সম্পৃত্ত করার সময় থাকার কথা নয় অবশ্যই। সুতারাং আওয়ামী লীগের নেয়া জঙ্গী পপ্রতিরোধের উদ্যোগ যে ব্যর্থ হবে বুঝিয়ে বলার কি প্রয়োজন আছে? দেখাযাক কিছুদিন পরইতো দেখব সফলতা, ব্যার্থতা।
হাস্যকর বিষয় হলেও অশুভশক্তির পৃষ্টপোষকতাকারীদের মুখে ইদানিং জোরেসোরে জাতীয় ঐক্যের আহব্বান শুনা যাচ্ছে।তাঁদের এই জাতীয় ঐক্যের আহব্বান আগুন সন্ত্রাসের কারনে, দেশধ্বংস করার আন্দোলনের কারনে জনগন থেকে তাঁরা বিচ্ছিন্ন। তাঁদের সেই জনবিচ্ছিন্নতাকে ঢেকে- আবার জনগনের মাঝে ফিরে আসার 'জাতীয় ঐক্যের আহব্বান' অভিনব ফঁন্দি ছাড়া আর কিছুই নয়।
দীর্ঘবছর নানা কৌশল অবলম্বন করেও তাঁরা জনগনের মাঝে ফিরে আসতে পারেনি।গড়ে তুলতে পারেনি আন্দোলনের প্রাথমিক ধারা।রোপন করতে পারেনি আন্দোলনের বীজ।রাজপথ একেবারেই ফাঁকা।বিদেশী রাষ্ট্র প্রধানদের চিঠি দিয়ে এই সরকারের পদত্যাগের জন্য চাপ সৃষ্টির অনুরুধ অন্যদিকে ছাগল চুরিতেও সরকারের পদত্যাগের আহব্বান হরহামেসা যাদের মুখে তাঁরা আবার সেই মুখেই জাতীয় ঐক্যের আহব্বান কতবড় প্রতারনা চিন্তার উদ্রেক করা প্রতিটি নাগরিকের প্রয়োজন। অশুভ শক্তির আধাঁর জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গত্যাগ না করে তাঁদের 'জাতীয় ঐক্যের আহব্বান কতটুকু বাস্তব সম্মত বিশ্লেষনের জন্য রাজনৈতিক বিশ্লেষক হওয়ার দরকার আছে বলে আমি মনে করি না।
এই অশুভ শক্তির প্রতিরোধে অবশ্যই প্রয়োজন আছে জাতীয় ঐক্যসাধনের। প্রয়োজন আছে সেই ধরনেরই জাতীয় ঐক্যের, যে ঐক্যে অসাম্প্রদায়িক জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতার অটুট বন্ধন আত্মস্থ করেই মানুষ প্রচণ্ডভাবে দমন করবে অপশক্তির তীব্রতাকে। উপরে উল্লেখীত এই শিক্ষা এবং চেতনা পারিবারিক পর্যায়ে কিংবা শিক্ষাঙ্গনে কখনোই যেন বড় হয়ে না দাঁড়ায়- আগে মুসলমান পরে মানুষ! জেনে রাখা উত্তম, 'ইসলামই পৃথিবীর একমাত্র যুগ উপযোগী, সবচেয়ে বড়, আধুনিক, সাম্যের, মানবতার, নিরপেক্ষতায় শ্রেষ্ঠ ধর্ম। বর্বর হায়েনাদের কারনে আজকে এই মহৎ ধর্ম কলুষিত হচ্ছে,বিতর্কিত হচ্ছে বিশ্বজুড়ে।
কোরাণে ঘোষিত সাম্য ও মানবতাবাদের মুসলমান হতে চাইলে আইসিস, আলকায়েদা, হামাস, ওয়াহাবী, হেফাজতের উৎসস্থলে পাথর ঢালাই দিয়ে অত্র অঞ্চলের মসুলমানদের তাঁদের থেকে বন্ধন মুিক্ত ঘটাতে হবে। নচেৎ কোনোদিনই ঘটবে না সমাজ এবং রাষ্ট্রীয় জীবন থেকে জঙ্গীবাদের উত্থানরোধ। ধর্মকেও একসময়ে হয়ত রাষ্ট্রধর্ম বানিয়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে। সার্বজনীন এই মহান ধর্ম তখন শুধুমাত্র মসুলমানদের একমাত্র অনুসরনযোগ্য, মসুলমানদের জীবনাদর্শে প্রয়োগযোগ্য ধর্ম হিসেবেই বিবেচিত হবে।যাহা কোন মসুলমানের কাম্য হতে পারেনা।
তখন মুক্তমনা ব্লুগাররা নৃশংসতম উপায়ে নিহত হলেও বলতে হবে বাধ্য হয়ে- হত্যা করেছে।ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করা চলবে না! সমাজের দুষ্ট জঞ্জালরা ক্রসফায়ারে নিহত হলে পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে যতবড় তীব্র রেষের ধিক্কার উঠবে ততখানি ধিক্কার খুনি অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিধ্বনিত হবে না কখনোই।
আমাদের মনে রাখা প্রয়োজন লেখক,সাহিত্যিক, সংস্কৃতি কর্মী,নেতা, বুদ্ধিজীবি একদিনে সৃষ্টি হয়না।পাঁছ দশ বছরের সাধনায় একজন লেখকের লেখা সর্বসাধারনে গ্রহন যোগ্য সুপাঠ্য হয়না। অন্যকোন সরকারের সময়ে তাঁদের হত্যার প্রয়োজন না হলেও এখন কেন প্রয়োজন হল? আমাদের আরো মনে রাখা প্রয়োজন -"কারা ক্ষমতায় থাকলে বাংলা ভাইয়ের নেতৃত্বে পুলিশ প্রহরায় স্বসস্ত্র মিছিল হয় প্রকাশ্য রাজপথে।কারা ক্ষমতায় থাকলে রাজপথ কাঁপানো আওয়াজ শুনা যায়, বাংলা হবে আফগান। কারা ক্ষমতার মসনদে থাকলে একযোগে ৬৬জেলায় বোমা ফুঁটিয়ে জানান দিতে পারে-আমরা আসছি।কারা ক্ষমতায় থাকলে জাতির জনকের কন্যাকে হত্যার জন্য লাখ লাখ মানুষের জনসভায় বোমা গুলী বৃষ্টি হতে পারে।"
""তাঁদেরকে সঙ্গে রেখে জাতীয় ঐক্য!! ""
'জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু'



মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন