'আইটিইউ টেলিকম' পুরস্কার পেল বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট।
আইটিইউ টেলিকম পুরস্কার পেল বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রকল্প---
(রুহুল আমিন মজুমদার)
বাংলাদেশের হতাশাগ্রস্ত ব্যাক্তি, মুক্তিযুদ্ধের শত্রু, স্বাধীনতা বিরুধী শক্তি, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিরুধী রাষ্ট্র সমূহকে মাত্র আট বছর সরকার পরিচালনার মাধ্যমে জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনা অন্যান্ন চমকের সঙ্গে ব্যাতিক্রমি অসাধারন এক চমক উপহার দিয়ে বিস্মিত, স্তম্ভিত, দিশেহারা করে দিলেন--"যাহা তাঁদের চোখে শর্ষে জ্ঞানের বন্ধাত্বকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখানোর সাথেই তুলনীয় হ'তে পারে।" বাংলাদেশের সক্ষমতার উদাহরনকে তিনি এমন এক উঁচুস্থানে নিয়ে গেলেন যা কেবলমাত্র স্বপ্নেই দেখা সম্ভব ছিল অর্ধযুগ আগেও। বাংলাদেশের গর্বকরার অনেক বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত হল মহাকাশ জয়ের অদম্য আক্ষাংকার বাস্তব প্রতিফলন।
ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) পুরস্কার ২০১৬ পেয়েছে বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ প্রকল্প। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ব্যাংককে আইটিইউ সম্মেলনে বাংলাদেশ সরকারের হয়ে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
উদ্ভাবনী আইসিটি সেবার স্বীকৃতি হিসেবে আইটিইউ বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রকল্পকে পুরস্কৃত করেছে। পুরস্কারটি ‘রিকগনিশন অব এক্সেলেন্স’ নামে পরিচিত। পুরস্কার প্রদানের মধ্য দিয়ে চার দিনব্যাপী আইটিইউ সম্মেলন ২০১৬ শেষ হয় বৃহস্পতিবার।
এবারই প্রথমবারের মতো আইটিইউ টেলিকম ওয়ার্ল্ড সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ। বিশ্বকে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতের অগ্রগতি সম্পর্কে জানাতে সম্মেলনে প্যাভিলিয়ন নেয় বাংলাদেশ। স্টলে রাখা হয়েছিল বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ এর রেপ্লিকা। আন্তর্জাতিক এ প্রদর্শনীতে এবার বিশ্বের ১০০টি দেশের প্রায় ৪ হাজার সরকারি কর্মকর্তা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের শীর্ষ ব্যক্তিরা অংশ নেন। বাংলাদেশ থেকে প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার (বিটিআরসি) প্রধান শাহজাহান মাহমুদসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা যোগ দেন এ আয়োজনে। বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটটি ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে উৎক্ষেপণ করার পরিকল্পনা করছে সরকার।
প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৯৬৭ কোটি টাকা। ফরাসি প্রতিষ্ঠান থ্যালস অ্যালেনিয়া স্পেস স্যাটেলাইটটি নির্মাণ করছে। স্যাটেলাইট নির্মাণের অর্ধেক কাজ এরই মধে?্য শেষ হয়েছে বলে সম্প্রতি জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২১ অক্টোবর সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’ উৎক্ষেপণে ‘স্যাটেলাইট সিস্টেম’ কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। এ স্যাটেলাইটে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার থাকবে, যার ২০টি বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্য রাখা হবে এবং বাকিগুলো ভাড়া দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর বিদেশি স্যাটেলাইটের ভাড়া বাবদ বছরে ১৪ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হবে বলে আশা করছে সরকার।
বাংলাদেশের বিশাল এই অর্জন নিসন্দেহে বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগনকে উৎফুল্ল,গর্বিত করবে।হতাশার সাগরে নিমজ্জিত ব্যাক্তিবর্গের মনে আশার সঞ্চার করে অকালে মৃত্যুর হাত হ'তে রক্ষা পেতে কুইনিনের কাজ করবে বলে মনে করি।পদ্মাসেতু, গভীর সমুদ্রবন্দর, এক্সবেলেটর রোড়, পারমাণবিক চুল্লি, উড়ন্ত সেতু, নৌবাহিনীতে ফ্রিগেট সংযুক্তির পর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের মাধ্যমে মহাকাশ জয়ের গর্বিত দেশের নাগরীকের মায্যদায় উন্নিত হল বাংলাদেশের জনগন। জয়তু শেখ হাসিনা,জয়তু আমার প্রীয় বাংলাদেশ, জয়তু বীর বাঙ্গালী,জয়তু মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নের বাংলাদেশ।জয়তু জাতীর জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা।
ruhulaminmujumder27gmail.com
"জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু"


মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন