নাসির নগরে মন্দির ভাংচুর, লুটপাট স্বার্থান্বেষী মহলের ঘোলা পানিতে মাছ শিকার--আপাত: দৃষ্টে তাই মনে হচ্ছে----
নাসির নগরে মন্দির ভাংচুর,লুটপাট স্বার্থান্বেষী মহলের ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের ষড়যন্ত্র--আপাত: দৃষ্টে তাই মনে হচ্ছে-------
(রুহুল আমিন মজুমদার)
_____________________________________________________
নাসির নগরের ঘটনা ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হওয়া শুরু হয়েছে। কেন, কি কারনে কোথা হতে নাসির ননগরের ঘটনার উৎপত্তি তার তথ্য স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। আমি কিছুদিন আগে এক হিন্দু মেয়ের আইডি পেইজবুক টাইম লাইনে পোষ্ট করে বলেছিলাম ষড়যন্ত্রকারিরা সুন্দরী হিন্দু মেয়ে অথবা অন্য যে কোন কারো নামে নামে ফ্যাক আইডি খুলে ষড়যন্ত্র করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। উল্লেখিত পোষ্ট করার মাসের মধ্যেই নাসির নগরের তদ্রুপ আইডির কারনে দেশ, জাতি, সরকার বিপুল ক্ষতির সম্মুখিন হয়ে গেল।
ব্যাক্তিগত ভাবে ছবি এডিট করার প্রক্রিয়া আমার চেয়ে ঢের বেশী জ্ঞানী, শিক্ষিত, মেধাবী অনেকেই এখন পয্যন্ত জানে না।সেখানে রসরাজের মত একজন অশিক্ষিত হিন্দুর ছেলে পেইজবুক আইডি খুলে ছবি এডিট করে পোষ্ট করতে পারবে, যারা বিশ্বাস করে বা বিশ্বাস করেছে তাঁরা আর যাই হোক--'হিতাহীত জ্ঞান শুন্য ব্যাক্তি-'এতে কোন সন্দেহ নাই।'
পৃথিবীর দেশে দেশে,যুগে যুগে সাম্প্রদায়িক হানাহানি,সংখ্যাগুরু কতৃক সংখ্যা লঘুদের নিয্যাতন,জাতিগত হানাহানি, বর্ণবৈষম্য, ধর্মীয় হানাহানী ইত্যাদি চলে আসছে। বাংলাদেশেও তদ্রুপ হবে না এমন কোন কথা নয়।মহান আল্লাহ তাঁর মহাগ্রন্থ পবিত্র কোর'আন তাঁর মনোনীত বন্ধু সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট মহামানব হযরত মোহাম্মদ (স:) নিকট প্রেরন কালে বিষয়টি উল্লেখ পুর্বক সতর্ক করে একাধিক আয়াত সংযোজন করে বলেছেন -'ধর্ম, জাতি, গোষ্টি ভেদে সম অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়টি।' সেই দৃষ্টিকোন থেকে নবী করিম (স:)ও সংখ্যা লুঘু বিধর্মীদের জানমাল হেফাজত করার দায়িত্ব সংখ্যা গুরু মুসলমানের অবশ্যই কর্তব্য, নৈতিক দায়িত্ব হিসবে পালনীয় কর্তব্য হিসেবে সাহাবীদের নির্দেশনা দিয়ে গেছেন।নবী (স:) যাহাই বলেছেন, করেছেন এবং তাঁর সামগ্রীক জীবন যাপন মহান আল্লাহর নির্দেশেই পরিচালিত হ'য়েছে-'এতে কোন সন্দেহ নেই'।যার ফলে তাঁর কোন বিষয়ে কোন কালে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে ভুল প্রমানীত হয়নি এবং কি ভবিষ্যতেও হবেনা। "আধুনিক যুগের 'শ্রেষ্ঠজ্ঞানীদের সৃষ্ট দর্শন' সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থ হচ্ছে বা আংশিক আবার পুর্ণজীবিত হচ্ছে কিন্তু অন্ধকার যুগের "শ্রেষ্ঠদর্শন কোরা'আন" আলোর দিশারী হয়ে মানবের কল্যানে স্বমহিমায় তাঁর আলোকরশ্মির দৃপ্তি উজ্জল থেকে উজ্জলতর হয়ে মানবকল্যানে মহান আল্লাহর নির্দেশীত অবদান রেখে চলেছে তো চলেছেই- থামবেনা পৃথিবী ধ্বংসের আগ মহুর্ত পয্যন্ত।
ইসলাম ধর্মের অনুসারীগন সার্বজনীন ইসলামকে বিতর্কিত করার উদ্দেশ্যে, ইসলাম ধর্মের মহত্বকে সীমাবদ্ধ গন্ডিতে নিয়ে আসতে বিভিন্ন উপায়ে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ধর্মকে উপলক্ষ করে অতিধার্মীক গোষ্টি সমুহ বিভিন্নভাবে তাঁদের কর্মকান্ড পরিচালিত করে আসছে। ইসলামের প্রাথমিক যুগ হ'তে অদ্যাবদি তাঁদের এই প্রানান্তকর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।অথছ ইসলাম 'সার্বজনীন ধর্ম' এবং কোরান 'বিশ্ব মানবতা'র কল্যানে প্রেরীত 'পবিত্র গ্রন্থ' সেই কথাটিও অন্তরে দৃডভাবে পোষন করে-'ঐ শ্রেনীর অতিধার্মীক মুসলিমগন'।
মহান আল্লাহ মানব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে 'অতিরঞ্জনকে হারাম ঘোষনা করেছেন।' তাঁর পরও কোরানের সেই সমস্ত আয়াত সমুহের উপর তাঁদের চোখ পড়েনা।বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহের উদ্ধৃতি দিতে প্রয়োজনীয় কারনে সংকীর্নতার চিহ্ন যে সমস্ত আয়াতে বিধৃত হয়েছে বা হুজুরে পাকের বাণীতে এসেছে-সেই সমস্ত 'আয়াত এবং বানী' তাঁদের দৃষ্ট হয়। সংকির্ণতার নির্দেশ সমুহকে বিভিন্ন প্রকার মালমসলা সহযোগে 'করুন সুরের মিষ্টি মধুরতার উপমা' সহ বর্ণনার পারদর্শীতায় বিখ্যাত হওয়ার প্রানান্তকর চেষ্টা অব্যাহত রাখেন। শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগীতা না করে উদারতার প্রতিযোগীতায় মনোনিবেশ যদি ইসলামের প্রথমাবস্থা থেকে প্রচলন রাখতে সচেষ্ট হতেন-'তাহলে সংখ্যায় এতযুগের পর শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার মুসলিম জাতিই হ'তে পারত'। তাঁর একমাত্র প্রমান-ইসলামের প্রথম ও দ্বিতীয় শতকে প্রচার প্রসারে ইসলাম ধর্মের যতটুকু বিস্তৃতি ঘটেছিল তার পরবর্তীতে ইঞ্চি পরিমান অগ্রগতিও পরিলক্ষিত হয়না।
বরঞ্চ অনেক ক্ষেত্রেই পিছনের দিকে দাবিত হয়েছে। অথছ বিধর্মীরা কোরানের এক একটি শব্দ বা আয়াত গভেষনা করে করে 'আধুনিকতা এবং আবিষ্কারের' শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে চলেছে। অথছ মহান আল্লাহ কোর'আন প্রেরন করেছেন সমগ্র মানবজাতির জীবনমান উন্নত করার জন্য- মানব জাতীর অবিস্বাসী অংশ গ্রহন করে উন্নত হচ্ছে বিশ্বাসী অংশ 'অবশ্যই পালনীয়' অংশকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে বাদবাকী অংশকে ত্যাগ করে চরম অমানবিক জীবন যাপনের দিকে দাবিত হচ্ছে।বিশ্বাস এবং বিশ্বাস প্রয়োগের ক্ষেত্রে বৈপরিত্বের কারনে মুসলিম জাতি বিশ্বব্যাপি লাঞ্চিত, ধিকৃত, সন্ত্রাসী, যুদ্ধবাজ, অমাণবিক জাতি গোষ্টির পরিচয়ে পরিচিত হচ্ছে।যুগে যুগে চরম মুল্য পরিশোধ করে চলেছে। মহান আল্লহপাক বার বার বলেছেন 'কোরান তিনিই প্রেরন করেছেন' এবং তাঁরই "পবিত্রগ্রন্থ" তিনিই তাঁর 'সুরক্ষার জিম্মাদার।'আমরা তাঁর বিপরীতে নিজেরাই সুরক্ষার দায়িত্ব নিতে প্রতিযোগীতায় নেমেছি এবং একে অপরের সঙ্গে দখল বাজিতে জেতার রক্তস্রোতের লড়াই করে চলেছি।"ইসলামের সার্বজনীনতা ও মহত্বকে' ধারন করতে গিয়ে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই অতিরঞ্জনের দিকেই মনযোগী হচছে এবং ধর্মজ্ঞানে অজ্ঞদেরকেও টেনে নিয়ে ইসলামে কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ "সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাহাঙ্গামা, হত্যা, আত্মহত্যায়" প্ররোচিত করছে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু পাকভারত বিভক্তি নীজের চোখে দেখেছেন। জাতীগত বিভেদ,সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সমূহ গভীর দৃষ্টিতে অবলোকন করেছেন। ধর্মের অপব্যাবহার কত যে নিকৃষ্ট উপায়ে করা যায় দিব্যি অন্তর দিয়ে অনুভব করেছেন। অত্রঞ্চলের বাঙ্গালী মসুলমানদের মনমেজাজ সম্পর্কে জ্ঞান আহরন করেছেন।হিন্দু মসুলমানের পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক চিন্তাচেতনা গভীরভাবে ধারন করেছেন।ধর্মীয় উম্মাদনায় রক্তস্রোতের বন্যা দেখে মানবতাবাদি মন তাঁর ব্যাথিত হয়েছে।ধর্মকে ধারন পালন না করে শুধুমাত্র ব্যবহার করে ক্ষমতা লাভ করতে দেখেছেন।ক্ষমতার মসনদ পাকাপাকি করতে রাষ্ট্রীয় পয্যায় ধর্মের উস্কানী দেখেছেন।জাতিগত শোষনশাষন অব্যাহত রাখতে ধর্মকে ব্যবহার করে কিভাবে সফলতা পেয়েছেন তার ধরন অনুভব করেছেন।
সকল প্রকার শোষন শাষন অবসানের লক্ষে সুযোগ যখন পেয়েছেন তখনই তাঁর দীর্ঘ অভিজ্ঞতার সব সঞ্চয় ঢেলে দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতাকে রাজনীতির আদর্শ হিসেবে গ্রহন করেছেন।ধর্মনিরপেক্ষতা কখনই ধর্মহীনতা নয়।যদি তাই হত স্বাধীন বাংলাদেশের স্বল্পকালীন নতুন সরকার মাত্র সাড়ে তিনবছরের মধ্যে ইসলামের প্রচার প্রসারে মৌলিক কাজগুলি করে যেতেন না।তিনি প্রত্যেক ধর্মের জন্য যে কাজ গুলি করে গেছেন তাঁর সিকি পরিমান কাজ কি বিগত ৪০ বছরের মধ্যে আস্তিক সরকার, নাস্তিক সরকার, ফ্যাসিষ্ট সরকার, স্বৈরাচারী সরকার, তথাকথিত গনতান্ত্রিক সরকার সবাই মিলেও কি করতে পেরেছে?
ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ তিনি ধারন করেছিলেন রাষ্ট্রীয় পয্যায় সকল ধর্মকে সমমায্যদা দান করা।একধর্মকে অন্যধর্মের উপর নিপিড়ন করার সুযোগ না দেয়া। স্ব স্ব ধর্ম স্ব-স্ব-জাতী -গোষ্টি পালন করার সমান সুযোগ নিশ্চিতে রাজনৈতিক শক্তির সমুহকে নিরপেক্ষ থাকার নিশ্চয়তা। সংখ্যালুঘু ধর্মীয় গোষ্টির সমুহের মনের শংকা দূর করা। তাঁদের মনে রাষ্ট্রীয়ভাবে আস্থার সৃষ্টি করে দেশপ্রেমিক হতে আগ্রহী করে গড়ে তোলা। প্রত্যেক নাগরিকের সৃজনশীল মেধাকে বিকশীত করার সুযোগ দিয়ে রাষ্ট্রের উন্নতি অগ্রগতিতে অবদান রাখতে আগ্রহী করার মানষিকতা গড়ে তোলা। দেশের অভ্যন্তরে সকল ধর্মের বাংলাভাষাবাসীদের মননে একক জাতী সত্বার ধারনাকে দৃডভাবে প্রোথিত করে সাম্প্রদায়িক হানাহানিকে চিরতরে বিনাশ করে অসাম্প্রদায়িক চেতনা সমৃদ্ধ ধর্মনিরপেক্ষতাকে দলীয় আদর্শ রুপে গ্রহন করেছিলেন।
পৃথিবীর সকল প্রান্তে বসবাস রত: ইসলাম ধর্মালম্বিদের নিজস্ব জাতী সত্বা রয়েছে। ইসলাম ধর্মের উৎপত্তিস্থল সৌদী আরবের জনগন তাঁদের জাতীসত্বা নিয়ে গর্ব অনুভব করে।তাঁরা নীজেদেরকে আরবীয় জাতি হিসেবে পরিচয় তুলে ধরার সঙ্গে সঙ্গে জাতির জনকের আংশিক সংযুক্ত করে "সৌদী আরব" তাঁদের মাতৃভুমির নামকরন করেছে। আমাদের মধ্যে অনেকেই বলতে শুনা যায় জাতির 'জনক ইব্রাহীম (অ:)। ভাবখানা এমন মনে হয় তারা এখনই বেহেস্তের টিকেট হাতে পেয়ে গেছে। নিজের জাতি সত্বাকে অস্বীকার করাও যে বড়পাপ তা জেনেও বলে। অতি ধার্মীকতার পরিচয় তুলে ধরতে পিছনে বড় পাপের ধারনাই পোষন করে তা কয়জনই বা অবগত আছে।এই প্রজম্ম জানে না তাঁদেরকে এই দিক্ষা, আরা দিয়েছেন তাঁরাই কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলীকে জাতির পিতা বলতে গর্ব অনুভব করতেন। "কায়েদে আজম" ঐ শ্রেনীরই দেয়া উপাদি।মুসলিম জাতীর জনক অবশ্যই ইব্রাহীম (অ:).। ভাষাগত জাতী সত্বা, ভুখন্ডগত জাতীসত্বা, বর্ণগত জাতীসত্বা কখনই ধমীয় জাতী সত্বার সঙ্গে এক করে দেখা উচিৎ নয়। ইসলামেও এইরুপ কোন নির্দেশনা দেয় নাই। শুধুমাত্র আরব জাতীর জন্য ইসলাম ধর্মের প্রবর্তন হয় নাই,সমগ্র মানব জাতীর জন্যই ইসলাম ধর্মের অবির্ভাব ঘটেছে।নবী করিম (স:) বাঙ্গালীর ঘরে জম্ম নিলে পবিত্র কোরান বাংলা ভাষাতেই আল্লাহ পাঠাতেন, নবী (স:) ও বাঙ্গালীই হতেন।
তদ্রুপ আওয়ামী লীগের মধ্যে অনেকেই দলীয় আদর্শ ধর্মনিরপেক্ষতার আলখেল্লা গায়ে দিয়ে তাঁর উদ্দেশ্যের উদারতাকে কাজে লাগিয়ে হিন্দুদের সম্পদ দখল,বাড়ী ঘর থেকে উচ্ছেদ ইত্যাদি অপকর্ম চালিয়ে যাওয়ার মানষিকতা পোষন করে। প্রায়শ: দেখা যায় স্বার্থান্বেষি মহলটি দলের মহত্বকে খাটো করার অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়,২০১২ সালেও এহেন ঘটনা চোখে পড়েছে। সত্যকার অর্থে যদি নিজের চারপাশেও তাকিয়ে দেখি-'দেখা যায় আওয়ামী লীগের প্রভাব শালীদের দ্বারা যতবেশী হিন্দু সম্প্রদায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, অন্যান্ন দলের নেতাদের দ্বারা তাঁর সিকি পরিমানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি'। সাম্প্রদায়িক দল সমুহ বা অন্যান্ন দল ধর্মীয় উম্মাদনা সৃষ্টি করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করার চেষ্টায় রত: থাকে। ,আওয়ামীলীগ দলীয় দৃডভাবে অসাম্প্রদায়িক চেতনা পোষন করলেও অনেক নেতা নেতৃত্ব বাঁধাহীন করার ষড়যন্ত্র এবং হিন্দুদের সম্পদ লুটপাট করার কাজে হিন্দুদের বলির পাঠায় রুপান্তর করে। রাজনীতির ফায়দা হাসিল, সম্পদ কুক্ষিগত করার চক্রান্ত উভয়ের সংযোগে যুগে যুগে লাঞ্চিত হয়ে তাঁরা দেশত্যাগ করে ভিন্ন দেশে পাড়ি জমাতে বাধ্য হয়।ভারত বিভাগের প্রাক্কালে অত্র অঞ্চল সংখ্যায় বাঙ্গালী মসুলমান যদিও বেশী ছিল বাঙ্গালী হিন্দুও কম ছিলনা।বর্তমানে তাঁদের সংখ্যা কমে দশভাগের একাংশেও নিছে নেমে এসেছে।জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সংখ্যালুঘুদের উপর এহেন অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মানবতার ধর্ন্মকে প্রাধান্য দেয়ার উদ্দেশ্যেই ধর্মনিরপেক্ষতাকে দলের অন্যতম আদর্শ হিসেবে গ্রহন করেছিলেন।তাঁর সেই আদর্শকে বিতর্কীত করে নেতৃত্বকে বাধাহীন করার চক্রান্ত যারা করে তারা কাপুরুষ,বেঈমান, মোনাফেক। আর যুগে যুগেই এই অপকর্মটিই করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রভাশালী স্বার্থপর নেতারা। নাছির নগরের ঘটনা তদন্তে যদি এমনি কোন অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় তবে আশ্চায্য হওয়ার কিছুই থাকবে না।
ইসলাম ধর্মকে যেমন একশ্রেনীর মসুলমান সঠিক ভাবে ধারন করতে পারেনি তেমনি পার্থিব জীবনে মানবকল্যানে গৃহিত বঙ্গবন্ধুর ধর্মনিরপেক্ষতাকেও একশ্রেনীর আওয়ামী লীগার সঠিকভাবে ধারন করতে পারেনি। বার বার ঘটনা প্রবাহ তাঁরই সাক্ষী দিচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দলের অভ্যন্তরে বহু অপকর্মকারীকে ক্ষমা করে সংশোধন হওয়ার সুযোগ দিতে দেখা গেছে। কিন্তু দলীয় আদর্শ পরিপন্থি কাজে লিপ্ত থাকা কাউকে ক্ষমা করার নজীর নেই।এবং কি বঙ্গবন্ধুর একান্ত পুত্রতুল্য 'বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী' সাহেবকেও এমনতর অভিযোগ উঠার পর আর ক্ষমা করেননি। নিশ্চয়ই নাসির নগরের ষড়যন্ত্রকারীরা সিদ্দিকী পরিবারের চাইতে আওয়ামী পরিবারের জন্য বেশী অবদান রেখেছেন এমনতর কেউ নন।
" জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু"
masterruhulamin@gmail.com
(রুহুল আমিন মজুমদার)
_____________________________________________________
নাসির নগরের ঘটনা ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হওয়া শুরু হয়েছে। কেন, কি কারনে কোথা হতে নাসির ননগরের ঘটনার উৎপত্তি তার তথ্য স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। আমি কিছুদিন আগে এক হিন্দু মেয়ের আইডি পেইজবুক টাইম লাইনে পোষ্ট করে বলেছিলাম ষড়যন্ত্রকারিরা সুন্দরী হিন্দু মেয়ে অথবা অন্য যে কোন কারো নামে নামে ফ্যাক আইডি খুলে ষড়যন্ত্র করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। উল্লেখিত পোষ্ট করার মাসের মধ্যেই নাসির নগরের তদ্রুপ আইডির কারনে দেশ, জাতি, সরকার বিপুল ক্ষতির সম্মুখিন হয়ে গেল।
ব্যাক্তিগত ভাবে ছবি এডিট করার প্রক্রিয়া আমার চেয়ে ঢের বেশী জ্ঞানী, শিক্ষিত, মেধাবী অনেকেই এখন পয্যন্ত জানে না।সেখানে রসরাজের মত একজন অশিক্ষিত হিন্দুর ছেলে পেইজবুক আইডি খুলে ছবি এডিট করে পোষ্ট করতে পারবে, যারা বিশ্বাস করে বা বিশ্বাস করেছে তাঁরা আর যাই হোক--'হিতাহীত জ্ঞান শুন্য ব্যাক্তি-'এতে কোন সন্দেহ নাই।'
পৃথিবীর দেশে দেশে,যুগে যুগে সাম্প্রদায়িক হানাহানি,সংখ্যাগুরু কতৃক সংখ্যা লঘুদের নিয্যাতন,জাতিগত হানাহানি, বর্ণবৈষম্য, ধর্মীয় হানাহানী ইত্যাদি চলে আসছে। বাংলাদেশেও তদ্রুপ হবে না এমন কোন কথা নয়।মহান আল্লাহ তাঁর মহাগ্রন্থ পবিত্র কোর'আন তাঁর মনোনীত বন্ধু সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট মহামানব হযরত মোহাম্মদ (স:) নিকট প্রেরন কালে বিষয়টি উল্লেখ পুর্বক সতর্ক করে একাধিক আয়াত সংযোজন করে বলেছেন -'ধর্ম, জাতি, গোষ্টি ভেদে সম অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়টি।' সেই দৃষ্টিকোন থেকে নবী করিম (স:)ও সংখ্যা লুঘু বিধর্মীদের জানমাল হেফাজত করার দায়িত্ব সংখ্যা গুরু মুসলমানের অবশ্যই কর্তব্য, নৈতিক দায়িত্ব হিসবে পালনীয় কর্তব্য হিসেবে সাহাবীদের নির্দেশনা দিয়ে গেছেন।নবী (স:) যাহাই বলেছেন, করেছেন এবং তাঁর সামগ্রীক জীবন যাপন মহান আল্লাহর নির্দেশেই পরিচালিত হ'য়েছে-'এতে কোন সন্দেহ নেই'।যার ফলে তাঁর কোন বিষয়ে কোন কালে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে ভুল প্রমানীত হয়নি এবং কি ভবিষ্যতেও হবেনা। "আধুনিক যুগের 'শ্রেষ্ঠজ্ঞানীদের সৃষ্ট দর্শন' সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থ হচ্ছে বা আংশিক আবার পুর্ণজীবিত হচ্ছে কিন্তু অন্ধকার যুগের "শ্রেষ্ঠদর্শন কোরা'আন" আলোর দিশারী হয়ে মানবের কল্যানে স্বমহিমায় তাঁর আলোকরশ্মির দৃপ্তি উজ্জল থেকে উজ্জলতর হয়ে মানবকল্যানে মহান আল্লাহর নির্দেশীত অবদান রেখে চলেছে তো চলেছেই- থামবেনা পৃথিবী ধ্বংসের আগ মহুর্ত পয্যন্ত।
ইসলাম ধর্মের অনুসারীগন সার্বজনীন ইসলামকে বিতর্কিত করার উদ্দেশ্যে, ইসলাম ধর্মের মহত্বকে সীমাবদ্ধ গন্ডিতে নিয়ে আসতে বিভিন্ন উপায়ে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ধর্মকে উপলক্ষ করে অতিধার্মীক গোষ্টি সমুহ বিভিন্নভাবে তাঁদের কর্মকান্ড পরিচালিত করে আসছে। ইসলামের প্রাথমিক যুগ হ'তে অদ্যাবদি তাঁদের এই প্রানান্তকর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।অথছ ইসলাম 'সার্বজনীন ধর্ম' এবং কোরান 'বিশ্ব মানবতা'র কল্যানে প্রেরীত 'পবিত্র গ্রন্থ' সেই কথাটিও অন্তরে দৃডভাবে পোষন করে-'ঐ শ্রেনীর অতিধার্মীক মুসলিমগন'।
মহান আল্লাহ মানব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে 'অতিরঞ্জনকে হারাম ঘোষনা করেছেন।' তাঁর পরও কোরানের সেই সমস্ত আয়াত সমুহের উপর তাঁদের চোখ পড়েনা।বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহের উদ্ধৃতি দিতে প্রয়োজনীয় কারনে সংকীর্নতার চিহ্ন যে সমস্ত আয়াতে বিধৃত হয়েছে বা হুজুরে পাকের বাণীতে এসেছে-সেই সমস্ত 'আয়াত এবং বানী' তাঁদের দৃষ্ট হয়। সংকির্ণতার নির্দেশ সমুহকে বিভিন্ন প্রকার মালমসলা সহযোগে 'করুন সুরের মিষ্টি মধুরতার উপমা' সহ বর্ণনার পারদর্শীতায় বিখ্যাত হওয়ার প্রানান্তকর চেষ্টা অব্যাহত রাখেন। শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগীতা না করে উদারতার প্রতিযোগীতায় মনোনিবেশ যদি ইসলামের প্রথমাবস্থা থেকে প্রচলন রাখতে সচেষ্ট হতেন-'তাহলে সংখ্যায় এতযুগের পর শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার মুসলিম জাতিই হ'তে পারত'। তাঁর একমাত্র প্রমান-ইসলামের প্রথম ও দ্বিতীয় শতকে প্রচার প্রসারে ইসলাম ধর্মের যতটুকু বিস্তৃতি ঘটেছিল তার পরবর্তীতে ইঞ্চি পরিমান অগ্রগতিও পরিলক্ষিত হয়না।
বরঞ্চ অনেক ক্ষেত্রেই পিছনের দিকে দাবিত হয়েছে। অথছ বিধর্মীরা কোরানের এক একটি শব্দ বা আয়াত গভেষনা করে করে 'আধুনিকতা এবং আবিষ্কারের' শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে চলেছে। অথছ মহান আল্লাহ কোর'আন প্রেরন করেছেন সমগ্র মানবজাতির জীবনমান উন্নত করার জন্য- মানব জাতীর অবিস্বাসী অংশ গ্রহন করে উন্নত হচ্ছে বিশ্বাসী অংশ 'অবশ্যই পালনীয়' অংশকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে বাদবাকী অংশকে ত্যাগ করে চরম অমানবিক জীবন যাপনের দিকে দাবিত হচ্ছে।বিশ্বাস এবং বিশ্বাস প্রয়োগের ক্ষেত্রে বৈপরিত্বের কারনে মুসলিম জাতি বিশ্বব্যাপি লাঞ্চিত, ধিকৃত, সন্ত্রাসী, যুদ্ধবাজ, অমাণবিক জাতি গোষ্টির পরিচয়ে পরিচিত হচ্ছে।যুগে যুগে চরম মুল্য পরিশোধ করে চলেছে। মহান আল্লহপাক বার বার বলেছেন 'কোরান তিনিই প্রেরন করেছেন' এবং তাঁরই "পবিত্রগ্রন্থ" তিনিই তাঁর 'সুরক্ষার জিম্মাদার।'আমরা তাঁর বিপরীতে নিজেরাই সুরক্ষার দায়িত্ব নিতে প্রতিযোগীতায় নেমেছি এবং একে অপরের সঙ্গে দখল বাজিতে জেতার রক্তস্রোতের লড়াই করে চলেছি।"ইসলামের সার্বজনীনতা ও মহত্বকে' ধারন করতে গিয়ে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই অতিরঞ্জনের দিকেই মনযোগী হচছে এবং ধর্মজ্ঞানে অজ্ঞদেরকেও টেনে নিয়ে ইসলামে কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ "সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাহাঙ্গামা, হত্যা, আত্মহত্যায়" প্ররোচিত করছে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু পাকভারত বিভক্তি নীজের চোখে দেখেছেন। জাতীগত বিভেদ,সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সমূহ গভীর দৃষ্টিতে অবলোকন করেছেন। ধর্মের অপব্যাবহার কত যে নিকৃষ্ট উপায়ে করা যায় দিব্যি অন্তর দিয়ে অনুভব করেছেন। অত্রঞ্চলের বাঙ্গালী মসুলমানদের মনমেজাজ সম্পর্কে জ্ঞান আহরন করেছেন।হিন্দু মসুলমানের পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক চিন্তাচেতনা গভীরভাবে ধারন করেছেন।ধর্মীয় উম্মাদনায় রক্তস্রোতের বন্যা দেখে মানবতাবাদি মন তাঁর ব্যাথিত হয়েছে।ধর্মকে ধারন পালন না করে শুধুমাত্র ব্যবহার করে ক্ষমতা লাভ করতে দেখেছেন।ক্ষমতার মসনদ পাকাপাকি করতে রাষ্ট্রীয় পয্যায় ধর্মের উস্কানী দেখেছেন।জাতিগত শোষনশাষন অব্যাহত রাখতে ধর্মকে ব্যবহার করে কিভাবে সফলতা পেয়েছেন তার ধরন অনুভব করেছেন।
সকল প্রকার শোষন শাষন অবসানের লক্ষে সুযোগ যখন পেয়েছেন তখনই তাঁর দীর্ঘ অভিজ্ঞতার সব সঞ্চয় ঢেলে দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতাকে রাজনীতির আদর্শ হিসেবে গ্রহন করেছেন।ধর্মনিরপেক্ষতা কখনই ধর্মহীনতা নয়।যদি তাই হত স্বাধীন বাংলাদেশের স্বল্পকালীন নতুন সরকার মাত্র সাড়ে তিনবছরের মধ্যে ইসলামের প্রচার প্রসারে মৌলিক কাজগুলি করে যেতেন না।তিনি প্রত্যেক ধর্মের জন্য যে কাজ গুলি করে গেছেন তাঁর সিকি পরিমান কাজ কি বিগত ৪০ বছরের মধ্যে আস্তিক সরকার, নাস্তিক সরকার, ফ্যাসিষ্ট সরকার, স্বৈরাচারী সরকার, তথাকথিত গনতান্ত্রিক সরকার সবাই মিলেও কি করতে পেরেছে?
ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ তিনি ধারন করেছিলেন রাষ্ট্রীয় পয্যায় সকল ধর্মকে সমমায্যদা দান করা।একধর্মকে অন্যধর্মের উপর নিপিড়ন করার সুযোগ না দেয়া। স্ব স্ব ধর্ম স্ব-স্ব-জাতী -গোষ্টি পালন করার সমান সুযোগ নিশ্চিতে রাজনৈতিক শক্তির সমুহকে নিরপেক্ষ থাকার নিশ্চয়তা। সংখ্যালুঘু ধর্মীয় গোষ্টির সমুহের মনের শংকা দূর করা। তাঁদের মনে রাষ্ট্রীয়ভাবে আস্থার সৃষ্টি করে দেশপ্রেমিক হতে আগ্রহী করে গড়ে তোলা। প্রত্যেক নাগরিকের সৃজনশীল মেধাকে বিকশীত করার সুযোগ দিয়ে রাষ্ট্রের উন্নতি অগ্রগতিতে অবদান রাখতে আগ্রহী করার মানষিকতা গড়ে তোলা। দেশের অভ্যন্তরে সকল ধর্মের বাংলাভাষাবাসীদের মননে একক জাতী সত্বার ধারনাকে দৃডভাবে প্রোথিত করে সাম্প্রদায়িক হানাহানিকে চিরতরে বিনাশ করে অসাম্প্রদায়িক চেতনা সমৃদ্ধ ধর্মনিরপেক্ষতাকে দলীয় আদর্শ রুপে গ্রহন করেছিলেন।
পৃথিবীর সকল প্রান্তে বসবাস রত: ইসলাম ধর্মালম্বিদের নিজস্ব জাতী সত্বা রয়েছে। ইসলাম ধর্মের উৎপত্তিস্থল সৌদী আরবের জনগন তাঁদের জাতীসত্বা নিয়ে গর্ব অনুভব করে।তাঁরা নীজেদেরকে আরবীয় জাতি হিসেবে পরিচয় তুলে ধরার সঙ্গে সঙ্গে জাতির জনকের আংশিক সংযুক্ত করে "সৌদী আরব" তাঁদের মাতৃভুমির নামকরন করেছে। আমাদের মধ্যে অনেকেই বলতে শুনা যায় জাতির 'জনক ইব্রাহীম (অ:)। ভাবখানা এমন মনে হয় তারা এখনই বেহেস্তের টিকেট হাতে পেয়ে গেছে। নিজের জাতি সত্বাকে অস্বীকার করাও যে বড়পাপ তা জেনেও বলে। অতি ধার্মীকতার পরিচয় তুলে ধরতে পিছনে বড় পাপের ধারনাই পোষন করে তা কয়জনই বা অবগত আছে।এই প্রজম্ম জানে না তাঁদেরকে এই দিক্ষা, আরা দিয়েছেন তাঁরাই কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলীকে জাতির পিতা বলতে গর্ব অনুভব করতেন। "কায়েদে আজম" ঐ শ্রেনীরই দেয়া উপাদি।মুসলিম জাতীর জনক অবশ্যই ইব্রাহীম (অ:).। ভাষাগত জাতী সত্বা, ভুখন্ডগত জাতীসত্বা, বর্ণগত জাতীসত্বা কখনই ধমীয় জাতী সত্বার সঙ্গে এক করে দেখা উচিৎ নয়। ইসলামেও এইরুপ কোন নির্দেশনা দেয় নাই। শুধুমাত্র আরব জাতীর জন্য ইসলাম ধর্মের প্রবর্তন হয় নাই,সমগ্র মানব জাতীর জন্যই ইসলাম ধর্মের অবির্ভাব ঘটেছে।নবী করিম (স:) বাঙ্গালীর ঘরে জম্ম নিলে পবিত্র কোরান বাংলা ভাষাতেই আল্লাহ পাঠাতেন, নবী (স:) ও বাঙ্গালীই হতেন।
তদ্রুপ আওয়ামী লীগের মধ্যে অনেকেই দলীয় আদর্শ ধর্মনিরপেক্ষতার আলখেল্লা গায়ে দিয়ে তাঁর উদ্দেশ্যের উদারতাকে কাজে লাগিয়ে হিন্দুদের সম্পদ দখল,বাড়ী ঘর থেকে উচ্ছেদ ইত্যাদি অপকর্ম চালিয়ে যাওয়ার মানষিকতা পোষন করে। প্রায়শ: দেখা যায় স্বার্থান্বেষি মহলটি দলের মহত্বকে খাটো করার অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়,২০১২ সালেও এহেন ঘটনা চোখে পড়েছে। সত্যকার অর্থে যদি নিজের চারপাশেও তাকিয়ে দেখি-'দেখা যায় আওয়ামী লীগের প্রভাব শালীদের দ্বারা যতবেশী হিন্দু সম্প্রদায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, অন্যান্ন দলের নেতাদের দ্বারা তাঁর সিকি পরিমানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি'। সাম্প্রদায়িক দল সমুহ বা অন্যান্ন দল ধর্মীয় উম্মাদনা সৃষ্টি করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করার চেষ্টায় রত: থাকে। ,আওয়ামীলীগ দলীয় দৃডভাবে অসাম্প্রদায়িক চেতনা পোষন করলেও অনেক নেতা নেতৃত্ব বাঁধাহীন করার ষড়যন্ত্র এবং হিন্দুদের সম্পদ লুটপাট করার কাজে হিন্দুদের বলির পাঠায় রুপান্তর করে। রাজনীতির ফায়দা হাসিল, সম্পদ কুক্ষিগত করার চক্রান্ত উভয়ের সংযোগে যুগে যুগে লাঞ্চিত হয়ে তাঁরা দেশত্যাগ করে ভিন্ন দেশে পাড়ি জমাতে বাধ্য হয়।ভারত বিভাগের প্রাক্কালে অত্র অঞ্চল সংখ্যায় বাঙ্গালী মসুলমান যদিও বেশী ছিল বাঙ্গালী হিন্দুও কম ছিলনা।বর্তমানে তাঁদের সংখ্যা কমে দশভাগের একাংশেও নিছে নেমে এসেছে।জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সংখ্যালুঘুদের উপর এহেন অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মানবতার ধর্ন্মকে প্রাধান্য দেয়ার উদ্দেশ্যেই ধর্মনিরপেক্ষতাকে দলের অন্যতম আদর্শ হিসেবে গ্রহন করেছিলেন।তাঁর সেই আদর্শকে বিতর্কীত করে নেতৃত্বকে বাধাহীন করার চক্রান্ত যারা করে তারা কাপুরুষ,বেঈমান, মোনাফেক। আর যুগে যুগেই এই অপকর্মটিই করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রভাশালী স্বার্থপর নেতারা। নাছির নগরের ঘটনা তদন্তে যদি এমনি কোন অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় তবে আশ্চায্য হওয়ার কিছুই থাকবে না।
ইসলাম ধর্মকে যেমন একশ্রেনীর মসুলমান সঠিক ভাবে ধারন করতে পারেনি তেমনি পার্থিব জীবনে মানবকল্যানে গৃহিত বঙ্গবন্ধুর ধর্মনিরপেক্ষতাকেও একশ্রেনীর আওয়ামী লীগার সঠিকভাবে ধারন করতে পারেনি। বার বার ঘটনা প্রবাহ তাঁরই সাক্ষী দিচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দলের অভ্যন্তরে বহু অপকর্মকারীকে ক্ষমা করে সংশোধন হওয়ার সুযোগ দিতে দেখা গেছে। কিন্তু দলীয় আদর্শ পরিপন্থি কাজে লিপ্ত থাকা কাউকে ক্ষমা করার নজীর নেই।এবং কি বঙ্গবন্ধুর একান্ত পুত্রতুল্য 'বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী' সাহেবকেও এমনতর অভিযোগ উঠার পর আর ক্ষমা করেননি। নিশ্চয়ই নাসির নগরের ষড়যন্ত্রকারীরা সিদ্দিকী পরিবারের চাইতে আওয়ামী পরিবারের জন্য বেশী অবদান রেখেছেন এমনতর কেউ নন।
" জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু"
masterruhulamin@gmail.com
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন