নাসির নগরে মন্দির ভাংচুর, লুটপাট স্বার্থান্বেষী মহলের ঘোলা পানিতে মাছ শিকার--আপাত: দৃষ্টে তাই মনে হচ্ছে----

   নাসির নগরে মন্দির ভাংচুর,লুটপাট স্বার্থান্বেষী মহলের ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের ষড়যন্ত্র--আপাত: দৃষ্টে তাই মনে হচ্ছে-------
            (রুহুল আমিন মজুমদার)
_____________________________________________________
      নাসির নগরের ঘটনা ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হওয়া শুরু হয়েছে। কেন, কি কারনে কোথা হতে নাসির ননগরের ঘটনার উৎপত্তি তার তথ্য স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। আমি কিছুদিন আগে এক হিন্দু মেয়ের আইডি পেইজবুক টাইম লাইনে পোষ্ট করে বলেছিলাম ষড়যন্ত্রকারিরা সুন্দরী হিন্দু মেয়ে অথবা অন্য যে কোন কারো নামে  নামে ফ্যাক আইডি খুলে ষড়যন্ত্র করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। উল্লেখিত পোষ্ট করার মাসের মধ্যেই নাসির নগরের তদ্রুপ আইডির কারনে দেশ, জাতি, সরকার বিপুল ক্ষতির সম্মুখিন হয়ে গেল।
     ব্যাক্তিগত ভাবে ছবি এডিট করার প্রক্রিয়া আমার চেয়ে ঢের বেশী জ্ঞানী, শিক্ষিত, মেধাবী অনেকেই এখন পয্যন্ত জানে না।সেখানে রসরাজের মত একজন অশিক্ষিত হিন্দুর ছেলে পেইজবুক আইডি খুলে ছবি এডিট করে পোষ্ট করতে পারবে, যারা বিশ্বাস করে বা বিশ্বাস করেছে তাঁরা আর যাই হোক--'হিতাহীত জ্ঞান শুন্য ব্যাক্তি-'এতে কোন সন্দেহ নাই।'
      পৃথিবীর দেশে দেশে,যুগে যুগে সাম্প্রদায়িক হানাহানি,সংখ্যাগুরু কতৃক সংখ্যা লঘুদের নিয্যাতন,জাতিগত হানাহানি, বর্ণবৈষম্য, ধর্মীয় হানাহানী ইত্যাদি চলে আসছে। বাংলাদেশেও তদ্রুপ হবে না এমন কোন কথা নয়।মহান আল্লাহ তাঁর মহাগ্রন্থ পবিত্র কোর'আন তাঁর মনোনীত বন্ধু সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট মহামানব হযরত মোহাম্মদ (স:) নিকট প্রেরন কালে বিষয়টি উল্লেখ পুর্বক সতর্ক করে একাধিক আয়াত সংযোজন করে বলেছেন -'ধর্ম, জাতি, গোষ্টি ভেদে সম অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়টি।' সেই দৃষ্টিকোন থেকে নবী করিম (স:)ও সংখ্যা লুঘু বিধর্মীদের জানমাল হেফাজত করার দায়িত্ব সংখ্যা গুরু মুসলমানের অবশ্যই কর্তব্য, নৈতিক দায়িত্ব হিসবে পালনীয় কর্তব্য হিসেবে সাহাবীদের নির্দেশনা দিয়ে গেছেন।নবী (স:) যাহাই বলেছেন, করেছেন এবং তাঁর সামগ্রীক  জীবন যাপন মহান আল্লাহর নির্দেশেই পরিচালিত হ'য়েছে-'এতে কোন সন্দেহ নেই'।যার ফলে তাঁর কোন বিষয়ে কোন কালে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে ভুল প্রমানীত হয়নি এবং কি ভবিষ্যতেও হবেনা। "আধুনিক যুগের 'শ্রেষ্ঠজ্ঞানীদের সৃষ্ট দর্শন' সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থ হচ্ছে বা আংশিক আবার পুর্ণজীবিত হচ্ছে কিন্তু অন্ধকার যুগের "শ্রেষ্ঠদর্শন কোরা'আন" আলোর দিশারী হয়ে মানবের কল্যানে স্বমহিমায় তাঁর আলোকরশ্মির দৃপ্তি  উজ্জল থেকে উজ্জলতর হয়ে মানবকল্যানে মহান আল্লাহর নির্দেশীত অবদান রেখে চলেছে তো চলেছেই- থামবেনা পৃথিবী ধ্বংসের আগ মহুর্ত পয্যন্ত।
      ইসলাম ধর্মের অনুসারীগন সার্বজনীন ইসলামকে বিতর্কিত করার উদ্দেশ্যে, ইসলাম ধর্মের মহত্বকে সীমাবদ্ধ গন্ডিতে নিয়ে আসতে বিভিন্ন উপায়ে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ধর্মকে উপলক্ষ করে অতিধার্মীক গোষ্টি সমুহ বিভিন্নভাবে তাঁদের কর্মকান্ড পরিচালিত করে আসছে। ইসলামের প্রাথমিক যুগ হ'তে অদ্যাবদি তাঁদের এই প্রানান্তকর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।অথছ ইসলাম 'সার্বজনীন ধর্ম' এবং কোরান 'বিশ্ব মানবতা'র কল্যানে প্রেরীত 'পবিত্র গ্রন্থ' সেই কথাটিও অন্তরে দৃডভাবে পোষন করে-'ঐ শ্রেনীর অতিধার্মীক মুসলিমগন'।
    মহান আল্লাহ মানব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে 'অতিরঞ্জনকে হারাম ঘোষনা করেছেন।' তাঁর পরও কোরানের সেই সমস্ত আয়াত সমুহের উপর  তাঁদের চোখ পড়েনা।বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহের উদ্ধৃতি দিতে প্রয়োজনীয় কারনে সংকীর্নতার চিহ্ন যে সমস্ত  আয়াতে বিধৃত হয়েছে বা হুজুরে পাকের বাণীতে এসেছে-সেই সমস্ত 'আয়াত এবং বানী' তাঁদের দৃষ্ট হয়। সংকির্ণতার নির্দেশ সমুহকে বিভিন্ন প্রকার মালমসলা সহযোগে 'করুন সুরের মিষ্টি মধুরতার উপমা' সহ বর্ণনার পারদর্শীতায় বিখ্যাত হওয়ার প্রানান্তকর চেষ্টা অব্যাহত রাখেন। শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগীতা না করে উদারতার প্রতিযোগীতায় মনোনিবেশ যদি ইসলামের প্রথমাবস্থা থেকে প্রচলন রাখতে সচেষ্ট হতেন-'তাহলে সংখ্যায় এতযুগের পর শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার মুসলিম জাতিই হ'তে পারত'। তাঁর একমাত্র প্রমান-ইসলামের প্রথম ও দ্বিতীয় শতকে প্রচার প্রসারে ইসলাম ধর্মের যতটুকু বিস্তৃতি ঘটেছিল তার পরবর্তীতে ইঞ্চি পরিমান অগ্রগতিও পরিলক্ষিত হয়না।
    বরঞ্চ অনেক ক্ষেত্রেই পিছনের দিকে দাবিত হয়েছে। অথছ বিধর্মীরা কোরানের এক একটি শব্দ বা আয়াত গভেষনা করে করে 'আধুনিকতা এবং আবিষ্কারের' শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে চলেছে। অথছ মহান আল্লাহ কোর'আন প্রেরন করেছেন সমগ্র মানবজাতির জীবনমান উন্নত করার জন্য- মানব জাতীর অবিস্বাসী অংশ গ্রহন করে উন্নত হচ্ছে বিশ্বাসী অংশ 'অবশ্যই পালনীয়' অংশকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে বাদবাকী অংশকে ত্যাগ করে চরম অমানবিক জীবন যাপনের দিকে দাবিত হচ্ছে।বিশ্বাস এবং বিশ্বাস প্রয়োগের ক্ষেত্রে বৈপরিত্বের কারনে মুসলিম জাতি বিশ্বব্যাপি লাঞ্চিত, ধিকৃত, সন্ত্রাসী, যুদ্ধবাজ, অমাণবিক জাতি গোষ্টির পরিচয়ে পরিচিত হচ্ছে।যুগে যুগে চরম মুল্য পরিশোধ করে চলেছে। মহান আল্লহপাক বার বার বলেছেন 'কোরান তিনিই প্রেরন করেছেন' এবং তাঁরই "পবিত্রগ্রন্থ" তিনিই তাঁর 'সুরক্ষার জিম্মাদার।'আমরা তাঁর বিপরীতে নিজেরাই সুরক্ষার দায়িত্ব নিতে প্রতিযোগীতায় নেমেছি এবং একে অপরের সঙ্গে দখল বাজিতে জেতার রক্তস্রোতের লড়াই করে চলেছি।"ইসলামের সার্বজনীনতা ও মহত্বকে' ধারন করতে গিয়ে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই অতিরঞ্জনের দিকেই মনযোগী হচছে এবং  ধর্মজ্ঞানে অজ্ঞদেরকেও টেনে নিয়ে ইসলামে কঠোর ভাবে  নিষিদ্ধ "সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাহাঙ্গামা, হত্যা, আত্মহত্যায়" প্ররোচিত করছে।
           জাতির জনক বঙ্গবন্ধু পাকভারত বিভক্তি নীজের চোখে দেখেছেন। জাতীগত বিভেদ,সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সমূহ গভীর দৃষ্টিতে অবলোকন করেছেন। ধর্মের অপব্যাবহার কত যে নিকৃষ্ট উপায়ে করা যায় দিব্যি অন্তর দিয়ে অনুভব করেছেন। অত্রঞ্চলের বাঙ্গালী মসুলমানদের মনমেজাজ সম্পর্কে জ্ঞান আহরন করেছেন।হিন্দু মসুলমানের পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক চিন্তাচেতনা গভীরভাবে ধারন করেছেন।ধর্মীয় উম্মাদনায় রক্তস্রোতের বন্যা দেখে মানবতাবাদি মন তাঁর ব্যাথিত হয়েছে।ধর্মকে ধারন পালন না করে শুধুমাত্র ব্যবহার করে ক্ষমতা লাভ করতে দেখেছেন।ক্ষমতার মসনদ পাকাপাকি করতে রাষ্ট্রীয় পয্যায় ধর্মের উস্কানী দেখেছেন।জাতিগত শোষনশাষন অব্যাহত রাখতে ধর্মকে ব্যবহার করে কিভাবে সফলতা পেয়েছেন তার ধরন অনুভব করেছেন।
    সকল প্রকার শোষন শাষন অবসানের লক্ষে সুযোগ যখন পেয়েছেন তখনই তাঁর দীর্ঘ অভিজ্ঞতার সব সঞ্চয় ঢেলে দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতাকে রাজনীতির আদর্শ হিসেবে গ্রহন করেছেন।ধর্মনিরপেক্ষতা কখনই ধর্মহীনতা নয়।যদি তাই হত স্বাধীন বাংলাদেশের স্বল্পকালীন নতুন সরকার মাত্র সাড়ে তিনবছরের মধ্যে ইসলামের প্রচার প্রসারে মৌলিক কাজগুলি করে যেতেন না।তিনি প্রত্যেক ধর্মের জন্য যে কাজ গুলি করে গেছেন তাঁর সিকি পরিমান কাজ কি বিগত ৪০ বছরের মধ্যে  আস্তিক সরকার, নাস্তিক সরকার, ফ্যাসিষ্ট সরকার, স্বৈরাচারী সরকার, তথাকথিত গনতান্ত্রিক সরকার সবাই মিলেও কি করতে পেরেছে?
    ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ তিনি ধারন করেছিলেন রাষ্ট্রীয় পয্যায় সকল ধর্মকে সমমায্যদা দান করা।একধর্মকে অন্যধর্মের উপর নিপিড়ন করার সুযোগ না দেয়া। স্ব স্ব ধর্ম স্ব-স্ব-জাতী -গোষ্টি পালন করার সমান সুযোগ নিশ্চিতে রাজনৈতিক শক্তির সমুহকে নিরপেক্ষ থাকার নিশ্চয়তা।  সংখ্যালুঘু ধর্মীয় গোষ্টির সমুহের মনের শংকা দূর করা। তাঁদের মনে রাষ্ট্রীয়ভাবে আস্থার সৃষ্টি করে  দেশপ্রেমিক হতে আগ্রহী করে গড়ে তোলা। প্রত্যেক নাগরিকের সৃজনশীল মেধাকে বিকশীত করার সুযোগ দিয়ে রাষ্ট্রের উন্নতি অগ্রগতিতে অবদান রাখতে আগ্রহী করার মানষিকতা গড়ে তোলা।  দেশের অভ্যন্তরে সকল ধর্মের বাংলাভাষাবাসীদের মননে একক জাতী সত্বার ধারনাকে দৃডভাবে প্রোথিত করে সাম্প্রদায়িক হানাহানিকে চিরতরে বিনাশ করে অসাম্প্রদায়িক চেতনা সমৃদ্ধ ধর্মনিরপেক্ষতাকে দলীয় আদর্শ রুপে গ্রহন করেছিলেন।
      পৃথিবীর সকল প্রান্তে বসবাস রত:  ইসলাম ধর্মালম্বিদের নিজস্ব জাতী সত্বা রয়েছে। ইসলাম ধর্মের উৎপত্তিস্থল সৌদী আরবের জনগন তাঁদের জাতীসত্বা নিয়ে গর্ব অনুভব করে।তাঁরা নীজেদেরকে আরবীয় জাতি হিসেবে পরিচয় তুলে ধরার সঙ্গে সঙ্গে জাতির জনকের আংশিক সংযুক্ত করে "সৌদী আরব" তাঁদের মাতৃভুমির নামকরন করেছে। আমাদের মধ্যে অনেকেই বলতে শুনা যায় জাতির 'জনক ইব্রাহীম (অ:)। ভাবখানা এমন মনে হয় তারা এখনই বেহেস্তের টিকেট হাতে পেয়ে গেছে। নিজের জাতি সত্বাকে অস্বীকার করাও যে বড়পাপ তা জেনেও বলে। অতি ধার্মীকতার পরিচয় তুলে ধরতে পিছনে বড় পাপের ধারনাই পোষন করে তা কয়জনই বা অবগত আছে।এই প্রজম্ম জানে না তাঁদেরকে এই দিক্ষা, আরা দিয়েছেন তাঁরাই কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলীকে জাতির পিতা বলতে গর্ব অনুভব করতেন। "কায়েদে আজম" ঐ শ্রেনীরই  দেয়া উপাদি।মুসলিম জাতীর জনক অবশ্যই ইব্রাহীম (অ:).। ভাষাগত  জাতী সত্বা, ভুখন্ডগত জাতীসত্বা, বর্ণগত জাতীসত্বা কখনই ধমীয় জাতী সত্বার সঙ্গে এক করে দেখা উচিৎ নয়। ইসলামেও এইরুপ কোন নির্দেশনা দেয় নাই। শুধুমাত্র আরব জাতীর জন্য ইসলাম ধর্মের প্রবর্তন হয় নাই,সমগ্র মানব জাতীর জন্যই ইসলাম ধর্মের অবির্ভাব ঘটেছে।নবী করিম (স:) বাঙ্গালীর ঘরে জম্ম নিলে পবিত্র কোরান বাংলা ভাষাতেই  আল্লাহ পাঠাতেন, নবী (স:) ও বাঙ্গালীই  হতেন।
   
      তদ্রুপ আওয়ামী লীগের মধ্যে অনেকেই দলীয় আদর্শ ধর্মনিরপেক্ষতার আলখেল্লা গায়ে দিয়ে তাঁর উদ্দেশ্যের উদারতাকে কাজে লাগিয়ে হিন্দুদের সম্পদ দখল,বাড়ী ঘর থেকে উচ্ছেদ ইত্যাদি অপকর্ম চালিয়ে যাওয়ার মানষিকতা পোষন করে। প্রায়শ: দেখা যায়  স্বার্থান্বেষি মহলটি দলের মহত্বকে খাটো করার অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়,২০১২ সালেও এহেন ঘটনা চোখে পড়েছে। সত্যকার অর্থে যদি নিজের চারপাশেও তাকিয়ে দেখি-'দেখা যায় আওয়ামী লীগের প্রভাব শালীদের দ্বারা যতবেশী হিন্দু সম্প্রদায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, অন্যান্ন দলের নেতাদের দ্বারা তাঁর সিকি পরিমানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি'। সাম্প্রদায়িক দল সমুহ বা অন্যান্ন দল ধর্মীয় উম্মাদনা সৃষ্টি করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করার চেষ্টায় রত: থাকে। ,আওয়ামীলীগ দলীয় দৃডভাবে অসাম্প্রদায়িক চেতনা পোষন করলেও অনেক নেতা  নেতৃত্ব বাঁধাহীন করার ষড়যন্ত্র এবং হিন্দুদের সম্পদ লুটপাট করার কাজে হিন্দুদের বলির পাঠায় রুপান্তর করে। রাজনীতির ফায়দা হাসিল, সম্পদ কুক্ষিগত করার চক্রান্ত উভয়ের সংযোগে যুগে যুগে লাঞ্চিত হয়ে তাঁরা দেশত্যাগ করে ভিন্ন দেশে পাড়ি জমাতে বাধ্য হয়।ভারত বিভাগের প্রাক্কালে অত্র অঞ্চল সংখ্যায় বাঙ্গালী মসুলমান যদিও বেশী ছিল বাঙ্গালী হিন্দুও কম ছিলনা।বর্তমানে তাঁদের সংখ্যা কমে দশভাগের একাংশেও নিছে নেমে এসেছে।জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সংখ্যালুঘুদের উপর এহেন অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মানবতার ধর্ন্মকে প্রাধান্য দেয়ার উদ্দেশ্যেই ধর্মনিরপেক্ষতাকে দলের অন্যতম আদর্শ হিসেবে গ্রহন করেছিলেন।তাঁর সেই আদর্শকে বিতর্কীত করে নেতৃত্বকে বাধাহীন করার চক্রান্ত যারা করে তারা কাপুরুষ,বেঈমান, মোনাফেক। আর যুগে যুগেই এই অপকর্মটিই করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রভাশালী স্বার্থপর নেতারা। নাছির নগরের ঘটনা তদন্তে যদি এমনি কোন অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় তবে আশ্চায্য হওয়ার কিছুই থাকবে না।
  ইসলাম ধর্মকে যেমন একশ্রেনীর মসুলমান সঠিক ভাবে ধারন করতে পারেনি তেমনি পার্থিব জীবনে মানবকল্যানে গৃহিত বঙ্গবন্ধুর ধর্মনিরপেক্ষতাকেও একশ্রেনীর আওয়ামী লীগার সঠিকভাবে ধারন করতে পারেনি। বার বার ঘটনা প্রবাহ তাঁরই সাক্ষী দিচ্ছে।
     বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দলের অভ্যন্তরে বহু অপকর্মকারীকে ক্ষমা করে সংশোধন হওয়ার সুযোগ দিতে দেখা গেছে। কিন্তু দলীয় আদর্শ পরিপন্থি কাজে লিপ্ত থাকা কাউকে ক্ষমা করার নজীর নেই।এবং কি বঙ্গবন্ধুর একান্ত পুত্রতুল্য 'বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী' সাহেবকেও এমনতর অভিযোগ উঠার পর আর ক্ষমা করেননি। নিশ্চয়ই নাসির নগরের ষড়যন্ত্রকারীরা সিদ্দিকী পরিবারের চাইতে  আওয়ামী পরিবারের জন্য বেশী অবদান রেখেছেন এমনতর কেউ নন।
   
                    " জয়বাংলা         জয়বঙ্গবন্ধু"
   
                      masterruhulamin@gmail.com

   

x

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন