হাছিনা বিহীন নির্বাচন--"যত্রতত্র মৃত্যু ফাঁদ" সঙ্গী একমাত্র মহান আল্লাহ।
হাসিনা বিহীন নির্বাচন---'যত্রতত্র মৃত্যু ফাঁদ' সঙ্গী মহান আল্লাহর কৃপা'।
( রুহুল আমিন মজুমদার)
অ-শীতিপর বৃদ্ধা এক 'মা' জাতির জনকের কন্যার দীর্ঘায়ু এবং আ-মৃত্যু ক্ষমতায় থাকার নিয়তে ১০১ বার 'কোরানে পাক' খতম দেয়ার নিয়ত করেছেন। সাবেক প্রধান মন্ত্রী এবং তাঁর দোসরেরা '২০১৯ সালে হাসিনা বিহীন নির্বাচনের নিয়ত করেছেন। অপরদিকে যুবদলের নেতা কতৃক 'নাসির নগরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার দায়দায়িত্ব' স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। পবিত্র কা'বা ঘরের উপর মুর্তি স্থাপন করে ছবি এডিট করে 'রসরাজ' এর নামে ফ্যাক আইডি খোলার কথাও স্বীকার করেছেন।
২০১৫ সালে 'হেফাজতে ইসলাম' ইসলাম রক্ষার ইমানী দায়িত্বে শাফলাচত্বরে অবস্থান নিলে একদল লোক লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ব্যাংকবীমা লুট, পবিত্র কোরানে আগুন দিয়ে হাজার হাজার কপি কোরান পুড়ে দেয়ার দৃশ্য মিডিয়ায় তাৎক্ষনিক সম্প্রচার সারাদেশের মানুষ দেখেছে।পরবর্তীতে একশ্রেনীর মানুষ অধিক পুণ্যের আশায় প্রচারে নামতে দেখা গেছ এবং তাঁদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল কোন এক হিন্দু যুবক কতৃক কোরানের কপিতে আগুন দিয়েছিল! হিন্দু যুবক কতৃক আগুন দেয়ার সত্যতা প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে 'কোরান যে পুঁড়েছে' প্রকারান্তরে স্বীকার করে নিয়েছেন।
যদিও লাখ লাখ জনতার সমাবেশে দুই চার হাজার "অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী" যাওয়ার সাহষ করার কথা নয়।তারপরও তাঁরা বলেছে আমরা আমজনতা বিশ্বাস করেছিলাম।কোন মসুলমান কতৃক কোরানে আগুন দেয়া সম্ভব নয়-- "চক্রান্ত বিশ্বাস করার মুলে ছিল আমাদের এই দৃড বিশ্বাস।"
সেই--ছোট বেলা থেকে দেখে আসছিলাম কোন হিন্দু বন্ধু বান্ধবকে মসজিদ, কবরস্থানের আসেপাশে নিয়ে আড্ডা দিতে পারিনি।আমরা মুসলিম বন্ধুরা যেখানে যে অবস্থায় থাকিনা কেন- মসজিদের বারান্দা, কবরস্থানের বড় গাছের ছায়ায় গরমে বিশ্রাম নিতে বা আড্ডা দিতে বসে পড়েছি। আপনারা কেউ কি আপনাদের একান্ত হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান বন্ধুকে এইরুপ আড্ডায় সা'মিল করতে পেরেছেন? তাঁরা যদিও অন্যধর্ম পালন করে ইসলাম ধর্মকে ভয় করে, মসজিদকে ভয় করে, কোরানের ব্যাপারটি তো তাঁদের নিকট 'জম সমতুল্য'।বরঞ্চ আমরা মুসলিমেরা তাঁদের উপাসনালয় বা গ্রন্থকে ভয় করিনা ; আমরা মনে করি আমদের ধর্মই শ্রেষ্ঠ,তাঁদের ধর্ম মিথ্যা।অবশ্যই ইসলাম শ্রেষ্ঠ ধর্ম এবং সার্বজনীন মানবতার ধর্ম।আল্লাহ পাকও বলেছেন ইসলামই তাঁর প্রেরীত একমাত্র সত্য ধর্ম। রাসুলেপাক (স:) বলেন--"সকলের নিকট সকলের ধর্ম বড়"। অন্যদিকে লক্ষ করলে দেখা যায় --" আল্লাহ হাশরের ময়দানে সমগ্র মানব জাতি এবং জ্বিন জাতির বিচার করবেন; একক মসুলমান ধর্মের অনুসারীদের নয়"।
আগের আলোচনায় ফিরে আসি- হিন্দু যুবক কর্তৃক কোরান অবমাননা বা কোরানে আগুন দেয়ার একাধিক ছবি নিয়মিত অন-লাইনে দেখা যায়।দেশী বিদেশী এত এত জাতীয় পত্রিকা, মিডিয়া, সাংবাদিক থাকা সত্বেও কারো নজরে এই দৃশ্যটি দেখা না গেলেও একশ্রেনীর অন-লাইনার বন্ধু দৃশ্যটি ঠিকই দেখেন। তাঁরা ছবিগুলি নিয়মিত পোষ্টিং দিয়ে লেখেন--"আপনার শরীরে একবিন্দু পরিমান মুসলিমের রক্ত যদি প্রভাহিত হয়ে থাকে তাহলে সত্বর ছবিটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন বিশ্বব্যাপি"।
ছবিটি দেখামাত্রই একশ্রেনীর পেইজবুকার অধিক পুণ্যের আশায় বা সহজে বেহেস্তে যাওয়ার উছিলা সৃষ্টির 'সহজ পথের সন্ধান' পেয়ে দ্রুত শেয়ার করতে থাকেন। যদিও ছবিটির উৎপত্তিস্থল কোথায়, কে প্রথম পোষ্ট করেছিল-'কেহ-ই জানেনা'। প্রকারান্তরে-- প্রথমত: 'ছবি বিশ্বাস' করে ইমান ধ্বংশ করেছে ; দ্বিতীয়ত: শেয়ার করে তাঁর মত আরো অনেককে বিশ্বাস করিয়ে-"তাঁদের 'ঈমানও ধ্বংসের' অংশীদারিত্ব কাঁধে তোলে নিয়েছে। ইহা ঘটছে একমাত্র, ইসলামের প্রতি আমাদের অজ্ঞতাহেতু অতিরিক্ত অনুরাগের কারনে। ইসলামের প্রতি মানুষের চরম ভক্তি শ্রদ্ধাকে পুঁজি করে অশুভ শক্তি যুগে যুগে তাঁদের স্বার্থ হাসিল করার কাজে লিপ্ত রয়েছে।
হেফাজতের সমাবেশে কথিত যে হিন্দু যুবক 'কোরানে' আগুন দিয়েছিল- 'সেই হিন্দু যুবকের ছবিটি তাঁরা কখনই আপলোড করেনা।' ভারত, নেপাল, আমেরিকায় কোরান অবমাননার ছবি আপলোড করতে দেখা যায়--নীজের দেশে 'ঢাকার শাফলা চত্বরে'র হাজার হাজার কোরানের কপি পোঁড়ানো সেই হিন্দু যুবকটির 'কোরানে আগুন দেয়ার ছবিটি' কখন-ই আপলোড হয়না কেন?
আমার বহু লেখায় বলার চেষ্টা করেছি- এই অশুভশক্তি তাঁদের নীজেদের কায়েমী স্বার্থে করতে পারেনা বা পারবেনা এমন কোন কাজ নেই।আমাদের অহংকার,বাঙ্গালী জাতির অন্যতম গর্ব মুক্তিযুদ্ধের দিকে তাকালেই বুঝা যায় তাঁদের দ্বারা কি সম্ভব কি সম্ভব নয়! বাঙ্গালী হয়ে বাঙ্গালী 'মা-বোনদেরকে তাঁরা বিজাতীয় সেনাদের হাতে তুলে দিতেও কুন্ঠাবোধ করেনি।হাজার হাজার বাঙ্গালীকে হত্যা করে ফতোয়া দেয়া হয়েছিল-"বাঙ্গালী কাফের হত্যা করা জায়েজ, বাঙ্গালী মা-বোনেরা 'গানিমতের মাল',তাঁদের ধর্ষন করা জায়েজ, ইসলাম ধর্মসম্মত।" সেই রাজাকারদের বিচার কায্যক্রম বানচাল করার জন্য অন্যান্ন নাশকতার সঙ্গে কোরানে আগুন দিয়ে শতশত কপি পুড়িয়ে দিতেও তালঁদের সামালন্য হাত কাঁপেনি। অশুভ শক্তিকে নিয়ন্ত্রনে বা অন্যকোন ষড়যন্ত্রের আঁছ পেয়ে হেফাজতের আমীর আর কোনদিন রাজপথেই নামেননি এবং কি তাঁর জামাতাকে রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক নিয্যাতনের বিরুদ্ধেও আন্দোলনে নামতে অস্বিকৃতি জানিয়ে ২০দলীয় জোটের প্রতিনীধিকে ফিরিয়ে দিয়েছেন।
মুক্তিযুদ্ধের পরেও হাজারো ঘটনা তাঁরা সংঘটিত করেছে ইসলামের নামে। তাঁদের সাম্প্রতিক ঘটনা নাসির নগর সংখ্যা লুঘু হিন্দুদের উপর নিয্যাতন করার উদ্দেশ্যে 'পবিত্র কাবা ঘরে'র উপর 'মুর্তিস্থাপন' তাঁরই সাক্ষ বহন করে।তাঁর আগে রামুতেও একই ঘটনা ঘটিয়েছিল চক্রটি। ২০০১ ইং সালের বিভৎসতা বাঙ্গালী জাতি হাজার বছরেও ভুলতে পারবে কিনা জানিনা।বর্তমানেও মায়ানমারের চলমান রোহিঙ্গাদের উপর পাশবিক নিয্যাতনের 'অধিকাংশ মিথ্যা বানোয়াট বিভৎস ছবি' আপলোড করে এদেশের 'বৌদ্ধ সম্প্রদায়ে'র উপর হামলার ক্ষেত্র প্রস্তুত করার তাঁদের অপ-কৌশল আমরা দেখেছি। জনগন এবং সদাশয় সরকারের কঠোর নজরদারির কারনে তাঁদের সেই চেষ্টা সফল হয়নি।
রোহিঙ্গারা আমাদের মুসলিম ভাই সত্য-বাংলাদেশের নাগরিক নয়। বৌদ্ধ ধর্মালম্বিরা মুসলিম নয়- বাংলাদেশের নাগরিক।মুসলিম ভাইদের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়া প্রত্যেক মুসলিমের নৈতিক দায়িত্ব অনস্বিকায্য; সংখ্যা লুঘু বৌদ্ধদের জান মাল রক্ষা করাও প্রত্যেক ইমানদার মুসলিমের 'ইমানি দায়িত্ব' ইহাও সত্য। তবে সীমান্ত রেখা আমাদের সেই দায়িত্ব পালনে বাধাগ্রস্ত করেছে কিন্তু বৌদ্ধদের রক্ষায় সীমান্তের কোন বাঁধা নেই।এই দৃষ্টিকোণ থেকে রোহিঙ্গাদের রক্ষা করা বাংলাদেশের মসুলমানদের জন্য আবশ্যক নয় ; বৌদ্ধদের রক্ষা করা মুসলমানদের অবশ্যই ধর্মীয় কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। যেহেতু কোরানের নির্দেশনা রয়েছে-- "ধর্মীয় সংখ্যা লুঘুদের জানমাল রক্ষা করা; তাঁদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করার সর্ব উচ্চ সুযোগ নিশ্চিত করার কথা"। শুধুমাত্র পবিত্র কোরানে উল্লেখ তা নয় ; নবী করিম (স:) তাঁর বিদায় হজ্বের ভাষনেও বিষয়টি অত্যান্ত গুরুত্ব সহকারে তাঁর সাহাবীদের প্রতি নির্দেশনা এবং অনুসরন করার কথা বলে গেছেন।
আমাদের আম মুসলিমের অজ্ঞতাকে পুঁজি করে অশুভ চক্রটি বার বার ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়ে বিপথে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ব্রতি হয়। বার বার আমাদের 'স্বল্প পুঁজির ইমান আকিদা'র প্রতি তাঁরা আঘাত নিয়ে আসার চেষ্টা করে। 'কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ' অগ্নিপুজক হলেও তাঁর হাতেই তুলে দিয়েছিল ইসলাম রক্ষার দায়িত্ব অশুভ চক্রটি। অপদিকে এ, কে ফজলুল হক, সরওয়ার্দী পাক্কা ইসলামধর্মের অনুসারী ইমানদার মুসলিম হলেও চক্রটির নজরে পড়ে নাই।
জাতির জনক স্বল্পসময়ের শাষনে রাষ্ট্রীয় পয্যায় ইসলামের মৌলিক কাজ গুলি সম্পাদন করে এবং বাস্তব জীবনে ইসলামী অনুশাষন মেনে চলার পরেও অশুভশক্তির দৃষ্টিতে ইসলামের দুশমন! ইসলামের জন্যে 'বালু পরিমান' অবদান না রেখে এবং জাতির জনক কতৃক নিষিদ্ধ ইসলাম বিরুধী কর্মকান্ড--" মদ জুয়া, পতিতাবৃত্তির ন্যায় ইসলামে ঘৃনিত সব কাজগুলি পুণ: অনুমোদন দিয়ে জিয়া তাঁদের জন্যে 'ইসলামের রক্ষক'।
'শেখ হাসিনা' ৩০ বছরের অধিক তথাকথিত ইসলামের শাষক কতৃক ঝুলিয়ে রাখা সকল মাদ্রাসাকে একযোগে সরকারি অনুমোদন, প্রতিটি উপজেলা চত্বরে হাইরাইজ অত্যাধুনিক মসজিদ স্থাপন, ব্যাক্তিজীবনে ইসলামী অনুশাষন মেনেও হয়ে গেলেন 'ইসলাম বিরুধী সরকার প্রধান'। পক্ষান্তরে ইসলামের অনুকুলে 'চিমটি পরিমান' উল্লেখ করার মত কোন অবদান না থাকা সত্বেও এবং নীজের জীবনাচারে ইসলামের কোন চিহ্ন না রাখা সত্বেও 'খালেদা জিয়া' তাঁদের নিকট হয়ে গেলেন 'অশুভশক্তির ইমাম।'
বিগত দিনে বিরুধীদলে থাকা অবস্থায় বা সরকারে থেকেও কমপক্ষে উনিশ বার হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রান্ত হয়েছেন 'শেখ হাসিনা'। সেই সব হত্যাকান্ড ঘটানোর চক্রান্তকে ক্ষমতার দর্পে আওয়ামীলীগের অভ্যন্তরীন কোন্দলে সৃষ্ট হামলা বলে প্রচার করতেও তাদের লজ্জাবোধ হ'তনা। ২১ শে আগষ্ট এর বিভৎস ঘটনাকে 'জর্জ মিয়া' নাটক সাজিয়ে কিভাবে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হয়েছিল সারা জাতি ইতিমধ্যে অবগত হয়েছে।বিএনপির নেতারাও উদাহরন হিসেবে যে কোন হত্যাকান্ডকে "জর্জ মিয়া" নাটক সাজানোর বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারন করতে দেখা যায়।তাঁরা এতই নিলজ্জ যে, নীজের ঘটনাকেই প্রত্যহ উদাহরণ হিসেবে টেনে আনতেও বিবেকে বাঁধেনা, লজ্জাবোধ হয়না।
ইদানিং চক্রটির পৃষ্টপোষক খালেদা জিয়ার কন্ঠে একটি বাক্য উচ্চারন হতে শুনা যায়-" নির্বাচন হবে যথাসময়ে, সেই নির্বাচন শেখ হাসিনা বিহীন নির্বাচন"। এখানেই বিমান বন্দরে শেখ হাসিনাকে বহনকারি বিমানের সামনে ধাতব পদার্থ পড়ে থাকার গুপ্ত রহস্য।এখানেই নিহীত রয়েছে বিমানের ইঞ্জিন বিকল হওয়ার রহস্য।এখানেই লুকিয়ে আছে বিমান অবতরনে বিলম্ব করার কারন।বিমান উড্ডয়নের আগে যান্ত্রিক পরিক্ষায় বিমান বন্দরের যে ইঞ্জিনিয়ারিং টিম দায়িত্ব পালন করেছে তাঁদের কাছেই রয়েছে ষড়যন্ত্রের সকল তথ্য উপাত্ত।যার হাতে নাট দেখার রেন্স ছিল, যিনি তদারকির দায়িত্ব ছিলেন তাঁরা উভয়েই জানে ষড়যন্ত্রের কাহিনী। 'নাট টাইট দেয়ার নাম করে খুলে দিয়েছিল সেই ইঞ্জিনিয়ার যার হাতে রেন্স ছিল।আগে থেকেই যদি নাট খোলা থাকবে বিমান কতঘন্টা বন্দরে ছিল? মবিল তখন পড়ে নাই কেন? উড়ার পর নাট খুলতে পারেনা, মবিল পড়তে পারেনা। সুতারাং দায়িত্বরত: ইঞ্জিনিয়ারদের কে জিজ্ঞাসাবাদ করে অতি সহজে এই ঘটনার রহস্য উম্মোচন করা সম্ভব। সহজ কাজটিকে যে চক্র কঠিন করে তুলতে চাইবে সেই চক্রই জড়িত ছিল 'শেখ হাসিনা'কে বিমান বিধ্বংসে হত্যা প্রচেষ্টায়।কোন অজুহাতেই এবারের চক্রান্তকারীদের রেহাই দেয়া সম্ভব হবেনা।রাজপথে জনতা নেমে পড়েছে-- চক্রান্তকারীদের বিষদাঁত উপড়ে ফেলার আগে ঘরে ফিরবেনা।
অশুভ চক্র আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে শেখ হাসিনার অগ্রযাত্রাকে প্রতিহত করতে না পেরে গুপ্তহত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।মহান আল্লাহর অপরিসীম রহমত শেখ হাসিনার প্রতি নির্দেশীত বিধায় বার বার তাঁরা ব্যর্থ হচ্ছে।অপর দিকে ইসলাম ধর্মকে বিকৃত ব্যাখ্যা করে তাঁর নাফরমানি করার কারনে তাদের উপর মহান আল্লাহ সরাসরি গজব নাজেল করেছে।আমার অভিমতে অনেকেই নাখোস হ'তে পারেন-আমি নিম্নে কিঞ্চিত উদাহরন তুলে ধরে আমার উক্তির যৌক্তিকতার প্রমান দিচ্ছি--
পাঠক বন্ধুগন, লক্ষ করবেন-- হেফাজত শাফলা চত্বরে যখন ইসলাম রক্ষার আন্দোলনে ব্যাস্ত ঠিক তখন তাঁরাই প্রচার করেছিল১৪০০বছর আগের কোরানের 'প্রথম সংস্করন' এক 'খ্রিষ্টানের ঘরে রক্ষিত' পাওয়া গেছে।আমি বলব--"বিধর্মীর ঘরে বংশ পস্পরায় ১৪০০ বছর আগের মহান আল্লাহ কোরান হেফাজত করে নজির দেখিয়েছেন--"কোন মানব জাতি ষড়যন্ত্র সফল করার উদ্দেশ্যে আল্লাহর কোরান হেফাজতকারি হতে পারে না।" মহান আল্লাহ স্বয়ং তাঁর প্রেরিত ধর্ম এবং পবিত্র গ্রন্থ আল- কোরা'নের হেফাজতকারি। লক্ষ করুন--"শতশত বছর পার হয়ে গেলেও উক্ত বিষয়টি প্রকাশিত হয়নি--হেফাজত কতৃক 'ইসলাম ধর্ম রক্ষার আন্দোলন' চলার প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপুর্ণ বিষয়টি প্রকাশ হয়েছে।" বাংলাদেশের তথাকথিত 'ইসলাম হেফাজতকারি বা ইসলামের ধ্বজাধারী জামায়াত নেতার ঘরে শতবছর আগের কোরানের চেড়া পাতাও পাওয়া যাবে কিনা যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে"।যারা মনস্থীর করেছেন বিষয়টি নিয়ে তর্কে লিপ্ত হবেন তাদের প্রতি বিনীত অনুরুধ থাকবে--"তর্কে আসার আগে আপনার নীজের ঘরটি তল্লাসি করে দেখুন, আপনি পান কিনা।"
পবিত্র কোরানে ঘোষিত উক্ত আয়াতটি ঐ সমস্ত জ্ঞানী গুনী আলেম নিজে পড়ে, জেনে, শুনে, সম্যক বুঝে "কোরান হেফাজত বা ইসলাম হেফাজতের" নামে দেশব্যাপি লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, পবিত্র কোরানে আগুন দিয়ে শত শত কপি পুড়িয়ে দেয়ার তান্ডব চালিয়েছে। আল্লাহ তাঁদের ইসলামবিরুধী,কোরানের নির্দেশ বিরুধী কর্মে নাখোশ না হয়ে যেই পরিবার বাংলাদেশে ইসলামের প্রচার প্রসার ঘটানোর একান্ত মনোবাসনায় ধর্ম নিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করেও নিবৃত্তে, নিরবে, নিয়ন্তর ধর্মের উন্নতির কাজ করে যাচ্ছেন- সেই পরিবারের প্রতি নাখোস হবে? যার জন্য শতবছরের অশীতিপর বৃদ্ধা শতবার কোরান খতম করে, লক্ষ লক্ষ মানুষ দিনরাত শুভকামনায় মগ্ন থাকে - তাঁদের দোয়া আল্লাহ কবুল করবেনা, অশুভ শক্তির মৃত্যুকামনা কবুল করবে?
ruhulaminmujumder27@gmail.com
"জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু"
( রুহুল আমিন মজুমদার)
অ-শীতিপর বৃদ্ধা এক 'মা' জাতির জনকের কন্যার দীর্ঘায়ু এবং আ-মৃত্যু ক্ষমতায় থাকার নিয়তে ১০১ বার 'কোরানে পাক' খতম দেয়ার নিয়ত করেছেন। সাবেক প্রধান মন্ত্রী এবং তাঁর দোসরেরা '২০১৯ সালে হাসিনা বিহীন নির্বাচনের নিয়ত করেছেন। অপরদিকে যুবদলের নেতা কতৃক 'নাসির নগরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার দায়দায়িত্ব' স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। পবিত্র কা'বা ঘরের উপর মুর্তি স্থাপন করে ছবি এডিট করে 'রসরাজ' এর নামে ফ্যাক আইডি খোলার কথাও স্বীকার করেছেন।
২০১৫ সালে 'হেফাজতে ইসলাম' ইসলাম রক্ষার ইমানী দায়িত্বে শাফলাচত্বরে অবস্থান নিলে একদল লোক লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ব্যাংকবীমা লুট, পবিত্র কোরানে আগুন দিয়ে হাজার হাজার কপি কোরান পুড়ে দেয়ার দৃশ্য মিডিয়ায় তাৎক্ষনিক সম্প্রচার সারাদেশের মানুষ দেখেছে।পরবর্তীতে একশ্রেনীর মানুষ অধিক পুণ্যের আশায় প্রচারে নামতে দেখা গেছ এবং তাঁদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল কোন এক হিন্দু যুবক কতৃক কোরানের কপিতে আগুন দিয়েছিল! হিন্দু যুবক কতৃক আগুন দেয়ার সত্যতা প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে 'কোরান যে পুঁড়েছে' প্রকারান্তরে স্বীকার করে নিয়েছেন।
যদিও লাখ লাখ জনতার সমাবেশে দুই চার হাজার "অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী" যাওয়ার সাহষ করার কথা নয়।তারপরও তাঁরা বলেছে আমরা আমজনতা বিশ্বাস করেছিলাম।কোন মসুলমান কতৃক কোরানে আগুন দেয়া সম্ভব নয়-- "চক্রান্ত বিশ্বাস করার মুলে ছিল আমাদের এই দৃড বিশ্বাস।"
সেই--ছোট বেলা থেকে দেখে আসছিলাম কোন হিন্দু বন্ধু বান্ধবকে মসজিদ, কবরস্থানের আসেপাশে নিয়ে আড্ডা দিতে পারিনি।আমরা মুসলিম বন্ধুরা যেখানে যে অবস্থায় থাকিনা কেন- মসজিদের বারান্দা, কবরস্থানের বড় গাছের ছায়ায় গরমে বিশ্রাম নিতে বা আড্ডা দিতে বসে পড়েছি। আপনারা কেউ কি আপনাদের একান্ত হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান বন্ধুকে এইরুপ আড্ডায় সা'মিল করতে পেরেছেন? তাঁরা যদিও অন্যধর্ম পালন করে ইসলাম ধর্মকে ভয় করে, মসজিদকে ভয় করে, কোরানের ব্যাপারটি তো তাঁদের নিকট 'জম সমতুল্য'।বরঞ্চ আমরা মুসলিমেরা তাঁদের উপাসনালয় বা গ্রন্থকে ভয় করিনা ; আমরা মনে করি আমদের ধর্মই শ্রেষ্ঠ,তাঁদের ধর্ম মিথ্যা।অবশ্যই ইসলাম শ্রেষ্ঠ ধর্ম এবং সার্বজনীন মানবতার ধর্ম।আল্লাহ পাকও বলেছেন ইসলামই তাঁর প্রেরীত একমাত্র সত্য ধর্ম। রাসুলেপাক (স:) বলেন--"সকলের নিকট সকলের ধর্ম বড়"। অন্যদিকে লক্ষ করলে দেখা যায় --" আল্লাহ হাশরের ময়দানে সমগ্র মানব জাতি এবং জ্বিন জাতির বিচার করবেন; একক মসুলমান ধর্মের অনুসারীদের নয়"।
আগের আলোচনায় ফিরে আসি- হিন্দু যুবক কর্তৃক কোরান অবমাননা বা কোরানে আগুন দেয়ার একাধিক ছবি নিয়মিত অন-লাইনে দেখা যায়।দেশী বিদেশী এত এত জাতীয় পত্রিকা, মিডিয়া, সাংবাদিক থাকা সত্বেও কারো নজরে এই দৃশ্যটি দেখা না গেলেও একশ্রেনীর অন-লাইনার বন্ধু দৃশ্যটি ঠিকই দেখেন। তাঁরা ছবিগুলি নিয়মিত পোষ্টিং দিয়ে লেখেন--"আপনার শরীরে একবিন্দু পরিমান মুসলিমের রক্ত যদি প্রভাহিত হয়ে থাকে তাহলে সত্বর ছবিটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন বিশ্বব্যাপি"।
ছবিটি দেখামাত্রই একশ্রেনীর পেইজবুকার অধিক পুণ্যের আশায় বা সহজে বেহেস্তে যাওয়ার উছিলা সৃষ্টির 'সহজ পথের সন্ধান' পেয়ে দ্রুত শেয়ার করতে থাকেন। যদিও ছবিটির উৎপত্তিস্থল কোথায়, কে প্রথম পোষ্ট করেছিল-'কেহ-ই জানেনা'। প্রকারান্তরে-- প্রথমত: 'ছবি বিশ্বাস' করে ইমান ধ্বংশ করেছে ; দ্বিতীয়ত: শেয়ার করে তাঁর মত আরো অনেককে বিশ্বাস করিয়ে-"তাঁদের 'ঈমানও ধ্বংসের' অংশীদারিত্ব কাঁধে তোলে নিয়েছে। ইহা ঘটছে একমাত্র, ইসলামের প্রতি আমাদের অজ্ঞতাহেতু অতিরিক্ত অনুরাগের কারনে। ইসলামের প্রতি মানুষের চরম ভক্তি শ্রদ্ধাকে পুঁজি করে অশুভ শক্তি যুগে যুগে তাঁদের স্বার্থ হাসিল করার কাজে লিপ্ত রয়েছে।
হেফাজতের সমাবেশে কথিত যে হিন্দু যুবক 'কোরানে' আগুন দিয়েছিল- 'সেই হিন্দু যুবকের ছবিটি তাঁরা কখনই আপলোড করেনা।' ভারত, নেপাল, আমেরিকায় কোরান অবমাননার ছবি আপলোড করতে দেখা যায়--নীজের দেশে 'ঢাকার শাফলা চত্বরে'র হাজার হাজার কোরানের কপি পোঁড়ানো সেই হিন্দু যুবকটির 'কোরানে আগুন দেয়ার ছবিটি' কখন-ই আপলোড হয়না কেন?
আমার বহু লেখায় বলার চেষ্টা করেছি- এই অশুভশক্তি তাঁদের নীজেদের কায়েমী স্বার্থে করতে পারেনা বা পারবেনা এমন কোন কাজ নেই।আমাদের অহংকার,বাঙ্গালী জাতির অন্যতম গর্ব মুক্তিযুদ্ধের দিকে তাকালেই বুঝা যায় তাঁদের দ্বারা কি সম্ভব কি সম্ভব নয়! বাঙ্গালী হয়ে বাঙ্গালী 'মা-বোনদেরকে তাঁরা বিজাতীয় সেনাদের হাতে তুলে দিতেও কুন্ঠাবোধ করেনি।হাজার হাজার বাঙ্গালীকে হত্যা করে ফতোয়া দেয়া হয়েছিল-"বাঙ্গালী কাফের হত্যা করা জায়েজ, বাঙ্গালী মা-বোনেরা 'গানিমতের মাল',তাঁদের ধর্ষন করা জায়েজ, ইসলাম ধর্মসম্মত।" সেই রাজাকারদের বিচার কায্যক্রম বানচাল করার জন্য অন্যান্ন নাশকতার সঙ্গে কোরানে আগুন দিয়ে শতশত কপি পুড়িয়ে দিতেও তালঁদের সামালন্য হাত কাঁপেনি। অশুভ শক্তিকে নিয়ন্ত্রনে বা অন্যকোন ষড়যন্ত্রের আঁছ পেয়ে হেফাজতের আমীর আর কোনদিন রাজপথেই নামেননি এবং কি তাঁর জামাতাকে রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক নিয্যাতনের বিরুদ্ধেও আন্দোলনে নামতে অস্বিকৃতি জানিয়ে ২০দলীয় জোটের প্রতিনীধিকে ফিরিয়ে দিয়েছেন।
মুক্তিযুদ্ধের পরেও হাজারো ঘটনা তাঁরা সংঘটিত করেছে ইসলামের নামে। তাঁদের সাম্প্রতিক ঘটনা নাসির নগর সংখ্যা লুঘু হিন্দুদের উপর নিয্যাতন করার উদ্দেশ্যে 'পবিত্র কাবা ঘরে'র উপর 'মুর্তিস্থাপন' তাঁরই সাক্ষ বহন করে।তাঁর আগে রামুতেও একই ঘটনা ঘটিয়েছিল চক্রটি। ২০০১ ইং সালের বিভৎসতা বাঙ্গালী জাতি হাজার বছরেও ভুলতে পারবে কিনা জানিনা।বর্তমানেও মায়ানমারের চলমান রোহিঙ্গাদের উপর পাশবিক নিয্যাতনের 'অধিকাংশ মিথ্যা বানোয়াট বিভৎস ছবি' আপলোড করে এদেশের 'বৌদ্ধ সম্প্রদায়ে'র উপর হামলার ক্ষেত্র প্রস্তুত করার তাঁদের অপ-কৌশল আমরা দেখেছি। জনগন এবং সদাশয় সরকারের কঠোর নজরদারির কারনে তাঁদের সেই চেষ্টা সফল হয়নি।
রোহিঙ্গারা আমাদের মুসলিম ভাই সত্য-বাংলাদেশের নাগরিক নয়। বৌদ্ধ ধর্মালম্বিরা মুসলিম নয়- বাংলাদেশের নাগরিক।মুসলিম ভাইদের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়া প্রত্যেক মুসলিমের নৈতিক দায়িত্ব অনস্বিকায্য; সংখ্যা লুঘু বৌদ্ধদের জান মাল রক্ষা করাও প্রত্যেক ইমানদার মুসলিমের 'ইমানি দায়িত্ব' ইহাও সত্য। তবে সীমান্ত রেখা আমাদের সেই দায়িত্ব পালনে বাধাগ্রস্ত করেছে কিন্তু বৌদ্ধদের রক্ষায় সীমান্তের কোন বাঁধা নেই।এই দৃষ্টিকোণ থেকে রোহিঙ্গাদের রক্ষা করা বাংলাদেশের মসুলমানদের জন্য আবশ্যক নয় ; বৌদ্ধদের রক্ষা করা মুসলমানদের অবশ্যই ধর্মীয় কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। যেহেতু কোরানের নির্দেশনা রয়েছে-- "ধর্মীয় সংখ্যা লুঘুদের জানমাল রক্ষা করা; তাঁদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করার সর্ব উচ্চ সুযোগ নিশ্চিত করার কথা"। শুধুমাত্র পবিত্র কোরানে উল্লেখ তা নয় ; নবী করিম (স:) তাঁর বিদায় হজ্বের ভাষনেও বিষয়টি অত্যান্ত গুরুত্ব সহকারে তাঁর সাহাবীদের প্রতি নির্দেশনা এবং অনুসরন করার কথা বলে গেছেন।
আমাদের আম মুসলিমের অজ্ঞতাকে পুঁজি করে অশুভ চক্রটি বার বার ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়ে বিপথে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ব্রতি হয়। বার বার আমাদের 'স্বল্প পুঁজির ইমান আকিদা'র প্রতি তাঁরা আঘাত নিয়ে আসার চেষ্টা করে। 'কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ' অগ্নিপুজক হলেও তাঁর হাতেই তুলে দিয়েছিল ইসলাম রক্ষার দায়িত্ব অশুভ চক্রটি। অপদিকে এ, কে ফজলুল হক, সরওয়ার্দী পাক্কা ইসলামধর্মের অনুসারী ইমানদার মুসলিম হলেও চক্রটির নজরে পড়ে নাই।
জাতির জনক স্বল্পসময়ের শাষনে রাষ্ট্রীয় পয্যায় ইসলামের মৌলিক কাজ গুলি সম্পাদন করে এবং বাস্তব জীবনে ইসলামী অনুশাষন মেনে চলার পরেও অশুভশক্তির দৃষ্টিতে ইসলামের দুশমন! ইসলামের জন্যে 'বালু পরিমান' অবদান না রেখে এবং জাতির জনক কতৃক নিষিদ্ধ ইসলাম বিরুধী কর্মকান্ড--" মদ জুয়া, পতিতাবৃত্তির ন্যায় ইসলামে ঘৃনিত সব কাজগুলি পুণ: অনুমোদন দিয়ে জিয়া তাঁদের জন্যে 'ইসলামের রক্ষক'।
'শেখ হাসিনা' ৩০ বছরের অধিক তথাকথিত ইসলামের শাষক কতৃক ঝুলিয়ে রাখা সকল মাদ্রাসাকে একযোগে সরকারি অনুমোদন, প্রতিটি উপজেলা চত্বরে হাইরাইজ অত্যাধুনিক মসজিদ স্থাপন, ব্যাক্তিজীবনে ইসলামী অনুশাষন মেনেও হয়ে গেলেন 'ইসলাম বিরুধী সরকার প্রধান'। পক্ষান্তরে ইসলামের অনুকুলে 'চিমটি পরিমান' উল্লেখ করার মত কোন অবদান না থাকা সত্বেও এবং নীজের জীবনাচারে ইসলামের কোন চিহ্ন না রাখা সত্বেও 'খালেদা জিয়া' তাঁদের নিকট হয়ে গেলেন 'অশুভশক্তির ইমাম।'
বিগত দিনে বিরুধীদলে থাকা অবস্থায় বা সরকারে থেকেও কমপক্ষে উনিশ বার হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রান্ত হয়েছেন 'শেখ হাসিনা'। সেই সব হত্যাকান্ড ঘটানোর চক্রান্তকে ক্ষমতার দর্পে আওয়ামীলীগের অভ্যন্তরীন কোন্দলে সৃষ্ট হামলা বলে প্রচার করতেও তাদের লজ্জাবোধ হ'তনা। ২১ শে আগষ্ট এর বিভৎস ঘটনাকে 'জর্জ মিয়া' নাটক সাজিয়ে কিভাবে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হয়েছিল সারা জাতি ইতিমধ্যে অবগত হয়েছে।বিএনপির নেতারাও উদাহরন হিসেবে যে কোন হত্যাকান্ডকে "জর্জ মিয়া" নাটক সাজানোর বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারন করতে দেখা যায়।তাঁরা এতই নিলজ্জ যে, নীজের ঘটনাকেই প্রত্যহ উদাহরণ হিসেবে টেনে আনতেও বিবেকে বাঁধেনা, লজ্জাবোধ হয়না।
ইদানিং চক্রটির পৃষ্টপোষক খালেদা জিয়ার কন্ঠে একটি বাক্য উচ্চারন হতে শুনা যায়-" নির্বাচন হবে যথাসময়ে, সেই নির্বাচন শেখ হাসিনা বিহীন নির্বাচন"। এখানেই বিমান বন্দরে শেখ হাসিনাকে বহনকারি বিমানের সামনে ধাতব পদার্থ পড়ে থাকার গুপ্ত রহস্য।এখানেই নিহীত রয়েছে বিমানের ইঞ্জিন বিকল হওয়ার রহস্য।এখানেই লুকিয়ে আছে বিমান অবতরনে বিলম্ব করার কারন।বিমান উড্ডয়নের আগে যান্ত্রিক পরিক্ষায় বিমান বন্দরের যে ইঞ্জিনিয়ারিং টিম দায়িত্ব পালন করেছে তাঁদের কাছেই রয়েছে ষড়যন্ত্রের সকল তথ্য উপাত্ত।যার হাতে নাট দেখার রেন্স ছিল, যিনি তদারকির দায়িত্ব ছিলেন তাঁরা উভয়েই জানে ষড়যন্ত্রের কাহিনী। 'নাট টাইট দেয়ার নাম করে খুলে দিয়েছিল সেই ইঞ্জিনিয়ার যার হাতে রেন্স ছিল।আগে থেকেই যদি নাট খোলা থাকবে বিমান কতঘন্টা বন্দরে ছিল? মবিল তখন পড়ে নাই কেন? উড়ার পর নাট খুলতে পারেনা, মবিল পড়তে পারেনা। সুতারাং দায়িত্বরত: ইঞ্জিনিয়ারদের কে জিজ্ঞাসাবাদ করে অতি সহজে এই ঘটনার রহস্য উম্মোচন করা সম্ভব। সহজ কাজটিকে যে চক্র কঠিন করে তুলতে চাইবে সেই চক্রই জড়িত ছিল 'শেখ হাসিনা'কে বিমান বিধ্বংসে হত্যা প্রচেষ্টায়।কোন অজুহাতেই এবারের চক্রান্তকারীদের রেহাই দেয়া সম্ভব হবেনা।রাজপথে জনতা নেমে পড়েছে-- চক্রান্তকারীদের বিষদাঁত উপড়ে ফেলার আগে ঘরে ফিরবেনা।
অশুভ চক্র আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে শেখ হাসিনার অগ্রযাত্রাকে প্রতিহত করতে না পেরে গুপ্তহত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।মহান আল্লাহর অপরিসীম রহমত শেখ হাসিনার প্রতি নির্দেশীত বিধায় বার বার তাঁরা ব্যর্থ হচ্ছে।অপর দিকে ইসলাম ধর্মকে বিকৃত ব্যাখ্যা করে তাঁর নাফরমানি করার কারনে তাদের উপর মহান আল্লাহ সরাসরি গজব নাজেল করেছে।আমার অভিমতে অনেকেই নাখোস হ'তে পারেন-আমি নিম্নে কিঞ্চিত উদাহরন তুলে ধরে আমার উক্তির যৌক্তিকতার প্রমান দিচ্ছি--
পাঠক বন্ধুগন, লক্ষ করবেন-- হেফাজত শাফলা চত্বরে যখন ইসলাম রক্ষার আন্দোলনে ব্যাস্ত ঠিক তখন তাঁরাই প্রচার করেছিল১৪০০বছর আগের কোরানের 'প্রথম সংস্করন' এক 'খ্রিষ্টানের ঘরে রক্ষিত' পাওয়া গেছে।আমি বলব--"বিধর্মীর ঘরে বংশ পস্পরায় ১৪০০ বছর আগের মহান আল্লাহ কোরান হেফাজত করে নজির দেখিয়েছেন--"কোন মানব জাতি ষড়যন্ত্র সফল করার উদ্দেশ্যে আল্লাহর কোরান হেফাজতকারি হতে পারে না।" মহান আল্লাহ স্বয়ং তাঁর প্রেরিত ধর্ম এবং পবিত্র গ্রন্থ আল- কোরা'নের হেফাজতকারি। লক্ষ করুন--"শতশত বছর পার হয়ে গেলেও উক্ত বিষয়টি প্রকাশিত হয়নি--হেফাজত কতৃক 'ইসলাম ধর্ম রক্ষার আন্দোলন' চলার প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপুর্ণ বিষয়টি প্রকাশ হয়েছে।" বাংলাদেশের তথাকথিত 'ইসলাম হেফাজতকারি বা ইসলামের ধ্বজাধারী জামায়াত নেতার ঘরে শতবছর আগের কোরানের চেড়া পাতাও পাওয়া যাবে কিনা যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে"।যারা মনস্থীর করেছেন বিষয়টি নিয়ে তর্কে লিপ্ত হবেন তাদের প্রতি বিনীত অনুরুধ থাকবে--"তর্কে আসার আগে আপনার নীজের ঘরটি তল্লাসি করে দেখুন, আপনি পান কিনা।"
পবিত্র কোরানে ঘোষিত উক্ত আয়াতটি ঐ সমস্ত জ্ঞানী গুনী আলেম নিজে পড়ে, জেনে, শুনে, সম্যক বুঝে "কোরান হেফাজত বা ইসলাম হেফাজতের" নামে দেশব্যাপি লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, পবিত্র কোরানে আগুন দিয়ে শত শত কপি পুড়িয়ে দেয়ার তান্ডব চালিয়েছে। আল্লাহ তাঁদের ইসলামবিরুধী,কোরানের নির্দেশ বিরুধী কর্মে নাখোশ না হয়ে যেই পরিবার বাংলাদেশে ইসলামের প্রচার প্রসার ঘটানোর একান্ত মনোবাসনায় ধর্ম নিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করেও নিবৃত্তে, নিরবে, নিয়ন্তর ধর্মের উন্নতির কাজ করে যাচ্ছেন- সেই পরিবারের প্রতি নাখোস হবে? যার জন্য শতবছরের অশীতিপর বৃদ্ধা শতবার কোরান খতম করে, লক্ষ লক্ষ মানুষ দিনরাত শুভকামনায় মগ্ন থাকে - তাঁদের দোয়া আল্লাহ কবুল করবেনা, অশুভ শক্তির মৃত্যুকামনা কবুল করবে?
ruhulaminmujumder27@gmail.com
"জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু"


মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন