হাছিনা বিহীন নির্বাচন--"যত্রতত্র মৃত্যু ফাঁদ" সঙ্গী একমাত্র মহান আল্লাহ।

হাসিনা বিহীন নির্বাচন---'যত্রতত্র মৃত্যু ফাঁদ'  সঙ্গী মহান আল্লাহর কৃপা'।
          ( রুহুল আমিন মজুমদার)
     অ-শীতিপর বৃদ্ধা এক 'মা' জাতির জনকের কন্যার দীর্ঘায়ু এবং আ-মৃত্যু  ক্ষমতায় থাকার নিয়তে ১০১ বার 'কোরানে পাক' খতম দেয়ার নিয়ত করেছেন। সাবেক  প্রধান মন্ত্রী এবং তাঁর দোসরেরা '২০১৯ সালে হাসিনা  বিহীন নির্বাচনের নিয়ত করেছেন। অপরদিকে যুবদলের নেতা কতৃক 'নাসির নগরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার দায়দায়িত্ব' স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। পবিত্র কা'বা ঘরের উপর মুর্তি স্থাপন করে ছবি এডিট করে 'রসরাজ' এর নামে ফ্যাক আইডি খোলার কথাও স্বীকার করেছেন।
       ২০১৫ সালে 'হেফাজতে ইসলাম' ইসলাম রক্ষার ইমানী দায়িত্বে শাফলাচত্বরে অবস্থান নিলে একদল লোক লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ব্যাংকবীমা লুট, পবিত্র কোরানে আগুন দিয়ে হাজার হাজার কপি কোরান পুড়ে দেয়ার দৃশ্য মিডিয়ায় তাৎক্ষনিক সম্প্রচার সারাদেশের মানুষ দেখেছে।পরবর্তীতে একশ্রেনীর মানুষ অধিক পুণ্যের আশায়  প্রচারে নামতে দেখা গেছ এবং তাঁদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল কোন এক হিন্দু যুবক কতৃক কোরানের কপিতে আগুন দিয়েছিল! হিন্দু যুবক কতৃক আগুন দেয়ার সত্যতা প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে 'কোরান যে পুঁড়েছে' প্রকারান্তরে স্বীকার করে নিয়েছেন।
যদিও লাখ লাখ জনতার সমাবেশে দুই চার হাজার "অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী" যাওয়ার সাহষ করার কথা নয়।তারপরও তাঁরা বলেছে আমরা আমজনতা বিশ্বাস করেছিলাম।কোন মসুলমান কতৃক কোরানে আগুন দেয়া সম্ভব নয়-- "চক্রান্ত বিশ্বাস করার মুলে ছিল আমাদের এই দৃড বিশ্বাস।"
সেই--ছোট বেলা থেকে দেখে আসছিলাম কোন হিন্দু বন্ধু বান্ধবকে মসজিদ, কবরস্থানের আসেপাশে নিয়ে আড্ডা দিতে পারিনি।আমরা মুসলিম বন্ধুরা যেখানে যে অবস্থায় থাকিনা কেন- মসজিদের বারান্দা, কবরস্থানের বড় গাছের ছায়ায় গরমে বিশ্রাম নিতে বা আড্ডা দিতে বসে পড়েছি। আপনারা  কেউ কি আপনাদের একান্ত হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান বন্ধুকে এইরুপ আড্ডায় সা'মিল করতে পেরেছেন? তাঁরা যদিও অন্যধর্ম পালন করে ইসলাম ধর্মকে ভয় করে, মসজিদকে ভয় করে, কোরানের ব্যাপারটি তো তাঁদের নিকট 'জম সমতুল্য'।বরঞ্চ আমরা মুসলিমেরা তাঁদের উপাসনালয় বা গ্রন্থকে ভয় করিনা ; আমরা মনে করি আমদের ধর্মই শ্রেষ্ঠ,তাঁদের ধর্ম মিথ্যা।অবশ্যই ইসলাম শ্রেষ্ঠ ধর্ম এবং সার্বজনীন মানবতার ধর্ম।আল্লাহ পাকও বলেছেন ইসলামই তাঁর প্রেরীত একমাত্র সত্য ধর্ম।  রাসুলেপাক (স:) বলেন--"সকলের নিকট সকলের ধর্ম বড়"। অন্যদিকে লক্ষ করলে দেখা যায় --" আল্লাহ হাশরের ময়দানে সমগ্র মানব জাতি এবং জ্বিন জাতির বিচার করবেন; একক মসুলমান ধর্মের অনুসারীদের নয়"।
আগের আলোচনায় ফিরে আসি- হিন্দু যুবক কর্তৃক কোরান অবমাননা বা কোরানে আগুন দেয়ার একাধিক ছবি নিয়মিত অন-লাইনে দেখা যায়।দেশী বিদেশী  এত এত জাতীয় পত্রিকা, মিডিয়া, সাংবাদিক থাকা সত্বেও কারো নজরে এই দৃশ্যটি দেখা না গেলেও একশ্রেনীর অন-লাইনার বন্ধু দৃশ্যটি ঠিকই দেখেন। তাঁরা ছবিগুলি নিয়মিত পোষ্টিং দিয়ে লেখেন--"আপনার শরীরে একবিন্দু পরিমান মুসলিমের রক্ত যদি প্রভাহিত হয়ে থাকে তাহলে সত্বর ছবিটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন বিশ্বব্যাপি"।
    ছবিটি দেখামাত্রই একশ্রেনীর পেইজবুকার অধিক পুণ্যের আশায় বা সহজে বেহেস্তে যাওয়ার উছিলা সৃষ্টির 'সহজ পথের সন্ধান' পেয়ে দ্রুত শেয়ার করতে থাকেন। যদিও ছবিটির উৎপত্তিস্থল কোথায়, কে প্রথম পোষ্ট করেছিল-'কেহ-ই জানেনা'। প্রকারান্তরে-- প্রথমত: 'ছবি বিশ্বাস' করে ইমান ধ্বংশ করেছে  ; দ্বিতীয়ত: শেয়ার করে তাঁর মত আরো অনেককে বিশ্বাস করিয়ে-"তাঁদের 'ঈমানও ধ্বংসের' অংশীদারিত্ব কাঁধে তোলে নিয়েছে। ইহা ঘটছে একমাত্র, ইসলামের প্রতি আমাদের অজ্ঞতাহেতু অতিরিক্ত অনুরাগের কারনে। ইসলামের প্রতি  মানুষের চরম ভক্তি শ্রদ্ধাকে পুঁজি করে অশুভ শক্তি যুগে যুগে তাঁদের স্বার্থ হাসিল করার কাজে লিপ্ত রয়েছে।
হেফাজতের সমাবেশে কথিত যে হিন্দু যুবক 'কোরানে' আগুন দিয়েছিল- 'সেই হিন্দু যুবকের ছবিটি তাঁরা কখনই আপলোড করেনা।' ভারত, নেপাল, আমেরিকায় কোরান অবমাননার ছবি আপলোড করতে দেখা যায়--নীজের দেশে 'ঢাকার শাফলা চত্বরে'র হাজার হাজার কোরানের কপি পোঁড়ানো সেই হিন্দু যুবকটির 'কোরানে আগুন দেয়ার ছবিটি' কখন-ই আপলোড হয়না কেন?
আমার বহু লেখায় বলার চেষ্টা করেছি- এই অশুভশক্তি তাঁদের নীজেদের কায়েমী স্বার্থে করতে  পারেনা বা পারবেনা এমন কোন কাজ নেই।আমাদের অহংকার,বাঙ্গালী জাতির অন্যতম গর্ব মুক্তিযুদ্ধের দিকে তাকালেই বুঝা যায় তাঁদের দ্বারা কি সম্ভব কি সম্ভব নয়! বাঙ্গালী হয়ে বাঙ্গালী 'মা-বোনদেরকে তাঁরা বিজাতীয় সেনাদের হাতে তুলে দিতেও কুন্ঠাবোধ করেনি।হাজার হাজার বাঙ্গালীকে হত্যা করে ফতোয়া দেয়া হয়েছিল-"বাঙ্গালী কাফের হত্যা করা জায়েজ, বাঙ্গালী মা-বোনেরা 'গানিমতের মাল',তাঁদের ধর্ষন করা জায়েজ, ইসলাম ধর্মসম্মত।" সেই রাজাকারদের বিচার কায্যক্রম বানচাল করার জন্য অন্যান্ন নাশকতার সঙ্গে কোরানে আগুন দিয়ে শতশত কপি পুড়িয়ে দিতেও তালঁদের সামালন্য হাত কাঁপেনি। অশুভ শক্তিকে নিয়ন্ত্রনে বা অন্যকোন ষড়যন্ত্রের আঁছ পেয়ে হেফাজতের আমীর আর কোনদিন রাজপথেই নামেননি এবং কি তাঁর জামাতাকে রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক নিয্যাতনের বিরুদ্ধেও আন্দোলনে নামতে অস্বিকৃতি জানিয়ে ২০দলীয় জোটের প্রতিনীধিকে ফিরিয়ে দিয়েছেন।
মুক্তিযুদ্ধের পরেও হাজারো ঘটনা তাঁরা সংঘটিত করেছে ইসলামের নামে। তাঁদের সাম্প্রতিক ঘটনা নাসির নগর সংখ্যা লুঘু হিন্দুদের উপর নিয্যাতন করার উদ্দেশ্যে 'পবিত্র কাবা ঘরে'র উপর 'মুর্তিস্থাপন' তাঁরই সাক্ষ বহন করে।তাঁর আগে রামুতেও একই ঘটনা ঘটিয়েছিল চক্রটি। ২০০১ ইং সালের বিভৎসতা বাঙ্গালী জাতি হাজার বছরেও ভুলতে পারবে কিনা জানিনা।বর্তমানেও মায়ানমারের চলমান রোহিঙ্গাদের উপর পাশবিক নিয্যাতনের 'অধিকাংশ মিথ্যা বানোয়াট বিভৎস ছবি' আপলোড করে এদেশের 'বৌদ্ধ সম্প্রদায়ে'র উপর হামলার ক্ষেত্র প্রস্তুত করার  তাঁদের অপ-কৌশল আমরা দেখেছি। জনগন এবং সদাশয় সরকারের কঠোর নজরদারির কারনে তাঁদের সেই চেষ্টা সফল হয়নি।
  রোহিঙ্গারা আমাদের মুসলিম ভাই সত্য-বাংলাদেশের নাগরিক নয়। বৌদ্ধ ধর্মালম্বিরা মুসলিম নয়- বাংলাদেশের নাগরিক।মুসলিম ভাইদের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়া প্রত্যেক মুসলিমের নৈতিক দায়িত্ব অনস্বিকায্য; সংখ্যা লুঘু বৌদ্ধদের জান মাল রক্ষা করাও প্রত্যেক ইমানদার মুসলিমের 'ইমানি দায়িত্ব' ইহাও সত্য। তবে সীমান্ত রেখা আমাদের সেই দায়িত্ব পালনে বাধাগ্রস্ত করেছে কিন্তু বৌদ্ধদের রক্ষায় সীমান্তের কোন বাঁধা নেই।এই দৃষ্টিকোণ থেকে রোহিঙ্গাদের রক্ষা করা বাংলাদেশের মসুলমানদের জন্য আবশ্যক নয় ; বৌদ্ধদের রক্ষা করা মুসলমানদের অবশ্যই ধর্মীয় কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। যেহেতু কোরানের নির্দেশনা রয়েছে-- "ধর্মীয় সংখ্যা লুঘুদের জানমাল রক্ষা করা; তাঁদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করার সর্ব উচ্চ সুযোগ নিশ্চিত করার কথা"। শুধুমাত্র পবিত্র কোরানে উল্লেখ তা নয় ; নবী করিম (স:) তাঁর বিদায় হজ্বের ভাষনেও বিষয়টি অত্যান্ত গুরুত্ব সহকারে তাঁর সাহাবীদের প্রতি নির্দেশনা এবং অনুসরন করার কথা বলে গেছেন।
 আমাদের আম মুসলিমের অজ্ঞতাকে পুঁজি করে অশুভ চক্রটি বার বার ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়ে বিপথে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ব্রতি হয়। বার বার আমাদের 'স্বল্প পুঁজির ইমান আকিদা'র প্রতি তাঁরা আঘাত নিয়ে আসার চেষ্টা করে। 'কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ' অগ্নিপুজক হলেও তাঁর হাতেই তুলে দিয়েছিল ইসলাম রক্ষার দায়িত্ব অশুভ চক্রটি। অপদিকে এ, কে ফজলুল হক, সরওয়ার্দী পাক্কা ইসলামধর্মের অনুসারী ইমানদার মুসলিম হলেও চক্রটির নজরে পড়ে নাই।
জাতির জনক স্বল্পসময়ের শাষনে রাষ্ট্রীয় পয্যায় ইসলামের মৌলিক কাজ গুলি সম্পাদন করে এবং বাস্তব জীবনে ইসলামী অনুশাষন মেনে চলার পরেও অশুভশক্তির দৃষ্টিতে ইসলামের দুশমন! ইসলামের জন্যে 'বালু পরিমান' অবদান না রেখে এবং জাতির জনক কতৃক নিষিদ্ধ ইসলাম বিরুধী কর্মকান্ড--" মদ জুয়া, পতিতাবৃত্তির ন্যায় ইসলামে ঘৃনিত সব কাজগুলি পুণ: অনুমোদন দিয়ে জিয়া তাঁদের জন্যে 'ইসলামের রক্ষক'।
'শেখ হাসিনা' ৩০ বছরের অধিক তথাকথিত ইসলামের শাষক কতৃক ঝুলিয়ে রাখা সকল মাদ্রাসাকে একযোগে সরকারি  অনুমোদন, প্রতিটি উপজেলা চত্বরে হাইরাইজ  অত্যাধুনিক মসজিদ স্থাপন,  ব্যাক্তিজীবনে ইসলামী অনুশাষন মেনেও  হয়ে গেলেন 'ইসলাম বিরুধী সরকার প্রধান'। পক্ষান্তরে ইসলামের অনুকুলে 'চিমটি পরিমান' উল্লেখ করার মত কোন অবদান না থাকা সত্বেও এবং নীজের জীবনাচারে ইসলামের কোন চিহ্ন না রাখা সত্বেও 'খালেদা জিয়া' তাঁদের নিকট হয়ে গেলেন 'অশুভশক্তির ইমাম।'
বিগত দিনে বিরুধীদলে থাকা অবস্থায় বা সরকারে থেকেও কমপক্ষে  উনিশ বার হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রান্ত হয়েছেন 'শেখ হাসিনা'। সেই সব হত্যাকান্ড ঘটানোর চক্রান্তকে ক্ষমতার দর্পে আওয়ামীলীগের অভ্যন্তরীন কোন্দলে সৃষ্ট হামলা বলে প্রচার করতেও তাদের লজ্জাবোধ হ'তনা। ২১ শে আগষ্ট এর বিভৎস ঘটনাকে 'জর্জ মিয়া' নাটক সাজিয়ে কিভাবে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হয়েছিল সারা জাতি ইতিমধ্যে অবগত হয়েছে।বিএনপির নেতারাও উদাহরন হিসেবে যে কোন হত্যাকান্ডকে "জর্জ মিয়া" নাটক সাজানোর বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারন করতে দেখা যায়।তাঁরা এতই নিলজ্জ যে, নীজের ঘটনাকেই প্রত্যহ উদাহরণ হিসেবে টেনে আনতেও বিবেকে বাঁধেনা, লজ্জাবোধ হয়না।
ইদানিং চক্রটির পৃষ্টপোষক খালেদা জিয়ার কন্ঠে একটি বাক্য উচ্চারন হতে শুনা যায়-" নির্বাচন হবে যথাসময়ে, সেই নির্বাচন শেখ হাসিনা বিহীন নির্বাচন"। এখানেই বিমান বন্দরে শেখ হাসিনাকে বহনকারি বিমানের সামনে ধাতব পদার্থ পড়ে থাকার গুপ্ত রহস্য।এখানেই নিহীত রয়েছে বিমানের ইঞ্জিন বিকল হওয়ার রহস্য।এখানেই লুকিয়ে আছে বিমান অবতরনে বিলম্ব করার কারন।বিমান উড্ডয়নের আগে যান্ত্রিক পরিক্ষায় বিমান বন্দরের যে ইঞ্জিনিয়ারিং টিম দায়িত্ব পালন করেছে তাঁদের কাছেই রয়েছে ষড়যন্ত্রের সকল তথ্য উপাত্ত।যার হাতে নাট দেখার রেন্স ছিল, যিনি তদারকির দায়িত্ব ছিলেন তাঁরা উভয়েই জানে ষড়যন্ত্রের কাহিনী। 'নাট টাইট দেয়ার নাম করে খুলে দিয়েছিল সেই ইঞ্জিনিয়ার যার হাতে রেন্স ছিল।আগে থেকেই যদি নাট খোলা থাকবে বিমান কতঘন্টা বন্দরে ছিল? মবিল তখন পড়ে নাই কেন? উড়ার পর নাট খুলতে পারেনা, মবিল পড়তে পারেনা। সুতারাং দায়িত্বরত: ইঞ্জিনিয়ারদের কে জিজ্ঞাসাবাদ করে অতি সহজে এই ঘটনার রহস্য উম্মোচন করা সম্ভব। সহজ কাজটিকে যে চক্র কঠিন করে তুলতে চাইবে সেই চক্রই জড়িত ছিল 'শেখ হাসিনা'কে বিমান বিধ্বংসে হত্যা প্রচেষ্টায়।কোন অজুহাতেই এবারের চক্রান্তকারীদের রেহাই দেয়া সম্ভব হবেনা।রাজপথে জনতা নেমে পড়েছে-- চক্রান্তকারীদের বিষদাঁত উপড়ে ফেলার আগে ঘরে ফিরবেনা।
 অশুভ চক্র আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে শেখ হাসিনার অগ্রযাত্রাকে প্রতিহত করতে না পেরে গুপ্তহত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।মহান আল্লাহর অপরিসীম রহমত শেখ হাসিনার প্রতি নির্দেশীত বিধায় বার বার তাঁরা ব্যর্থ হচ্ছে।অপর দিকে ইসলাম ধর্মকে বিকৃত ব্যাখ্যা করে তাঁর নাফরমানি করার কারনে তাদের উপর মহান আল্লাহ সরাসরি গজব নাজেল করেছে।আমার অভিমতে অনেকেই নাখোস হ'তে পারেন-আমি নিম্নে কিঞ্চিত উদাহরন তুলে ধরে আমার উক্তির যৌক্তিকতার প্রমান দিচ্ছি--
পাঠক বন্ধুগন, লক্ষ করবেন-- হেফাজত শাফলা চত্বরে যখন ইসলাম রক্ষার আন্দোলনে ব্যাস্ত ঠিক তখন তাঁরাই প্রচার করেছিল১৪০০বছর আগের কোরানের 'প্রথম সংস্করন' এক 'খ্রিষ্টানের ঘরে রক্ষিত' পাওয়া গেছে।আমি বলব--"বিধর্মীর ঘরে বংশ পস্পরায় ১৪০০ বছর আগের মহান আল্লাহ কোরান হেফাজত করে নজির দেখিয়েছেন--"কোন মানব জাতি ষড়যন্ত্র সফল করার উদ্দেশ্যে আল্লাহর কোরান হেফাজতকারি হতে পারে না।"  মহান আল্লাহ স্বয়ং  তাঁর প্রেরিত ধর্ম এবং পবিত্র গ্রন্থ আল- কোরা'নের হেফাজতকারি। লক্ষ করুন--"শতশত বছর পার হয়ে গেলেও উক্ত বিষয়টি প্রকাশিত  হয়নি--হেফাজত কতৃক 'ইসলাম ধর্ম রক্ষার আন্দোলন' চলার প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপুর্ণ বিষয়টি প্রকাশ হয়েছে।" বাংলাদেশের তথাকথিত 'ইসলাম হেফাজতকারি বা ইসলামের ধ্বজাধারী জামায়াত নেতার ঘরে শতবছর আগের কোরানের চেড়া পাতাও পাওয়া যাবে কিনা যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে"।যারা মনস্থীর করেছেন বিষয়টি নিয়ে তর্কে লিপ্ত হবেন তাদের প্রতি বিনীত অনুরুধ থাকবে--"তর্কে আসার আগে আপনার নীজের ঘরটি তল্লাসি করে দেখুন, আপনি পান কিনা।"
 পবিত্র কোরানে ঘোষিত উক্ত আয়াতটি ঐ সমস্ত জ্ঞানী গুনী আলেম নিজে পড়ে, জেনে, শুনে, সম্যক বুঝে "কোরান হেফাজত বা ইসলাম হেফাজতের" নামে দেশব্যাপি লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, পবিত্র কোরানে আগুন দিয়ে শত শত কপি পুড়িয়ে দেয়ার তান্ডব চালিয়েছে। আল্লাহ তাঁদের ইসলামবিরুধী,কোরানের নির্দেশ বিরুধী কর্মে নাখোশ না হয়ে যেই পরিবার বাংলাদেশে ইসলামের প্রচার প্রসার ঘটানোর একান্ত মনোবাসনায় ধর্ম নিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করেও নিবৃত্তে,  নিরবে, নিয়ন্তর ধর্মের উন্নতির কাজ করে যাচ্ছেন- সেই পরিবারের প্রতি নাখোস হবে? যার জন্য শতবছরের অশীতিপর বৃদ্ধা শতবার কোরান খতম করে, লক্ষ লক্ষ মানুষ দিনরাত শুভকামনায় মগ্ন থাকে - তাঁদের দোয়া আল্লাহ কবুল করবেনা, অশুভ শক্তির মৃত্যুকামনা কবুল করবে?
ruhulaminmujumder27@gmail.com
      "জয় বাংলা          জয় বঙ্গবন্ধু"

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন