গনতন্ত্রের অভিযাত্রায় অন্যতম মাইলফলক জেলাপরিষদ নির্বাচন।

    গনতন্ত্রের অভিযাত্রায় অন্যতম মাইলফলক জেলাপরিষদ নির্বাচন।
         (রুহুল আমিন মজুমদার)

        বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গত জাতীয় কাউন্সিলে যুগান্তকারী একটি অঙ্গিকার দলীয় গঠনতন্ত্রের "অঙ্গিকারপত্রে" সংযোজন করেছে। তাহচ্ছে-সরকারি বেসরকারি সকল পয্যায় গনতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি। গনতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিকতা দেয়ার লক্ষে উক্ত প্রতিশ্রুতি বা অঙ্গিকার গঠনতন্ত্রের একনম্বর অঙ্গিকারের মায্যদায় অধিষ্ঠিত হয়েছে।অন্যকোন রাজনৈতিক দলের গঠনতন্ত্রে "গনতন্ত্রের সজ্ঞা" বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ন্যায় ব্যাখ্যায়ীত নেই। স্থানীয় সরকারের সর্বনিম্ন পয্যায় গনতন্ত্রের চর্চা অব্যাহত রাখার স্বার্থে ইউনিয়ন থেকে জেলা পয্যায় পয্যন্ত জনপ্রতিনীধি কতৃক পরিচালিত করার লক্ষে জাতীয় দল সমুহের মননোয়নে এবং প্রতিকে নির্বাচনের ব্যবস্থাও বর্তমান সরকারের গনতন্ত্রের পথে যুগান্তকারী পদক্ষেপ সমুহের মধ্যে অন্যতম পদক্ষেপ।
     ইহা অবশ্যই স্বীকায্য যে-গনতন্ত্র একদিন বা দুই চার বছরে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার বিষয় নয়।আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে শতবছর গনতন্ত্র চর্চার পরেও দেখা যায় বর্ণবাদ,গোষ্টি ও জাতীয়গত বিদ্বেষ এখনও দুরীভূত হয়নি।বাংলাদেশের গনতন্ত্রের চর্চা বহু বছরের নয়।৯০ এর স্বৈরাচার বিরুধী গন অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে গনতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়েছিল।মাঝে কষ্টার্জিত গনতন্ত্রকে হরন করার নানামূখি ষড়যন্ত্র আমরা লক্ষ করেছি।স্বল্প সময়ের মধ্যে কয়েকবার সাম্প্রদায়িক বিষবাস্প ছড়িয়ে অথবা ধর্মের জিকিরে গনতন্ত্র হরন করার একাধিক চেষ্টাও আমরা লক্ষ করেছি।গনতন্ত্র সম্পর্কে বাংলাদেশের মানুষ খুব বেশী অবগত বলা যাবেনা।তাই যদি না হয়-ধর্মকে বার বার কেন সামনে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হয়।ধর্ম এবং গনতন্ত্র এক চাদের নিছে বসবাস যোগ্য দর্শন নয়।একদিকে গনতন্ত্রের জন্য লড়াই অন্যদিকে ধর্মের পতাকাকে উধ্বে তুলে ধরার প্রচেষ্টা--"কোন অবস্থায় গনতন্ত্রের প্রতি আগ্রহশীল ব্যাক্তি এবং দলের কাম্য হতে পারেনা।"
      বর্তমান সরকার গনতন্ত্র চর্চার প্রতিটি ক্ষেত্র উম্মোচন করে দিয়ে যাচ্ছে---"প্রতিষ্ঠিত রুপ পেতে হয়ত সময়ের প্রয়োজন হতে পারে"। গনতান্ত্রিক মুল্যবোধের পুজারী রাজনৈতিক দল এবং সুশিক্ষিত কর্মীবাহিনী সম্বলীত রাজনৈতিক দলের উত্থান ও বিকাশ যত দেরী হবে উল্লেখিত ক্ষেত্র সমুহে গনতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিকতা পেতেও তত দেরী হতে পারে।গনতন্ত্র শুধুমাত্র জাতীয় নির্বাচনকেই বুঝায়না, নির্বাচন গনতন্ত্রের অনুষঙ্গ মাত্র।রাষ্ট্র ও সরকারের সর্বস্তরে গনতন্ত্রের ধারা অব্যাহত না থাকলে নির্বাচন কোনকালেই সুষ্ঠ ও অবাধ হতে পারেনা।তাছাড়াও দেশের অভ্যন্তরে গনতান্ত্রিক সমশক্তি সম্পন্ন একাধিক রাজনৈতিক দলের অনুপস্থীতিতেও নির্বাচন সুষ্ঠ হতে পারেনা।
   বর্তমান সরকারের গনতন্ত্রের প্রতি অবিচল আস্থার নিদর্শন স্থানীয় সরকারের তিনটি স্তরেই নির্বাচিত প্রতিনীধির মাধ্যমে পরিচালনার উদ্যোগককে সচল করে নির্বাচনের বিধান কায্যকর করা। চলতি বছরের ডিসেম্বরেই উক্ত নির্বাচন উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রার্থী বাছাইয়ের কায্যক্রম হাতে নিয়েছে।দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচনেও দেশের বৃহত্তম দল বিএনপি অংশগ্রহন করছেনা।সংসদের বিরুধী দলও অংশগ্রহন করবে বলে মনে হচ্ছেনা।অথছ এহেন বিরুধীদলের নিকট থেকেই জনগনকে প্রতিনিয়তই চবক নিতে হয় গনতন্ত্রের!!!
     
         'জেলা পরিষদ' ভারতীয় উপমহাদেশের অত্যন্ত শক্তিধর এবং ঐতিহ্যবাহী স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, যা গ্রামীণ স্থানীয় সরকারব্যবস্থার সর্বোচ্চ স্তর হিসেবে স্বীকৃত। ১৮৮২ সালে লর্ড রিপনের স্থানীয় সরকারবিষয়ক সিদ্ধান্তের সূত্র ধরে ১৮৮৫-১৮৮৬ সাল থেকে অবিভক্ত ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে জেলা পরিষদ গঠিত হতে থাকে এবং নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ১৯২০ সাল থেকে এ পরিষদসমূহে নির্বাচন ও প্রতিনিধিত্বশীলতার বিকাশ ঘটে।'১৯৪৭ দেশভাগের পর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পূর্ব পর্যন্ত এ দেশে অনির্বাচিত জেলা পরিষদ ব্যবস্থা বহাল থাকে।
       স্বাধীনতার পর '৭২ এর সংবিধানেও ত্রিস্তরের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা বহাল রাখা হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সর্বস্তরে জনপ্রতিনীধির কতৃত্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষে জেলা পরিষদে নির্বাচিত জেলা গভ:র্নর প্রথা প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। '৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে স্থানীয় সরকারের সর্ব উচ্চ পরিষদ জেলা গভর্নর  প্রথা বাতিল করে দেয়া হয়।সেই থেকে অদ্যাবদি স্থানীয় সরকারের এই গুরুত্বপুর্ণ সর্ব উচ্চ অংশকে প্রত্যেকটি সরকার অন্ধকারেই রেখেছিলেন।
১৯৮১ ইং সালে থানাপরিষদে নির্বাচিত প্রতিনীধির মাধ্যমে পরিচালনার উদ্দেশ্যে এরশাদ সরকার উদ্যোগ গ্রহন করেন।১৯৮১ সালের পরের ১০ বছর থানা পরিষদকে উপজেলায় রুপান্তর করে নির্বাচিত পরিষদ গঠিত হলেও তা পুনরায় ১৮ বছর (১৯৯১-২০০৯) স্থগিত থাকে। ২০০৯ ইং সালে আওয়ামী লীগ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের মাধ্যমে স্থানীয় সরকারের দ্বিতীয় স্তরটিকে সচল করে। জেলার ক্ষেত্রে সেটি আরও বেদনাদায়ক।৭৫ এর পর কোন সরকার কোন নামেই উক্ত পরিষদকে সচল করার কোন উদ্যোগ গ্রহন করেনি।
      ২০১১ ইং সালে বর্তমান সরকার জেলাপরিষদকে সচল করার উদ্যোগ গ্রহন করে। জনপ্রতিনিধি ও স্থায়ী সিভিল সার্ভিস নিয়ন্ত্রিত কাঠামোর মেলবন্ধন ও পারস্পরিক সম্পর্কের পুনর্গঠনের রূপরেখা নিয়ে অস্পষ্টতা ও দ্বিধাদ্বন্দ্বের অবসান না হওয়ার কারনে গুরুত্বপুর্ণ জেলাপরিষদ অকায্যকরই ছিল। একদিকে জেলা ও উপজেলায় মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরসমূহের বিস্তৃতি ঘটেছে, অন্যদিকে স্থানীয়ভাবে গণতান্ত্রিক প্রশাসন সৃষ্টির সাংবিধানিক অঙ্গীকার পূরনে কোন সরকার উদ্যোগ গ্রহন করেনি। বর্তমানে উপজেলা পর্যায়ের সরকারি দপ্তরের সংখ্যা ২৪ ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা ১৫শতের কাছাকাছি।জেলায় ডেপুটি কমিশনারের কার্যালয় ছাড়া আরও ৪৩টি দপ্তর রয়েছে। সরকারের যতগুলী দপ্তর সচিবালয়ে আছে প্রতিটি জেলায় তাঁর অস্তিত্ব বিদ্যমান।সচিবালয়ে প্রতিটি দপ্তরের জন্য একজন মন্ত্রীর অস্তিত্ব বহাল থাকলেও জেলায় কোন নির্বাচিত অথবা মনোনিত প্রতিনীধির অস্তিত্ব বিদ্যমান ছিলনা।
স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপুর্ণ উধ্বতন দুই স্তরে জনগনের নির্বাচিত প্রতিনীধি না থাকার কারনে আমলাতান্ত্রিক শাষনের বিস্তৃতি ৪৫ বছরে সমাজের প্রতিটি স্তরের গভীরতায় পৌছে জনগনের মানষিক দৃষ্টিভঙ্গির আমুল পরিবর্তন সাধন করে দিয়েছে।আমলাগন প্রভুত্বের আচরনে অভ্যস্ত হয়েছেন জনগন তাঁদের ভৃত্তে পরিণত হয়েছে।

       বাংলাদেশে জেলা পরিষদ যেহেতু গত ৪৫ বছর সুপ্ত বা লুপ্ত অবস্থায় ছিল, তাই বর্তমান প্রজন্মের কাছে জেলা পরিষদের বাস্তব চিত্র বা ধারণা নেই। তাই সাধারণ মানুষ আপাতত এ প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে খুব বেশি হয়তো ভাবছে না। তা ছাড়া সাধারণ মানুষ যেহেতু ভোট দিচ্ছে না, তার ফলেও তাদের কাছে বিষয়টি এখনো অপরিচিত ও ধোঁয়াশায় আচ্ছন্ন। কিন্তু বাস্তবিক পক্ষে যতই দিন যাবে এ প্রতিষ্ঠানটি ধীরে ধীরে স্থানীয়ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।সময়ের প্রেক্ষাপটে মৌলিক গনতন্ত্রের আবর্ত থেকে বেরিয়ে স্বাভাবিক গনতান্ত্রিক ধারায় ফিরে আসবে।বর্তমানে যতটুকুই পাওয়া গেল- না পাওয়ার চাইতে অধিক ভালই বলতে হবে।
জেলাপরিষদের বিপুল সম্পদ এত দিন নির্বাচিত এমপি অথবা জেলাপরিষদের সেক্রটারীর মাধ্যমে পরিচালিত হয়েছে।হাজার হাজার একরভূমি,বালুমহাল, হাটবাজার, খাসভুমি যত্রতত্র বন্দোবস্তির মাধ্যমে নামমাত্র জেলা পরিষদ তহবিলে জমা দিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্বসাৎ করা হয়েছে।লাভজনক এই পরিষদকে যখনই গনতন্ত্রায়নের পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে তখনই আমলাদের দ্বারা বাঁধাগ্রস্ত হয়েছে।আমলাদের কারনে বিগত পাঁছটি বছর সরকার প্রশাসক দিয়ে জেলাপরিষদের কায্যক্রম পরিচালনা করতে হয়েছে।অথছ প্রশাসক নিয়োগের কিছুদিন পরেই নির্বাচনের মাধ্যমে 'জেলা পরিষদ' গঠন করার বিষয় সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছিল।
  দু:খ্যজনক হলেও সত্যি--আমাদের দেশের রাজনৈতিক দল সমুহ জনগনের 'গনতান্ত্রিক অজ্ঞতা'কে পুঁজি করে যুগের পর যুগ রাজনৈতিক ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করে আসছে।তাঁরা গনমাধ্যমের স্বাধীনতা চায়, বাক ও ব্যাক্তি স্বাধীনতা চায় কিন্তু যখনই 'ধর্মীয় স্বাধীনতা'র কথা আসে তখনই গাত্রদাহ শুরু হয়। নির্বাচন সুষ্ঠ ও অবাধ চায় কিন্তু নীজ দলের 'সাংগঠনিক কাঠামোর' দুর্বলতা চোখে দেখে না। সর্বত্র গনতন্ত্রের উপস্থীতি নিশ্চিত চায় কিন্তু নীজ দলে 'গনতান্ত্রিক চর্চা' করতে বা গনতন্তান্ত্রিক বিধি মানতে রাজী নয়। গনতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিতে আগ্রহী কিন্তু 'উপজেলা এবং জেলা ' নির্বাচনে অংশ নিতেও অপরাগতা প্রকাশ করে। স্বাধীনতার ৪৫ বছর পার হলেও 'স্থানীয় সরকারের তিনস্তরের মধ্যে একস্তর'কে সচল রেখে বাকি দুই স্তরের খবরও নেয়নি। 'সেনা আমলা'দের উপর নির্ভর করে গনতন্ত্র কায়েম করার প্রতিশ্রুতি দেয়ার অর্থই হচ্ছে--"শেয়ালের ঘরে মোরগ বেঁধে রাখা নয় কি?"

বাংলাদেশে তিন স্তরীয় কাঠামো এত দিন কার্যকর ছিল না। ফলে আন্তস্তরীয় সহযোগিতা ও সমন্বয়ের ধারণা প্রয়োগের অবকাশ ছিল না। জেলা পরিষদ নির্বাচনের পর নবনির্বাচিত পরিষদ কার্যক্রম শুরু করলে এসব বিষয় স্পষ্ট হয়ে উঠবে।জেলা পরিষদ নিয়ন্ত্রন করবে উপজেলা পরিষদ,উপজেলা নিয়ন্ত্রন করবে ইউনিয়ন পরিষদ।স্থানীয় সরকার পরিচালনায় নি:সন্দেহে গতিশীলতা আসবে।সরকারের বিপুল পরিমান ভুমি, রাজস্ব, ইজারা, লিলামে স্বচ্ছতা আসবে। জেলা, উপজেলা ইউনিয়নে কাজের সমন্বয় ঘটবে সুষ্ঠভাবে।
একজন নির্বাচিত চেয়ারম্যান, ১৫ জন সদস্য ও ৫জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নিয়ে জেলাপরিষদ গঠিত হবে।জনপ্রতিনীধিদের আনাগোনায় নিস্তেজ জেলাপরিষদ চত্বরে প্রানের সঞ্চার হবে।বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ জানে না-জেলা পরিষদে সরকারের কত প্রকার জনকল্যান ফান্ড সক্রিয় রয়েছে। দুস্ত, মেধা, বিকলাঙ্গ, বধির ইত্যাদি ফান্ড জনগনের কল্যানে থাকলেও গনবিচ্ছিন্নতার কারনে উক্ত ফান্ডের অধিকাংশ টাকাই অব্যবহৃত অথবা নামে বেনামে সরকারি আমলারা আত্বসাৎ করার উদ্দেশ্যে উঠিয়ে নিতেন।তাছাড়াও জেলাপরিষদের অন্তভুক্ত রাস্তা ঘাট, পুলকালভার্ট, হাটবাজারের উন্নয়ন তহবিলের টাকা ব্যবহার না হয়ে বছর শেষে ফেরৎ যেতে দেখা গেছে। জেলা পরিষদ নিয়ে জনগনের উৎসাহ উদ্দিপনা আপাত:দৃষ্টে কম দেখা গেলেও অচিরেই উহার কায্যপরিধির ব্যপকতা জনমানষে পরিদৃষ্ট হলে  আকর্ষন ফিরে আসতে দেরী হবে বলে মনে হয়না।
 উপসংহারে বলা যায়- বর্তমান সরকারের হাজারো সফলতার মধ্যে অন্যতম একটি সফলতা জেলাপরিষদ নির্বাচন।গনতন্ত্রের অভি্যাত্রায় নি:সন্দেহে জেলাপরিষদ অন্যতম একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।কালক্রমে গনতন্ত্রের ধ্যানধারনার বিকাশমান ধারা সর্বস্তরে প্রতিফলিত করার অন্যতম উপায় স্থানীয় সরকারের সর্ব উচ্ছ পয্যায় জেলাপরিষদ অন্যতম ভুমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি। অন্যদিকে জেলা পরিষদের নির্বাচন আমলাতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনা থেকে জনগনের রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনার ধারনাকে উন্নত ও সমৃদ্ধ করবে। গনতন্ত্রের শিক্ষা, গনতান্ত্রিক মানষিকতা, গনতান্ত্রিক রুচিবোধ,গনতন্ত্রের চর্চা, গনতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রুপ সম্পর্কে জনগনের বদ্ধমুল ধারনাকে দ্রুত পরিবর্তন করে তাঁর মুল চেতনায়  ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। গনতন্ত্রকে  প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দেয়ার ক্ষেত্রে কায্যকর এবং যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহন ও বাস্তবায়নে একমাত্র উদ্যোগক্তা বর্তমান সরকারের প্রধান মন্ত্রী জাতীর জনকের কন্যা শেখ হাসিনার নাম আগামীর ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
      ruhulaminmujumder27@gmail.com
       "জয়বাংলা      জয়বঙ্গবন্ধু"

 

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন