খালেদা জিয়া আত্মবিশ্বাস হারিয়ে হতাশার সাগরেনিমজ্জিত--"আন্দোলনও হবে না, দাবিও মানবেনা সরকার।
খালেদা জিয়া আত্মবিশ্বাস হারিয়ে হতাশার সাগরে নিমজ্জিত--"আন্দোলনও হবেনা, দাবিও মানবেনা সরকার"।
(রুহুল আমিন মজুমদার)
গতকাল বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচন কমিশন সংক্রান্ত ১৩ দফা প্রস্তাব উত্থাপন করেন।প্রত্যেক দফায় "স্বাধীনতার পর থেকে অদ্য পয্যন্ত" কথাটি কমন হিসেবে নিরপেক্ষ কমিশন করার কথা বলেন।শেষাবদি এতেও নিরপেক্ষতায় সন্দিহান হয়ে আলাদা সচিবালয়, জনবল নিয়োগের কথাও উত্থাপন করেন।
তাঁরপরও এসব প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলেই যে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, তা মনে করেন না খালেদা জিয়া। তিনি মনে করেন, বর্তমান বাস্তবতায় সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কমিশনকে প্রশাসনিক ও অন্যান্য সহযোগিতা দেওয়া, প্রতিরক্ষা বাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমর্থন ও সহযোগিতা দরকার। তাই নির্বাচন কমিশন যেন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারে, সে জন্য একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের প্রয়োজন। তিনি বলেন, বিএনপি নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরেখা ভবিষ্যতে জাতির সামনে উপস্থাপন করবে।
বেগম খালেদা জিয়া সমস্ত বিষয়গুলী আলোচনার জন্য দুই জোটের দুই জন নির্ধারিত ব্যাক্তি সহ তাঁর সাথে পাহারাদার একজন সাক্ষীও রাখার প্রস্তাব করেন।যতক্ষন সমস্যার সমাধান না হয় অনিদির্ষটকাল আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার প্রস্তাবনাও রেখেছেন।পরবর্তিতে নির্বাচন কালীন সহায়্যক সরকারের রুপরেখাও উপস্থাপন করবেন বলে জানিয়েছেন।
ভাবখানা এমন বর্তমান সরকারের শাষন মেয়াদ দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হলেও আপত্তি নেই।সম্পর্ণ প্রস্তাব বাস্তবায়ন করার জন্যে নিদেনপক্ষে আগামী আরো পাঁছ বছর সময় দিলেও পারবেন কিনা ব্যাক্তিগত ভাবে আমি সন্দিহান। বিশেষ করে সচিবালয় নির্মানের জন্য টাকা বরাদ্ধ থেকে আরাম্ভ করে দরপত্র আহব্বান, কাজের সমাপ্তি,আসবাবপত্র ক্রয়,ফাইল পত্র চাপানো ইত্যাদি কর্ম সম্পাদন পাঁছবছরের কম সময়ে পারবে বলে মনে হয়না। উপরন্তু আলাদা জনবল নিয়োগ, জনবলের প্রাকযোগ্যতার মধ্যেও শর্তযুক্ত নিয়োগ রয়েছে।
প্রিয় পাঠকবর্গ, উপরের উল্লেখিত বক্তব্যটি বিএনপি নেত্রীকে তাচ্ছিল্য করার উদ্দেশ্যে বর্ননা করি নাই। বিগত আটবছরে সবকূল তাঁর সাথে বেঈমানী করার কারনে তিনি বিশ্বাস শব্দটির উপর আস্থা হারিয়ে নীজেকেও বিশ্বাস করতে পারছেন না।তাঁর প্রমান সব বাস্তবায়ন হলেও নির্বাচন সুষ্ঠ হয় কিনা তিনি সন্দিহান কথাটার প্রতি মনযোগ দিলে তর্কের প্রয়োজন হবেনা।
তিনি যে সরকারের জন্য ২০১৪/১৫ সালে আন্দোলনের নামে সম্পদহানি, জীবনহানী, নেতাকর্মীদের অবর্ণনীয় দু:খ্যকষ্টের মধ্যে ঠেলে দিয়েছিলেন সেই সরকারের আন্দোলন থেকে সরে গেছেন কিনা তাও বলেননি।হাজার হাজার নেতাকর্মী দলীয় নির্দেশ মানতে গিয়ে সন্ত্রাস, হত্যা, লুটপাটে অংশ নিয়ে জেলখানা অথবা পলাতক জীবনযাপন করছে তাঁদের সম্পর্কেও কোন বক্তব্য উত্থাপন করেননি।তর্কের খাতিরে ধরেই নিলাম সব নির্দোষ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা করেছে।আসমান থেকে ইবলিশ শয়তান আগুনবোমা নিক্ষেপ করে জ্যান্তমানুষ দগ্ধ করে দিয়ে হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে।নির্দোষ নেতাকর্মীদের "মামলা প্রত্যাহার অথবা আন্দোলন" এমন কোন বক্তব্য তাঁর মুখ থেকে বের হয়নি।হাজার হাজার নেতাকর্মীর ত্যাগের 'তত্বাবধায়ক' সরকারের দাবী থেকে পিছুটান যদি দিতেই হয় অন্তত: নেতাকর্মীদের মামলাগুলী প্রত্যাহারের একটা চেষ্টা প্রধান নেত্রী হিসেবে তাঁর কি করা উচিৎ ছিলনা?
তিনি জানেন বহুবার বলেছেন অবৈধ সরকার,অনির্বাচিত সরকার, অগনতান্ত্রিক সরকারের সঙ্গে তিনি আলোচনায় বসবেন না।গতকালের প্রস্তাবগুলী তিনি কার কাছে দিলেন? তাছাড়া অবৈধ সরকারকে অনির্দিষ্টকাল ক্ষমতা উপভোগ করার একতরফা অনুমতি তিনি কেন দিবেন?তিনি কি জনগন কতৃক বাংলাদেশের কোন পয্যায়ের নির্বাচিত প্রতিনীধি? সারা বাংলাদেশ জানে, বিশ্ববাসি জানে বিনাভোটে ১৫০ সাংসদকে ইসি নির্বাচিত ঘোষনা করেছে। এমন একটি একদলীয় বাকশালী সরকারকে অনির্দিষ্ট কাল ক্ষমতা উপভোগের অবাধ লাইসেন্স দেয়ার তিনি কে? যে সরকার গায়ের জোরে দেশ শাষন করছেন তিনি নীজেই তার আগের দিন বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছেন-সেই সরকারকে আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতার মসনদ থেকে টেনে নামানোর কথা না বলে আলোচনার প্রস্তাব কেন?তাও আবার যতদিন লাগুক দফায় দফায় আলোচনা!!
২০০৬ ইং সালের নির্বাচনে বর্তমানের ১৩ দফার একদফাও যদি খালেদা জিয়া পুরণ করতেন হয়ত আজকের এই নৈরাশ্যজনক বক্তব্য দেয়ার প্রয়োজন হ'ত না।উক্ত দফাগুলি মিমাংসা করার একক ক্ষমতার অধিকারি অথবা সর্ববৃহৎ অংশিদারীত্ব তাঁরই থাকতো।তখনকার সময়ের আন্দোলনের প্রধান নেত্রী আজকের প্রধান মন্ত্রীর দাবিও খুব বেশী ছিলনা।তিনি শুধু আপত্তি করেছিলেন তাঁর জোটের সঙ্গে আলোচনা করা উচিৎ ছিল।আলোচনা না করার কারনে সরকারের প্রতি আহব্বান জানিয়েছিলেন সংসদের প্রধান বিরুধী দলীয় নেত্রী হিসেবে নিদেনপক্ষে সংবিধান অনুসরন করে নির্বাচন কমিশনার সহ অপরাপর সদস্যদের নিয়োগ দেয়ার জন্য।তাঁর সেই আহব্বানের প্রতিও আত্ম অহমিকায় ডুবু ডুবু চারদলীয় জোট সরকার এবং তাঁর নেত্রী খালেদা কর্ণপাত করার প্রয়োজন অনুভব করেননি।
শেষপয্যন্ত সরকারকেও স্বীকার করে নিলেন, সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডকেও স্বীকার করলেন, ইউপি নির্বাচনকেও জোরালো বিরুধীতা না করে "প্রশ্নবিদ্ধ" বলে আংশিক হলেও স্বীকার করে নিলেন, শুধুমাত্র জাতীয় নির্বাচনই গনতন্ত্রের একমাত্র মাপকাঠি নয় তাও আপনি বিবৃতির মাধ্যমে স্বীকার করে নিলেন। শুধুমাত্র অ-স্বীকার করে যাচ্ছেন--"যাদের কারনে আপনি আজ নীজের উপরেও বিশ্বাস স্থাপন করতে পারছেন না তাঁদের; সেই অশুভ শক্তি।"যারা আপনাকে প্রলোব্ধ করেছিল '৭৪/৭৫ সালের আদলে অরাজগতা সৃষ্টি করতে পারলে সেনাবাহিনী গুলশানের বাড়ী থেকে নিয়ে আপনাকে ক্ষমতার মসনদে বসিয়ে দিবে।চেয়ারের আশায় আপনিও একাধারে নাশকতা মুলক আন্দোলনের কর্মসূচি আজব্দী প্রত্যাহার না করে অদ্য সাংবাদিক সম্মেলনে ইসি গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করছেন।
সঠিক ভাবে অনুধাবন করতে পেরেছেন তৃনমূলের কর্মীরা কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য মাঠে নামছে না,নেতারাতো নহে-ই।সম্যক বুঝতে পেরেছেন মধ্যবতী নির্বাচন দিলেও আপনার দলের কোন লাভ হবেনা।বরঞ্চ সরকার বাড়তি পাঁছ বছর সময় ক্ষমতায় থাকার বৈধতাই পাবে।আপনাকেও যদি এই মহুর্তে সরকার প্রধান করা হয় আপনার দাবি আগামী পাঁছ বছর দিনরাত পরিশ্রম করেও নীজেই পূরণ করতে পারবেন না।দফায় দফায় বৈঠক করতে গেলেতো সময়ের অংক কোথায় যায়,মহান আল্লাহ-ই-ভাল জানেন। আমার বক্তব্যের অসারতা প্রমান করার জন্য বিএনপি সমর্থিত বন্ধুদের কমেন্ট বক্সে উদাত্ত আহব্বান জানাচ্ছি।ruhulaminmujumder27@gmail.com
"জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু"
(রুহুল আমিন মজুমদার)
গতকাল বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচন কমিশন সংক্রান্ত ১৩ দফা প্রস্তাব উত্থাপন করেন।প্রত্যেক দফায় "স্বাধীনতার পর থেকে অদ্য পয্যন্ত" কথাটি কমন হিসেবে নিরপেক্ষ কমিশন করার কথা বলেন।শেষাবদি এতেও নিরপেক্ষতায় সন্দিহান হয়ে আলাদা সচিবালয়, জনবল নিয়োগের কথাও উত্থাপন করেন।
তাঁরপরও এসব প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলেই যে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, তা মনে করেন না খালেদা জিয়া। তিনি মনে করেন, বর্তমান বাস্তবতায় সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কমিশনকে প্রশাসনিক ও অন্যান্য সহযোগিতা দেওয়া, প্রতিরক্ষা বাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমর্থন ও সহযোগিতা দরকার। তাই নির্বাচন কমিশন যেন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারে, সে জন্য একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের প্রয়োজন। তিনি বলেন, বিএনপি নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরেখা ভবিষ্যতে জাতির সামনে উপস্থাপন করবে।
বেগম খালেদা জিয়া সমস্ত বিষয়গুলী আলোচনার জন্য দুই জোটের দুই জন নির্ধারিত ব্যাক্তি সহ তাঁর সাথে পাহারাদার একজন সাক্ষীও রাখার প্রস্তাব করেন।যতক্ষন সমস্যার সমাধান না হয় অনিদির্ষটকাল আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার প্রস্তাবনাও রেখেছেন।পরবর্তিতে নির্বাচন কালীন সহায়্যক সরকারের রুপরেখাও উপস্থাপন করবেন বলে জানিয়েছেন।
ভাবখানা এমন বর্তমান সরকারের শাষন মেয়াদ দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হলেও আপত্তি নেই।সম্পর্ণ প্রস্তাব বাস্তবায়ন করার জন্যে নিদেনপক্ষে আগামী আরো পাঁছ বছর সময় দিলেও পারবেন কিনা ব্যাক্তিগত ভাবে আমি সন্দিহান। বিশেষ করে সচিবালয় নির্মানের জন্য টাকা বরাদ্ধ থেকে আরাম্ভ করে দরপত্র আহব্বান, কাজের সমাপ্তি,আসবাবপত্র ক্রয়,ফাইল পত্র চাপানো ইত্যাদি কর্ম সম্পাদন পাঁছবছরের কম সময়ে পারবে বলে মনে হয়না। উপরন্তু আলাদা জনবল নিয়োগ, জনবলের প্রাকযোগ্যতার মধ্যেও শর্তযুক্ত নিয়োগ রয়েছে।
প্রিয় পাঠকবর্গ, উপরের উল্লেখিত বক্তব্যটি বিএনপি নেত্রীকে তাচ্ছিল্য করার উদ্দেশ্যে বর্ননা করি নাই। বিগত আটবছরে সবকূল তাঁর সাথে বেঈমানী করার কারনে তিনি বিশ্বাস শব্দটির উপর আস্থা হারিয়ে নীজেকেও বিশ্বাস করতে পারছেন না।তাঁর প্রমান সব বাস্তবায়ন হলেও নির্বাচন সুষ্ঠ হয় কিনা তিনি সন্দিহান কথাটার প্রতি মনযোগ দিলে তর্কের প্রয়োজন হবেনা।
তিনি যে সরকারের জন্য ২০১৪/১৫ সালে আন্দোলনের নামে সম্পদহানি, জীবনহানী, নেতাকর্মীদের অবর্ণনীয় দু:খ্যকষ্টের মধ্যে ঠেলে দিয়েছিলেন সেই সরকারের আন্দোলন থেকে সরে গেছেন কিনা তাও বলেননি।হাজার হাজার নেতাকর্মী দলীয় নির্দেশ মানতে গিয়ে সন্ত্রাস, হত্যা, লুটপাটে অংশ নিয়ে জেলখানা অথবা পলাতক জীবনযাপন করছে তাঁদের সম্পর্কেও কোন বক্তব্য উত্থাপন করেননি।তর্কের খাতিরে ধরেই নিলাম সব নির্দোষ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা করেছে।আসমান থেকে ইবলিশ শয়তান আগুনবোমা নিক্ষেপ করে জ্যান্তমানুষ দগ্ধ করে দিয়ে হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে।নির্দোষ নেতাকর্মীদের "মামলা প্রত্যাহার অথবা আন্দোলন" এমন কোন বক্তব্য তাঁর মুখ থেকে বের হয়নি।হাজার হাজার নেতাকর্মীর ত্যাগের 'তত্বাবধায়ক' সরকারের দাবী থেকে পিছুটান যদি দিতেই হয় অন্তত: নেতাকর্মীদের মামলাগুলী প্রত্যাহারের একটা চেষ্টা প্রধান নেত্রী হিসেবে তাঁর কি করা উচিৎ ছিলনা?
তিনি জানেন বহুবার বলেছেন অবৈধ সরকার,অনির্বাচিত সরকার, অগনতান্ত্রিক সরকারের সঙ্গে তিনি আলোচনায় বসবেন না।গতকালের প্রস্তাবগুলী তিনি কার কাছে দিলেন? তাছাড়া অবৈধ সরকারকে অনির্দিষ্টকাল ক্ষমতা উপভোগ করার একতরফা অনুমতি তিনি কেন দিবেন?তিনি কি জনগন কতৃক বাংলাদেশের কোন পয্যায়ের নির্বাচিত প্রতিনীধি? সারা বাংলাদেশ জানে, বিশ্ববাসি জানে বিনাভোটে ১৫০ সাংসদকে ইসি নির্বাচিত ঘোষনা করেছে। এমন একটি একদলীয় বাকশালী সরকারকে অনির্দিষ্ট কাল ক্ষমতা উপভোগের অবাধ লাইসেন্স দেয়ার তিনি কে? যে সরকার গায়ের জোরে দেশ শাষন করছেন তিনি নীজেই তার আগের দিন বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছেন-সেই সরকারকে আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতার মসনদ থেকে টেনে নামানোর কথা না বলে আলোচনার প্রস্তাব কেন?তাও আবার যতদিন লাগুক দফায় দফায় আলোচনা!!
২০০৬ ইং সালের নির্বাচনে বর্তমানের ১৩ দফার একদফাও যদি খালেদা জিয়া পুরণ করতেন হয়ত আজকের এই নৈরাশ্যজনক বক্তব্য দেয়ার প্রয়োজন হ'ত না।উক্ত দফাগুলি মিমাংসা করার একক ক্ষমতার অধিকারি অথবা সর্ববৃহৎ অংশিদারীত্ব তাঁরই থাকতো।তখনকার সময়ের আন্দোলনের প্রধান নেত্রী আজকের প্রধান মন্ত্রীর দাবিও খুব বেশী ছিলনা।তিনি শুধু আপত্তি করেছিলেন তাঁর জোটের সঙ্গে আলোচনা করা উচিৎ ছিল।আলোচনা না করার কারনে সরকারের প্রতি আহব্বান জানিয়েছিলেন সংসদের প্রধান বিরুধী দলীয় নেত্রী হিসেবে নিদেনপক্ষে সংবিধান অনুসরন করে নির্বাচন কমিশনার সহ অপরাপর সদস্যদের নিয়োগ দেয়ার জন্য।তাঁর সেই আহব্বানের প্রতিও আত্ম অহমিকায় ডুবু ডুবু চারদলীয় জোট সরকার এবং তাঁর নেত্রী খালেদা কর্ণপাত করার প্রয়োজন অনুভব করেননি।
শেষপয্যন্ত সরকারকেও স্বীকার করে নিলেন, সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডকেও স্বীকার করলেন, ইউপি নির্বাচনকেও জোরালো বিরুধীতা না করে "প্রশ্নবিদ্ধ" বলে আংশিক হলেও স্বীকার করে নিলেন, শুধুমাত্র জাতীয় নির্বাচনই গনতন্ত্রের একমাত্র মাপকাঠি নয় তাও আপনি বিবৃতির মাধ্যমে স্বীকার করে নিলেন। শুধুমাত্র অ-স্বীকার করে যাচ্ছেন--"যাদের কারনে আপনি আজ নীজের উপরেও বিশ্বাস স্থাপন করতে পারছেন না তাঁদের; সেই অশুভ শক্তি।"যারা আপনাকে প্রলোব্ধ করেছিল '৭৪/৭৫ সালের আদলে অরাজগতা সৃষ্টি করতে পারলে সেনাবাহিনী গুলশানের বাড়ী থেকে নিয়ে আপনাকে ক্ষমতার মসনদে বসিয়ে দিবে।চেয়ারের আশায় আপনিও একাধারে নাশকতা মুলক আন্দোলনের কর্মসূচি আজব্দী প্রত্যাহার না করে অদ্য সাংবাদিক সম্মেলনে ইসি গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করছেন।
সঠিক ভাবে অনুধাবন করতে পেরেছেন তৃনমূলের কর্মীরা কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য মাঠে নামছে না,নেতারাতো নহে-ই।সম্যক বুঝতে পেরেছেন মধ্যবতী নির্বাচন দিলেও আপনার দলের কোন লাভ হবেনা।বরঞ্চ সরকার বাড়তি পাঁছ বছর সময় ক্ষমতায় থাকার বৈধতাই পাবে।আপনাকেও যদি এই মহুর্তে সরকার প্রধান করা হয় আপনার দাবি আগামী পাঁছ বছর দিনরাত পরিশ্রম করেও নীজেই পূরণ করতে পারবেন না।দফায় দফায় বৈঠক করতে গেলেতো সময়ের অংক কোথায় যায়,মহান আল্লাহ-ই-ভাল জানেন। আমার বক্তব্যের অসারতা প্রমান করার জন্য বিএনপি সমর্থিত বন্ধুদের কমেন্ট বক্সে উদাত্ত আহব্বান জানাচ্ছি।ruhulaminmujumder27@gmail.com
"জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু"


মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন