‘নেত্রীত্ব’ বনাম নেতৃত্ব
Sheikh Hasina - 17111
হাসান মাহমুদ| ১৭ মে, ২০১৭(সংরক্ষনে রাখার নিমিত্তে কপি পেস্ট)
হেফাজতের সঙ্গে সরকারের সাম্প্রতিক ‘মায়াময়’ বৈঠকের পর ইসলামের এক হেফাজতকারী নাকি বলেছেন: ইসলামে নারী ‘নেত্রীত্ব’(নেতৃত্ব) নিষিদ্ধ। কথাটা নুতন নয়। দেশের অনেক আলেম-ইমাম নারী নেতৃত্বের বিরোধী এবং তারা গ্রামগঞ্জের কোটি মানুষকে প্রভাবিত করেন।
গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে এক ইসলামি দল লিখিত স্মারকলিপি দিয়েছিল যেন সাংবিধানিকভাবে নারীকে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে নিষিদ্ধ করা হয় — ১৩ জুলাই ২০০৮।
১৮ জানুয়ারি ২০০৬ ‘ভয়েস অব আমেরিকা’ রেডিওর আলোচনায় আমার বিপক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতের সিনিয়র অ্যাসিসটেন্ট জেনারেল সেক্রেটারি জনাব মরহুম কামরুজ্জামান মিয়া অংশ নিয়েছিলেন। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল জামায়াত বহু বছর ধরে নারী নেতৃত্ব ‘হারাম’ বলার পরেও বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব ও প্রধানমন্ত্রীত্ব মেনে নিল কী করে? জবাবে তিনি বলেছিলেন:
“পরিস্থিতির কারণে জামায়াত নারী নেতৃত্ব মেনে নিয়েছে।”
অর্থাৎ ‘পরিস্থিতির কারণে’ যাঁরা এতকালের ‘হারাম’কে ‘হালাল’ করেছেন, ভবিষ্যতে তারা ওই ‘পরিস্থিতির কারণে’ই সে হালালকে হারাম করতে পারেন এবং সেই পরিস্থিতি কখন কোথায় কীভাবে ঘটবে, সেটাও তারাই ঠিক করবেন। এটা অবশ্য নুতন কিছু নয়; এরকম উদ্ভট ও স্বার্থকেন্দ্রিক কিছু দাবি চিরকাল হয়েছে মুসলিম ইতিহাসে। যেমন, সুবিশাল ভারতবর্ষের সর্ববৃহৎ ইসলামি প্রকাশনা কেন্দ্রের ‘দ্য ডকট্রিন অব ইজমা ইন ইসলাম — এ স্টাডি অব দ্য জুরিডিক্যাল প্রিন্সিপল অব কনসেন্সাস’ বইয়ে (পৃষ্ঠা ১৬ – আহমেদ হাসান – কিতাব ভবন, নিউ দিল্লি ১১০০০২) দাবি করা হয়েছে:
“কোরানের কোনো আয়াত যদি আমাদের ইমামদের মতের বিরুদ্ধে যায় তাহা হইলে ধরিয়া লইতে হইবে যে ওই আয়াতটি বাতিল হইয়া গিয়াছে… ইহাই ভালো যে ওই আয়াতটি এমনভাবে ব্যাখ্যা করিতে হইবে যাহা ইমামদের মতের সাথে মিলে।”
কেউ চাইলে পৃষ্ঠাটার ফটোকপি পাঠানো যেতে পারে। ইসলাম নিয়ে এ কালখেলার অনেক মূল্য দিয়েছে ও দিচ্ছে বিশ্ব-মুসলিম। আমরা এখন দেখব নারী নেতৃত্বের ব্যাপারে (১) শরিয়া আইন কী বলে, (২) ইতিহাসের বাস্তবতা কী, (৩) রাসুল (সা.) কী বলেন এবং (৪) কোরান কী বলে।
Khaleda Zia - 20111
(১) শরিয়া আইন:
শরিয়া আইনে নারী নেতৃত্ব সরাসরি নিষিদ্ধ যা কোরান, রাসুল (সা.) ও ইসলামি ইতিহাসের বাস্তবতার বিরুদ্ধে যায়, সূত্র-প্রমাণ নিচে দেওয়া হল। শরিয়া আইনটা বাংলাদেশের পাঠক যাতে মিলিয়ে দেখতে পারেন সেজন্য দেখাচ্ছি বাংলাদেশ ইসলামি ফাউন্ডেশনের প্রকাশিত ‘বিধিবদ্ধ ইসলামী আইন’ বইয়ের ৩য় খণ্ডের ১৯৭ পৃষ্ঠায় ধারা ৯০০। ‘রাষ্ট্রপ্রধান হওয়ার যোগ্যতা’ আইনে আছে:
“রাষ্ট্রপ্রধানের পুরুষ হওয়াও অপরিহার্য শর্ত।”
‘অপরিহার্য’ মানে যাকে পরিহার করা বা বাদ দেওয়া অসম্ভব। কিন্তু তার পরপরই কোনো এক রহস্যময় কারণে ‘অপরিহার্য শর্ত’ আর ততটা ‘অপরিহার্য’ থাকেনি। বলা হয়েছে:
“ইসলামি রাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞ ফকীহগণ কোনো বিশেষ পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে জাতির সার্বিক কল্যাণ বিবেচনা করিয়া উক্ত সর্বোচ্চ পদ নারীর জন্য অনুমোদন করিতে পারেন।”
অর্থাৎ তাদের অনুমোদন ছাড়া যোগ্য নারীও রাষ্ট্রপ্রধান হতে পারবেন না। এই সুবিশাল সিদ্ধান্ত কে বা কারা, কবে, কোথায়, জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই কোন অধিকারে ও কিসের ভিত্তিতে ঠিক করল এবং এটা বিশ্ব-মুসলিম মানবেই বা কেন তা অবশ্য বলা হয়নি।
(২) ইতিহাসের বাস্তবতা:
আমাদের সময়ে বাংলাদেশ-পাকিস্তান-ইন্দোনেশিয়ায় রাষ্ট্রপ্রধান হয়েছেন বেগম শেখ হাসিনা, বেগম খালেদা জিয়া, বেগম বেনজির ভুট্টো ও বেগম সুকর্ণপুত্রী। আর ইতিহাসে আছে মুসলিমপ্রধান দেশ মিসর, ইয়েমেন, ইরান, মধ্য এশিয়া, মালদ্বীপ ও ইন্দোনেশিয়ায় সার্বভৌম মুসলিম রানিরা শাসন করেছিলেন। তারা কোনো রাজাদের অলঙ্কার-মার্কা রানি ছিলেন না, তারা ছিলেন রাজদণ্ডধারী সার্বভৌম শাসনক্ষমতার অধিকারী মুসলিম রানি। তাদের কারো কারো নিজের নামে মুদ্রা ছিল, তাদের অনেকের নামে মওলানারা দোয়া (খুতবা) করতেন মসজিদে। ১৭ জন সার্বভৌম মুসলিম রানির উদাহরণ দিচ্ছি বিশ্ববিখ্যাত ইসলামি বিশেষজ্ঞ ডক্টর ফাতিমা মার্নিসির বই ‘ইসলামের বিস্মৃত রানিগণ’ (দ্য ফরগটেন কুইনস অফ ইসলাম) পৃষ্ঠা ৯০-৯১ থেকে–
• ১২৩৬ সাল দিল্লি, মানুষের ইতিহাসে একমাত্র কুমারী রানি সুলতানা রাজিয়া। তখনকার খলিফা আমিরুল মুমেনিনের সমর্থনও পেয়েছিলেন তিনি। তাঁর মুদ্রায় খোদাই করা আছে:
“সুলতান ইলতুৎমিসের কন্যা মালিকা ইলতুৎমিস, যিনি আমিরুল মুমেনিনের সম্মান বাড়ান।” মুদ্রাটা এখনও থাকার কথা কোলকাতার মিউজিয়ামে।
• ইরানের তুরকান অঞ্চলের রানি তুরকান খাতুন, ১২৫৭ থেকে ১২৮২ পর্যন্ত একটানা ২৫ বছর। মসজিদে তাঁর নামে খুতবা পড়া হত।
• তুরকান খাতুনের কন্যা পাদিশা খাতুন। নামাঙ্কিত মুদ্রা।
• ইরানের সিরাজ অঞ্চলে আবশ খাতুন। ১২৫৩ থেকে ১২৮৭, একটানা ৩৪ বছর। খুতবা ও নামাঙ্কিত মুদ্রা, দুটোই ছিল।
• ইরানের লুরিস্থান অঞ্চলের ১৩৩৯ সালের মুসলিম রানি (নাম জানা নেই)।
• রানি তিন্দু, ১৪২২ থেকে ৯ বছর পর্যন্ত (জায়গা সম্বন্ধে মতভেদ আছে)।
• মালদ্বীপের সুলতানারা খাদিজা, মরিয়ম ও ফাতিমা। ১৩৪৭ থেকে ১৩৮৮, একটানা ৪১ বছর। এক সময়ে ইবনে বতুতা সেখানকার সরকারি কাজি ছিলেন।
• ইয়েমেনের সুলায়হি (শিয়া-খেলাফত?) বংশের দুই রানি আসমা ও আরোয়া, প্রায় ৫০ বছর রাজত্ব করেছেন। মসজিদে তাদের নামে খুতবা হত।
A Second Coming
• ১২৫০ সালে মিসরের রানি সাজারাত আল দুর, ১২৫৭ থেকে ১২৫৯, মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত দুবছর। তাঁর নামে মুদ্রা ও মসজিদে খুতবা দুটোই। মামলুক খেলাফতের সমর্থনও পেয়েছিলেন তিনি।
• সুলতানা ফাতিমা, মধ্য এশিয়ায় কাসেমি খেলাফতের শেষ সার্বভৌম সুলতানা, শাসন করেছেন ১৬৭৯ থেকে ১৬৮১ দুবছর।
• ইন্দোনেশিয়ায় ১৬৪১ থেকে ১৬৯৯ পর্যন্ত ৫৮ বছর ধরে একটানা শাসন করেছেন সুলতানা শাফিয়া, সুলতানা নুর নাকিয়া, সুলতানা জাকিয়া, ও সুলতানা কামালাত শাহ। ওখানকার মওলানারা মক্কা থেকে ফতোয়া এনে সুলতানাদের উৎখাত করার চেষ্টা করেও পারেননি রানিদের জনপ্রিয়তার জন্য।
(৩) রাসুল (সা.):
নারী নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কিছু হাদিস আছে কিন্তু সেগুলোতে নাম-ধাম জায়গা ও ঘটনার বিস্তারিত কোনো বিবরণ নেই। যেমন, মওলানা মুহিউদ্দীনের অনুদিত বাংলা কোরানের ব্যাখ্যার অংশ, পৃষ্ঠা ১২২০। নবীজি (সা.) নাকি বলেছেন:
“যখন তোমাদের শাসকবর্গ তোমাদের মন্দ ব্যক্তি হইবে, তোমাদের বিত্তশালীরা কৃপণ হইবে এবং তোমাদের কাজকর্ম নারীদের হাতে ন্যস্ত হইবে, তারা যেভাবে ইচ্ছা কাজ করিবে, তখন তোমাদের বসবাসের জন্য ভূপৃষ্ঠ অপেক্ষা ভূগর্ভই শ্রেয় হইবে।”
এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। সবাই জানেন আমাদের সহি হাদিসের কিতাবগুলোতে অনেক পরস্পরবিরোধী হাদিস আছে। নাম-ধাম ঘটনার বিবরণহীন কোনো হাদিসের বিপক্ষে যদি নাম-ধাম ঘটনার বিবরণসহ কোনো হাদিস থাকে তবে পরেরটা গ্রহণযোগ্য হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি, যদি তা থেকে সমাজের উপকার হয়।
‘শারিয়া কী বলে, আমরা কী করি’ বইতে আমি এরকম দুপক্ষেরই পরস্পরবিরোধী হাদিসের অজস্র উদাহরণ-উদ্ধৃতি দিয়ে দেখিয়েছি। আরেকটা কথা না বললেই নয়। হাদিসের অনুবাদগুলোতে নম্বরের পার্থক্য আছে। আমি ব্যবহার করি মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহসিন খানের সহি বুখারির ৯ খণ্ডের অনুবাদ, দুনিয়ায় ওটাই সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় বলে আমার ধারণা।
নারী নেতৃত্বের বিরুদ্ধে নাম-ধাম ঘটনার বিবরণসহ হাদিস পেয়েছি মাত্র একটি, তাও আবার মাত্র একজন সাহাবির বলা, এবং রাসুলের (সা.) মৃত্যুর সুদীর্ঘ ২৪ বছর পরে। এবারে সেই হাদিসটার ব্যবচ্ছেদ করা যাক।
নবীজির (সা.) তায়েফ আক্রমণের সময় কিছুতেই তায়েফের দুর্গ ভাঙা যাচ্ছিল না। তখন তিনি ঘোষণা করলেন দুর্গের ভেতর থেকে যে সব ক্রীতদাস পালিয়ে আসবে তারা সবাই মুক্ত হবে। শুনে অনেক ক্রীতদাস পালিয়ে আসে, ফলে দুর্গের পতন হয়। বালক আবু বাকরা [হজরত আবু বকর (রা.) নন] ছিলেন তাদের একজন।
এরপর ২৪ বছর চলে গেছে, নবীজি (সা.) দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন, আবু বাকরা তখন বসরা নগরের গণ্যমান্য নাগরিক। ঘটে গেল রক্তাক্ত ‘জামাল যুদ্ধ’ হজরত আলীর (রা.) বিরুদ্ধে হজরত আয়েশা-তালহা-যুবায়ের (রা.) দলের। যুদ্ধে হজরত আলী (রা.) জয়লাভ করে বিবি আয়েশাকে (রা.) সসম্মানে মদিনায় পাঠিয়ে দেওয়ার পর বসরায় প্রবেশ করে শহরের গণ্যমান্য লোকদের ডেকে পাঠান। আবু বাকরা তখন হজরত আলীকে (রা.) এই হাদিস শোনান–
নবীজির (সা.) সময় রোম সম্রাট হিরাক্লিয়াসের আক্রমণে ইরানে খুব বিশৃঙ্খলা হয়েছিল। তখন সেখানে দুজন নেত্রীর আবির্ভাব হয়েছিল, সেকথা শুনে নবীজি (সা.) নাকি আবু বাকরাকে বলেছিলেন:
“আবু বাকরা বলিয়াছেন, জামাল যুদ্ধের সময় আমি সাহাবিদের সহিত যোগ দিয়া (বিবি আয়েশার পক্ষে) যুদ্ধে প্রায় নামিয়া পড়িয়াছিলাম, কিন্তু নবীর (সা.) একটি কথায় আল্লাহ আমাকে বড়ই উপকৃত করিয়াছেন। যখন নবীজিকে (সা.) বলা হইল যে (পারস্য সম্রাট) খসরুর মৃত্যুর পরে পারস্যের লোকেরা তাহার কন্যার উপর নেতৃত্ব অর্পণ করিয়াছে, তখন তিনি বলিলেন, ‘কখনও উন্নতি করিবে না সেই জাতি যে জাতি তাহাদের নেতৃত্ব অর্পণ করে নারীর উপরে’।”
(সহি বুখারির ইংরেজী অনুবাদ, ড. মুহসিন খান, মদিনা বিশ্ববিদ্যালয় – পঞ্চম খণ্ড, হাদিস ৭০৯)
তাহলে আমরা পেলাম:
১। এ হাদিস জানার পরেও আবু বাকরা বিবি আয়েশার (রা.) পক্ষে যুদ্ধে “যুদ্ধে প্রায় নামিয়া পড়িয়াছিলাম”, অর্থাৎ তিনি বিবি আয়েশার (রা.) পক্ষে যুদ্ধ করেননি;
২। এ হাদিস তিনি প্রকাশ করেছেন হজরত আয়েশা (রা.)পরাজিত হওয়ার পরে, আগে নয়;
৩। বলেছেন নবীজির (সা.) মৃত্যুর সুদীর্ঘ ২৪ বছর পর, তার আগে নয়;
৪। এ হাদিসে তিনি “বড়ই উপকৃত হয়েছেন”;
৫। তিনি হজরত আলীকে (রা.) বলেছেন, অন্য কাউকে না জানালেও তিনি নাকি শুধু হজরত আয়েশাকে (রা.) জামাল যুদ্ধের আগে চিঠি লিখে এ হাদিসের কথা জানিয়েছিলেন;
৬। অনেক গুরুত্বপূর্ণ হাদিস নবীজি (সা.) বর্ণনা করেছেন অনেক সাহাবিকে, কিন্তু যে হাদিসের সঙ্গে কেয়ামত পর্যন্ত বিশ্বের সব মুসলিম নারীর সম্মান ও অধিকার বাঁধা, সেই অসাধারণ গুরুত্বপূর্ণ হাদিস নবীজি (সা.) বলেছেন শুধু তাকেই, আর কাউকেই নয় কিংবা বিদায় হজের খুতবাতেও নয়।
এবার হিসাবের কড়ি:
• আবু বাকরা বলেছেন, “আমি বড়ই উপকৃত হইয়াছি।” কীভাবে? তিনি কোনো নেতা বা রাজা-বাদশা ছিলেন না, কীভাবে তিনি ব্যক্তিগতভাবে বড়ই উপকৃত হলেন? তিনি তো বিবি আয়েশার (রা.)বিরুদ্ধে হজরত আলীর (রা.)পক্ষে যুদ্ধও করেননি।
• জামাল যুদ্ধে যদি আয়েশা (রা.) জিতে যেতেন, তবে কি তিনি এ হাদিস প্রকাশ করতেন? নিশ্চয়ই না, তিনি তো ২৪ বছরে কাউকেই এ হাদিস বলেননি।
• জামাল যুদ্ধ যদি না হত তবে তিনি এ হাদিস বলতেন কি? নিশ্চয়ই না, কারণ তিনি ২৪ বছরে কাউকেই এ হাদিস বলেননি।

এবারে প্রমাণ:
• চিঠিতে হাদিসের কথা জানানোর পরেও বিবি আয়েশা (রা.) যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন। অর্থাৎ তিনি এ হাদিস বিশ্বাস করেননি;
• পরবর্তীতে মওলানারা এ হাদিস জানতেন না, এটা হতে পারে না। ইতিহাসে এক ইন্দোনেশিয়া ছাড়া আর কোথাও তারা সুলতানাদের বিরোধীতা তো করেনইনি বরং রানিদের নামে খুতবা পড়িয়েছেন। অর্থাৎ তারা এ হাদিস বিশ্বাস করেননি;
• খলিফাদের সমর্থন ছাড়া সুলতানাদের মুদ্রা ও খুতবা সম্ভব হত না। তাদের দরবারে কোরান-হাদিসের প্রচণ্ড চর্চা হত, খলিফারা ও প্রাসাদ ইমামেরাও এ হাদিস বিশ্বাস করেননি।
অর্থাৎ ইসলামের ইতিহাসে বেশিরভাগ লোক এ হাদিস বিশ্বাস করেনি। প্রেসিডেন্ট আইয়ুবের বিরুদ্ধে নির্বাচনে ফাতিমা জিন্নার সমর্থক মওলানা মওদুদিও বিশ্বাস করেননি। কেন? কারণ তারা জানতেন, এ হাদিস জাল।
এই সূত্রগুলো থেকে জানা যায় কেন এ হাদিস জাল–
• “ইহার বর্ণনাকারী আবু বাকরাকে নারী-ব্যাভিচারের মিথ্যা সাক্ষ্য দেওবার অপরাধে হজরত ওমর (রা.) শাস্তি দিয়াছিলেন”। (উইমেন অ্যান্ড পলিটিক্স ইন ইসলাম – Submission নামক ইসলামি ওয়েবসাইট)
অর্থাৎ আবু বাকরা এক নিরপরাধ শালীন নারীর বিরুদ্ধে ব্যাভিচারের মামলায় মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। এটা একটা জঘন্য অপরাধ;
• “এই হাদিসের অসত্যতা সুপ্রমাণিত শুধু ইতিহাসেই নয়, বরং ইহাও সত্য যে আবু বাকরা সম্বন্ধে মুসলমানের ইতিহাসে লিপিবদ্ধ আছে যে মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ার অপরাধে তাহাকে জনসমক্ষে শাস্তি দেওয়া হইয়াছিল।”
(উইমেনস রাইট ইন ইসলাম – শরীফ চৌধুরী)
• “আদালতে মিথ্যা সাক্ষ্য দেওবার অপরাধে আবু বাকরাকে শাস্তি দেওয়া হইয়াছিল।”
(দ্য ফরগটেন কুইনস অফ ইসলাম – ফাতিমা মার্নিসি)
(৪) কোরান:
সুরা নূর, আয়াত ৪:
“যাহারা সতী-সাধ্বী নারীর প্রতি অপবাদ আরোপ করে, অতঃপর স্বপক্ষে চারজন পুরুষ-সাক্ষী উপস্থিত করে না, তাহাদিগকে ৮০টি বেত্রাঘাত করিবে এবং কখনও তাহাদের সাক্ষ্য কবুল করিবে না। ইহারাই নাফরমান।”
এই নাফারমান আবু বাকরার কথাতেই শারিয়া আইনে নারী নেতৃত্ব নিষিদ্ধ করা আছে। অথচ কোরানে কোথাও নারী নেতৃত্ব নিষিদ্ধ তো নেইই বরং সমর্থন করা আছে। সুরা নমল আয়াত ২৩:
“আমি এক নারীকে সাবাবাসীদের উপর রাজত্ব করিতে দেখিয়াছি।”
সেই রানি যখন ইসলাম গ্রহণ করে মুসলিম হলেন (আয়াত ৪৪) তখন কি কোরান তাকে সিংহাসন থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলেছে? মোটেই নয়, কোথাও বলেনি! (কোরানে তাঁর নাম নেই, কিন্তু ইসলামি সাহিত্যে তাঁর নাম বিলকিস পাওয়া যায়।)
জীবনের বেশিরভাগ বোঝা মা-বোনেরাই বয়েছেন চিরকাল। কিন্তু তাদের অবদানের প্রতিদান তো দূরের কথা, স্বীকৃতিটুকুও দেওয়া হয়নি। লজ্জাটা কম নয়, কিন্তু সমস্যাটা তার চেয়ে অনেক বড়।
নারী-পুরুষের মিলিত অবদান ছাড়া সমাজের অগ্রগতি সম্ভব নয়। নেতা কিংবা মহাপুরুষেরা সেটা বিলক্ষণ জানতেন। তাই তারা নারীদের কখনও অক্ষম করে রাখেননি, বিশ্বনবী (সা.) তো ননই।
ইসলামে নারী নারী নেতৃত্ব রাজনৈতিক নারী
হাসান মাহমুদওয়ার্ল্ড মুসলিম কংগ্রেসের উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্য, মুসলিমস রিফর্ম মুভমেন্ট ও আমেরিকান ইসলামিক লিডারশিপ কোয়ালিশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য
শাহরিয়ার শিমুল
আসলেই, কিসের শরিয়া আইন। এইটা বাংলাদেশ জনাব। নারী না পুরুষ সেই আলাপ টেনে আনতেছেন কেনো তাই ভাবার বিষয়। আমরা একটা অসাম্প্রদায়িক দেশ, কে নেতা বা নেত্রী হবে তা আমরা ভোট দিয়ে সিলেক্ট করবো, অন্য কোন ট্রেডিশন বা কালচার এর কোন মুল্য গ্রহনযোগ্য না।
মে ১৮, ২০১৭ REPLY
বিল ডি ব্লাজিও
ইসলামে নারীদের কথিত নিপীড়ন নিয়ে পশ্চিমাদের অভিযোগ অনর্থক: সুসান কারল্যান্ড প্রখ্যাত মুসলিম নারীবাদী ও অস্ট্রেলীয় আইনজীবী ওয়ালিদ আলেই’র স্ত্রী ড. সুসান কারল্যান্ড জানিয়েছেন যে, নারীদের জিনগত বিকৃতি সম্পর্কে তিনি অনর্থক ভৎসনার শিকার হয়েছেন। ড. সুসান কারল্যান্ড সম্প্রতি তার লেখা ‘ফাইটিং হিসলাম: উইমেনস, ফেইথ অ্যান্ড সেক্সিজম’ বই প্রকাশ করেছেন।
তিনি জানান, ‘যৌনতার বিরুদ্ধে মুসলিম নারীদের সংগ্রাম’ নিয়ে তার পিএইচডি থিসিসের নিবন্ধিত কপি তুলতে গেলে তিনি অনর্থক গলাবাজির শিকার হয়েছেন।
ইসলামে ধর্মান্তরিত উচ্চ শিক্ষিত এই নারী জানান, তার বিশ্বাস ও ইসলামে নারীদের যৌন শিক্ষা সম্পর্কে তার আলোচনা নিয়ে মানুষের নিন্দায় তিনি ‘বিস্মিত নন’।
তিনি তার বইয়ে লিখেছেন, নারীর বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ নিয়ে বলার বিষয়টি তিনি তার নিজের মধ্য অনুভব করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এটা বিস্ময়কর যে, প্রায়ই পশ্চিমারা মুসলিম নারীদের উপর কথিত নিপীড়নের বিষয়ে তাদের উদ্বেগ প্রদর্শন চেষ্টার মাধ্যমে নারীদের মর্যাদাহানি করছে।’
তিনি বলেন, আমি প্রায়ই আশ্চর্য হই যে, হিজাব পরিধানের মাধ্যমে সুস্পষ্টভাবে একজন মুসলিম নারী সনাক্তযোগ্য হওয়া সত্ত্বেও আমার প্রতি সরাসরি এই ধরনের মনোভাব প্রদর্শন করে মানুষ কতটা আরামদায়ক হতে পারে।’
ইসলামি ব্যক্তিত্ব হিসাবে ইসলাম ও নারীবাদের মতভেদ নিয়ে পূর্ব ধারণার বির্তকে ড. কারল্যান্ড প্রায়ই তার নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে থাকেন।
যদিও মুসলিম নারীরা প্রায়ই হিজাব পরিধান করে বা খুব সাধারণভাবে বোরকা পরিধান করে থাকেন। তবুও ড. কারল্যান্ড তার বইটিতে যুক্তি দেখিয়েছেন যে, ইসলামি নারীদের চিত্রাঙ্কন বিভ্রান্তিকর।
তিনি বলেন, হিজাব পরিহিত স্ব-ঘোষিত নারীবাদীরাও ইসলামের সমালোচককে ‘ইসলামোফোবিক’ হিসেবে বর্ণনা করেন। তবে, সে নারীর জিনগত বিকৃতি এবং ইসলামে নারীদের বিষয় সম্পর্কিত প্রশ্নে অস্বস্তিকর উত্তর দেয়।
পশ্চিমারা মুসলিম নারীদের কিভাবে চিত্রিত করেছেন সেই বিষয়েও তিনি বক্তব্য রাখেন। নিউজ ক্রপকে তিনি বলেন, ‘মুসলিম নারীদের চিরাচরিত অভ্যাস হচ্ছে, তারা বিনয়ী ও অনুগত। তাই তাদেরকে একটি দুর্বল লক্ষ্য হিসাবে দেখা হয়।’
তিনি বলেন, ‘মুসলিম নারী ও স্কুলে তাদের সন্তানেরা সম্ভবত সবচেয়ে বেশি ‘ইসলামফোবিয়া’র লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে।’ ড. কারল্যান্ড ১৯ বছর বয়সে ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনি বিতর্কিত মুসলিম নারী ইয়াসমিন আবেল-মাজিদেরও অত্যন্ত ঘনিষ্ট। ইসলামকে ‘সর্বাধিক নারীবাদী ধর্ম হিসেবে’ বর্ণনা করে গত ফেব্রুয়ারি মাসে আবদেল-মাজিদ তাসমানিয়ান সিনেটর জাকি ল্যামির সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন। কারল্যান্ড বলেন, ‘যৌনতা কেবল মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্য নয়, তা সর্বত্রই বিরাজ করছে। এটা বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভিন্ন রকম হতে পারে কিন্তু দুঃখজনকভাবে এটি সর্বত্রই হচ্ছে।’
মে ১৭, ২০১৭ REPLY
শফিউল
যদিও ইসলাম কাউকে অন্যায়ভাবে হত্যা করায় অনুমোদন দেয় না তবু এমন চরমপন্থীদের উত্থান হচ্ছে কেন? কারণ সব মানুষ যেমন একই নয়, তেমনি সব মুসলমানই উদার নয়। আপনি সারাদিন একটা ধর্মকে, ধর্মের নবিকে, প্রভুকে অশ্লীল গালিগালাজ, ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করে যাবেন আর যদি ভাবেন সবাই আপনার লেখাতে এসে প্রতিবাদ করবে, বক্তৃতা-বিবৃতিতে প্রতিবাদ জানাবে সেটা ভুল। ধরুন এদেশে ১৪ কোটি মুসলমান। তাদের মধ্যে সবাই কি উদারপন্থী হবে? হবে না। আপনি নাস্তিক মানলাম। তো আপনার নাস্তিকতা নিয়ে থাকুন না। খামোকা মানুষের বিশ্বাস নিয়ে গালাগালি করার কী দরকার? আপনার গালাগালিতে অতিষ্ঠ হয়ে কেউ যদি চরমপন্থা অবলম্বন করে তাহলে তার দায় কি কিছুটাও আপনার ওপর বর্তায় না? নাস্তিকতার নামে আপনার এই চরমপন্থা যে অসংখ্য ধর্মীয় চরমপন্থীর জন্ম দিতে পারে, সেই চরমপন্থী যে একসময় দানবরুপে আপনারই সামনে দাঁড়াতে পারে সেটা কি ভেবে দেখেছেন? নাকি আপনি অ্যাসাইলাম ভিসার জন্য, নাস্তিকধর্মের স্বর্গ ইউরোপ-আমেরিকায় প্রবেশের লোভে সেটাই চান?
মে ১৭, ২০১৭ REPLY
আবদুল্লাহ
ভার্চুয়াল নাস্তিকদের মধ্যে ইসলামফোবিয়া ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। পৃথিবীতে অসংখ্য ধর্ম, অসংখ্য মতবাদ আছে। অসংখ্য চরমপন্থী ধর্ম ও জাতিগোষ্ঠী আছে। কিন্তু ভার্চুয়াল নাস্তিকদের সেসব ধর্ম বা মতবাদকে গালাগালি কিংবা সমালোচনা করতে দেখি না। তাদের মূল এজেন্ডাই বোধহয় যত পারো ইসলামকে গালাগালি করো আর ইউরোপ-আমেরিকায় অ্যাসাইলাম ভিসায় গমন করো! মানি জঙ্গিবাদ মুসলিম জাতির জন্য একটা বিষফোঁড়া। প্রায় সব ধর্মেই এমন অনেক বিষফোঁড়া আছে। তালেবান, আল কায়েদা, আইএসের মত চরমপন্থী কিন্তু অন্যান্য ধর্মেও আছে। ভারতেই আছে শিবসেনা, বিজেপির মত হিন্দু চরমপন্থী দল। মিয়ানমারে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা আছে চরমপন্থী হিসেবে। চীনের উইঘুরের বৌদ্ধরাও চরমপন্থায় কম যায় না। ইসরায়েল তো পৃথিবীর সবচে’ ভয়ঙ্কর ধর্মীয় মৌলবাদী দেশ। পৃথিবীর দরিদ্র দেশগুলোতে আছে খ্রিষ্টান মিশনারীরা। যারা অর্থের মাধ্যমে জোর করে খ্রিষ্টান বানায়। আছে ক্রুসেড আহবানকারী খ্রিষ্টানরা এবং ইউরোপ-আমেরিকার অনেক খ্রিষ্টান মৌলবাদী দেশ। কিন্তু ভার্চুয়াল নাস্তিকেরা শুধু ইসলাম আর মুসলমানদেরই দেখেন কেন? সমালোচনা করলে সবাইকে বাদ দিয়ে শুধু মুসলিম আর ইসলামের কেন? আজকের আইএস, আল কায়েদা, তালেবানেরা কিন্তু এমনি এমনি জঙ্গি হয়নি। তাদেরকে বিশ্বমোড়লেরাই নিজের প্রয়োজনে তৈরি করেছিল। প্রয়োজন শেষে তাদেরকে ছুঁড়ে ফেলাতেই আজ তারা জঙ্গিবাদী কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েছে। তাদেরকে যারা আজকের এই দানবে পরিণত করল সেই বিশ্বমোড়লদের কিছু না বলে একটি ধর্মকে গালাগালি করে নাস্তিকেরা মানবতার কী উপকার করছেন তা কারো বোধগম্য নয়!
মে ১৭, ২০১৭ REPLY
আওয়ার ইসলাম
ইসলামফোবিয়া ইউরোপিয়ান রাজনীতির ধারা পরিবর্তন করে দিয়েছে। সাধারণত রাজনীতিবিদরা তাদের স্বভাব অনুযায়ী যেকোনো ইস্যুকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করে ফায়দা উসুল করতে সিদ্ধহস্ত। ইসলামফোবিয়ার মতো লাভজনক একটা ইস্যুকে তারা এমনিতে ছেড়ে দিবে এটা কল্পনা করাও অন্যায়। ইউরোপ বরাবরই রেসিজমের জন্য বিখ্যাত, এদের মধ্যে ব্রিটেন তাদের কলোনিয়াল রেজিমের কারণে ইউরোপের বাইরের লোকদের বাকি ইউরোপীয়ানদের থেকে অপেক্ষাকৃত সহজভাবে মেনে নেয়। কট্টর ক্রিস্টিয়ানিটির মধ্যে দীর্ঘ সময় পার করার কারণে অধিকাংশ ইউরোপিয়ান দেশগুলো অন্য ধর্মের প্রসারণ মন থেকে মেনে নিতে পারেনা। মাঝখানে চার্চের সাথে বিজ্ঞানিদের ঝামেলা, সাথে সাধারণ জনগণের উপর বিশেষ করে নারীদের উপর চার্চ গুরুদের অসহনীয় অত্যাচারের কারণে গত কয়েক শতাব্দী ধরে ইউরোপীয়ানরা ধর্মহীন অবস্থায় আছে। বর্তমান অবস্থা দেখে মনে হয় তারা তাদের পূর্বের অবস্থানে ফিরে যেতে চায়। সেক্যুলার ইউরোপীয়ানরা কোনঠাসা হয়ে পড়বে কিছুদিনের মধ্যেই। ইমিগ্র্যান্ট ও ইসলাম (যেহেতু অন্য আর কোনো ধর্মের অস্তিত্ব নেই ইউরোপে) তাদের ইউরোপিয়ান আইডেন্টিটির পথে প্রধানতম দুটি বাধা।
মে ১৭, ২০১৭ REPLY
Abul Hasan Mia
ইসলামফোবিয়ার প্রথম আলোচিত সফলতা হলো ব্রেক্সিট। ব্রিটেনের সেক্যুলার ও লেফটিস্ট ঘরানার মিডিয়া ও রাজনীতিবিদরা অনেক চেষ্টা করেও ব্রেক্সিট ঠেকাতে পারেনি। রাইট উইংস মিডিয়া ও পলিটিশিয়ানরা অতি সহজেই ইসলামফোবিয়া ট্যাবলেট গিলিয়ে সাধারণদের প্রভাবিত করতে সক্ষম হয়েছে। ফ্রান্সের মেরিনা লা পেন, নেদারল্যান্ডের গার্ট ভিল্ডারদের মতো কট্টর রক্ষণশীল নেতারা এখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে, অথচ কয়েক দশক আগেও এরা বাংলদেশের বামপন্থী নেতাদের মতো জনপ্রিয় ছিলো। ব্রেক্সিট তাদের স্বপ্নে রিফুয়েলিং করছে।
সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা বিশ্লেষণ করলেই বোঝা যাবে, রাজনীতিবিদ ও মিডিয়া কিভাবে মানুষের মনে ইসলামফোবিয়া ঢুকিয়ে দিচ্ছে এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে কিভাবে ইসলামফোবিয়া প্রমোট করা হচ্ছে।বার্লিন ও ফ্রান্সের নিসে ট্রাক চাপা দেয়ার ঘটনায় সে দেশের সরকার প্রমান ছাড়া এই ঘটনাগুলোকে সো কলড ইসলামিস্টদের কাজ বলতে নারাজ ছিল, পরে দেখা গেছে বার্লিনের ঘটনার সাথে ইসলামের কোনো সম্পর্ক ছিলোনা। গত সপ্তাহে লন্ডন হামলার ঘটনায় সরকারের তরফ থেকে একেবারে প্রথমেই বলে দেয়া হলো, এটা সো কলড ইসলামিক এক্সট্রিমিস্টদের কাজ, যদি না তারা অন্য কোনো কিছুর প্রমান পায়। পার্থক্যটা হয়তো ধরতে পেরেছেন। পরে অবশ্য অফিসিয়ালরা প্রমান পেয়েছে, লন্ডন ঘটনার সাথে ইসলাম সংক্রান্ত কোনো ব্যাপার জড়িত ছিলোনা। এই প্রমানে আসলে কোনো লাভ হয়নি, ক্ষতি যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। সাধারণ জনগণের কাছে এর আগে যে মেসেজ দেয়া হয়েছিল তার প্রতিক্রিয়ার খুব বেশি হেরফের হয়নি। উদাহরণ হিসাবে দেয়া যায়, যখন প্রমাণিত হলো লন্ডন ঘটনার সাথে ইসলাম জড়িত না, সাধারণ ব্রিটিশরা খবরটি বিশ্বাস করেনি। পত্র পত্রিকার নিউজ ফিডে গেলে দেখতে পারবেন, হেইট্রেট, রেসিস্ট কমেন্ট, আর ট্রল কেমন আকার ধারণ করেছে।
মে ১৭, ২০১৭ REPLY
মাসহাল
বর্তমানে কিছুবছর থেকে অতিরিক্ত হারে ইসলামফোবিয়া বেড়ে যাওয়ার কারন কি????? আগে তো এরকম ছিলোনা। ৬৩২ সালের পর থেজে তো ১৯৯০ পর্যন্ত এরকম ছিলোনা। এখন কেন এরকম??? ইসলামফোবিয়া ছড়ানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র এর দলগুলো ২০০১-২০০৯ সালে ৪২.৬ মিলিয়ন ডলার অনুদান পায়। CAIR কর্তৃক প্রকাশিত ২০০৮-২০১১ সালে ১১৯ মিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ পায় ইসলামফোবিয়া ছড়ানোর জন্য। কালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটি ও CAIR কর্তৃক প্রকাশিত ২০০৮-২০১৩ সালে ২০৫ মিলিয়ন ডলার অনুদান পায় ইসলামফোবিয়া ছড়ানোর জন্য। ফলস্বরুপ, মিডিয়া ও রাজনৈতিক দলগুলো ইসলামফপবিয়া ছড়াতে মাঠে নেনে পড়ে। যুক্ত্রাষ্ট্রের ৪১ টি দল ও বাকি ৩৫ টি এই কাজে অংশগ্রহণ করে।
তাহলে আমাদের কর্তব্য কি? আমরাও কি হিংসা ও ঘৃনা ছড়াবো? না। আমরা ইসলামের বানি গুলো আরও বেশি করে শান্তিপুর্ন ভাবে ছড়াতে থাকবো। দেশ – বিদেশ , প্রাচ্য – পাশ্চাত্য, মিডিয়ার এত দৌরাত্ব ও অপপ্রচারের পরও আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষ এর নিকট সবচেয়ে গ্রহনযোগ্য জনপ্রিয় ধর্মের নাম ইসলাম ।
পাশ্চাত্য সম্প্রদায় খুব দ্রুত এর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করছেন ।
“ইসলামফোবিয়া” নাম দিয়ে এর প্রসার রোধ করা অপপ্রয়াস মাত্র॥
মে ১৭, ২০১৭ REPLY
kader
আরেক দেশ ছিল এরা শিয়ালের কাছে মুর্গী বর্গা দিয়ে সারাদিন আস্তিক-নাস্তিকবিতর্ক করতো। আস্তিক- নাস্তিক সমস্যাটি অনেক পুরনো। এ নিয়ে যুগে যুগে অনেক বিতর্ক হয়েছে। সকল বিতর্কেই নাস্তিকরা পরাজিত হয়েছে। নাস্তিকরা বেশির ভাগই চিন্তাশীল মানুষ। সেই চিন্তা শয়তানী চিন্তা। অাশ্চর্যের কথা- খোদ শয়তানও কিন্তু আস্তিক। কিন্তু তার অনুসারী নাস্তিকরা ‘খোদা’ মানে না। নাস্তিকরা সাধারণতঃ ধর্মের গোঁড়ামীর বিরোধীতা করতে গিয়েই নাস্তিক হয় এবং দর্শন ও সাহিত্য পড়েই নাস্তিকতার ধারণা তাদের মন-মগজে পোক্ত হয়। মূলতঃ খৃষ্ট ধর্মের গোঁড়ামীর বিরোধীতা করতে গিয়ে নাস্তিক্যবাদের বিকাশ ত্বরান্বিত হয়। কিন্তু নাস্তিকতার গোড়া পত্তন হয়- খৃষ্টধর্মেরও আগে। কিছু ধান্দাবাজ ও ব্যক্তিস্বার্থে অন্ধ মানুষ । কিছু মানুষের ওয়ান এন্ড অনলি হিরো হবার কুচিন্তা । রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা । সবকিছু মিলিয়েই আজকের পরিণতি গণজাগরণ মঞ্চের। তারা এখন রামপালের বিষয়ে আন্দোলন তো দূরে থাক রামপাল বিষয়ে মন্তব্য করতেও হিসেব করে- পাছে মন্ত্রী শ্বশুরের কৃপাদৃষ্টি সরে যায়। হায় বাংলাদেশ সব মাথা বেচা হয়ে গেছে খুব গোপনে………
মে ১৭, ২০১৭ REPLY
মোহাম্মদ দিদারুল হক‎
বিনা কারণে কারো ধর্মবিশ্বাস নিয়ে
টানাটানি করা কেমন সেক্যুলারিজম তা নিয়ে আমার প্রশ্ন রয়েছে। আপনি
কোনো ধর্মে বিশ্বাস নাই করতে পারেন। তাই বলে অন্যের ধর্মকে যা খুশি তাই বলে
অপমান করার অধিকার রাখেন না। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, চলমান সময়ে
নাস্তিকতা মূলত: ইসলাম বিদ্বেষে পরিণত হয়েছে। এদের কেউ কেউ কখনওবা
অন্যান্য ধর্মের সমালোচনা করে থাকলেও মূলত: তাদের আক্রোশটা যেন ইসলাম ও
মুসলমানদের নিয়ে। যেটাকে পাশ্চাত্যে ইসলামফোবিয়ার ফলাফলও বলা যেতে
পারে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কুরআন অবমাননা, কুরআন পুড়িয়ে দেয়া, রসুলুল্লাহ
(স) এর অবমাননা, তাঁর ব্যাঙ্গাত্মক কার্টুন আঁকা, তাঁকে নিয়ে আপত্তিকর চলচ্চিত্র
নির্মান করাসহ নানাভাবে ইসলাম ও মুসলমানদের হেয় করতে দেখা যায়। কিন্তু
অন্য কোনো ধর্ম নিয়ে এসব ব্যক্তি বা সংগঠনকে এ ধরণের ঘৃণ্য মাতামাতি করতে
দেখা যায় না। সুতরাং, একটা নির্দিষ্ট জাতিকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিভিন্ন
প্রান্ত থেকে গালিগালাজ বা তাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে এমন কোন
কাজ যদি চলতেই থাকে তবে সেই ধর্মবিশ্বাসের মানুষের মধ্য থেকে
উগ্রবাদীর জন্ম নেয়া আমি অন্তত অস্বাভাবিক মনে করি না। তবে কেউ
গালি দিলেই তার প্রতি উগ্রপন্থায় চড়াও হওয়াটাও ইসলামের শিক্ষা নয়। কিন্তু,
কলমের খোঁচায় যারা এসব উগ্রবাদের জন্ম দিচ্ছে তাদের ভূমিকা নিয়ে একজন
মুসলমান হিসেবে আমার যথেষ্ট আপত্তি আছে। কারণ, আমি কারো উদ্দেশ্যে
জীবনে কখনও গালিগালাজ কিংবা কটুবাক্য ছুড়ে দেইনি। কারো ধর্মীয়
গ্রন্থে অগ্নিসংযোগ করিনি।
মে ১৭, ২০১৭ REPLY
Nurul Haq
বাম শক্তিটি ভয়াবহ রকমের প্রতিক্রিয়াশীল। তাদের মুখের ভাষা শ্রবণ এবং উচ্চারনের অযোগ্য। কিন্তু এই নোংরা ভাষাই তাদের কাছে অতি প্রিয়, আধুনিকতার লক্ষণ।
ইসলামপন্থীদের মানুষের কাছে হাস্যকরভাবে উপস্থাপনের প্রচেষ্টায় তারা তাদের নানা ধরণের বিকৃত নামে ডাকে, যার মাঝে সবচেয়ে পরিচিত হল ছাগু। যখনই কোন কথার যুক্তিতে তারা পেরে উঠে না, তখনই রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী- এ ধরণের প্রতিক্রিয়াশীল শব্দ ব্যাবহার করে ঘায়েল করার চেষ্টা করে। বাম রামেরা ও নগ্নতবাদীরা শুধু নগ্নতাকে সমর্থন করে, তারা কি দেখেনা ওড়না কি শুধু মুসলমানদের ধর্মীয় পোশাক নাকি, অনেক অমুসলিম মেয়েরাও ওড়না পড়ে। পাঠ্য বইয়ে যদি নৈতিক শিক্ষা না থাকে তাহলে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা নৈতিক অবক্ষয় দিকে ধাবিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। নগ্নতার মাঝে যাদের জন্ম তারাই কেবল এসব নৈতিক বিষয় নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করতে পারে। ধর্মান্ধতার অন্ধকার থেকে বের হতে হবে। সাথে আমিও একমত। তবে উনি ভুলে গেছেন যেকোনো বিষয়ে পান্ডিত্ব অর্জনের পাশাপাশি ধর্মানুরাগী হতে হবে যা আমাদের আলোকিত মানুষ হতে সাহায্য করবে।নইলে ডাক্তার হয়ে যায় কসাই, শিক্ষক হয়ে যায় ধর্ষণকারী, বাবার বয়সী লেখক অল্পবয়সী লেখিকাকে মেয়েজ্ঞানে এক রুমেই রাত কাটাতে(!) চায়, প্রশাসক ঘুস খায়….
মে ১৭, ২০১৭ REPLY
আকাশ
নাস্তিকরা অাস্তিকদের নির্মূল করতে চান,সে জন্য তারা প্রথমে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া, অভিযুক্ত করা শুরু করেন। তারা মনে করেন সব কিছু নাস্তিকদের মতানুসারে হোক,যদিও সমাজে নাস্তিকদের সংখ্যা খুবই নগণ্য।তবে মিডিয়াগুলো তাদের পক্ষে অাস্তিকদের কে অপমান করে ঘৃণার বাণী ছড়ায়।নাস্তিকদের ধর্মবিদ্বেষ এত বেশি যে তারা খুব বেশি রকমের উস্কানিমূলক কথা বলে ধার্মিকদের উস্কানি দেয় যাতে করে ধার্মিকরা প্রতিবাদ করলে উগ্রবাদ,সন্ত্রাস বলে তাদের বিরুদ্ধে নিউজ করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নিয়ে তাদের বিচারিক হত্যাকান্ডের শিকারে পরিণত করে নির্মূল করা যায়,সেই সাথে তারা বেহায়াপনা বেলেল্লাপনা চালিয়ে যেতে পারে।সব ধরনের অপরাধ পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় ধার্মিকদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা কম,এমনকি নাস্তিকদের প্রতিও তেমন ঘৃণা,বিদ্বেষ নেই যদি না তারা চরম বাড়াবাড়ি করে।
মে ১৭, ২০১৭ REPLY
হাকিম
বর্তমান বিশ্ব পেশী শক্তি ভিত্তিক রাজনীতির উপর নির্ভর করে সম্পদ এর পাহাড় গড়ায় ব্যস্ত বিশেষ করে পারমাণবিক শক্তিধর দেশ গুলো। আর ধর্মগুলোকে তারা তাদের অপকর্ম ঢেকে রাখার কাজে ব্যবহার করছে। মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্রের নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্টরা দায়িত্ত্ব গ্রহণের সময় ব্ল্যাক বাইবেল হাতে নিয়ে শপথ পাঠ করে থাকেন, কেন সেখানে বাইবেল পন্থী ক্রিষ্টান ছাড়া অন্য কোনো বিশ্বাসের লোকজন নাই ?? ইন্ডিয়ার বর্তমান ক্ষমতাসীন দল একটি বিশেষ ধর্মীয় সংখ্যাগরিষ্ঠের দল , সেখানে ধর্মনিরপেক্ষতা নষ্ট হচ্ছেনা ??? ক্ষুদ ব্রিটেনের রিপাবলিক অফ আইয়ার লেন্ডে মেয়েরা গর্ভের ভ্রূণ হত্যা করতে পারেনা , কেন সেটা ধর্মান্ধতা নয় ??? যত দোষ শুধু ইসলাম আর ইসলামপন্থীদের …!!!! তাই না …. ???? যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে , না বুইঝা এত সমালোচনা আলোচনা করার দরকার কি ….. ..
মে ১৭, ২০১৭ REPLY
ইকবাল
কিছু সুন্দর কথার মুড়কে নাস্তিকবাদের প্রাধান্য দেয়ার কোন মানে হয় না।ধর্মান্ধ শব্দ দ্বারা এখন দেখা যাচ্ছে যাবতীয় আস্তিকদের বুঝানো হচ্ছে।ধর্ম বিশ্বাস মানেই কি ধর্মান্ধতা?তবে-.
প্রত্যেক ধর্মই মানুষকে ভালবাসার কথা শিখিয়েছে।কিন্তু ধর্ম সম্পর্কে অল্প জ্ঞানের কারণে অনেক মানুষ যা শিখেছে তা হল পরস্পরকে ঘৃণা করা।.
আমাদের কাজ হল ধর্মের সঠিক শিক্ষাটা গ্রহণ করা। আপনাদের বলি ধর্মের ব্যাপারে আপনাদের এত চুলকানি কেন? ভুলে যান কেন মার্কস, লেলিনদের মতো হায়েনাদের ক্ষমতালিস্পার কারনে কত মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে। সমাজতন্ত্র প্রতিষ্টার নামে সারা বিশ্বরের শান্তিকামী মানুষের মাঝে বিভেদের দেয়াল তৈরী করা হয়েছে। ধর্ম যদি এতই খারাপ লাগে তাহলে নাস্তিক হও, কিন্তু অন্যের বিশ্বাস নিয়ে তামাশা কর না।
মে ১৭, ২০১৭ REPLY
আনোয়ার পাশা
ভারত এবং আমেরিকা বর্তমানে সাম্প্রদায়িক ও ধর্ম প্রিয় রাষ্ট্রের সবথেকে বড় উদাহরন !! হিন্দু বৌদ্ধ ধরমে ধম্রান্ধ নাই!!শুধু ইসলাম হলেই চলে।মৌলবাদী জঙ্গিবাদ শুধু ইসলামের নামের উপর চালিয়ে দেয়া হয়।উনাদের সবার চুলকানি শুরু হয়ে যায়, ইসলামের নাম শুনা মাত্র!!উনারা তথাকথিত আধুনিক মানুষিকতার মানুষ!!ফাইলামির আর জায়গা পায় না।নিজের বুদ্ধিমত্তার পাওয়ার দেখাতে ইসলামকে বেঁচে নেয়!!যাতে পশ্চিমা রাষ্ট্রের মন গলে যায়।আর উনারা পার পেয়ে যায়।কীট সব ধরমেই আছে।ইসলাম নিয়ে বাড়াবাড়ি কেন?কারন সহজেই দৃষ্টি নিজের উপর নেয়া যায়,আর এর জন্যেই ইসলাম নিয়ে কুটোক্তি!!
ইহাই বাস্তব, ইহাই সত্য……..
মে ১৭, ২০১৭ REPLY
সুজা মালিথা
বাংলাদেশ সরকার কী শরিয়া আইন চালু করতে চায়,যে শরিয়া আইনে কার কারণে নারী শাসন হারাম করা হয়েছে তা আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে?
বাংলাদেশকে আরব্য চাদরে জড়ানোর চেষ্টা সফল হবেনা। কারণ, এই দেশ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর ঔরসে অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে জন্মেছে।
মে ১৭, ২০১৭ REPLY
azadi hasant
খুব সূক্ষ্মভাবে বিকৃত ব্যাখ্যা করা হয়েছে বলে আমি মনে করি যা সাধারণ মুসলমান বুঝতে পারবে না।
মে ১৭, ২০১৭ REPLY
বাঙাল
এই ধরনের আলোচনা শুধুই সময়েই অপোচয় ছাড়া আর কিছুই না। বাংলাদেশে কোন ইসলামিক রাষ্ট্র নয় যে কোরান বা হাদিছে কি আছে তাই নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করতে হবে। ১৯৭১ সালে এই দেশ হিন্দু-মুসলিম-বৈাদ্ধ-খৃষ্টান মিলিত ভাবে যুদ্ধে করে ইসলামি রাষ্ট্রের মুখষধারি পাকিস্থানিদের পরাজিত করে একটি অসম্প্রদায়িক রাষ্ট্র সৃষ্টি করেছিল। মাঝখানে পাকিস্থানি ভাবধারা ও চেতনা বিশ্বাসি ব্যাক্তি জিয়া-এরসাদ মিলে এই দেশকে পুনরায় পাকিস্থানের অন্দোকার যুগে ফিরিয়ে নিতে চেষ্টা করেছিল। এই দেশটি পাওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশী ত্যাগ স্বীকার করেছিল এই দেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সস্প্রদায়ের জনগন। তাই বাংলাদেশের প্রক্ষাপটে এই ধরনের আলোচনা বাতুলতা ছাড়া কিছুই না।
মে ১৭, ২০১৭ REPLY
সরকার জাবেদ ইকবাল
যোগ্য ব্যক্তি দেশ পরিচালনা করবে, জাতিকে নেতৃত্ব দেবে। এখানে নারী কিংবা পুরুষ এই প্রশ্ন আসছে কেন?
মে ১৭, ২০১৭ REPLY
নূরুজ্জামান
ভোট হয়ে গেলো নারী পুরুষে। পুরুষ জিতে গেলো। নারী হেরে গেলো। পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা প্রকাশ পেলো। বেশ, তবে এমেরিকার নারীরা কেন পুরুষকে ভোট দিলো। তারাতো নারীকে দেবার সুযোগ পেলো। কেন হেলায় হারালো। পৃথিবীর কত দেশে এমন কি তৃতীয় বিশ্ব সহ ধর্ম চর্চিত দেশেও নারী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে। তাহলে সবচেয়ে আধুনিক বিজ্ঞান মনষ্ক দেশ হিসাবে যার নাম ডাক সেখানে কেন পারলো না। এমেরিকায় নারীরা কি অবদমন পছন্দ করে। পুরুষ তন্ত্র পছন্দ করে। চার দেয়লের ভেতরে থাকতে চায়? খুবি অস্বাভাবিক। এবং বাহ্যত তা দেখাও যায়না। উল্টা তারাই সবচেয়ে স্বাধীনতা ভোগ করে। আর এটাই হলো পুরুষ জিতে যাবার কারন। তাদের নারীদের নারী নেতৃত্ব জরুরী নয়। তাদের পাওয়ার কিছু বাকী নেই। তারা পুরুষের সমকক্ষ। তাই পুরুষ নারীর বিভেদ তাদের ওপর প্রভাব ফেলেনা। যেসব দেশে নারীরা অবদমিত। পুরষের দ্বারা নিপিরিত নির্যাতিত সেসব দেশের নারীরাই নারী নেতৃত্বের জন্য মরিয়া হবে এটাই স্বাভাবিক।
মে ১৭, ২০১৭ REPLY
Rahat Ali
যারা সারা বিশ্বকে নারী স্বাধীনতা,নারী ক্ষমতায়ন,নারী নেতৃত্বের টেবলেট খাওয়ায়ে মাথা নষ্ট করতে ব্যস্ত।
তাদের নারী ক্ষমাতায়ন আর নারী নেতৃত্ব পোষাক আর গালবাজিতে সীমাবদ্ধ।
সব খাওয়ার ধান্ধা।
বাস্তবে তারা পুরুষ নেতৃত্বেই বিশ্বাসী।
হিলারী আর ট্রাম্প এর প্রেসিডেন্ট হওয়া নিয়ে আমাদের কল্যাণ- অকল্যাণের হিসেব না করে তাদের থেকে অন্তত এই শিক্ষাটা নেয়াই আমাদের জন্য বেশী কল্যাণকর।
নারী কে রাষ্ট্র প্রধান না বানানোর শিক্ষাটা।
মে ১৭, ২০১৭ REPLY
আল হোসাইন
নারী নেতৃত্বের প্রশংসা করে, কৌশলে নারী নেতৃত্ব চাপিয়ে দেয়, কিন্তু নারী নেতৃত্ব মানে না। যুগ যুগ ধরে পাশ্চাত্য সমাজ একটা অাধুনিকতার মুখোশ পরে অাছে। তারা এখনো পুরুষশাসিত সমাজ…
তাদের বক্তব্য অাধুনিকতা মানেই নারীর ক্ষমতায়ন, এটা শুধু কথার কথা। পাশ্চাত্য বিশ্ব এটা মুখে বললেও বাস্তবে তারা নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করে না। শুধুমাত্র নারী হওয়ার কারনে আজ কারো পরাজয়। তারা অাসলে বিশ্বাস করে নারী ভোগের সামগ্রী। তাই ফ্যাশানের নামে ছোট ছোট পোশাক পরিয়ে ছেড়ে দিয়ে বলে এটা নারী স্বাধীনতা। অামেরিকার সমাজ বাস্তবতার বহিঃপ্রকাশ এবারের নির্বাচন। রেসিজম এবং জেন্ডার ডিসক্রিমিনেশন দুটোই আমেরিকানরা বুঝিয়ে দিল…
মে ১৭, ২০১৭ REPLY
mustafa Tipu
জনাব, আপনার লিখাগুলী গভীর মনযোগে পড়লাম। চমৎকার গবেষণামুলক লিখা,কিন্তু আমাদের দেশেকে তো সেভাবে গড়ে তুলেন নি কাঠ মোল্লারা। ইতিহাসে নবী করিম (স:) এর স্ত্রী হযরত আয়েশা (রা:) ;মুকা্কছিরিন বিল হাদিস (অধিক সংখ্যক হাদিস বর্ণনাকারী) ছিলেন অন্য দিকে তিনি একটি ইতিহাস বিখ্যাত যুদ্বে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তাতে কি শিক্ষা নেয়া যায় ? ……….‘‘.আররিজালু কাউয়ামুনা আলাল নিসা’’ এটাই মুল কথা যতই ব্যাখা করুন পুরুষদের কে নারীদের উপর নেতৃত্ব দেয়া হয়েছে বটে এতে ব্যাপক আলোচনা রয়েছে।
মে ১৭, ২০১৭ REPLY
azad
১৯১৭ সালে লেনিনের নেতৃত্বে সংগঠিত বলশেভিকদের বিপ্লব হলো। বলশেভিকরা সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সমাজের আমূল পরিবর্তন করতে চাইলেন। তাই তারা জারতন্ত্রীয় একনায়তন্ত্র ভেঙে দিয়ে কায়েম করলেন শ্রমিক শ্রেণির একনায়কতন্ত্র। তারা জড়বাদী আদর্শে সমস্ত জাতি-ধর্মের মানুষকে শিক্ষিত করে একই ফরমায় একই বস্তুর মতো করে গড়ে তুলতে সচেষ্ট হলো। এই কাজ করতে গিয়ে জারতন্ত্রীয় রাষ্ট্র যেভাবে মানুষের প্রতি জোর জবরদস্তি করতো, সমাজতন্ত্রী সোভিয়েত রাষ্ট্রও সেই একই পন্থায় ভিন্নমতের মানুষের উপর জোর জবরদস্তি করতে লাগলো। ফলে রাষ্ট্রের উন্নয়ন হল, সমাজের আমূল পরিবর্তন এলো কিন্তু মানুষের ভিতরের চিন্তার একত্রিকরণ সম্ভব হলো না। মানুষ ভাবতে লাগলো তাদের ভাবনা, চিন্তা ও উন্মুক্ত চলন-বলনে বিরাট বাধা সৃষ্টি করছে সমাজতন্ত্র। অন্যদিকে নেতারা ক্রমেই আয়েশি জীবনের দিকে ঝুঁকে পড়ছে আর সাধারণ মানুষকে অন্যায্যভাবে খাটাচ্ছে। মানুষ অনুভব করতে লাগলো এ এক ধরনের জোর করে বন্দি করে রাখা। মানুষের চিন্তার স্বাধীনতাকে বন্দি করে রাখা, কর্মের স্বাধীনতাকে বন্দি করে রাখা, মানুষের বহুমুখী বিকাশের পথকে কিছু মানুষের ইচ্ছানুযায়ী বন্দি করে রাখা। ফলে ৭৩ বছরের বন্দিদশা থেকে সোভিয়েত ইউনিয়নের মানুষ মুক্তির জন্য উন্মুখ হয়ে উঠেছিল। যার ফলে যখন গর্বাচেভ সংস্কার প্রস্তাব দিল, তখনই রাশিয়ার মানুষ সমাজতন্ত্রের পরিবর্তে পশ্চিমা ধাঁচের গণতন্ত্রকে বেছে নিল। মানুষের ব্রেনের দশ হাজার কোটি নিউরন সবর্দাই বহুমুখী বিচিত্র চিন্তা করে। দশ হাজার কোটি নিউরন সমৃদ্ধ ব্রেনের মানুষ মুহূর্তের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন চিন্তা করতে সক্ষম। তাই ৭৩ বছর ধরে চেষ্টা করেও সোভিয়েত নেতারা মানুষকে একমুখী চিন্তায় আবদ্ধ করে রাখতে পারেনি। অন্যদিকে মানুষও তার নিজেদের ভিতরে লালিত জাত্যভিমানের বৃত্ত থেকে বের হয়ে আসতে পারেনি। সেই কারণে গণতন্ত্র ফিরে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সোভিয়েত রাষ্ট্রেরও ভাঙন শুরু হয়। যার পরিণতি জাতিগত দাঙ্গা-হাঙ্গামা এবং অনিবার্য যুদ্ধ-বিগ্রহ। ১৯৯০ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর রাশিয়ায় যা হয়েছিল ২০১৬ সালে আমেরিকার নির্বাচনের পর সেই লক্ষণগুলো দেখা যাচ্ছে।
মে ১৭, ২০১৭ REPLY
azad
আমেরিকানদের সেই জাত্যভিমানের কাছে পরাজিত হয়েছে মানবিকতা, হারিয়ে গেছে শান্তির স্বপ্ন, হেরেছে ডেমোক্রেট দল, হেরেছে হিলারি ক্লিন্টন। তাই বিশ্ববাসীর ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে আমেরিকার মতো একটি গণতন্ত্রের প্রবক্তা রাষ্ট্রের মানুষ ট্রাম্পের মতো উগ্র জাত্যভিমানি নেতাকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেছে। কোনো মাপকাঠিতেই কোনো বিবেকবান মানুষ হিলারির চেয়ে ভালো নেতা হিসেবে ট্রাম্পকে গ্রহণ করতে না পারলেও নির্বাচকরা তা করেছে। তাই তারা বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়ে তাদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেছে। নির্বাচনের পরে বিবেকবান আমেরিকানরা ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেনে নিতে পারছেন না বলে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছেন। তারা ভাবছেন, আমেরিকার সহনশীল গণতান্ত্রিক চরিত্রকে ট্রাম্প ধ্বংস করে দিবে। ফলে আমেরিকানদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি হবে, আমেরিকা একটি উগ্র সাম্প্রদায়িক দেশে পরিণত হবে।
খুন খারাবি বেড়ে যাবে, দেশে অশান্তি সৃষ্টি হবে, সেই অশান্তির ঢেউ সামাল দিতে ট্রাম্প যুদ্ধবাজ হয়ে উঠবে। সে যাই হোক ট্রাম এখন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট, এটাই সত্য। তবে এই নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণিত হল যে, আজও আমেরিকার মানুষ উগ্র জাতীয়তাবাদের তথা জাত্যভিমানের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। মুখে যাই বলুক, ভিতরে বেশিরভাগ মানুষই আসলে এক ধরনের জাতীয়তাবাদের সংকীর্ণ বৃত্তে আবদ্ধ। এই সংকীর্ণতার বীজ বপিত হয় পরিবারে।
আমরা যখন গর্ব করি পরিবার নিয়ে, তখনই জাত্যভিমানের ক্ষুদ্র বীজ বপিত হয় হৃদয়ে। সেই বীজ অঙ্কুরিত হয় যখন আমরা বংশ নিয়ে গর্ব করি তখন। আর তার ডালপালা গজিয়ে মানবিকতাকে গ্রাস করে ফেলে যখন তা উগ্র জাতীয়তাবাদ বা জাত্যভিমানে রূপ নেয়। প্রত্যেক মানুষের ভিতরেই লুকিয়ে থাকে এক ধরনের জাত্যভিমান। মানুষের ভিতরের লুকানো এই জাত্যভিমানকে পুঁজি করে একশ্রেণির অসাধু লোক নিজেদের আখের গোছানোর জন্য বা রাষ্ট্রক্ষমতা করায়ত্ব করার জন্য সমাজের বেশিরভাগ মানুষের ভাবাবেগকে উস্কে দেয়। আর সমাজকে নিয়ে যায় উগ্র সাম্প্রদায়িকতার দিকে। এটা এই শ্রেণির মানুষের দূরভিসন্ধিমূলক ফাঁদ। আর মানুষ যখনই সেই ফাঁদে পা দেয়, তখন নিজেই নিজের সর্বনাশ ডেকে আনে। এবারের আমেরিকার নির্বাচনে ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য সেই জাত্যভিমানের ফাঁদ পেতেছিল। নির্বাচন পরবর্তী সময়ে আমেরিকানরা বুঝতে পেরেছে যে, তারা এক ভয়ঙ্কর বিপদজনক ফাঁদে পা দিয়েছে। যার ফলাফলে আমেরিকার সর্বনাশ করা হয়েছে! সর্বনাশ করা হয়েছে বিশ্বেরও! কারণ ইতিহাস বলে এ ধরনের জাত্যভিমানি নেতাদের কারণেই সৃষ্টি হয়েছে জারতন্ত্র, নাৎসীবাদ, ফ্যাসিবাদ, জায়নবাদ, জাতীয়তাবাদ, মৌলবাদ ইত্যাদি মানবতাবিরোধী মতবাদ। এমনকি সমাজতন্ত্রের মতো মহৎ আদর্শ নিয়ে যে রাশিয়ার জন্ম, সেই রাশিয়ার সমাজতান্ত্রিক নেতারা ও সেদেশের মানুষও একসময় জাত্যভিমানি হয়ে পড়েছিলেন। যার পরিণতি সোভিয়েতের পতন ও জাতীয়তাবাদী নেতা বরিশ ইয়েলেৎসিন থেকে ভ্লাদিমির পুতিনের মতো নেতার আবির্ভাব।
মে ১৭, ২০১৭ REPLY
রহমান সুহাইল
নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্ত ‘৯০ ভাগ ভোট পেয়ে এগিয়ে থাকবে হিলারি ক্লিনটন’, ‘এগিয়ে হিলারি, এবার ফলাফলের অপেক্ষা’, ‘ইতিহাস সৃষ্টির অপেক্ষায় হিলারি’, ‘প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন হিলারিই’, ‘আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন হিলারি’- এভাবে হিলারির পক্ষে বিভিন্ন শিরোনামে সংবাদ প্রচার করা হয়। এসব সংবাদে মিডিয়া নিজ দায়িত্ব নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করে হিলারি ক্লিনটনকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বানিয়ে দেয়। কিন্তু আমেরিকার ভোটাররা প্রেসিডেন্ট বানিয়েছেন ট্রাম্পকে। এখন মিডিয়া কি উত্তর দেবে তার অপেক্ষায় রয়েছে সবাই।
মে ১৭, ২০১৭ REPLY
মামুন
“বি এন পি” সমর্থন করেছে বিধায় হেরেছে(হিলারি ক্লিনটন)”
আমাদের প্রধানমন্ত্রী কিছু অসভ্য,মুর্খদেরকে মন্ত্রী বানিয়েছেন যার ফলাফল দুইদিন পরপরই আমরা নানান অপ্রাসংগিক বক্তব্য দেখতে পাচ্ছি এবং শুনতেও পাচ্ছি,
উল্লেখ্য যে,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তিনিও এমন কিছু ভুল করেছিলেন অতিরিক্ত ভালোবাসা এবং বিশ্বাস করে যার কারনে ফলাফলসরুপ জীবন দিতে হয়েছে!!!
মে ১৭, ২০১৭ REPLY
আবদুল্লাহ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটনের হার নিয়ে মুখ খুললেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও হিলারি ক্লিনটনের স্বামী বিল ক্লিনটন। হিলারি ক্লিন্টনের হারের জন্য দায়ী করলেন যুক্তরাষ্ট্রের উগ্র শ্বেতাঙ্গদের।
তিনি দাবি করলেন, উগ্র শ্বেতাঙ্গদের ভোট হিলারির দিকে আসেনি। আর সেই কারণেই হারতে হয়েছে তাকে।
বিল ক্লিনটন নিজেও এক সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তার সময়কার নির্বাচনে তিনি জিতেছিলেন বিরাট ব্যবধানে। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়কে মেনে নিতে পারছেন না সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট, ‘ট্রাম্প বিশেষ কিছুই জানে না। শুধু জানে, কীভাবে শ্বেতাঙ্গদের কীভাবে ক্ষেপিয়ে তুলতে হয়। তার জয়ের পেছনে এটাই বড় কারণ। ’বিল ক্লিনটন এফবিআই কেও দায়ী করেছেন হিলারির হারের জন্য। তার মতে, এফবিআইয়ের ভূমিকা মোটেই সন্তোষজনক ছিল না। তাদের অনেকেই ট্রাম্পের হয়েই কাজ করেছে। এমনকি ট্রাম্প রাশিয়ার কিছু হ্যাকারকেও পাশে পেয়েছিল বলে জানান তিনি।

মে ১৭, ২০১৭ REPLY
মাসুদ আহমদ
শরিয়া আইন, ইসলামি বাস্তবতা, রাসূলের কথা ও কোরান কী বলছে তা বাংলাদেশ রাষ্ট্র পরিচালনায় আনা বোকার কাজ নয়। কারন এই দেশের ৯০ ভাগ মানুস মুসলিম। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ করার মালিক কি শুধুই “মালিথা সাহেবেরা” না মুসলমান সহ সকল বাঙালি। আর কার মতামত আপনার ভাল না ও লাগতে পারে, সেজন্য সেটা বোকার কাজ বলা কি খুব বেশি বুদ্ধিমানের কাজ।আমার জানা মতে লেখক একজন সজ্জন,দেশপ্রেমিক ও গবেষক। তবে আপনার মন্তব্যই বলে দেয় আপনি অন্নের মতামতকে সম্মান করেন না, এটা কোন ধরনের অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ করে আছেন তার নমুনা পাওয়া গেল।
মে ১৭, ২০১৭ REPLY
হাসান, মাইজদি নোয়াখালী।
কোনও চেতনা নিয়ে এদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করে নাই। নারী নেত্রীত্ব এদেশের মানুষ মেনে নিয়াছে।
মে ১৭, ২০১৭ REPLY
সুজা মালিথা
বাংলাদেশ আরব্য দেশ নয়। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ করে জনম নিয়েছে এ দেশ। শরিয়া আইন, ইসলামি বাস্তবতা, রাসূলের কথা ও কোরান কী বলছে তা বাংলাদেশ রাষ্ট্র পরিচালনায় আনা বোকার কাজ।
মে ১৭, ২০১৭ REPLY
শশি
যদি তাই হয় বাংলাদেশের সংবিধান বিসমিল্লাহ দিয়ে শুরু হয় কেন? এ দেশে তো এমন ্মানুষ নেহাতই কম নয় যারা বিশ্বাস করে বাংলাদেশের সকল সমস্যার কারণ হিসেবে নেতৃত্ত না থেকে নেত্রীত্ত থাকাটাকেই দায়ি মনে করেন?

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা