শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে চট্রগ্রামে স্মরণকালের গনহত্যা ও চট্রগ্রামের আওয়ামী লীগ।
রুহুল আমিন মজুমদার

      শেখ হাসিনাকে কমপক্ষে ২৩বার হত্যা প্রচেষ্টা হয়েছিল।জাতীয় পার্টি, ফ্রিডমপার্টি, বিএনপি, জামায়াত, জঙ্গী, চীনপন্থি কম্যুনিষ্ট পার্টি, রাষ্ট্র, সেনাবাহিনী, ডি,জি,এফ, আই, পুলিশ,বিডি,আর এইসমস্ত হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত ছিল।'৭৫ পরবর্তি যে সরকার সমূহ সাংবিধানিক অথবা অ-সাংবিধানিক উপায়ে রাষ্ট্র পরিচালনায় এসেছে, প্রত্যেক সরকারের সময়েই বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিচ্ছিহ্ন করার চেষ্টা করেছে। হত্যা চেষ্টাগুলীর মধ্যে তিনটি হত্যাকান্ড ভয়াবহ (১) চট্রগ্রামের লালদীঘি ময়দানে হত্যাপ্রচেষ্টা (২) ২১ শে আগষ্ট হত্যা প্রচেষ্টা (৩) কোটালি পাড়ায় ৭৬ কেজি বোমা পোতে হত্যা প্রচেষ্টা।
    উল্লেখিত ২৩টি হত্যা প্রচেষ্টার মধ্যে কমপক্ষে দু'টি হত্যা প্রচেষ্টা নিশ্চিত রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় সংগঠিত হয়েছিল। উক্ত হত্যা প্রচেষ্টা দু'টি হচ্ছে চট্রগ্রামের লাল দীঘি ময়দানে হত্যা প্রচেষ্টা এবং ২১শে আগষ্ট হত্যা প্রচেষ্টা।এ দুটি হত্যা প্রচেষ্টায় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে নিরপেক্ষ তদন্ত অনুষ্ঠান এবং কি হত্যার মোটিভও সংরক্ষন করা হয়নি। উল্লেখিত দু'টি হত্যা প্রচেষ্টায় রাষ্ট্রের আইনশৃংখলা বাহিনী সরাসরি জড়িত এবং হত্যা প্রচেষ্টায় অংশ গ্রহনকারী আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা  রাষ্ট্রীয় পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিল। হত্যা প্রচেষ্টায় অংশ নেয়া আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা রাষ্ট্রীয় পুরস্কারে ভুষিত হওয়ায় প্রমানীত হয়, রাষ্ট্র পরিচালনায় জড়িত উচ্চ পয্যায়ের ব্যাক্তিদের উক্ত হত্যা প্রচেষ্টায় সরাসরি ইঙ্গিত ছিল।
    ২১শে আগষ্ট হত্যা প্রচেষ্টা সময়কাল খুববেশীদিন আগেকার নয়, চারদলীয় জোটের শেষবারের ক্ষমতায় থাকাকালীন তারেক জিয়ার পরিকল্পনায় হুজি নেতা মুফতি হান্নানের তত্বাবধানে ডি, জি, এফ আই এর সহযোগীতায় জঙ্গিদলের মাধ্যমে সংঘটিত হয়েছিল। তার আগে চট্রগ্রামে ধৃত দশট্রাক অস্ত্র ও বোমার চালানের একটি অংশ রাষ্ট্রীয়ভাবে গায়েব করে দেয়া হয় এবং ঐ অস্ত্র ও বোমা ২১শে আগষ্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে  ব্যবহার করা হয়েছিল, যাহা ফাঁসীর দন্ডপ্রাপ্ত মুফতি হান্নানের আদালতে দেয়া জবানবন্দি এবং মামলার দীর্ঘ তদন্তে প্রমানীত হয়। উক্ত বিভিষিকাময় হামলায় মহিলা আআওয়ামীলীগের সসভানেত্রী আই,ভি রহমান সহ ২৯জন নেতাকর্মীর মৃত্যু ঘটেছিল,হাজার হাজার নেতাকর্মী বোমার সস্প্রিন্টারের আগাতে আহত হয়েছিল।অদ্যবদি অনেকেই বোমার স্প্রিন্টার শরীরে নিয়ে পঙ্গুত্ববরন করেছেন এবং অমানবিক জীবনযাপন করছে।
    উক্ত হত্যা প্রচেষ্টায় ইতিহাসের ন্যাক্কার জনক কাহিনীর জম্ম দিয়েছিল চারদলীয় জোট সরকার কতৃক 'জর্জ মিয়া নাটক' সাজানোর মাধ্যমে। আরো বেশি চমৎকৃত হতে হয় সাজানো মামলার দিনমুজুর একমাত্র আসামী 'জর্জ মিয়া'জেলে থাকাবস্থায় রাষ্ট্রের গুরুত্বপুর্ণ অংশ ডি, জি, এফ, আই কতৃক তাঁর মা'কে নোয়াখালীর গ্রামের বাড়ীতে এসে, মাসে মাসে ভাতা দেয়ার ইতিহাস সৃষ্টি করে।উক্ত এই কঠিন সত্যটি প্রকাশ করেছেন বয়োবৃদ্ধ 'জর্জ মিয়ার মা' নীজেই। ২১ আগষ্ট হত্যা প্রচেষ্টার ভয়াবহতা সম্পর্কে একাধিকবার আলোচনা করেছি এবং আপনারাও সম্যক অবগত আছেন। আমি আজকের আলোচনায় চট্রগ্রামের হত্যা প্রচেষ্টার বিবরন ও এর ভয়াবহতা সম্পর্কে কিঞ্চিত আলোকপাত করতে চাই।
    প্রায় বিস্মৃত  প্রথম ভয়াবহ হত্যা প্রচেষ্টা চট্রগ্রামের লালদীঘি ময়দানের  হত্যা প্রচেষ্টাটি নিয়েই অদ্যকার আলোচনা সীমাবদ্ধ রাখতে  চাই। সামরিক সরকার জেনারেল হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের শাষনামলে উক্ত হত্যা প্রচেষ্টাটি  সংগঠিত হয়েছিল। দু:খ্যজনক হলেও সত্য, উক্ত হত্যা প্রচেষ্টায় আদৌ কোন মামলা এরশাদের সামরিক সরকারের পক্ষ থেকে রুজু হয়নি এবং কি কোন আইনানূগ তদন্তও রাষ্ট্রপক্ষ থেকে করার উদ্যোগ গ্রহন করা হয়নি।সাধারন মানুষ বা হত্যার শিকার কোন অভিভাবকের করা মামলাও থানায় গ্রহন করা হয়নি।সরকারের নেতৃস্থানীয় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীগন একতরফা আওয়ামী লীগের অন্তকোন্দলকে দায়ী করে ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাকান্ডটিকে  আড়াল করার প্রচেষ্টা গ্রহন করেছিল।
১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি নগরীর লালদিঘি ময়দানে সমাবেশে যাবার পথে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে পুলিশ এলোপাতাড়ি গুলি চালালে ঘটনাস্থলে নিহত হন ১১জন। হাসপাতালে নেয়ার পথে এবং চিকিৎসারত: অবস্থায় গুলীবিদ্ধ ১৩ জন সহ মোট ২৪ জন  নেতাকর্মী এবং সাধারন মানুষ সেদিনের ঘটনায় মৃত্যুবরন করেন। আহত হন কমপক্ষে দু’শতাধিক মানুষ তম্মধ্যে চিরদিনের জন্যে পঙ্গুত্ব বরন করেন গোটা ৫০ জনেরও অধিক।
নিহতরা হলেন (১) হাসান মুরাদ (২) মহিউদ্দিন শামীম(৩) স্বপন কুমার বিশ্বাস, (৪)এথলেবারট গোমেজ কিশোর, (৫)স্বপন চৌধুরী, (৬)অজিত সরকার, (৭)রমেশ বৈদ্য, (৮)বদরুল আলম, (৯)ডিকে চৌধুরী, (১০)সাজ্জাদ হোসেন,(১১) আব্দুল মান্নান, (১২ সবুজ হোসেন, (১৩)কামাল হোসেন, (১৪) বিকে দাশ,(১৫) পঙ্কজ বৈদ্য, (১৬) বাহার উদ্দিন,(১৭) চান্দ মিয়া,  (১৮)হাশেম মিয়া, (১৯) মো. কাশেম, (২০) পলাশ দত্ত, (২১) আব্দুল কুদ্দুস, (২২) গোবিন্দ দাশ, (২৩)মো. শাহাদাত,(২৪) মসর দত্ত।
      ৯০ এর স্বৈরাচার বিরুধী গন আন্দোলনে এরশাদ সরকারের পতনের পর ১৯৯২ সালের ৫ মার্চ প্রয়াত আইনজীবী শহীদুল হুদা বাদি হয়ে তখনকার সি, এম, পি, কমিশনার মীর্জা রকিবুল হুদাকে প্রধান আসামি করে সি,এম, এম আদালতে মামলা দায়ের করেন। জামায়াত সমর্থিত বিএনপি সরকারের ৫ বছর ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে উক্ত চাঞ্চল্যকর মামলাটি তদন্তের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি।বরঞ্চ মামলার বাদী উল্লেখিত আসামীদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় বহাল তবিয়তে আড়ম্বর জীবন যাপনের ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করা হয়েছিল।
     ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে  ক্ষমতায় এলে বহুল আলোচিত মামলাটি পুনরুজ্জীবিত হয়। আদালতের নির্দেশে সি,আই,ডি দীর্ঘ তদন্ত শেষে প্রথম দফায় ১৯৯৭ সালের ১২ জানুয়ারি সিএমপির তৎকালীন কমিশনার মীর্জা রকিবুল হুদাকে এবং পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালের ৩ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে মীর্জা রকিবুল হুদাসহ ৮ পুলিশ সদস্যকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।অভিযুক্ত অন্যান্নরা হলেন- (১)কোতোয়ালী জোনের তৎকালীন পেট্রল ইন্সপেক্টর (পিআই) জে সি মণ্ডল, (২) পুলিশ কনস্টেবল আব্দুস সালাম, (৩) মুশফিকুর রহমান, (৪)প্রদীপ বড়ুয়া, (৫) বশির উদ্দিন, (৬) মো.আবদুল্লাহ (৭) মমতাজ উদ্দিন
           আদালত দুই দফায় আলোচিত এ চাঞ্চল্যকর মামলার চার্জ গঠন (দ্বিতীয় দফায় সংশোধিত আকারে) করা হয়।  প্রথম দফায়  ১৯৯৭ সালের ৫ আগস্ট এবং দ্বিতীয় দফায় ২০০০ সালের ৯ মে ৮ আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২/২০১/ ১০৯/  ৩২৬/৩০৭/ ১১৪/৩৪ ধারায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বর্তমানে সাক্ষীগ্রহন প্রক্রিয়ায় রয়েছে।আশাকরা যায় অচিরেই উক্ত মামলা নিস্পত্তি হবে এবং আসামীগন যথাযথ শাস্তি পাবে।
     প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, মামলার বিবরন প্রকাশের পর, অবশ্যই ঘটনার ভয়াবহতা সম্পর্কে আপনাদের উপলব্দি ঘটেছে। সামরিক সরকার সমূহের একই উপলব্দি আওয়ামী লীগের দলীয় অন্তকোন্দলকে প্রত্যেকটি হত্যাপ্রচেষ্টায়  ব্যবহার করে ঘটনা উপেক্ষা করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বাংলাদেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক দল সমূহের মধ্যে অন্য কোন দলের নেতানেত্রীর বেলায় একবারও কোনসময়ে, কোনকালে হত্যা প্রচেষ্টা হয়নি বা হত্যা করা হয়নি।শুধুমাত্র বাংলাদেশে নয়, বিশ্ব ইতিহাসের দিকে তাকালেও, সমসাময়িক কালে বা সূদুর অতীতে এমন নজীর চোখে পড়েনা।
      বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জনাব ওবায়দুল কাদের চট্রগ্রামের দলীয় কোন্দল মীমাংসার বৈঠকে বলেছেন--আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারালে কেউ রক্ষা পাবেন না।অতীতের ইতিহাসের আলোকে তিনি তাঁর মন্তব্যটি করেছেন।'৭৫ এর ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে ২১ বছর আওয়ামী পরিবারের উপর জুলুম নিয্যাতন চালানো হয়েছে। আওয়ামীলীগ এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারন একপ্রকার অচ্যুতই ছিল।আওয়ামীলীগ এবং বঙ্গবন্ধুকে জনমনে হীন চারিত্রিক বৈশিষ্ট সম্পন্ন জীব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার ন্যাক্কারজনক ইতিহাসের সম্মুখ্যিনও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির হতে হয়েছিল।
    "বাকশালকে" কে উপস্থাপন করা হয়েছিল একনেতার বিভিষিকাময় শাষন, রক্ষিবাহিনীকে তুলে ধরা হয়েছিল ভারতীয় হিন্দু যুবকের স্বসস্ত্র এদেশীয় ঠেঙ্কাটে বাহিনীরুপে। শেখ কামালের আকাশসম সাংগঠনিক জনপ্রীয়তাকে ব্যাংক ডাকাতের চরিত্রে রুপায়িত  করে ধিকৃত, বিকৃত যুবকের স্থানে অধিষ্ঠিত করতেও কার্পন্য করেনি ষড়যন্ত্রকারিরা। তাঁর পরও স্বাধীনতা বিরুধী চক্র এবং তাঁদের প্রেতাত্বারা  নিশ্চিত হতে পারেনি,তাঁদের ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করা যাবে  কি যাবে না। স্বাধীনতা বিরুধী শক্তির ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্যই বঙ্গবন্ধুর জীবিত দুই কন্যার মধ্যে  জৈষ্ঠকন্যা, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বারংবার ব্যার্থ্য হত্যা প্রচেষ্টা  গ্রহন করা হয়েছে।
          ২০০১ সালে সাংবিধানিকভাবে তত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করার আধাঘন্টারও কম সময়ের মধ্যে আইনশৃংখলা বাহিনী দেশব্যাপি আওয়ামী নেতাকর্মীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল নিশ্চয়ই জনগন ভূলে যায়নি। তত্ববধায়ক সরকারের এহেন আচরন পরিদৃষ্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সরকারের বিভিন্ন বাহিনীর সরাসরি পৃষ্টপোষকতায় জামায়াত, শিবির, বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল সন্ত্রাসীরা একযোগে দেশব্যাপি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী এবং ধর্মীয় সংখ্যালুঘু গোষ্টি সমূহের উপর কি বিভিষিকাময় অত্যাচার নিয্যাতনের মধ্যযুগীয় বর্বরতা চালিয়েছিল, নিশ্চয়ই  আমাদের সকলের এবং কি জনগনেরও মনে আছে।
         আওয়ামী লীগ এইবার সহ তিনবারই বিপুল জনসমর্থন নিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছে। একবারও কি  স্বাধীনতা বিরুধী জামায়াত, শিবির, অত্যাচারি ছাত্রদল, যুবদল নেতাকর্মীদের উপর হামলে পড়েছে? না পড়েনি, কেন পড়েনি? কারন আওয়ামীলীগ জনগনের মধ্য থেকে সৃষ্টদল, আইনের শাষনে বিশ্বাসী দল, গনতন্ত্রে বিশ্বাসী দল, মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারি দল। আওয়ামী লীগের উদর থেকেই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জম্ম হয়েছে। আওয়ামী লীগের অবি-সংবধিত নেতাই বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা। বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা, সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবই বাংলাদেশে বসবাসরত: সর্বশ্রেনীর বাঙ্গালীর "জাতির জনক।"বাঙ্গালী আপামর জনগনের মধ্য থেকে বেড়ে উঠা দল জনগনের আঁতের খবর ঠিকই জানে।
      আওয়ামী বিরুধী অত্যাচারি স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তিকে নিচ্ছিহ্ন করা যত সহজ হবে-- অত্যাচার, নিয্যাতন, হত্যার মাধ্যমে তত সহজে নিচ্ছিন্ন করা সম্ভব হবেনা।যেমনি বিগত ৪০ বছর একতরফা আওয়ামী নিধন অভিযান পরিচালনা করেও তাঁরা আওয়ামী লীগকে নিস্তেজ করতে পারেনি বরঞ্চ যে কোন সময়ের চেয়ে বর্তমান সময়কাল আওয়ামীলীগ সর্বদিক থেকে স্বর্ণযুগই পার করছে।
    বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালী জাতির আঁতের খবর জানতেন বিধায় যুগোপযোগী কর্মসূচি প্রনয়নের মাধ্যমে পূর্ববাংলার জনগনকে ঐক্যবদ্ধ করতে পেরেছিলেন। বাঙ্গালী জাতির বিপুল সমর্থনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলেন, ইহা অত্যান্ত কঠিন বাস্তবতা। বঙ্গবন্ধুর তৎসময়ের অগ্নীদিনে সামান্য ভূলের কারনে অথবা কর্মসূচির সামান্য হেরফের অথবা সিদ্ধান্ত নিতে সামান্য  আগে-পরে হলেও বাঙ্গালীজাতী এই ধরাধাম থেকে নিচ্ছিহ্ন হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দেয়ার মত পরিস্থীতি তখন বিদ্যমান ছিলনা।
     তাঁর জৈষ্ঠকন্যা তাঁর পিতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করার লক্ষে   উন্নয়ন, অগ্রগতি,  নিশ্চিত করার আপ্রান চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। তিনি উন্নত,  আধুনিক, প্রযুক্তি নির্ভর বাংলাদেশ গড়ে বাঙ্গালী জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টায় নিমঘ্ন রয়েছেন। তাঁর পরিকল্পিত ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে "স্বাধীনতা বিরুধী চক্র, তাঁদের প্রেতাত্বা,দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীরা"বাংলাদেশ নামক ভূখন্ড থেকে সমূলে উচ্ছেদ হবে ইনশাল্লা।
       

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন