শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে চট্রগ্রামে স্মরণকালের গনহত্যা ও চট্রগ্রামের আওয়ামী লীগ।
রুহুল আমিন মজুমদার

      শেখ হাসিনাকে কমপক্ষে ২৩বার হত্যা প্রচেষ্টা হয়েছিল।জাতীয় পার্টি, ফ্রিডমপার্টি, বিএনপি, জামায়াত, জঙ্গী, চীনপন্থি কম্যুনিষ্ট পার্টি, রাষ্ট্র, সেনাবাহিনী, ডি,জি,এফ, আই, পুলিশ,বিডি,আর এইসমস্ত হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত ছিল।'৭৫ পরবর্তি যে সরকার সমূহ সাংবিধানিক অথবা অ-সাংবিধানিক উপায়ে রাষ্ট্র পরিচালনায় এসেছে, প্রত্যেক সরকারের সময়েই বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিচ্ছিহ্ন করার চেষ্টা করেছে। হত্যা চেষ্টাগুলীর মধ্যে তিনটি হত্যাকান্ড ভয়াবহ (১) চট্রগ্রামের লালদীঘি ময়দানে হত্যাপ্রচেষ্টা (২) ২১ শে আগষ্ট হত্যা প্রচেষ্টা (৩) কোটালি পাড়ায় ৭৬ কেজি বোমা পোতে হত্যা প্রচেষ্টা।
    উল্লেখিত ২৩টি হত্যা প্রচেষ্টার মধ্যে কমপক্ষে দু'টি হত্যা প্রচেষ্টা নিশ্চিত রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় সংগঠিত হয়েছিল। উক্ত হত্যা প্রচেষ্টা দু'টি হচ্ছে চট্রগ্রামের লাল দীঘি ময়দানে হত্যা প্রচেষ্টা এবং ২১শে আগষ্ট হত্যা প্রচেষ্টা।এ দুটি হত্যা প্রচেষ্টায় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে নিরপেক্ষ তদন্ত অনুষ্ঠান এবং কি হত্যার মোটিভও সংরক্ষন করা হয়নি। উল্লেখিত দু'টি হত্যা প্রচেষ্টায় রাষ্ট্রের আইনশৃংখলা বাহিনী সরাসরি জড়িত এবং হত্যা প্রচেষ্টায় অংশ গ্রহনকারী আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা  রাষ্ট্রীয় পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিল। হত্যা প্রচেষ্টায় অংশ নেয়া আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা রাষ্ট্রীয় পুরস্কারে ভুষিত হওয়ায় প্রমানীত হয়, রাষ্ট্র পরিচালনায় জড়িত উচ্চ পয্যায়ের ব্যাক্তিদের উক্ত হত্যা প্রচেষ্টায় সরাসরি ইঙ্গিত ছিল।
    ২১শে আগষ্ট হত্যা প্রচেষ্টা সময়কাল খুববেশীদিন আগেকার নয়, চারদলীয় জোটের শেষবারের ক্ষমতায় থাকাকালীন তারেক জিয়ার পরিকল্পনায় হুজি নেতা মুফতি হান্নানের তত্বাবধানে ডি, জি, এফ আই এর সহযোগীতায় জঙ্গিদলের মাধ্যমে সংঘটিত হয়েছিল। তার আগে চট্রগ্রামে ধৃত দশট্রাক অস্ত্র ও বোমার চালানের একটি অংশ রাষ্ট্রীয়ভাবে গায়েব করে দেয়া হয় এবং ঐ অস্ত্র ও বোমা ২১শে আগষ্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে  ব্যবহার করা হয়েছিল, যাহা ফাঁসীর দন্ডপ্রাপ্ত মুফতি হান্নানের আদালতে দেয়া জবানবন্দি এবং মামলার দীর্ঘ তদন্তে প্রমানীত হয়। উক্ত বিভিষিকাময় হামলায় মহিলা আআওয়ামীলীগের সসভানেত্রী আই,ভি রহমান সহ ২৯জন নেতাকর্মীর মৃত্যু ঘটেছিল,হাজার হাজার নেতাকর্মী বোমার সস্প্রিন্টারের আগাতে আহত হয়েছিল।অদ্যবদি অনেকেই বোমার স্প্রিন্টার শরীরে নিয়ে পঙ্গুত্ববরন করেছেন এবং অমানবিক জীবনযাপন করছে।
    উক্ত হত্যা প্রচেষ্টায় ইতিহাসের ন্যাক্কার জনক কাহিনীর জম্ম দিয়েছিল চারদলীয় জোট সরকার কতৃক 'জর্জ মিয়া নাটক' সাজানোর মাধ্যমে। আরো বেশি চমৎকৃত হতে হয় সাজানো মামলার দিনমুজুর একমাত্র আসামী 'জর্জ মিয়া'জেলে থাকাবস্থায় রাষ্ট্রের গুরুত্বপুর্ণ অংশ ডি, জি, এফ, আই কতৃক তাঁর মা'কে নোয়াখালীর গ্রামের বাড়ীতে এসে, মাসে মাসে ভাতা দেয়ার ইতিহাস সৃষ্টি করে।উক্ত এই কঠিন সত্যটি প্রকাশ করেছেন বয়োবৃদ্ধ 'জর্জ মিয়ার মা' নীজেই। ২১ আগষ্ট হত্যা প্রচেষ্টার ভয়াবহতা সম্পর্কে একাধিকবার আলোচনা করেছি এবং আপনারাও সম্যক অবগত আছেন। আমি আজকের আলোচনায় চট্রগ্রামের হত্যা প্রচেষ্টার বিবরন ও এর ভয়াবহতা সম্পর্কে কিঞ্চিত আলোকপাত করতে চাই।
    প্রায় বিস্মৃত  প্রথম ভয়াবহ হত্যা প্রচেষ্টা চট্রগ্রামের লালদীঘি ময়দানের  হত্যা প্রচেষ্টাটি নিয়েই অদ্যকার আলোচনা সীমাবদ্ধ রাখতে  চাই। সামরিক সরকার জেনারেল হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের শাষনামলে উক্ত হত্যা প্রচেষ্টাটি  সংগঠিত হয়েছিল। দু:খ্যজনক হলেও সত্য, উক্ত হত্যা প্রচেষ্টায় আদৌ কোন মামলা এরশাদের সামরিক সরকারের পক্ষ থেকে রুজু হয়নি এবং কি কোন আইনানূগ তদন্তও রাষ্ট্রপক্ষ থেকে করার উদ্যোগ গ্রহন করা হয়নি।সাধারন মানুষ বা হত্যার শিকার কোন অভিভাবকের করা মামলাও থানায় গ্রহন করা হয়নি।সরকারের নেতৃস্থানীয় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীগন একতরফা আওয়ামী লীগের অন্তকোন্দলকে দায়ী করে ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাকান্ডটিকে  আড়াল করার প্রচেষ্টা গ্রহন করেছিল।
১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি নগরীর লালদিঘি ময়দানে সমাবেশে যাবার পথে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে পুলিশ এলোপাতাড়ি গুলি চালালে ঘটনাস্থলে নিহত হন ১১জন। হাসপাতালে নেয়ার পথে এবং চিকিৎসারত: অবস্থায় গুলীবিদ্ধ ১৩ জন সহ মোট ২৪ জন  নেতাকর্মী এবং সাধারন মানুষ সেদিনের ঘটনায় মৃত্যুবরন করেন। আহত হন কমপক্ষে দু’শতাধিক মানুষ তম্মধ্যে চিরদিনের জন্যে পঙ্গুত্ব বরন করেন গোটা ৫০ জনেরও অধিক।
নিহতরা হলেন (১) হাসান মুরাদ (২) মহিউদ্দিন শামীম(৩) স্বপন কুমার বিশ্বাস, (৪)এথলেবারট গোমেজ কিশোর, (৫)স্বপন চৌধুরী, (৬)অজিত সরকার, (৭)রমেশ বৈদ্য, (৮)বদরুল আলম, (৯)ডিকে চৌধুরী, (১০)সাজ্জাদ হোসেন,(১১) আব্দুল মান্নান, (১২ সবুজ হোসেন, (১৩)কামাল হোসেন, (১৪) বিকে দাশ,(১৫) পঙ্কজ বৈদ্য, (১৬) বাহার উদ্দিন,(১৭) চান্দ মিয়া,  (১৮)হাশেম মিয়া, (১৯) মো. কাশেম, (২০) পলাশ দত্ত, (২১) আব্দুল কুদ্দুস, (২২) গোবিন্দ দাশ, (২৩)মো. শাহাদাত,(২৪) মসর দত্ত।
      ৯০ এর স্বৈরাচার বিরুধী গন আন্দোলনে এরশাদ সরকারের পতনের পর ১৯৯২ সালের ৫ মার্চ প্রয়াত আইনজীবী শহীদুল হুদা বাদি হয়ে তখনকার সি, এম, পি, কমিশনার মীর্জা রকিবুল হুদাকে প্রধান আসামি করে সি,এম, এম আদালতে মামলা দায়ের করেন। জামায়াত সমর্থিত বিএনপি সরকারের ৫ বছর ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে উক্ত চাঞ্চল্যকর মামলাটি তদন্তের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি।বরঞ্চ মামলার বাদী উল্লেখিত আসামীদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় বহাল তবিয়তে আড়ম্বর জীবন যাপনের ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করা হয়েছিল।
     ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে  ক্ষমতায় এলে বহুল আলোচিত মামলাটি পুনরুজ্জীবিত হয়। আদালতের নির্দেশে সি,আই,ডি দীর্ঘ তদন্ত শেষে প্রথম দফায় ১৯৯৭ সালের ১২ জানুয়ারি সিএমপির তৎকালীন কমিশনার মীর্জা রকিবুল হুদাকে এবং পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালের ৩ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে মীর্জা রকিবুল হুদাসহ ৮ পুলিশ সদস্যকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।অভিযুক্ত অন্যান্নরা হলেন- (১)কোতোয়ালী জোনের তৎকালীন পেট্রল ইন্সপেক্টর (পিআই) জে সি মণ্ডল, (২) পুলিশ কনস্টেবল আব্দুস সালাম, (৩) মুশফিকুর রহমান, (৪)প্রদীপ বড়ুয়া, (৫) বশির উদ্দিন, (৬) মো.আবদুল্লাহ (৭) মমতাজ উদ্দিন
           আদালত দুই দফায় আলোচিত এ চাঞ্চল্যকর মামলার চার্জ গঠন (দ্বিতীয় দফায় সংশোধিত আকারে) করা হয়।  প্রথম দফায়  ১৯৯৭ সালের ৫ আগস্ট এবং দ্বিতীয় দফায় ২০০০ সালের ৯ মে ৮ আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২/২০১/ ১০৯/  ৩২৬/৩০৭/ ১১৪/৩৪ ধারায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বর্তমানে সাক্ষীগ্রহন প্রক্রিয়ায় রয়েছে।আশাকরা যায় অচিরেই উক্ত মামলা নিস্পত্তি হবে এবং আসামীগন যথাযথ শাস্তি পাবে।
     প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, মামলার বিবরন প্রকাশের পর, অবশ্যই ঘটনার ভয়াবহতা সম্পর্কে আপনাদের উপলব্দি ঘটেছে। সামরিক সরকার সমূহের একই উপলব্দি আওয়ামী লীগের দলীয় অন্তকোন্দলকে প্রত্যেকটি হত্যাপ্রচেষ্টায়  ব্যবহার করে ঘটনা উপেক্ষা করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বাংলাদেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক দল সমূহের মধ্যে অন্য কোন দলের নেতানেত্রীর বেলায় একবারও কোনসময়ে, কোনকালে হত্যা প্রচেষ্টা হয়নি বা হত্যা করা হয়নি।শুধুমাত্র বাংলাদেশে নয়, বিশ্ব ইতিহাসের দিকে তাকালেও, সমসাময়িক কালে বা সূদুর অতীতে এমন নজীর চোখে পড়েনা।
      বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জনাব ওবায়দুল কাদের চট্রগ্রামের দলীয় কোন্দল মীমাংসার বৈঠকে বলেছেন--আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারালে কেউ রক্ষা পাবেন না।অতীতের ইতিহাসের আলোকে তিনি তাঁর মন্তব্যটি করেছেন।'৭৫ এর ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে ২১ বছর আওয়ামী পরিবারের উপর জুলুম নিয্যাতন চালানো হয়েছে। আওয়ামীলীগ এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারন একপ্রকার অচ্যুতই ছিল।আওয়ামীলীগ এবং বঙ্গবন্ধুকে জনমনে হীন চারিত্রিক বৈশিষ্ট সম্পন্ন জীব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার ন্যাক্কারজনক ইতিহাসের সম্মুখ্যিনও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির হতে হয়েছিল।
    "বাকশালকে" কে উপস্থাপন করা হয়েছিল একনেতার বিভিষিকাময় শাষন, রক্ষিবাহিনীকে তুলে ধরা হয়েছিল ভারতীয় হিন্দু যুবকের স্বসস্ত্র এদেশীয় ঠেঙ্কাটে বাহিনীরুপে। শেখ কামালের আকাশসম সাংগঠনিক জনপ্রীয়তাকে ব্যাংক ডাকাতের চরিত্রে রুপায়িত  করে ধিকৃত, বিকৃত যুবকের স্থানে অধিষ্ঠিত করতেও কার্পন্য করেনি ষড়যন্ত্রকারিরা। তাঁর পরও স্বাধীনতা বিরুধী চক্র এবং তাঁদের প্রেতাত্বারা  নিশ্চিত হতে পারেনি,তাঁদের ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করা যাবে  কি যাবে না। স্বাধীনতা বিরুধী শক্তির ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্যই বঙ্গবন্ধুর জীবিত দুই কন্যার মধ্যে  জৈষ্ঠকন্যা, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বারংবার ব্যার্থ্য হত্যা প্রচেষ্টা  গ্রহন করা হয়েছে।
          ২০০১ সালে সাংবিধানিকভাবে তত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করার আধাঘন্টারও কম সময়ের মধ্যে আইনশৃংখলা বাহিনী দেশব্যাপি আওয়ামী নেতাকর্মীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল নিশ্চয়ই জনগন ভূলে যায়নি। তত্ববধায়ক সরকারের এহেন আচরন পরিদৃষ্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সরকারের বিভিন্ন বাহিনীর সরাসরি পৃষ্টপোষকতায় জামায়াত, শিবির, বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল সন্ত্রাসীরা একযোগে দেশব্যাপি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী এবং ধর্মীয় সংখ্যালুঘু গোষ্টি সমূহের উপর কি বিভিষিকাময় অত্যাচার নিয্যাতনের মধ্যযুগীয় বর্বরতা চালিয়েছিল, নিশ্চয়ই  আমাদের সকলের এবং কি জনগনেরও মনে আছে।
         আওয়ামী লীগ এইবার সহ তিনবারই বিপুল জনসমর্থন নিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছে। একবারও কি  স্বাধীনতা বিরুধী জামায়াত, শিবির, অত্যাচারি ছাত্রদল, যুবদল নেতাকর্মীদের উপর হামলে পড়েছে? না পড়েনি, কেন পড়েনি? কারন আওয়ামীলীগ জনগনের মধ্য থেকে সৃষ্টদল, আইনের শাষনে বিশ্বাসী দল, গনতন্ত্রে বিশ্বাসী দল, মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারি দল। আওয়ামী লীগের উদর থেকেই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জম্ম হয়েছে। আওয়ামী লীগের অবি-সংবধিত নেতাই বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা। বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা, সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবই বাংলাদেশে বসবাসরত: সর্বশ্রেনীর বাঙ্গালীর "জাতির জনক।"বাঙ্গালী আপামর জনগনের মধ্য থেকে বেড়ে উঠা দল জনগনের আঁতের খবর ঠিকই জানে।
      আওয়ামী বিরুধী অত্যাচারি স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তিকে নিচ্ছিহ্ন করা যত সহজ হবে-- অত্যাচার, নিয্যাতন, হত্যার মাধ্যমে তত সহজে নিচ্ছিন্ন করা সম্ভব হবেনা।যেমনি বিগত ৪০ বছর একতরফা আওয়ামী নিধন অভিযান পরিচালনা করেও তাঁরা আওয়ামী লীগকে নিস্তেজ করতে পারেনি বরঞ্চ যে কোন সময়ের চেয়ে বর্তমান সময়কাল আওয়ামীলীগ সর্বদিক থেকে স্বর্ণযুগই পার করছে।
    বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালী জাতির আঁতের খবর জানতেন বিধায় যুগোপযোগী কর্মসূচি প্রনয়নের মাধ্যমে পূর্ববাংলার জনগনকে ঐক্যবদ্ধ করতে পেরেছিলেন। বাঙ্গালী জাতির বিপুল সমর্থনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলেন, ইহা অত্যান্ত কঠিন বাস্তবতা। বঙ্গবন্ধুর তৎসময়ের অগ্নীদিনে সামান্য ভূলের কারনে অথবা কর্মসূচির সামান্য হেরফের অথবা সিদ্ধান্ত নিতে সামান্য  আগে-পরে হলেও বাঙ্গালীজাতী এই ধরাধাম থেকে নিচ্ছিহ্ন হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দেয়ার মত পরিস্থীতি তখন বিদ্যমান ছিলনা।
     তাঁর জৈষ্ঠকন্যা তাঁর পিতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করার লক্ষে   উন্নয়ন, অগ্রগতি,  নিশ্চিত করার আপ্রান চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। তিনি উন্নত,  আধুনিক, প্রযুক্তি নির্ভর বাংলাদেশ গড়ে বাঙ্গালী জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টায় নিমঘ্ন রয়েছেন। তাঁর পরিকল্পিত ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে "স্বাধীনতা বিরুধী চক্র, তাঁদের প্রেতাত্বা,দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীরা"বাংলাদেশ নামক ভূখন্ড থেকে সমূলে উচ্ছেদ হবে ইনশাল্লা।
       

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা