জিয়া পরিবার ধ্বংসে এগার আলৌকিকতা'র প্রভাব৷৷


  জিয়া পরিবার ধ্বংসে খোলা চোখে হাজারো কারন উল্লেখ করা সম্ভব৷  প্রনিদানযোগ্য এগারটি কারনে বৈষয়িক কোন ব্যাক্তি, সংস্থা, দল, শক্তি জড়িত আছে বলে আমি মনে করিনা৷ আলৌকিক প্রভাব ব্যাতিত উক্ত নিশ্চিত ঘটনাগুলী ঘটার অন্যকোন কারন থাকতে পারে আমি বিশ্বাসও করিনা৷ এগার আলৌকিক প্রভাব আলোচনা করার পুর্বে বাংলাদেশের অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যত বিষয় অতিসংক্ষেপে আলোচনা করা প্রয়োজন মনে করি৷
    বৃটিশ বেনিয়া মূখপাত্র লর্ড ক্লাইভের "নীলকুঠি ষড়যন্ত্রে" বাংলার স্বাধীন নবাব সিরাজদৌল্লার পতনের মাধ্যমে২০০বছর বাঙ্গালী জাতী ইংরেজদের গোলামী করতে বাধ্য হয়৷ ৭৫ এ আমেরিকার রাষ্ট্রদূত হ্যানরি কিসিঞ্জারের প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় খোন্দকার মোস্তাক আহম্মদের বাসভবনে নতুনকরে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে পদানত করার চক্রান্তে আর এক 'নীলকুঠি প্রাসাদ ষড়যন্ত্র' নাটক অনুষ্ঠিত হয়৷ উক্ত ষড়যন্ত্রে  ১৫ই আগষ্ট ১৯৭৫ ইং সালে শতাব্দির মহানায়ক, বাঙ্গালী জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপরিবারে নিহত হন এবং আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ঘটে৷ ক্ষমতার উত্থানপতনে নীলকূঠি প্রাসাদ ষড়যন্ত্র নাটকের মূল নেপৈথ্য নায়ক,ঠান্ডা মাথার খুনী মেজর জিয়াউর রহমানের বাংলাদেশের ক্ষমতার কেন্দ্রবন্দুতে উত্থান ঘটে৷
    ক্ষমতার রদবদলে দীর্ঘ ২১বছর পরাজিত শক্তির প্রেতাত্বাগন বাংলাদেশ, বাঙ্গালী জাতীকে শোষন শাসন অব্যাহত রাখে৷ অবশেষে জাতীর জনকের জৈষ্ঠকন্যা 'শেখ হাসিনার' নিয়ন্তর আন্দোলন সংগ্রামে ১৯৯০ ইং সালে জনগন এক সফল গনভ্যুত্থান ঘটিয়ে গনতন্ত্র পূণোদ্ধার করে৷ গনভ্যুত্থানের পথ ধরে গনতান্ত্রিক ধারাবাহিকতায় 'নীলকুঠি প্রাসাদ ষড়যন্ত্র'ভুক্ত প্রেতাত্বা শাসক, ঘাতকচক্র এবং সুবিধাভোগীদের পতন কায্যক্রম শুরু হয়৷মাঝে মাঝে সাময়িক বিগ্নতা সৃষ্টি হলেও অদ্যাবদি পতনের ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রয়েছে৷
  আমেরিকার রাষ্ট্রদূত হ্যানরি কিসিঞ্জারের পরিচালনায় 'নীলকূঠি প্রাসাদ ষড়যন্ত্র নাটকের মাধ্যমে জিয়া পরিবারের উত্থান পর্ব দিয়ে প্রেতাত্বার শাসনপর্ব শুরু করেছিল৷ একই রাষ্ট্রের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত বার্ণিয়াকটের পরিচালনায় ড. কামাল হোসেনের উত্থানের মাধ্যমে প্রেতাত্বার প্রধান জিয়া পরিবারের পতন ও নিচ্ছিহ্ন হওয়ার কায্যক্রম সমাপ্তি ঘটবে মাত্র--কিন্তু প্রেতাত্বার ছায়া ড. কামাও হয়ে বাংলাদেশের সমাজে বিচরণ করবে৷
 '৯০এর গনভ্যুত্থানে প্রেতাত্বা শাসন শোষনের পতন শুরু হলেও দৃশ্যমান ছিলনা৷ ২০০১ ইং সালে মরণ কামড় বসিয়ে তাঁরা আবারও জনগনের বিজয় সাময়িক সময়ের জন্যে চিনিয়ে নিয়েছিল৷২০০৬সালে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চক্রান্তে আবারও নীলকুঠি প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের কবলে পড়ে বাংলাদেশ৷ এবার প্রেতাত্বার ক্ষমতার হাতবদল হয়েছিল বটে শাসন শোষন মুক্ত হয়নি বাংলাদেশের জনগন৷২০০৮ইং সালের সাধারন নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগন তাঁদের ক্ষমতা নিজ হাতে নিয়ে আসে--শুরু হয় গনতান্ত্রিক ধারাবাহিকতায় প্রতাত্বাদের পতন কায্যক্রম৷
   সর্বশেষ তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতি লক্ষ করলে উল্লেখিত সংক্ষিপ্ত আলোচনার সারবর্তা উপলব্দি সম্ভব হবে৷ ইহা একান্তই সত্য যে বিএনপি এবং তাঁর জোটের জনসমর্থন এবং সাংগঠনিক শক্তি সামান্যতম হেরফের হয়নি৷অস্বিকার করার উপায় নেই--বিদ্যমান জনসমর্থনও সাংগঠনিক শক্তিতে দোর্দন্ডপ্রতাপে বিএনপি বাংলাদেশ শাসন করেছে৷ অথছ শক্তি সামর্থ অটুট থাকা সত্বেও গনতান্ত্রিক রাজনীতির ধারাবাহিকতায় আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তোলার ক্ষেত্রে শক্তিহীন৷ বলা যায়--সার্বিক শক্তি সামর্থ অটুট থাকাবস্থায় আলৌকিক ভাবে বিএনপি এবং জিয়া পরিবারের  পতন এবং শেষাবদি নিচ্ছিন্ন হওয়া অনিবায্য হয়ে উঠেছে৷ নিম্নের ধারাবাহিক দুটি নির্বাচন এবং আগামী জাতীয় সংসদের নির্বাচনে সম্ভাব্য পরিণতি তুলে ধরে আমার বক্তব্যের সত্যতা প্রমানে সচেষ্ট হব

    নবম সংসদ নির্বাচনঃ--২০০৬ইং সালের বিএনপি জোট ক্ষমতা কুক্ষিগত করার নাটক "নীলকূঠি প্রাসাদ ষড়যন্ত্র" ব্যার্থতায় অসংখ্য মামলাসহ খালেদার দুই পুত্র দেশত্যাগে বাধ্য হয়৷  ফলাফল ২০০৮ইং সালের ঘোষিত সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট ভূমিধ্বস বিজয় অর্জন করে সরকার গঠন করে৷ অপরপক্ষে খালেদার নেতৃত্বে বিএনপি জোট নামমাত্র(৩৮ আসন) বিরোধী  দলের আসন গ্রহন করে৷
  দশম সংসদ নির্বাচনঃ--বিএনপি জোটের একান্ত শুভাকাংক্ষি বার্ণিয়াকট পরিচালিত ২০১৩ সালের 'উত্তরা নীলকুঠি প্রাসাদ ষড়যন্ত্র নাটকের ব্যার্থতা এবং রৌশন এরশাদের দৃডতায় প্রেতাত্বার জোটকে নির্বাচন বর্জন এবং আগুন সন্ত্রাসে মানুষ হত্যায় বাধ্য করে৷  ফলাফল--মহাজোট' প্রতিযোগীশুন্য মাঠে একক নির্বাচন এবং দ্বিতীয়বার মহাধুমধামে সরকার গঠন করে৷ অপরপক্ষে বিএনপি দল ও জোট প্রকাশ্য দিনের বেলায় রাজপথে চলার সাহষ হারিয়ে রাতের বেলায় অন্ধগলিতে হাঁটতে হাঁটতে নেতৃত্ব শুন্য হয়ে পড়ে৷
   একাদশ সংসদ নির্বাচনঃ--বার্ণিয়াকট পরিচালিত নীলকূঠি প্রাসাদ ষড়যন্ত্র নাটক নতুন মঞ্চ সিঙ্গাপুর মঞ্চায়নের নতুন নায়ক এরশাদের অভিনয় কৌশলে আপাততঃ সফলতায় উৎফুল্ল প্রেতাত্বা জোট কোটা আন্দোলন ও শিশু কিশোর আন্দোলনে কাঁধে চড়ে ক্ষমতায় বসার স্বপ্নে বিভোর হয়ে পড়ে৷ আন্দোলনের হাঁকডাকের গ্যাড়াকলে আটকে দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলে ঘুম ভেঙ্গে হাতিয়ে দেখে নাটকের নায়ক জেঃ এরশাদ মঞ্চে নেই৷
    নাটকের পরিচালক বার্ণিয়াকটের বিদায় বেলায় তড়িগড়ি সকল কুশিলব'কে ঢাকায় ডেকে এনে মোহাম্মদপুর সুজন সম্পাদক বদিউজ্জমান সাহেবের বাসভবনে 'নীলকুঠি প্রাসাদ ষড়যন্ত্র নাটক মঞ্চায়ন করে৷   পরিচালকের পছন্দে ড. কামাল হোসেন নায়কের ভূমিকায় অভিনয়ে পরিচালক কতৃক নির্ধারীত হন৷ এক্ষেত্রে মোড়ল দেশের পরিচালক-বিএনপি, জোট, সুশীল সমাজ, জনগনের মতামত নেয়ার প্রয়োজনবোধও করেননি৷ এমনিতেই বাংলাদেশের জনগন সুশীল সমাজকে পছন্দ করেনা, ড. কামালদের তো নয়ই৷ বারবার একই বিষয়বস্তুর ব্যর্থ নাটক মঞ্চায়নে জনগন যারপরনাই ত্যাক্ত, বিরক্ত৷ পরিচালক বার্ণিয়াকট নাটক মঞ্চায়নস্থল মোহাম্মদ পুর সুজনের বাসভবন ত্যাগ করে আসার প্রাক্কালে জনতার রোষানলে পড়েন৷ আমি মনে করি এতে মোড়ল রাষ্ট্র আমেরিকার ভাবমূর্তিই ক্ষুন্ন করেছেন রাষ্ট্রদূত ম্যাডাম বার্ণিয়াকট৷   
  বিএনপি এবং প্রেতাত্বা জোটের বিলুপ্তির ৩টি  উপসর্গ জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে (১)ভরের আন্দোলন,(২) ভোটহীন ড. কামালের সম্ভাব্য জোটের নেতৃত্ব গ্রহনের আলোচনা,(৩) 'নীলকুঠি প্রাসাদ ষড়যন্ত্র' নাটকের পর্দা উম্মোচন৷  দৃশ্যমান তিন ঘৃনিত উপসর্গ আওয়ামী জোটের জয় প্রায় নিশ্চিত করে তুলেছে৷
   খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া, বিএনপি এবং প্রেতাত্বা জোটের জয়ের প্রচন্ড ইচ্ছাশক্তির ধারাবাহিক পরাজয়ের ব্যার্থতায়--"শেখহাসিনা, আওয়ামীলীগ, ১৪দলের ক্যারিসম্যাটিক নেতৃত্বের কোনপ্রকার সম্পৃত্ততা আছে বলে আমি মনে করিনা৷ বরঞ্চ তাঁদের সামর্থের ইতিবাচক কর্মকান্ডকে ধারাবাহিক নেতিবাচক কর্মকান্ডে রুপান্তরের বিরুদ্ধে নিয়ন্তর আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে নিস্তেজ, নিবৃত্ত, প্রতিহত, প্রতিরোধ করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছিলেন৷  শেখহাসিনার নেতৃত্বে নিয়ন্তর আন্দোলন সংগ্রামে বাংলাদেশের জনগন এবং আওয়ামীলীগের অসংখ্য নেতাকর্মী জীবন, সম্পদ, সময় হারিয়েছে৷ কিন্তু অদৃশ্য শক্তির আলৌলিক প্রভাব অধিক কায্যকর থাকায় তাঁদের মনে কোন সময়েই শুভ বুদ্ধির উদয় হয়নি৷
  আলৌকিক প্রভাব বলছি এই কারনে--রাজনৈতিকভাবে এবং সাধারনে জিয়া পরিবার, বিএনপি ও জোটের রাজনীতি ক্ষেত্রে কিছু নেতিবাচক বিষয় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়ে চলেছে৷ বিষয়গুলী--জিয়া পরিবার, বিএনপি এবং  জোট এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেও সম্ভব করে তুলতে পারছেনা৷ জয়ের আশায় সচেতনভাবে, সজ্ঞানে, স্বইচ্ছায়--জিয়া পরিবার, বিএনপি এবং জোট কতৃক সংঘটিত হয়ে চলেছে৷  সংঘটিত কর্মকান্ড আলৌকিক ভাবে জিয়া পরিবার, বিএনপি এবং  জোটের পরাজয় এবং নিচ্ছিহ্নের পথ সর্বদাই প্রশস্ত করে চলেছে৷  তথাপি উক্ত কর্মসম্পাদন বন্ধ করেনি বা বন্ধ করার চেষ্টাও করেনি৷
    সংগঠিত ঘটনায় বাংলাদেশের জনগন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ বা সরকারের কোন প্রকার চেষ্টা, তদ্ভির, উৎসাহ, দমনপীড়ন, হামলা মামলা, বাধাবিঘ্ন সর্বশেষ রাজনীতি বা ক্ষমতা প্রয়োগের প্রয়োজন হয়নি৷
যেমন--
প্রথমতঃ--২০০৬ সালে সাংবিধানীক রীতি অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন ও তত্বাবধায়ক সরকার গঠন প্রক্রিয়া থেকে বিএনপি জোট সরকার সরে এসে একক সিদ্ধান্তে গঠন করে৷ বিরুধী দল আওয়ামীলীগ সরকারের উক্তরুপ কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার নিমিত্তে রাজপথে জোর আন্দোলন গড়ে তোলে৷ সরকার বিরুধী দলের আন্দোলন সংগ্রাম পাত্তা না দিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল থাকে৷ ফলাফল--আইনশৃংখলা সহ সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থীতি অবনতি ঘটে৷  সেনাবাহিনী জোরপুর্বক খালেদা জিয়াকে ক্ষমতা ত্যাগে বাধ্য করে এবং তাঁর নির্বাচিত তত্বাবধায়ক সরকার প্রধান দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি ইয়াজ উদ্দিনকে তত্বাবধায়কের পদ ছাড়তে বাধ্য করে৷ সেনা বাহিনী সমর্থিত তত্বাবধায়ক গঠিত হলে তারা তিন মাসের সময়সীমার সরকারকে দুই বছর পয্যন্ত বাড়িয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টা অব্যাহত রাখে৷ শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা দায়ের করে তাঁদেরকে জেল খানায় রাখে৷ আওয়ামীলীগ সেনাবাহিনীর নিয্যাতনের ধকল কাটিয়ে উঠে নির্বাচনে জয় লাভ করে সরকার গঠন করে৷ বিএনপি আলৌকিক কারনে সেনাবাহিনীর নিয্যাতনের ধকল কাটাতে পারেনি৷ ফলাফল--ধ্বংসের শেষপ্রান্তে অবস্থান নিয়েছে৷
   দ্বিতীয়তঃ--খালেদা জিয়ার পরিবারের মামলা সমূহ দীর্ঘসুত্রিতার পেছনে সরকারের কোন হাত ছিলনা৷ বরঞ্চ সরকার তড়িগড়ি মামলাগুলী মিমাংসা করে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার প্রচেষ্টায় ব্রতি ছিল৷ খালেদা নিজেই সময়ক্ষেপন করে এবং তারেক জিয়া পলাতক থেকে সহসা ক্ষমতায় আসার স্বপ্নে বিভোর রয়েছে৷ ফলাফল--শেষ সময়ে দন্ডপ্রাপ্ত হয়ে উভয় নির্বাচন অযোগ্য হয়ে পড়েছেন৷
তৃতীয়তঃ--ভবিষ্যত দেশনেতা তারেক জিয়া চিকিৎসার উদ্দেশ্যে তত্বাবধায়ক সরকারের শাসনামলে লন্ডন গমন করেন৷ এগার বছর চিকিৎসা নেয়ার পরও তিনি সুস্থ্য হননি৷  দেশনেতার বিরুদ্ধে আনীত তত্বাবধায়ক সরকারের শাসনামলের মামলা স্বশরীরে মোকাবেলা করার প্রয়োজনবোধ করেননি৷   এক্ষেত্রে নিশ্চয়ই সরকার বা মহাজোটের কোনপ্রকার চেষ্টা, তদ্ভির বা রাজনীতি ছিল না৷ বরঞ্চ সরকার তাঁর উপস্থিতিতে মামলা মিমাংসা করার ইচ্ছায় একাধিকবার তাঁকে দেশে আনার উদ্যোগ নিয়ে ব্যর্থ হয়েছে৷
  আমি মনে করি আলৌকিক কারনেই তিনি সুস্থ্য হননি৷ সুস্থ্য হলে নিশ্চয়ই তিনি দেশে ফিরে আসতেন এবং মামলা মোকাবেলা করে রাজনীতিতে সক্রিয় থাকতেন৷  সুস্থ্য না হওয়া এবং দেশে ফিরিয়ে আনার সরকারের উদ্যোগ বার বার ব্যার্থতায় নিশ্চিত আলৌকিক বিষয় জড়িত আছে৷
   চতুর্থতঃ--দশম সংসদ নির্বাচনকালীন সময় নির্বাচনী সরকারে অংশ নিতে দাবী না থাকা সত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বইচ্ছায় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান এবং নির্বাচন বর্জন করেন৷ শুধু বর্জনে সীমাবদ্ধ থাকলে মনে হয় বিধাতা অসন্তুষ্টই হতেন--নির্বাচন বানচালের উদ্দেশ্যে অহিংস রাজনৈতিক কর্মসুচি কে অবরোধের নামে আগুন সন্ত্রাসে জ্যান্তমানুষ হত্যা, সম্পদ বিনষ্ট, সন্ত্রাস সৃষ্টির ন্যায় সহিংস আন্দোলনে রুপান্তর ঘটায়৷  জনসম্পৃত্ত আন্দোলন স্বইচ্ছায় জনভীতিতে পরিণত করার পেছনে--জনগন, 'সরকার বা মহাজোটের কোন প্রকার ইন্ধন বা রাজনীতি ছিল না৷ এখানেও আলৌকিকতার ছায়া সুস্পষ্ট৷
 পঞ্চমতঃ--জিয়া পরিবার সচেতনভাবে যুদ্ধ অপরাধী বিচারের বিরোধীতা এবং মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা, স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধু'কে নিয়ে লাগাতার বিতর্কিত বক্তব্য প্রদান করে৷ তাঁদের মুখে বিতর্কিত বক্তব্য জনগন, সরকার বা মহাজোট তুলে দেয়নি বা বক্তব্য, বিবৃতি প্রদানে উৎসাহীত করেনি৷ বিএনপি দলের দলীয় আদর্শ এবং প্রাথমিক উত্থান প্রক্রিয়ার সুত্রধরে উভয়ক্ষেত্রে বিরুধীতায়--দেশে-বিদেশে জোরালো ভুমিকা রেখে পরাজিত হয়৷ স্বাধীন দেশের আবাহাওয়ায় বসবাস করে, স্বাধীন দেশের শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন দেখা বিধাতা মেনে নিতে পারেননি৷
 ষষ্ঠতঃ--দশম সংসদ নির্বাচনে জেঃ এরশাদের জাতীয় পার্টি মহাজোট ত্যাগ ব্যাতিত চারদলীয় জোটে অংশগ্রহন করে রাষ্ট্রপতি হওয়ার স্বপ্নপূরণের নীলকুঠি'র প্রাসাদ ষড়যন্ত্র--জনগন, সরকার, ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ বা মহাজোট করেনি বা বাঁধার সৃষ্টিও করেনি৷ বাঁধার সৃষ্টি করেছিল--এরশাদ পত্নি রৌশন এরশাদ নিজে৷ স্বামীর অসুস্থ্যতা বিষয়ে স্ত্রী রৌশন এরশাদের লিখিত দরখাস্ত সরকার যথারীতি কায্যকর করে সাংসদের আবশ্যিক প্রাপ্য সুযোগ--হাসপাতালে ভর্তির ব্যাবস্থা করেছে মাত্র৷ বাঙ্গালী স্ত্রী স্বামীর অবাধ্য হওয়া নিশ্চয়ই আলৌকিক প্রভাব ব্যতিত সম্ভব হওয়ার কথা নয়৷
 সপ্তমতঃ---তারেক জিয়া এবং খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা এবং শাস্তি জনগন, সরকার, মহাজোট প্রদান করেনি৷ উভয়ের মামলা পরিচালনায় শতাধিক ব্যারিষ্টার, উকিল প্রতিদ্বন্ধিতা করে আদালতে নির্দোষ প্রমানে ব্যর্থ হয়েছে৷ সঙ্গতভাবে মা খালেদা আদালতের দন্ডাদেশপ্রাপ্ত হয়ে জেলখানায় এবং ছেলে তারেক আদালতের দেয়া দন্ডাদেশ অবজ্ঞা করে পলাতক রয়েছেন৷ এমতঃ অবস্থায় আইনগত ভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার বৈধতা হারিয়েছেন৷  এক্ষেত্রেও সরকার কোনপ্রকার প্রজ্ঞাপন জারী বা মহাজোটের আন্দোলন সংগ্রামে আদালত দন্ড প্রদানে এবং নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষনায় বাধ্য করেনি৷ আলৌকিকতার প্রভাবে দুই বছরে বিচারকায্য সম্ভব মামলা ৯বছর সময়ক্ষেপনের ফলে সময় স্বল্পতাহেতু নির্বাচনকালীন সময় উচ্চাদালতের জামিন কায্যকর করাও সম্ভব হয়ে উঠবে না৷ সুতারাং বুঝাই যায়--আলৌকিক প্রভাবে মামলার সময়ক্ষেপনে উৎসাহীত ছিলেন৷ ফলাফল নেতৃত্ব শুন্য দল, জোট৷
অষ্টমতঃ---কোটা আন্দোলনের সর্বশেষ খবর অনুযায়ী আন্দোলনকারীরা অনেকাংশে সফল৷ আন্দোলনকারীদের দাবী সরকার আইনী জটিলতা পরিহার করে মেনে নেয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে৷ আন্দোলনকারীদের বিএনপি/ জামায়াতের সম্পৃত্ততা ত্যাগে বাধ্য করেনি বা আন্দোলন নিস্তেজ করার লক্ষে মহাজোট কোন প্রকার রাজনৈতিক কর্মসুচি দেয়নি৷ আলৌকিক প্রভাবে আন্দোলন নিস্তেজ হওয়ায় বিএনপি জামাতের স্বপ্ন ভঙ্গ ঘটেছে৷
  নবমতঃ--শিশু কিশোরদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের যৌক্তিকতা সরকার মেনে নিয়ে তাঁদের  দাবী যথাযথ ভাবে পূরণ করার পদক্ষেপ গ্রহন করেছে৷ বিএনপি/জামায়াতের সম্পৃত্ততা ত্যাগে আন্দোলনকারী শিশু-কিশোরদের বাধ্য করেনি৷ এবং কি বিএনপি/জামায়াতকে আন্দোলনে অনুপ্রবেশ এবং অরাজকতা সৃষ্টিতে সরকার বাধ্য করেনি বা  উৎসাহীত করেনি৷   সরকার তাঁদের সম্পৃত্ততার কারনে দাবী পূরণে কোনপ্রকার গড়িমসির চেষ্টাও করেনি৷ আন্দোলনে সহিংসতার কারনে ছাত্ররা নিজেরা আন্দোলন ত্যাগ করে বাসায় ফেরৎ গেছে৷ শেখ হাসিনাকে দাবী মানায় ধন্যবাদ জানিয়ে প্রতিষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানে আনন্দ মিছিলে অংশ নিচ্ছে৷ নিশ্চয়ই এখানেও আলৌকিকতার প্রভাবে আন্দোলন স্থায়ী হয়নি৷
  দশমতঃ---বার্ণিয়াকট পরিচালিত তৃতীয় বার "নীলকুঠি'র প্রাসাদ ষড়যন্ত্র" নাটকের প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের ক্ষেত্রে পশ্চাদপসারনে জেঃ এরশাদকে সরকার বা মহাজোট বাধ্য করেনি৷ এরশাদ নিজ থেকে ভারত সফরে গেছেন এবং ভারত সফর শেষে দেশে এসে চুপসে গেছেন৷
  জনগন, ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ, সরকার, মহাজোট-"বার্ণিয়াকট পরিচালিত তৃতীয়বার "নীলকুঠি প্রসাদ ষড়যন্ত্র" নাটক মঞ্চায়ন এবং এরশাদের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করার চুক্তি সম্পাদনের ব্যাপারে প্রায় অন্ধকারেই ছিল৷ নাটক সর্বাত্বক ফ্লপ হওয়ার পর সকল মহলের উপলব্দিতে এসেছে৷ আলৌকিক প্রভাব ব্যাতিত এরশাদ নিজ থেকে সরে আসতে পারেন না৷
এগারতমঃ---বার্ণিয়াকট পরিচালিত চতুর্থবার নীলকূঠি প্রাসাদ ষড়যন্ত্র নাটকের মঞ্চায়ন, প্রধান চরিত্রে  ড. কামাল হোসেনের চুক্তি সম্পাদন, প্রেক্ষাগৃহ সুজন সম্পাদক বদিউজ্জমান সাহেবের বাসভবন--কোনটাতেই জনগন, সরকার, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের সংশ্লিষ্যততা নেই৷-সম্পূর্ণই পরিচালক মহোদয়ের এক্তিয়ারে বিএনপি দলের ইচ্ছায় সম্পাদিত হয়েছে৷
   সর্বশেষ নাটকের বিষয়বস্তু বিশ্লেষনে দেখা যায়--মা খালেদা আমৃত্যু জেলখানায় এবং ছেলে দেশনেতা তারেক পলাতক থাকতে বাধ্য হবে৷ এক্ষেত্রে ড. কামাল হোসেন রাজনীতিতে বা সরকারে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করার স্বার্থেই জিয়া পরিবারকে নিচ্ছিন্ন করবে৷
   কোনবস্থায় বাংলাদেশের জনগন, সরকার বা রাষ্ট্র কতৃক উৎখাত বা নিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে বলা যাবেনা৷যেহেতু জিয়া পরিবার স্বইচ্ছায় জোটের নেতৃত্ব কামাল হোসেনকে দিছেন৷ এক্ষেত্রে নিশ্চিত করে বলা যায়-অদৃশ্য শক্তির আলৌকিক প্রভাবে তাঁদের বিবেক, বুদ্ধি, বিবেচনা, স্মরণ শক্তি, কৌশল, অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যত শক্ত আবরণে ঢাকা পড়েছে৷ মা-ছেলে হিতাহীত জ্ঞানশুন্য হয়ে পড়েছেন৷

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা