আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় বঙ্গবন্ধু হত্যান্ডের প্রেক্ষাপট সৃষ্টি ও হত্যাযজ্ঞ পরিচালনা ছিল সকল যুগের বর্বরতম, নৃসংশতম ঘটনা৷ 

   ১৫ই আগষ্ট বাঙ্গালী,বাংলাদেশের ইতিহাসের এক কলঙ্কজনক কাল অধ্যায়৷  এই দিনই সদ্য স্বাধীন, সার্বর্ভৌম বাংলাদেশের স্থপতি, বাঙ্গালী জাতীয়তাবোধের উম্মেষদাতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী,বাঙ্গালী জাতীর জনক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবার পরিজনকে রাতের অন্ধকারে ঘাতকবাহিনী হত্যা করে৷হত্যাযজ্ঞের প্রেক্ষাপট তৈরি, পরিচালনা, বর্বরতা এবং পরবর্তি শাসকবর্গের গৃহিত পদক্ষেপ বিশ্লেষনে দেখা যায়--"এই নৃসংসতম হত্যাকান্ড কোনবস্থায়ই বঙ্গবন্ধু পরিবারকে সমূলে বিনাশ করার পরিকল্পিত পরিকল্পনায় সংঘঠিত হয়নি৷ অথবা এই জগন্য  হত্যাকান্ডটি কতিপয় বিপদগামী সেনাকর্মকর্তার অবিবেচনা প্রসূত ন্যাক্কারজনক কর্মকান্ডের ফসলও নয়৷ অথবা কতিপয় সেনাকর্মকর্তার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করার উচ্চাবিলাসী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশও ছিল না"৷
   দীর্ঘবছর পর হলেও ষড়যন্ত্রের আসলরুপ জাতী জানতে পেরেছে--সঠিক তথ্য উপাত্ত প্রকাশ পেয়েছে৷ ঘাতক চক্রের জবানবন্দি, বঙ্গবন্ধু পরিবার হত্যাযজ্ঞের অন্যতম ঘাতক মেজর ডালিমের নিজ হাতে লেখা প্রকাশিত বই পুস্তক, অন্যতম ঘাতক কর্নেল ফারুকের আদালতে দেয়া জবানবন্দি এবং মুক্তবস্থায় বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকার, আমেরিকা সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মেয়াদোত্তিন্ন গোপন নথিপত্র প্রকাশ, বিশ্বখ্যাত তথ্য উপাত্ত প্রকাশক ও সরবরাহকারী আন্তজাতিক সংস্থা উইকিলিকসের গোপন নথি পত্র প্রকাশ, দেশী-বিদেশী সাংবাদিকদের স্ব-চক্ষে দেখা ঘটনার বিশ্লেষনে মর্মান্তিক হত্যাযজ্ঞের প্রেক্ষাপট সৃষ্টিতে দেশী ও বিদেশী মহলের ভুমিকা, হত্যাযজ্ঞের কারন, হত্যাযজ্ঞে'র বর্বরতা, নৃসংশতা, জাতীয় ও আন্তজাতিক গোষ্টির স্বার্থ সংক্রান্ত বিষায়াদীর বিস্তারীত বিবরণ পাওয়া যায়৷
   উল্লেখিত ব্যাক্তি ও সংস্থার দালিলীক প্রমান সমূহ আদোপান্ত বিশ্লেষন, গবেষনায় পাওয়া যায়--'৭৫পরবর্তি রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী শাসকবর্গের সভ্যতার ইতিহাসে অকল্পনীয় পদক্ষেপ 'ইমডেমনিটি অধ্যাদেশ জারী, পরবর্তিতে আইনে পরিণতকরণ, স্বঘোষিত  ঘাতকদের হত্যার দায়মুক্তি এবং দেশে বিদেশে প্রতিষ্ঠিত করার তড়িগড়ি ব্যবস্থা গ্রহনের উদ্দেশ্য৷ উদ্দেশ্যের প্রতি দৃষ্টিপাৎ, ব্যাক্তি ও সংস্থার বিবরণ ও দালিলীক প্রমাণে প্রতিষ্ঠিত হয়-- নেপৈথ্যের মূল কুশিলব, ঠান্ডা মাথার খুনী, পরিকল্পনা গ্রহন,. বাস্তবায়নের প্রধান নায়ক মেজর জিয়ার সংশ্লিষ্টতা৷ 
    প্রকাশীত তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষনে দেখা যায়--বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পেছনে ষড়যন্ত্রের ইতিহাস ছিল সুদুরপ্রসারী পরিকল্পনায় সাজানো গোছানো পরিকল্পিত কর্মসূচি৷ '৭১এর পরাজিত শক্তি পাকিস্তান (আইএস আই)--তাঁদের এদেশীয় অনূচর রাজাকার, আলবদর, আলশামস এবং তদীয় রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী ও বুদ্ধিজীবি সমাজ, সাম্রাজ্যবাদী শক্তি আমেরিকা (সিআইএ)--তাঁদের এদেশীয় পেইড এজেন্ট আন্তজাতিক সংস্থা ও সংস্থার এদেশীয় কর্ণধারগন, তথাকথিত বিপ্লবী ধারার পরাশক্তি চীন (এমএসএস)--তাঁদের অনুগামী এদেশীয় (মাও সেতুং) অনুসারী রাজনৈতিক দল ও তদীয় নিষিদ্ধ সর্বহারা দলের বিপ্লবী কমরেড বৃন্দ, আমেরিকার প্রধান মিত্রশক্তি, আন্তজাতীক সন্ত্রাসী ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইল(মোসাদ) এবং সর্বোপরী সৌদী আরব সহ অন্যান্ন মুসলিম দেশের সম্মিলীত বাংলাদেশবিরোধী অপশশক্তি'র ষড়যন্ত্রের ফসল ছিল স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধু পরিবারের নৃসংস হত্যাকান্ড৷
   সম্মিলীত শক্তির শাসন-শোষন, মোড়লিপনার প্রধান অন্তরায় ছিলেন বাঙ্গালী জাতীরজনক বঙ্গবন্ধু 'শেখ মুজিবুর রহমান'৷ একমাত্র বঙ্গবন্ধু আপোষহীন নেতৃত্বে ভিন্ন জাতী-গোষ্টি পশ্চিম পাকিস্তানী শোষক-শাসক শ্রেনীর বিরুদ্ধে ২৩ বছরের আপোষহীন লাগাতার আন্দোলন, সংগ্রামে বাঙ্গালী জাতী সর্বতো অংশগ্রহন করেছিল৷একমাত্র বঙ্গবন্ধুর পরিপক্ক নেতৃত্বে বাঙ্গালী জাতীর অবিরাম সংগ্রামের পরিণতি ৭১এ জাতীর গৌরবের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট রচিত হয়েছিল৷ জাতীরজনক বঙ্গবন্ধুর আপোষহীন নেতৃত্বে জাতীর শ্রেষ্ঠ অর্জন '৭১ এর মহান  মুক্তিযুদ্ধে নিরস্ত্র বাঙ্গালীজাতী পশ্চিম পাকিস্তানী শাসকচক্রের অত্যাধুনিক  প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত, উন্নত সমরাস্ত্র সজ্জিত ৯৩ হাজার সেনাসদস্য এবং তাঁদের এদেশীয় অনুচর, অনুগামীদের চরমভাবে পরাজিত করে কাংক্ষিত স্বাধীনতার সুয্য ছিনিয়ে এনেছিল৷
    বিজয়ী বাঙ্গালী জাতী নয়মাসের মরনপণ লড়াইয়ে ৭১এর ১৬ই ডিসেম্বর শুধুমাত্র মাতৃভূমি বাংলাদেশকেই শত্রুমুক্ত করেনি--"ভীন্ন জাতী-গোষ্টি পশ্চিম পাকিস্তানের শাসন-শোষন, সাম্রাজ্যবাদী শক্তি আমেরিকার ভূগোলিক আধিপত্ব রক্ষা ও বিস্তারের স্বার্থ, ব্যবসা, বানিজ্য ও মোড়লিপনা, তথাকথিত বিপ্লব রপ্তানীকারক সম্প্রসারনবাদী চীনের (মাওসেতুং) কমিউনিষ্ট বিপ্লবের স্বপ্ন সাধনার কবর রচনা করেছিল৷.একই দিন বিশ্ব মানচিত্রে অভ্যুদ্বয় ঘটেছিল--"হাজার বছর পরাধীনতার শৃংখলে শৃংখলীত, অত্যাচারীত,  অবেহেলীত নিয্যাতীত, নিস্পেষীত, বিশ্বদরবারে জাতীসত্বা অস্বিকৃত বাঙ্গালীজাতীর কাংক্ষিত স্বতন্ত্র রাষ্ট্র--স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ নামক নতুন এক গর্বিত জাতীসত্বার অধিকারীর নতুন এক স্বপ্নের রাষ্ট্র বাংলাদেশ৷" 
   সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের বিধ্বস্ত অর্থনৈতিক কাঠামো, উৎপাদনহীন বিকল কল-কারখানা, প্রকৃতিক দুয্যোগের ভয়াবহতায় খড়া, বন্যায় বিপস্ত চাষাবাদ--বিপযস্ত কৃষিনির্ভর অর্থনীতি৷ পুল, কার্লভার্ট বিপযস্ত রাস্তাঘাট,, প্রয়োজনীয় যানবাহনের অভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থায় ধ্বস৷ উৎপাদনী ব্যবস্থাশুন্য কলখারখানা, জনবলহীন সরকারী প্রশাসন যন্ত্র, যত্রতত্র অস্ত্র ও গোলাবারুদ৷  নিত্যনৈমত্তিক ব্যবহায্য সরঞ্জামহীন, প্রয়োজনীয় যানবাহন, অস্ত্র ও গোলা- বারুদহীন আইনশৃংখলা বাহিনী৷  খাদ্য সামগ্রী শুন্য গুদাম, অর্থশুন্য ব্যাংক ব্যাবস্থাপনা, বন্ধ অর্থনীতির চালিকাশক্তি ব্যাবসা বানিজ্য৷  উপোয্যপুরী খড়া, বন্যায় বিধ্বস্ত অর্থনীতির সদ্য স্বাধীন নতুন বাংলাদেশের সরকার পরিচালনার ভার গ্রহন করেছিলেন--"জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান৷"
  এমতঃবস্থায় সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধু সরকারের সাড়ে তিন বছরের শাসনকালে অভ্যন্তরীন রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রতি সুক্ষ দৃষ্টিতে নজর দিলে ষড়যন্ত্রের প্রেক্ষাপট, কুশিলব, পরিকল্পনার সত্যতা মেলাতে কারোপক্ষে কষ্ট হওয়ার কথা নয়৷ তথ্য পয্যালোচনায় দেখা যায়--মূলতঃ 'মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় বাংলাদেশ বিরোধী শক্তির বীজ বপন করে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির প্রত্যক্ষ সহযোগীতায়(সি.আই.এ)পরাজিত শক্তি পশ্চিম পাকিস্তান(আই.এস.আই), মহাচীনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা(এমএসএস) এবং আমেরিকার তল্পিবাহক ইহুদী রাষ্ট ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা (মোসাদ)৷
   প্রথমবস্থায় উল্লেখিত সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা কয়েকটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের শীর্ষনেতার সহযোগীতায় ভারতে প্রশিক্ষনরতঃ ছাত্র মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে স্পষ্টতঃ দ্বিধাবিভক্তি ঘটিয়ে এক অংশের পূর্ণ নিয়ন্ত্রন গ্রহন করে৷  প্রবাসী মুজিবনগর সরকারের গঠিত মুক্তিযুদ্ধের কৌশলগত এগার'টি সেক্টরের মধ্যে কমপক্ষে তিনটির 'সেক্টর কমান্ডার' এবং প্রবাসী সরকারের একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতাকে তাঁরা সম্পুর্ণ তাঁদের নিয়ন্ত্রনে নিতে পেরেছিল৷
  এমতঃবস্থায় প্রবাসী সরকার তড়িৎ পদক্ষেপে বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব মাওলানা ভাসানী সহ কতিপয় নেতাকে ভারতের মাটিতে নজরবন্দি, গৃহবন্দি, অনেককে গুরুত্বপূর্ণ সরকারী দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি, বরখাস্ত করতে বাধ্য হন৷  মেজর জিয়াকে সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব থেকে তড়িৎ অব্যাহতি কতিপয় সেনাকর্মকর্রতার দায়িত্ব অব্যহতি দিয়ে পরিস্থিতি অনুকূলে রাখার চেষ্টায় ব্রতি হতে বাধ্য হয়েছিলেন৷ মুক্তিযুদ্ধের পুর্বের এবং পরের ষড়যন্ত্রের বাহনগুলী মুক্তিযুদ্ধের নয়মাসই "ভারতের অভ্যন্তরে এবং দখলকৃত পুর্ববাংলা"র আনাছে কানাছে সক্রিয় কর্মকান্ড পরিচালনা করে যাচ্ছিল৷
    দিনে দিনে বাংলাদেশ বিরোধী অশুভশক্তির প্ররোচনা, অর্থ ও অস্ত্র সহযোগীতায় মুক্তিযুদ্ধের প্রবাসী সরকারের বিদ্রোহী অংশ--প্রবাসী সরকারের ভিতরে ও বাহিরে  শক্তিশালী অবস্থান করে নিতে সক্ষম হয়"৷কিন্তু তাঁদের গতিবিধি ভারতীয় সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা "র" এর নজর এড়াতে পারেনি৷ ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার ফাইনাল প্রতিবেদন হাতে পাওয়া মাত্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রিমতি ইন্ধিরা গান্ধী কালবিলম্ব না করে মন্ত্রী সভার বৈঠক ডেকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সার্বিক সামরিক সহযোগীতার প্রস্তাব অনুমোদন করেন৷ প্রস্তাবনুযায়ী বাংলাদেশের অকৃত্তিম বন্ধু, ভারতের বিচক্ষন প্রধানমন্ত্রী, শ্রীমতি "ইন্দিরা গান্ধী'র তড়িৎ উদ্যোগে "ভারত-বাংলাদেশ" যৌথ মিত্র বাহিনী গঠিত হয়৷ মিত্রবাহিনীর সাড়াষী আক্রমনে অল্প সময়ের মধ্যে বিশ্ব মানচিত্রে নতুন জাতীর নতুন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদ্বয় ঘটে৷
    ভারতের মাটিতে বপন করা বাংলাদেশ বিরোধী অশুভশক্তির বীজ সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশেও সমভাবে কায্যকর ও তৎপর হয়ে উঠে৷ সম্মিলীত অশুভশক্তি সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারকে সর্বক্ষেত্রে অস্থিতিশীল করে তোলে৷ দেশবিরোধী সমস্ত ষড়যন্ত্রে প্রত্যক্ষ এবং বেপরোয়া অংশগ্রহন করে "ছাত্র মুক্তিযুদ্ধাদের বিদ্রোহী অংশ সিরাজুল আলম খাঁন, আসম রব, শাহজাহান সিরাজের নেতৃত্বে অসংখ্য ছাত্রলীগ নেতাকর্মী৷ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অংশগ্রহন করে প্রবাসী সরকারের নজর বহিভুত সেক্টর কমান্ডার আবদুল জলিল, কর্ণেল তাহেরের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা সেনাসদস্যের একটি ক্ষুদ্র অংশ৷পরাজিত শক্তির এদেশীয় দোসর জামায়াতে ইসলামী সহ রাজাকার আলবদর বাহিনীর সসস্ত্র সদস্য বৃন্দ৷  মাওলানা ভাসানী নেতৃত্বে কতিপয় রাজনৈতিক দল এবং চীনপন্থি কমিউনিষ্ট ব্লকের কমরেড তোয়হা, আবদুল হক, সিরাজ শিকদার সহ অন্যান্ন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গ্রুপ সমূহ৷
     উল্লেখিত সমূদয় ষড়যন্ত্রের অন্তরালে নিরাপদে অবস্থান গ্রহন করে সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে তথাকথিত মুক্তিযোদ্ধা বয়োজৈষ্ঠ সেনাকর্মকর্তা মেজর জিয়ার নেপৈথ্য নেতৃত্বে অতি সংগোপনে কতিপয় পাকিস্তান ফেরৎ সেনা কর্মকর্তা৷ সরকারের অভ্যন্তরে সংগোপনে অবস্থান গ্রহন করে--"খোন্দকার মোস্তাক আহম্মদের নেতৃত্বে আওয়ামীলীগের ক্ষুদ্র একটি অংশ৷ রাজনীতির মাঠে প্রকাশ্য অবস্থান গ্রহন করে--আসম রব এবং সেক্টর কমান্ডার আবদুল জলিলের নেতৃত্বে সদ্য গঠিত রাজনৈতিক দল বৈজ্ঞানীক সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী "জাসদ"৷ অস্ত্রহাতে প্রকাশ্য রাজপথে অবস্থান গ্রহন করে কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে জাসদের সসস্ত্র বিপ্লবী সংগঠন দুর্দষ্য "গন বাহিনী"৷ মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা উল্লেখিত ব্যাক্তি ও সংগঠনের সঙ্গে প্রকাশ্য যোগদান করে সারা ভারত, বাংলাদেশের বনজঙ্গলে আত্মগোপনকারী সদ্য মুক্তিযুদ্ধ ফেরৎ চীনপন্থি মুক্তিযোদ্ধা দলের শতশত অস্ত্রধারী কমরেড৷ মুক্তিযুদ্ধ শেষে পাহাড় পর্বত, বন জঙ্গল, দেশে বিদেশে পলাতক পরাজিত শক্তির এদেশীয় অস্ত্রধারী রাজাকার, আলবদর, আলশামসের শতশত আধুনিক অস্ত্র সজ্জিত সদস্যগন৷
    বিশাল ব্যাক্তিত্বের অধিকারী, অসীম সাহষী নেতা, বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড এবং সরকার উৎখাতের প্রেক্ষাপট তৈরির উদ্দেশ্যে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে উল্লেখিত সাম্রাজ্যবাদের প্রেতাত্বাদের হেন কোন কাজ ছিলনা তাঁরা করেনি৷ চুরি, ডাকাতি, রাহাজানী, চিনতাই, হত্যা, গুম, খুন, লুটপাট ছিল নিত্যদিনের  কর্মকান্ড৷ মিথ্যা গুজব, ষড়যন্ত্র, অপপ্রচার, অপরাজনীতি, অপকৌশল হয়ে উঠেছিল নিত্য নৈমত্তিক রাজনৈতিক গতিধারা৷ দেশের একমাত্র রপ্তানীযোগ্য পণ্য পাটের গুদামে একের পর এক আগুন, খাদ্য গুদাম লুট, ব্যাংক ডাকাতি, নির্বাচিত এমপি হত্যা, জোরদার মহাজন হত্যা, বাড়ীঘর লুটপাট হয়ে উঠেছিল অরাজকতা সৃষ্টির হাতিয়ার৷
    অন্যদিকে উপোয্যপুরী খড়া, অকাল বন্যার প্রাকৃতিক দুয্যোগের কবলে পড়ে দেশে দেখা দেয় খাদ্যাভাব৷ বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধকালীন আমেরিকা সরকারের বিরুধীতা ও চক্রান্ত ভুলে তাঁদের সঙ্গে খাদ্য আমদানীর চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন৷ চুক্তি অনুযায়ী জাহাজভর্তি খাদ্য যথারীতি আমেরিকান বন্দর ছেড়েও আসে৷  আমেরিকান সরকারের উচ্চপয্যায়ের হাতের ঈশারায় খাদ্য সামগ্রি বোঝাই জাহাজ মাঝপথে সাগরে নিক্ষেপ করে দেয়৷
    উক্ত ষড়যন্ত্রমূলক ন্যাক্কারজনক ঘটনা--বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর সরকারের সম্বিত ফিরিয়ে দেয়৷ পরিকল্পিতভাবে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে আমেরিকা মাঝপথে খাদ্য সাগরে নিক্ষেপ করার চরম অমানবিকতা--বিশ্ব মানবতার ইতিহাসের পাতায় কাল ইতিহাসের দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে"৷ ৭৪ এর ঐ মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের একলক্ষ লোকেরও বেশী প্রানহানী ঘটেছিল৷ ইহা সম্পূর্ণ অমানবিক হত্যাযজ্ঞ৷ এই হত্যাযজ্ঞের সম্পূর্ণ দায় আমেরিকান সরকারকে যুগযুগান্তর ভয়ে বেড়াতে হবে,--বাংলাদেশ বয়ে বেড়াবে তাঁর শরীরের সর্বাংশে দগদগে ক্ষত৷
   জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু চতুমূখী ষড়যন্ত্রের মধ্যেও দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়েছিলেন৷ খাদ্যাভাব দুর করে নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য জনসাধারনের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে এসেছিলেন৷ উৎপাদনী যন্ত্র সচল হয়ে উঠেছিল, ফসল উৎপাদন আশাব্যাঞ্জক ছিল৷ আমদানী রপ্তানীতে এসেছিল গতিশীলতা, প্রবৃদ্ধির নিরুপক সকল সূচকে উধ্বমূখি অবস্থানে বিরাজমান ছিল৷
   জাতীর জনক ঘোষিত প্রথম বিপ্লবের সাফল্যের সুফল বাংলাদেশের মুক্তিকামী জনগনের দরজায় কড়া নাড়ছিল৷এমনি অবস্থায় তাঁর স্বপ্নের ক্ষুদামুক্ত,দারিদ্রমুক্ত, বৈশম্যহীন,উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার আর্থ সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক কর্মসূচি দ্বিতীয় বিপ্লব৷ তিনি প্রথমাবস্থায় সামাজিক বৈশম্য দুরিকরনে মধ্যসত্বভোগী প্রথা বাতিল করেন-মালিক-শ্রমিক মালিকানা নির্ধারীত করেন৷ তদ্রুপ সংবাদ পত্রকর্মীদের বিভিন্ন শ্রেনী বিভক্তি যেমনঃ-প্রুফ রিডার, মুদ্রাক্ষরিক,সাংবাদিক ইত্যাদি অবলোপন করে 'সংবাদিক' নামে একবিন্দুতে প্রতিস্থাপন করে তাঁদের কল্যানে ওয়েজবোর্ড গঠন করেন৷  কোর্ট কাচারীতে প্রচলিত উকিল, মোক্তেয়ার, মহুরী শ্রেনী বিন্যাস বিলুপ্ত করে একবিন্দুতে 'উকিল এবং তাঁর জুনিয়র' প্রতিস্থাপন করেন৷ এমনিভাবে সমাজ, রাষ্ট্র, সরকারে ব্যাপক সংস্কার পুর্বক বৃটিশের রেখে যাওয়া মান্ধাতার আমলের আইন, কানুন, রীতি, নীতি, শাসন ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তনের উদ্যোগ গ্রহন করেন৷
   সরকার পরিচালনায় জাতীয় সরকারের রুপরেখার ভিত্তিতে, সকল শ্রেনী পেশার অংশগ্রহন নিশ্চিতকল্পে,সামাজিক শ্রেনী বৈশম্যহীন সামাজিক সমতা, সম্পদের সুষম বন্টন, উৎপাদনী যন্ত্র এবং উৎপাদকের ন্যায্য হিস্যা নির্ধারন ও শ্রমিকশ্রেনীর মালিকানা প্রতিষ্ঠা, সমবায় ভিত্তিতে চাষাবাদ, প্রশাসনের বিকেন্দ্রিকরন পুর্বক মহকুমা/জেলা ভিত্তিক সরকার পরিচালনা ইত্যকার  তাঁর পরিপক্ক রাজনৈতিক ধ্যানধারনার শ্রেষ্ঠ দর্শন বাঙ্গালী জাতীর বৃহত্তর কল্যানে নিবেদন করেন৷ উক্ত দর্শনের নাম দেয়া হয় বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামীলীগ সংক্ষেপে "বাকশাল"৷
    বিদেশী মতবাদ নয়, কোন দার্শনিকের দর্শন হাওলাত নয়, কোন রাষ্ট্রের শাসনব্যাবস্থা অনুকরন,অনুসরণও নয়--সম্পূর্ণ বাংলাদেশের আবাহাওয়া উপযোগী বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের সঞ্চিত জ্ঞানের বহিঃপ্রকাশ" দ্বিতীয় বিপ্লবের রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, শাসনতান্ত্রিক কর্মসূচি তথা "বাকশাল" কর্মসূচি বা দর্শন৷
  বাকশাল শাসনব্যাবস্থা প্রতিষ্ঠাকল্পে নানাবিধ প্রস্তুতিমূলক কর্মকান্ড চলাকালীন সময়ে কায়েমী স্বার্থান্বেষী মহলের টনক নড় উঠে৷ তাঁরা ঠিকই বুঝতে পারে--বিশাল ব্যাক্তিত্বের অধিকারী বঙ্গবন্ধু তাঁর চিন্তাচেতনার ফলপ্রসূ বাস্তবায়ন নির্দিদ্বায় সম্ভব করে তুলতে পারবেন৷ একবার যদি বঙ্গবন্ধুর মেধার ফসল "বাকশাল দর্শন" বাংলাদেশের সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয় তাঁদের অস্তিত্ব, মোড়লিপনা, শোসন, শাসন অত্রাঞ্চলে সুদুরপরাহত হয়ে উঠবে৷
   সুতারাং কালজয়ী দর্শন বাকশাল ঘোষনা বাস্তবায়নের পুর্বেই প্রতিহত করার চক্রান্ত বাস্তবায়নার্থে সম্মিলীত বাংলাদেশ বিরোধী অশুভশক্তির মরিয়া চেষ্টার অংশই সর্বযুগের মানব ইতিহাসের বর্বরতম, নৃসংশতম উপায়ে বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর  পরিবার পরিজনের হত্যাযজ্ঞ সাধন৷ 
   বিশ্ব মানব সভ্যতার ইতিহাসে এমন নৃসংশতম হত্যাযজ্ঞ আর কোথাও কোন দেশে, কখনই ঘটেনি, এবং কি অন্ধকার যুগেও নয়৷ ইসলামী শাসনামলে পিতা পুত্রকে হত্যা করেছে, পুত্র পিতাকে হত্যা করেছে অথবা বন্দি করেছে-কেউ কারোই স্বপরিবার উচ্ছেদ করেনি৷  ইংরেজ বেনিয়া দল বাংলার স্বাধীন নবাব সিরাজদৌল্লাকে হত্যা করেছে বা করিয়েছে কিন্তু পরিবারবর্গকে বন্দি করেছে, পরবর্তিতে রাষ্ট্রিয় মাসোয়ারায় প্রতিপালন করেছে৷
 উনিশ শতকের প্রথম থেকে বিশ্বের দেশে দেশে সামাজতান্ত্রিক বিপ্লব সংঘঠিত হয়েছে৷  কোথাও উচ্ছেদকৃত শাসক পরিবারর্গের হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হয়নি৷ একই শতকের শেষার্ধে ইরানে চাঞ্চল্যকর ইসলামী বিপ্লব সংঘঠিত হয়েছে৷ ইরানের ইসলামী বিপ্লবে অংশগ্রহনকারী লক্ষলক্ষ মানুষ শাহ রাজপরিবারে বাহিনীর হত্যার শিকার হয়েছে৷  আড়াই হাজার বছরের শাহ রাজ বংশের শাসন শোষন উৎখাত করা সত্বেও বিপ্লবী ইসলামী সরকার শাহ রাজবংশের বা শাহ পাহলভি পরিবারের কোন সদস্যকে হত্যা করেনি৷ "শাহ পাহলভি'' পাশ্ববর্তি দেশ মিশরে আশ্রয় থাকাবস্থায় মাত্র ৬০ বছর বয়সে স্বাভাবিক মৃত্যু বরণ করেছেন৷ 
  তারও বহু পুর্বে ষোড়শশতকে বিশ্বকাঁপানো ফরাসী বিপ্লব গোটা ইউরোপকে নাড়িয়ে দিয়েছিল৷ শতবছরের রাজতন্ত্র উচ্ছেদ করার লক্ষে পরিচালিত বিপ্লবে ষোড়শ লুই ও তার স্ত্রী মারি অ্যান্তনে'র বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মৃত্যুদন্ড কায্যকর করা হয়েছিল। ফরাসি বিপ্লবের ট্র্যাজেডি তাদের স্বামী-স্বী দুইজনকে ঘিরেই আবর্তিত হয়েছিল। রাজপরিবারের শতশত সদস্যের গাঁয়ে আঁছড়ও লাগেনি৷
   রাজা ও রানীর স্বৈরাচারিতা, বিলাসিতা ও রাষ্ট্র পরিচালনায় দুর্নীতি পুরো রাজপরিবারকে সাধারণ জনগণের প্রতিপক্ষ করে তোলেছিল। আন্দোলনের তোপের মুখে রাজপরিবারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহীদের কাছে শেষ পর্যন্ত বন্দী অবস্থায় উপনীত হন রাজা ষোড়শ লুই। ক্ষমতা হারিয়ে আন্দোলনকারীদের কাছে বন্দী রাজা ষোড়শ লুইয়ের বিচার শুরু হয়। ১৭৯৩ সালের ২১ জানুয়ারি শতসহস্র জনতার সম্মুখে রাজা ষোড়শ লুইসকে গিলোটিনে শিরোচ্ছেদ করা হয়।
   তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সময় আয়োজিত ভোটে ৩৬১ জন মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে এবং ২৮৮ জন বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। অন্যদিকে তার স্ত্রীকেও বিচারের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। ফ্রান্সের কুইন মারি অ্যান্তনের বিলাসিতার জন্য অনেকেই তাঁকে অপছন্দ করতেন। এ ছাড়া দুর্নীতির কলকাঠি আড়ালে থেকে তিনিই নাড়তেন বলে জনগণের অভিযোগ ছিল। বিচারের পর ১৬ অক্টোবর রানীর ক্ষেত্রেও একই শাস্তি কার্যকর করা হয়েছিল।
  বিগত শতাব্দিতে ভারতের অবিসংবর্ধিত নেতা মহত্মা গান্ধী, সমসাময়িক কালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী, তাঁর পুত্র প্রধানমন্ত্রী রাজিব গান্ধী হত্যা'র শিকার হয়েছেন কিন্তু পরিবারবর্গ অক্ষতই ছিলেন৷ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভূটূকে বিচারের মাধ্যমে মৃত্যুদন্ড কায্যকর করা হয়েছিল কিন্তু তাঁর পরিবার সম্পুর্ণ অক্ষতই ছিল৷ 
  হাজার বছরের ইতিহাসে বিশ্বে'র দেশে দেশে বহু সামরিক অভ্যুত্থান, বিপ্লব, প্রতিবিপ্লব, গনভ্যুত্থান, সাংস্কৃতিক বিপ্লব, সামাজতান্ত্রিক বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে--কোথাও পূর্ববর্তি শাসকের সম্পূর্ণ পরিবার-পরিজন, আত্মীয় স্বজন এবং পরিবারের অবুঝ শিশু সমেত এমন ন্যাক্কারজনক, বর্বরোচিত, অমানবিক হত্যাযজ্ঞ বিশ্ব ইতিহাসের কোন এক যুগে সংঘটিত হয়েছে--তেমন উদাহরণ নেই৷
    ১৫ই আগষ্ট '৭৫ এ ঘাতকচক্র শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবার ও আত্মীয় স্বজনকেই হত্যা করেনি--হত্যা করেছে বাঙ্গালী জাতীর অহংকার, গৌরব, শৌয্য, বিয্য, মায্যদা, অস্তিত্ব, মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকার, চেতনা, মূলনীতি এককথায় বাংলাদেশ৷অন্যদিকে বর্বরতম হত্যাকান্ডে বাঙ্গালী হারিয়েছে তাঁর উম্মেষদাতা, বাংলাদেশ হারিয়েছে তাঁর স্বপ্নদ্রষ্টা, বাঙ্গালী জাতী হারিয়েছে তাঁর জনক, বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষ হারিয়েছে তাঁদের বিপ্লবের  ধারক, বিশ্ববাসী হারিয়েছে পরিপক্ক গনতান্ত্রিক রাজনীতিবীদের গর্ভের ভ্রুন কালজয়ী দর্শন "বাকশাল'৷ 
 
 
 
 
 
 
 

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা