জাতীয় দিবস প্রতিপালনে "রাজনৈতিক দলের দেশপ্রেমিক কর্মীবাহিনী'র অগ্রনী ভুমিকা অনস্বিকায্য৷
স্ব-স্ব ধর্ম, বর্ণ, জাতী, গোষ্টি ভেদে প্রত্যেকের একান্ত নিজস্ব কিছু বিশেষ বিশেষ স্মরণীয় দিবস রয়েছে৷ আমাদের প্রিয় ইসলাম ধর্মের আওতাভুক্ত মুসলিম জাতী যেমন কিছু নির্দিষ্ট দিবসে আনন্দ উল্লাস করি, আবার কিছু দিবস অত্যান্ত বেদনা বিধুরতায় বিশেষ ইবাদতের মাধ্যমে স্মরণ করি৷ তদ্রুপ অন্যান্ন ধর্মালম্বি জাতী, গোষ্টি, সম্প্রদায়ও তদ্রুপ আনন্দ, উল্লাস, বেদনার দিবস সমূহ তাঁদের মত করে পালন করে থাকে৷ উক্ত দিবস সমূহ যথারীতি নিয়ম পালন করে দীর্ঘ যুগ পালনের অভ্যেসগত কারনে একপ্রকার দিবসগুলী ধর্মের অংশে পরিণত হয়েছে৷ উল্লেখিত দিবসগুলী ইসলাম ধর্মালম্বি মুসলমান জাতীর ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, কৃষ্টির অন্তভুক্ত৷ সারা বিশ্বের মুসলিম সমাজে কতিপয় ব্যাতিক্রম ব্যাতিত প্রায় সমভাবেই উল্লেখিত দিবসগুলী যথাযথ ধর্মীয় ভাব গাম্ভিয্যে পালিত হয়৷
অন্যদিকে বিভিন্ন ধর্মের অভ্যন্তরে ভাষা, ভুখন্ড, অঞ্চল, জাতী, সম্প্রদায়, গোষ্টি'র আলাদা আলাদা অস্তিত্ব বিদ্যমান রেখে একটি রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটতে পারে৷ রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে বসবাসরতঃ জাতী-গোষ্টির উত্থান, পতন, গৌরব, বিপয্যয়, সুখ, দুঃখ্যানুভূতি প্রকাশের সুনির্দিষ্ট কিছু দিবস রয়েছে৷স্ব-স্ব জাতী, গোষ্টি, সম্প্রদায় উক্ত দিবসগুলী যথারীতি উক্ত দিবসের মর্মানুযায়ী যথাযোগ্য মায্যদা, ভাব গাম্ভিয্য বজায় রেখে পালন করে থাকে৷ উক্ত রীতিটি মানব সভ্যতা বিকাশের সাথে সম্পর্কিত এবং আবহমান কাল হতে বিশ্বের দেশে দেশে, জাতীতে জাতীতে পালিত হয়ে আসছে৷ দিবসগুলী স্ব-স্ব জাতী, গোষ্টি, সম্প্রদায়ের ইতিহাস, ঐতিহ্য, কৃষ্টির অংশ হয়ে ঐ জাতী'র পথ প্রদর্শকের ভুমিকা পালন করে৷
বাঙ্গালী জাতী হাজার বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, কৃষ্টিকে সমুন্নত রেখে আলাদা রাষ্ট্র "বাংলাদেশ" সৃষ্টির ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট সৃষ্টি হয়েছিল৷ভিন্ন জাতী গোষ্টির 'শাসন-শোষনের' বিরুদ্ধে বাঙ্গালী জাতী'র সুদীর্ঘ আন্দোলন, সংগ্রামের ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে কতিপয় দিবস জাতীয় জীবনে বিশেষভাবে স্মরণীয়, বরণীয় হয়ে আছে৷ উক্ত দিবসগুলী দেশের অভ্যন্তরে বসবাসরতঃ জাতী, গোষ্টি, সম্প্রদায়ের সুদীর্ঘকাল লালিত স্ব-স্ব সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ইতিহাস, ঐতিহ্যের সঙ্গে মিলেমিশে প্রত্যেক জাতী, গোষ্টির আনন্দ উল্লাস, বেদনা বিধুরতার অংশে রুপান্তরীত হয়েছে৷ দিবসগুলীর তাৎপয্য অনুযায়ী যথারীতি-যথাযোগ্য মায্যদা ও ভাবগাম্ভিয্য বজায় রেখে পালন রাষ্ট্র, সরকার ও জনগনের সম্মান, শ্রদ্ধা, ভক্তি সহকারে আবশ্যকীয় পালন প্রচলিত রীতি৷ বিশ্বময় প্রতিটি দেশের ক্ষেত্রেই বিষয়টি একইরুপে প্রযোজ্য ও প্রতিষ্ঠিত রীতিনীতি হিসেবে প্রতিপালিত হচ্ছে৷ উক্ত রীতি অবজ্ঞা, অবহেলা, অপমান, অপদস্ত, বিকৃত করা যে কোন দেশের প্রচলিত ফৌজদারী আইন ও বিধি মোতাবেক দন্ডনীয় এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত৷
রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে সংগঠন ও সংস্থা উল্লেখিত দিবসে সংগঠিত ঐতিহাসিক ঘটনার বিবরণ প্রজম্ম থেকে প্রজমান্তরে স্মরণ করিয়ে দেয়া একান্ত নৈতিক কর্তব্যহেতু জাতীয় পয্যায়ে আবশ্যকীয় পালনীয় রীতি গড়ে উঠে৷এইরুপে নিয়ন্তর পালনে তারতম্য ভেদে দিবসগুলীর অভ্যন্তরীন সংঘটিত ঘটনা প্রবাহের নির্যাস, তাৎপয্য, ঐতিহাসিক মুল্য অনুধাবনের ক্ষেত্রে প্রজম্মের মহাসুযোগ সৃষ্টি হয়৷ দেশ ও জাতীর এইরুপ ঐতিহাসিক নির্দিষ্ট দিনের তাৎপয্য অনুশীলনে প্রাপ্ত লব্দ জ্ঞান প্রজম্ম থেকে প্রজমান্তরে জাতীত্ববোধ, দেশাত্ববোধের চেতনায় নাগরীকদের বিকশীত করে গড়ে তোলে৷ দেশ ও জাতী গঠনে ক্ষেত্রে দেশপ্রেমের গুরুত্ব ব্যাখ্যার অপেক্ষা রাখে না৷
রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে বিদ্যমান প্রাতিষ্ঠানিক শক্তি সমূহ--রাজনৈতিক দল, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও বিভিন্ন শ্রেনী পেশার সংগঠন সমূহ দেশ ও জনগনের প্রতি তাঁদের নীতিগত দায়বদ্ধতা থেকে দিবসগুলী পালন করতে বাধ্য থাকে৷ এইরুপ প্রাতিষ্ঠানিক শক্তির অপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা দেশের অভ্যন্তরে বসবাসরতঃ নাগরীকদের দেশপ্রেমে উদ্ভোদ্ধ করার ক্ষেত্রে মূখ্য ভুমিকা পালন করে৷
ইহা একান্ত সত্য--যে কোন জাতীর উন্নয়ন, অগ্রগতি, শান্তি, শৃংখলা রক্ষার ক্ষেত্রে নাগরিকদের দেশপ্রেমের গুরুত্ব অপরিসীম, অনস্বিকায্য, আবশ্যিক৷ আর দেশ ও জাতীর ঐতিহাসিক দিবসের তাৎপয্য, শিক্ষা, অনুশশীলন নাগরিকদের স্নায়োবিক অনুভূতিতে দেশাত্ববোধ সৃষ্টি, জাগ্রত করা বা রাখার মোক্ষম হাতিয়ার৷ যে জাতী দেশপ্রেমে যতবেশী সমৃদ্ধ সেই জাতী ততবেশী দ্রুত উন্নতি, অগ্রগতি সাধনে সক্ষমতা অর্জন করে৷ একমাত্র স্বিকৃত উন্নত ও সমৃদ্ধ জাতী'ই বিশ্ব দরবারে সভ্য ও সম্মানীত জাতী হিসেবে বিবেচিত হতে পারে৷
অত্যান্ত দুঃখ্যজনক হলেও সত্য--"৭৫ পরতবর্তি প্রায় দুইদশক বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন সরকার সমূহ জাতীর শৌয্য, বিয্যের ধারক বাহক বিশেষ বিশেষ দিন ও প্রতিক সমূহ রক্ষনাবেক্ষনের প্রতি ইচ্ছাকৃতভাবে অথবা রাজনৈতিক আদর্শিক কারনে রাষ্ট্রীয় উদাসীনতা দেখিয়েছে৷ ফলে বাংলাদেশের জনগনের মধ্যে অধিকাংশের যথাযথ রীতিনীতি অনুসরন, তাৎপয্য অনুধাবন পুর্বক "জাতীয় দিবস" পালন ও "জাতীয় প্রতিক" সমূহ সংরক্ষনে আগ্রহে প্রচুর ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়৷
বর্তমানেও রাষ্ট্রের অভ্যন্তরের অনেকগুলী রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, সরকারী, বেসরকারী সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান--জাতীয় দিবস হয় পালন করা থেকে বিরতঃ থাকে, নয় তো বা দায়সারা ভাবে পালন করতে দেখা যায়৷ জাতীর সাগররসম রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গৌরব, পরিচিতি, অহংকার, শৌয্য বিয্যের প্রতিক--'জাতীয় পতাকা' সংরক্ষন, ব্যবহার, পরিমাপ ইত্যাদি ক্ষেত্রে বেশীরভাগ জনগোষ্টির রয়েছে অজ্ঞতা অনেক ক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃত অবহেলা৷ এহেন অবস্থা থেকে অতিসত্বর উত্তরণের প্রয়োজনে শুভবুদ্ধিসম্পন্ন বুদ্ধিজীবি, রাজনৈতিক শক্তি, সামাজিক শক্তি এগিয়ে আসা প্রয়োজন মনে করি৷ দেশপ্রেমের অভাবজনীত কারনে ইতিমধ্যে কয়েকটি প্রজম্মই বিপথে চলে গেছে--খোলা চোখে পরিলক্ষিত হচ্ছে৷ যথাযথ উদ্যোগের বিলম্বে গোটা জাতী অতলতলে তলিয়ে গেলে আশ্চায্য হওয়ার কিছুই থাকবে না৷
আগামী ১৫ই আগষ্ট জাতী'র জনক বঙ্গবন্ধু' 'শেখ মজিবুর রহমানে'র ৪৩ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে যথাযথ ভাবগাম্ভিয্যে জাতীয় শোক দিবস পালন করবে জাতী৷ একই সঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং তাঁর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি'র বিদ্যমান রাজনৈতিক দল সমুহ, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, বিভিন্ন শ্রেনী পেশার সংগঠন সমুহ শোক দিবস পালনের কর্মসুচি ঘোষনা করেছে। বিগত কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ সরকার দিবসটি যথাযথ ভাবগাম্ভিয্যে পালনের উদ্দেশ্যে সরকারীভাবে "জাতীয় শোক দিবস ঘোষনা" করেন৷ দিনটিকে সরকারী ছুটির দিন ঘোষনা করে জাতীয় পয্যায় পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করে সুনির্দিষ্ট কতিপয় নীতিমালা প্রনয়ন করে ৷অন্যসব জাতীয় দিবসের ন্যায় জাতীয় শোক দিবসকে সামনে রেখে সরকার যথাযথ ভাবে পালনের নিমিত্তে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ সরকারী বেসরকারী, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান সমূহে উক্ত নীতিমালা কঠোরভাবে প্রতিপালনের নির্দেশনা জারি করে৷
দু:খ্যজনক হলেও সত্য--সরকারের উক্তরুপ নির্দেশনা বা সিদ্ধান্ত অন্যসব জাতীয় দিবসে'র ন্যায় প্রতিবছরই উপেক্ষিত থেকে যায়৷ যথাযথভাবে জাতীয় দিবস পালনের ক্ষেত্রে সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও সরকারী উদ্যোগে আন্তরিকতার যথেষ্ট অভাব পরিলক্ষিত হতে দেখা যায়৷ এমনিতে জাতীয় দিবস পালনে দীর্ঘ যুগের অনভ্যস্ততা জাতিকে অনাগ্রহী করে তুলেছে৷ অন্যদিকে আগ্রহী করে গড়ে তোলার আবশ্যকীয় শক্তি-- "দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারী সংস্থা, রাজনৈতিক দলের কর্মীবাহিনীর সমাজে বিচরনের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা অনেকক্ষেত্রে শুন্যতা জাতীয় দিবস পালনের ক্ষেত্রকে প্রতিনিয়ত সংকুচিত করে চলেছে৷ এই অবস্থা চলতে থাকলে দেশপ্রেমহীন প্রজম্ম জাতীকে অন্ধকারে টেনে নিতে সময়ক্ষেপনের প্রয়োজন হবেনা
এমতঃবস্থায় দেশ ও জাতীর বৃহত্তর স্বার্থে-'দেশপ্রেমিক জনগোষ্টি গড়ে তোলার প্রয়োজনে সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের তদারকি, পয্যবেক্ষন, প্রশিক্ষন একান্ত প্রয়োজন৷ এক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলের আদর্শিক দেশপ্রেমিক কর্মীবাহিনী সর্বাজ্ঞে দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে এগিয়ে আসা প্রয়োজন৷ সকল জাতীয় দিবস যথাযথা রীতিনীতি অনুসরন পুর্বক প্রতিপালনে দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক কর্মীরাই সমাজে, রাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারে৷
স্ব-স্ব ধর্ম, বর্ণ, জাতী, গোষ্টি ভেদে প্রত্যেকের একান্ত নিজস্ব কিছু বিশেষ বিশেষ স্মরণীয় দিবস রয়েছে৷ আমাদের প্রিয় ইসলাম ধর্মের আওতাভুক্ত মুসলিম জাতী যেমন কিছু নির্দিষ্ট দিবসে আনন্দ উল্লাস করি, আবার কিছু দিবস অত্যান্ত বেদনা বিধুরতায় বিশেষ ইবাদতের মাধ্যমে স্মরণ করি৷ তদ্রুপ অন্যান্ন ধর্মালম্বি জাতী, গোষ্টি, সম্প্রদায়ও তদ্রুপ আনন্দ, উল্লাস, বেদনার দিবস সমূহ তাঁদের মত করে পালন করে থাকে৷ উক্ত দিবস সমূহ যথারীতি নিয়ম পালন করে দীর্ঘ যুগ পালনের অভ্যেসগত কারনে একপ্রকার দিবসগুলী ধর্মের অংশে পরিণত হয়েছে৷ উল্লেখিত দিবসগুলী ইসলাম ধর্মালম্বি মুসলমান জাতীর ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, কৃষ্টির অন্তভুক্ত৷ সারা বিশ্বের মুসলিম সমাজে কতিপয় ব্যাতিক্রম ব্যাতিত প্রায় সমভাবেই উল্লেখিত দিবসগুলী যথাযথ ধর্মীয় ভাব গাম্ভিয্যে পালিত হয়৷
অন্যদিকে বিভিন্ন ধর্মের অভ্যন্তরে ভাষা, ভুখন্ড, অঞ্চল, জাতী, সম্প্রদায়, গোষ্টি'র আলাদা আলাদা অস্তিত্ব বিদ্যমান রেখে একটি রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটতে পারে৷ রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে বসবাসরতঃ জাতী-গোষ্টির উত্থান, পতন, গৌরব, বিপয্যয়, সুখ, দুঃখ্যানুভূতি প্রকাশের সুনির্দিষ্ট কিছু দিবস রয়েছে৷স্ব-স্ব জাতী, গোষ্টি, সম্প্রদায় উক্ত দিবসগুলী যথারীতি উক্ত দিবসের মর্মানুযায়ী যথাযোগ্য মায্যদা, ভাব গাম্ভিয্য বজায় রেখে পালন করে থাকে৷ উক্ত রীতিটি মানব সভ্যতা বিকাশের সাথে সম্পর্কিত এবং আবহমান কাল হতে বিশ্বের দেশে দেশে, জাতীতে জাতীতে পালিত হয়ে আসছে৷ দিবসগুলী স্ব-স্ব জাতী, গোষ্টি, সম্প্রদায়ের ইতিহাস, ঐতিহ্য, কৃষ্টির অংশ হয়ে ঐ জাতী'র পথ প্রদর্শকের ভুমিকা পালন করে৷
বাঙ্গালী জাতী হাজার বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, কৃষ্টিকে সমুন্নত রেখে আলাদা রাষ্ট্র "বাংলাদেশ" সৃষ্টির ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট সৃষ্টি হয়েছিল৷ভিন্ন জাতী গোষ্টির 'শাসন-শোষনের' বিরুদ্ধে বাঙ্গালী জাতী'র সুদীর্ঘ আন্দোলন, সংগ্রামের ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে কতিপয় দিবস জাতীয় জীবনে বিশেষভাবে স্মরণীয়, বরণীয় হয়ে আছে৷ উক্ত দিবসগুলী দেশের অভ্যন্তরে বসবাসরতঃ জাতী, গোষ্টি, সম্প্রদায়ের সুদীর্ঘকাল লালিত স্ব-স্ব সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ইতিহাস, ঐতিহ্যের সঙ্গে মিলেমিশে প্রত্যেক জাতী, গোষ্টির আনন্দ উল্লাস, বেদনা বিধুরতার অংশে রুপান্তরীত হয়েছে৷ দিবসগুলীর তাৎপয্য অনুযায়ী যথারীতি-যথাযোগ্য মায্যদা ও ভাবগাম্ভিয্য বজায় রেখে পালন রাষ্ট্র, সরকার ও জনগনের সম্মান, শ্রদ্ধা, ভক্তি সহকারে আবশ্যকীয় পালন প্রচলিত রীতি৷ বিশ্বময় প্রতিটি দেশের ক্ষেত্রেই বিষয়টি একইরুপে প্রযোজ্য ও প্রতিষ্ঠিত রীতিনীতি হিসেবে প্রতিপালিত হচ্ছে৷ উক্ত রীতি অবজ্ঞা, অবহেলা, অপমান, অপদস্ত, বিকৃত করা যে কোন দেশের প্রচলিত ফৌজদারী আইন ও বিধি মোতাবেক দন্ডনীয় এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত৷
রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে সংগঠন ও সংস্থা উল্লেখিত দিবসে সংগঠিত ঐতিহাসিক ঘটনার বিবরণ প্রজম্ম থেকে প্রজমান্তরে স্মরণ করিয়ে দেয়া একান্ত নৈতিক কর্তব্যহেতু জাতীয় পয্যায়ে আবশ্যকীয় পালনীয় রীতি গড়ে উঠে৷এইরুপে নিয়ন্তর পালনে তারতম্য ভেদে দিবসগুলীর অভ্যন্তরীন সংঘটিত ঘটনা প্রবাহের নির্যাস, তাৎপয্য, ঐতিহাসিক মুল্য অনুধাবনের ক্ষেত্রে প্রজম্মের মহাসুযোগ সৃষ্টি হয়৷ দেশ ও জাতীর এইরুপ ঐতিহাসিক নির্দিষ্ট দিনের তাৎপয্য অনুশীলনে প্রাপ্ত লব্দ জ্ঞান প্রজম্ম থেকে প্রজমান্তরে জাতীত্ববোধ, দেশাত্ববোধের চেতনায় নাগরীকদের বিকশীত করে গড়ে তোলে৷ দেশ ও জাতী গঠনে ক্ষেত্রে দেশপ্রেমের গুরুত্ব ব্যাখ্যার অপেক্ষা রাখে না৷
রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে বিদ্যমান প্রাতিষ্ঠানিক শক্তি সমূহ--রাজনৈতিক দল, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও বিভিন্ন শ্রেনী পেশার সংগঠন সমূহ দেশ ও জনগনের প্রতি তাঁদের নীতিগত দায়বদ্ধতা থেকে দিবসগুলী পালন করতে বাধ্য থাকে৷ এইরুপ প্রাতিষ্ঠানিক শক্তির অপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা দেশের অভ্যন্তরে বসবাসরতঃ নাগরীকদের দেশপ্রেমে উদ্ভোদ্ধ করার ক্ষেত্রে মূখ্য ভুমিকা পালন করে৷
ইহা একান্ত সত্য--যে কোন জাতীর উন্নয়ন, অগ্রগতি, শান্তি, শৃংখলা রক্ষার ক্ষেত্রে নাগরিকদের দেশপ্রেমের গুরুত্ব অপরিসীম, অনস্বিকায্য, আবশ্যিক৷ আর দেশ ও জাতীর ঐতিহাসিক দিবসের তাৎপয্য, শিক্ষা, অনুশশীলন নাগরিকদের স্নায়োবিক অনুভূতিতে দেশাত্ববোধ সৃষ্টি, জাগ্রত করা বা রাখার মোক্ষম হাতিয়ার৷ যে জাতী দেশপ্রেমে যতবেশী সমৃদ্ধ সেই জাতী ততবেশী দ্রুত উন্নতি, অগ্রগতি সাধনে সক্ষমতা অর্জন করে৷ একমাত্র স্বিকৃত উন্নত ও সমৃদ্ধ জাতী'ই বিশ্ব দরবারে সভ্য ও সম্মানীত জাতী হিসেবে বিবেচিত হতে পারে৷
অত্যান্ত দুঃখ্যজনক হলেও সত্য--"৭৫ পরতবর্তি প্রায় দুইদশক বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন সরকার সমূহ জাতীর শৌয্য, বিয্যের ধারক বাহক বিশেষ বিশেষ দিন ও প্রতিক সমূহ রক্ষনাবেক্ষনের প্রতি ইচ্ছাকৃতভাবে অথবা রাজনৈতিক আদর্শিক কারনে রাষ্ট্রীয় উদাসীনতা দেখিয়েছে৷ ফলে বাংলাদেশের জনগনের মধ্যে অধিকাংশের যথাযথ রীতিনীতি অনুসরন, তাৎপয্য অনুধাবন পুর্বক "জাতীয় দিবস" পালন ও "জাতীয় প্রতিক" সমূহ সংরক্ষনে আগ্রহে প্রচুর ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়৷
বর্তমানেও রাষ্ট্রের অভ্যন্তরের অনেকগুলী রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, সরকারী, বেসরকারী সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান--জাতীয় দিবস হয় পালন করা থেকে বিরতঃ থাকে, নয় তো বা দায়সারা ভাবে পালন করতে দেখা যায়৷ জাতীর সাগররসম রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গৌরব, পরিচিতি, অহংকার, শৌয্য বিয্যের প্রতিক--'জাতীয় পতাকা' সংরক্ষন, ব্যবহার, পরিমাপ ইত্যাদি ক্ষেত্রে বেশীরভাগ জনগোষ্টির রয়েছে অজ্ঞতা অনেক ক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃত অবহেলা৷ এহেন অবস্থা থেকে অতিসত্বর উত্তরণের প্রয়োজনে শুভবুদ্ধিসম্পন্ন বুদ্ধিজীবি, রাজনৈতিক শক্তি, সামাজিক শক্তি এগিয়ে আসা প্রয়োজন মনে করি৷ দেশপ্রেমের অভাবজনীত কারনে ইতিমধ্যে কয়েকটি প্রজম্মই বিপথে চলে গেছে--খোলা চোখে পরিলক্ষিত হচ্ছে৷ যথাযথ উদ্যোগের বিলম্বে গোটা জাতী অতলতলে তলিয়ে গেলে আশ্চায্য হওয়ার কিছুই থাকবে না৷
আগামী ১৫ই আগষ্ট জাতী'র জনক বঙ্গবন্ধু' 'শেখ মজিবুর রহমানে'র ৪৩ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে যথাযথ ভাবগাম্ভিয্যে জাতীয় শোক দিবস পালন করবে জাতী৷ একই সঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং তাঁর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি'র বিদ্যমান রাজনৈতিক দল সমুহ, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, বিভিন্ন শ্রেনী পেশার সংগঠন সমুহ শোক দিবস পালনের কর্মসুচি ঘোষনা করেছে। বিগত কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ সরকার দিবসটি যথাযথ ভাবগাম্ভিয্যে পালনের উদ্দেশ্যে সরকারীভাবে "জাতীয় শোক দিবস ঘোষনা" করেন৷ দিনটিকে সরকারী ছুটির দিন ঘোষনা করে জাতীয় পয্যায় পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করে সুনির্দিষ্ট কতিপয় নীতিমালা প্রনয়ন করে ৷অন্যসব জাতীয় দিবসের ন্যায় জাতীয় শোক দিবসকে সামনে রেখে সরকার যথাযথ ভাবে পালনের নিমিত্তে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ সরকারী বেসরকারী, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান সমূহে উক্ত নীতিমালা কঠোরভাবে প্রতিপালনের নির্দেশনা জারি করে৷
দু:খ্যজনক হলেও সত্য--সরকারের উক্তরুপ নির্দেশনা বা সিদ্ধান্ত অন্যসব জাতীয় দিবসে'র ন্যায় প্রতিবছরই উপেক্ষিত থেকে যায়৷ যথাযথভাবে জাতীয় দিবস পালনের ক্ষেত্রে সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও সরকারী উদ্যোগে আন্তরিকতার যথেষ্ট অভাব পরিলক্ষিত হতে দেখা যায়৷ এমনিতে জাতীয় দিবস পালনে দীর্ঘ যুগের অনভ্যস্ততা জাতিকে অনাগ্রহী করে তুলেছে৷ অন্যদিকে আগ্রহী করে গড়ে তোলার আবশ্যকীয় শক্তি-- "দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারী সংস্থা, রাজনৈতিক দলের কর্মীবাহিনীর সমাজে বিচরনের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা অনেকক্ষেত্রে শুন্যতা জাতীয় দিবস পালনের ক্ষেত্রকে প্রতিনিয়ত সংকুচিত করে চলেছে৷ এই অবস্থা চলতে থাকলে দেশপ্রেমহীন প্রজম্ম জাতীকে অন্ধকারে টেনে নিতে সময়ক্ষেপনের প্রয়োজন হবেনা
এমতঃবস্থায় দেশ ও জাতীর বৃহত্তর স্বার্থে-'দেশপ্রেমিক জনগোষ্টি গড়ে তোলার প্রয়োজনে সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের তদারকি, পয্যবেক্ষন, প্রশিক্ষন একান্ত প্রয়োজন৷ এক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলের আদর্শিক দেশপ্রেমিক কর্মীবাহিনী সর্বাজ্ঞে দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে এগিয়ে আসা প্রয়োজন৷ সকল জাতীয় দিবস যথাযথা রীতিনীতি অনুসরন পুর্বক প্রতিপালনে দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক কর্মীরাই সমাজে, রাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারে৷
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন