ঢাকা ৮ নং সংসদীয় আসনে "ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটে"র মনোনয়ন আমার দুইযুগের অভিজ্ঞতা।
(রুহুল আমিন মজুমদার)

    গত মে/চলতি জুন মাসে একটানা বেশ কিছুদিন পারিবারিক কাজে রাজধানী ঢাকায় অবস্থান করেছিলাম। ফেনী জেলার প্রত্যন্ত গ্রামের অধিবাসি হিসেবে ঢাকা সফর আমার জন্য অত্যান্ত আনন্দদায়ক বটে। নানাহ কারনে এবারের ঢাকা সফর জীবন সায়হ্নের দিনগুলী আমার বাকী জীবনের পথচলায় স্মরণীয় হয়ে থাকবে। গ্রামের খোলামেলা পরিবেশ ছেড়ে দীর্ঘদিন পর ঢাকায় অবস্থানের কারনে হোক বা অতীতের বনাঢ্য রাজনীতির উৎসুক মনের ক্ষুদা নিবারনহেতু হোক রাজনীতির খবর নিতেই ব্যাস্ত ছিলাম বেশী। কেন জানিনা-- বর্তমান রাজনীতির হালচালের চেয়ে, এলাকার বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গের খবরাখবর সংগ্রহে আগ্রহী ছিলাম খুব বেশী। বিশেষ করে ঢাকা কেন্দ্রিক এলাকার প্রতাপশালী, প্রভাবশালী নেতাদের মধ্যে কেন্দ্রে বর্তমান সময়ে কার কি অবস্থান জানার আগ্রহ অনেকদিন থেকেই ছিল। সময় এবং সুযোগের অভাবে ঢাকায় তেমন যাওয়া হয়না, খবরাখবর সঠিকভাবে নেয়াও হয়ে উঠেনা। এমনিতেই আমার আগে থেকে বড় নেতাদের ধারেপাশে ঘুরাঘুরি করার অভ্যেস তেমন ছিল না। এখন তো রাজনীতিতে তেমন আর নেই--যাবই বা কেন?

      এবার ঢাকায় গিয়ে অফুরন্ত অলস সময়ের  অধিকাংশ সময় বলা যায় রাজনীতির খবরাখবর সংগ্রহে ব্যাপৃত ছিলাম। আমার খবর সংগ্রহের মূল উৎস ছিল মূলত: পূর্বের অসংখ্য ব্যাক্তিগত, দলীয় বন্ধুবান্ধব।আগেই বলেছি সঙ্গত কারনে জানার বেশী আগ্রহ ছিল এলাকার বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গদের মধ্যে কে কোথায় আওয়ামীলীগের মনোনয়ন চাইতে পারেন বা পেতে পারেন। অনেকের মধ্যে একটি নাম প্রায় সকলের মূখে মূখে শুনা গেছে--তিনি আমার পাশের উপজেলা পরশুরামের বাসিন্দা জনাব "ইসমাইল  চৌধুরী (সম্রাট)"।

        তিনি ঢাকা ৮ আসন থেকে মনোনয়ন চাইতে পারেন এবং পেতেও পারেন এমন একটি আলোচনা ঢাকার বাতাসে ঘুরছে। তিনি আমার পাশের এলাকার এবং এলাকার রাজনীতিতে তাঁর অসামান্য অবদান প্রতিনিয়ত অবলোকন করা সত্বেও,ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে হোক বা অন্য যেকোন কারনেই হোক--মহান রাজনৈতিক এই ব্যাক্তির সান্নিধ্য পাওয়া  থেকে আমি বঞ্চিতই ছিলাম। বলা যায় মহৎ, দানবীর, মুজিবাদর্শের লড়াকু সৈনিকের সাথে আমার তেমন  পরিচিতি বা সখ্যতা কখনও গড়ে উঠেনি। তবুও মুজিবাদর্শের একজন নগন্য কর্মী হিসেবে দুর থেকে তাঁর রাজনৈতিক কর্মতৎপরতার প্রতি বরাবরই ছিল অফুরন্ত শ্রদ্ধা এবং তাঁর প্রতি মনের গহীনে পোষন করে এসেছি এবং করি নিয়ন্তর গভীর মমত্ববোধ।

       বন্ধুদের নিকট ভালবাসার মানুষটির মনোনয়ন পাওয়ার নিশ্চয়তা পেয়ে নির্বাচন সংক্রান্ত আরও আনুষাঙ্গিক খবরা খবর নেয়ার আগ্রহের গভীরতা, আকাংক্ষা আমার মনের অজান্তেই বেড়ে যায়। এবার বিভিন্ন সূত্র থেকে ভোটে জেতার নানাহ উপাদান সম্পর্কীত বিষয়ে খোঁজখবর নিতে গিয়ে যা শুনেছি, বুঝেছি, উপলব্ধিতে এসেছে--বলতে গেলে, এতে গর্বে, অহংকারে বুক ভরে উঠেছে।

          আমি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে যতটুকু বুঝেছি,উপলব্দি করতে পেরেছি, এতটুকুতে সংক্ষেপে শুধু এইটুকুই বলতে পারি--"তিনি যদিও কোন মুসলিম রাজ্যের "মুকুট পরিহীত সম্রাট''  নন তবে ঢাকা সহ সারা দেশের যুব সমাজের মনের "মূকূটহীন সম্রাট" হিসেবে কর্মগুনে স্থায়ী আসন করে নিতে পেরেছেন। একান্ত গুনধর, দানশীল,গরীব দু:খ্যি মানুষের আপনজন, শিক্ষানুরাগী,কর্মীপ্রেমী, জননন্দিত, জনহিতৈষী, মহৎ গুনের অধিকারী এই প্রতিবেশী উপজেলার অধিবাসি মুজিবসেনার মনোনয়ন প্রাপ্তির সম্ভাবনা ফেনীবাসিকে পূলকিত, আনন্দিত, গর্বিত করে তুলেছে। তাঁর মনোনয়ন সম্পর্কীত বিষয়ে  আমার নীজের দেখা, জানা, দুর থেকে উপলব্ধির কিঞ্চিত সঞ্চিত জ্ঞানের ভান্ডার থেকে দুটি লাইন প্রিয় দেশবাসি,অসংখ্য,অগনীত মুজিব প্রেমিক ভাইবোনের উদ্দেশ্যে লেখার আগ্রহ  কোনমতেই সংবরন করতে পারিনি।
 
     জনাব   "ইসমাইল  চৌধুরী (সম্রাট)" কর্মীবান্ধব, আদর্শিক নেতার এই আকালে সংগ্রাম, সাধনা, অধ্যবাসায়, ত্যাগ, তিতিক্ষার, দান-দক্ষিনা, ধৈয্য, সহনশীলতা, সহমর্মিতা, আদর্শের প্রতি একাগ্রতা, কর্মী লালন, জনতোষনের এক উজ্জ্বল জ্যোতিস্কের দৃষ্টান্ত। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা মহানগর দক্ষিন যুবলীগের দীর্ঘদিন নেতৃত্বে থেকে দায়িত্ব পালন করলেও সমগ্র ঢাকা সহ আসপাশে রয়েছে তাঁর অসংখ্য ভক্ত, অনুরাগী, অনুসারী, শুভাকাংক্ষী, শুভানূধ্যায়ী, সহযোদ্ধা সর্বোপুরী হার না মানা মুজিবাদর্শে উজ্জিবীত ছাত্রজনতার বিশাল  কর্মীবাহিনী।

        ৮০ দশকে সেনা শাষক 'মেজর  জিয়াউর রহমান' বন্দুকের নলের মূখে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে ''রাজনীতিবীদদের রাজনীতি" কঠিন করে দেয়ার ঘোষনা দেন। তাঁর ঘোষনানুযায়ী দুষ্ট চক্রের "কূটচাল প্রকল্পে"র অংশ হিসেবে যুবসমাজকেও ধ্বংসের অভিনব কৌশল আবিস্কার করেন। তিনি অত্যান্ত সচেতন ভাবে যুবশক্তিকে জনরোষের তোপে ঠেলে দেয়ার উদ্দেশ্যে তাঁদেরকে অধ:পতনের দিকে নেয়ার উদ্দেশ্যে গড়ে তোলেন বহুল কথিত  "যুব কমপ্লেক্স''।

   "যুব কমপ্লেক্সের" মাধ্যমে  তিনি প্রথমেই  দেশ ও সমাজের অনিয়ম, অনাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদি, আন্দোলন সংগ্রামের চালিকাশক্তি, মুক্তিযুদ্ধের অহংকার ছাত্র// যুব সমাজের চারিত্রিক পদস্থলন ঘটানোর পদক্ষেপ গ্রহন করেন। এদেশের বহু আন্দোলন সংগ্রামের চালিকাশক্তি ছাত্র যুবসমাজকে আন্দোলন বিমূখ, চারিত্রিক পদস্থলন ঘটিয়ে তাঁর অবৈধ দখলকৃত ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করার চক্রান্তে লিপ্ত হয়ে সর্বতোভাবে সফলকাম হন।

     ছাত্র/যুবসমাজের বেকারত্বের সুযোগ কাজে লাগিয়ে স্বল্প সময়ে তাঁদের বরাবরে  বাসস্ট্যান্ড, সরকারী পূকুর, খাল-বিল, দীঘি ইত্যাদি অর্থহীন বরাদ্ধের মাধ্যমে শূন্য হাতে অঢেল টাকা আসার পথ উম্মুক্ত করে দেন। পরবর্তীতে  তাঁদেরকে তাঁর হীন স্বার্থ্য চরিতার্থে   দখলবাজ, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদকাসক্তে রুপান্তরের  সুযোগও অবাধ করে দেন। বেকারত্বের অভিশাপে জর্জরীত  কৌমলমতি ছাত্র/যুবসমাজকে লোভ লালসার টোপ দিয়ে "যুব কমপ্লেক্সের ব্যানারে" তিনি তাঁদেরকে সূচুতূরভাবে কেন্দ্র দখল, ভোট ডাকাতি,  চাঁদাবাজী, সরকারি খাস জমি দখল, মাছমহাল, বালুমহাল দখলবাজের নিগড়ে আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে পেলেন।তিনি তাঁর অবৈধ রাজত্ব কায়েমের লক্ষে রাষ্ট্রীয় আনুকুল্যে যুবশক্তিকে অপ-ব্যাবহারের ধারা শুভ  সূচনা   করেন। সেই ধারা থেকে আজও বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনার ছাত্র /যুবশক্তিকে বের করে আনা সম্ভব হয়নি।

       জিয়া তাঁর অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষে বঙ্গবন্ধু সরকারের সামাজিক, ধর্মীয় নৈতিকতা বর্হিভূত কর্মকান্ড যেমন:- মদ, জুয়া, পতিতাবৃত্তি, অপসংস্কৃতি রোধে প্রনীত আইন সমূহ বাতিল করে রাষ্ট্রীয় অনুমতিতে ও আনুকুল্যে দেশব্যাপি উল্লেখিত অনৈতিক, অসামাজিক, অপসংস্কৃতির ধারা চালু করেন। মদ জুয়া, পতিতাবৃত্তি, যাত্রার নামে উলঙ্গ নৃত্যে অচিরেই দেশ সয়লাব হয়ে যায় । সচুতুর জিয়া একদিকে তাঁর দেয়া সুযোগ কাজে লাগিয়ে লুটপাটের মাধ্যমে অর্থ সংগৃহ করার অবাধ সুযোগ প্রদান করেন অন্যদিকে সেই অবৈধ  অর্থ অনৈতিক পথে কেড়ে নেয়ার ব্যাবস্থা ও পাকাপোক্ত করে রাখেন।

          এমত:বস্থায় দেশের ছাত্র-যুবশক্তি স্বল্প সময়ে মাদকাসক্ত, নীতি-নৈতিকতাহীন অপকর্ম, দেশব্যাপি চলমান প্রিন্সেস মার্কা অপসংস্কৃতির বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে  রাজনীতি, আন্দোলন-সংগ্রাম, সামাজিক সৃজনশীলতা বিমূখ হতে থাকে।  দেশ ও জনগনের একমাত্র ভরসা, নীতি আদর্শের প্রতিক, মুক্তিযুদ্ধের অহংকার ছাত্র/যুবসমাজ সর্বত্র চুরি, ডাকাতি, রাহাজানিতে লিপ্ত হয়ে অচিরেই সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টির বাহনে রুপান্তরিত হতে থাকে। জিয়ার কূটকৌশলে ছাত্র/যুব সমাজের বৃহৎ একটি অংশ স্বল্প সময়ে রাষ্ট্র, জনগনের বদশক্তিতে রুপান্তরীত হয়ে এবং  বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকান্ডের জড়িয়ে মামলা মোকদ্দমার বেড়াজালে আটকে--"সমাজ, পরিবার ও রাষ্ট্রের বোঝায় পরিণত হতে থাকে।

    দেশ ও জনগনের এমন এক কঠিন সময়ে ধীরে ধীরে আর্বিভূত হতে থাকে ঢাকা সরকারি তিতুমির কলেজ কেন্দ্রিক অদম্য সাহষী এক তূখোড় ছাত্রনেতার--তিনি আর কেউ নন ফেনী জেলার গর্ব, যুবসমাজের আইকন, ঢাকা দক্ষিন আওয়ামী যুবলীগের বর্তমান সভাপতি জনাব ইসমাইল চৌধুরী (সম্রাট)। সরকারি তিতুমির কলেজের ছাত্র, শিক্ষকের মধ্যমণি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী (সম্রাট) তাঁর রাজনৈতিক বিচক্ষনতা, অনন্য মেধা, অসীম সাহষ, অদম্য কর্মস্পৃহা, অফুরন্ত সাংগঠনিক ক্ষমতা নিয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে উদীয়মান তরুন নেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।

    জনাব 'ইসমাইল চৌধুরী (সম্রাট)' ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলাধীন ১নং মির্জানগর ইউনিয়নের পূর্ব সাহেব নগর গ্রামের সম্ভ্রান্ত  মুসলিম পরিবারে জম্ম গ্রহন করেন। সবচেয়ে বড় ব্যাপারটি হচ্ছে--"তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং কি আবহমানকাল থেকে তাঁর পরিবার এলাকায় খাঁটি আওয়ামী পরিবার হিসেবে চিহ্নিত ও পরিচিত"।  তিনি স্বল্পকথক, সর্বতো সদালাপি, বন্ধুবৎসল, কর্মীবান্ধব,  সজ্জন , জননন্দিত সর্বতো বিশাল হৃদয়ের অধিকারি মহান নেতা হিসেবে ঢাকা সহ ফেনীর সর্বত্র পরিচিত।

        রাজনীতিতে ঢাকা কেন্দ্রিক তাঁর উত্থান ঘটেছে ঠিকই কিন্তু নীজ জম্ম স্থান ফেনী জেলাকে তিনি কখনই ভূলে যাননি। ফেনী জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিটি ইউনিয়ন, প্রতিটি গ্রামে রয়েছে তাঁর রাজনীতি ও সমাজসেবার অনবদ্য ছোঁয়া। ফেনীর জেলার এমন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, সেবামূলক প্রতিষ্ঠান, সামাজিক প্রতিষ্ঠান, ক্লাব, সমিতি বাকী নেই--''যেখানে তাঁর আর্থিক অনুদানে নির্মিত কোন না কোন  স্থাপনা দেদিপ্যমান নেই"। ফেনী জেলার আওয়ামী রাজনীতি সুসংগঠিত, সদা তৎপর, বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে কায্যকর ভূমিকা রাখার ক্ষেত্রে রয়েছে তাঁর নিয়ন্তর অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক সাহায্য সহযোগীতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

    স্বৈরাচার বিরুধী আন্দোলন, ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের লড়াই, তত্ববধায়ক সরকারের দাবী প্রতিষ্ঠার আন্দোলন সহ জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন সমূহে রয়েছে তাঁর বহুমূখী সাহায্য সহযোগীতার অবিস্মরণীয় অবদান। বিশেষ করে ২০০৬ ইং সালের খালেদা সরকারের ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার দুরভিসন্ধির বিরুদ্ধে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গড়ে উঠা গনআন্দোলন এবং খালেদা জিয়ার সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করার ক্ষেত্রে তাঁর রয়েছে অসামান্য অবদান।

     সেনা সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকারের ক্ষমতা দীর্ঘায়ীত করার চক্রান্তের বিরুদ্ধে দেশব্যাপি মাঠপয্যায়ে ক্ষোভের বহ্নিশিখা প্রজ্জলনের ক্ষেত্রে যে কয়জন নেতার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে নি:সন্দেহে বলতে পারি--'' তাঁদের সকলের মধ্যে অন্যতম দিকপাল জনাব 'ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট''। সেনা সমর্থিত ফখরুল, মঈনের তত্বাবধায়কের ক্ষমতা গ্রহন, বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনাকে জেলে প্রেরন,  জেলমূক্তি এবং ২০০৮ইং সালের ঘোষিত সাধারন নির্বাচন পয্যন্ত দেশব্যাপি স্বাসরুদ্ধকর রাজনৈতিক ঘোলাটে পরিস্থীতিতে সত্যিকার অর্থে তিনি ছিলেন অত্র ফেনী জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মুজিবাদর্শের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের  ভ্যানগার্ড। এক অর্থে ফেনী জেলার  সমস্ত সফল আন্দোলন--সংগ্রামের নেপৈথ্য কারিগরের নাম বলতে গেলে---প্রথমেই যার নামটি ঘুরেফিরে, অবচেতন মনে, অনায়াসে মূখে এসে যায় তিনি আর কেহ নন--জনাব "ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট।" আওয়ামীলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিগত দিনে আনীত স্বৈরাচার সরকার সমূহের নিবর্তনমূলক হাজার হাজার  মামলা, হামলা, হয়রানীর বিরুদ্ধে যে কয়জন দানবীর,রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব সহযোগীতার দরজা কখনই বন্ধ করেননি তাঁদের মধ্যেও অন্যতম  "ইসমাইল চৌধুরী (সম্রাট)"।

           আমি জানিনা তিনি নির্বাচনে অংশ গ্রহন করার ইচ্ছা পোষন করেছেন কিনা। তিনি যদি নির্বাচন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মনোনয়ন দেন--"আমার বিশ্বাস সর্ব সাধারনের আলোচনা অনুযায়ী, ঢাকার যে কোন আসন থেকে তিনি অবশ্যই নির্বাচিত হবেন। এবং কি তাঁর নীজ জেলা ফেনীর তিন আসনের মধ্যে  যে কোন আসন থেকেই তিনি নির্বাচিত হবেন, এই আমার দৃড বিশ্বাস"।

        জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম "শেখ হাসিনার" ইচ্ছা সর্বত্র তারুন্যদিপ্ত নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করার। তাঁর সেই ইচ্ছা ও আকাংক্ষা অনেকাংশে পূর্ণতা পেতে পারে--যদি তিনি দৃডতার সহিত "ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটে"র ন্যায় কর্মীবান্ধব, জননন্দিত, লোভ লালসাহীন, অধিকতর তরুন আদর্শিক ছাত্র//যুব নেতাদের আগামী সংদদ নির্বাচনে অংশ গ্রহনের জন্য মনোনয়নের ক্ষেত্রে প্রাধান্য দিতে পারেন। আমি দৃডতার সঙ্গে বিশ্বাস করি প্রিয় দল--'সেই দিকেই মনযোগী হবে।'

         " জয়বাংলা        জয়বঙ্গবন্ধু"
      ruhulaminmujumder27@gmail.com

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা