ঢাকা ৮ নং সংসদীয় আসনে "ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটে"র মনোনয়ন আমার দুইযুগের অভিজ্ঞতা।
(রুহুল আমিন মজুমদার)

    গত মে/চলতি জুন মাসে একটানা বেশ কিছুদিন পারিবারিক কাজে রাজধানী ঢাকায় অবস্থান করেছিলাম। ফেনী জেলার প্রত্যন্ত গ্রামের অধিবাসি হিসেবে ঢাকা সফর আমার জন্য অত্যান্ত আনন্দদায়ক বটে। নানাহ কারনে এবারের ঢাকা সফর জীবন সায়হ্নের দিনগুলী আমার বাকী জীবনের পথচলায় স্মরণীয় হয়ে থাকবে। গ্রামের খোলামেলা পরিবেশ ছেড়ে দীর্ঘদিন পর ঢাকায় অবস্থানের কারনে হোক বা অতীতের বনাঢ্য রাজনীতির উৎসুক মনের ক্ষুদা নিবারনহেতু হোক রাজনীতির খবর নিতেই ব্যাস্ত ছিলাম বেশী। কেন জানিনা-- বর্তমান রাজনীতির হালচালের চেয়ে, এলাকার বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গের খবরাখবর সংগ্রহে আগ্রহী ছিলাম খুব বেশী। বিশেষ করে ঢাকা কেন্দ্রিক এলাকার প্রতাপশালী, প্রভাবশালী নেতাদের মধ্যে কেন্দ্রে বর্তমান সময়ে কার কি অবস্থান জানার আগ্রহ অনেকদিন থেকেই ছিল। সময় এবং সুযোগের অভাবে ঢাকায় তেমন যাওয়া হয়না, খবরাখবর সঠিকভাবে নেয়াও হয়ে উঠেনা। এমনিতেই আমার আগে থেকে বড় নেতাদের ধারেপাশে ঘুরাঘুরি করার অভ্যেস তেমন ছিল না। এখন তো রাজনীতিতে তেমন আর নেই--যাবই বা কেন?

      এবার ঢাকায় গিয়ে অফুরন্ত অলস সময়ের  অধিকাংশ সময় বলা যায় রাজনীতির খবরাখবর সংগ্রহে ব্যাপৃত ছিলাম। আমার খবর সংগ্রহের মূল উৎস ছিল মূলত: পূর্বের অসংখ্য ব্যাক্তিগত, দলীয় বন্ধুবান্ধব।আগেই বলেছি সঙ্গত কারনে জানার বেশী আগ্রহ ছিল এলাকার বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গদের মধ্যে কে কোথায় আওয়ামীলীগের মনোনয়ন চাইতে পারেন বা পেতে পারেন। অনেকের মধ্যে একটি নাম প্রায় সকলের মূখে মূখে শুনা গেছে--তিনি আমার পাশের উপজেলা পরশুরামের বাসিন্দা জনাব "ইসমাইল  চৌধুরী (সম্রাট)"।

        তিনি ঢাকা ৮ আসন থেকে মনোনয়ন চাইতে পারেন এবং পেতেও পারেন এমন একটি আলোচনা ঢাকার বাতাসে ঘুরছে। তিনি আমার পাশের এলাকার এবং এলাকার রাজনীতিতে তাঁর অসামান্য অবদান প্রতিনিয়ত অবলোকন করা সত্বেও,ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে হোক বা অন্য যেকোন কারনেই হোক--মহান রাজনৈতিক এই ব্যাক্তির সান্নিধ্য পাওয়া  থেকে আমি বঞ্চিতই ছিলাম। বলা যায় মহৎ, দানবীর, মুজিবাদর্শের লড়াকু সৈনিকের সাথে আমার তেমন  পরিচিতি বা সখ্যতা কখনও গড়ে উঠেনি। তবুও মুজিবাদর্শের একজন নগন্য কর্মী হিসেবে দুর থেকে তাঁর রাজনৈতিক কর্মতৎপরতার প্রতি বরাবরই ছিল অফুরন্ত শ্রদ্ধা এবং তাঁর প্রতি মনের গহীনে পোষন করে এসেছি এবং করি নিয়ন্তর গভীর মমত্ববোধ।

       বন্ধুদের নিকট ভালবাসার মানুষটির মনোনয়ন পাওয়ার নিশ্চয়তা পেয়ে নির্বাচন সংক্রান্ত আরও আনুষাঙ্গিক খবরা খবর নেয়ার আগ্রহের গভীরতা, আকাংক্ষা আমার মনের অজান্তেই বেড়ে যায়। এবার বিভিন্ন সূত্র থেকে ভোটে জেতার নানাহ উপাদান সম্পর্কীত বিষয়ে খোঁজখবর নিতে গিয়ে যা শুনেছি, বুঝেছি, উপলব্ধিতে এসেছে--বলতে গেলে, এতে গর্বে, অহংকারে বুক ভরে উঠেছে।

          আমি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে যতটুকু বুঝেছি,উপলব্দি করতে পেরেছি, এতটুকুতে সংক্ষেপে শুধু এইটুকুই বলতে পারি--"তিনি যদিও কোন মুসলিম রাজ্যের "মুকুট পরিহীত সম্রাট''  নন তবে ঢাকা সহ সারা দেশের যুব সমাজের মনের "মূকূটহীন সম্রাট" হিসেবে কর্মগুনে স্থায়ী আসন করে নিতে পেরেছেন। একান্ত গুনধর, দানশীল,গরীব দু:খ্যি মানুষের আপনজন, শিক্ষানুরাগী,কর্মীপ্রেমী, জননন্দিত, জনহিতৈষী, মহৎ গুনের অধিকারী এই প্রতিবেশী উপজেলার অধিবাসি মুজিবসেনার মনোনয়ন প্রাপ্তির সম্ভাবনা ফেনীবাসিকে পূলকিত, আনন্দিত, গর্বিত করে তুলেছে। তাঁর মনোনয়ন সম্পর্কীত বিষয়ে  আমার নীজের দেখা, জানা, দুর থেকে উপলব্ধির কিঞ্চিত সঞ্চিত জ্ঞানের ভান্ডার থেকে দুটি লাইন প্রিয় দেশবাসি,অসংখ্য,অগনীত মুজিব প্রেমিক ভাইবোনের উদ্দেশ্যে লেখার আগ্রহ  কোনমতেই সংবরন করতে পারিনি।
 
     জনাব   "ইসমাইল  চৌধুরী (সম্রাট)" কর্মীবান্ধব, আদর্শিক নেতার এই আকালে সংগ্রাম, সাধনা, অধ্যবাসায়, ত্যাগ, তিতিক্ষার, দান-দক্ষিনা, ধৈয্য, সহনশীলতা, সহমর্মিতা, আদর্শের প্রতি একাগ্রতা, কর্মী লালন, জনতোষনের এক উজ্জ্বল জ্যোতিস্কের দৃষ্টান্ত। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা মহানগর দক্ষিন যুবলীগের দীর্ঘদিন নেতৃত্বে থেকে দায়িত্ব পালন করলেও সমগ্র ঢাকা সহ আসপাশে রয়েছে তাঁর অসংখ্য ভক্ত, অনুরাগী, অনুসারী, শুভাকাংক্ষী, শুভানূধ্যায়ী, সহযোদ্ধা সর্বোপুরী হার না মানা মুজিবাদর্শে উজ্জিবীত ছাত্রজনতার বিশাল  কর্মীবাহিনী।

        ৮০ দশকে সেনা শাষক 'মেজর  জিয়াউর রহমান' বন্দুকের নলের মূখে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে ''রাজনীতিবীদদের রাজনীতি" কঠিন করে দেয়ার ঘোষনা দেন। তাঁর ঘোষনানুযায়ী দুষ্ট চক্রের "কূটচাল প্রকল্পে"র অংশ হিসেবে যুবসমাজকেও ধ্বংসের অভিনব কৌশল আবিস্কার করেন। তিনি অত্যান্ত সচেতন ভাবে যুবশক্তিকে জনরোষের তোপে ঠেলে দেয়ার উদ্দেশ্যে তাঁদেরকে অধ:পতনের দিকে নেয়ার উদ্দেশ্যে গড়ে তোলেন বহুল কথিত  "যুব কমপ্লেক্স''।

   "যুব কমপ্লেক্সের" মাধ্যমে  তিনি প্রথমেই  দেশ ও সমাজের অনিয়ম, অনাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদি, আন্দোলন সংগ্রামের চালিকাশক্তি, মুক্তিযুদ্ধের অহংকার ছাত্র// যুব সমাজের চারিত্রিক পদস্থলন ঘটানোর পদক্ষেপ গ্রহন করেন। এদেশের বহু আন্দোলন সংগ্রামের চালিকাশক্তি ছাত্র যুবসমাজকে আন্দোলন বিমূখ, চারিত্রিক পদস্থলন ঘটিয়ে তাঁর অবৈধ দখলকৃত ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করার চক্রান্তে লিপ্ত হয়ে সর্বতোভাবে সফলকাম হন।

     ছাত্র/যুবসমাজের বেকারত্বের সুযোগ কাজে লাগিয়ে স্বল্প সময়ে তাঁদের বরাবরে  বাসস্ট্যান্ড, সরকারী পূকুর, খাল-বিল, দীঘি ইত্যাদি অর্থহীন বরাদ্ধের মাধ্যমে শূন্য হাতে অঢেল টাকা আসার পথ উম্মুক্ত করে দেন। পরবর্তীতে  তাঁদেরকে তাঁর হীন স্বার্থ্য চরিতার্থে   দখলবাজ, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদকাসক্তে রুপান্তরের  সুযোগও অবাধ করে দেন। বেকারত্বের অভিশাপে জর্জরীত  কৌমলমতি ছাত্র/যুবসমাজকে লোভ লালসার টোপ দিয়ে "যুব কমপ্লেক্সের ব্যানারে" তিনি তাঁদেরকে সূচুতূরভাবে কেন্দ্র দখল, ভোট ডাকাতি,  চাঁদাবাজী, সরকারি খাস জমি দখল, মাছমহাল, বালুমহাল দখলবাজের নিগড়ে আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে পেলেন।তিনি তাঁর অবৈধ রাজত্ব কায়েমের লক্ষে রাষ্ট্রীয় আনুকুল্যে যুবশক্তিকে অপ-ব্যাবহারের ধারা শুভ  সূচনা   করেন। সেই ধারা থেকে আজও বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনার ছাত্র /যুবশক্তিকে বের করে আনা সম্ভব হয়নি।

       জিয়া তাঁর অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষে বঙ্গবন্ধু সরকারের সামাজিক, ধর্মীয় নৈতিকতা বর্হিভূত কর্মকান্ড যেমন:- মদ, জুয়া, পতিতাবৃত্তি, অপসংস্কৃতি রোধে প্রনীত আইন সমূহ বাতিল করে রাষ্ট্রীয় অনুমতিতে ও আনুকুল্যে দেশব্যাপি উল্লেখিত অনৈতিক, অসামাজিক, অপসংস্কৃতির ধারা চালু করেন। মদ জুয়া, পতিতাবৃত্তি, যাত্রার নামে উলঙ্গ নৃত্যে অচিরেই দেশ সয়লাব হয়ে যায় । সচুতুর জিয়া একদিকে তাঁর দেয়া সুযোগ কাজে লাগিয়ে লুটপাটের মাধ্যমে অর্থ সংগৃহ করার অবাধ সুযোগ প্রদান করেন অন্যদিকে সেই অবৈধ  অর্থ অনৈতিক পথে কেড়ে নেয়ার ব্যাবস্থা ও পাকাপোক্ত করে রাখেন।

          এমত:বস্থায় দেশের ছাত্র-যুবশক্তি স্বল্প সময়ে মাদকাসক্ত, নীতি-নৈতিকতাহীন অপকর্ম, দেশব্যাপি চলমান প্রিন্সেস মার্কা অপসংস্কৃতির বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে  রাজনীতি, আন্দোলন-সংগ্রাম, সামাজিক সৃজনশীলতা বিমূখ হতে থাকে।  দেশ ও জনগনের একমাত্র ভরসা, নীতি আদর্শের প্রতিক, মুক্তিযুদ্ধের অহংকার ছাত্র/যুবসমাজ সর্বত্র চুরি, ডাকাতি, রাহাজানিতে লিপ্ত হয়ে অচিরেই সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টির বাহনে রুপান্তরিত হতে থাকে। জিয়ার কূটকৌশলে ছাত্র/যুব সমাজের বৃহৎ একটি অংশ স্বল্প সময়ে রাষ্ট্র, জনগনের বদশক্তিতে রুপান্তরীত হয়ে এবং  বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকান্ডের জড়িয়ে মামলা মোকদ্দমার বেড়াজালে আটকে--"সমাজ, পরিবার ও রাষ্ট্রের বোঝায় পরিণত হতে থাকে।

    দেশ ও জনগনের এমন এক কঠিন সময়ে ধীরে ধীরে আর্বিভূত হতে থাকে ঢাকা সরকারি তিতুমির কলেজ কেন্দ্রিক অদম্য সাহষী এক তূখোড় ছাত্রনেতার--তিনি আর কেউ নন ফেনী জেলার গর্ব, যুবসমাজের আইকন, ঢাকা দক্ষিন আওয়ামী যুবলীগের বর্তমান সভাপতি জনাব ইসমাইল চৌধুরী (সম্রাট)। সরকারি তিতুমির কলেজের ছাত্র, শিক্ষকের মধ্যমণি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী (সম্রাট) তাঁর রাজনৈতিক বিচক্ষনতা, অনন্য মেধা, অসীম সাহষ, অদম্য কর্মস্পৃহা, অফুরন্ত সাংগঠনিক ক্ষমতা নিয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে উদীয়মান তরুন নেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।

    জনাব 'ইসমাইল চৌধুরী (সম্রাট)' ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলাধীন ১নং মির্জানগর ইউনিয়নের পূর্ব সাহেব নগর গ্রামের সম্ভ্রান্ত  মুসলিম পরিবারে জম্ম গ্রহন করেন। সবচেয়ে বড় ব্যাপারটি হচ্ছে--"তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং কি আবহমানকাল থেকে তাঁর পরিবার এলাকায় খাঁটি আওয়ামী পরিবার হিসেবে চিহ্নিত ও পরিচিত"।  তিনি স্বল্পকথক, সর্বতো সদালাপি, বন্ধুবৎসল, কর্মীবান্ধব,  সজ্জন , জননন্দিত সর্বতো বিশাল হৃদয়ের অধিকারি মহান নেতা হিসেবে ঢাকা সহ ফেনীর সর্বত্র পরিচিত।

        রাজনীতিতে ঢাকা কেন্দ্রিক তাঁর উত্থান ঘটেছে ঠিকই কিন্তু নীজ জম্ম স্থান ফেনী জেলাকে তিনি কখনই ভূলে যাননি। ফেনী জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিটি ইউনিয়ন, প্রতিটি গ্রামে রয়েছে তাঁর রাজনীতি ও সমাজসেবার অনবদ্য ছোঁয়া। ফেনীর জেলার এমন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, সেবামূলক প্রতিষ্ঠান, সামাজিক প্রতিষ্ঠান, ক্লাব, সমিতি বাকী নেই--''যেখানে তাঁর আর্থিক অনুদানে নির্মিত কোন না কোন  স্থাপনা দেদিপ্যমান নেই"। ফেনী জেলার আওয়ামী রাজনীতি সুসংগঠিত, সদা তৎপর, বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে কায্যকর ভূমিকা রাখার ক্ষেত্রে রয়েছে তাঁর নিয়ন্তর অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক সাহায্য সহযোগীতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

    স্বৈরাচার বিরুধী আন্দোলন, ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের লড়াই, তত্ববধায়ক সরকারের দাবী প্রতিষ্ঠার আন্দোলন সহ জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন সমূহে রয়েছে তাঁর বহুমূখী সাহায্য সহযোগীতার অবিস্মরণীয় অবদান। বিশেষ করে ২০০৬ ইং সালের খালেদা সরকারের ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার দুরভিসন্ধির বিরুদ্ধে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গড়ে উঠা গনআন্দোলন এবং খালেদা জিয়ার সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করার ক্ষেত্রে তাঁর রয়েছে অসামান্য অবদান।

     সেনা সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকারের ক্ষমতা দীর্ঘায়ীত করার চক্রান্তের বিরুদ্ধে দেশব্যাপি মাঠপয্যায়ে ক্ষোভের বহ্নিশিখা প্রজ্জলনের ক্ষেত্রে যে কয়জন নেতার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে নি:সন্দেহে বলতে পারি--'' তাঁদের সকলের মধ্যে অন্যতম দিকপাল জনাব 'ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট''। সেনা সমর্থিত ফখরুল, মঈনের তত্বাবধায়কের ক্ষমতা গ্রহন, বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনাকে জেলে প্রেরন,  জেলমূক্তি এবং ২০০৮ইং সালের ঘোষিত সাধারন নির্বাচন পয্যন্ত দেশব্যাপি স্বাসরুদ্ধকর রাজনৈতিক ঘোলাটে পরিস্থীতিতে সত্যিকার অর্থে তিনি ছিলেন অত্র ফেনী জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মুজিবাদর্শের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের  ভ্যানগার্ড। এক অর্থে ফেনী জেলার  সমস্ত সফল আন্দোলন--সংগ্রামের নেপৈথ্য কারিগরের নাম বলতে গেলে---প্রথমেই যার নামটি ঘুরেফিরে, অবচেতন মনে, অনায়াসে মূখে এসে যায় তিনি আর কেহ নন--জনাব "ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট।" আওয়ামীলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিগত দিনে আনীত স্বৈরাচার সরকার সমূহের নিবর্তনমূলক হাজার হাজার  মামলা, হামলা, হয়রানীর বিরুদ্ধে যে কয়জন দানবীর,রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব সহযোগীতার দরজা কখনই বন্ধ করেননি তাঁদের মধ্যেও অন্যতম  "ইসমাইল চৌধুরী (সম্রাট)"।

           আমি জানিনা তিনি নির্বাচনে অংশ গ্রহন করার ইচ্ছা পোষন করেছেন কিনা। তিনি যদি নির্বাচন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মনোনয়ন দেন--"আমার বিশ্বাস সর্ব সাধারনের আলোচনা অনুযায়ী, ঢাকার যে কোন আসন থেকে তিনি অবশ্যই নির্বাচিত হবেন। এবং কি তাঁর নীজ জেলা ফেনীর তিন আসনের মধ্যে  যে কোন আসন থেকেই তিনি নির্বাচিত হবেন, এই আমার দৃড বিশ্বাস"।

        জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম "শেখ হাসিনার" ইচ্ছা সর্বত্র তারুন্যদিপ্ত নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করার। তাঁর সেই ইচ্ছা ও আকাংক্ষা অনেকাংশে পূর্ণতা পেতে পারে--যদি তিনি দৃডতার সহিত "ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটে"র ন্যায় কর্মীবান্ধব, জননন্দিত, লোভ লালসাহীন, অধিকতর তরুন আদর্শিক ছাত্র//যুব নেতাদের আগামী সংদদ নির্বাচনে অংশ গ্রহনের জন্য মনোনয়নের ক্ষেত্রে প্রাধান্য দিতে পারেন। আমি দৃডতার সঙ্গে বিশ্বাস করি প্রিয় দল--'সেই দিকেই মনযোগী হবে।'

         " জয়বাংলা        জয়বঙ্গবন্ধু"
      ruhulaminmujumder27@gmail.com

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন