বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন, অগ্রগতি এবং গনতন্ত্রের ধারাবাহিকতায় বুদ্ধিজীবি সমাজের অবদান নেই।
রুহুল আমিন মজুমদার

 
        গনতন্ত্রহীন সমাজে উন্নয়ন সম্ভব নয়-দীর্ঘকালের প্রতিষ্ঠিত সত্যকে বর্তমান বাংলাদেশের কিয়দংশ বুদ্ধিজীবি  প্রতিনিয়ত অস্বীকার করে চলেছেন। প্রক্রিয়াটি নতুন নয়, বাংলাদেশ এবং বাঙ্গালী জাতীর স্বকীয় অবস্থান নিশ্চিতের পর থেকেই দেখা যাচ্ছে।তাঁর আগে অত্র ভূখন্ডকে পদানত রাখার নিমিত্তে তাঁদের বিভিন্ন কৌশল , সসস্ত্র অবস্থানও আমরা দেখেছি। বাঙ্গালী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর দৃড অবস্থানের কারনে তাঁরা মাত্র ২৩ বছরের মধ্যে পরাজিত হয়েছিল। সদ্য স্বাধীন দেশকে তাঁদের পদানত রাখার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সরকারের সমান্তরালে আর একটি সরকার কায়েমের লক্ষে বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা, এন,জি, ও,  জরীপ সংস্থা, মানবাধিকার সংস্থা নামে কতগুলী সেবা ধর্মী তাঁবেদারী প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করে। তদীয় ধারার বড় একটি সংগঠন 'টি,আই,বি'। উল্লেখিত সংস্থার সদস্যবৃন্দ জম্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক বটে  কিন্তু বসবাস সূত্রে বা তদীয় দেশের স্বার্থ্য রক্ষার পুরস্কার সূত্রে অন্য যে কোন উন্নত  দেশের নাগরীকও বটে।

       বাংলাদেশের বিশিষ্ট নাগরীকদের বাছাই করে তাঁরা তাঁদের দেশের নাগরীকত্ব দেয় বিনিময়ে তাঁদের স্বার্থ্য রক্ষার কাজ করান সাম্রাজ্যবাদি চক্র। আবার অনেক বিশিষ্ট নাগরীককে তাঁদের নিয়ন্ত্রিত বিশ্বসংস্থা সমূহের লোভনীয় পদে অধিষ্ঠিত করেন, অনেককে আন্তজাতিক বিভিন্ন উপাদি, উপঢৌকন দিয়ে আন্তজাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মানবে রুপান্তর করে নীজ দেশের স্বার্থ্য  বিরুদ্ধ কাজে উৎসাহীত করেন। টি, আই বি নামক সংস্থাটি  মূলত: সাম্রাজ্যবাদী চক্রের প্রতিষ্ঠিত একটি আন্তজাতিক সংস্থা। সাম্রাজ্যবাদি গোষ্টি সংস্থাটির মাধ্যমে স্বীয় সরকার সমূহকে তাঁদের পদানত রাখার কৌশল হিসেবে যখন যেমন তখন তেমন ভাবে ব্যাবহার করে থাকে। সামান্তবাদী ধারার বাহক ঐ সুশীল সমাজ বাংলাদেশকে মনে করে তাঁদের বুদ্ধিচর্চার  উর্বর ভূমি,জনগনকে মনে করে তাঁদের ক্রিতদাস।

     স্বাধীনতা পরবর্তী নতুন দেশের নতুন সরকারকে ব্যাতিব্যাস্ত করে তুলেছিল মিথ্যা গুজব, অবাস্তব নীতি, অনাদর্শিক তত্ব জনগনের মননে গেঁথে দিয়ে।তদ্রুপ নীতির কিছু পরিবর্তন পরিবর্ধন করে বর্তমানেও একই ধারাবাহিকতা তাঁরা অব্যাহত রাখার চেষ্টায় ব্রতি রয়েছেন। তাঁদের সকলেরই সম্মিলীত চেষ্টা বাংলাদেশের গুনেধরা পশ্চাদপদ সমাজকে যে কোন উপায় স্থবির রাখা। বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত  করা,  জনগনকে তথ্য, প্রযুক্তি, বিজ্ঞান,শিক্ষা, আধুনিকতা থেকে দূরে রাখা।তাঁদের মধ্যে সকলেই কিন্তু উন্নত দেশের অধিবাসি অর্থ্যাৎ দ্বৈত নাগরীকত্বের সুযোগে আমেরিকা, বৃটেন, জাপান, জার্মানীর নাগরীকত্ব আগেই করায়ত্ব করে রেখেছেন।তাঁদের ছেলে মেয়েরা বাংলাদেশের পশ্চাদপদ শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষা গ্রহন করছে না, উন্নত দেশের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে। উন্নত দেশের স্বার্থরক্ষার পুরস্কার হিসেবে সেই সমস্ত দেশের নাগরীকত্ব সহ  বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বৃত্তি গ্রহন করে তাঁদের ছেলে মেয়েরা উন্নত আধুনিক শিক্ষায় ব্রতি রয়েছে। দ্বৈত নাগরীকত্বের অপসানটি সাম্রাজ্যবাদ এবং তাঁর দোসর অন্য দেশ সমূহ বহু আগেই তাঁদের দেশে সাংবিধানীকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে রেখেছেন। উক্ত আইনের সুযোগে তৃতীয় বিশ্বের দেশ সমূহের বিভিন্ন আকারে প্রকারে দেশদ্রোহী, অপরাধী, খুনীরা অনায়াসে সেই সমস্ত দেশে বসবাসের সূযোগ গ্রহন করে নীজদেশের বিরুদ্ধে চক্রান্তে লিপ্ত থাকার সুযোগ পায়।

বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন,  শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার, অর্থনৈতিক সংস্কার, প্রসাশনিক সংস্কার তথা আধুনিক ও তথ্য ,প্রযুক্তি নির্ভর করার উদ্যোগ নিতে গেলে তাঁদের গাত্রদাহ শুরু হয়।  উক্ত ধারার সংগঠিত শক্তি টি, আই, বি  সাময়িক বিরতিতে বিভিন্ন বিষয়ে তাঁদের প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করে থাকেন। '৭৫ পরবর্তী সেনাশাষক, ফ্যাসিবাদি সরকার সমূহের শাষনকালে তাঁদের মূখে হরহামেশাই শুনা যেত গনতন্ত্রহীন সমাজে উন্নয়ন, অগ্রগতি, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় সংস্কার সম্ভব নয়। দেশের প্রতিপত্তিশীল, প্রতিতযসা বুদ্ধিজীবিদের মূখে এহেন  গনতন্ত্রহীনতার সবক শুনে, আমার মত অনেকেই গনতন্ত্র উদ্ধারের সংগ্রামে সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়ে কাংক্ষীত গনতন্ত্র উদ্ধারে যথাসাধ্য অবদান রেখেছেন।

       টি, আই, বি নামক বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিদ্যমান সংস্থাটির অন্যতম ব্যাক্তিত্ব "'সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা 'বেগম সুলতানা কামাল' । তিনি সহ অনেকেই ইদানিং তাঁদের বক্তব্যে বলতে শুনা যায়---"বর্তমান সময়ে বাংলা দেশের আকাশচুম্ভি উন্নয়ন, অগ্রগতি হলেও গনতন্ত্রের অনুপস্থীতি জনগন মেনে নিবে কিনা ভাববার সময় এসেছে"।আকারে ইঙ্গিতে গনতন্ত্রহীনতার কথাই তাঁদের বক্তব্যের মূল বিষয়বস্তু হিসেবে উঠে আসে। উক্ত সংস্থার প্রধানদের মধ্যে  বেগম সুলতানা কামাল সহ অন্যান্নরা নি:সন্দেহে  প্রতিষ্ঠিত  বুদ্ধিজীবি এবং 'জৈষ্ঠ শুশীল সমাজের' আওতাভুক্ত। তাঁরা দৃশ্যমান উন্নয়ন, অগ্রগতিকে কোন প্রকারে   অস্বীকার না করতে পেরে অদৃশ্যমান বা হাওয়াই গনতন্ত্রহীনতার অভিযোগে প্রতিনিয়ত সমালোচনার তীর সরকারের বিরুদ্ধে হামেশাই বর্ষন করে চলেছেন।
       আমার প্রশ্ন হচ্ছে গনতন্ত্রহীন সমাজে বা বর্তমান বাংলাদেশে উন্নয়ন অগ্রগতি কিভাবে সম্ভব হচ্ছে ?  যাহা আদৌ হওয়া সম্ভব নয় তাহাই যদি চিরায়ত রীতি ভঙ্গ করে সম্ভব হয় তবে ধরে নেয়া যায়--" গনতন্ত্রের চর্চায় বা সংজ্ঞায় বড় রকমের ভুল নয়তো বাংলাদেশের  বুদ্ধিজীবিদের সংজ্ঞায় বড় রকমের ভূল নিহীত আছে।" গনতন্ত্রের সংজ্ঞায় ভুল যদি না থাকে আমাদের বুদ্ধিজীবিরা বিদেশী রাষ্ট্রের স্বার্থ্যরক্ষক বলতে কোন প্রকার  দ্বিধা থাকার কথা নয়।

      একটা দেশের বুদ্ধিজীবি সমাজ হচ্ছে সেই দেশের বিবেক।অন্যভাবে বলতে গেলে বলা যায় দেশ পরিচালনায় বুদ্ধিজীবিরাই পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করে থাকে। দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি, শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি অর্থ্যাৎ সুষ্ঠ সমাজ বিনির্মানের ক্ষেত্রে  বুদ্ধিজীবিরাই তাঁদের সৃজনশীল মেধার সূচিন্তিত মতামত প্রকাশের মাধ্যমে সমাজ বা দেশ গঠনে সহযোগীতার ভূমিকা  পালন করে থাকে। দেশের বুদ্ধিজীবি সমাজের বিবেকে যখন  পঁচন ধরে তখন বুঝতে হবে ঐ সমাজ অবশ্বাম্ভাবি অসুস্থ্যতায় ভূগছে।

          আমাদের বুদ্ধিজীবি সমাজের শুসীল শীষ্যদের একাংশ প্রতিনিয়ত 'উন্নয়ন অগ্রগতি'র চিত্রকে খাটো করে দেখানোর প্রানান্তকর চেষ্টায় ব্রতি রয়েছেন। মূরুব্বি বুদ্ধিজীবিগন উন্নয়ন অগ্রগতি স্বীকার করে গনতন্ত্রহীনতার কথা বলছেন। গুরু- শীর্ষের বক্তব্যে বৈপরীত্ত নি:সন্দেহে পুর্বের দীর্ঘ অপ-শাষনের পঁচনশীল সমাজের দুগন্ধ নিবারনের উপযুক্ত চিকিৎসা বর্তমান সরকারের তত্বাবধানে শুরু হয়েছে এবং সুচিকিৎসার কারনে সুস্থ্যতা অনেক দূর এগিয়ে গেছে। সরকারের উন্নয়ন, অগ্রগ্রগতির প্রানান্তকর চেষ্টা এবং গনতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিকতা দেয়ার নিয়ন্তর প্রচেষ্টার  বিপরীতে বুদ্ধিজীবি সমাজের বক্তব্যের  উল্লেখীত বৈপরিত্য সরকারের পক্ষে "মারাণাস্ত্র" হিসেবে ব্যাবহার সম্ভব ছিল। কিন্তু আমাদের 'মিডিয়া এবং আওয়ামী লীগের প্রচার সেল' বর্তমান সরকারের 'বিরুদ্ধবাদী প্রতিষ্ঠিত বুদ্ধিজীবিদের' নানা সময় দেয়া বক্তব্য সমূহ কোন সময় কোড করেনা বা তাঁদের বক্তব্যের ব্যাপারে পালটা কোন বক্তব্য জনগনের সামনে উপস্থিত করেনা।

         এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই- "বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের শাষন ব্যবস্থাকে আন্তজাতিক মহল "সু-শাষন" হিসেবে চিহ্নিত করে সরকার 'প্রধান এবং সরকারের ভিতরে বিশেষ অবদান রাখা ব্যাক্তিবর্গ'কে আন্তজাতিক পুরষ্কারে ভুষিত করে 'স্বীকৃতি' দিয়ে প্রতিনিয়ত উৎসাহ  দিয়ে যাচ্ছে।"অন্যদিকে সমালোচকদের মুখেও "ঘুরিয়ে ফিরিয়ে  প্যাঁচিয়ে প্যাচিয়ে নানা কথার মারপ্যাঁচে স্বীকার করে নিতে বাধ্য হচ্ছেন অবশেষে--"অভাবনীয় উন্নয়ন, অগ্রগতি সাধিত হচ্ছে।"

      " সম্মানীত পাঠকবর্গ দেশের"সু-শাষন" এবং "উন্নয়ন অগ্রগতি" দৃশ্যমান থাকাবস্থায় গনতন্ত্রের অনুপস্থীতি কিভাবে থাকে?উভয়ের প্রথম এবং প্রধান শর্তই হচ্ছে "গনতন্ত্র"। ইহা আমার বিশ্লেষন নয়--"রাজনীতি বিজ্ঞানের বিশ্লেষন।" আমাদের জেনে রাখা একান্ত প্রয়োজন যে-- "শুধুমাত্র নির্ভেজাল জাতীয় নির্বাচন একটি দেশের গনতন্ত্রের উপস্থীতি-অনুপস্থীতি নির্ণয়ের মুর্খ্য বিষয় নয়-'নির্বাচন অনুসঙ্গ মাত্র।' বিদ্যমান রাজনৈতিক দল সমূহের মধ্যে বৃহৎ বা ক্ষুদ্রাংশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নিলে গনতন্ত্রের শুন্যতা আছে "এইরুপ চিন্তা চেতনা ধারনকারিরা ষড়যন্ত্রের কীট মাত্র"। রাষ্ট্রের বহু অঙ্গ প্রত্যঙ্গের মধ্যে ''নির্বাচন ' একটি অনুষঙ্গ' মাত্র 'অঙ্গ বা প্রত্যঙ্গ' নয়।"

       গনতান্ত্রিক দেশের "নির্বাচন ক্ষমতাবদলের চিরন্তন নিয়মাতান্ত্রিক পদ্ধতি - অস্বীকারের কোন উপায় নেই। কিন্তু "নির্বাচনে ভারসাম্য রক্ষার জন্য সমশক্তি সম্পন্ন রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব অপরিহায্য" ইহাও অস্বীকারের কোন উপায় নেই। বর্তমান সরকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সরকার।জাতির জনকের আদর্শে লালিত সংগঠন এবং তাঁরাই জৈষ্ঠকন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে।বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের লক্ষে দিবারাত্র পরিশ্রম করে দেশ ও জাতির জন্য জাতীয় ও আন্তজাতিক খ্যাতি অর্জনের মাধ্যমে 'জাতিকে মার্য্যদাবান-- -দেশকে উন্নয়ন অগ্রগতির' শীর্ষে নিয়ে যেতে প্রানান্তকর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।

      বাংলাদেশকে রাজনীতিশুন্য, রাজপথ শুন্য করার  অপচেষ্টা স্বৈর শাষক, নির্বাচিত স্বৈর শাষকদের  বহুবার জাতি লক্ষ করেছে। কিন্তু কোন প্রকারের  স্বৈর শাষকের মনোবাঞ্চা  আওয়ামীলীগের অসংখ্য নেতাকর্মীর বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে সম্ভব করতে পারেনি। বর্তমান সময়ে  ক্ষমতাসীন সরকারের   কোনপ্রকার চেষ্টা ব্যাতিরেকে সরকার বিরুধী দল  ও গোষ্টি সমূহের অপরাজনীতির কারনে  রাজপথ, রাজনীতি শুন্যবস্থা বিরাজমান থাকা সত্বেও গনতন্ত্রের মানসকন্যা, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা নিজকে গনতন্ত্রের অভিযাত্রায় রেখেছেন সুদৃড। দল এবং সরকারের সর্বত্র গনতন্ত্রিক চর্চা অব্যাহত রাখার প্রানান্তকর চেষ্টা অব্যাহত গতিতে চালিয়ে যাচ্ছেন।উন্নয়ন, অগ্রগতির চলমান ধারা অব্যাহত রাখার নিমিত্তে তাঁর সর্বপ্রকার প্রচেষ্টা নিশ্চয়ই আগামী দিনের ইতিহাস হয়ে থাকবে।

     কুচক্রিমহলের নিয়ন্তর শত ষড়যন্ত্রের মধ্যে এবং দলের অভ্যন্তরে লুকানো  মীরজাপরদের ষড়যন্ত্র সত্বেও শেখ হাসিনাকে তাঁর পিতা জাতির জনক  বঙ্গবন্ধুর আদর্শচ্যুত করতে পারেনি। শেখ হাসিনার একমাত্র পুত্র সরকারের  প্রধানমন্ত্রীর "অবৈতনিক উপদেষ্টা" সজীব ওয়াজেদ (জয়)ও ইতিমধ্যে জাতির জন্য নিয়ে এসেছেন "সুশাষনের ক্ষেত্রে তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহার' এর উপর 'প্রথম প্রবর্তন করা  আন্তজাতিক বিরল  স্বীকৃতি'।এর চেয়ে বিরল সম্মান আর কি হ'তে পারে?

      জাতি হিসেবে আমরা এতই অকৃতজ্ঞ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বাস করে মুজিব পরিবারের অসামন্য অবদান সমূহের মুল্যায়ন দুরের কথা--প্রত্যহ বিদেশী রাষ্ট্র ও সরকারের নানা বিষয় অবদান প্রসংঙ্গে মুল্যায়নের যথাযথ প্রচারেও প্রতিনিয়ত অবজ্ঞা আর অবহেলার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছি"।
             
                       ruhulaminmujumder27@gmail.com

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা