বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন, অগ্রগতি এবং গনতন্ত্রের ধারাবাহিকতায় বুদ্ধিজীবি সমাজের অবদান নেই।
রুহুল আমিন মজুমদার

 
        গনতন্ত্রহীন সমাজে উন্নয়ন সম্ভব নয়-দীর্ঘকালের প্রতিষ্ঠিত সত্যকে বর্তমান বাংলাদেশের কিয়দংশ বুদ্ধিজীবি  প্রতিনিয়ত অস্বীকার করে চলেছেন। প্রক্রিয়াটি নতুন নয়, বাংলাদেশ এবং বাঙ্গালী জাতীর স্বকীয় অবস্থান নিশ্চিতের পর থেকেই দেখা যাচ্ছে।তাঁর আগে অত্র ভূখন্ডকে পদানত রাখার নিমিত্তে তাঁদের বিভিন্ন কৌশল , সসস্ত্র অবস্থানও আমরা দেখেছি। বাঙ্গালী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর দৃড অবস্থানের কারনে তাঁরা মাত্র ২৩ বছরের মধ্যে পরাজিত হয়েছিল। সদ্য স্বাধীন দেশকে তাঁদের পদানত রাখার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সরকারের সমান্তরালে আর একটি সরকার কায়েমের লক্ষে বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা, এন,জি, ও,  জরীপ সংস্থা, মানবাধিকার সংস্থা নামে কতগুলী সেবা ধর্মী তাঁবেদারী প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করে। তদীয় ধারার বড় একটি সংগঠন 'টি,আই,বি'। উল্লেখিত সংস্থার সদস্যবৃন্দ জম্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক বটে  কিন্তু বসবাস সূত্রে বা তদীয় দেশের স্বার্থ্য রক্ষার পুরস্কার সূত্রে অন্য যে কোন উন্নত  দেশের নাগরীকও বটে।

       বাংলাদেশের বিশিষ্ট নাগরীকদের বাছাই করে তাঁরা তাঁদের দেশের নাগরীকত্ব দেয় বিনিময়ে তাঁদের স্বার্থ্য রক্ষার কাজ করান সাম্রাজ্যবাদি চক্র। আবার অনেক বিশিষ্ট নাগরীককে তাঁদের নিয়ন্ত্রিত বিশ্বসংস্থা সমূহের লোভনীয় পদে অধিষ্ঠিত করেন, অনেককে আন্তজাতিক বিভিন্ন উপাদি, উপঢৌকন দিয়ে আন্তজাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মানবে রুপান্তর করে নীজ দেশের স্বার্থ্য  বিরুদ্ধ কাজে উৎসাহীত করেন। টি, আই বি নামক সংস্থাটি  মূলত: সাম্রাজ্যবাদী চক্রের প্রতিষ্ঠিত একটি আন্তজাতিক সংস্থা। সাম্রাজ্যবাদি গোষ্টি সংস্থাটির মাধ্যমে স্বীয় সরকার সমূহকে তাঁদের পদানত রাখার কৌশল হিসেবে যখন যেমন তখন তেমন ভাবে ব্যাবহার করে থাকে। সামান্তবাদী ধারার বাহক ঐ সুশীল সমাজ বাংলাদেশকে মনে করে তাঁদের বুদ্ধিচর্চার  উর্বর ভূমি,জনগনকে মনে করে তাঁদের ক্রিতদাস।

     স্বাধীনতা পরবর্তী নতুন দেশের নতুন সরকারকে ব্যাতিব্যাস্ত করে তুলেছিল মিথ্যা গুজব, অবাস্তব নীতি, অনাদর্শিক তত্ব জনগনের মননে গেঁথে দিয়ে।তদ্রুপ নীতির কিছু পরিবর্তন পরিবর্ধন করে বর্তমানেও একই ধারাবাহিকতা তাঁরা অব্যাহত রাখার চেষ্টায় ব্রতি রয়েছেন। তাঁদের সকলেরই সম্মিলীত চেষ্টা বাংলাদেশের গুনেধরা পশ্চাদপদ সমাজকে যে কোন উপায় স্থবির রাখা। বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত  করা,  জনগনকে তথ্য, প্রযুক্তি, বিজ্ঞান,শিক্ষা, আধুনিকতা থেকে দূরে রাখা।তাঁদের মধ্যে সকলেই কিন্তু উন্নত দেশের অধিবাসি অর্থ্যাৎ দ্বৈত নাগরীকত্বের সুযোগে আমেরিকা, বৃটেন, জাপান, জার্মানীর নাগরীকত্ব আগেই করায়ত্ব করে রেখেছেন।তাঁদের ছেলে মেয়েরা বাংলাদেশের পশ্চাদপদ শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষা গ্রহন করছে না, উন্নত দেশের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে। উন্নত দেশের স্বার্থরক্ষার পুরস্কার হিসেবে সেই সমস্ত দেশের নাগরীকত্ব সহ  বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বৃত্তি গ্রহন করে তাঁদের ছেলে মেয়েরা উন্নত আধুনিক শিক্ষায় ব্রতি রয়েছে। দ্বৈত নাগরীকত্বের অপসানটি সাম্রাজ্যবাদ এবং তাঁর দোসর অন্য দেশ সমূহ বহু আগেই তাঁদের দেশে সাংবিধানীকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে রেখেছেন। উক্ত আইনের সুযোগে তৃতীয় বিশ্বের দেশ সমূহের বিভিন্ন আকারে প্রকারে দেশদ্রোহী, অপরাধী, খুনীরা অনায়াসে সেই সমস্ত দেশে বসবাসের সূযোগ গ্রহন করে নীজদেশের বিরুদ্ধে চক্রান্তে লিপ্ত থাকার সুযোগ পায়।

বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন,  শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার, অর্থনৈতিক সংস্কার, প্রসাশনিক সংস্কার তথা আধুনিক ও তথ্য ,প্রযুক্তি নির্ভর করার উদ্যোগ নিতে গেলে তাঁদের গাত্রদাহ শুরু হয়।  উক্ত ধারার সংগঠিত শক্তি টি, আই, বি  সাময়িক বিরতিতে বিভিন্ন বিষয়ে তাঁদের প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করে থাকেন। '৭৫ পরবর্তী সেনাশাষক, ফ্যাসিবাদি সরকার সমূহের শাষনকালে তাঁদের মূখে হরহামেশাই শুনা যেত গনতন্ত্রহীন সমাজে উন্নয়ন, অগ্রগতি, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় সংস্কার সম্ভব নয়। দেশের প্রতিপত্তিশীল, প্রতিতযসা বুদ্ধিজীবিদের মূখে এহেন  গনতন্ত্রহীনতার সবক শুনে, আমার মত অনেকেই গনতন্ত্র উদ্ধারের সংগ্রামে সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়ে কাংক্ষীত গনতন্ত্র উদ্ধারে যথাসাধ্য অবদান রেখেছেন।

       টি, আই, বি নামক বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিদ্যমান সংস্থাটির অন্যতম ব্যাক্তিত্ব "'সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা 'বেগম সুলতানা কামাল' । তিনি সহ অনেকেই ইদানিং তাঁদের বক্তব্যে বলতে শুনা যায়---"বর্তমান সময়ে বাংলা দেশের আকাশচুম্ভি উন্নয়ন, অগ্রগতি হলেও গনতন্ত্রের অনুপস্থীতি জনগন মেনে নিবে কিনা ভাববার সময় এসেছে"।আকারে ইঙ্গিতে গনতন্ত্রহীনতার কথাই তাঁদের বক্তব্যের মূল বিষয়বস্তু হিসেবে উঠে আসে। উক্ত সংস্থার প্রধানদের মধ্যে  বেগম সুলতানা কামাল সহ অন্যান্নরা নি:সন্দেহে  প্রতিষ্ঠিত  বুদ্ধিজীবি এবং 'জৈষ্ঠ শুশীল সমাজের' আওতাভুক্ত। তাঁরা দৃশ্যমান উন্নয়ন, অগ্রগতিকে কোন প্রকারে   অস্বীকার না করতে পেরে অদৃশ্যমান বা হাওয়াই গনতন্ত্রহীনতার অভিযোগে প্রতিনিয়ত সমালোচনার তীর সরকারের বিরুদ্ধে হামেশাই বর্ষন করে চলেছেন।
       আমার প্রশ্ন হচ্ছে গনতন্ত্রহীন সমাজে বা বর্তমান বাংলাদেশে উন্নয়ন অগ্রগতি কিভাবে সম্ভব হচ্ছে ?  যাহা আদৌ হওয়া সম্ভব নয় তাহাই যদি চিরায়ত রীতি ভঙ্গ করে সম্ভব হয় তবে ধরে নেয়া যায়--" গনতন্ত্রের চর্চায় বা সংজ্ঞায় বড় রকমের ভুল নয়তো বাংলাদেশের  বুদ্ধিজীবিদের সংজ্ঞায় বড় রকমের ভূল নিহীত আছে।" গনতন্ত্রের সংজ্ঞায় ভুল যদি না থাকে আমাদের বুদ্ধিজীবিরা বিদেশী রাষ্ট্রের স্বার্থ্যরক্ষক বলতে কোন প্রকার  দ্বিধা থাকার কথা নয়।

      একটা দেশের বুদ্ধিজীবি সমাজ হচ্ছে সেই দেশের বিবেক।অন্যভাবে বলতে গেলে বলা যায় দেশ পরিচালনায় বুদ্ধিজীবিরাই পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করে থাকে। দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি, শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি অর্থ্যাৎ সুষ্ঠ সমাজ বিনির্মানের ক্ষেত্রে  বুদ্ধিজীবিরাই তাঁদের সৃজনশীল মেধার সূচিন্তিত মতামত প্রকাশের মাধ্যমে সমাজ বা দেশ গঠনে সহযোগীতার ভূমিকা  পালন করে থাকে। দেশের বুদ্ধিজীবি সমাজের বিবেকে যখন  পঁচন ধরে তখন বুঝতে হবে ঐ সমাজ অবশ্বাম্ভাবি অসুস্থ্যতায় ভূগছে।

          আমাদের বুদ্ধিজীবি সমাজের শুসীল শীষ্যদের একাংশ প্রতিনিয়ত 'উন্নয়ন অগ্রগতি'র চিত্রকে খাটো করে দেখানোর প্রানান্তকর চেষ্টায় ব্রতি রয়েছেন। মূরুব্বি বুদ্ধিজীবিগন উন্নয়ন অগ্রগতি স্বীকার করে গনতন্ত্রহীনতার কথা বলছেন। গুরু- শীর্ষের বক্তব্যে বৈপরীত্ত নি:সন্দেহে পুর্বের দীর্ঘ অপ-শাষনের পঁচনশীল সমাজের দুগন্ধ নিবারনের উপযুক্ত চিকিৎসা বর্তমান সরকারের তত্বাবধানে শুরু হয়েছে এবং সুচিকিৎসার কারনে সুস্থ্যতা অনেক দূর এগিয়ে গেছে। সরকারের উন্নয়ন, অগ্রগ্রগতির প্রানান্তকর চেষ্টা এবং গনতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিকতা দেয়ার নিয়ন্তর প্রচেষ্টার  বিপরীতে বুদ্ধিজীবি সমাজের বক্তব্যের  উল্লেখীত বৈপরিত্য সরকারের পক্ষে "মারাণাস্ত্র" হিসেবে ব্যাবহার সম্ভব ছিল। কিন্তু আমাদের 'মিডিয়া এবং আওয়ামী লীগের প্রচার সেল' বর্তমান সরকারের 'বিরুদ্ধবাদী প্রতিষ্ঠিত বুদ্ধিজীবিদের' নানা সময় দেয়া বক্তব্য সমূহ কোন সময় কোড করেনা বা তাঁদের বক্তব্যের ব্যাপারে পালটা কোন বক্তব্য জনগনের সামনে উপস্থিত করেনা।

         এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই- "বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের শাষন ব্যবস্থাকে আন্তজাতিক মহল "সু-শাষন" হিসেবে চিহ্নিত করে সরকার 'প্রধান এবং সরকারের ভিতরে বিশেষ অবদান রাখা ব্যাক্তিবর্গ'কে আন্তজাতিক পুরষ্কারে ভুষিত করে 'স্বীকৃতি' দিয়ে প্রতিনিয়ত উৎসাহ  দিয়ে যাচ্ছে।"অন্যদিকে সমালোচকদের মুখেও "ঘুরিয়ে ফিরিয়ে  প্যাঁচিয়ে প্যাচিয়ে নানা কথার মারপ্যাঁচে স্বীকার করে নিতে বাধ্য হচ্ছেন অবশেষে--"অভাবনীয় উন্নয়ন, অগ্রগতি সাধিত হচ্ছে।"

      " সম্মানীত পাঠকবর্গ দেশের"সু-শাষন" এবং "উন্নয়ন অগ্রগতি" দৃশ্যমান থাকাবস্থায় গনতন্ত্রের অনুপস্থীতি কিভাবে থাকে?উভয়ের প্রথম এবং প্রধান শর্তই হচ্ছে "গনতন্ত্র"। ইহা আমার বিশ্লেষন নয়--"রাজনীতি বিজ্ঞানের বিশ্লেষন।" আমাদের জেনে রাখা একান্ত প্রয়োজন যে-- "শুধুমাত্র নির্ভেজাল জাতীয় নির্বাচন একটি দেশের গনতন্ত্রের উপস্থীতি-অনুপস্থীতি নির্ণয়ের মুর্খ্য বিষয় নয়-'নির্বাচন অনুসঙ্গ মাত্র।' বিদ্যমান রাজনৈতিক দল সমূহের মধ্যে বৃহৎ বা ক্ষুদ্রাংশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নিলে গনতন্ত্রের শুন্যতা আছে "এইরুপ চিন্তা চেতনা ধারনকারিরা ষড়যন্ত্রের কীট মাত্র"। রাষ্ট্রের বহু অঙ্গ প্রত্যঙ্গের মধ্যে ''নির্বাচন ' একটি অনুষঙ্গ' মাত্র 'অঙ্গ বা প্রত্যঙ্গ' নয়।"

       গনতান্ত্রিক দেশের "নির্বাচন ক্ষমতাবদলের চিরন্তন নিয়মাতান্ত্রিক পদ্ধতি - অস্বীকারের কোন উপায় নেই। কিন্তু "নির্বাচনে ভারসাম্য রক্ষার জন্য সমশক্তি সম্পন্ন রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব অপরিহায্য" ইহাও অস্বীকারের কোন উপায় নেই। বর্তমান সরকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সরকার।জাতির জনকের আদর্শে লালিত সংগঠন এবং তাঁরাই জৈষ্ঠকন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে।বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের লক্ষে দিবারাত্র পরিশ্রম করে দেশ ও জাতির জন্য জাতীয় ও আন্তজাতিক খ্যাতি অর্জনের মাধ্যমে 'জাতিকে মার্য্যদাবান-- -দেশকে উন্নয়ন অগ্রগতির' শীর্ষে নিয়ে যেতে প্রানান্তকর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।

      বাংলাদেশকে রাজনীতিশুন্য, রাজপথ শুন্য করার  অপচেষ্টা স্বৈর শাষক, নির্বাচিত স্বৈর শাষকদের  বহুবার জাতি লক্ষ করেছে। কিন্তু কোন প্রকারের  স্বৈর শাষকের মনোবাঞ্চা  আওয়ামীলীগের অসংখ্য নেতাকর্মীর বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে সম্ভব করতে পারেনি। বর্তমান সময়ে  ক্ষমতাসীন সরকারের   কোনপ্রকার চেষ্টা ব্যাতিরেকে সরকার বিরুধী দল  ও গোষ্টি সমূহের অপরাজনীতির কারনে  রাজপথ, রাজনীতি শুন্যবস্থা বিরাজমান থাকা সত্বেও গনতন্ত্রের মানসকন্যা, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা নিজকে গনতন্ত্রের অভিযাত্রায় রেখেছেন সুদৃড। দল এবং সরকারের সর্বত্র গনতন্ত্রিক চর্চা অব্যাহত রাখার প্রানান্তকর চেষ্টা অব্যাহত গতিতে চালিয়ে যাচ্ছেন।উন্নয়ন, অগ্রগতির চলমান ধারা অব্যাহত রাখার নিমিত্তে তাঁর সর্বপ্রকার প্রচেষ্টা নিশ্চয়ই আগামী দিনের ইতিহাস হয়ে থাকবে।

     কুচক্রিমহলের নিয়ন্তর শত ষড়যন্ত্রের মধ্যে এবং দলের অভ্যন্তরে লুকানো  মীরজাপরদের ষড়যন্ত্র সত্বেও শেখ হাসিনাকে তাঁর পিতা জাতির জনক  বঙ্গবন্ধুর আদর্শচ্যুত করতে পারেনি। শেখ হাসিনার একমাত্র পুত্র সরকারের  প্রধানমন্ত্রীর "অবৈতনিক উপদেষ্টা" সজীব ওয়াজেদ (জয়)ও ইতিমধ্যে জাতির জন্য নিয়ে এসেছেন "সুশাষনের ক্ষেত্রে তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহার' এর উপর 'প্রথম প্রবর্তন করা  আন্তজাতিক বিরল  স্বীকৃতি'।এর চেয়ে বিরল সম্মান আর কি হ'তে পারে?

      জাতি হিসেবে আমরা এতই অকৃতজ্ঞ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বাস করে মুজিব পরিবারের অসামন্য অবদান সমূহের মুল্যায়ন দুরের কথা--প্রত্যহ বিদেশী রাষ্ট্র ও সরকারের নানা বিষয় অবদান প্রসংঙ্গে মুল্যায়নের যথাযথ প্রচারেও প্রতিনিয়ত অবজ্ঞা আর অবহেলার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছি"।
             
                       ruhulaminmujumder27@gmail.com

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন