বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন, অগ্রগতি এবং গনতন্ত্রের ধারাবাহিকতায় বুদ্ধিজীবি সমাজের অবদান নেই।
রুহুল আমিন মজুমদার
গনতন্ত্রহীন সমাজে উন্নয়ন সম্ভব নয়-দীর্ঘকালের প্রতিষ্ঠিত সত্যকে বর্তমান বাংলাদেশের কিয়দংশ বুদ্ধিজীবি প্রতিনিয়ত অস্বীকার করে চলেছেন। প্রক্রিয়াটি নতুন নয়, বাংলাদেশ এবং বাঙ্গালী জাতীর স্বকীয় অবস্থান নিশ্চিতের পর থেকেই দেখা যাচ্ছে।তাঁর আগে অত্র ভূখন্ডকে পদানত রাখার নিমিত্তে তাঁদের বিভিন্ন কৌশল , সসস্ত্র অবস্থানও আমরা দেখেছি। বাঙ্গালী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর দৃড অবস্থানের কারনে তাঁরা মাত্র ২৩ বছরের মধ্যে পরাজিত হয়েছিল। সদ্য স্বাধীন দেশকে তাঁদের পদানত রাখার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সরকারের সমান্তরালে আর একটি সরকার কায়েমের লক্ষে বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা, এন,জি, ও, জরীপ সংস্থা, মানবাধিকার সংস্থা নামে কতগুলী সেবা ধর্মী তাঁবেদারী প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করে। তদীয় ধারার বড় একটি সংগঠন 'টি,আই,বি'। উল্লেখিত সংস্থার সদস্যবৃন্দ জম্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক বটে কিন্তু বসবাস সূত্রে বা তদীয় দেশের স্বার্থ্য রক্ষার পুরস্কার সূত্রে অন্য যে কোন উন্নত দেশের নাগরীকও বটে।
বাংলাদেশের বিশিষ্ট নাগরীকদের বাছাই করে তাঁরা তাঁদের দেশের নাগরীকত্ব দেয় বিনিময়ে তাঁদের স্বার্থ্য রক্ষার কাজ করান সাম্রাজ্যবাদি চক্র। আবার অনেক বিশিষ্ট নাগরীককে তাঁদের নিয়ন্ত্রিত বিশ্বসংস্থা সমূহের লোভনীয় পদে অধিষ্ঠিত করেন, অনেককে আন্তজাতিক বিভিন্ন উপাদি, উপঢৌকন দিয়ে আন্তজাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মানবে রুপান্তর করে নীজ দেশের স্বার্থ্য বিরুদ্ধ কাজে উৎসাহীত করেন। টি, আই বি নামক সংস্থাটি মূলত: সাম্রাজ্যবাদী চক্রের প্রতিষ্ঠিত একটি আন্তজাতিক সংস্থা। সাম্রাজ্যবাদি গোষ্টি সংস্থাটির মাধ্যমে স্বীয় সরকার সমূহকে তাঁদের পদানত রাখার কৌশল হিসেবে যখন যেমন তখন তেমন ভাবে ব্যাবহার করে থাকে। সামান্তবাদী ধারার বাহক ঐ সুশীল সমাজ বাংলাদেশকে মনে করে তাঁদের বুদ্ধিচর্চার উর্বর ভূমি,জনগনকে মনে করে তাঁদের ক্রিতদাস।
স্বাধীনতা পরবর্তী নতুন দেশের নতুন সরকারকে ব্যাতিব্যাস্ত করে তুলেছিল মিথ্যা গুজব, অবাস্তব নীতি, অনাদর্শিক তত্ব জনগনের মননে গেঁথে দিয়ে।তদ্রুপ নীতির কিছু পরিবর্তন পরিবর্ধন করে বর্তমানেও একই ধারাবাহিকতা তাঁরা অব্যাহত রাখার চেষ্টায় ব্রতি রয়েছেন। তাঁদের সকলেরই সম্মিলীত চেষ্টা বাংলাদেশের গুনেধরা পশ্চাদপদ সমাজকে যে কোন উপায় স্থবির রাখা। বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করা, জনগনকে তথ্য, প্রযুক্তি, বিজ্ঞান,শিক্ষা, আধুনিকতা থেকে দূরে রাখা।তাঁদের মধ্যে সকলেই কিন্তু উন্নত দেশের অধিবাসি অর্থ্যাৎ দ্বৈত নাগরীকত্বের সুযোগে আমেরিকা, বৃটেন, জাপান, জার্মানীর নাগরীকত্ব আগেই করায়ত্ব করে রেখেছেন।তাঁদের ছেলে মেয়েরা বাংলাদেশের পশ্চাদপদ শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষা গ্রহন করছে না, উন্নত দেশের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে। উন্নত দেশের স্বার্থরক্ষার পুরস্কার হিসেবে সেই সমস্ত দেশের নাগরীকত্ব সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বৃত্তি গ্রহন করে তাঁদের ছেলে মেয়েরা উন্নত আধুনিক শিক্ষায় ব্রতি রয়েছে। দ্বৈত নাগরীকত্বের অপসানটি সাম্রাজ্যবাদ এবং তাঁর দোসর অন্য দেশ সমূহ বহু আগেই তাঁদের দেশে সাংবিধানীকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে রেখেছেন। উক্ত আইনের সুযোগে তৃতীয় বিশ্বের দেশ সমূহের বিভিন্ন আকারে প্রকারে দেশদ্রোহী, অপরাধী, খুনীরা অনায়াসে সেই সমস্ত দেশে বসবাসের সূযোগ গ্রহন করে নীজদেশের বিরুদ্ধে চক্রান্তে লিপ্ত থাকার সুযোগ পায়।
বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার, অর্থনৈতিক সংস্কার, প্রসাশনিক সংস্কার তথা আধুনিক ও তথ্য ,প্রযুক্তি নির্ভর করার উদ্যোগ নিতে গেলে তাঁদের গাত্রদাহ শুরু হয়। উক্ত ধারার সংগঠিত শক্তি টি, আই, বি সাময়িক বিরতিতে বিভিন্ন বিষয়ে তাঁদের প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করে থাকেন। '৭৫ পরবর্তী সেনাশাষক, ফ্যাসিবাদি সরকার সমূহের শাষনকালে তাঁদের মূখে হরহামেশাই শুনা যেত গনতন্ত্রহীন সমাজে উন্নয়ন, অগ্রগতি, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় সংস্কার সম্ভব নয়। দেশের প্রতিপত্তিশীল, প্রতিতযসা বুদ্ধিজীবিদের মূখে এহেন গনতন্ত্রহীনতার সবক শুনে, আমার মত অনেকেই গনতন্ত্র উদ্ধারের সংগ্রামে সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়ে কাংক্ষীত গনতন্ত্র উদ্ধারে যথাসাধ্য অবদান রেখেছেন।
টি, আই, বি নামক বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিদ্যমান সংস্থাটির অন্যতম ব্যাক্তিত্ব "'সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা 'বেগম সুলতানা কামাল' । তিনি সহ অনেকেই ইদানিং তাঁদের বক্তব্যে বলতে শুনা যায়---"বর্তমান সময়ে বাংলা দেশের আকাশচুম্ভি উন্নয়ন, অগ্রগতি হলেও গনতন্ত্রের অনুপস্থীতি জনগন মেনে নিবে কিনা ভাববার সময় এসেছে"।আকারে ইঙ্গিতে গনতন্ত্রহীনতার কথাই তাঁদের বক্তব্যের মূল বিষয়বস্তু হিসেবে উঠে আসে। উক্ত সংস্থার প্রধানদের মধ্যে বেগম সুলতানা কামাল সহ অন্যান্নরা নি:সন্দেহে প্রতিষ্ঠিত বুদ্ধিজীবি এবং 'জৈষ্ঠ শুশীল সমাজের' আওতাভুক্ত। তাঁরা দৃশ্যমান উন্নয়ন, অগ্রগতিকে কোন প্রকারে অস্বীকার না করতে পেরে অদৃশ্যমান বা হাওয়াই গনতন্ত্রহীনতার অভিযোগে প্রতিনিয়ত সমালোচনার তীর সরকারের বিরুদ্ধে হামেশাই বর্ষন করে চলেছেন।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে গনতন্ত্রহীন সমাজে বা বর্তমান বাংলাদেশে উন্নয়ন অগ্রগতি কিভাবে সম্ভব হচ্ছে ? যাহা আদৌ হওয়া সম্ভব নয় তাহাই যদি চিরায়ত রীতি ভঙ্গ করে সম্ভব হয় তবে ধরে নেয়া যায়--" গনতন্ত্রের চর্চায় বা সংজ্ঞায় বড় রকমের ভুল নয়তো বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবিদের সংজ্ঞায় বড় রকমের ভূল নিহীত আছে।" গনতন্ত্রের সংজ্ঞায় ভুল যদি না থাকে আমাদের বুদ্ধিজীবিরা বিদেশী রাষ্ট্রের স্বার্থ্যরক্ষক বলতে কোন প্রকার দ্বিধা থাকার কথা নয়।
একটা দেশের বুদ্ধিজীবি সমাজ হচ্ছে সেই দেশের বিবেক।অন্যভাবে বলতে গেলে বলা যায় দেশ পরিচালনায় বুদ্ধিজীবিরাই পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করে থাকে। দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি, শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি অর্থ্যাৎ সুষ্ঠ সমাজ বিনির্মানের ক্ষেত্রে বুদ্ধিজীবিরাই তাঁদের সৃজনশীল মেধার সূচিন্তিত মতামত প্রকাশের মাধ্যমে সমাজ বা দেশ গঠনে সহযোগীতার ভূমিকা পালন করে থাকে। দেশের বুদ্ধিজীবি সমাজের বিবেকে যখন পঁচন ধরে তখন বুঝতে হবে ঐ সমাজ অবশ্বাম্ভাবি অসুস্থ্যতায় ভূগছে।
আমাদের বুদ্ধিজীবি সমাজের শুসীল শীষ্যদের একাংশ প্রতিনিয়ত 'উন্নয়ন অগ্রগতি'র চিত্রকে খাটো করে দেখানোর প্রানান্তকর চেষ্টায় ব্রতি রয়েছেন। মূরুব্বি বুদ্ধিজীবিগন উন্নয়ন অগ্রগতি স্বীকার করে গনতন্ত্রহীনতার কথা বলছেন। গুরু- শীর্ষের বক্তব্যে বৈপরীত্ত নি:সন্দেহে পুর্বের দীর্ঘ অপ-শাষনের পঁচনশীল সমাজের দুগন্ধ নিবারনের উপযুক্ত চিকিৎসা বর্তমান সরকারের তত্বাবধানে শুরু হয়েছে এবং সুচিকিৎসার কারনে সুস্থ্যতা অনেক দূর এগিয়ে গেছে। সরকারের উন্নয়ন, অগ্রগ্রগতির প্রানান্তকর চেষ্টা এবং গনতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিকতা দেয়ার নিয়ন্তর প্রচেষ্টার বিপরীতে বুদ্ধিজীবি সমাজের বক্তব্যের উল্লেখীত বৈপরিত্য সরকারের পক্ষে "মারাণাস্ত্র" হিসেবে ব্যাবহার সম্ভব ছিল। কিন্তু আমাদের 'মিডিয়া এবং আওয়ামী লীগের প্রচার সেল' বর্তমান সরকারের 'বিরুদ্ধবাদী প্রতিষ্ঠিত বুদ্ধিজীবিদের' নানা সময় দেয়া বক্তব্য সমূহ কোন সময় কোড করেনা বা তাঁদের বক্তব্যের ব্যাপারে পালটা কোন বক্তব্য জনগনের সামনে উপস্থিত করেনা।
এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই- "বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের শাষন ব্যবস্থাকে আন্তজাতিক মহল "সু-শাষন" হিসেবে চিহ্নিত করে সরকার 'প্রধান এবং সরকারের ভিতরে বিশেষ অবদান রাখা ব্যাক্তিবর্গ'কে আন্তজাতিক পুরষ্কারে ভুষিত করে 'স্বীকৃতি' দিয়ে প্রতিনিয়ত উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে।"অন্যদিকে সমালোচকদের মুখেও "ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্যাঁচিয়ে প্যাচিয়ে নানা কথার মারপ্যাঁচে স্বীকার করে নিতে বাধ্য হচ্ছেন অবশেষে--"অভাবনীয় উন্নয়ন, অগ্রগতি সাধিত হচ্ছে।"
" সম্মানীত পাঠকবর্গ দেশের"সু-শাষন" এবং "উন্নয়ন অগ্রগতি" দৃশ্যমান থাকাবস্থায় গনতন্ত্রের অনুপস্থীতি কিভাবে থাকে?উভয়ের প্রথম এবং প্রধান শর্তই হচ্ছে "গনতন্ত্র"। ইহা আমার বিশ্লেষন নয়--"রাজনীতি বিজ্ঞানের বিশ্লেষন।" আমাদের জেনে রাখা একান্ত প্রয়োজন যে-- "শুধুমাত্র নির্ভেজাল জাতীয় নির্বাচন একটি দেশের গনতন্ত্রের উপস্থীতি-অনুপস্থীতি নির্ণয়ের মুর্খ্য বিষয় নয়-'নির্বাচন অনুসঙ্গ মাত্র।' বিদ্যমান রাজনৈতিক দল সমূহের মধ্যে বৃহৎ বা ক্ষুদ্রাংশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নিলে গনতন্ত্রের শুন্যতা আছে "এইরুপ চিন্তা চেতনা ধারনকারিরা ষড়যন্ত্রের কীট মাত্র"। রাষ্ট্রের বহু অঙ্গ প্রত্যঙ্গের মধ্যে ''নির্বাচন ' একটি অনুষঙ্গ' মাত্র 'অঙ্গ বা প্রত্যঙ্গ' নয়।"
গনতান্ত্রিক দেশের "নির্বাচন ক্ষমতাবদলের চিরন্তন নিয়মাতান্ত্রিক পদ্ধতি - অস্বীকারের কোন উপায় নেই। কিন্তু "নির্বাচনে ভারসাম্য রক্ষার জন্য সমশক্তি সম্পন্ন রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব অপরিহায্য" ইহাও অস্বীকারের কোন উপায় নেই। বর্তমান সরকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সরকার।জাতির জনকের আদর্শে লালিত সংগঠন এবং তাঁরাই জৈষ্ঠকন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে।বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের লক্ষে দিবারাত্র পরিশ্রম করে দেশ ও জাতির জন্য জাতীয় ও আন্তজাতিক খ্যাতি অর্জনের মাধ্যমে 'জাতিকে মার্য্যদাবান-- -দেশকে উন্নয়ন অগ্রগতির' শীর্ষে নিয়ে যেতে প্রানান্তকর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
বাংলাদেশকে রাজনীতিশুন্য, রাজপথ শুন্য করার অপচেষ্টা স্বৈর শাষক, নির্বাচিত স্বৈর শাষকদের বহুবার জাতি লক্ষ করেছে। কিন্তু কোন প্রকারের স্বৈর শাষকের মনোবাঞ্চা আওয়ামীলীগের অসংখ্য নেতাকর্মীর বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে সম্ভব করতে পারেনি। বর্তমান সময়ে ক্ষমতাসীন সরকারের কোনপ্রকার চেষ্টা ব্যাতিরেকে সরকার বিরুধী দল ও গোষ্টি সমূহের অপরাজনীতির কারনে রাজপথ, রাজনীতি শুন্যবস্থা বিরাজমান থাকা সত্বেও গনতন্ত্রের মানসকন্যা, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা নিজকে গনতন্ত্রের অভিযাত্রায় রেখেছেন সুদৃড। দল এবং সরকারের সর্বত্র গনতন্ত্রিক চর্চা অব্যাহত রাখার প্রানান্তকর চেষ্টা অব্যাহত গতিতে চালিয়ে যাচ্ছেন।উন্নয়ন, অগ্রগতির চলমান ধারা অব্যাহত রাখার নিমিত্তে তাঁর সর্বপ্রকার প্রচেষ্টা নিশ্চয়ই আগামী দিনের ইতিহাস হয়ে থাকবে।
কুচক্রিমহলের নিয়ন্তর শত ষড়যন্ত্রের মধ্যে এবং দলের অভ্যন্তরে লুকানো মীরজাপরদের ষড়যন্ত্র সত্বেও শেখ হাসিনাকে তাঁর পিতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শচ্যুত করতে পারেনি। শেখ হাসিনার একমাত্র পুত্র সরকারের প্রধানমন্ত্রীর "অবৈতনিক উপদেষ্টা" সজীব ওয়াজেদ (জয়)ও ইতিমধ্যে জাতির জন্য নিয়ে এসেছেন "সুশাষনের ক্ষেত্রে তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহার' এর উপর 'প্রথম প্রবর্তন করা আন্তজাতিক বিরল স্বীকৃতি'।এর চেয়ে বিরল সম্মান আর কি হ'তে পারে?
জাতি হিসেবে আমরা এতই অকৃতজ্ঞ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বাস করে মুজিব পরিবারের অসামন্য অবদান সমূহের মুল্যায়ন দুরের কথা--প্রত্যহ বিদেশী রাষ্ট্র ও সরকারের নানা বিষয় অবদান প্রসংঙ্গে মুল্যায়নের যথাযথ প্রচারেও প্রতিনিয়ত অবজ্ঞা আর অবহেলার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছি"।
ruhulaminmujumder27@gmail.com
রুহুল আমিন মজুমদার
গনতন্ত্রহীন সমাজে উন্নয়ন সম্ভব নয়-দীর্ঘকালের প্রতিষ্ঠিত সত্যকে বর্তমান বাংলাদেশের কিয়দংশ বুদ্ধিজীবি প্রতিনিয়ত অস্বীকার করে চলেছেন। প্রক্রিয়াটি নতুন নয়, বাংলাদেশ এবং বাঙ্গালী জাতীর স্বকীয় অবস্থান নিশ্চিতের পর থেকেই দেখা যাচ্ছে।তাঁর আগে অত্র ভূখন্ডকে পদানত রাখার নিমিত্তে তাঁদের বিভিন্ন কৌশল , সসস্ত্র অবস্থানও আমরা দেখেছি। বাঙ্গালী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর দৃড অবস্থানের কারনে তাঁরা মাত্র ২৩ বছরের মধ্যে পরাজিত হয়েছিল। সদ্য স্বাধীন দেশকে তাঁদের পদানত রাখার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সরকারের সমান্তরালে আর একটি সরকার কায়েমের লক্ষে বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা, এন,জি, ও, জরীপ সংস্থা, মানবাধিকার সংস্থা নামে কতগুলী সেবা ধর্মী তাঁবেদারী প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করে। তদীয় ধারার বড় একটি সংগঠন 'টি,আই,বি'। উল্লেখিত সংস্থার সদস্যবৃন্দ জম্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক বটে কিন্তু বসবাস সূত্রে বা তদীয় দেশের স্বার্থ্য রক্ষার পুরস্কার সূত্রে অন্য যে কোন উন্নত দেশের নাগরীকও বটে।
বাংলাদেশের বিশিষ্ট নাগরীকদের বাছাই করে তাঁরা তাঁদের দেশের নাগরীকত্ব দেয় বিনিময়ে তাঁদের স্বার্থ্য রক্ষার কাজ করান সাম্রাজ্যবাদি চক্র। আবার অনেক বিশিষ্ট নাগরীককে তাঁদের নিয়ন্ত্রিত বিশ্বসংস্থা সমূহের লোভনীয় পদে অধিষ্ঠিত করেন, অনেককে আন্তজাতিক বিভিন্ন উপাদি, উপঢৌকন দিয়ে আন্তজাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মানবে রুপান্তর করে নীজ দেশের স্বার্থ্য বিরুদ্ধ কাজে উৎসাহীত করেন। টি, আই বি নামক সংস্থাটি মূলত: সাম্রাজ্যবাদী চক্রের প্রতিষ্ঠিত একটি আন্তজাতিক সংস্থা। সাম্রাজ্যবাদি গোষ্টি সংস্থাটির মাধ্যমে স্বীয় সরকার সমূহকে তাঁদের পদানত রাখার কৌশল হিসেবে যখন যেমন তখন তেমন ভাবে ব্যাবহার করে থাকে। সামান্তবাদী ধারার বাহক ঐ সুশীল সমাজ বাংলাদেশকে মনে করে তাঁদের বুদ্ধিচর্চার উর্বর ভূমি,জনগনকে মনে করে তাঁদের ক্রিতদাস।
স্বাধীনতা পরবর্তী নতুন দেশের নতুন সরকারকে ব্যাতিব্যাস্ত করে তুলেছিল মিথ্যা গুজব, অবাস্তব নীতি, অনাদর্শিক তত্ব জনগনের মননে গেঁথে দিয়ে।তদ্রুপ নীতির কিছু পরিবর্তন পরিবর্ধন করে বর্তমানেও একই ধারাবাহিকতা তাঁরা অব্যাহত রাখার চেষ্টায় ব্রতি রয়েছেন। তাঁদের সকলেরই সম্মিলীত চেষ্টা বাংলাদেশের গুনেধরা পশ্চাদপদ সমাজকে যে কোন উপায় স্থবির রাখা। বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করা, জনগনকে তথ্য, প্রযুক্তি, বিজ্ঞান,শিক্ষা, আধুনিকতা থেকে দূরে রাখা।তাঁদের মধ্যে সকলেই কিন্তু উন্নত দেশের অধিবাসি অর্থ্যাৎ দ্বৈত নাগরীকত্বের সুযোগে আমেরিকা, বৃটেন, জাপান, জার্মানীর নাগরীকত্ব আগেই করায়ত্ব করে রেখেছেন।তাঁদের ছেলে মেয়েরা বাংলাদেশের পশ্চাদপদ শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষা গ্রহন করছে না, উন্নত দেশের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে। উন্নত দেশের স্বার্থরক্ষার পুরস্কার হিসেবে সেই সমস্ত দেশের নাগরীকত্ব সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বৃত্তি গ্রহন করে তাঁদের ছেলে মেয়েরা উন্নত আধুনিক শিক্ষায় ব্রতি রয়েছে। দ্বৈত নাগরীকত্বের অপসানটি সাম্রাজ্যবাদ এবং তাঁর দোসর অন্য দেশ সমূহ বহু আগেই তাঁদের দেশে সাংবিধানীকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে রেখেছেন। উক্ত আইনের সুযোগে তৃতীয় বিশ্বের দেশ সমূহের বিভিন্ন আকারে প্রকারে দেশদ্রোহী, অপরাধী, খুনীরা অনায়াসে সেই সমস্ত দেশে বসবাসের সূযোগ গ্রহন করে নীজদেশের বিরুদ্ধে চক্রান্তে লিপ্ত থাকার সুযোগ পায়।
বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার, অর্থনৈতিক সংস্কার, প্রসাশনিক সংস্কার তথা আধুনিক ও তথ্য ,প্রযুক্তি নির্ভর করার উদ্যোগ নিতে গেলে তাঁদের গাত্রদাহ শুরু হয়। উক্ত ধারার সংগঠিত শক্তি টি, আই, বি সাময়িক বিরতিতে বিভিন্ন বিষয়ে তাঁদের প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করে থাকেন। '৭৫ পরবর্তী সেনাশাষক, ফ্যাসিবাদি সরকার সমূহের শাষনকালে তাঁদের মূখে হরহামেশাই শুনা যেত গনতন্ত্রহীন সমাজে উন্নয়ন, অগ্রগতি, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় সংস্কার সম্ভব নয়। দেশের প্রতিপত্তিশীল, প্রতিতযসা বুদ্ধিজীবিদের মূখে এহেন গনতন্ত্রহীনতার সবক শুনে, আমার মত অনেকেই গনতন্ত্র উদ্ধারের সংগ্রামে সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়ে কাংক্ষীত গনতন্ত্র উদ্ধারে যথাসাধ্য অবদান রেখেছেন।
টি, আই, বি নামক বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিদ্যমান সংস্থাটির অন্যতম ব্যাক্তিত্ব "'সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা 'বেগম সুলতানা কামাল' । তিনি সহ অনেকেই ইদানিং তাঁদের বক্তব্যে বলতে শুনা যায়---"বর্তমান সময়ে বাংলা দেশের আকাশচুম্ভি উন্নয়ন, অগ্রগতি হলেও গনতন্ত্রের অনুপস্থীতি জনগন মেনে নিবে কিনা ভাববার সময় এসেছে"।আকারে ইঙ্গিতে গনতন্ত্রহীনতার কথাই তাঁদের বক্তব্যের মূল বিষয়বস্তু হিসেবে উঠে আসে। উক্ত সংস্থার প্রধানদের মধ্যে বেগম সুলতানা কামাল সহ অন্যান্নরা নি:সন্দেহে প্রতিষ্ঠিত বুদ্ধিজীবি এবং 'জৈষ্ঠ শুশীল সমাজের' আওতাভুক্ত। তাঁরা দৃশ্যমান উন্নয়ন, অগ্রগতিকে কোন প্রকারে অস্বীকার না করতে পেরে অদৃশ্যমান বা হাওয়াই গনতন্ত্রহীনতার অভিযোগে প্রতিনিয়ত সমালোচনার তীর সরকারের বিরুদ্ধে হামেশাই বর্ষন করে চলেছেন।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে গনতন্ত্রহীন সমাজে বা বর্তমান বাংলাদেশে উন্নয়ন অগ্রগতি কিভাবে সম্ভব হচ্ছে ? যাহা আদৌ হওয়া সম্ভব নয় তাহাই যদি চিরায়ত রীতি ভঙ্গ করে সম্ভব হয় তবে ধরে নেয়া যায়--" গনতন্ত্রের চর্চায় বা সংজ্ঞায় বড় রকমের ভুল নয়তো বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবিদের সংজ্ঞায় বড় রকমের ভূল নিহীত আছে।" গনতন্ত্রের সংজ্ঞায় ভুল যদি না থাকে আমাদের বুদ্ধিজীবিরা বিদেশী রাষ্ট্রের স্বার্থ্যরক্ষক বলতে কোন প্রকার দ্বিধা থাকার কথা নয়।
একটা দেশের বুদ্ধিজীবি সমাজ হচ্ছে সেই দেশের বিবেক।অন্যভাবে বলতে গেলে বলা যায় দেশ পরিচালনায় বুদ্ধিজীবিরাই পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করে থাকে। দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি, শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি অর্থ্যাৎ সুষ্ঠ সমাজ বিনির্মানের ক্ষেত্রে বুদ্ধিজীবিরাই তাঁদের সৃজনশীল মেধার সূচিন্তিত মতামত প্রকাশের মাধ্যমে সমাজ বা দেশ গঠনে সহযোগীতার ভূমিকা পালন করে থাকে। দেশের বুদ্ধিজীবি সমাজের বিবেকে যখন পঁচন ধরে তখন বুঝতে হবে ঐ সমাজ অবশ্বাম্ভাবি অসুস্থ্যতায় ভূগছে।
আমাদের বুদ্ধিজীবি সমাজের শুসীল শীষ্যদের একাংশ প্রতিনিয়ত 'উন্নয়ন অগ্রগতি'র চিত্রকে খাটো করে দেখানোর প্রানান্তকর চেষ্টায় ব্রতি রয়েছেন। মূরুব্বি বুদ্ধিজীবিগন উন্নয়ন অগ্রগতি স্বীকার করে গনতন্ত্রহীনতার কথা বলছেন। গুরু- শীর্ষের বক্তব্যে বৈপরীত্ত নি:সন্দেহে পুর্বের দীর্ঘ অপ-শাষনের পঁচনশীল সমাজের দুগন্ধ নিবারনের উপযুক্ত চিকিৎসা বর্তমান সরকারের তত্বাবধানে শুরু হয়েছে এবং সুচিকিৎসার কারনে সুস্থ্যতা অনেক দূর এগিয়ে গেছে। সরকারের উন্নয়ন, অগ্রগ্রগতির প্রানান্তকর চেষ্টা এবং গনতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিকতা দেয়ার নিয়ন্তর প্রচেষ্টার বিপরীতে বুদ্ধিজীবি সমাজের বক্তব্যের উল্লেখীত বৈপরিত্য সরকারের পক্ষে "মারাণাস্ত্র" হিসেবে ব্যাবহার সম্ভব ছিল। কিন্তু আমাদের 'মিডিয়া এবং আওয়ামী লীগের প্রচার সেল' বর্তমান সরকারের 'বিরুদ্ধবাদী প্রতিষ্ঠিত বুদ্ধিজীবিদের' নানা সময় দেয়া বক্তব্য সমূহ কোন সময় কোড করেনা বা তাঁদের বক্তব্যের ব্যাপারে পালটা কোন বক্তব্য জনগনের সামনে উপস্থিত করেনা।
এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই- "বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের শাষন ব্যবস্থাকে আন্তজাতিক মহল "সু-শাষন" হিসেবে চিহ্নিত করে সরকার 'প্রধান এবং সরকারের ভিতরে বিশেষ অবদান রাখা ব্যাক্তিবর্গ'কে আন্তজাতিক পুরষ্কারে ভুষিত করে 'স্বীকৃতি' দিয়ে প্রতিনিয়ত উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে।"অন্যদিকে সমালোচকদের মুখেও "ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্যাঁচিয়ে প্যাচিয়ে নানা কথার মারপ্যাঁচে স্বীকার করে নিতে বাধ্য হচ্ছেন অবশেষে--"অভাবনীয় উন্নয়ন, অগ্রগতি সাধিত হচ্ছে।"
" সম্মানীত পাঠকবর্গ দেশের"সু-শাষন" এবং "উন্নয়ন অগ্রগতি" দৃশ্যমান থাকাবস্থায় গনতন্ত্রের অনুপস্থীতি কিভাবে থাকে?উভয়ের প্রথম এবং প্রধান শর্তই হচ্ছে "গনতন্ত্র"। ইহা আমার বিশ্লেষন নয়--"রাজনীতি বিজ্ঞানের বিশ্লেষন।" আমাদের জেনে রাখা একান্ত প্রয়োজন যে-- "শুধুমাত্র নির্ভেজাল জাতীয় নির্বাচন একটি দেশের গনতন্ত্রের উপস্থীতি-অনুপস্থীতি নির্ণয়ের মুর্খ্য বিষয় নয়-'নির্বাচন অনুসঙ্গ মাত্র।' বিদ্যমান রাজনৈতিক দল সমূহের মধ্যে বৃহৎ বা ক্ষুদ্রাংশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নিলে গনতন্ত্রের শুন্যতা আছে "এইরুপ চিন্তা চেতনা ধারনকারিরা ষড়যন্ত্রের কীট মাত্র"। রাষ্ট্রের বহু অঙ্গ প্রত্যঙ্গের মধ্যে ''নির্বাচন ' একটি অনুষঙ্গ' মাত্র 'অঙ্গ বা প্রত্যঙ্গ' নয়।"
গনতান্ত্রিক দেশের "নির্বাচন ক্ষমতাবদলের চিরন্তন নিয়মাতান্ত্রিক পদ্ধতি - অস্বীকারের কোন উপায় নেই। কিন্তু "নির্বাচনে ভারসাম্য রক্ষার জন্য সমশক্তি সম্পন্ন রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব অপরিহায্য" ইহাও অস্বীকারের কোন উপায় নেই। বর্তমান সরকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সরকার।জাতির জনকের আদর্শে লালিত সংগঠন এবং তাঁরাই জৈষ্ঠকন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে।বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের লক্ষে দিবারাত্র পরিশ্রম করে দেশ ও জাতির জন্য জাতীয় ও আন্তজাতিক খ্যাতি অর্জনের মাধ্যমে 'জাতিকে মার্য্যদাবান-- -দেশকে উন্নয়ন অগ্রগতির' শীর্ষে নিয়ে যেতে প্রানান্তকর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
বাংলাদেশকে রাজনীতিশুন্য, রাজপথ শুন্য করার অপচেষ্টা স্বৈর শাষক, নির্বাচিত স্বৈর শাষকদের বহুবার জাতি লক্ষ করেছে। কিন্তু কোন প্রকারের স্বৈর শাষকের মনোবাঞ্চা আওয়ামীলীগের অসংখ্য নেতাকর্মীর বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে সম্ভব করতে পারেনি। বর্তমান সময়ে ক্ষমতাসীন সরকারের কোনপ্রকার চেষ্টা ব্যাতিরেকে সরকার বিরুধী দল ও গোষ্টি সমূহের অপরাজনীতির কারনে রাজপথ, রাজনীতি শুন্যবস্থা বিরাজমান থাকা সত্বেও গনতন্ত্রের মানসকন্যা, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা নিজকে গনতন্ত্রের অভিযাত্রায় রেখেছেন সুদৃড। দল এবং সরকারের সর্বত্র গনতন্ত্রিক চর্চা অব্যাহত রাখার প্রানান্তকর চেষ্টা অব্যাহত গতিতে চালিয়ে যাচ্ছেন।উন্নয়ন, অগ্রগতির চলমান ধারা অব্যাহত রাখার নিমিত্তে তাঁর সর্বপ্রকার প্রচেষ্টা নিশ্চয়ই আগামী দিনের ইতিহাস হয়ে থাকবে।
কুচক্রিমহলের নিয়ন্তর শত ষড়যন্ত্রের মধ্যে এবং দলের অভ্যন্তরে লুকানো মীরজাপরদের ষড়যন্ত্র সত্বেও শেখ হাসিনাকে তাঁর পিতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শচ্যুত করতে পারেনি। শেখ হাসিনার একমাত্র পুত্র সরকারের প্রধানমন্ত্রীর "অবৈতনিক উপদেষ্টা" সজীব ওয়াজেদ (জয়)ও ইতিমধ্যে জাতির জন্য নিয়ে এসেছেন "সুশাষনের ক্ষেত্রে তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহার' এর উপর 'প্রথম প্রবর্তন করা আন্তজাতিক বিরল স্বীকৃতি'।এর চেয়ে বিরল সম্মান আর কি হ'তে পারে?
জাতি হিসেবে আমরা এতই অকৃতজ্ঞ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বাস করে মুজিব পরিবারের অসামন্য অবদান সমূহের মুল্যায়ন দুরের কথা--প্রত্যহ বিদেশী রাষ্ট্র ও সরকারের নানা বিষয় অবদান প্রসংঙ্গে মুল্যায়নের যথাযথ প্রচারেও প্রতিনিয়ত অবজ্ঞা আর অবহেলার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছি"।
ruhulaminmujumder27@gmail.com
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন