বিশ্বব্যাপি মানব ইতিহাসে ব্যাতিক্রমি জীবনাচারের অধিকারি একমাত্র "বঙ্গবন্ধু"।
রুহুল আমিন মজুমদার
সমসাময়িক বিশ্ব নেতাদের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর জম্ম থেকে মৃত্যুবদি বা একটা মানুষের জম্ম কালের আগে বা পরে সমগ্র ইতিহাস বিশ্লেষন করে হিসেব মেলাতে গেলে দেখা যায়---"তাঁর জীবনাচারের প্রত্যেকটি বিষয় অন্য সকলের চেয়ে ব্যাতিক্রম ও আলাদা। যেকোন ভাবেই চিন্তা করি না কেন--মানবজীবনের প্রতিটি বিষয়ের বৈশিষ্ট সম্পূর্ণ আলাদা, ব্যাতিক্রম, ভিন্নতা, তারতম্য প্রত্যেক ব্যাক্তির ক্ষেত্রে কিছুটা সামঞ্জস্য চোখে পড়ে কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ক্ষেত্রে বিষয়গুলীর বৈশিষ্ট সম্পূর্ণ আলাদাভাবে সকলের নিকট স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হবে।
যেমন---চলাফেরা, কথোপকথন, আচার-ব্যবহার , বক্তৃতার ধরন, বক্তব্যের ভাষা, বক্তব্যের দৃড়তা, মঞ্চে আরোহনের চিত্র, মাইকের সামনে দাঁড়ানোর ধরন, বক্তব্য শুরু ও শেষের ধরন, বক্তব্যের ভাষা, ভাষা ব্যবহারের নিপূনতা, বক্তব্যের বোধগম্যতা, দৃড়তাপূর্ণ চারিত্রিক বৈশিষ্ঠ, পোষাকের ভিন্নতা, কেশ বিন্যাসের ধরন, চশমা, চশমা চোখে দেয়ার ধরন, চশমা ধরার ধরন, তামাক ব্যবহার, তামাক ব্যবহার করার সময় পাইপ ধরার ধরন, পাইপ টানার ধরন, পোষাক নির্বাচন, পোষাক পরিধানের ভিন্নতা, শারিরীক গঠন, চেহারাগত ভিন্নতা, দৃষ্টি নিবন্ধনের সৌন্দয্য, হাঁটা চলার বৈশিষ্ট, কথা বলার ধরন, কথার দৃড়তা, পারিবারিক জীবনাচার, রাজনৈতিক জীবনাচার, কর্মীদের প্রতি ব্যবহার, সহপাঠিদের সংঙ্গে আচরন এবং কি নিত্য নৈমত্তিক খাওয়াদাওয়ার ধরন সহ ইত্যকার দৈনন্দিন সর্ব বিষয় ব্যাতিক্রম লক্ষনীয়।
উপরে উল্লেখীত--অনুল্লোখ্যীত কোন একটি বিষয় বা বিষয়ের কিঞ্চিৎ পরিমাণ সমসায়িক কালের আগে বা পরের কোন ব্যাক্তি বিশেষকে অনূকরন, অনূসরন করার দৃষ্টান্ত তাঁর সামগ্রিক জীবন যাপনে খুঁজে পাওয়া যায় না। বরঞ্চ তাঁর চারিত্রিক এবং বহিরাগত বহুবিদ বিষয়াদি সমূহের মধ্যে অনেকেই আংশিক বা সম্পূর্ণ অনূকরন, অনুসরন, নকল করার দৃষ্টান্ত প্রতিনিয়ত আমরা সকলেই দেখি। বঙ্গবন্ধুর শৈশব, যৌবন, মধ্যবয়সের জীবন যাপন, সংগ্রামী জীবন, নেতৃত্বের ধরন, নেতৃত্ব করায়ত্ব করার কৌশল, নেতৃত্বের স্পষ্টতা, রাজনীতিতে পদার্পনের সময়কাল, রাজনীতির হাতে খড়ি, রাজনীতিতে বড়মাপের নেতাদের সান্নিধ্য লাভ, রাজনীতিতে নিজস্ব দর্শনে কর্মীদের উদ্ভোদ্ধকরন, দর্শন অনূসরনে অন্যদের অনুপ্রানিতকরন ইত্যাদি সর্বৈব বিষয় পার্থক্য--'খোলা চোখে দৃশ্যমান'।
সৃষ্টির আদিকাল থেকে (নবী করিম (স:) ব্যাতিত)--একজন রাষ্ট্রনায়কও খোঁজে পাওয়া যাবেনা; যিনি নিজস্ব দর্শন সৃষ্টি করেছেন এবং সেই দর্শন বাস্তবায়নের নিমিত্তে সার্বভৌম রাষ্ট্রের প্রয়োজনীতা অনুভব করেছিলেন। সেই একক জাতি সত্বা বিশিষ্ট রাষ্ট্রের উদ্ভব ঘটিয়ে--সেই রাষ্ট্র নিজেই শাষন করার কিঞ্চিৎ সুযোগ পেয়েছেন। এমন কোন রাষ্ট্রপিতাও নেই যিনি তাঁর রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে বহু জাতিসত্বার অস্তিত্ব থাকাবস্থায় নীজস্ব একক জাতিসত্বার উম্মেষ ঘটিয়ে সেই জাতির উম্মেষদাতা হ'তে পেরেছেন। লক্ষ করলে দেখা যায় প্রত্যেক রাষ্ট্রপিতার শাষিত রাষ্ট্রে বহুধা বিভক্ত জাতিসত্বার অস্তিত্ব বিরাজমান ছিল। প্রত্যেক রাষ্ট্রপিতাই অবলিলায় ভিন্ন ভিন্ন জাতির অস্তিত্ব স্বীকার করে সেই রাষ্ট্রের "রাষ্ট্রপিতায়" অধিষ্ঠিত হয়েছেন। একমাত্র বঙ্গবন্ধু তাঁর সৃষ্ট রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে অতি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জাতিসত্বার উপস্থীতি থাকা সত্বেও তাঁদের অস্তিত্ব সাংবিধানিকভাবে স্বীকার নাকরে একক "বাঙ্গালী জাতির পিতা" এবং নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের সৃষ্টিকারি বা পত্তনকারি হিসেবে "রাষ্ট্রপিতা'' হতে পেরেছিলেন। তিনিই একমাত্র ব্যাক্তি কোন প্রকার লুকোচুরি করে নয় প্রকাশ্য 'বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ' প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামে বিজয়ী হয়েই তিনি অন্যান্ন জায়িসত্বার অস্তিত্ব অস্বিকার করে বাঙ্গালীদের স্বতন্ত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। উল্লেখীত দু'টি উল্লেখযোগ্য সূক্ষ স্বতন্ত্র বৈশিষ্টের অধিকারির একমাত্র বিশ্ব ইতিহাসের পাতায় ব্যাতিক্রম স্থানটির অধিকারি "বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান"।
বিশ্ব ইতিহাসে এমন একটি নজির নেই--প্রথাগত একটি গনতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের কর্মীবাহিনীকে তৎক্ষনাৎ বিপ্লবী স্বসস্ত্র বাহিনীতে রুপান্তর করে সম্মুখ সমরে লিপ্ত হ'তে পেরেছে এবং কি স্বল্পসময়ের যুদ্ধে বিজয় চিনিয়ে আনতে পেরেছে। বিশ্বব্যাপি যতগুলী স্বাধীন রাষ্ট্রের উৎপত্তির ইতিহাস বিদ্যমান রয়েছে সবগুলির স্বাধীনতার ইতিহাস বিনা রক্তপাতে রাজনৈতিক আন্দোলন অথবা রক্তাক্ত বিপ্লবী স্বসস্ত্র কর্মীবাহিনীর দীর্ঘদিনের যুদ্ধে উৎপত্তির ফসল।একমাত্র ব্যাতিক্রম দেশের ক্ষেত্রে "বাংলাদেশ", দলের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভ্যুদ্বয়কারি একমাত্র গনতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল "বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ", নেতৃত্বের ক্ষেত্রে "বঙ্গবন্ধু"ই বিরল দৃষ্টান্তের অধিকারি।
তাবৎ বিশ্ব ইতিহাসে রাষ্ট্রসৃষ্টির এমন কোন একটি উদাহরণ নেই -- যে রাষ্ট্র সৃষ্টি বা স্বাধীনতার জন্যে এত রক্ত স্বল্পসময়ে বিসর্জন দিয়েছে। এখানেও একমাত্র অবিশ্বাস্য ব্যাতিক্রম বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের আকাংক্ষায় পরিচালিত দীর্ঘ সংগ্রাম শেষে অনিবায্য গৌরবের "মুক্তিযুদ্ধ"। এই যুদ্ধে নিজের স্ব-জাতী "মা-বোন"কে শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্বার্থ্যসিদ্ধির নিমিত্তে "বিজাতীয় সেনা"দের 'যৌন লিস্পা' নিবারনের জন্যে তুলে দিয়েছে--''তথাকথিত স্বাধীনতা বিরুধী মুষ্টিমেয় বাঙ্গালী কুলংঙ্গার "আলবদর, রাজাকার"।
বিশ্ব ইতিহাস তন্নতন্ন করে খুঁজে পাওয়া যাবেনা--স্বাধীনতা যুদ্ধ ফেরৎ কোন স্বাধীনতা যোদ্ধা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা লাভ করে সেই দেশের স্বাধীনতা বিরুধী রাজাকারদের বিচার প্রক্রিয়া বাতিল করেছে এবং তাঁদেরকে স্বাধীন দেশের সরকার পরিচালনার সুযোগ দিয়েছে। এমন একটি উদাহরণও নেই কোন স্বাধীনতাকামী সেনা কর্মকর্তার পরিবার পূর্ব পরিচিত শত্রুসেনাদের হেফাজতে রাজকীয় পরিবেশে বসবাস করতে পেরেছে।একমাত্র ব্যাতিক্রম মুক্তিযুদ্ধের "জেড ফোর্সে"র অধিনায়ক বীর উত্তম মেজর "জিয়াউর রহমান"। তাছাড়াও উক্ত সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের নয়মাস বহাল তবিয়তে শত্রু সেনানিবাসে বসবাস করা সত্বেও তিনি ফায়ারিং স্কোয়ার্ড়ের সম্মুখ্যিন হননি বরঞ্চ বীরদর্পে মুক্তিবাহিনীর একটি সেক্টর কমান্ডের "কমান্ড" দেয়ার অধিকারি হ'তে পেরেছিলেন। তাঁর স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া শত্রু সেনানিবাসে দীর্ঘ নয়মাস মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন পূরো সময়কাল বসবাস করা সত্বেও অন্য "মা-বোনে''র মত "বিরঙ্গনা"র জাতিয় অত্যান্ত সম্মানীত উপাধি গ্রহন করেননি। তাবৎ বিশ্বে একটি উদাহরনও নেই-- কোন দেশের স্বাধীনতার মহানায়ক কতৃক যুদ্ধকালিন এবং তৎপরবর্তী সময়ে সম্পূর্ণ ইতিহাস জানা সত্বেও এমন একজন সেনা কর্মকর্তাকে ফাঁসিতে অথবা ফায়ারিং স্কোয়ার্ড়ে নির্মমভাবে হত্যা করে বেঈমানীর শাস্তি নিশ্চিত করেননি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহানায়কের ক্ষেত্রে এখানেও অবিশ্বাস্য এবং ব্যাতিক্রমি উদাহরন স্থাপিত হয়েছে। উক্ত সেনা কর্মকর্তার চাকুরি নিশ্চিত তো করেছেন-ই, উপরন্ত চাকুরি বনাঢ্য ও সম্মানজনক করার নিমিত্তে নিয়মিত বাহিনীতে নতুন পদ সৃষ্টি করেছেন এবং সেখানেই তাঁকে অধিষ্ঠিত করে পুরস্কৃত করেছেন। তাঁর ধর্ষিতা স্ত্রীকে নীজের আপন "মেয়ের" স্বীকৃতি দিয়ে বিরল এক বদন্যতার ইতিহাস রচনা করেছেন বিশ্ব ইতিহাসে একমাত্র "বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান।"
সর্বশেষ বঙ্গবন্ধুর অকাল প্রয়ানকেও যদি বিশ্লেষন করি দেখা যায়--বিশ্ব ইতিহাসে একটি উদাহরণ পাওয়া যায়না স্ব-জাতির হাতে সেই দেশের স্বাধীনতার মহানায়কের নির্মম নিষ্ঠুর ভাবে সম্পূর্ণ পরিবার সহ এক রাতেই হত্যার শিকার হয়েছে। মৃত্যু, হত্যা, আত্মহত্যা, গুপ্তহত্যা ইত্যাদি বহু হত্যার ইতিহাস রয়েছে। তবে সেই সমস্ত হত্যাকান্ডগুলী ঘটেছে একক ভাবে বা কতক অনুসারী সহ।কোন রাষ্ট্র নায়কের সম্পূর্ণ পরিবার ধ্বংসের ইতিহাস কোথাও, কোন সময়ে, কস্মিনকালেও নেই--স্বাধীনতার মহানায়কের ন্যায় স্বল্পসংখ্যক মহামানবের ক্ষেত্রে তো নহে-ই। মানব ইতিহাসের অবিশ্বাস্য ব্যাতিক্রমি, কলংক জনক আধ্যায়ের জম্ম শুধুমাত্র বাংলাদেশেই হয়েছে।
এই করুন, মর্মান্তিক, হৃদয়বিদারক, ইতিহাসের বিরল হত্যাযজ্ঞে অকাল মৃত্যুবরন করেছেন--"একমাত্র বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা, মহানায়ক, বাঙ্গালী জাতির জনক, বাঙ্গালী জাতিয়তাবোধের উম্মেষদাতা, বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী,বাংলাদেশ সরকারের প্রথম রাষ্ট্রনায়ক--'বঙ্গবন্ধু "শেখ মজিবুর রহমান'।"
"জয়বাংলা---জয়বঙ্গবন্ধু"
রুহুল আমিন মজুমদার
সমসাময়িক বিশ্ব নেতাদের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর জম্ম থেকে মৃত্যুবদি বা একটা মানুষের জম্ম কালের আগে বা পরে সমগ্র ইতিহাস বিশ্লেষন করে হিসেব মেলাতে গেলে দেখা যায়---"তাঁর জীবনাচারের প্রত্যেকটি বিষয় অন্য সকলের চেয়ে ব্যাতিক্রম ও আলাদা। যেকোন ভাবেই চিন্তা করি না কেন--মানবজীবনের প্রতিটি বিষয়ের বৈশিষ্ট সম্পূর্ণ আলাদা, ব্যাতিক্রম, ভিন্নতা, তারতম্য প্রত্যেক ব্যাক্তির ক্ষেত্রে কিছুটা সামঞ্জস্য চোখে পড়ে কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ক্ষেত্রে বিষয়গুলীর বৈশিষ্ট সম্পূর্ণ আলাদাভাবে সকলের নিকট স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হবে।
যেমন---চলাফেরা, কথোপকথন, আচার-ব্যবহার , বক্তৃতার ধরন, বক্তব্যের ভাষা, বক্তব্যের দৃড়তা, মঞ্চে আরোহনের চিত্র, মাইকের সামনে দাঁড়ানোর ধরন, বক্তব্য শুরু ও শেষের ধরন, বক্তব্যের ভাষা, ভাষা ব্যবহারের নিপূনতা, বক্তব্যের বোধগম্যতা, দৃড়তাপূর্ণ চারিত্রিক বৈশিষ্ঠ, পোষাকের ভিন্নতা, কেশ বিন্যাসের ধরন, চশমা, চশমা চোখে দেয়ার ধরন, চশমা ধরার ধরন, তামাক ব্যবহার, তামাক ব্যবহার করার সময় পাইপ ধরার ধরন, পাইপ টানার ধরন, পোষাক নির্বাচন, পোষাক পরিধানের ভিন্নতা, শারিরীক গঠন, চেহারাগত ভিন্নতা, দৃষ্টি নিবন্ধনের সৌন্দয্য, হাঁটা চলার বৈশিষ্ট, কথা বলার ধরন, কথার দৃড়তা, পারিবারিক জীবনাচার, রাজনৈতিক জীবনাচার, কর্মীদের প্রতি ব্যবহার, সহপাঠিদের সংঙ্গে আচরন এবং কি নিত্য নৈমত্তিক খাওয়াদাওয়ার ধরন সহ ইত্যকার দৈনন্দিন সর্ব বিষয় ব্যাতিক্রম লক্ষনীয়।
উপরে উল্লেখীত--অনুল্লোখ্যীত কোন একটি বিষয় বা বিষয়ের কিঞ্চিৎ পরিমাণ সমসায়িক কালের আগে বা পরের কোন ব্যাক্তি বিশেষকে অনূকরন, অনূসরন করার দৃষ্টান্ত তাঁর সামগ্রিক জীবন যাপনে খুঁজে পাওয়া যায় না। বরঞ্চ তাঁর চারিত্রিক এবং বহিরাগত বহুবিদ বিষয়াদি সমূহের মধ্যে অনেকেই আংশিক বা সম্পূর্ণ অনূকরন, অনুসরন, নকল করার দৃষ্টান্ত প্রতিনিয়ত আমরা সকলেই দেখি। বঙ্গবন্ধুর শৈশব, যৌবন, মধ্যবয়সের জীবন যাপন, সংগ্রামী জীবন, নেতৃত্বের ধরন, নেতৃত্ব করায়ত্ব করার কৌশল, নেতৃত্বের স্পষ্টতা, রাজনীতিতে পদার্পনের সময়কাল, রাজনীতির হাতে খড়ি, রাজনীতিতে বড়মাপের নেতাদের সান্নিধ্য লাভ, রাজনীতিতে নিজস্ব দর্শনে কর্মীদের উদ্ভোদ্ধকরন, দর্শন অনূসরনে অন্যদের অনুপ্রানিতকরন ইত্যাদি সর্বৈব বিষয় পার্থক্য--'খোলা চোখে দৃশ্যমান'।
সৃষ্টির আদিকাল থেকে (নবী করিম (স:) ব্যাতিত)--একজন রাষ্ট্রনায়কও খোঁজে পাওয়া যাবেনা; যিনি নিজস্ব দর্শন সৃষ্টি করেছেন এবং সেই দর্শন বাস্তবায়নের নিমিত্তে সার্বভৌম রাষ্ট্রের প্রয়োজনীতা অনুভব করেছিলেন। সেই একক জাতি সত্বা বিশিষ্ট রাষ্ট্রের উদ্ভব ঘটিয়ে--সেই রাষ্ট্র নিজেই শাষন করার কিঞ্চিৎ সুযোগ পেয়েছেন। এমন কোন রাষ্ট্রপিতাও নেই যিনি তাঁর রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে বহু জাতিসত্বার অস্তিত্ব থাকাবস্থায় নীজস্ব একক জাতিসত্বার উম্মেষ ঘটিয়ে সেই জাতির উম্মেষদাতা হ'তে পেরেছেন। লক্ষ করলে দেখা যায় প্রত্যেক রাষ্ট্রপিতার শাষিত রাষ্ট্রে বহুধা বিভক্ত জাতিসত্বার অস্তিত্ব বিরাজমান ছিল। প্রত্যেক রাষ্ট্রপিতাই অবলিলায় ভিন্ন ভিন্ন জাতির অস্তিত্ব স্বীকার করে সেই রাষ্ট্রের "রাষ্ট্রপিতায়" অধিষ্ঠিত হয়েছেন। একমাত্র বঙ্গবন্ধু তাঁর সৃষ্ট রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে অতি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জাতিসত্বার উপস্থীতি থাকা সত্বেও তাঁদের অস্তিত্ব সাংবিধানিকভাবে স্বীকার নাকরে একক "বাঙ্গালী জাতির পিতা" এবং নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের সৃষ্টিকারি বা পত্তনকারি হিসেবে "রাষ্ট্রপিতা'' হতে পেরেছিলেন। তিনিই একমাত্র ব্যাক্তি কোন প্রকার লুকোচুরি করে নয় প্রকাশ্য 'বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ' প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামে বিজয়ী হয়েই তিনি অন্যান্ন জায়িসত্বার অস্তিত্ব অস্বিকার করে বাঙ্গালীদের স্বতন্ত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। উল্লেখীত দু'টি উল্লেখযোগ্য সূক্ষ স্বতন্ত্র বৈশিষ্টের অধিকারির একমাত্র বিশ্ব ইতিহাসের পাতায় ব্যাতিক্রম স্থানটির অধিকারি "বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান"।
বিশ্ব ইতিহাসে এমন একটি নজির নেই--প্রথাগত একটি গনতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের কর্মীবাহিনীকে তৎক্ষনাৎ বিপ্লবী স্বসস্ত্র বাহিনীতে রুপান্তর করে সম্মুখ সমরে লিপ্ত হ'তে পেরেছে এবং কি স্বল্পসময়ের যুদ্ধে বিজয় চিনিয়ে আনতে পেরেছে। বিশ্বব্যাপি যতগুলী স্বাধীন রাষ্ট্রের উৎপত্তির ইতিহাস বিদ্যমান রয়েছে সবগুলির স্বাধীনতার ইতিহাস বিনা রক্তপাতে রাজনৈতিক আন্দোলন অথবা রক্তাক্ত বিপ্লবী স্বসস্ত্র কর্মীবাহিনীর দীর্ঘদিনের যুদ্ধে উৎপত্তির ফসল।একমাত্র ব্যাতিক্রম দেশের ক্ষেত্রে "বাংলাদেশ", দলের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভ্যুদ্বয়কারি একমাত্র গনতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল "বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ", নেতৃত্বের ক্ষেত্রে "বঙ্গবন্ধু"ই বিরল দৃষ্টান্তের অধিকারি।
তাবৎ বিশ্ব ইতিহাসে রাষ্ট্রসৃষ্টির এমন কোন একটি উদাহরণ নেই -- যে রাষ্ট্র সৃষ্টি বা স্বাধীনতার জন্যে এত রক্ত স্বল্পসময়ে বিসর্জন দিয়েছে। এখানেও একমাত্র অবিশ্বাস্য ব্যাতিক্রম বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের আকাংক্ষায় পরিচালিত দীর্ঘ সংগ্রাম শেষে অনিবায্য গৌরবের "মুক্তিযুদ্ধ"। এই যুদ্ধে নিজের স্ব-জাতী "মা-বোন"কে শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্বার্থ্যসিদ্ধির নিমিত্তে "বিজাতীয় সেনা"দের 'যৌন লিস্পা' নিবারনের জন্যে তুলে দিয়েছে--''তথাকথিত স্বাধীনতা বিরুধী মুষ্টিমেয় বাঙ্গালী কুলংঙ্গার "আলবদর, রাজাকার"।
বিশ্ব ইতিহাস তন্নতন্ন করে খুঁজে পাওয়া যাবেনা--স্বাধীনতা যুদ্ধ ফেরৎ কোন স্বাধীনতা যোদ্ধা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা লাভ করে সেই দেশের স্বাধীনতা বিরুধী রাজাকারদের বিচার প্রক্রিয়া বাতিল করেছে এবং তাঁদেরকে স্বাধীন দেশের সরকার পরিচালনার সুযোগ দিয়েছে। এমন একটি উদাহরণও নেই কোন স্বাধীনতাকামী সেনা কর্মকর্তার পরিবার পূর্ব পরিচিত শত্রুসেনাদের হেফাজতে রাজকীয় পরিবেশে বসবাস করতে পেরেছে।একমাত্র ব্যাতিক্রম মুক্তিযুদ্ধের "জেড ফোর্সে"র অধিনায়ক বীর উত্তম মেজর "জিয়াউর রহমান"। তাছাড়াও উক্ত সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের নয়মাস বহাল তবিয়তে শত্রু সেনানিবাসে বসবাস করা সত্বেও তিনি ফায়ারিং স্কোয়ার্ড়ের সম্মুখ্যিন হননি বরঞ্চ বীরদর্পে মুক্তিবাহিনীর একটি সেক্টর কমান্ডের "কমান্ড" দেয়ার অধিকারি হ'তে পেরেছিলেন। তাঁর স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া শত্রু সেনানিবাসে দীর্ঘ নয়মাস মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন পূরো সময়কাল বসবাস করা সত্বেও অন্য "মা-বোনে''র মত "বিরঙ্গনা"র জাতিয় অত্যান্ত সম্মানীত উপাধি গ্রহন করেননি। তাবৎ বিশ্বে একটি উদাহরনও নেই-- কোন দেশের স্বাধীনতার মহানায়ক কতৃক যুদ্ধকালিন এবং তৎপরবর্তী সময়ে সম্পূর্ণ ইতিহাস জানা সত্বেও এমন একজন সেনা কর্মকর্তাকে ফাঁসিতে অথবা ফায়ারিং স্কোয়ার্ড়ে নির্মমভাবে হত্যা করে বেঈমানীর শাস্তি নিশ্চিত করেননি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহানায়কের ক্ষেত্রে এখানেও অবিশ্বাস্য এবং ব্যাতিক্রমি উদাহরন স্থাপিত হয়েছে। উক্ত সেনা কর্মকর্তার চাকুরি নিশ্চিত তো করেছেন-ই, উপরন্ত চাকুরি বনাঢ্য ও সম্মানজনক করার নিমিত্তে নিয়মিত বাহিনীতে নতুন পদ সৃষ্টি করেছেন এবং সেখানেই তাঁকে অধিষ্ঠিত করে পুরস্কৃত করেছেন। তাঁর ধর্ষিতা স্ত্রীকে নীজের আপন "মেয়ের" স্বীকৃতি দিয়ে বিরল এক বদন্যতার ইতিহাস রচনা করেছেন বিশ্ব ইতিহাসে একমাত্র "বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান।"
সর্বশেষ বঙ্গবন্ধুর অকাল প্রয়ানকেও যদি বিশ্লেষন করি দেখা যায়--বিশ্ব ইতিহাসে একটি উদাহরণ পাওয়া যায়না স্ব-জাতির হাতে সেই দেশের স্বাধীনতার মহানায়কের নির্মম নিষ্ঠুর ভাবে সম্পূর্ণ পরিবার সহ এক রাতেই হত্যার শিকার হয়েছে। মৃত্যু, হত্যা, আত্মহত্যা, গুপ্তহত্যা ইত্যাদি বহু হত্যার ইতিহাস রয়েছে। তবে সেই সমস্ত হত্যাকান্ডগুলী ঘটেছে একক ভাবে বা কতক অনুসারী সহ।কোন রাষ্ট্র নায়কের সম্পূর্ণ পরিবার ধ্বংসের ইতিহাস কোথাও, কোন সময়ে, কস্মিনকালেও নেই--স্বাধীনতার মহানায়কের ন্যায় স্বল্পসংখ্যক মহামানবের ক্ষেত্রে তো নহে-ই। মানব ইতিহাসের অবিশ্বাস্য ব্যাতিক্রমি, কলংক জনক আধ্যায়ের জম্ম শুধুমাত্র বাংলাদেশেই হয়েছে।
এই করুন, মর্মান্তিক, হৃদয়বিদারক, ইতিহাসের বিরল হত্যাযজ্ঞে অকাল মৃত্যুবরন করেছেন--"একমাত্র বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা, মহানায়ক, বাঙ্গালী জাতির জনক, বাঙ্গালী জাতিয়তাবোধের উম্মেষদাতা, বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী,বাংলাদেশ সরকারের প্রথম রাষ্ট্রনায়ক--'বঙ্গবন্ধু "শেখ মজিবুর রহমান'।"
"জয়বাংলা---জয়বঙ্গবন্ধু"
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন