বিশ্বব্যাপি মানব ইতিহাসে ব্যাতিক্রমি জীবনাচারের অধিকারি একমাত্র "বঙ্গবন্ধু"।
রুহুল আমিন মজুমদার

       সমসাময়িক বিশ্ব নেতাদের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর জম্ম থেকে মৃত্যুবদি বা একটা মানুষের জম্ম কালের আগে বা পরে সমগ্র ইতিহাস বিশ্লেষন করে হিসেব মেলাতে গেলে দেখা যায়---"তাঁর জীবনাচারের প্রত্যেকটি বিষয় অন্য সকলের চেয়ে ব্যাতিক্রম ও  আলাদা। যেকোন ভাবেই চিন্তা করি না কেন--মানবজীবনের প্রতিটি বিষয়ের  বৈশিষ্ট সম্পূর্ণ আলাদা, ব্যাতিক্রম, ভিন্নতা, তারতম্য প্রত্যেক ব্যাক্তির ক্ষেত্রে কিছুটা সামঞ্জস্য চোখে পড়ে কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ক্ষেত্রে বিষয়গুলীর বৈশিষ্ট সম্পূর্ণ আলাদাভাবে সকলের  নিকট  স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হবে।

          যেমন---চলাফেরা, কথোপকথন, আচার-ব্যবহার , বক্তৃতার ধরন, বক্তব্যের ভাষা, বক্তব্যের দৃড়তা, মঞ্চে আরোহনের চিত্র, মাইকের সামনে দাঁড়ানোর ধরন, বক্তব্য শুরু ও শেষের ধরন, বক্তব্যের ভাষা, ভাষা ব্যবহারের নিপূনতা, বক্তব্যের বোধগম্যতা, দৃড়তাপূর্ণ  চারিত্রিক বৈশিষ্ঠ, পোষাকের ভিন্নতা, কেশ বিন্যাসের ধরন, চশমা,  চশমা চোখে দেয়ার ধরন, চশমা ধরার ধরন, তামাক ব্যবহার, তামাক ব্যবহার করার সময় পাইপ ধরার ধরন, পাইপ টানার ধরন,  পোষাক নির্বাচন, পোষাক পরিধানের ভিন্নতা, শারিরীক গঠন, চেহারাগত ভিন্নতা, দৃষ্টি নিবন্ধনের সৌন্দয্য, হাঁটা চলার বৈশিষ্ট, কথা বলার ধরন, কথার দৃড়তা,   পারিবারিক জীবনাচার, রাজনৈতিক জীবনাচার, কর্মীদের প্রতি ব্যবহার, সহপাঠিদের সংঙ্গে আচরন এবং কি নিত্য নৈমত্তিক খাওয়াদাওয়ার ধরন সহ ইত্যকার দৈনন্দিন সর্ব বিষয় ব্যাতিক্রম লক্ষনীয়।

       উপরে উল্লেখীত--অনুল্লোখ্যীত কোন একটি বিষয় বা বিষয়ের কিঞ্চিৎ পরিমাণ সমসায়িক কালের আগে বা পরের কোন ব্যাক্তি বিশেষকে অনূকরন, অনূসরন করার দৃষ্টান্ত তাঁর সামগ্রিক জীবন যাপনে খুঁজে পাওয়া যায় না। বরঞ্চ তাঁর চারিত্রিক এবং বহিরাগত বহুবিদ বিষয়াদি সমূহের মধ্যে অনেকেই আংশিক বা সম্পূর্ণ অনূকরন, অনুসরন, নকল করার দৃষ্টান্ত প্রতিনিয়ত আমরা সকলেই দেখি। বঙ্গবন্ধুর শৈশব, যৌবন, মধ্যবয়সের জীবন যাপন, সংগ্রামী জীবন, নেতৃত্বের ধরন, নেতৃত্ব করায়ত্ব করার কৌশল, নেতৃত্বের স্পষ্টতা, রাজনীতিতে পদার্পনের সময়কাল, রাজনীতির হাতে খড়ি, রাজনীতিতে বড়মাপের নেতাদের সান্নিধ্য লাভ, রাজনীতিতে নিজস্ব দর্শনে কর্মীদের উদ্ভোদ্ধকরন, দর্শন অনূসরনে অন্যদের অনুপ্রানিতকরন ইত্যাদি সর্বৈব বিষয় পার্থক্য--'খোলা চোখে দৃশ্যমান'।

    সৃষ্টির আদিকাল থেকে (নবী করিম (স:) ব্যাতিত)--একজন রাষ্ট্রনায়কও খোঁজে পাওয়া যাবেনা; যিনি নিজস্ব দর্শন সৃষ্টি করেছেন এবং সেই দর্শন বাস্তবায়নের নিমিত্তে সার্বভৌম রাষ্ট্রের প্রয়োজনীতা অনুভব করেছিলেন। সেই  একক জাতি সত্বা বিশিষ্ট রাষ্ট্রের উদ্ভব ঘটিয়ে--সেই রাষ্ট্র নিজেই শাষন করার কিঞ্চিৎ সুযোগ পেয়েছেন। এমন কোন রাষ্ট্রপিতাও নেই যিনি তাঁর রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে বহু জাতিসত্বার অস্তিত্ব থাকাবস্থায় নীজস্ব একক জাতিসত্বার উম্মেষ ঘটিয়ে সেই জাতির উম্মেষদাতা হ'তে পেরেছেন। লক্ষ করলে দেখা যায় প্রত্যেক রাষ্ট্রপিতার শাষিত রাষ্ট্রে বহুধা বিভক্ত জাতিসত্বার অস্তিত্ব বিরাজমান ছিল। প্রত্যেক রাষ্ট্রপিতাই অবলিলায় ভিন্ন ভিন্ন জাতির অস্তিত্ব স্বীকার করে সেই রাষ্ট্রের "রাষ্ট্রপিতায়" অধিষ্ঠিত হয়েছেন। একমাত্র বঙ্গবন্ধু তাঁর সৃষ্ট রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে অতি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র  জাতিসত্বার উপস্থীতি থাকা সত্বেও তাঁদের অস্তিত্ব সাংবিধানিকভাবে স্বীকার নাকরে একক "বাঙ্গালী জাতির পিতা" এবং নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের সৃষ্টিকারি বা পত্তনকারি হিসেবে "রাষ্ট্রপিতা'' হতে পেরেছিলেন। তিনিই একমাত্র ব্যাক্তি কোন প্রকার লুকোচুরি করে নয় প্রকাশ্য 'বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ' প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামে বিজয়ী হয়েই তিনি অন্যান্ন জায়িসত্বার অস্তিত্ব অস্বিকার করে বাঙ্গালীদের স্বতন্ত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। উল্লেখীত দু'টি উল্লেখযোগ্য সূক্ষ স্বতন্ত্র বৈশিষ্টের অধিকারির একমাত্র বিশ্ব ইতিহাসের পাতায় ব্যাতিক্রম স্থানটির অধিকারি "বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান"।
 
    বিশ্ব ইতিহাসে এমন একটি নজির নেই--প্রথাগত একটি গনতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের কর্মীবাহিনীকে তৎক্ষনাৎ বিপ্লবী স্বসস্ত্র বাহিনীতে রুপান্তর করে সম্মুখ সমরে লিপ্ত হ'তে পেরেছে এবং কি স্বল্পসময়ের যুদ্ধে বিজয় চিনিয়ে আনতে পেরেছে। বিশ্বব্যাপি যতগুলী স্বাধীন রাষ্ট্রের উৎপত্তির ইতিহাস বিদ্যমান রয়েছে সবগুলির স্বাধীনতার ইতিহাস বিনা রক্তপাতে রাজনৈতিক আন্দোলন অথবা রক্তাক্ত বিপ্লবী স্বসস্ত্র কর্মীবাহিনীর দীর্ঘদিনের যুদ্ধে উৎপত্তির ফসল।একমাত্র ব্যাতিক্রম দেশের ক্ষেত্রে "বাংলাদেশ", দলের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভ্যুদ্বয়কারি একমাত্র গনতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল "বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ", নেতৃত্বের ক্ষেত্রে "বঙ্গবন্ধু"ই  বিরল দৃষ্টান্তের অধিকারি।

     তাবৎ  বিশ্ব ইতিহাসে  রাষ্ট্রসৃষ্টির এমন কোন একটি উদাহরণ নেই -- যে রাষ্ট্র সৃষ্টি বা স্বাধীনতার জন্যে এত রক্ত স্বল্পসময়ে বিসর্জন দিয়েছে। এখানেও  একমাত্র অবিশ্বাস্য ব্যাতিক্রম বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের আকাংক্ষায় পরিচালিত দীর্ঘ সংগ্রাম শেষে অনিবায্য গৌরবের "মুক্তিযুদ্ধ"। এই যুদ্ধে নিজের স্ব-জাতী "মা-বোন"কে শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্বার্থ্যসিদ্ধির নিমিত্তে "বিজাতীয় সেনা"দের 'যৌন লিস্পা' নিবারনের জন্যে তুলে দিয়েছে--''তথাকথিত স্বাধীনতা বিরুধী মুষ্টিমেয় বাঙ্গালী কুলংঙ্গার "আলবদর, রাজাকার"।

  বিশ্ব ইতিহাস তন্নতন্ন করে খুঁজে পাওয়া যাবেনা--স্বাধীনতা যুদ্ধ ফেরৎ কোন স্বাধীনতা যোদ্ধা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা লাভ করে সেই দেশের স্বাধীনতা বিরুধী রাজাকারদের বিচার প্রক্রিয়া বাতিল করেছে এবং  তাঁদেরকে স্বাধীন দেশের সরকার পরিচালনার সুযোগ দিয়েছে। এমন একটি উদাহরণও নেই কোন স্বাধীনতাকামী সেনা কর্মকর্তার পরিবার পূর্ব পরিচিত শত্রুসেনাদের হেফাজতে রাজকীয় পরিবেশে বসবাস করতে পেরেছে।একমাত্র ব্যাতিক্রম মুক্তিযুদ্ধের "জেড ফোর্সে"র অধিনায়ক বীর উত্তম মেজর "জিয়াউর রহমান"। তাছাড়াও উক্ত সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের নয়মাস বহাল তবিয়তে শত্রু সেনানিবাসে বসবাস করা সত্বেও তিনি ফায়ারিং স্কোয়ার্ড়ের সম্মুখ্যিন হননি বরঞ্চ বীরদর্পে মুক্তিবাহিনীর একটি সেক্টর কমান্ডের "কমান্ড" দেয়ার অধিকারি হ'তে পেরেছিলেন। তাঁর স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া শত্রু সেনানিবাসে দীর্ঘ নয়মাস মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন পূরো সময়কাল বসবাস করা সত্বেও অন্য "মা-বোনে''র মত "বিরঙ্গনা"র জাতিয় অত্যান্ত সম্মানীত উপাধি গ্রহন করেননি। তাবৎ বিশ্বে একটি উদাহরনও নেই-- কোন দেশের স্বাধীনতার মহানায়ক কতৃক যুদ্ধকালিন এবং তৎপরবর্তী সময়ে সম্পূর্ণ ইতিহাস জানা সত্বেও এমন একজন সেনা কর্মকর্তাকে ফাঁসিতে অথবা ফায়ারিং স্কোয়ার্ড়ে নির্মমভাবে হত্যা করে বেঈমানীর শাস্তি নিশ্চিত করেননি।

     বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহানায়কের ক্ষেত্রে এখানেও অবিশ্বাস্য এবং ব্যাতিক্রমি উদাহরন স্থাপিত হয়েছে। উক্ত সেনা কর্মকর্তার চাকুরি নিশ্চিত তো করেছেন-ই, উপরন্ত চাকুরি বনাঢ্য ও সম্মানজনক করার নিমিত্তে নিয়মিত বাহিনীতে নতুন পদ সৃষ্টি করেছেন এবং সেখানেই তাঁকে অধিষ্ঠিত করে পুরস্কৃত করেছেন। তাঁর ধর্ষিতা স্ত্রীকে নীজের আপন "মেয়ের" স্বীকৃতি দিয়ে বিরল এক বদন্যতার ইতিহাস রচনা করেছেন বিশ্ব ইতিহাসে একমাত্র "বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান।"

   সর্বশেষ বঙ্গবন্ধুর অকাল প্রয়ানকেও যদি বিশ্লেষন করি দেখা যায়--বিশ্ব ইতিহাসে একটি উদাহরণ পাওয়া যায়না স্ব-জাতির হাতে সেই দেশের স্বাধীনতার মহানায়কের  নির্মম নিষ্ঠুর ভাবে সম্পূর্ণ পরিবার সহ এক রাতেই হত্যার শিকার হয়েছে। মৃত্যু, হত্যা, আত্মহত্যা,  গুপ্তহত্যা ইত্যাদি বহু হত্যার ইতিহাস রয়েছে। তবে সেই সমস্ত হত্যাকান্ডগুলী ঘটেছে একক ভাবে বা কতক অনুসারী সহ।কোন রাষ্ট্র নায়কের সম্পূর্ণ পরিবার ধ্বংসের ইতিহাস কোথাও,  কোন সময়ে, কস্মিনকালেও নেই--স্বাধীনতার মহানায়কের ন্যায় স্বল্পসংখ্যক মহামানবের ক্ষেত্রে তো নহে-ই। মানব ইতিহাসের অবিশ্বাস্য ব্যাতিক্রমি, কলংক জনক আধ্যায়ের জম্ম শুধুমাত্র বাংলাদেশেই হয়েছে।

     এই করুন, মর্মান্তিক, হৃদয়বিদারক, ইতিহাসের  বিরল হত্যাযজ্ঞে অকাল  মৃত্যুবরন করেছেন--"একমাত্র বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা, মহানায়ক, বাঙ্গালী জাতির জনক, বাঙ্গালী জাতিয়তাবোধের উম্মেষদাতা, বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী,বাংলাদেশ সরকারের প্রথম রাষ্ট্রনায়ক--'বঙ্গবন্ধু "শেখ মজিবুর রহমান'।"

      "জয়বাংলা---জয়বঙ্গবন্ধু"

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা