নব্য জামায়াতি জঙ্গিদের মুলনীতি--মুসলিম হত্যা,নারী জঙ্গিদের সঙ্গে যৌন লীলা।

নব্য জামায়াতি জঙ্গীবাদের অন্যতম মুলনীতি---'মুসলিম হত্যা, নারীদের যৌনসঙ্গী করা"-----

___________________________________________________
____________________________________________________
  আমি একবার লিখেছিলাম-জামায়াতের মতাদর্শী ছাত্রী সংগঠন বিভিন্ন নামে ফ্যাক আইডি খুলে প্রগতিশীল সংগঠনের গ্রুপে বা ওয়েব পেইজে সদস্য হয়ে ছলনাময়ীর আশ্রয় গ্রহন করে। প্রথমে প্রেম প্রেম ভাব জমিয়ে চ্যাটিং আড্ডায় লিপ্ত হয়। প্রেমের গভীরতা অনুযায়ী ধীরে ধীরে আল্লাহ,কোরান, রাসুল ইত্যাদি ধর্মীয় দুর্বল দিক আলোচনা উত্থাপন করে মাথা ধোলাইয়ের কাজ আরাম্ভ করে।সফলতা বিফলতার উপর প্রেমের স্থায়িত্ব অনেকাংশে নির্ভর করে।তাছাড়াও তাঁরা এতই দুরদর্শী যে যদিও কুৎসীত হয় আলোচনায় কৌশলে বুঝিয়ে দিতে সক্ষম হয় যে সে অত্যান্ত সুন্দরী, পর্দানশীল এবং ধার্মীক।আমাদের দেশের বেশীরভাগ যুবক ঠিক এমন একটি মেয়েই মনে মনে কামনা করে।
  মানবতা বিরুধী বিচার কায্যক্রম শুরু হওয়ার পর জামায়াত বিএনপির কাঁধে ভর দিয়ে হঠকারী আন্দোলন শুরু করে এবং বিএনপিকেও বাধ্য করে আগুন সন্ত্রাসের মত মানবতা বিরুধী কর্মকান্ডে লিপ্ত হতে।উক্ত হঠকারী আন্দোলন ব্যার্থ্য হওয়ার পর সংগঠনটি রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আপাংতেয় হয়ে গুপ্ত হামলা,গুপ্ত হত্যা, জঙ্গি স্টাইলে ব্লগার হত্যা,তালিকা প্রনয়ন করে প্রগতিশীল লেখক, সাহিত্যিক, বিচারকদের হত্যার হুমকি ইত্যাদি দেশদ্রোহী কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়ে পড়ে।সরকারের কঠোর অবস্থানের কারনে তাও যখন কায্যকর ভুমিকা রাখতে পারছেনা তখনি বিভিন্ন জঙ্গী সংগঠনের নামে দুর্দস্য শীবির ক্যাডারেরা সংগঠন গড়ে তোলে।একপয্যায় মুল জঙ্গী সংগঠন আইএস এর এদেশীয় অনুসারীদের সঙ্গে তাঁদের যোগসাজস ঘটে।উভয় অনুসারীর সম্মিলীত প্রচেষ্টায় গড়ে উঠে শক্তিশালী জঙ্গী গোষ্ঠি হিজবুতে তাহেরীর,জামায়াতে মোজাহেদীন ইত্যাদি নানা নামের জঙ্গী গ্রুপ।
  এই ধারার সর্বশেষ সংযোজন নারী জঙ্গী গ্রুপ। জামায়াতের ছাত্রী সংগঠন ছাত্রী সংস্থা নারী জঙ্গী গ্রুপের মুল ভিত্তি।নারী জঙ্গী গ্রুপের সদস্যরা পুরুষ জঙ্গীদের যৌনসঙ্গীও বটে।পত্র পত্রিকার খবর এবং আইএস আই এর খপ্পর থেকে পালিয়ে আসা একাধিক নারী জঙ্গীর স্বীকারোক্তি থেকে যৌনদাসী সম্পর্কে বিশ্ববাসি প্রথম এই সম্পর্কিত বিষয় অবগত হয়।
 বাংলাদেশে গত কিছুদিন আগে ধৃত নারী জঙ্গীদের স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি এবং জামায়াতের আদর্শিক নেতা মাওলানা মৌদুদীর লেখা একাধিক বইতে ইসলামে 'যৌনদাসী প্রথা' সম্পর্কে ভয়ংকর অপব্যাখ্যা থেকে স্পষ্ট প্রমানীত হয়--ঐ মতের অনুসারী নারী জঙ্গীদের কেন তাঁদের দলে ভিড়িয়েছে এবং তাঁদের কাজই বা কি?

পত্রপত্রিকার ভভাষ্য অনুযায়ী--অপারেশন আজিমপুরে নাম আসা প্রিয়তি, শায়লা এবং আবিদার মতোই নিউ জেএমবির আরও ভয়ংকর ৮ নারী জঙ্গিকে নজরদারিতে আনা হয়েছে। র‌্যাবের গোয়েন্দারা ঈদের ছুটিতে তাদের সবার অবস্থান শনাক্ত করে কৌশলে নজরদারিতে আনতে সক্ষম হয়েছে।
আটজনের মধ্যে আছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থী। রয়েছে দু’জন চাকরিজীবীও। তারা সবাই ‘ব্লাড রোজ’ নামে একটি গ্রুপের সদস্য। এই গ্রুপের সদস্যরা ইন্টারনেটে নিজেদের মধ্যে কথিত আইএসের মতাদর্শগত বিভিন্ন অডিও-ভিডিও এবং প্রকাশনার তথ্য আদান-প্রদান করে। র‍্যাবের গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।
সম্প্রতি র‌্যাবের গোয়েন্দারা এক নারী চিকিৎসক ও মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে। তাদের কাছ থেকেই একটি তালিকা পাওয়া যায়। সে তালিকার আট জঙ্গি ঈদের ছুটিতে নিজের বাড়িতে ফিরে। আর তখনই তাদের নজরে আনে গোয়েন্দারা। এরা উচ্চশিক্ষিত নারী জঙ্গি।
র‌্যাব সূত্র জানায়, যাদের নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে তারা সবাই মিরপুর থানায় দায়ের করা একটি মামলার আসামি। এরা হল, তাসনুবা ওরফে তাহিরা, মাইমুনা ওরফে মাহমুদা ওরফে লায়লা, আলিয়া ওরফে তিন্নি ওরফে তিতলী, মনিরা জাহান ওরফে মিলি, ছাবিহা ওরফে মিতু, সাফিয়া ওরফে সানজিদা ওরফে ঝিনুক, দিনাত জাহান ওরফে নওমী ওরফে বাণী ও তানজিলা ওরফে মুন্নী। এরা সবাই কোড নামে সক্রিয় নতুন ধারার জেএমবিতে।
      র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার ডাক্তার ইসতিসনা আক্তার ঐশী, মানারাতের শিক্ষার্থী ও জামায়াতের পৃষ্ঠপোষকতায় গড়া ছাত্রী সংস্থার নেত্রী আকলিমা রহমান মনি, ইসরাত জাহান মৌ ও খাদিজা পারভীন মেঘলার সঙ্গে উল্লিখিত নারী জঙ্গিদের বন্ধুত্ব রয়েছে। তারা একে অপরের সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি সংক্রান্ত বৈঠকে বসত।
নজরদারিতে থাকা এক জঙ্গি অকপটে র‌্যাবের কাছে তথ্য দিয়ে স্বীকার করে, ছাত্রী সংস্থার নেত্রী রাবেয়া বিনতে আজহারের মাধ্যমে তারা বিভিন্ন স্থানে বৈঠকগুলোতে অংশ নেয়। তারা নিজেদের মধ্যে আইএসের দাবিক ম্যাগাজিন, অডিও-ভিডিও বার্তা, আইএস সংক্রান্ত নানা তথ্য আদান-প্রদান করত। আইএসের কর্মকাণ্ডে উদ্বুদ্ধ করতে ‘নিজ ফোরাম’ থাকা নারীদের ‘ছবক’ দিত। ওই নারী জঙ্গি আরও স্বীকার করে, তাদের দলের মেয়েরা বাংলা, আরবি, ইংরেজি ও হিন্দিসহ চারটি ভাষায় কথা বলতে পারে। এই দলের সাংগঠনিক নেত্রী রাবেয়া বিনতে আজাহার সবাইকে পাকিস্তানে সফরের দাওয়াত দিয়েছে বলেও তারা স্বীকার করেছে।
  চার নারী জঙ্গির মাধ্যমে তাদের দলের আরও কয়েকজনকে নজরদারিতে আনা হয়েছে। যে কোনো সময় তাদের গ্রেফতার করা হবে। নারী জঙ্গি নিয়ে র‌্যাবের কাছে আরও গুরুত্বপূর্ণ ও চাঞ্চল্যকর তথ্য রয়েছে বলে এক কর্মকর্তা ইঙ্গিত দিয়েছেন।এরই মধ্যে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে যৌনলীলা সম্পর্কীত অনৈসলামিক নানাহ কর্মকান্ড সম্পর্কে।পরকালে বেহেস্তের সহজ সুযোগের আশায় অনেক নারী জঙ্গী স্বেচ্ছায় পুরুষ জঙ্গীদের যৌনসঙ্গ দিতেও সার্বক্ষনীক প্রস্তুত থাকে বলে জানা গেছে।জোরপুর্বক 'যৌনসঙ্গী' করতেও পুরুষ জঙ্গীরা দ্বিধাবোধ করেনা-- এতে 'মাওলানা মওদুদীর' যৌনদাসী সম্পর্কীত 'ইসলামী প্রথার' অপব্যাখ্যার অপব্যবহারই প্রধান কারন বলে আমি মনে করি।

 এখানে একটি বিষয় লক্ষনীয় যে-."নারীদের জঙ্গি কিংবা যোদ্ধা হওয়া নিয়ে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএস বা আইসিসে মতভিন্নতা আছে। একটি মত হলো শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে নারীদের যেকোনো কাজে ব্যবহার। অপর মতটি হলো নারীদের আর যা-ই করা হোক, যোদ্ধা করা যাবে না। কেননা, নারী যোদ্ধার হাতে কেউ নিহত হলে তিনি বেহেশতে যেতে পারবেন না।"লক্ষ করুন-যৌনকাজে নারীদের ব্যবহারের মতবভিন্নতা কোন গ্রুপেই নেই।
ধর্মের নামধারী আইএস নারীদের কী চোখে দেখে--বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে তার বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যাচ্ছে। তারা নারীদের কোনো সম্মান বা মর্যাদা দেয় না; বরং কখনো মানবঢাল হিসেবে, কখনো যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। আইএস থেকে যেসব নারী পালিয়ে এসেছেন, তাঁরা যেসব বিবৃতি বা জবানবন্দি দিয়েছেন, তা যে কোন মুসলিমের গা শিউরে উঠবে। ধর্মের নামে মানুষ এত বড় অধর্মের কাজ করতে পারে কস্মিনকালেও ভাবা যায়না।
    প্রায় দুই দশক ধরে বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতা চললেও এ কাজে নারীদের ব্যবহার অতি সাম্প্রতিক ঘটনা। এর আগে পত্রিকায় পড়েছিলাম, বাংলাদেশের নাগরিক এবং বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বেশ কয়েকজন নারী মধ্যপ্রাচ্যে গিয়েছেন আইএসএ যোগ দিতে। তবে এই সংখ্যা ইউরোপ ও আমেরিকা থেকে যোগদানকারী নারীদের তুলনায় অনেক কম। বাংলাদেশ থেকে যাওয়া নারীদের কেউ কেউ সেখানে মারাও পড়েছেন বলে জানা যায়। সম্প্রতি এক চিকিৎসক সপরিবারে মধ্যপ্রাচ্যে গিয়েছেন বলে গণমাধ্যমে খবর এসেছে। সেই চিকিৎসকের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী, পুত্রবধূও গিয়েছেন। কিন্তু এই নারীদের কেউ স্বেচ্ছায় গিয়েছেন, তা ভাবার কারণ নেই। তাঁরা যখন বিয়ে করেন, তাঁদের স্বামীরা কেউ জঙ্গি ছিলেন না। বরং পরবর্তীকালে পুরুষ জঙ্গিদের পাল্লায় পড়েই তাঁদের কেউ কেউ জঙ্গি হয়েছেন বা হতে বাধ্য হয়েছেন।
রাজধানীর আজিমপুরে অভিযান পরিচালনাকারী পুলিশের ওপর নারী জঙ্গিরা ছুরি মেরে, বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে তাদের রুখতে চেষ্টা করেন বলে পুলিশের বরাত দিয়ে পত্রিকার খবরে বলা হয়। পুলিশের কাছে খবর ছিল, সেখানে মিরপুরের রূপনগরে পুলিশের অভিযানে নিহত মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী জেবুন্নাহার শিলাসহ কয়েকজন জঙ্গি আছেন। কিন্তু অভিযান শুরুর আগেই জেবুন্নাহার পালিয়ে যান। অভিযানে তাঁর সন্তান ও আহত অবস্থায় তিন নারী ধরা পড়েন।
   সন্ধ্যার দিকে পুলিশ অভিযান চালালে প্রথমে বাসায় অবস্থানকারী নারী-পুরুষ তাঁদের ওপর চড়াও হয়। এরপর পুলিশের আরও কয়েকটি ইউনিট সেখানে হামলা চালালে জঙ্গিরা আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকের ভাষ্য অনুযায়ী নিহত আবদুল করিম আত্মহত্যা করেছেন। তাঁর গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। পুলিশের অভিযানের সময় আহত তিন নারীর মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁর নাম খাদিজা। তাঁর মাথার পেছনে ধারালো অস্ত্রের কোপ আছে। অপর দুই নারী শারমিন ও শাহেলার অবস্থা স্থিতিশীল। শারমিনের পেটে ও হাতে গুলি ঢুকেছিল। অস্ত্রোপচার করে গুলি বের করা হয়েছে। তাঁরা সবাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। পুলিশ বলছে, নিহত ব্যক্তি এবং এই তিন নারী নব্য জেএমবির সদস্য। তাদের ধারণা, ওই বাসায় জাহিদের স্ত্রী জেবুন্নাহারও (শিলা) ছিলেন। বিপদ আঁচ করতে পেরে তিনি এক বছরের সন্তানকে নিয়ে কেটে পড়েছেন।
নিহত জঙ্গির আঙুলের ছাপ নিয়ে তা জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা গেছে, তাঁর নাম শমসেদ। বাবার নাম মোসলেহ উদ্দীন। বাড়ি রাজশাহীর বোয়ালিয়া উপজেলার মেহেরচণ্ডী গ্রামে। তাঁর সাংগঠনিক নাম আবদুল করিম। আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার হওয়া শাহেলা তাঁর স্ত্রী। অভিযানের সময় স্বামীর মতো শাহেলাও নিজেকে নিজে ছুরি দিয়ে আঘাত করেছেন। ওই বাসা থেকে উদ্ধার করা তিনটি শিশুর মধ্যে ১৩-১৪ বছরের ছেলেটি এই দম্পতির যমজ সন্তানের একটি।
 পত্রিকার খবর থেকে জানা যপায়- পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাসার বাসিন্দারা দরজা খুলে পুলিশের ওপর হামলা চালান। তাঁরা দুই পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে আহত করেন। হামলাকারীদের মধ্যে একজন নারী ছোরা হাতে পালানোর চেষ্টা করেন। একদল পুলিশ ওই নারীর পিছু নেয়। পুলিশের অন্য সদস্যরা ওই বাসার ভেতর অভিযান অব্যাহত রাখেন। এ সময় পুলিশের গুলিতে আবদুল করিম নিহত হন। বাসায় থাকা অপর দুই নারী সদস্য ছুরি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
এর আগে জঙ্গি আস্তানায় নারী সদস্যের সন্ধান পাওয়া গেলেও তাঁদের কেউ আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছেন, সে রকম কোনো তথ্য নেই। সে ক্ষেত্রে এটি বাংলাদেশে জঙ্গি হানার নতুন মাত্রা। আগে পুরুষ জঙ্গিরা পরিবার থেকে আলাদা হয়ে জঙ্গিবাদে দীক্ষা নিতেন, বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। এখনো পরিবারের নারী সদস্যদেরও এতে যুক্ত করছে। অর্থাৎ সমাজে তাঁরা ভালোভাবেই শিকড় গাড়ার চেষ্টা করছেন। সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, জঙ্গিদের কোনো সামাজিক ভিত্তি বা সমর্থন নেই। সাধারণ মানুষও তা-ই মনে করতেন। কিন্তু জঙ্গিরা যেভাবে গোটা পরিবারকে জঙ্গিবাদে দীক্ষিত করছেন, এখন নতুন করে সবকিছু ভাবা দরকার।
এর আগে গত ২৭ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় একটি বাড়ির তিনতলার একটি ফ্ল্যাটে অভিযানে কানাডাপ্রবাসী তামিম চৌধুরী ও তাঁর দুই সহযোগী নিহত হয়। গত ২৬ জুলাই কল্যাণপুরে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে নয়জন নিহত হন। সেখানে আহত অবস্থায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও কোনো নারী জঙ্গির হদিস পাওয়া যায়নি।
এর আগে বিএনপি আমলে শায়খ আবদুর রহমান ও ছিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাইসহ যেসব জঙ্গি ধরা পড়েছিলেন, তাঁদের কেউ কেউ পরিবার-পরিজন নিয়ে থাকলেও নারীদের অস্ত্রের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন, এমন প্রমাণ নেই। হতে পারে তাঁদের সামাজিক অবস্থান ও পড়াশোনা কম থাকার কারণে সেটি করতে তাঁরা সাহস পাননি। কিন্তু এখন সচ্ছল পরিবারের উচ্চশিক্ষিত মেধাবীরা জঙ্গি হয়ে উঠছেন এবং স্ত্রী ও সন্তানদের জঙ্গিবাদের তালিম দিচ্ছেন।
এ অবস্থায় কেবল ঝটিকা অভিযান চালিয়ে চিহ্নিত কয়েকজন জঙ্গিকে হত্যা করলেই সমস্যার সমাধান হবে না, তাঁদের পারিবারিক ও সামাজিক অবস্থান চিহ্নিত করে শিকড় উপড়ে ফেলার কাজেই মনোনিবেশ করতে হবে।
 এই মহুর্তে সর্বাজ্ঞে যাহা প্রয়োজন জঙ্গীবিস্তারের মুল চালিকা শক্তি পেইজবুক,ওয়েবপেইজে ছদ্ধনামে যে সমস্ত মেয়েরা কর্মকান্ড পরিচালনা করেছেন তাঁদের চিহ্নিত করা। ছাত্রী সংস্থার সদস্য কে কোথায় কি করছে খবর সংগ্রহ করতে হবে।
   ভালভাবে লক্ষ করলে দেখা যায়-যে সমস্ত পেইজবুক আইডি থেকে পর্ণছবি আপলোড দেয়া হয় ঐ সমস্ত আইডিতে সুন্দরী মেয়েদের ছবি সমেত কোরানের বিভিন্ন আয়াত,নামাজের উপযোগীতা, পর্দার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কীত গুরুত্বপুর্ন ধর্মীয় বিষয়াদিও প্রচার করা হয়।আবার ঐ সমস্ত আইডি থেকেই মসূলমানদের ঈমান আকীদা নষ্ট হওয়ার মত পোষ্টিংও দিতে দেখা যায়। যেমন--'সাঈদীকে চাঁদে দেখা যায়', 'কোরান অবমানননার বিভিন্ন ছবি সংবলিত দৃশ্য,' 'মুক্তিযোদ্ধার হাতে ভিক্ষার পাত্র' ইত্যাদি।
  আমি আগেও বলেছি এবং এখনও বলি-- এই ধারার মতাদর্শে বিশ্বাসীগন কোনক্রমেই ধর্মের অনুসারী নন,ধর্ম বিক্রয়কারি।ড. ইউনুছের প্রতি লক্ষ করুন- "সমকামীতাকে তিনি সমর্থন করেন এবং অবাধ যৌন মিলনেরও পক্ষে তিনি।আলেমেরা দাবী তুলেছেন তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে"- কিন্তু "তাঁর মাথার দাম নির্ণয় করেননি"(শতে হলেও জাত ভাইতো)।ধর্ম পালনের ধারেকাছে না থেকেও খালেদা জিয়া 'হেফাজতের ইমাম।'পর্ন পত্রিকার প্রকাশক নাস্তিকের সর্দার 'সফিক রেহমান ধর্মীয় গোষ্টির অন্যতম বুদ্ধিজীবি।'মুছের কারনে ঠোঁট দেখা যায়না', নামাজ রোজা কি ভুলেও কোনদিন চিন্তা করেনা', 'গনস্বাস্থের অধিপতি', 'অর্ধপাগল', আদালত কতৃক ঘোষিত 'রঙ হেডেড'--তিনিও ধর্মীয় গোষ্টির অন্যতম 'উপদেষ্টা'। ভুলেও মাদ্রাসার দরজা মাড়ায়নি- কলেজ, ইউনিভারসিটিতে লেখা পড়া করে সবাই "মাওলানা খেতাবে ভুষিত"। জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা সহ সবাই।অর্থাৎ এই শ্রেনীটি নীজেদের শ্রেনীস্বার্থ্য রক্ষার্থ্যে পারেনা-"এমন কোন কাজ আল্লাহর দুনিয়ায় নেই।" 'বলেনা এমন কোন কথা নেই।" "ধর্মের অপব্যাখ্যা দেয়না এমন কোন ক্ষেত্র নেই।" সব কিছুই তাঁদের স্বার্থনুযায়ী--যখন যেমন প্রয়োজন।

                  "জয়বাংলা------জয়বঙ্গবন্ধু"

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা