জামায়াতের নাম থেকে রাজনীতি সর্বত্রই শঠতা--নিষিদ্ধে বাঁধা কোথায়? ________________________________________________________________________ অনেকদিন থেকে কিছু লিখতে পারিনি নানাহ কারনে।অদ্য লিখতে বসে উপজিব্য বিষয় খুঁজতে গিয়ে মনের ভিতরে ভীতি এবং উৎকন্ঠার একটি গুরুত্বপুর্ণ বিষয় বারবার উঁকি দিয়ে জানান দিচ্ছে-"আমিই লেখার আবশ্যকীয় উপাদান"।আমাকে নিয়ে লেখ এবং ফ্যাসিষ্ট রাজনীতি থেকে সরলপ্রান ইসলাম ধর্মের অনুসারি এবং বাংলদেশকে রক্ষায় যৎকিঞ্চিত অবদান রাখার চেষ্টায় ব্রতি হও। যথোপযুক্ত নির্দেশনায় লেখায় ব্রতি হয়ে জামায়াতের উত্থান পর্বের শঠতা, রাজনৈতিক কর্মকান্ডে শঠতা, বাংলাদেশকে অদ্য পয্যন্ত স্বীকার না করেও রাজনীতি বহাল রাখা, ছাত্র সংগঠনের উৎপত্তি ও বিকাশ ইত্যাদি অনেকগুলী বিষয় মনের আঙ্গীনায় একত্রে জড়ো হয়ে "ট্রাফিক জ্যাম"করে দিয়েছে ভাবনা গুলীকে। সবগুলী বিষয় মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের জনমনে প্রতিনিয়ত দোলা দিয়ে যাচ্ছে-সময়মত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল সরকারে থেকেও কেন কোন রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হচ্ছেনা"? প্রশ্নটি ইতিমধ্যে সর্বস্তরে ঘুরপাক হয়ে উত্তরের সন্ধানে একাধিক গভেষনাগারে নিরিক্ষার বিষয়বস্তুতে পরিনত হয়েছে। 'জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ' পরবর্তীতে নাম পরিবর্তন করে 'বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম' (নির্বাচন কমিশনের কারনে) এবং তাঁদের রাজনীতি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে সরকার ধীরে চলনীতি গ্রহন করে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের জনগনের উৎকন্টা বাড়িয়ে দিচ্ছেন।উচ্চ আদলতের সুনির্দিষ্ট রায় এবং জনগনের ঐকান্তিক ইচ্ছা থাকা সত্বেও বিষয়টি সরকার তেমন জোরালোভাবে নিচ্ছেনা। ২০১৩ সালের ৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে ঐতিহাসিক রায় দেন আদালত। আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়ে সর্বস্তরের মানুষের দাবি ছিল, অবিলম্বে নিষিদ্ধ হোক জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি। কিন্তু এখনো দলটির রাজনীতি নিষিদ্ধ হয়নি। আমরা যারা ৭১ পরবর্তি স্কুল, কলেজ, ইউনিভারসিটিতে পড়ুয়া ছিলাম-তাঁরা দেখেছি শিবির নামক ফ্যসিষ্ট ছাত্র সংগঠনটির উত্থান এবং তাঁদের প্রলোভিত কর্ম তৎপরতা। স্বচক্ষে দেখা সেই সমস্ত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের নাগরীক বেশী বেশী উৎকন্ঠিত সরকারের প্রলম্ভিত জামায়াত শিবির নিষিদ্ধের কর্মতৎপরতায়। আমরা ভীত হয়ে পড়ি যখন মনে পড়ে শিবিরের কর্মী সংগ্রহের অভিনব প্রতারনা মুলক কর্মতৎপরতার মাধ্যমে কোমলমতি শিশু কিশোরদের মেধা ও মননে এবং তাঁদের ধ্যান ধারনায় ধর্মীয় অনুভুতিকে কাজে লাগিয়ে কৌশলে মগজ ধোলাইয়ের প্রক্রিয়া।যে প্রক্রিয়ায় শিশুদের অভিভাবকেরাও বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনা বা সুযোগ থাকেনা।কারন প্রশিক্ষিত শিবির ক্যাডারদের আচরনে অস্বাভাবিক নম্রতা শিশু কিশোরদের অভিভাবককেও তাৎক্ষনিক বিমুকদ্ধ করতে বেগ পেতে হয়না।চঞ্চল প্রকৃতির আদুরে ছেলেটি যখন মসজিদ মুখো হতে দেখা যায় তখন কোন অভিভাবকের ভাল না লেগে খারাপ লাগবে।ছেলটিকে যে ধর্মের নামে দিনে দিনে অ-ধর্মের দিকে টেনে নিচ্ছে ভদ্রবেশী মুখোশের অন্তরালে সঙ্গীয় ইবলিশ- সে বিবেচনা কয়জন অভিভাবকের মাথায় আসবে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাকিস্তানি হায়নাদের দোসর আলবদর-আলশামস ও রাজাকার বাহিনী তথা জমায়েতে ইসলামীর সকল অপকর্মের সহযোগী ছাত্র সংগঠনের নাম ছিল ইসলামী ছাত্র সংঘ। পরে ১৯৭৫ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবরের হত্যার পর জেনারেল জিয়ার ক্ষমতা গ্রহন করে জামায়েতের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় দুষিত ছাত্র সংগঠন 'ছাত্র সংঘের' নাম পরিবর্তন করে 'বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির' নামে ১৯৭৭ সালে এই সংগঠনটি পুরুজ্জিবিত করে। ১৯৭১ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ইসলামী ছাত্র সংঘ নামে সংগঠনটি বাঙ্গালী নিরীহ মা-বোনদের ধর্ষণ, সংখ্যালঘু তথা মুক্তি যুদ্ধে অংশগ্রহনকারীদের মা-বাবা, ভাইবোন সহ যুদ্ধে অংশ নেওয়া মুক্তিযুদ্ধাদের হত্যা, লুটপাট, ঘরবাড়ি জ্বালানো এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহনকারীদের ঠিকানা ও নানা তথ্য দেয়া ও নানা স্বাধীনতা বিরোধী কর্মকাণ্ডে অসামান্য অবদান রেখেছিল। ৭১’এ বুদ্ধিজীবী হত্যাযজ্ঞে তৎকালীন এই ছাত্র সংঘঠনটির সক্রিয় অংশগ্রহন ছিলো অসামান্য অবদান।১৯৭১ সালের ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রেখে ১৯৭৭’এ নতুন নামে অর্থাৎ “ নতুন বোতলে পুরোন মদ” এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে মাঠে নামে নতুন উদ্দমে “ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির"।মানব সভ্যতাকে ভুলুন্ঠিত করার ক্ষেত্রে ফ্যাসিষ্ট রাজনৈতিক 'জামায়াতে ইসলামী দলের সহযোগী ছাত্র সংগঠনটির তুলনাই হতে পারেনা। যেমন গুরুদের কর্ম তেমনি তাঁদের শিষ্যদের বাধ্যবাধকতার অনুসরন। শিবিরের প্রাথমিক লক্ষ্য হল মাদ্রাসা এবং স্কুলের কোমলমতি শিশুদের মাঝে ইসলামের ভয়-ভিতি এবং স্বল্প মুল্যের উপঢৌকন যেমন-পোস্টার, স্টিকার,ক্যালেন্ডার,গল্পের বই, চকোলেট,চুইমগাম ইত্যাদি উপহার সামগ্রি হাতে দিয়ে আকৃষ্ট করা।তারপর ধীরে ধীরে শিবিরের মূলমন্ত্রের দিকে ধাবিত করে একজন দক্ষ শিবির কর্মীতে রুপান্তরিত করা। একজন পূর্নাঙ্গ শিবির কর্মী হতে হলে একজন ছাত্রকে পার করতে হয় কমপক্ষে চারটি ধাপ- সমর্থক, কর্মী, সাথী ও সদস্য। এর মাঝে প্রথম ধাপ অর্থাৎ সমর্থক হওয়া থেকে কর্মী করাকালীন সময়টিতে অভিজ্ঞ শিবির কর্মীরা ঐ ছাত্রটিকে রাখেন কড়া নজরদারিতে। এই ধাপটি সফল ভাবে পার করতে পারলে রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক এবং সামাজিকভাবে স্বাবলম্বিতা ও নানা সাফল্যের স্বপ্নীল প্রলোভনে মোহিত করে ঐ ছাত্রটিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে সদস্য করা পর্যন্ত আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়না। পরকালের ভয়ভীতি ভিতরে প্রবেশ করাতে পারলে দক্ষকর্মী গঠনে আর খুব একটা বেগ পেতে হয়না। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় অর্জিত হওয়ার মাত্র পাঁচদিন আগে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করেছিল প্রবাসী মুজিবনগর সরকার। একই সঙ্গে চারটি রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ হয়েছিল। অন্য তিনটি হলো, পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টি, মুসলিম লীগ ও নেজামে ইসলাম। ‘কোলাবরেটর একটিভিটিজ’ বা দালালি তৎপরতার দায়ে এসব সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাষনামলেও জামায়াত সহ ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলো নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু ১৯৭৫-পরবর্তী সামরিক সরকারের আমলে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান তা উন্মুক্ত করে দেন এবং স্বাধীন দেশে রাজনীতি করার অধিকার পায় স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি জামায়াত সহ অন্য নিষিদ্ধ দল গুলি। জাতি হিসেবে আমাদের চরম দুর্ভাগ্য, তথাকথিত স্বাধীনতার পক্ষের এবং গনতন্ত্রের ধারক বাহক বলে দাবিদার একাধিক রাজনৈতিক শক্তির সহযোগী হয়ে একসময় জামায়াত স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতার অংশীদার ও হয়েছিল।সরকারের নীতি নির্ধারকতো বটেই তাঁদের দলের একাধিক নেতা মন্ত্রী পর্যন্ত হয়েছিল। তবে একাত্তরের এই ঘাতক-দালালদের প্রতি জনমনে ঘৃণা যে এতটুকু ম্লান হয়নি সেটা দেখতেও আমাদের বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয়নি। জনতার রায়েই তাদের পতন হয়। স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতাসীন হয়ে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইতোমধ্যে দলটির আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদসহ কয়েক জনের মৃত্য্যুদণ্ড এবং অনেকের যাবজীবন কারাদন্ড কার্যকর হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ট্রাইব্যুনালের একাধিক জামায়াত নেতার রায় প্রসংগে সংগঠন হিসেবে জামায়াতকে অপরাধী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এদিকে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে সাম্প্রতিক সময় জামায়াত-শিবির চরম সন্ত্রাস-নাশকতা চালিয়ে তাঁদের ফ্যাসিষ্ট মনোবৃত্তির পরিচয় অক্ষুন্ন রাখতে সামান্যতম দ্বিধা করেনি। ঠিক যেন তাঁরা ৭১ কেই আবার মনে করিয়ে দিল। উচ্চ আদালত বলেছেন, জামায়াত সন্ত্রাসী সংগঠন। অভিজ্ঞজনদের অভিমত ট্রাইব্যুনাল এবং উচ্চ আদালতের রায়ের উপর ভিত্তি করেই সরকার নির্বাহী আদেশে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে পারে, কিন্তু করা হচ্ছে না। অন্যদিকে যুদ্ধাপরাধী সংগঠন হিসেবে জামায়াতের বিচার করতে খসড়া আইন তৈরি করা হলেও দুই বছরেও সেই আইনের খসড়া ওঠেনি মন্ত্রিসভায়। সবকিছু মিলিয়ে জামায়াত নিষিদ্ধ করা ও জামায়াতের বিচার প্রক্রিয়া অনেকটাই এখন হিমাগারে-যা জনমনে নিদারুন হতাশাও ভীতির সৃষ্টি করছে প্রতিনিয়ত। এই কথাটি স্পষ্টই বলা যায় -বাংলাদেশের রাজনীতি, সামাজিকতায়, জীবনাচারে ভদ্রতার আড়ালে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড লালনকারী একমাত্র রাজনৈতিক দল জামায়াত।দলটির নেতাকর্মীগন ধর্মের মুখোশের আড়ালে অধর্মের যতসব নেতিবাচক দিক প্রতিপালন করা সম্ভব সব টুকুই বিরাজমান রেখে জনগনের চোখে ধুলো দেয়ার নীতি অনেকটা বছরই বলবৎ রাখতে পেরেছিলেন।লক্ষ করলে স্পষ্টই প্রতিয়মান হয় -তাঁদের দাঁড়ি গোঁফ থেকে শুরু করে পোশাক আশাকের বেলায়ও প্রকৃত ইসলামী কোন নীতি আদর্শের আওতায় পড়েনা।তাঁদের আচার আচরনে মাত্রাতিরিক্ত ভক্তি শ্রদ্ধা কেবলই শঠতার পরাকাষ্টা বৈ অন্য কিছু নয়। এক্ষেত্রে ইবলিশ শয়তানও তাদের নিকট হার মেনে মনুষ্যালয় ছেড়ে সপ্তম আকাশে আশ্রয় গ্রহন করতে বাধ্য হয়েছে। '৭১ এর পুর্ববত্তি রাজনৈতিক অবস্থান এবং মুক্তিযুদ্ধে বর্বরতার ইতিহাস বাদ দিলেও '৭৫ পরবর্তী শিক্ষলয়ে মেধাবী ছাত্রদের হাত ও পায়ের রগ কাটা থেকে শুরু করে ২০১৪ ইং সাল পয্যন্ত সন্ত্রাস, নাশকতা, আগুন বোমা, ব্যাংক বীমায় আগুন ও লুটপাট, বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে দেশকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করার চক্রান্ত, সরকারি গাছ কর্তন, জ্যান্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারা সহ এমন কোন মানবতা বিরুধী কাজ নেই যা তাঁদের দ্বারা সংগঠিত হয়নি।সর্বশেষ বিভিন্ন নামে জঙ্গী তৎপরতায়ও শিবিরের সাবেক নেতাকর্মীদের সংশ্লিষ্টতা মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের জনমনে ভীতির সঞ্চার করছে। পরিশেষে বলা যায়,অতিভক্তি কখনই ভাল ফল ভয়ে আনেনি-চারিত্রিক শঠতা যাদের মধ্যে বিদ্যমান তাকলকরাই কেবল অতিভক্তি প্রদর্শন করে থাকে। রাজনীতির ক্ষেত্রেও ব্যাতিক্রম হতে পারেনা বা হয়না। জামায়াতের জম্ম, উত্থান,বিকাশ, বর্তমান অবস্থান বিবেচনায় নিয়ে গভেষনায় প্রবৃদ্ধ হলেই -যে কোন সচেতন রাজনৈতিক কর্মীর অনুধাবন করা আদৌ কঠিন কোন বিষয় হবে বলে আমি মনে করিনা।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা