প্রকৃতি পলাশী'র 'মীর জাফরে'র চেয়ে ধানমন্ডির মীর জাফর 'জিয়া' এবং তাঁর পরিবারে'র পরিণতি আরো ভয়াবহ করে তুলছে।

     ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে দুটি ঘটনা বাংলাদেশ, বাঙ্গালী জাতীর অস্তিত্ব পৃথিবীতে যতদিন থাকবে ততদিন ঘৃনাভরে উচ্চারীত হবে। প্রথমটি বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার নবাব সিরাজদ্দৌল্লাহ ক্ষমতাচ্যুতি এবং নির্মম হত্যাকান্ড। দ্বিতীয়টি- বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, বাঙ্গালী জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান সরকারের ক্ষমতাচ্যুতি এবং স্বপরিবারে নির্মম হত্যাযজ্ঞ। প্রথমটির প্রধান নায়ক নবাব সিরাজের ঘনিষ্ট আত্মীয় এবং প্রধান সেনাপতি মীর জাফর আলী খাঁন। দ্বিতীয়টির প্রধান চরিত্রে ছিলেন বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত সহচর এবং তাঁর সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী "খোন্দকার মোস্তাক আহম্মদ।

১৯৭৫ ইং সালের ১৫ আগষ্ট কতিপয় বিপদগামী সেনাকর্মকর্তা বঙ্গবন্ধুর ৩২ নম্বর বাড়ী আক্রমন করে তাঁকে সহ স্বপরিবারে হত্যা করে।প্রথমে খোন্দকার মোস্তাক আহম্মদ ক্ষমতা দখল করার কারনে বাংলাদেশের জনগনের সকল ঘৃনার ঝড় তাঁর উপর প্রবাহীত হয়। মোস্তাক ষড়যন্ত্রের প্রকাশ্য আধাঁর হলেও নেপৈথ্যে ছিল বাংলার আর এক নব্য মীর জাফর।তিনি আর কেউ নন--"জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু যাকে বউ ফেরৎ দিয়েছিলেন--সেই বেঈমান "মেজর জিয়াউর রহমান"।

   সেদিন কে জানতো এই হত্যাকান্ডের মাষ্টার মাইন্ড খুনী ছিল মেজর জিয়াউর রহমান?হত্যা পরবর্তি ঘটনাপ্রবাহ এবং বিশ্বব্যাপী সমাদৃত "উইকিলিকস" এর "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের" গোপন দলিল প্রকাশিত হলে জানা যায় 'মেজর জিয়াউর রহমান'ই ছিল 'বঙ্গবন্ধু' হত্যাযজ্ঞের নৈপথ্য নায়ক এবং প্রধান বেনিফিসিয়ারী। মেজর জিয়া ক্ষমতা গ্রহন করে তাঁর সাথে ষড়যন্ত্রে জড়িত একে একে সবাইকে হত্যা করে অথবা বিদেশে চাকুরি দিয়ে পাঠিয়ে দিয়ে তাঁর ক্ষমতা নি:স্কটক করে নিয়েছিলেন। তিনি প্রথমেই উক্ত সেনা অভ্যুত্থানের রাজনৈতিক 'থিম ট্যাংক কর্ণেল তাহের"কে প্রহসনের বিচারে ফাঁসীতে ঝুলিয়ে হত্যা করেন। পরবর্তিতে সাজানো সেনা অভ্যুত্থানের অজুহাতে একে একে সকল সেনা অফিসারকে হত্যা করে, তাঁর বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার প্রমান মূছে দিতে চেয়েছিলেন। বিধির বিধান, না যায় খন্ডন--''বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রত্যক্ষ খুনী "কর্ণেল ফারুক" পালিয়ে থাকা অবস্থায়, বিবিসি'র  সাংবাদিকের সাথে  সাক্ষাৎকারে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডে "মেজর জিয়া"র ভুমিকা এবং নেপৈথ্যে জড়িত থাকার বিষয়টি সবিস্তারে বর্ণনা প্রদান করে ঐতিহাসিক সত্যটি প্রকাশ করে।

   তাইতো দেখা যায়--নবাব সিরাজের হত্যাকারী, ষড়যন্ত্রকারী, হত্যা পরবর্তি উপকারীভোগীদের প্রকৃতি যে নিয়মে বিচারের বিধান করেছিল; ঠিক একই ভাবে বঙ্গবন্ধু হত্যাকারী, ষড়যন্ত্রকারী উপকারভোগীদেরও প্রায় একই বিধানে বিচারের আওতায় নিয়ে এসেছেন। মেজর জিয়া এবং অন্যান্যদের তুলনামূলক আলোচনা করা গেলে স্পষ্ট ভাবে তাঁরই চিত্র ফুটে উঠে।

মীর জাফর আলী খাঁন:--

পলাশীর যুদ্ধের পর প্রচুর ঘুষের বিনিময়ে রবার্ট ক্লাইভের হাত ধরে মসনদে আরোহণ করেন নবাব মীর জাফর আলী খান। তবে তাকে পুতুল বানিয়ে মূল ক্ষমতা পরিচালনা করেন ইংরেজরা। একপর্যায়ে বনিবনা না হওয়ায় মীর জাফরকে সরিয়ে তারই জামাতা মীর কাশেমকে ক্ষমতায় বসানো হয়। মীর কাশেমের সঙ্গে দ্বন্দ্ব শুরু হলে ইংরেজরা মীর কাশেমকে সরিয়ে দেন। এ সময় বিশ্বাসঘাতক মীর জাফর নির্লজ্জের মতো আবারও ইংরেজদের আজ্ঞাবহ নবাব হিসেবে মসনদে বসেন। নামে নবাব থাকলেও মূলত মীর জাফরকে ইংরেজদের অবজ্ঞা আর দেশীয়দের ঘৃণার পাত্র হিসেবেই বাকি জীবন কাটাতে হয়। মীর জাফরের প্রাসাদে ঢোকার প্রধান ফটকটি ইতিহাসে, সরকারি দলিলে এবং ট্যুরিস্ট গাইড বইয়ে 'নেমক হারাম দেউর' বা 'বিশ্বাসঘাতকের গেট' নামে পরিচিত পেয়েছে।

মীরজাফরের পতন হয় বড় মর্মান্তিক অবস্থায়। ১৭ই জানুয়ারী ১৭৬৫ ইং সালে কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত হয় মীরজাফর। তার শরীরে অসংখ্য ঘা ও ফোঁড়া হয়ে দূষিত রক্ত ও পুঁজ পড়ে দুর্গন্ধ বের হয়। এ অবস্থায় পরিবারের লোকেরা তাকে লোকালয়হীন জঙ্গলে রেখে আসে। রাজা নন্দকুমার কিরিটেশ্বরী দেবীর পা ধোয়া পানি ওষুধ হিসেবে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করে দেয়। এভাবে ঈমান পর্যন্ত নষ্ট করে সে মৃত্যুবরণ করে। বাংলাদেশসহ এ এলাকার মানুষ বেঈমান বলতে মীরজাফর শব্দ যুগ যুগ ধরে ব্যবহার করে আসছে।

  মীর জাফর পুত্র মীরণ সহ অন্যান্ন সহযোগীগন:---

  মীরজাফরপুত্র মীরন সিরাজউদ্দৌলাকে হত্যা থেকে শুরু করে বহু অপকর্মের নায়ক। ঐতিহাসিকরা বলেন, সে বজ্রাঘাতে মৃত্যুবরণ করেছে, আবার কেউ কেউ বলেন, জনৈক ইংরেজ সেনাপতি তার বাড়াবাড়ি দেখে তাকে গুলি করে হত্যা করে। সিরাজউদ্দৌলার খালা ঘসেটি বেগম যিনি রক্ত সম্পর্কীয় হওয়া সত্ত্বেও ষড়যন্ত্রকারীদের অন্যতম ছিলেন। তাকে মীরন বুড়িগঙ্গা নদীতে নৌকা ডুবিয়ে হত্যা করে।

  মোহাম্মদী বেগ ছিল আমেনা-জয়েনউদ্দীনের পালিত পুত্র। সিরাজের মা-বাবা সিরাজ জন্মের আগে তাকে রাস্তা থেকে কুড়িয়ে এনে লালন-পালন করেন। তার বিয়েতে মুর্শিদাবাদ রাজ প্রাসাদে ধুমধামের বন্যা বয়ে যায়। সেই মোহাম্মদী বেগ মাত্র ১০ হাজার টাকার লোভে কারাগারে সিরাজকে নির্মমভাবে হত্যা করে। পরে সে পাগল হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে পানিতে ডুবে মারা যায়।

  মীরজাফরের জামাতা মীরকাশিম সিরাজকে ভগবান গোলা থেকে ধরিয়ে দেয়। সিরাজ-পরবর্তী স্বাধীন নবাব তাকে বলা হয়। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন ইংরেজদের চরিত্র। তাকে ইংরেজরা ক্ষমতাচ্যুত করার পর পথে পথে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। একদিন সকাল বেলায় তার লাশ মুঙ্গের দুর্গের সামনে পড়ে থাকতে দেখা যায়।

  বায়দুর্লভ ও জগৎ শেঠকে ক্ষমতায় থাকাকালে মীরকাশিম দুর্গশিখর থেকে গঙ্গায় নিক্ষেপ করেন। ক্ষমতায় থাকাকালে তাদের বেঈমানির জন্য। রাজা রাজবল্লভকে গলায় বালুর বস্তা বেঁধে গঙ্গা নদীতে ফেলে দেয়া হয় এবং ওই অবস্থায় সে মৃত্যুবরণ করে। ইয়ার লতিফ খাঁ নিরুদ্দেশ হয়। উমীচাঁদ ২০ লাখ টাকা না পেয়ে শোকে পাগল হয়ে যায়। পরে কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।

  লর্ড ক্লাইভ:--

   ভারতীয় উপমহাদেশ ইংরেজ বেনীয়াদের শাসন শোষন কায়েমের মূল নাটের গুরু ছিলেন লর্ড ক্লাইভ।তিনি মাত্র ৮০ টাকা বার্ষিক বেতন নিয়ে কেরানি ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানিতে ১৭৪৪ সালে মাদ্রাজে খ্যাতিহীন, বিত্তহীন, ক্লাইভ বিলাত থেকে আসেন।

  ১৭৬০ সালে সেনানায়ক কর্নেল ক্লাইভ যখন ভারত ছেড়ে স্বদেশে যান তখন তাঁর হাতে বিপুল অর্থ সংরক্ষিত ছিল।তাঁর জাহাজ যখন পোর্টস মাউথ বন্দরে এসে থামে, তখন ইংল্যান্ডের ম্যানুয়েল রেজিস্টারে তার সম্পর্কে মন্তব্য ছিল ‘এই কর্নেলের কাছে নগদ টাকা আছে প্রায় দুই কোটি টাকা। তার স্ত্রীর গয়নার বাক্সে মণিমুক্তা, হীরা ও জহরত আছে দুই লাখ টাকার। ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডে তার চেয়ে অধিকতর অর্থ আর কারো নেই।

ক্লাইভের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের কমন্স সভায় জোরালো দাবী উত্থাপিত হয় তাঁর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ সমূহের বিচারের।দাবী সমূহের মধ্যে সম্পদ আহরণ ছাড়াও  ক্লাইভ সিরাজের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণের জন্য মীরজাফর ও মীরনকে প্ররোচিত করেছে। সিরাজের মৃত্যুদণ্ডাজ্ঞায় সই করতে মীরজাফরকেও প্ররোচিত করে। মোহাম্মদী বেগকে হত্যার জন্য সে মীরনকে টাকা দিতে বলেছে।

    ক্লাইভ বাংলা লুণ্ঠনের দায়ে বিলাতে দুর্নীতি মামলায় সাত বছর জেল খেটে কপর্দকহীন হয়ে পড়ে। পরে এ অবস্থায় টেমস নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করে। ডা: হল ওয়েলের স্ত্রী তাকে রেখে অন্য যুবকের সাথে চলে গেলে সে আত্মহত্যা করে। ঘৃণ্য মীর জাফরের কুষ্ঠরোগে মৃত্যু হয়। ঘষেটি বেগমের মৃত্যু হয় বুড়িগঙ্গায় ডুবে। দেশমাতৃকার সাথে বিশ্বাসঘাতকতাকারী বেঈমানদের এভাবেই অপঘাতে মৃত্যু হয়েছিল।

   খোন্দকার মোস্তাক আহম্মদ:--

    সেনা কর্মকর্তাদের দ্বারা শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত হবার পর মোশতাক আহমেদ নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন। এই পদে তিনি মাত্র ৮৩ দিন ছিলেন। রাষ্ট্রপতির দ্বায়িত্ব নেবার পর তিনি ইনডেমিনিটি বিল পাশ করেন। তিনি "জয় বাংলা" স্লোগান পরিবর্তন করে এর স্থলে "বাংলাদেশ জিন্দাবাদ" স্লোগান চালু করেন। এই সময় তিনি "বাংলাদেশ বেতার" এই নাম পরিবর্তন করে "রেডিও বাংলাদেশ" করেন। তার শাসনামলে চার জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমেদ, ক্যাপ্টেন মোঃ মনসুর আলী ও এ. এইচ. এম. কামরুজ্জামানকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে (৩ নভেম্বর) হত্যা করা হয়।মাত্র ২৩ দিন সরকার পরিচালনার পর মোশতাক আহমেদ ১৯৭৫ সালের ৫ নভেম্বর সেনাবিদ্রোহের দ্বারা অপসারিত হন।  একই বছর সামরিক শাসককে অপসারণের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ২ টি দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয় এবং আদালত তাকে ৫ বছরের শাস্তি প্রদান করে।
জিয়াউর রহমান ক্ষমতা গ্রহণ করলে প্রথমে বন্দী থাকলেও পরে ১৯৭৮ সালে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্ত হয়ে ডেমোক্রেটিক লীগ নামে নতুন রাজনৈতিক দল গড়তে গিয়ে ব্যর্থ হন মোশতাক। পরবর্তী ১৮ বছর রোগ-শোক আর একাকিত্বে দিন কাটাতে হয় তাকে। ১৯৯৬ সালের ৫ মার্চ ৭৮ বছর বয়সে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন খন্দকার মোশতাক আহমদ।

 বিপদগামী সেনাসদস্যগন:--

১৯৯৬ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জয়লাভ করে। ২৩ জুন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দীর্ঘ একুশ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে। ২৮ জুন বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জড়িত ৬ জনসহ ৯ কূটনীতিককে (জিয়া, এরশাদ ও খালেদা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সেসব খুনিদের কূটনীতিকের চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিলেন) দেশে তলব করা হয়। ১৯৯৬ সালের ১৩ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি কর্নেল (অব.) ফারুক, শাহরিয়ার ও খায়রুজ্জামানকে গ্রেফতার এবং ৩১ আগস্ট ধানমণ্ডি থানায় বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মামলা দায়ের করা হয়। পরে ২ অক্টোবর ধানমণ্ডি থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়। আর ওই বছর ১২ নভেম্বর জাতীয় সংসদে ইনডেমনিটি বাতিল বিল পাস হয়। এই বিলের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করলে ১৯৯৭ সালের ২৮ জানুয়ারি হাইকোর্ট ইনডেমনিটি বাতিল আইনকে বৈধ ঘোষণা করে রায় দেয়। দীর্ঘ একুশ বছর পর বাঙালি জাতি একটি বর্বর অধ্যাদেশের কলঙ্ক থেকে মুক্ত হয়।

তদন্ত শেষে ১৯৯৭ সালের ২১ এপ্রিল নিম্ন আদালতে প্রচলিত আইনে শুরু হয় বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার। দীর্ঘ শুনানি, জেরা ও উভয় পক্ষের আইনজীবীদের সওয়াল জবাব শেষে ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর বিচারিক আদালত বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মামলায় ১৫ জন অপরাধীকে প্রকাশ্যে ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ প্রদান করে।



মেজর জিয়াউর রহমান:--

  ১৯৮১ ইং সালের ৩০ মে চট্রগ্রাম সার্কিট হাউজে আরো কতিপয় সেনাকর্মকর্তার সাথে মেজর জিয়াকেও মেজর মঞ্জুরের নেতৃত্বে সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে নির্মম ভাবে ব্রাশ ফায়ারে হত্যা করা হয়।এর পর মঞ্জুরের নেতৃত্বে তিনটি লাশ নিয়ে যাওয়া হয় ফটিক ছড়ির দিকে।চট্রগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ব বিদ্যালয় সংলগ্ন কাপ্তাই সড়কের পাশে রাঙ্গুনিয়ার নির্জন একটি স্থানে ৩০শে মে সকাল ১১টায় জিয়াসহ আরো তিনজনকে একই গর্তে মাটি চাপা দেয়া হয়।

     পহেলা জুন কিছু সামরিক ও বেসামরিক লোকজনের যৌথ অভিযানে জিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়।প্রত্যক্ষদর্শির জবানীতে জানা যায়, তাঁরা যা উদ্ধার করেছিল তা লাশ ছিলনা, উহা ছিল মাংসহীন কিছু হাঁড়গুড়। একদিনের ব্যাবধানে কিভাবে লাশগুলী মাংসহীন হল তাঁর রহস্য আজও উৎঘাটন হয়নি। শুধুমাত্র আগুনে পোড়ালেই লাশগুলী এমন হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। তাছাড়া ঐ গর্তে জিয়ার লাশ ছিল কিনা, তাও রহস্য রয়ে গেছে। জিয়ার লাশ চট্রগ্রাম এবং ঢাকায় কাউকেই দেখতে দেয়া হয়নি এবং কি ডিএনএ টেস্টও করা হয়নি।যা একান্তই প্রয়োজন ছিল।

বর্তমান প্রযুক্তির যুগে এখন বা আরও অনেক পরেও লাশ শনাক্ত করা সম্ভব বলে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।ইতিমধ্যে সচেতন মহল থেকে 'মেজর জিয়া'র কবর সংসদ ভবন এলাকা থেকে সরিয়ে অন্যত্র নেয়ার এবং হাড়গুড়ের ডিএনএ টেষ্টের মাধ্যমে লাশের পরিচিতি নিশ্চিত করার দাবী উঠতে শুরু করেছে।

জিয়া পত্নি বেগম খালেদা জিয়া:--

খালেদার পাঁচ মামলা: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুদক। গত বছরের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। এর আগে গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রমনা থানায় মামলা করে দুদক। এ মামলায় খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ ছয়জনকে আসামি করে ২০১০ সালের ৫ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।

এ ছাড়া বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ঠিকাদারি কাজে ক্ষমতার অপব্যবহার ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে খালেদাসহ ১৬ জনকে আসামি করে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় মামলা করে দুদক। ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর তেজগাঁও থানায় গ্যাটকো-সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলা এবং একই বছরের ৯ ডিসেম্বর নাইকো-সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলা করে দুদক। এ তিনটি মামলার কার্যক্রম উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত রয়েছে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত৷ ০৮/০২/২০১৮ ইং আদালত এ মামলার রায় দিলে সেফিন থেকে আজব্দি তিনি কারাগারেই রয়েছেন।পত্রপত্রিকায় খবর বেরিয়েছে তাঁর প্যারালাইজড আক্রান্ত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।এই অবস্থায় তাঁর জেলমূক্তির বিষয় তাঁর দল কায্যকর কোন আন্দোলন গড়ে তুলতে না পারায় তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যত অন্ধকারের দিকেই যাচ্ছে, মনে করি।

জিয়াপুত্র আরাফাত রহমান কোকো--

   
      বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেননি। কোকোর সম্পত্তি আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যেই "তারেক জিয়া" এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছেন। তারেক জিয়ার নির্দেশেই মালয়েশিয়ায় বসবাসরত কয়েকজন বাঙালি তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।’ এরকম একটি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করে কোকোর মৃত্যুর দুই বছর দশ মাস পর মালয়েশিয়ার একটি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন জনৈক আবদুল হামিদ ওমর। তিনি মালয়েশিয়ার নাগরিক। তিনি কোকোর ব্যবসায়িক পার্টনার হিসেবে পরিচিত।মামলায় কোকোর স্ত্রীকে সাক্ষী হিসেবে উপস্থাপন করেছেন মামলার বাদী আবদুল হামিদ ওমর।

   বিএনপির আয়োজিত আরাফাত রহমান কোকোর ১ম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল শেষে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরাফাত রহমানের স্মরণে ‘স্মৃতির পাতায়’ নামে একটি বইয়ের মোড়ক উম্মোচন করেন।তিনি তাঁর সেদিনের আলোচনায় উল্লেখ করেন ১/১১ /২০০৬ ইং সালে'র গঠিত সেনা সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকারের নিপীড়নে জনাব আরাফাত রহমান কোকো ২০১৫ সালের ২৪ শে জানুয়ারী মালয়শিয়ায়  মৃত্যুবরণ করেন।

 আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর আগে বাংলাদেশের আদালতে ৭টি মামলা চলমান ছিল।উক্ত মামলার সব কয়টি ১/১১ এর তত্বাবধায়ক সরকার কতৃক রুজু করা হয়েছিল।  সাত মামলার মধ্যে একটি সিঙ্গাপুরে অর্থ পাচার সংক্রান্ত। সিঙ্গাপুরে ২০ কোটি টাকার বেশি অর্থের অবৈধ লেনদেনের অভিযোগে ২০০৯ সালের ১৭ মার্চ কাফরুল থানায় আরাফাত রহমান কোকোর বিরুদ্ধে মামলাটি করে দুদক।উক্ত মামলায় ছয় বছরের সাজা বিশকোটি টাকা জরিমানা নিয়ে কোকো মৃত্যুবরণ করেছেন।পাচারকৃত অর্থের বৃহৎ অংশ বাংলাদেশ সরকার ফেরৎ আনতে সক্ষম হয়েছে।

  জিয়াপুত্র তারেক রহমান:--

    তারেকের ১৭ মামলা: ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা এবং তাতে ২২ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় দুটি মামলা করে পুলিশ। একটি হত্যা ও আরেকটি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলা। বর্তমান সরকারের আমলে এ দুটি মামলার সম্পূরক অভিযোগপত্রে তারেক রহমানকে আসামি করা হয়।

২০১১ সালের ৩ জুলাই সিআইডির দেওয়া সম্পূরক অভিযোগপত্রে তারেক রহমান ছাড়াও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, জামায়াতের নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, হারিছ চৌধুরীসহ ৩০ জনকে আসামি করা হয়। এঁদের নিয়ে মোট আসামির সংখ্যা ৫২। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে স্থাপিত ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিশেষ এজলাসে এ মামলার বিচারকাজ চলছে।

   তারেক ও তাঁর ছোট ভাই আরাফাত রহমানের বিরুদ্ধে সর্বশেষ মামলা হয় ২০১২ সালের ২ অক্টোবর। ঋণখেলাপির অভিযোগে মামলাটি করে সোনালী ব্যাংক।সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ১২টি মামলা দেয়। উচ্চ আদালতের নির্দেশে এসব মামলার অনেকগুলীর কার্যক্রম স্থগিত আছে। এগুলোর মধ্যে আটটি চাঁদাবাজির মামলা-- ২০০৭ইং সালে বিভিন্ন ব্যক্তি বাদী হয়ে গুলশান, কাফরুল, শাহবাগ ও ধানমন্ডি থানায় মামলাগুলো করেন।

  এ ছাড়া কাফরুল থানার পুলিশ বাদী হয়ে জরুরি ক্ষমতা আইনে একটি, দুদক বাদী হয়ে অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কাফরুল থানায় একটি (স্ত্রী জোবাইদাও আসামি), একই বছর বসুন্ধরা গ্রুপের কর্মকর্তা সাব্বির হত্যা মামলা ভিন্ন খাতে নিতে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে দুদক আরেকটি মামলা করে। পরের বছরের ৪ আগস্ট জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়কর ফাঁকির অভিযোগে একটি মামলা করে।

 ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ক্যান্টনমেন্ট থানায় তারেক রহমান ও তাঁর ব্যবসায়িক অংশীদার গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা করে দুদক। উক্ত মামলায় গত ২১ শে জুলাই ২০১৬ ইং তারিখে সাত বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাঁকে ২০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সর্বশেষ জিয়া অরফানেজ দুর্নীতি মামলায় তাঁর মা খালেদা জিয়ার সঙ্গে দশ বছরের কারাদন্ড ও দুইকোটি দশলক্ষ টাকা আর্থিক জরিমানার রায় মাথায় নিয়ে তারেক লন্ডনে অবস্থান করছেন।

   বিগত নয় বছর জিয়া পরিবার খাদের কিনারায় থাকাবস্থায় টেনে তোলা সম্ভব হয়নি। বরঞ্চ বিপুল সংখ্যক সমর্থক সহ প্রতিনিয়ত গর্তের অভ্যন্তরেই যেতে বাধ্য হয়েছে। সেহেতু বলা যায়- অচিরেই জিয়া পরিবারের  করুণ পরিণতি মীর জাফর আলী খাঁ এর পরিণতিকেও হার মানালে আশ্চায্যের কিছুই থাকবেনা। ঘটনা প্রবাহ প্রকৃতি ধীরে ধীরে সেদিকেই টেনে নিচ্ছে। নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়--'মীর জাফর আলী মহাভারতের সবচেয়ে বড় বেঈমান যদি হয়ে থাকে-তবে 'মেজর জিয়া' স্বাধীন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় "মীর জাফর"।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা