মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

অন্যকোন ব্যাক্তি বা দলের নির্বাচনে অংশ গ্রহন বা  সরকার পরিচালনার প্রয়োজন কি--!!

(রুহুল আমিন মজুমদার)

       মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নের বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি,বিশ্বদরবারে মায্যদা বৃদ্ধি,গনতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকতা, অর্থ পাচার, লুটপাট, ক্ষমতার বিস্তার সহ সর্বপ্রকার "ইতিবাচক-নেতিবাচক" কর্মকান্ড বর্তমান সরকারের মন্ত্রী, নেতা, আমলাদের দ্বারা একান্তই যদি সম্ভব হ'তে পারে-- অন্যদলের রাজনীতি করার কি দরকার ? 

        কথিত হাজার হাজার কোটি টাকা সরকারের 'মন্ত্রী, নেতা, আমলারা' লুটপাট, লুটপাটের অর্থ সুইচ ব্যাংক সহ ইউরুপ, আমেরিকা পাচার করার পরও মাত্র পাঁছ বছর শাষনে যদি "পদ্মা ব্রীজ" সহ চোখ ধাঁধানো উন্নয়ন সম্ভব হতে পারে, উন্নয়ন, অগ্রগতির উধ্বমূখী সূচকে  'বিশ্বের বিস্ময়'', তৃতীয় বিশ্বের "উন্নয়নের রোল মডেল" বাংলাদেশ  হ'তে পারে অন্য কোন সরকারের আর কি দরকার?  

          রাষ্ট্র পরিচালনায় দক্ষতা, সিদ্ধান্ত গ্রহনে বিচক্ষনতা, গনতান্ত্রীক শাষন ব্যাবস্থা প্রতিষ্ঠা, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা, গনতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠানিকতা দেয়ার ক্ষেত্রে  "শেখ হাসিনা" যদি প্রভাবশালী   ছয় "বিশ্ব নেতা''র মধ্যে অন্যতম হ'তে পারে অন্যদলের আর কোন নেতা বাংলাদেশে রাজনীতি করার আর কি প্রয়োজন?

        

        "মানবতা বিরুধী অপরাধে"র বিচার অনুষ্ঠানের স্বচ্ছতা, ন্যায়নিষ্ঠতা, রায় কায্যকারিতার ক্ষেত্রে "বর্তমান সরকারের আইন, কাঠামো" সর্বোপূরি "আইনের শাষন প্রতিষ্ঠায়" যদি "আন্তজাতিক মানবতা বিরোধী অপরাধ ট্রাইবোনাল" সহ অ।ন্যান্ন আইন, আদালত, বিচার ব্যাবস্থা এবং সংস্থার  --"অনূকরনীয়, অনূসরনীয়" হ'তে পারে --অন্যকোন সরকার "মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার" বা "মূক্তিযোদ্ধাদে"র মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত কথিত মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারে "বিশেষ ট্রাইবোনাল গঠন" করার আর কি দরকার ?

   

     

       বর্তমান সরকারের নয় বছরের শাষন মেয়াদের শেষ প্রান্তে এসে 'আন্তজাতিক সকল সংস্থার সকল ক্ষেত্রে পরিমাপক সূচকে' বহু উন্নত দেশকে পেছনে ফেলে "দূর্নীতি নিয়ন্ত্রন সহ অন্যান্ন সকল নেতিবাচক ক্ষেত্রে সফলতায়'' একশত তেপ্পান্নতম স্থানে অবস্থান নিশ্চিত করতে পেরেছে। মাত্র নয় বছরে বর্তমান শেখ হাসিনা সরকারের শাষনকালে রাষ্ট্রের এমন একটি ক্ষেত্রও নেই--যে ক্ষেত্রটি তে উন্নয়ন, অগ্রগতির সূচক উধ্বমূখী নেই। সরকারের চরম শত্রুও ইহার বাস্তবতা অস্বীকার করতে পারে না।

    

       এখানেই আমার বিস্ময়- "৭৫ পরবর্তী সরকার গুলীর শাষনকালে কি পরিমান লুটপাট, অর্থ পাচারের  ঘটনা ঘটেছিল!! এই কথাটি বলছি এই কারনে--"৭৬--২০০৯ সময়কালের মধ্যে যারাই বাংলাদেশের  শাষন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিল "সবার ক্ষেত্রে"- --'সকল সময়ে' উপরে উল্লেখিত সকল বিষয় সমূহের "আন্তজাতিক সকল  সংস্থার পরিমাপক সূচকে"র ক্ষেত্রে বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের উপরে 'আমার স্বপ্নের বাংলাদেশের অবস্থান' সকল সময়ে সর্বাবস্থায় সমভাবে স্থীরতায় ছিল। অর্থাৎ "০১ --১০" এর মধ্যে স্থীরবস্থা বিরাজিত ছিল।

         "চার দলীয় জোট  সরকারের প্রথম বছর বাদ দিয়ে (অর্থাৎ আওয়ামী লীগের ক্ষমতা ত্যাগের বছর) শেষের  চার বছর বিশ্বের সকল রাষ্ট্রকে পেছনে পেলে একনম্বরে বাংলাদেশের অবস্থান নিশ্চিত করে বিশ্বদরবারে বাংলাদেশকে লুটপাটের দেশ, দুর্নীতির দেশ, জঙ্গী লালনের দেশ, হত্যা, গুমের দেশ সহ নানাহ নেতিবাচক স্বীকৃতি 'আমার প্রিয় বাংলাদেশে'র ললাটে অংকিত করেছিল।

     যেহেতু বর্তমান সরকার রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে বিগত সরকার সমূহের  এবং নীজ শাষনকালের "নেতিবাচক কর্মকান্ডকে--ইতিবাচক কর্মকান্ডে" পরিণত করে বিশ্বে বাংলাদেশের  জনগনের মাথা উঁচু  করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পেরেছেন, উন্নয়ন অগ্রগতির শিখরে নিয়ে যাচ্ছেন সেহেতু অন্যকোন ব্যাক্তি, দল, সরকারের মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে অবস্থান, রাজনীতি, নির্বাচনে অংশগ্রহন, সরকার পরিচালনার স্বপ্ন দেখার কোন প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করিনা--।