মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট একটি মানবিক খোলা আবেদন--

মাননীয় সভানেত্রী
  বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ,কেন্দ্রীয় কমিটি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।

  বিষয়:-ফেনী জেলার কিংবদন্তি ছাত্রনেতা"আরজু" সাহেবের গাছ চুরি-আওয়ামীলীগের প্রতিদান প্রসঙ্গ--
_________________________________________


  মাননীয় মহানুভবা জাতীরজনকের কন্যা,
    যথাবিহীত সম্মান পুর্বক নিবেদন- অদ্য আপনার বরাবরে একটি মানবিক আবেদন করার ইচ্ছা বা প্রয়োজন প্রচন্ডভাবে অনুভব করছি। আমি জানিনা-আমার আবেদনখানি আপনার নজরে আসবে কি-আসবে না। আমার কিছুদিন আগে মুছে যাওয়া 'ওয়েব পেইজে'র সাথে  'আপনার ওয়েবের সংযুক্তি'  বার কয়েক লক্ষ করেছিলাম। তখন হয়ত কোন বিষয়ের প্রতি-আপনার শত ব্যস্ততার মধ্যেও নজরে আসার সম্ভাবনা ছিল। আমার আজকের এই 'নতুন আইডির নতুন ওয়েব পেইজে' সেই সম্ভাবনাটুকুও নেই।

 মাননীয় জননেত্রী,
     আমার লেখালেখির অভ্যেস কখনই ছিলনা-লিখিওনি  কোনদিন। ২০০৮ ইং সালে আপনার নেতৃত্বে সরকার গঠিত হলে আমার মত অনেকেই পালাক্রমে রাজনীতির মাঠ ছেড়ে পরিবার পরিজন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। অনেকে নতুন পরিবেশের সাথে তালমিলিয়ে এখনও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রচারে ব্রতি আছেন-তাঁদের প্রতি আন্তরীক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।

      আমিও নতুন নেতৃত্বের প্রতি তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলে মহানান্দে ২০১৩ ইং সালের শেষ দিকে রাজনীতির অঙ্গন ছেড়ে নীজ পরিবার পরিজন নিয়ে মহাসুখেই আছি। রাজনীতি থেকে  দুরত্ব ঘটার কারনে ২০১৪ ইং সালের প্রারম্ভে অঢেল সময় কাটানোর উপায়ান্তর না পেয়ে লেখা-লেখিতে ব্রতি হই। সেই থেকে অদ্যাবদি পেইজবুক, গুগুল প্লাস, টুইটার, অন-লাইন পত্রিকা, পোর্টাল এবং ওয়েব পেইজ সমূহে 'বঙ্গবন্ধুর দর্শন, আদর্শ, চিন্তা, চেতনা' যতটুকু ধারন করতে পেরেছিলাম-নতুন প্রজম্মের বন্ধুদের নিকট সেই অভিজ্ঞতা গল্পাকারে তুলে ধরার আপ্রান চেষ্টায় পুর্ণাঙ্গরুপে ব্রতি হয়ে সাধ্যমত চেষ্টায় লিপ্ত আছি।ইনশাল্লাহ আমৃত্যু থাকার ইচ্ছাও পোষন করি। ব্যাক্তিগত কোন অভিযোগ নিয়ে বন্ধুদের বিরক্তির কারন সৃষ্টির মানষিকতার জম্ম আমার মধ্যে হয়নি-ভবিষ্যতেও ইনশাল্লাহ হবেনা।

মাননীয় দেশরত্ম-
  বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, জাতীর জনক, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা এই কয়টি শব্দের বাইরে একটি লাইনও লেখার সামথ্য আমার নেই। কারন আমি লেখক, কলামিষ্ট, বিশ্লেষক, প্রাবন্ধিক ইত্যাদি কিছুই নই। লেখালেখি করার মেধা, সময় যখন ছিল তখন  মাঠেঘাটে 'জাতীর জনকের আদর্শ' এবং তাঁর 'নির্দেশীত রাজনীতি' নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। শেষ বয়সে এসে লেখালেখি করে 'দল আর দেশ'কে কতটুকুই বা আর দিতে পারব। আমার লেখা আগোছালো সত্য-তবে মিথ্যে কোন ঘটনার অবতারনা, তথ্যবিভ্রান্তি ইত্যাদি করার ইচ্ছা আমার কখনো ছিলনা-এখনও নেই। আমার সময় এখন মেধাশুন্যতার দিকে দাবিত-এই সময়ে মেধা বিকাশের আখাংকা অবশ্যই বোকামী ছাড়া আর কিছুই নয়।তারপরেও কি আর করব-সময় যে কাটে না।

  সদাশয় জাতির জনকের কন্যা-
 ফেনীর চলমান আওয়ামী রাজনীতির ভালমন্দ কোন বিষয়- অভিযোগ, অনুযোগ করার ইচ্ছা থেকে আমার এই নিবন্ধ নহে।
গত কয়দিন আগে ফেনীর স্থানীয় পত্রিকা সমুহে একটি খবর দেখে ব্যাক্তিগত ভাবে আমি হতবিহব্বল, হতাশ, মনোকষ্টে দিনাতিপাত করছি।এই সম্পর্কে কিছুই লিখবনা মনে করে বসে ছিলাম। কিন্তু মনকে প্রবোধ দিতে পারছিনা। কেউ না কেউ আপনাকে তো জানাতে হবে-নচেৎ আপনি জানবেন কি করে জীবনভর বিরুদীদলে থাকা 'বঙ্গবন্ধুর আদর্শের' হার না মানা লড়াকু সৈনীকেরা  কে কোথায়, কিভাবে নীজদলের নিকট 'চরমভাবে হেরে'--ধীরে ধীরে 'অমানবিক' জীবন যাপনের দিকে দাবিত হতে বাধ্য হচ্ছে। তাঁর যৎকিঞ্চিত আপনার গোছরে আনার 'দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ' থেকে আমি অদমের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।

সদাশয় নেত্রী,
 ফেনীর ছাত্রনেতা, যুবনেতা, সংগঠক ইত্যাদি যাই বলিনা কেন- যে কয়টি কিংবদন্তিতুল্য নাম সর্বাজ্ঞে জনমানুষের সামনে আসে নি:সন্দেহে তাঁদের অনেকের মধ্যে অন্যতম "আরজু, সাজু, একরাম, শাখাওয়াৎ।" একরাম আমাদের সবাইকে নিয়ে চলমান নেতৃত্বের প্রতি যথাযথ আনুগত্য রেখেই রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছিল।মাঝখানে কোথা থেকে কি হয়ে গেল জানিনা-অঙ্গার হয়ে তাঁর প্রতিদান দিতে হল তাঁকে। তাঁর অঙ্গার হওয়ার রহস্য সময়ে হয়তোবা উম্মোচিত হবে-একরাম কিন্তু আর ফিরে আসবেনা।

'সাজু' রাজনীতিতে যেমন নাম কিনতে পেরেছিল বর্তমানে তাঁর পেশা উকালতিতেও যথেষ্ট নাম কিনতে পেরেছে। রাজনীতিতে থাকলে হয়তোবা বড় কিছু হওয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনাই ছিল। চলমান রাজনীতির সাথে হয়তোবা অনেকের মত সেও তালমিলাতে না পেরে দূরে সরে গেছে। শুনেছি দলীয় লোকজনের রাজনৈতিক মামলাতো বটেই 'পারিবারিক মামলায়'ও তাঁর উদারতার সাক্ষর রেখে চলেছেন-আল্লাহ তাঁর মঙ্গল করুন।আওয়ামী নেতাকর্মীরা নি:স্ব-তাঁদের সামান্য সহযোগীতা দলের জন্য বড় অবদান হতে পারে।

'সাখাওয়াৎ' কোথায় আছে-কেমন আছে জানিনা।মাঝখানে তাঁর কিছুটা মানষিক সমস্যা ছিল। রোগমুক্ত হয়েছে কিনা আমি অদম সেই খবরও রাখতে পারিনি।
 'আরজু'--তাঁর নামের মধ্যেই বিরাজ করে মধুরতা, সরলতা, বিচক্ষনতা, প্রজ্ঞা, দুরদর্শীতার আবহ।আপনি নীজেই জানেন- বাস্তবেও তাই।  প্রথম তিন জনই ছাত্রাবস্থায় খুব অল্প বয়সে, একই সময়ে, স্ব-স্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দেশব্যাপি আলোড়ন সৃষ্টি করতে পেরেছিল। জনসেবার তৃনমুলে প্রশিক্ষনের প্রয়োজনীয়তা থেকেই হয়ত তৎসময়ের জেলার কান্ডারী 'জয়নাল হাজারী' তাঁদের নমিনেশন দিয়েছিলেন। ফল ও যথারীতি ভালই হয়েছে-তিনজনই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হয়ে সারাজেলায় জনসেবার উৎকৃষ্ট উদাহরন সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন।-বর্তমান সময়ে তিনজনই 'সংসদ সদস্য' হওয়ার মত জনপ্রীয়তা অর্জন করে সময়ের অপেক্ষায় ছিলেন। একরাম দুইবারই সুষ্ঠ নির্বাচনে বিপুল ভোটে উপজেলা নির্বাচনে জিতেছিল। তৃতীয়বার নির্বাচন করার আগেই 'দ্বিতীয় বিজয়ের 'দুই মাসের' মধ্যে তাঁর অকাল মৃত্যু আওয়ামী পরিবারে হতাশার কালোমেঘ ঢেকে দিয়েছে। হয়তোবা আগামী দিনে আরো বড়মাপের তড়িৎকর্মা কোন এক আওয়ামী নেতার নেতৃত্ব পুরন করবে অসময়ের এই শুন্যতা।তিনিই এই কালমেঘ অপসারন করে দলকে এগিয়ে নিতে সক্ষম হবেন আগামী সুন্দর সাবলীল কোন এক সকালের প্রান্তে।

'আরজু' জেলা আওয়ামীলীগের মুরুব্বী নেতাদের সম্মান করতে গিয়ে হয়তবা উপজেলায় আসার চিন্তা কোনদিন করেনি। বিগত দিনে জেলা আওয়ামী লীগের কোন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দ্বিমত পোষন করেছে -তেমনটিও শুনা যায়নি। গত ইউপি নির্বাচনে 'আরজু' আওয়ামী লীগ থেকে 'নমিনেশন' পায়নি।
"জোট সরকারের" সময়ে জেলের অভ্যন্তরে থেকেও বিপুল ভোটে 'আরজু' নির্বাচিত হয়ে তাঁর ইউনিয়নের জনগনের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে সক্ষম হয়েছিল।পরবর্তী নির্বাচনেও বিপুল ভোটের ব্যবধানে 'তাঁর সরকারের' সময়ে নির্বাচিত হয়ে 'কায্যকালের' মধ্যে থেকেও নমিনেশন পায়নি। হয়তোবা রাগে-ক্ষোভে  'বিদ্রোহী প্রার্থী' হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।ভাগ্য তাঁর সু-প্রসন্ন হয়নি-নির্বাচন স্থগিত হয়ে গেছে।
 একাধারে 'চারবার নির্বাচিত' হয়ে দায়িত্ব পালন করার পরেও 'বিদ্রোহী প্রার্থী' হয়ে আবার চেয়ারম্যান হতেই হবে-এমন একগুয়েমী সিদ্ধান্তে আমি একমত পোষন করতে নীজেও পারিনি। আমার জন্য ব্যাপারটা একেবারেই সহজ-কিন্তু জাত রাজনীতিবীদের জন্য অত্যান্ত কঠিন।রাজনীতির প্রথম এবং প্রধান শর্তই হচ্ছে এক্সিট করা বৈধ,মানা যায়-সুপারসিট একেবারেই অবৈধ,কোন অবস্থাতেই মানা যায়না। "সুপারসিট নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির আওতায় পড়েনা-বলপ্রয়োগের আওতায় পড়ে।" মাননীয় নেত্রী দক্ষ রাজনীতিবীদ হিসেবে আপনি বিষয়টি আমার চেয়ে কোটিগুন ভাল জানেন। আরজুর ক্ষেত্রেও তেমনটি ঘটার কারনে অস্থীমজ্জায়  'রাজনীতি প্রবাহমান' ডাকসাইটে ছাত্রনেতা, বর্তমানের পুরিপুর্ণ 'রাজনীতিবীদ-ফেনী জেলার সাবেক "ছাত্রলীগ/যুবলীগের কান্ডারী" মেনে নিতে পারেনি।ফেনী জেলা ছাত্র লীগ/যুবলীগের সময়ের কান্ডারী 'সামান্য ইউপি' নির্বাচনে 'সন্তুষ্টি' প্রকাশে আওয়ামীলীগের জন্য বড় আর্শিবাদ হওয়ার কথাই ছিল-তাই নয় কি জাতীর জনকের কন্যা ?
"জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃত্বের বিচক্ষনতায় বা অন্য কোন ভাগ্যের নির্মমতায় 'আরজু' নমিনেশন না পাওয়ায় 'আওয়ামীলীগ অভিশপ্ত' হয়নি। ডাকসাইটে রাজনীতিক  'আরজু'ই অভিশপ্ত হল এবং তাঁর সকল অর্জন নিমীষেই তাঁর পরিবারের জন্য অভিশাপ হয়ে দেখা দিল।"
 চারবারের 'নির্বাচিত চেয়ারম্যান' গাছ চুরির মামলায় অন্যতম আসামী হয়ে তাঁর পরিবারকে 'চোরের পরিবারে' রুপান্তর করে সারা জীবনের জন্য অন্ধকারের আবর্তে নিমজ্জিত করে দিল। তাও আবার দামী 'সেগুন গাছ' নয়--৩০০টাকা দামের 'জাত কড়ই' গাছ।' যে গাছ কেউ কোন দিন রোপন করেনা-সরকারি সংরক্ষিত বনাঞ্চলে! সেতো নহে-ই। প্রাকৃতিক নিয়মেই যেখানে সেখানে জম্ম নেয়- এই জাতের গাছটি-আপামর জনগন জানে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
   আপনার সরকারের 'তড়িৎকর্মা বন কর্মকর্তা' বাবু তপন কুমার দেবনাথের চাকুরী এখন পয্যন্ত বহাল কিভাবে থাকে আমি জানিনা! 'সরকারি সংরক্ষিত বনাঞ্চলে কড়ই গাছ' রোপন করে তিনি বন বিভাগকেই প্রশ্নের সম্মুখিন করেছেন। তাঁর চাকুরী বহাল থাকতে পারেনা। 'কড়ই গাছ বাগান থেকে প্রতিবছর 'আগাছা পরিস্কারকালিন' সময়ে সরাতে হয়। নি:সন্দেহে বলা যায়-'গাছ রোপন ও সংরক্ষনের অর্থ আত্মসাৎ করে দেশীয় 'আগাছা জাতীয় গাছ' লালন করে সরকারের বরাদ্ধকৃত অর্থ আত্মসাৎ করেছে 'ফেনী রেঞ্জার কতৃপক্ষ'। শুধু তাই নয় ঐ 'আগাছা সংরক্ষন' করে বনবিভাগকে জগনের নিকট হেয় প্রতিপন্ন করেছে 'ফেনী বনাঞ্চল কতৃপক্ষ।' মিথ্যা মামলা করার অপরাধে তাঁকে চাকুরী থেকে অব্যহতি' এবং আগাছা পরিস্কার না করায় কর্তব্য কাজে অবহেলার অভিযোগে 'বিভাগীয় মামলা' আনায়ন করাই হবে 'তাঁর এবং সংশ্লিষ্ট দায়ী কর্মকর্তাদের উপযুক্ত প্রতিকার'।

মাননীয় দেশরত্ম,
   আরজু আওয়ামী রাজনীতি থেকে ঝরে গেলে কিছুই হবেনা সত্য-তাঁর সোনালী দিনের শ্রম আর মেধার মুল্য কি আওয়ামীলীগ ফেরৎ দিতে পারবে? আরজুকে কি জড় পদার্থ চুরির দায়ে অভিযুক্ত করে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিবে আওয়ামী লীগ? দেশব্যাপি কি বিদ্রোহী প্রার্থী আর ছিলনা? 'আরজু'ই কি একমাত্র দলীয় নির্দেশ অমান্যকারী চেয়ারম্যান প্রার্থী?
 যে আরজু ১/১১ এর দু:সময়ে ইউপি অফিসের চেয়ারে বসে দলের কাজে নিয়োজিত ছিল।ফেনীর নেতারা যখন দেশত্যাগ করে নীজের জীবন রক্ষায় ব্যাস্ত ছিল-তখনও আরজুর মত দু:সাহষী ছাত্রনেতা ফেনী সদর ইউপি পরিষদে বসে দল পরিচালনা করতে দেখা গেছে। সেই মুল্যায়ন কি শেষাবদি 'কড়ই গাছ চুরীর মামলায়' ফাঁসিয়ে আওয়ামীলীগ প্রতিদান দিল ?
মাননীয় নেত্রী-আমার উদত্ত আচরন ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি।আপনার এবং আপনার সরকারের নিকট আমাদের কোন চাওয়া পাওয়া নেই। শুধু অর্জিত সম্মান টুকু নিয়ে পরপারে যাওয়ার সুযোগ টুকু আপনার নিকট চাই।
আপনি জাতির জনকের আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য আপনার এবং আপনার পরিবারের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আমরা এতেই খুশী। আপনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নই শুধু নয়-দেশকেও এগিয়ে নিচ্ছেন সমান তালে।বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ এখন করুনার দেশ নয়।বাঙ্গালী জাতী মাথা উচু করে বলতে শিখেছে-আমি বাঙ্গালী-বাংলাদেশ আমার জম্মভুমি।এই সবই আপনার নেতৃত্বের গুনে আর্জীত হয়েছে।
আমার মত অনেকের রাজনীতিতে প্রবেশের একমাত্র উদ্দেশ্যই ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য আওয়ামী লীগকে খমতায় নেয়ার চেষ্টা।সকলের সম্মিলীত প্রচেষ্টার ফসল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ দেশের শাষন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছে। কামনার চাইতেও বেশী  পেয়েছি-আর তা হচ্ছে আকাশচুম্ভি উন্নয়ন। আপনি দেশ ও জাতীর জন্য অনেক অনেক করেছেন মাননীয়নেত্রী। এবার বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া দল 'আওয়ামীলীগের দিকে নজর দিন-নচেৎ আপনার কষ্টার্জিত অর্জন বিসর্জনে পরিনত হতে সময়ের প্রয়োজন হবে না।

    "জয়বাংলা     জয়বঙ্গবন্ধু"
 
 


মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা