মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট একটি মানবিক খোলা আবেদন--
মাননীয় সভানেত্রী
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ,কেন্দ্রীয় কমিটি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।
বিষয়:-ফেনী জেলার কিংবদন্তি ছাত্রনেতা"আরজু" সাহেবের গাছ চুরি-আওয়ামীলীগের প্রতিদান প্রসঙ্গ--
_________________________________________
মাননীয় মহানুভবা জাতীরজনকের কন্যা,
যথাবিহীত সম্মান পুর্বক নিবেদন- অদ্য আপনার বরাবরে একটি মানবিক আবেদন করার ইচ্ছা বা প্রয়োজন প্রচন্ডভাবে অনুভব করছি। আমি জানিনা-আমার আবেদনখানি আপনার নজরে আসবে কি-আসবে না। আমার কিছুদিন আগে মুছে যাওয়া 'ওয়েব পেইজে'র সাথে 'আপনার ওয়েবের সংযুক্তি' বার কয়েক লক্ষ করেছিলাম। তখন হয়ত কোন বিষয়ের প্রতি-আপনার শত ব্যস্ততার মধ্যেও নজরে আসার সম্ভাবনা ছিল। আমার আজকের এই 'নতুন আইডির নতুন ওয়েব পেইজে' সেই সম্ভাবনাটুকুও নেই।
মাননীয় জননেত্রী,
আমার লেখালেখির অভ্যেস কখনই ছিলনা-লিখিওনি কোনদিন। ২০০৮ ইং সালে আপনার নেতৃত্বে সরকার গঠিত হলে আমার মত অনেকেই পালাক্রমে রাজনীতির মাঠ ছেড়ে পরিবার পরিজন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। অনেকে নতুন পরিবেশের সাথে তালমিলিয়ে এখনও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রচারে ব্রতি আছেন-তাঁদের প্রতি আন্তরীক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
আমিও নতুন নেতৃত্বের প্রতি তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলে মহানান্দে ২০১৩ ইং সালের শেষ দিকে রাজনীতির অঙ্গন ছেড়ে নীজ পরিবার পরিজন নিয়ে মহাসুখেই আছি। রাজনীতি থেকে দুরত্ব ঘটার কারনে ২০১৪ ইং সালের প্রারম্ভে অঢেল সময় কাটানোর উপায়ান্তর না পেয়ে লেখা-লেখিতে ব্রতি হই। সেই থেকে অদ্যাবদি পেইজবুক, গুগুল প্লাস, টুইটার, অন-লাইন পত্রিকা, পোর্টাল এবং ওয়েব পেইজ সমূহে 'বঙ্গবন্ধুর দর্শন, আদর্শ, চিন্তা, চেতনা' যতটুকু ধারন করতে পেরেছিলাম-নতুন প্রজম্মের বন্ধুদের নিকট সেই অভিজ্ঞতা গল্পাকারে তুলে ধরার আপ্রান চেষ্টায় পুর্ণাঙ্গরুপে ব্রতি হয়ে সাধ্যমত চেষ্টায় লিপ্ত আছি।ইনশাল্লাহ আমৃত্যু থাকার ইচ্ছাও পোষন করি। ব্যাক্তিগত কোন অভিযোগ নিয়ে বন্ধুদের বিরক্তির কারন সৃষ্টির মানষিকতার জম্ম আমার মধ্যে হয়নি-ভবিষ্যতেও ইনশাল্লাহ হবেনা।
মাননীয় দেশরত্ম-
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, জাতীর জনক, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা এই কয়টি শব্দের বাইরে একটি লাইনও লেখার সামথ্য আমার নেই। কারন আমি লেখক, কলামিষ্ট, বিশ্লেষক, প্রাবন্ধিক ইত্যাদি কিছুই নই। লেখালেখি করার মেধা, সময় যখন ছিল তখন মাঠেঘাটে 'জাতীর জনকের আদর্শ' এবং তাঁর 'নির্দেশীত রাজনীতি' নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। শেষ বয়সে এসে লেখালেখি করে 'দল আর দেশ'কে কতটুকুই বা আর দিতে পারব। আমার লেখা আগোছালো সত্য-তবে মিথ্যে কোন ঘটনার অবতারনা, তথ্যবিভ্রান্তি ইত্যাদি করার ইচ্ছা আমার কখনো ছিলনা-এখনও নেই। আমার সময় এখন মেধাশুন্যতার দিকে দাবিত-এই সময়ে মেধা বিকাশের আখাংকা অবশ্যই বোকামী ছাড়া আর কিছুই নয়।তারপরেও কি আর করব-সময় যে কাটে না।
সদাশয় জাতির জনকের কন্যা-
ফেনীর চলমান আওয়ামী রাজনীতির ভালমন্দ কোন বিষয়- অভিযোগ, অনুযোগ করার ইচ্ছা থেকে আমার এই নিবন্ধ নহে।
গত কয়দিন আগে ফেনীর স্থানীয় পত্রিকা সমুহে একটি খবর দেখে ব্যাক্তিগত ভাবে আমি হতবিহব্বল, হতাশ, মনোকষ্টে দিনাতিপাত করছি।এই সম্পর্কে কিছুই লিখবনা মনে করে বসে ছিলাম। কিন্তু মনকে প্রবোধ দিতে পারছিনা। কেউ না কেউ আপনাকে তো জানাতে হবে-নচেৎ আপনি জানবেন কি করে জীবনভর বিরুদীদলে থাকা 'বঙ্গবন্ধুর আদর্শের' হার না মানা লড়াকু সৈনীকেরা কে কোথায়, কিভাবে নীজদলের নিকট 'চরমভাবে হেরে'--ধীরে ধীরে 'অমানবিক' জীবন যাপনের দিকে দাবিত হতে বাধ্য হচ্ছে। তাঁর যৎকিঞ্চিত আপনার গোছরে আনার 'দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ' থেকে আমি অদমের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।
সদাশয় নেত্রী,
ফেনীর ছাত্রনেতা, যুবনেতা, সংগঠক ইত্যাদি যাই বলিনা কেন- যে কয়টি কিংবদন্তিতুল্য নাম সর্বাজ্ঞে জনমানুষের সামনে আসে নি:সন্দেহে তাঁদের অনেকের মধ্যে অন্যতম "আরজু, সাজু, একরাম, শাখাওয়াৎ।" একরাম আমাদের সবাইকে নিয়ে চলমান নেতৃত্বের প্রতি যথাযথ আনুগত্য রেখেই রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছিল।মাঝখানে কোথা থেকে কি হয়ে গেল জানিনা-অঙ্গার হয়ে তাঁর প্রতিদান দিতে হল তাঁকে। তাঁর অঙ্গার হওয়ার রহস্য সময়ে হয়তোবা উম্মোচিত হবে-একরাম কিন্তু আর ফিরে আসবেনা।
'সাজু' রাজনীতিতে যেমন নাম কিনতে পেরেছিল বর্তমানে তাঁর পেশা উকালতিতেও যথেষ্ট নাম কিনতে পেরেছে। রাজনীতিতে থাকলে হয়তোবা বড় কিছু হওয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনাই ছিল। চলমান রাজনীতির সাথে হয়তোবা অনেকের মত সেও তালমিলাতে না পেরে দূরে সরে গেছে। শুনেছি দলীয় লোকজনের রাজনৈতিক মামলাতো বটেই 'পারিবারিক মামলায়'ও তাঁর উদারতার সাক্ষর রেখে চলেছেন-আল্লাহ তাঁর মঙ্গল করুন।আওয়ামী নেতাকর্মীরা নি:স্ব-তাঁদের সামান্য সহযোগীতা দলের জন্য বড় অবদান হতে পারে।
'সাখাওয়াৎ' কোথায় আছে-কেমন আছে জানিনা।মাঝখানে তাঁর কিছুটা মানষিক সমস্যা ছিল। রোগমুক্ত হয়েছে কিনা আমি অদম সেই খবরও রাখতে পারিনি।
'আরজু'--তাঁর নামের মধ্যেই বিরাজ করে মধুরতা, সরলতা, বিচক্ষনতা, প্রজ্ঞা, দুরদর্শীতার আবহ।আপনি নীজেই জানেন- বাস্তবেও তাই। প্রথম তিন জনই ছাত্রাবস্থায় খুব অল্প বয়সে, একই সময়ে, স্ব-স্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দেশব্যাপি আলোড়ন সৃষ্টি করতে পেরেছিল। জনসেবার তৃনমুলে প্রশিক্ষনের প্রয়োজনীয়তা থেকেই হয়ত তৎসময়ের জেলার কান্ডারী 'জয়নাল হাজারী' তাঁদের নমিনেশন দিয়েছিলেন। ফল ও যথারীতি ভালই হয়েছে-তিনজনই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হয়ে সারাজেলায় জনসেবার উৎকৃষ্ট উদাহরন সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন।-বর্তমান সময়ে তিনজনই 'সংসদ সদস্য' হওয়ার মত জনপ্রীয়তা অর্জন করে সময়ের অপেক্ষায় ছিলেন। একরাম দুইবারই সুষ্ঠ নির্বাচনে বিপুল ভোটে উপজেলা নির্বাচনে জিতেছিল। তৃতীয়বার নির্বাচন করার আগেই 'দ্বিতীয় বিজয়ের 'দুই মাসের' মধ্যে তাঁর অকাল মৃত্যু আওয়ামী পরিবারে হতাশার কালোমেঘ ঢেকে দিয়েছে। হয়তোবা আগামী দিনে আরো বড়মাপের তড়িৎকর্মা কোন এক আওয়ামী নেতার নেতৃত্ব পুরন করবে অসময়ের এই শুন্যতা।তিনিই এই কালমেঘ অপসারন করে দলকে এগিয়ে নিতে সক্ষম হবেন আগামী সুন্দর সাবলীল কোন এক সকালের প্রান্তে।
'আরজু' জেলা আওয়ামীলীগের মুরুব্বী নেতাদের সম্মান করতে গিয়ে হয়তবা উপজেলায় আসার চিন্তা কোনদিন করেনি। বিগত দিনে জেলা আওয়ামী লীগের কোন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দ্বিমত পোষন করেছে -তেমনটিও শুনা যায়নি। গত ইউপি নির্বাচনে 'আরজু' আওয়ামী লীগ থেকে 'নমিনেশন' পায়নি।
"জোট সরকারের" সময়ে জেলের অভ্যন্তরে থেকেও বিপুল ভোটে 'আরজু' নির্বাচিত হয়ে তাঁর ইউনিয়নের জনগনের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে সক্ষম হয়েছিল।পরবর্তী নির্বাচনেও বিপুল ভোটের ব্যবধানে 'তাঁর সরকারের' সময়ে নির্বাচিত হয়ে 'কায্যকালের' মধ্যে থেকেও নমিনেশন পায়নি। হয়তোবা রাগে-ক্ষোভে 'বিদ্রোহী প্রার্থী' হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।ভাগ্য তাঁর সু-প্রসন্ন হয়নি-নির্বাচন স্থগিত হয়ে গেছে।
একাধারে 'চারবার নির্বাচিত' হয়ে দায়িত্ব পালন করার পরেও 'বিদ্রোহী প্রার্থী' হয়ে আবার চেয়ারম্যান হতেই হবে-এমন একগুয়েমী সিদ্ধান্তে আমি একমত পোষন করতে নীজেও পারিনি। আমার জন্য ব্যাপারটা একেবারেই সহজ-কিন্তু জাত রাজনীতিবীদের জন্য অত্যান্ত কঠিন।রাজনীতির প্রথম এবং প্রধান শর্তই হচ্ছে এক্সিট করা বৈধ,মানা যায়-সুপারসিট একেবারেই অবৈধ,কোন অবস্থাতেই মানা যায়না। "সুপারসিট নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির আওতায় পড়েনা-বলপ্রয়োগের আওতায় পড়ে।" মাননীয় নেত্রী দক্ষ রাজনীতিবীদ হিসেবে আপনি বিষয়টি আমার চেয়ে কোটিগুন ভাল জানেন। আরজুর ক্ষেত্রেও তেমনটি ঘটার কারনে অস্থীমজ্জায় 'রাজনীতি প্রবাহমান' ডাকসাইটে ছাত্রনেতা, বর্তমানের পুরিপুর্ণ 'রাজনীতিবীদ-ফেনী জেলার সাবেক "ছাত্রলীগ/যুবলীগের কান্ডারী" মেনে নিতে পারেনি।ফেনী জেলা ছাত্র লীগ/যুবলীগের সময়ের কান্ডারী 'সামান্য ইউপি' নির্বাচনে 'সন্তুষ্টি' প্রকাশে আওয়ামীলীগের জন্য বড় আর্শিবাদ হওয়ার কথাই ছিল-তাই নয় কি জাতীর জনকের কন্যা ?
"জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃত্বের বিচক্ষনতায় বা অন্য কোন ভাগ্যের নির্মমতায় 'আরজু' নমিনেশন না পাওয়ায় 'আওয়ামীলীগ অভিশপ্ত' হয়নি। ডাকসাইটে রাজনীতিক 'আরজু'ই অভিশপ্ত হল এবং তাঁর সকল অর্জন নিমীষেই তাঁর পরিবারের জন্য অভিশাপ হয়ে দেখা দিল।"
চারবারের 'নির্বাচিত চেয়ারম্যান' গাছ চুরির মামলায় অন্যতম আসামী হয়ে তাঁর পরিবারকে 'চোরের পরিবারে' রুপান্তর করে সারা জীবনের জন্য অন্ধকারের আবর্তে নিমজ্জিত করে দিল। তাও আবার দামী 'সেগুন গাছ' নয়--৩০০টাকা দামের 'জাত কড়ই' গাছ।' যে গাছ কেউ কোন দিন রোপন করেনা-সরকারি সংরক্ষিত বনাঞ্চলে! সেতো নহে-ই। প্রাকৃতিক নিয়মেই যেখানে সেখানে জম্ম নেয়- এই জাতের গাছটি-আপামর জনগন জানে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
আপনার সরকারের 'তড়িৎকর্মা বন কর্মকর্তা' বাবু তপন কুমার দেবনাথের চাকুরী এখন পয্যন্ত বহাল কিভাবে থাকে আমি জানিনা! 'সরকারি সংরক্ষিত বনাঞ্চলে কড়ই গাছ' রোপন করে তিনি বন বিভাগকেই প্রশ্নের সম্মুখিন করেছেন। তাঁর চাকুরী বহাল থাকতে পারেনা। 'কড়ই গাছ বাগান থেকে প্রতিবছর 'আগাছা পরিস্কারকালিন' সময়ে সরাতে হয়। নি:সন্দেহে বলা যায়-'গাছ রোপন ও সংরক্ষনের অর্থ আত্মসাৎ করে দেশীয় 'আগাছা জাতীয় গাছ' লালন করে সরকারের বরাদ্ধকৃত অর্থ আত্মসাৎ করেছে 'ফেনী রেঞ্জার কতৃপক্ষ'। শুধু তাই নয় ঐ 'আগাছা সংরক্ষন' করে বনবিভাগকে জগনের নিকট হেয় প্রতিপন্ন করেছে 'ফেনী বনাঞ্চল কতৃপক্ষ।' মিথ্যা মামলা করার অপরাধে তাঁকে চাকুরী থেকে অব্যহতি' এবং আগাছা পরিস্কার না করায় কর্তব্য কাজে অবহেলার অভিযোগে 'বিভাগীয় মামলা' আনায়ন করাই হবে 'তাঁর এবং সংশ্লিষ্ট দায়ী কর্মকর্তাদের উপযুক্ত প্রতিকার'।
মাননীয় দেশরত্ম,
আরজু আওয়ামী রাজনীতি থেকে ঝরে গেলে কিছুই হবেনা সত্য-তাঁর সোনালী দিনের শ্রম আর মেধার মুল্য কি আওয়ামীলীগ ফেরৎ দিতে পারবে? আরজুকে কি জড় পদার্থ চুরির দায়ে অভিযুক্ত করে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিবে আওয়ামী লীগ? দেশব্যাপি কি বিদ্রোহী প্রার্থী আর ছিলনা? 'আরজু'ই কি একমাত্র দলীয় নির্দেশ অমান্যকারী চেয়ারম্যান প্রার্থী?
যে আরজু ১/১১ এর দু:সময়ে ইউপি অফিসের চেয়ারে বসে দলের কাজে নিয়োজিত ছিল।ফেনীর নেতারা যখন দেশত্যাগ করে নীজের জীবন রক্ষায় ব্যাস্ত ছিল-তখনও আরজুর মত দু:সাহষী ছাত্রনেতা ফেনী সদর ইউপি পরিষদে বসে দল পরিচালনা করতে দেখা গেছে। সেই মুল্যায়ন কি শেষাবদি 'কড়ই গাছ চুরীর মামলায়' ফাঁসিয়ে আওয়ামীলীগ প্রতিদান দিল ?
মাননীয় নেত্রী-আমার উদত্ত আচরন ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি।আপনার এবং আপনার সরকারের নিকট আমাদের কোন চাওয়া পাওয়া নেই। শুধু অর্জিত সম্মান টুকু নিয়ে পরপারে যাওয়ার সুযোগ টুকু আপনার নিকট চাই।
আপনি জাতির জনকের আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য আপনার এবং আপনার পরিবারের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আমরা এতেই খুশী। আপনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নই শুধু নয়-দেশকেও এগিয়ে নিচ্ছেন সমান তালে।বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ এখন করুনার দেশ নয়।বাঙ্গালী জাতী মাথা উচু করে বলতে শিখেছে-আমি বাঙ্গালী-বাংলাদেশ আমার জম্মভুমি।এই সবই আপনার নেতৃত্বের গুনে আর্জীত হয়েছে।
আমার মত অনেকের রাজনীতিতে প্রবেশের একমাত্র উদ্দেশ্যই ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য আওয়ামী লীগকে খমতায় নেয়ার চেষ্টা।সকলের সম্মিলীত প্রচেষ্টার ফসল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ দেশের শাষন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছে। কামনার চাইতেও বেশী পেয়েছি-আর তা হচ্ছে আকাশচুম্ভি উন্নয়ন। আপনি দেশ ও জাতীর জন্য অনেক অনেক করেছেন মাননীয়নেত্রী। এবার বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া দল 'আওয়ামীলীগের দিকে নজর দিন-নচেৎ আপনার কষ্টার্জিত অর্জন বিসর্জনে পরিনত হতে সময়ের প্রয়োজন হবে না।
"জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু"
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ,কেন্দ্রীয় কমিটি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।
বিষয়:-ফেনী জেলার কিংবদন্তি ছাত্রনেতা"আরজু" সাহেবের গাছ চুরি-আওয়ামীলীগের প্রতিদান প্রসঙ্গ--
_________________________________________
মাননীয় মহানুভবা জাতীরজনকের কন্যা,
যথাবিহীত সম্মান পুর্বক নিবেদন- অদ্য আপনার বরাবরে একটি মানবিক আবেদন করার ইচ্ছা বা প্রয়োজন প্রচন্ডভাবে অনুভব করছি। আমি জানিনা-আমার আবেদনখানি আপনার নজরে আসবে কি-আসবে না। আমার কিছুদিন আগে মুছে যাওয়া 'ওয়েব পেইজে'র সাথে 'আপনার ওয়েবের সংযুক্তি' বার কয়েক লক্ষ করেছিলাম। তখন হয়ত কোন বিষয়ের প্রতি-আপনার শত ব্যস্ততার মধ্যেও নজরে আসার সম্ভাবনা ছিল। আমার আজকের এই 'নতুন আইডির নতুন ওয়েব পেইজে' সেই সম্ভাবনাটুকুও নেই।
মাননীয় জননেত্রী,
আমার লেখালেখির অভ্যেস কখনই ছিলনা-লিখিওনি কোনদিন। ২০০৮ ইং সালে আপনার নেতৃত্বে সরকার গঠিত হলে আমার মত অনেকেই পালাক্রমে রাজনীতির মাঠ ছেড়ে পরিবার পরিজন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। অনেকে নতুন পরিবেশের সাথে তালমিলিয়ে এখনও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রচারে ব্রতি আছেন-তাঁদের প্রতি আন্তরীক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
আমিও নতুন নেতৃত্বের প্রতি তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলে মহানান্দে ২০১৩ ইং সালের শেষ দিকে রাজনীতির অঙ্গন ছেড়ে নীজ পরিবার পরিজন নিয়ে মহাসুখেই আছি। রাজনীতি থেকে দুরত্ব ঘটার কারনে ২০১৪ ইং সালের প্রারম্ভে অঢেল সময় কাটানোর উপায়ান্তর না পেয়ে লেখা-লেখিতে ব্রতি হই। সেই থেকে অদ্যাবদি পেইজবুক, গুগুল প্লাস, টুইটার, অন-লাইন পত্রিকা, পোর্টাল এবং ওয়েব পেইজ সমূহে 'বঙ্গবন্ধুর দর্শন, আদর্শ, চিন্তা, চেতনা' যতটুকু ধারন করতে পেরেছিলাম-নতুন প্রজম্মের বন্ধুদের নিকট সেই অভিজ্ঞতা গল্পাকারে তুলে ধরার আপ্রান চেষ্টায় পুর্ণাঙ্গরুপে ব্রতি হয়ে সাধ্যমত চেষ্টায় লিপ্ত আছি।ইনশাল্লাহ আমৃত্যু থাকার ইচ্ছাও পোষন করি। ব্যাক্তিগত কোন অভিযোগ নিয়ে বন্ধুদের বিরক্তির কারন সৃষ্টির মানষিকতার জম্ম আমার মধ্যে হয়নি-ভবিষ্যতেও ইনশাল্লাহ হবেনা।
মাননীয় দেশরত্ম-
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, জাতীর জনক, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা এই কয়টি শব্দের বাইরে একটি লাইনও লেখার সামথ্য আমার নেই। কারন আমি লেখক, কলামিষ্ট, বিশ্লেষক, প্রাবন্ধিক ইত্যাদি কিছুই নই। লেখালেখি করার মেধা, সময় যখন ছিল তখন মাঠেঘাটে 'জাতীর জনকের আদর্শ' এবং তাঁর 'নির্দেশীত রাজনীতি' নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। শেষ বয়সে এসে লেখালেখি করে 'দল আর দেশ'কে কতটুকুই বা আর দিতে পারব। আমার লেখা আগোছালো সত্য-তবে মিথ্যে কোন ঘটনার অবতারনা, তথ্যবিভ্রান্তি ইত্যাদি করার ইচ্ছা আমার কখনো ছিলনা-এখনও নেই। আমার সময় এখন মেধাশুন্যতার দিকে দাবিত-এই সময়ে মেধা বিকাশের আখাংকা অবশ্যই বোকামী ছাড়া আর কিছুই নয়।তারপরেও কি আর করব-সময় যে কাটে না।
সদাশয় জাতির জনকের কন্যা-
ফেনীর চলমান আওয়ামী রাজনীতির ভালমন্দ কোন বিষয়- অভিযোগ, অনুযোগ করার ইচ্ছা থেকে আমার এই নিবন্ধ নহে।
গত কয়দিন আগে ফেনীর স্থানীয় পত্রিকা সমুহে একটি খবর দেখে ব্যাক্তিগত ভাবে আমি হতবিহব্বল, হতাশ, মনোকষ্টে দিনাতিপাত করছি।এই সম্পর্কে কিছুই লিখবনা মনে করে বসে ছিলাম। কিন্তু মনকে প্রবোধ দিতে পারছিনা। কেউ না কেউ আপনাকে তো জানাতে হবে-নচেৎ আপনি জানবেন কি করে জীবনভর বিরুদীদলে থাকা 'বঙ্গবন্ধুর আদর্শের' হার না মানা লড়াকু সৈনীকেরা কে কোথায়, কিভাবে নীজদলের নিকট 'চরমভাবে হেরে'--ধীরে ধীরে 'অমানবিক' জীবন যাপনের দিকে দাবিত হতে বাধ্য হচ্ছে। তাঁর যৎকিঞ্চিত আপনার গোছরে আনার 'দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ' থেকে আমি অদমের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।
সদাশয় নেত্রী,
ফেনীর ছাত্রনেতা, যুবনেতা, সংগঠক ইত্যাদি যাই বলিনা কেন- যে কয়টি কিংবদন্তিতুল্য নাম সর্বাজ্ঞে জনমানুষের সামনে আসে নি:সন্দেহে তাঁদের অনেকের মধ্যে অন্যতম "আরজু, সাজু, একরাম, শাখাওয়াৎ।" একরাম আমাদের সবাইকে নিয়ে চলমান নেতৃত্বের প্রতি যথাযথ আনুগত্য রেখেই রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছিল।মাঝখানে কোথা থেকে কি হয়ে গেল জানিনা-অঙ্গার হয়ে তাঁর প্রতিদান দিতে হল তাঁকে। তাঁর অঙ্গার হওয়ার রহস্য সময়ে হয়তোবা উম্মোচিত হবে-একরাম কিন্তু আর ফিরে আসবেনা।
'সাজু' রাজনীতিতে যেমন নাম কিনতে পেরেছিল বর্তমানে তাঁর পেশা উকালতিতেও যথেষ্ট নাম কিনতে পেরেছে। রাজনীতিতে থাকলে হয়তোবা বড় কিছু হওয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনাই ছিল। চলমান রাজনীতির সাথে হয়তোবা অনেকের মত সেও তালমিলাতে না পেরে দূরে সরে গেছে। শুনেছি দলীয় লোকজনের রাজনৈতিক মামলাতো বটেই 'পারিবারিক মামলায়'ও তাঁর উদারতার সাক্ষর রেখে চলেছেন-আল্লাহ তাঁর মঙ্গল করুন।আওয়ামী নেতাকর্মীরা নি:স্ব-তাঁদের সামান্য সহযোগীতা দলের জন্য বড় অবদান হতে পারে।
'সাখাওয়াৎ' কোথায় আছে-কেমন আছে জানিনা।মাঝখানে তাঁর কিছুটা মানষিক সমস্যা ছিল। রোগমুক্ত হয়েছে কিনা আমি অদম সেই খবরও রাখতে পারিনি।
'আরজু'--তাঁর নামের মধ্যেই বিরাজ করে মধুরতা, সরলতা, বিচক্ষনতা, প্রজ্ঞা, দুরদর্শীতার আবহ।আপনি নীজেই জানেন- বাস্তবেও তাই। প্রথম তিন জনই ছাত্রাবস্থায় খুব অল্প বয়সে, একই সময়ে, স্ব-স্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দেশব্যাপি আলোড়ন সৃষ্টি করতে পেরেছিল। জনসেবার তৃনমুলে প্রশিক্ষনের প্রয়োজনীয়তা থেকেই হয়ত তৎসময়ের জেলার কান্ডারী 'জয়নাল হাজারী' তাঁদের নমিনেশন দিয়েছিলেন। ফল ও যথারীতি ভালই হয়েছে-তিনজনই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হয়ে সারাজেলায় জনসেবার উৎকৃষ্ট উদাহরন সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন।-বর্তমান সময়ে তিনজনই 'সংসদ সদস্য' হওয়ার মত জনপ্রীয়তা অর্জন করে সময়ের অপেক্ষায় ছিলেন। একরাম দুইবারই সুষ্ঠ নির্বাচনে বিপুল ভোটে উপজেলা নির্বাচনে জিতেছিল। তৃতীয়বার নির্বাচন করার আগেই 'দ্বিতীয় বিজয়ের 'দুই মাসের' মধ্যে তাঁর অকাল মৃত্যু আওয়ামী পরিবারে হতাশার কালোমেঘ ঢেকে দিয়েছে। হয়তোবা আগামী দিনে আরো বড়মাপের তড়িৎকর্মা কোন এক আওয়ামী নেতার নেতৃত্ব পুরন করবে অসময়ের এই শুন্যতা।তিনিই এই কালমেঘ অপসারন করে দলকে এগিয়ে নিতে সক্ষম হবেন আগামী সুন্দর সাবলীল কোন এক সকালের প্রান্তে।
'আরজু' জেলা আওয়ামীলীগের মুরুব্বী নেতাদের সম্মান করতে গিয়ে হয়তবা উপজেলায় আসার চিন্তা কোনদিন করেনি। বিগত দিনে জেলা আওয়ামী লীগের কোন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দ্বিমত পোষন করেছে -তেমনটিও শুনা যায়নি। গত ইউপি নির্বাচনে 'আরজু' আওয়ামী লীগ থেকে 'নমিনেশন' পায়নি।
"জোট সরকারের" সময়ে জেলের অভ্যন্তরে থেকেও বিপুল ভোটে 'আরজু' নির্বাচিত হয়ে তাঁর ইউনিয়নের জনগনের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে সক্ষম হয়েছিল।পরবর্তী নির্বাচনেও বিপুল ভোটের ব্যবধানে 'তাঁর সরকারের' সময়ে নির্বাচিত হয়ে 'কায্যকালের' মধ্যে থেকেও নমিনেশন পায়নি। হয়তোবা রাগে-ক্ষোভে 'বিদ্রোহী প্রার্থী' হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।ভাগ্য তাঁর সু-প্রসন্ন হয়নি-নির্বাচন স্থগিত হয়ে গেছে।
একাধারে 'চারবার নির্বাচিত' হয়ে দায়িত্ব পালন করার পরেও 'বিদ্রোহী প্রার্থী' হয়ে আবার চেয়ারম্যান হতেই হবে-এমন একগুয়েমী সিদ্ধান্তে আমি একমত পোষন করতে নীজেও পারিনি। আমার জন্য ব্যাপারটা একেবারেই সহজ-কিন্তু জাত রাজনীতিবীদের জন্য অত্যান্ত কঠিন।রাজনীতির প্রথম এবং প্রধান শর্তই হচ্ছে এক্সিট করা বৈধ,মানা যায়-সুপারসিট একেবারেই অবৈধ,কোন অবস্থাতেই মানা যায়না। "সুপারসিট নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির আওতায় পড়েনা-বলপ্রয়োগের আওতায় পড়ে।" মাননীয় নেত্রী দক্ষ রাজনীতিবীদ হিসেবে আপনি বিষয়টি আমার চেয়ে কোটিগুন ভাল জানেন। আরজুর ক্ষেত্রেও তেমনটি ঘটার কারনে অস্থীমজ্জায় 'রাজনীতি প্রবাহমান' ডাকসাইটে ছাত্রনেতা, বর্তমানের পুরিপুর্ণ 'রাজনীতিবীদ-ফেনী জেলার সাবেক "ছাত্রলীগ/যুবলীগের কান্ডারী" মেনে নিতে পারেনি।ফেনী জেলা ছাত্র লীগ/যুবলীগের সময়ের কান্ডারী 'সামান্য ইউপি' নির্বাচনে 'সন্তুষ্টি' প্রকাশে আওয়ামীলীগের জন্য বড় আর্শিবাদ হওয়ার কথাই ছিল-তাই নয় কি জাতীর জনকের কন্যা ?
"জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃত্বের বিচক্ষনতায় বা অন্য কোন ভাগ্যের নির্মমতায় 'আরজু' নমিনেশন না পাওয়ায় 'আওয়ামীলীগ অভিশপ্ত' হয়নি। ডাকসাইটে রাজনীতিক 'আরজু'ই অভিশপ্ত হল এবং তাঁর সকল অর্জন নিমীষেই তাঁর পরিবারের জন্য অভিশাপ হয়ে দেখা দিল।"
চারবারের 'নির্বাচিত চেয়ারম্যান' গাছ চুরির মামলায় অন্যতম আসামী হয়ে তাঁর পরিবারকে 'চোরের পরিবারে' রুপান্তর করে সারা জীবনের জন্য অন্ধকারের আবর্তে নিমজ্জিত করে দিল। তাও আবার দামী 'সেগুন গাছ' নয়--৩০০টাকা দামের 'জাত কড়ই' গাছ।' যে গাছ কেউ কোন দিন রোপন করেনা-সরকারি সংরক্ষিত বনাঞ্চলে! সেতো নহে-ই। প্রাকৃতিক নিয়মেই যেখানে সেখানে জম্ম নেয়- এই জাতের গাছটি-আপামর জনগন জানে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
আপনার সরকারের 'তড়িৎকর্মা বন কর্মকর্তা' বাবু তপন কুমার দেবনাথের চাকুরী এখন পয্যন্ত বহাল কিভাবে থাকে আমি জানিনা! 'সরকারি সংরক্ষিত বনাঞ্চলে কড়ই গাছ' রোপন করে তিনি বন বিভাগকেই প্রশ্নের সম্মুখিন করেছেন। তাঁর চাকুরী বহাল থাকতে পারেনা। 'কড়ই গাছ বাগান থেকে প্রতিবছর 'আগাছা পরিস্কারকালিন' সময়ে সরাতে হয়। নি:সন্দেহে বলা যায়-'গাছ রোপন ও সংরক্ষনের অর্থ আত্মসাৎ করে দেশীয় 'আগাছা জাতীয় গাছ' লালন করে সরকারের বরাদ্ধকৃত অর্থ আত্মসাৎ করেছে 'ফেনী রেঞ্জার কতৃপক্ষ'। শুধু তাই নয় ঐ 'আগাছা সংরক্ষন' করে বনবিভাগকে জগনের নিকট হেয় প্রতিপন্ন করেছে 'ফেনী বনাঞ্চল কতৃপক্ষ।' মিথ্যা মামলা করার অপরাধে তাঁকে চাকুরী থেকে অব্যহতি' এবং আগাছা পরিস্কার না করায় কর্তব্য কাজে অবহেলার অভিযোগে 'বিভাগীয় মামলা' আনায়ন করাই হবে 'তাঁর এবং সংশ্লিষ্ট দায়ী কর্মকর্তাদের উপযুক্ত প্রতিকার'।
মাননীয় দেশরত্ম,
আরজু আওয়ামী রাজনীতি থেকে ঝরে গেলে কিছুই হবেনা সত্য-তাঁর সোনালী দিনের শ্রম আর মেধার মুল্য কি আওয়ামীলীগ ফেরৎ দিতে পারবে? আরজুকে কি জড় পদার্থ চুরির দায়ে অভিযুক্ত করে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিবে আওয়ামী লীগ? দেশব্যাপি কি বিদ্রোহী প্রার্থী আর ছিলনা? 'আরজু'ই কি একমাত্র দলীয় নির্দেশ অমান্যকারী চেয়ারম্যান প্রার্থী?
যে আরজু ১/১১ এর দু:সময়ে ইউপি অফিসের চেয়ারে বসে দলের কাজে নিয়োজিত ছিল।ফেনীর নেতারা যখন দেশত্যাগ করে নীজের জীবন রক্ষায় ব্যাস্ত ছিল-তখনও আরজুর মত দু:সাহষী ছাত্রনেতা ফেনী সদর ইউপি পরিষদে বসে দল পরিচালনা করতে দেখা গেছে। সেই মুল্যায়ন কি শেষাবদি 'কড়ই গাছ চুরীর মামলায়' ফাঁসিয়ে আওয়ামীলীগ প্রতিদান দিল ?
মাননীয় নেত্রী-আমার উদত্ত আচরন ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি।আপনার এবং আপনার সরকারের নিকট আমাদের কোন চাওয়া পাওয়া নেই। শুধু অর্জিত সম্মান টুকু নিয়ে পরপারে যাওয়ার সুযোগ টুকু আপনার নিকট চাই।
আপনি জাতির জনকের আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য আপনার এবং আপনার পরিবারের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আমরা এতেই খুশী। আপনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নই শুধু নয়-দেশকেও এগিয়ে নিচ্ছেন সমান তালে।বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ এখন করুনার দেশ নয়।বাঙ্গালী জাতী মাথা উচু করে বলতে শিখেছে-আমি বাঙ্গালী-বাংলাদেশ আমার জম্মভুমি।এই সবই আপনার নেতৃত্বের গুনে আর্জীত হয়েছে।
আমার মত অনেকের রাজনীতিতে প্রবেশের একমাত্র উদ্দেশ্যই ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য আওয়ামী লীগকে খমতায় নেয়ার চেষ্টা।সকলের সম্মিলীত প্রচেষ্টার ফসল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ দেশের শাষন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছে। কামনার চাইতেও বেশী পেয়েছি-আর তা হচ্ছে আকাশচুম্ভি উন্নয়ন। আপনি দেশ ও জাতীর জন্য অনেক অনেক করেছেন মাননীয়নেত্রী। এবার বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া দল 'আওয়ামীলীগের দিকে নজর দিন-নচেৎ আপনার কষ্টার্জিত অর্জন বিসর্জনে পরিনত হতে সময়ের প্রয়োজন হবে না।
"জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু"
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন