শোকের মাস আগষ্টে বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী দর্শন "বাকশালের" মহত্বই কেবল মনে পড়ে-- _________________________ শোকের মাস আগষ্ট।বাঙ্গালি তাঁর বাঙ্গালীত্বের ইতিহাসের চরম সত্যকে বুকে ধারন করে অনন্তকাল বয়ে বেড়াবে।মহাভারতে বাঙালীর উপস্থিতি ছিল আবহমানকাল থেকেই, কিন্তু স্বাতন্ত্রতা ছিল না, স্বাধীনতা ছিল না, ছিল না কোন সার্বভৌম রাষ্ট্র।তিলে তিলে নিজের এবং পরিবারের জীবন বিপন্ন করে, যে বাঙ্গালী সব কিছুই এনে দিলেন,তাঁকেই হত্যা করা হল-তাঁরই সৃষ্ট বাংলাদেশে। আগষ্ট মাস এলে জাতি শোক পালনের পাশাপাশি তাঁর জীবনের উল্লেখ্যোগ্য ঘটনাবলী নিয়ে আলোচনায় মেতে উঠেন।স্বরণ করেন প্রত্যেক বাঙ্গালী নাগরিক, তবে বিশ্লেষনে পার্থক্য আছে বিস্তর। অনেকেই বলতে শুনা যায় বা লেখনীতেও প্রকাশ করেন- '৭৫ইং সালে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করার জন্য বা গনতন্ত্র হত্যা করার জন্য @১৫ই আগষ্টের নির্মম হত্যাযজ্ঞটি সংঘঠিত হয়েছিল। আমি মনে করি তাঁরা হয় না জেনে বলছেন, নয় তারা ভাল করে জানেন বিধায় বংঙ্গবন্ধুর মহত্বকে খাটো করে উপস্থাপন করার হীনমন মানষীকতায় ভোগার কারনেই কথাটা বলেন।বাকশাল প্রতিষ্ঠার ঘোষনা দেয়ার এক বছর আগে বংঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার চেষ্টা হয়েছিল-তখন কেন হত্যা করার চেষ্টা হল? দু::খ্যজনক হলেও সত্য যে, তারাই বলার চেষ্টা করেন বাকশাল একদলীয় শাষন,একনেতার শাষন।তারাই বলেন গনতন্ত্র হত্যা করা হয়েছিল বাকশালের মাধ্যমে।এই প্রসংঙ্গে তাঁরা সংবিধানের অন্যতম ভিত্তি গনতন্ত্রের কথাটা উল্লেখ করতে চান। জ্ঞানপাপীরা গনতন্ত্রের উল্লেখ সংবিধানে ঠিকই দেখেন,গনতন্ত্রের সাথে সমাজতন্ত্র এর সংজ্ঞায় কি সুনির্দিষ্টতা আছে বেমালুম দেখেন না। চিরন্তন সত্য হচ্ছে বঙ্গবন্ধু একদিনের জন্যও সংবিধানের বাহিরে গিয়ে দেশ শাষন করেননি।কোন অবস্থায় বাকশাল একদলীয় শাষন ছিল না।একনেতার শাষনও ছিল না। মূলত: বাকশাল ছিল সব রাজনৈতিক দল,পেশাজীবি, রাজনীতিবীদ, শুসীল সমাজের সমন্বয়ে গঠীত জাতীয় উন্নয়ন, ন্যায়ভিত্তিক আইনের শাষন প্রতিষ্ঠার চলমান সংবিধান সম্মত 'জাতীয় দল।' বাকশালের উদ্দেশ্য ছিল অবশ্যই সংবিধান স্বীকৃত, মুক্তিযুদ্ধের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিক। যে উদ্দেশ্যে বা যে স্বপ্ন নিয়ে তৎকালীন পুর্ব পাকিস্তানের আপামর জনগন ১৯৭১সালে মুক্তি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল-শোষন মুক্ত, ধর্মনিরপেক্ষ,গনতান্ত্রিক সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষকে সামনে রেখে--তাঁরই বাস্তব রুপায়ন হচ্ছে "বাকশাল"। আঁতুড় ঘরে হত্যা করা দর্শনের বিরুদ্ধে একতরফা ২১ বছর অপ্প্রচার চালিয়ে বঙ্গবন্ধুর মহৎ দর্শনকে জনমনে ভীতিকর শাষন ব্যাবস্থা রুপে চিত্রিত করার তাঁদের চেষ্টা শতভাগ সফল হয়েছে আওয়ামী নেতাদের এইভসম্পর্কীত বিষয়ে বাস্তব কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করার কারনে। আমি নিবিড়ভাবে পয্যবেক্ষন করে দেখেছি- আওয়ামী লীগের বহু বড় নেতার আলোচনায় অংশ নিয়েছি,আওয়ামীঘেষা বহু বুদ্ধিজীবির প্রবন্ধ নিবন্ধ পড়ে দেখেছি-কারো আলোচনা বা লেখনীতে বাকশালের বিস্তারীত বিবরণ তেমন ভাবে বিধৃত হয়নি। বিরুধীরা ইনীয়ে বিনীয়ে আওয়ামীলীগ বাংলাদেশের শাষন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলে- যে দোষ বড় করে দেখাতে চায় "বাকশাল" এই বুঝি হয়ে গেল।তুলনা মুলক আওয়ামী নেতারা 'বাকশালের' মহত্ত প্রচার ও প্রসারে বা লেখালেখিতে বিরুধীদের তুলনায় একেবারে নগন্যই বলা চলে। আওয়ামী নেতারা উপলব্দি করার আদৌ কোন চেষ্টা কস্মিনকালেও করেনি যে- ' বাকশাল' দর্শনেই জাতীর জনকের সকল মহত্ত নিহীত।তৎসময়ের দুই পরাশক্তির শীতল যুদ্ধের কারনে বিশ্ব দুই শিবিরে বিভক্ত ছিল-এই সত্যটি অস্বীকার করার কি কোন উপায় আছে? মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ বিরুধীতাকারী শক্তি মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ অপরদিকে মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষ সহযোগীতাকারী শক্তি সমাজতান্ত্রীক বিশ্ব- ইহা কি মিথ্যা? সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ দুইয়ের মাঝামাঝি অবস্থানে থেকে রাষ্ট্র পরিচালনার নীতি গ্রহন করার বিকল্প রাজনৈতিক কোন অবস্থান কি ছিল বা এখনও আছে? পরাশক্তিদ্বয়কে অবজ্ঞা করে সদ্য স্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের শাষনকায্য পরিচালনা, উন্নয়ন, অগ্রগতি, সামাজিক স্থীরতা নিশ্চিত করার বিকল্প রাজনৈতীক অবস্থান আর কি হতে পারে? রাষ্ট্রীয় নীতি স্থীরকৃত ছাড়া শাষন ব্যবস্থা কি করে গড়ে তোলা সম্ভব হত? বৃটিশ-পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় কাঠামো একান্তই যদি পরিবর্তনের প্রয়োজন না থাকে তাহলে দেশ স্বাধীন করার কি এমন কারন ছিল? ৪৫ বছর শাষক শ্রেনীর আইনী কাঠামো যথারীতি অনূসরন করে বাংলাদেশ কি কাংখিত উন্নয়ন অগ্রগতি লাভ করেছে? সমাজ কি শোষন বঞ্চনার হাত থেকে রেহাই পেয়েছে? সম্পদের সুষম বন্টনের নীতি কি অনুসৃত হয়েছে? ধনী কি আরো ধনী হয়নি? বাইশ পরিবারের স্থান কি বাইশ হাজার পরিবার দখল করেনি? ধনীক শ্রেনী সৃষ্টির জন্যই কি মুক্তিযুদ্ধ সংঘঠিত হয়েছিল? মুক্তিযুদ্ধের কোন অঙ্গীকারই কি ছিলনা? যদি কোন উদ্দেশ্য নাইবা থাকে তবে কেন, কি উদ্দেশ্যে আপামর নিরস্ত্র বাঙ্গালীজাতী সসস্ত্র যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল? মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি সমূহের একতরফা অপ-প্রচারের কারনে জনমনে 'বাকশাল' সম্পর্কে প্রচুর বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানের শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর সম্মূখ্যে বাকশালের ইতিবাচক দিকগুলী এবং তখনকার সময়ের বিশ্ব রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, আর্থসামাজিক পরিস্থীতি তুলে ধরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির প্রয়োজন ছিল। সেই দায়িত্ব যদি তাঁরা বা অন্য কোন মহল বিবেকের তাড়নায়ও কাঁধে তুলে নেয়- তাহলে বঙ্গবন্ধুর পরিপক্ক রাজনৈতিক জীবনের একটি গুরুত্ব পূর্ণ অংশ সম্পর্কে নতুন প্রজর্ম্মের বহু ভুল ধারনার অবসান হতে পারে,এই আমার বিশ্বাস। 'জাতীয়দল' গঠনের ধারনা নতুন কোন আবিস্কার নয়, আধূনীক বিশ্বের দেশে দেশে রাজনৈতিক,সামাজিক, অর্থনৈতিক সংকটে এই প্রকৃতির সরকার গঠনের উদ্যোগ সময়ে সময়ে দেখা যায়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু তাঁর একাধিক বক্তৃতা-বিবৃতিতে 'বাকশাল' যে একটি সাময়িক রাষ্ট্র পরিচালনার ব্যবস্থা তা উল্লেখ করেছেন। বর্তমানে যে গনতন্ত্রের চর্চা বা অনুশীলন করা হচ্ছে এই গনতন্ত্র পশ্চিমা ইহুদীদের গনতন্ত্র। আমাদের পবিত্র ধর্ম 'ইসলামে' বর্তমানের অনূসৃত গনতন্ত্রের কোন স্থান নেই। খোলাফায়ে রাশেদীনের শাষনামলে চার খলীফা যে গনতন্ত্রের অনুশীলন করে ইসলামের সৌন্দয্য, মাধূর্য্য, সাম্যতা, সহনশীলতা, ন্যায়পরায়নতা বিশ্বের বিদ্যমান সকল জাতীর নিকট উপস্থাপন করে ইসলাম ধর্মের প্রচার ও প্রসার ঘটিয়েছিলেন-''বাকশাল' দর্শনের গনতন্ত্র" অনেকাংশে সেই একই রুপরেখায় সৃজন করা হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বাদ প্রত্যেক নাগরীকের ঘরে পৌছে দেয়ার লক্ষে বঙ্গবন্ধু 'বাকশাল' গঠনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সহজ ভাবে বলা যায়- বিদ্যমান সমবায় সমিতি গুলি যে রুপরেখায় পরিচালিত হয়ে সমিতি ভুক্ত সদস্যদের জীবনমান উন্নয়ন করে চলেছে- একইভাবে 'বাকশাল' কে "বৃহত্তর জাতীয় সমিতি" আকারে চিন্তা করলেও- আদৌ ভুল হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। সমবায় সমিতিশিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শ্রমিক ইউনিয়ন, ব্যাংক, বীমা, স্বায়ত্ব শাষিত প্রতিষ্ঠান সমুহের নির্বাচনে যদি গনতন্ত্র অনুসৃত হয় তবে 'বাকশালে'কেন নয়?এই সমস্ত প্রতিষ্ঠান গুলীর পরিচালনায় যদি গনতন্ত্রের ব্যাঘাত ঘটে থাকে তাহলে ধরে নিতে পারি 'বাকশাল' দর্শনের গনতন্ত্রে ব্যাঘাত সৃষ্টি হত। বিরুদীদের ভয়ের কারন 'বাকশাল' নয়, বাকশাল দর্শনের 'মহত্বে'। 'বাকশাল' মতবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়ে মর্মানুযায়ী দেশ পরিচালিত হলে স্বাধীনতা বিরুদী রাজাকার, আলবদর, সাম্প্রদায়ীক শক্তি সমূহের রাজনীতি করার অধিকার থাকে না।কোনপ্রকার সাম্প্রদায়ীকতার স্থান ইসলামে নেই-এই সত্যটি যারা বিশ্বাস করেনা তাঁরাই অসাম্প্রদায়ীক চেতনায় বিশ্বাসীদের নাস্তিক, ধর্মদ্রোহী ইত্যাদি বলে নীজেদের পাঁপকে আড়াল করার চেষ্টা করেন। মানবতার ধর্ম ইসলাম- যে গনতন্ত্রের সমর্থন করে না সেই গনতন্ত্রের চর্চায় নিজেদের নিমগ্ন রেখে প্রকারান্তরে ইসলাম ধর্মের সৌন্দয্যকেই অস্বীকার করেন। সমগ্র মানব জাতীর কল্যানে প্রেরীত হওয়ার কারনে ইসলাম ধর্ম সার্বজনীন ধর্ম হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সার্বজনীন ইসলাম ধর্মকে সাম্প্রদায়ীক গোষ্ঠি তাঁদের নীজেদের স্বার্থ্য সিদ্ধির উদ্দেশ্যে একক জাতী 'মসুলমানের' ধর্মে রুপান্তর করে প্রকারান্তরে মহান আল্লাহর হুকুমের সরাসরি বিরুদীতা করে চলেছে। বঙ্গবন্ধু প্রথম জীবনে রাজনীতিতে ভুল করেনি। নিখিল ভারত মুসলিম লীগের ছাত্র রাজনীতি করার প্রাক্কালে পাকিস্থান সৃষ্ট্রিতে গুরুত্ব পূর্ণ ভুমিকা রেখেছিলেন। ১৯৪০সালের লাহোর প্রস্তাবের ৩নং ধারায় পরিষ্কার উল্লেখ ছিল, ভারতবর্ষকে এমন ভাবে ভাগ করতে হবে, উত্তর-পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলে একাধিক মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা সমুহে,একাধিক স্বতন্ত্র স্বাধীন রাষ্ট্র গঠিত হবে।এই ধারাটিকে বাস্তবে রুপ দেয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু ছাত্র থাকা অবস্থায় পাকিস্থান সৃষ্টির পক্ষে জোরালো ভুমিকা রেখেছিলেন।তাঁর সমসাময়ীক নেতা কাস্মীরের শেখ আবদুল্ল্যা 'কংগ্রেস' পক্ষে থাকায় স্বাধীনতা দুরের কথা, জীবনের সবচেয়ে মুল্যবান সময় জেলেই কাটাতে হয়েছে।তাঁরই একান্ত বন্ধু রাজনৈতিক গুরু নেহেরুর শাষনামলে কাস্মীরের স্বাধীনতা দাবি করায়। ১৯৪৫ ইং সালে দিল্লি কনভেনশনে কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ যদি 'দ্বিজাতী তত্ব' প্রস্তাব উত্থাপনের জন্য 'বঙ্গবভঙ্গ 'সংশোধন না করতেন তাহলে ১৯৪৭ ইং সালেই পুর্ববঙ্গ-পশ্চিমবঙ্গ মিলে একটি অথবা ভিন্ন ভিন্ন ভাবে একাধিক স্বাধীন রাষ্ট্র সৃষ্ট্রি হত।জিন্নাহ পরবর্তীতে তাঁর ভুল বুঝতে পেরে মৃত্যুর আগে আপসোসও করেছেন।তাঁর প্রমান পাওয়া যায় তাঁর 'ব্যাক্তিগত চিকিৎসক কর্নেল এলাহী বক্সের নিকট থেকে।' বিশিষ্ট সাংবাদিক মোহাম্মদ মোদাব্বের হোসেন করাচিতে অনুষ্ঠিত 'সম্পাদকদের সম্মেলনে' এই তথ্য প্রকাশ করেন।তথ্যসুত্র:-(সাংবাদিকের রোজনামচা)। ছাত্র মুজিব বাঙ্গালীর স্বাতন্ত্রতা বুঝতে তখন ভুল করেনি-পরিপক্ষ মুজিব দেশ গড়ায় ভুল করবেন!! যারা বলেন বাকশাল' একদলীয় শাষন-তাঁরা হয় বোকা নয়তো বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি, এছাড়া আর কিছুই নয়। নির্বাচিত সরকার ও সেই সরকারের পাহাড়সম জনপ্রীয় নেতাকে উৎখাত ও হত্যার পাপ মোচন করার জন্য আঁতুড় ঘরের বাসিন্দা 'বাকশাল' সম্পর্কে অপপ্রচার চালিয়েছে।,বর্তমানের লেখক বুদ্ধিজীবি, আওয়ামী লীগের নেতারা কেন বঙ্গবন্ধুর জীবনের সবচেয়ে স্বর্ণালী অধ্যায়,আজীবনের লালিত স্বপ্ন,বঙ্গবন্ধুর মৌলিক রাজনৈতিক দর্শন নিয়ে আলোকপাত করেন না--তা বোধগম্য নয়।যে আদর্শকে কায়েমী স্বার্থান্বেষী মহল এখনও তাঁদের গলার ফাঁস মনে করে সর্বদাই জনমনে আতংক সৃষ্টির কৌশল হিসেবে ব্যাবহার করে চলেছে। "জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু"

  বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামীলীগ সংক্ষেপে"বাকশাল" বঙ্গবন্ধুর পরিপক্ক রাজনৈতিক জীবনের অমূল্য রাজনৈতিক দর্শন। বিশ্বের শোষিত বঞ্চিত স্বাধীনতাকামী জনগন মুক্তির দিশা বাকশালে খুঁজে পেলেও প্রচারের অভাবে বাংলাদেশে আতংকের নামেই পরিচিতি পেয়েছে।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা