জাতির জনক হত্যায় জিয়ার সম্পৃত্ততা যাছাইয়ে কমিশন গঠনের উদ্যোগ---


বঙ্গবন্ধু হত্যায় জিয়ার সম্পৃত্ততা যাছাইয়ে কমিশন গঠন।
আগুন সন্ত্রাস, লুটতরাজ,বিচার বিভাগকে অবজ্ঞার অপরাধে"সাংবিধানীক বাধ্যবাধকতার"প্রতি নজর দিন।
==================

              পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছে-মেজর জিয়ার বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডে কতটুকু সম্পৃত্ততা আছে তা যাচাইয়ের জন্য সরকার একটি শক্তিশালী কমিশন গঠন  করার উদ্যোগ নিচ্ছেন।খবরটি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের যে কোন ব্যাক্তি বা দলকে উজ্জীবিত করবে নি:সন্দেহে। এই ধরনের কমিশন অনেক আগেই করা উচিৎ ছিল-যাইহোক দেরীতে হলেও সরকারের বোধদয় হয়েছে এতেও জনগন খুশী। বিভিন্ন সভা সমাবেশে বিগত চল্লিশ বছর শুধু বলেই আসছে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ব্যাক্তি এবং দলগুলী জিয়া বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের মুল কুশীলব এবং নেপথ্যের প্রধান নায়ক।কোন সরকার বক্তব্যটির সত্যতা যাচাইয়ের উদ্যোগ গ্রহন করেনি-বর্তমান সরকার জনগনের নাড়ীর খবর হয়ত বুঝতে পেরে দেরীতে হলেও উদ্যোগ নিতে যাচ্ছেন।আমি মনে করি বিএনপি রাজনৈতিক দল হিসেবে টিকে থাকার  জন্যেও বিতর্কটির মীমাংসার প্রশ্নে সরকারের উদ্যোগকে স্বাগত: জানানো উচিৎ-আশা করা যায় জানাবেও।
   এই প্রসঙ্গে আরো কতিপয় বিষয়ে সরকারের উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন-বিএনপিকে স্বচ্ছ, গনমূখী, গনতান্ত্রীক রাজনৈতিক দলে রুপান্তরের জন্য।যেহেতু গনতান্ত্রীক দেশে একাদিক গনতান্ত্রীক দেশপ্রেমী রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব থাকা একান্ত বাঞ্চনীয় সেই বিবেচনায় সামরিক চাউনী থেকে জম্ম নেয়া বিএনপি সামরিক উর্দী পরিহার করলেও আচার আচরন, দলীয় কর্মকান্ড, সরকার পরিচালনা, নেতা নির্বাচন, পারিবারীকিকরন, লুটপাট  ইত্যাদি আবশ্যকীয় বিষয়গুলীতে একনায়কতান্ত্রীকতা  এবং দেশের সম্পদ ব্যাক্তিগত সম্পদ বিবেচনা পরিহার করতে পারেনি। দেশের প্রচলিত আইন-আদালতকে অবজ্ঞা করার মানষিকতা থেকেও দলটিকে বের করে আনার প্রয়োজনে বর্তমান সরকারের কিছু পদক্ষেপ নেয়া অতীব প্রয়োজন আছে বলে- আমি মনে করি। যেহেতু-যেভাবেই হোকনা কেন রাজনৈতীক দল হিসেবে বিএনপি বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি প্রতিষ্ঠিত শক্তি -এই সত্যটি অস্বীকার করার কোন উপায় আছে বলে আমি মনে করিনা।সুতারাং দলটিকে স্বচ্চতায় ফিরিয়ে আনতে নিম্নের বিষয়াবলী গুলীর প্রতি বর্তমান সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করছি--
    ইহা একান্ত সত্যযে-দেশের প্রচলীত আইন-আদালতকে অবজ্ঞা করে দীর্ঘ বছর অবৈধ ভাবে বিদেশে বসবাস করে তারেক আদালতের এবং বালাদেশের ভাবমুতি নষ্ট করছেন।একজন সাবেক প্রেসিডেন্টের পুত্র পরবর্তীতে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পূত্র আইনের সম্মুখীন না হয়ে বিদেশে অবৈধ ভাবে বসবাস করা কতটুকু যুক্তিপুর্ন হচ্ছে-তা দেশের বিবেক বান মানুষের নিকট বিরাট প্রশ্ন হিসাবে দেখা দিয়েছে।
     ১ /১১ এর সময় সদ্য ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ও  ২য় ছেলে মরহুম কোকো বাংলাদেশ সরকারকে কর দিয়ে কাল টাকা সাদা করেছেন।একজন প্রধানমন্ত্রী এবং তার পরিবার দেশের ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এত বিশাল অংকের কাল টাকার মালিক কিভাবে হলেন দেশ বিদেশে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। বিষয়টি বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমুর্তি দারুন ভাবে প্রশ্ন বিদ্ধ হয়েছিল। একটা পরিবারের জন্য বাঙলাদেশ এবং বাংলাদেশের জনগন বার বার লজ্জায় মাথা হেট করে বিদেশীদের চোর আখ্যা শুনতে হবে ইহা কি করে সম্ভব। শীর্ষ রাজনীতিবীদ বা কোন দলের শীর্ষনেতা যদি নীতিহীন-দুনীতিগ্রস্ত হয়, সেই দলের অপরাপর নেতারাও দুনীতি পরায়ন হওয়া স্বাভাবিক।শীর্ষনেতারা দুনীতি করে বা অনৈতিক ভাবে টাকা রোজগারে লিপ্ত থাকে-এইরুপ সমসাময়িক বিশ্ব ইতিহাসে বিরল। দুর্নীতিবাজ নেতা খুজে নিতে সময়ের প্রয়োজন হতে পারে-কোন দুনীতিতে লিপ্ত নেই, এই প্রকৃতির নেতা খুজে নিতে সময়ক্ষেপনের প্রয়োজন হয় না।
      অনেকের নিকট কথাটার সত্যতা নাও থাকতে পারে-তাদেরকে গভীরভাবে বর্তমান বিশ্বের দেশে দেশে প্রতিষ্ঠিত রাজনীতিবীদ ও সরকার সমুহের প্রতি দৃষ্টি নিবন্ধ করার অনুরোধ করবো। আমাদের দেশের বেশীরভাগ  নাগরিকের চিন্তা চেতনায় গভীর ভাবে প্রোথিত যে-নেতাই দুনীতিবাজ, নেতা হয় শুধু দুনীতি, স্বজনপ্রীতি, লুটপাট, কমিশন, টেন্ডারবাজী, সরকারি সম্পত্তি দখল ইত্যাদি কর্মকান্ডের মাধ্যমে টাকা রোজগারের জন্য। নাগরিকদের মনে এই ধারনা বদ্ধমুল হওয়ার পিছনে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অবৈধ ভাবে ক্ষমতা দখল করে সামরিক, বেসামরীক আমলা, ব্যবসায়ীদের রাষ্ট্রীয় কোষাগার অথবা ব্যাংকে জনগনের গচ্ছিত অর্থ  এবং সরকারি সম্পদ ব্যবহার করে রাজনৈতিক দল গঠন অন্যতম কারন।  বাংলাদেশের জনগন নীজেদের চোখে যাহা দেখেছে তাহাই তাঁদের পক্ষে অবশ্যই অকাট্য যুক্তি।
  নিয়মতান্ত্রীক রাজনীতি এবং জনগনের মধ্য থেকে রাজনৈতিক দলের উৎপত্তি হলে এমনটি হ'তনা।বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং অন্যান্ন গুটিকতক সামরিক সরকার কতৃক শাষিত দেশ ব্যাতিরেকে গনতান্ত্রীক দেশের ক্ষেত্রে সর্বাংশে তদ্রুপ নয়-তাহা একটু গভীর মনোযোগে চিন্তায় নিলে স্পষ্ট ধারনা পাওয়া যেতে পারে।সারা বিশ্বের দেশ সমুহ শাষন করে কোন না কোন ভাবে রাজনীতিবীদরাই।আবহমান কাল থেকেই নিয়মটি প্রত্যেক দেশেই কমবেশী ক্ষনকালের বিরতিতে হলেও পালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশের বিএনপির শীষনেতা ও তালঁর পরিবার এবং ফিলিফিন্সের মার্কোস পরিবার ব্যাতিরেকে দুর্নীতিবাজ সরকার বা রাজনীতিবীদ কয়টি আছে  কেউ কি বলতে পারবেন? যে দেশে- যে শীষনেতা বা তাঁর পরিবার দুনীতিতে জড়িয়েছেন-তার দল বা তার পরিবার রাজনীতি থেকে ছিটকে ইতিহাসের অতলগব্বরে হারিয়ে গেছেন।ফিলিফাইনের মাকোস পরিবার প্রমানীত দুনীতিবাজ হওয়ার পর ফিলিফাইনের রাজনীতি থেকে ঐ পরিবার হারিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।তবে তৃতীয় বিশ্বের নেতাদের মধ্যে দুনীতির কিছুটা উদাহরন থাকলেও উন্নত বিশ্বে ছিটে ফোঁটাও মেলানো দুষ্কর বলা যায়। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নিক্সনের ওয়াটারগেট কেলেংকারির কথাটি কারো মনে জাগতে পারে তবে ইহা কোন প্রকার অর্থসংক্রান্ত বিষয় নয়। রাজনীতির শীর্ষ পয্যায়ে থেকে ভোগ বিলাশের নিমিত্তে অনৈতিক টাকা আহরনের বিষয়ই আমার প্রতিপাদ্য। প্রায় দেশের রাষ্ট্র নায়কদের বহু ধরনের কেলেংকারি পাওয়া যেতে পারে-অথনৈতিক বিষয়ক কেলেংকারী খুঁজে পাওয়া কষ্টসাধ্য-'আমার আলোচ্য বিষয়।" রাষ্ট্র পরিচালক সে যে দেশেরেই হোক, অর্থবিষয়ক কেলেংকারিতে জড়িত আছে প্রমানিত হলেই--তারপরিবারের জন্য রাজনীতির কবর হতে বাধ্য। রাজনৈতিক অংগন থেকে অসম্মান-অপদস্ত হয়ে বিদায় নিতে হয়। বাংলাদেশের রাজনীতিতে উক্ত নিয়মের ব্যতিক্রম হবে আশা করা যায়না।দীঘ নয় বছর দেশ শাষন করার পর-'জাতীয়পাটি চেয়ারম্যান জনাব এরশাদ দুনীতির কারনে গনআন্দোলনের মুখে ক্ষমতা চ্যুতির প্রায় ৩০বছর অতিক্রান্ত হ'তে চলেছে -ক্ষমতাসীন সরকারের আনুকুল্য পাওয়া সত্বেও রাজনীতিতে ভাল অবস্থানে পৌছাতে পারেননি'।দিন যতই গড়াচ্ছে ততই তার দল বা তিনি নিজেও অন্য দল বা ব্যক্তির উপর নিভর হয়ে রাজনৈতিক ময়দানে উপস্থীতি জানান দিচ্ছে। দিনেদিনে দল ছোট হয়ে বিলিন হুওয়ার অপেক্ষায় প্রহর গুনছে।রাজনীতিতে বারংবার ভুলের কারনেও একসময়ের গনমুখী রাজনৈতিক দল এবং জনগন নির্ভর রাজনৈতিক দল রাজনীতির ময়দান থেকে হারিয়ে যাওয়ার উদাহরন এই উপ মহাদেশেই বিদ্যমান আছে। পাকিস্তান রাষ্টের স্বাধীনতায় নেতৃত্ব দানকারি দল মুসলীম লীগ-বাংলাদেশের স্বার্থ এবং সর্বশেষ মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থানের কারনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ময়দান থেকে অনেক আগেই বিলীন হয়ে গেছে-ইহা কিন্তু বেশিদিন আগের কথা নহে।মেজর জিয়া কতৃক প্রতিষ্ঠিত বিএনপি যে ভাবেই ক্ষমতায় আসুকনা কেন -কয়েক বারই বাংলাদেশের সরকার পরিচালনা করেছে। ভাল করেছে মন্দ করেছে আমি সে দিকে আলোকপাত করবো না। জিয়া পরিবার ২০০৬ইং সালে ক্ষমতা ছাড়ার পর, খালেদা জিয়া এবং তার সন্তান তারেক জিয়া ও কোকো সরকারকে যথা রীতি টেক্স প্রদান করে কালোটাকা সাদা করেছেন- 'প্রমানীত চিরন্তন সত্য।' যে পরিবারের বাংলাদেশ কয়েকবার শাষন করার সৌভাগ্য হয়েছে-একটা বৃহৎ দলের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন দুই যুগেরও অধিক সময়-সেই দলের প্রধান বা তার পরিবার কাল টাকা সাদা করতে পারে ইহা সপ্তম আচায্য থেকেও আরও বড় বিষ্ময় সৃষ্টিকারি ঘটনা। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন নজীর আছে কিনা আমার জানা নেই-যদি থেকে থাকে বলতেভপারেন। এখানে বিষয়টা অনেকেরই জানার বাহিরে রয়ে গেছে বা সঠিকভাবে অনেকেই বুঝতে পারেননি-'আসলে কাল টাকা কি?' আমার ক্ষুদ্রজ্ঞানে আমি যতটুকু বুঝি-''কাল টাকা হচ্ছে সেই টাকা- আইনসিদ্ধ কোন আয়ের উৎস না থাকা সত্বেও বহু টাকার মালিক হওয়া' অর্থাৎ আইনসিদ্ধ'আয় বহিভুত টাকা"।"
   আরো সহজ ভাবে বলা যেতে পারে-' নিদিষ্ট বা ঘোষিত সম্পদ থেকে বছরান্তে যে আয় আসার কথা তার চাইতে বেশী টাকা যদি কারো নিয়ন্ত্রনে বা হেফাজতে থাকে- 'তাকেই কালো টাকা হিসেবে অভিহীত করা হয়।'
     এখন প্রশ্ন হল জিয়া পরিবারের নিকট কাল টাকা জমা হওয়ার উৎস কোথায় থেকে এল? কি ভাবে এত কাল টাকার মালিক হলেন?কি করে সম্ভব হল?একটা দেশের প্রধান এবং পরিবারের সকল সদস্য কালটাকা আহরনের রাস্তাই বা কি করে পেলেন?কোন রকমেই বিশ্বাস করার কোন কারনই হত না-"যদি তারা নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে সরকারী কোষাগারে নিদিষ্ট পরিমান কর পরিশোদান্তে কালটাকা সাদা না করতেন"।    
       এরশাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুনীতির  অভিযোগ ছিল।  আইনী লড়াই করে অনেক অভিযোগ থেকে নিস্কৃতিও পেয়েছেন- কিন্তু মানুষের মন থেকে দুর্নীতির অভিযোগ দুরীভুত করতে পারেননি। এরশাদের ক্ষেত্রেও কাল টাকা সাদা করার প্রমান-আমার মনে হয় নেই। জিয়া পরিবারের ক্ষেত্রে তাঁরা নীজেরাই স্বীকৃতি দিয়েছে -"তাঁরা দুর্নীতিবাজ"।উন্নত বিশ্বের কোন দেশে এমনটি যদি হত-" কত বছর জেলে থাকতে হত- তার কোন হিসাব করা যেতনা।"
    জিয়া পরিবার বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবার ফিরে আসতে পারবে-'কস্মিন কালেও বিশ্বাস করার কোন কারন নেই'। জনস্বার্থে জিয়া চ্যারিটেবল ফান্ড গঠন করেছে-'ইহা প্রসংশার দাবী রাখে নি:সন্দেহে।' ঈজেদের পারিবারীক টাকা হলেও চ্যারিটেবল ঘোষনার সাথে সাথে  ইহা জনগনের সম্পদে রুপান্তরীত হয়ে গেছে। স্বেচ্ছাচারীতার মাধ্যমে সেই ফান্ড থেকে টাকা উত্তলন করে নীজের ভোগ বিলাসের জন্য খরছ করার অধিকার চ্যারিটেবল ফান্ড গঠনকারীর থাকেনা। বর্তমানে তদ্রুপ মামলায় যদি শাস্তি হয়, খালেদা জিয়া জেলে যেতে হয় তাঁর দায় কি বাংলাদেশ সরকারের? মামলায় যথারীতি হাজিরা না দেয়া কি অনৈতিকতার মধ্যে পড়ে না?এই ব্যাপারে আমাদের সংবিধান কি বলে দেখা যাক-(ধারা ২০)অধিকার ও কর্তব্যরূপে কর্ম--(১) কর্ম হচ্ছে কর্মক্ষম প্রত্যেক নাগরীকের পক্ষে অধিকার- কর্তব্যও সম্মানের বিষয়, এবং “প্রত্যেকের নিকট হইতে যোগ্যতানুসারে ও প্রত্যেককে কর্মানুযায়ী”-এই নীতির ভিত্তিতে প্রত্যেকে স্বীয়কর্মের জন্য পারিশ্রমিক লাভ করবেন৷ (২) রাষ্ট্র এমন অবস্থা সৃষ্টির চেষ্টা করিবেন-'যেখানে সাধারণ নীতি হিসাবে কোন ব্যক্তি অনুপার্জীত কোন আয় ভোগ করিতে সমর্থ হবে না এবং যেখানে বুদ্ধিবৃত্তিমূলক ও কায়িক-সকল প্রকার শ্র্রম, সৃষ্টিধর্মী প্রয়াস ও মানবিক ব্যক্তিত্বের পূর্ণতার অভিব্যক্তিতে পরিণত হবে ৷ নাগরিক ও সরকারী কর্মচারীদের কর্তব্য-(ধারা ২১) এর (১) সংবিধানও আইন মান্য করা, শৃঙ্খলা রক্ষা করা-নাগরীক দায়িত্ব পালন করা এবং জাতীয় সম্পত্তি রক্ষা করা প্রত্যেক নাগরীকের কর্তব্য৷ (২) সকল সময়ে জনগণের সেবা করিবার চেষ্টা করা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত প্রত্যেক কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং ব্যক্তির কর্তব্য৷। (২০)১এ কর্মকে সম্মানের আসনে স্থান দেয়ার কথা বলা আছে। কর্মের জন্য নির্দিষ্ট বেতন ভাতার পাওয়ার অধিকারের কথা বলা আছে। (২০) ২ এ পরিষ্কার বলা আছে অনৈতিক উপার্জন কোন অবস্থায় ব্যক্তি ভোগ করিতে পারবে না। (২১) ১এ কি লিখা আছে সবাই আমরা দেখতেই পাচ্ছি। জিয়া চ্যারিটেবল বা জিয়া অর্ফানেজ বাংলাদেশ সরকারের দুটি সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান।অনৈতিক ভাবে বা যথেচ্ছভাবে দু'টি প্রতিষ্ঠানকে পরিচালনা করা বা অর্থ আত্মসাৎ করা আইনের দৃষ্টিতে-বাংলাদেশের সংবিধানের দৃষ্টিতে বেআইনী।
    সুতারাং জিয়া পরিবার প্রতিষ্ঠানদ্বয়ের প্রতিষ্ঠাতা হলেও তা যথেচ্ছভাবে পরিচালনা করতে পারেননা। উল্লেখীত মামলায় যদি সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বেগম জিয়া ভোটে দাঁড়ানোর সুযোগ হারান-তাঁর দায় আওয়ামী লীগকে কেন নিতে হবে? সংবিধানের প্রস্তাবনায় পরিষ্কার ভাবেই উল্লেখ আছে-'প্রজাতন্ত্রের প্রত্যেক নাগরীক আইনের দৃষ্টিতে সমান'।যদি মনে করা হয়-খালেদা জিয়া বাংলাদেশের বিশেষ নাগরীক-বিশেষ নাগরীকের কোন সংজ্ঞা কি বিদ্যমান সংবিধানে আছে? যদি তদ্রুপ না থাকে-খালেদা জিয়াকে বারংবার মামলার তারিখ পেছানোর সুযোগ দিয়ে আদালত কি সংবিধানের সমান সুযোগের প্রস্তাবনার ধারাকে উপেক্ষা করছে না? তারেক জিয়াকে পালিয়ে থাকার সুযোগ দিয়ে এবং বৃটিশ সরকার কতৃক তাঁর চলাচলে বিভিন্ন নিষেদাজ্ঞা আরোপ করে বাংলাদেশকে কি অপমানিত করা হচ্ছেনা ? একব্যাক্তির জন্য বাংলাদেশ বিদেশী কোন রাষ্ট্রের নিকট হেয় প্রতিপন্ন হতে হবে ইহার কি কোন বিহীত রাষ্ট্রের করার নেই? রাষ্ট্র কেন এতগুলী মামলার আসামী হওয়ার পরও তাঁকে বিদেশের মাটিতে অবস্থানের সুযোগ দিচ্ছে--রাষ্ট্রের নাগরীকদের কি ইহা জানার অধিকার নেই?
    কেন তারেক জিয়াকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে বাংলাদেশে আনা হচ্ছে না? ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা মানবতা বিরুধী অপরাধের সাথে জড়িত ছিল-দীর্ঘ বছর পর হলেও জাতী তাঁদেরকে বিচারের আওতায় এনেছে। বি,ডি,আর বিদ্রোহের মানবতা বিরুধীদের বিচারও হচ্ছে। কিন্তু আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে মারার জন্য কি মানবতা বিরুধী অপরাধ হয়নি?
     মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠন করে আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে জ্যান্ত মানুষ পুড়িয়ে মারার অপরাধে বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচারের ব্যাবস্থা করবেন মহান সংসদে বলেছিলেন।সেই ট্রাইবুনাল কবে নাগাদ হবে জাতী কি জানার অধিকার নেই? কেন - কি কারনে বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বীত  হচ্ছে জাতী  জানতে চায়। কোন পরিবারের সদস্য বিদেশে পালিয়ে থাকা অবস্থায়ও দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করবে, ক্ষমতায় থেকে বিশাল কাল টাকার মালিক হবে,দিনের পর দিন মামলায় হাজিরা না দিয়ে আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখাবে, আন্দোলনের নামে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করবে,  মানুষ কে আগুন দিয়ে জ্যান্ত মেরে পেলবে-'তারপরেও রাষ্ট্র তাঁর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিবে না!' -ইহা কি সংবিধানের সুস্পষ্ট লংঙ্গন নহে? সংবিধানের অঙ্গীকারনামায় সুস্পষ্ট ভাবে উল্লেখ আছে যে,- "আমরা আরও অঙ্গীকার করিতেছি যে-'আমাদের রাষ্ট্রের অন্যতম মূল লক্ষ্য হইবে গণতান্ত্রীক পদ্ধতীতে এমন এক শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রীক সমাজের প্রতিষ্ঠা- যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হইবে;"। সংবিধানের প্রস্তাবনায় রাষ্ট্রের অঙ্গীকারের উল্লেখীত ধারাটি- 'জিয়া পরিবারের ক্ষেত্রে কি কায্যকর হচ্ছে?
    উপসংহারে বলতে চাই-আইনের শাষন সর্বস্তরে প্রতিফলনের লক্ষে এবং আগামী প্রজম্মের জন্য দুর্নীতিমুক্ত রাজনৈতিক দল ও ব্যাক্তির উত্থানের নিমিত্তে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেয়া এখনি প্রয়োজন। বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দ্বারা গঠিত সরকার-সুতারাং মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার বাস্তবায়ন বর্তমান সরকারের অন্যতম নৈতিক দায়িত্ব-জনগন আশাও করে তাই।নির্ভেজাল একাধিক গনতান্ত্রীক রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠায় পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি বিদ্যমান দলগুলীকেও গনমুখী, গনতন্ত্রীক, সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান একান্ত জরুরী।
 
              "জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু"



মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা