ঢাকা-৮আসনে নৌকা প্রত্যাশী ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের ফেইচবুক স্ট্যাটাস,দেশব্যাপী তোড়পাড়।

  ঢাকা-৮আসনের নৌকা প্রত্যাশী ইসমাঈল চৌধুরী সম্রাটের ফেইচবুক স্ট্যাটাস, দেশব্যাপী তোড়পাড়।।

   আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক জনাব ওবায়দুল কাদের অদ্য সকালে সাংবাদিক সম্মেলনে প্রার্থি বাছাই সংক্রান্ত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন--"১৪ দলীয় জোটের শরিক দল সমূহের নির্বাচিত এমপি'রা এবারও থাকবেন"। উক্তিটির পর দেশের বিভিন্ন সংসদীয় এলাকায় আওয়ামীলীগ মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতাদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
   তম্মধ্যে জটিল ও কঠিন প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা যায় ঢাকা ৮আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী জনাব ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের সমর্থক, শুভান্যুধ্যায়ী, দলীয় নেতাকর্মিদের মধ্যে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনের পর  একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে এক আবেগঘন ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট।
    তিনি ঢাকা-৮ আসনে দলীয় প্রার্থী হতে দলের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এই আসনেই ছাত্রলীগের মধ্যে দিয়ে তার রাজনীতি শুরু। ছাত্রলীগ, যুবলীগ ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।বর্তমানে তিনি দক্ষিণের  সভাপতি পদে বহাল আছেন।জনাব সম্রাটের গ্রামের বাড়ি ফেনী জেলার পরসশুরামে।
  ঢাকা-৮ আসনে বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলের প্রায় ৬৭%  ভোট রয়েছে। তাছাড়া দীর্ঘ রাজনৈতিক, সামাজিক, জনহিতকর কর্মকান্ডে তাঁর নিজস্ব বিশাল এক ভোটব্যাংক অত্র আসনে গড়ে উঠেছে। রাজধানী ঢাকাব্যাপী গড়ে উঠেছে তাঁর সমর্থক, শুভান্যুধ্যায়ী, শুভাংক্ষির বিরাট এক জনগোষ্টি। তাঁর নিজস্ব জেলা ফেনী'র প্রত্যন্ত অঞ্চলেও  রয়েছে তাঁর অসংখ্য জনহিতকর কর্মকান্ডে তাঁর উদার হস্তের সূকৌমল ছোঁয়া।
  তাঁর প্রার্থিতার খবর প্রকাশের পর ঢাকা ৮ আসন ব্যাপী যেমন নেতাকর্মি, সাধারণ ভোটারদের মধ্যে প্রানচাঞ্চল্যতা দেখা দিয়েছে, তেমনি তাঁর আবাসভুমি ফেনী জেলা সহ বৃত্তর নোয়াখালী ব্যাপী উল্লাসের জোয়ার বইছিল। দলীয় ভোটের বাহিরে একজন প্রার্থির নির্বাচিত  হওয়ার যে সমস্ত উপকরণ অনেক সময় প্রয়োজন হয়--তম্মধ্যে  অঞ্চলপ্রীতি, নেতৃত্বের গুনাবলী, ব্যাক্তিত্ব, সাংগঠনিক দক্ষতা, মানবিক গুনাবলী, জনহিতকর কর্মকান্ডে নিয়ন্তর সম্পৃত্ততা কোনটিরই অভাব নেই তাঁর মধ্যে। এককথায় বলা যায়-- যে দিক থেকে বিবেচনা করা হোকনা কেন, সর্বদিক বিবেচনায় ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট অন্য যে কোন প্রার্থি'র চেয়ে বহুগুন এগিয়ে আছেন।
  তাঁরই প্রতিফলন দেখা গেছে অদ্য তাঁর এক ফেইচবুক স্ট্যাটাসে। তাঁর  এক আবেগঘন ফেসবুক স্ট্যাটাসে নেতাকর্মীদের মধ্যে কৌতুহল, আহাজারী, সাত্বনা, দুঃখ্যানুভূতি, যন্ত্রনার বহিঃপ্রকাশ অনূভব করা যায়। তিনি সন্ধ্যা ০৬'২৮ এ তার নিজস্ব ফেইচবুক আইডি তে একটি স্ট্যাটাস দেন। তার লেখাটি পাঠকের জন্য হুবহু তুলে ধরলাম--
  ‘প্রিয় সহকর্মী, সহযোদ্ধা ও শুভাকাঙ্খী সকলেই আমার সালাম ও শুভেচ্ছা গ্রহন করবেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আপনারা তৃনমূল হতে ঢাকা-৮ এর বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রাথী হিসেবে আমার জন্য ব্যাপক প্রচার প্রচারনা, দোয়া ও সমর্থন জানিয়েছেন এতে আমি আপনাদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ ও চিরঋনী হয়ে থাকব আজীবন। বিশ্বস্থসূত্রে জানতে পেরেছি আগামী ২/১ দিনের মধ্যে আওয়ামীলীগের প্রার্থীদের চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবেন বাংলাদেশের সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। মাননীয় নেত্রী যাকেই নৌকা প্রতিক দিবেন আমরা সকলেই ঐ প্রার্থীকে সামনে নিয়ে নৌকাকে বিজয়ী করবো ইন শা আল্লাহ।দেখা হবে বিজয়ে সকলে ভাল থাকবেন।
আল্লাহ হাফেজ , জয়বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।
জনাব সম্রাট রোববার সন্ধ্যা ০৬'২৮ এ তাঁর স্ট্যাটাসটি দেন।এই রিপোর্ট লেখার সময় মধ্যরাত ০০ঃ২৩ স্ট্যাটাসটিতে লাইকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২হাজার দুইশ, কমেন্ট ৬০৪ এবং শেয়ার হয়েছে ২২৩। সুতারাং নেতাকর্মি শুভান্যুধ্যায়ীদের কমেন্ট বক্সে দেয়া প্রতিক্রিয়া দেখেই অনুমান করা যায়,  তাঁর প্রতি জনমানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের পারদ কত উঁচুতে অবস্থান করছে। এমনটি সুদূর অতীতে আর কোন প্রার্থির জন্য ঘটেছিল কিনা আমার জানা নেই।আশা করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জন আক্ষাংকার মুল্য দিতে কখনই ভুল করবেন না--এই বিশ্বাস নেতাকর্মিরা রাখতে'ই পারে।

 

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg