ফৌজদারী মামলা সরকারে'র সিদ্ধান্ত ছাড়া কারো প্রত্যাহারে'র সুযোগ নেই।।

  ফৌজদারী মামলা সরকারের সিদ্ধান্ত ছাড়া কারো প্রত্যাহার করার ক্ষমতা নেই।

  রাষ্ট্রদ্রোহিতা,সরকারের বিরুধীতা এক নয়। রাজনৈতিক দলের সাংবিধানিক অধিকার নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রাম--রাজনৈতিক দলের সাংবিধানিক অধিকারের নামে 'আন্দোলন-সংগ্রামে' দলবদ্ধ সন্ত্রাস পরিচালনাও এক নয়। রাজনৈতিক কর্মসূচি প্রতিপালনকালীন ফৌজদারী মামলা এবং রাজনৈতিক কারনে হয়রানীমূলক মামলাও এক বিষয় নয়।
  রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী যেমন বাংলাদেশের নাগরিক, রাজনীতিহীন সাধারন মানুষও বাংলাদেশের নাগরিক। আইন কারো জন্যে ভিন্ন ভিন্ন ধারায় প্রনীত হয়না বা হয়নি। আইনের চোখে এবং বিচারের কাঠগড়ায় কে আলেম, কে জালেম, কে নাস্তিক, কে আস্তিক, কে রাজনতিবীদ কে সাধারন মানুষ বিবেচ্য নয়--বিবেচ্য তাঁর অপরাধ।
   রাষ্ট্র পরিচালনায় অধিষ্ঠিত কোন একক ব্যাক্তি, সংস্থা, গোষ্টি বা রাজনৈতিক দল সরকার নয়, সরকার পরিচালনাকারী। সরকার ব্যাবস্থা যে কোন রাষ্ট্রের একটি স্থায়ী কাঠামো। রাষ্ট্রের অভ্যন্তরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ, সংস্থা, সংগঠনের মিলিতরুপ সরকার। এককথায় বলা যায়--'রাষ্ট্রের অভ্যন্তরের সবকিছু যদি দেহ বিবেচনা করা হয়, তবে সরকার তাঁর মাথা পরিগনিত হবে।
  গনতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় রাষ্ট্রের বিদ্যমান সাংবিধানে উল্লেখিত রীতিনীতি, আইনবিধি অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে নাগরিকগন কোন এক রাজনৈতিক দলকে সরকার পরিচালনা করার দায়িত্ব প্রদান করে থাকে। এইরুপ নির্দিষ্ট সময়ের নির্বাচিত রাজনৈতিক শক্তিকে 'রাষ্ট্রের সরকার পরিচালনা করার "ব্রেন বা ঘিলু' বলা যেতে পারে।
  রাষ্ট্রের বিদ্যমান রীতিনীতি, আইনবিধি অনুসারে সরকার পরিচালনায় নিযুক্ত রাজনৈতিক দলের বিরুধীতা, সমালোচনা, আন্দোলন, সংগ্রাম রাষ্ট্রের বিদ্যমান সংবিধান বা শাসনতন্ত্র দ্বারা স্বিকৃত।এইরুপ বিরুধীতাকারী এক বা একাধিক রাজনৈতিক দলের উত্থান, বিকাশ, তৎপরতায় রাষ্ট্র বরঞ্চ উৎসাহ প্রদান করে।
   যেহেতু রাষ্ট্র স্থায়ী কাঠামো এবং রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে সকল শ্রেনী, পেশা, গোষ্টি নির্বিশেষে, সকলের সমান অধিকার। সেহেতু কোন একক নাগরিক, রাজনৈতিক দল, সংস্থা কতৃক রাষ্ট্রের বিরুদ্ধাচারন, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, অপপ্রচার এককথায় নাগরিক জীবন বিপন্নকারী কর্মকান্ড স্বিকৃত নয়।
   এইরুপ ক্ষেত্রে রাষ্ট্র তাঁর বিদ্যমান আইন প্রয়োগের মাধ্যমে রাষ্ট্রের ক্ষতিকারক সকল প্রকার অপতৎপরতা নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে নাগরিকদের স্বাভাবিক জীবনযাপন নিশ্চিত করে। কারন রাষ্ট্রের নাগরিকদের মৌলিক আধিকার সংররক্ষন করতে রাষ্ট্র পুর্বেই অঙ্গিকারাবদ্ধ।
   রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অন্তগাতমূলক অপপ্রচার, সার্বভৌমত্ব, অখন্ডতা, শান্তি শৃংখলা ভঙ্গজনীত যে কোন দেশবিরুধী কর্মকান্ড প্রচলিত আইনে রাষ্ট্রদ্রোহ অপরাধ গন্য করা হয়।যেমন--জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে পাকিস্তানের অখন্ডতা বিনষ্ট করার অপরাধে তৎকালীন ক্ষমতাসীন সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ উত্থাপন করে "রাষ্ট্র বনাম আগরতলা ষড়যন্ত্র  মামলা" দায়ের করেছিল।
 সাংবিধানিক রীতিনীতি অনুসারে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের পরিচালিত সরকারের বিভিন্ন কর্মকান্ডের বিরুধীতা, আন্দোলন, সংগ্রাম রাষ্ট্র বা সরকারের বিরুদ্ধাচারন নয়।ক্ষমতাসীন দলের সরকার পরিচালনাকারী ব্যাক্তি, গোষ্টি, রাজনৈতিক শক্তির বিরুদ্ধাচারন মাত্র।
  রাষ্ট্রের বিদ্যমান শাসনতন্ত্রের বিধিবদ্ধ আইনানুসারে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন, সংগ্রামের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন সরকার পরিচালনাকারী রাজনৈতিক দল বা জোটকে হঠিয়ে অন্য যেকোন রাজনৈতিক দলের সরকার পরিচালনার অধিকার রাষ্ট্র কতৃক স্বিকৃত।
  যেমন--বর্তমান ক্ষমতাসীন মহাজোট সরকারকে নিয়মাতান্ত্রিক উপায় ক্ষমতাচ্যুত করার উদ্দেশ্যে  'প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য' ভাবে রাজনৈতিক দল সমূহ, বিভিন্ন শ্রেনী পেশার ব্যাক্তিগন, বিভিন্ন স্থানে বৈঠক, আলোচনায় গড়ে উঠা বৃহত্তর রাজনৈতিক জোট "ঐক্যফ্রন্ট"। ঐক্যফ্রন্টের বিরুদ্ধে বা তাঁদের কর্মকান্ড নির্বৃত্ত করার উদ্দেশ্যে--'রাষ্ট্র বা সরকার আইনগতভাবে কোন ব্যাবস্থা গ্রহন করতে পারেনি'।
   অপরদিকে সরকার পরিচালনাকারী রাজনৈতিক দল শাসনতন্ত্রে স্বিকৃত উপায় পূণঃবার সরকার পরিচালনায় বা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ফিরে আসার উদ্দেশ্যে গঠিত মহাজোট গঠনের তৎপরতায়--'সরকার বিরুধী শক্তি ঐক্যফ্রন্ট কোন প্রকার অভিযোগ উত্থাপন করতে দেখা যায়নি'।
    ক্ষমতাসীন দলকে ক্ষমতা হতে সরাতে এবং ক্ষমতাসীন দল ক্ষমতায় ফিরে আসতে তৎপরতা পরিচালিত হয়েছে, হচ্ছে এবং আগামীতেও হবে। এইরুপ  কর্মকান্ড রাষ্ট্র কতৃক দমন, পীড়ন বা বাঁধাদানের উদ্দেশ্যে মামলা, মোকদ্দমা বা অন্য কোনভাবে হয়রানী করার অধিকার গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় সরকার রাখেনা।
  অর্থাৎ রাষ্ট্রের কোন বৈধ নাগরিক, রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠন'কে স্ব-স্ব কর্মতৎপরতা চালাতে গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র নিবৃত্ত করতে পারেনা। যেহেতু রাষ্ট্রের সকল নাগরিক, সংস্থা, সংগঠনের স্বাধীনভাবে চলাফেরা, সভা-সমাবেশ, মিছিল মিটিং বাঁধাহীনভাবে পরিচালনা করার মৌলিক অধিকার গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সংবিধানে স্বিকৃত।
  রাজনৈতিক দল বা জোটের রাজনৈতিক  কর্মসূচি পালনের অধিকার যেমন রাষ্ট্র কতৃক স্বিকৃত, তেমনি কোন একটি শ্রেনীপেশার মানুষের বা সংগঠনের তাঁর নীজ কর্মকান্ড পরিচালনা করার অধিকারও রাষ্ট্র কতৃক স্বিকৃত।
  যেমন--কোন এক বা একাধিক রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক কর্মসুচি হরতালে বাসের ড্রাইভার বা তাঁদের সংগঠন, দোকান মালিক বা তাঁদের সংগঠন, স্ব-স্ব ক্ষেত্রে তাঁদের কর্ম পরিচালনা স্বেচ্ছায় অব্যাহত রাখার অধিকারী। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলের কর্মিগন তাঁদের উক্তরুপ কর্মকান্ড বন্ধ করার জন্যে জোর জবরদস্তি বা বাঁধা প্রদান করার অধিকারী নন।
   এইরুপ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলের কর্মিগন বাঁধাদানের উদ্দেশ্যে পরিচালিত যেকোন জোর জবরদস্তি মূলক কর্মকান্ড রাষ্ট্র শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে সরকার নিয়ন্ত্রনের অধিকারী। রাষ্ট্র যেমন রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি নির্বিগ্নে পালন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সহযোগীতা প্রদানে বাধ্য, তেমনি তাঁর সকল নাগরিকের জান, মাল, চলাফেরার নিরাপত্তা বিধান করার ক্ষেত্রেও অঙ্গিকারাবদ্ধ।
   রাষ্ট্রের সকল প্রকার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের জনবলের অর্থ, রেক্ষনাবেক্ষনের সমূদয় ব্যায়ভার নাগরিকদের প্রদত্ত অর্থে সরকার যোগান দিয়ে থাকে। সঙ্গতকারনে জোরপূর্বক বাঁধাদানকারী সেই সমস্ত নেতাকর্মিদের উক্ত রুপ নিয়ম বহির্ভূত কর্মকান্ড থেকে বিরত রাখার উদ্দেশ্যে সরকারের নির্দেশে রাষ্ট্রের আইনশৃংখলাবাহিনী ব্যাবস্থা গ্রহন করে থাকে। উক্ত ব্যাবস্থার আওতায় উদ্ভুত মামলা, মোকদ্দমা বিচারের ক্ষেত্রে জেল, জরিমানা কোন অবস্থায় রাজনৈতিক হয়রানী বা অন্যকোন নামে গন্য করা যায়না।
   কোন এক বা একাধিক রাজনৈতিক জোটের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সমাজের যেকোন শ্রেনী, পেশার জনগন ও সংগঠন যদি স্বেচ্ছায় অংশগ্রহন করেন এবং ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন, সংগ্রামে সম্পৃত্ত হন, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সরকার--কোন পক্ষের বিরুদ্ধেই আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করার অধিকারী নন।
  সরকার বিরুধীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে জনজীবন যদি অচল হয়ে পড়ে, অর্থনীতির চাকা থেমে যায়--তাহলেও "রাষ্ট্র কোন অবস্থায় সম্পৃত্ত রাজনৈতিক দল ও সংস্থার বিরুদ্ধে কোনরুপ আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করার অধিকারী হতে পারেন না"।
 এইরুপ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের যে কোন সংস্থা বা অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বিধি বহির্ভূতভাবে ক্ষমতাসীন সরকারের নির্দেশে জোর পূর্বক যে কোন সামাজিক, সাংস্কৃতিক বা রাজনৈতিক দলের আন্দোলন, সংগ্রাম নিস্তেজ বা দমনের উদ্দেশ্যে  মামলা, মোকদ্দমা আনায়ন করেন উক্তরূপ মামলা সমূহকে রাজনৈতিক হয়রানীমূলক মামলা হিসেবে অভিহীত করা হয়। এইরুপ রাষ্ট্রযন্ত্র অপব্যাবহারকারী সরকারকে স্বৈরাচারী সরকার বা ফ্যাসিবাদী সরকার গন্য করা হয়।
   রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মিগন বাঁধাদানের উদ্দেশ্যে পরিচালিত যেকোন কর্মকান্ড রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রন করতে বাধ্য থাকে। রাষ্ট্র জোরপূর্বক বাঁধাদানকারী সেই সমস্ত নেতাকর্মিগনকে উক্তরুপ কর্মকান্ড থেকে বিরত রাখার উদ্দেশ্যে মামলা, মোকদ্দমা, আইনগত উপায় নির্বিত্ত করার যেকোন ব্যাবস্থা গ্রহন শাসনতন্ত্র স্বিকৃত এবং তাঁদের পেশাদারীত্বের নৈতিক দায়িত্ব।
   উক্তরুপ ব্যাবস্থার আওতায় উদ্ভুত পরিস্থিতি অনুযায়ী লাঠি, কাঁদানে গ্যাস, জলকামান ব্যাবহার, মামলা, হামলা, অপমৃত্যু কোন অবস্থায় রাজনৈতিক হয়রানীমূলক বা দমনপীড়ন কর্মকান্ড বিবেচিত নয়। রাষ্ট্রের নাগরিকদের জানমাল রক্ষা, আইনশৃংখলা রক্ষা, রাষ্ট্রের উন্নতি, অগ্রগতির  অঙ্গিকার প্রদান করে যেকোন রাজনৈতিক শক্তি সরকার পরিচালনার দায়িত্ব করেছেন।
  বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্ব ব্যাবস্থায় জাতিসংঘ ভুক্ত বিভিন্ন আন্তজাতিক সংস্থায় কল্যানরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অঙ্গিকার ভিত্তিক দলিলে স্বাক্ষর অনিবায্য। এমনতর অবস্থায় ফ্যাসিষ্ট সরকার ব্যাতিত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসীন গনতান্ত্রিক দলের নির্বাচিত কোন সরকারই স্বৈরাচারী ভুমিকায় অবতিন্ন হওয়ার সুযোগ নেই।তেমনি কোন গনতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের কর্মিদেরও সন্ত্রাস, গুপ্ত হামলা, জ্বালাও পোড়াও ইত্যাদি জোর জবরদস্তিমূলক আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তোলার সুযোগ নেই।এইরূপ স্বৈরাচার সরকারের পতন যেমন অনিবায্য তেমনি সন্ত্রাসী রাজনৈতিক দলের বিকাশ না ঘটে বিলুপ্তি পথে ধাবিত হতে বাধ্য হয়।
   ক্ষমতাসীন দল কতৃক পরিচালিত সরকারের নেতাকর্মী, মন্ত্রী এমপি গনের বিরুদ্ধে লুটপাট, অর্থ আত্বসাৎ, ক্ষমতার অপব্যাহার, ঘুষ, দুর্নীতির এবং বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আনীত মামলা ফৌজদারী অপরাধভুক্ত। এইরুপ মামলা সমূহ রাজনৈতিক, রাষ্ট্রদ্রোহ বা অন্য যে কোন নামে অভিহীত করার কোন সুযোগ নেই।
   যেহেতু রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মিদের জন্যে আলাদা আইন, রীতিনীতি নেই সেহেতু তাঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী অপরাধের বিচার প্রচলিত আইনে প্রযোজ্য হয়েছিল, হয়ে আসছে, হবে। বিএনপি'র দল কতৃক ইসিতে প্রেরিত উল্লেখিত মামলা সমূহ ২০১৩--১৫ সালে আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অনীত অভিযোগ। রাষ্ট্রের আইন শৃংখলা বাহিনী জনজীবন স্বাভাবিক, নাগরিকের জানমাল রক্ষার সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা করার নিমিত্তে তৎসময়ে রুজু করেছিল। নির্বাচন কমিশন বা অন্যকোন শাসন বিভাগীয় প্রতিষ্ঠান উক্ত মামলা সমূহ সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষ করে বাতিল, স্থগিত বা প্রত্যাহার করার অধিকারী নন।
 

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা