৭০এর নির্বাচনে গনজোয়ার অনেকটাই আবেগ প্রসূত,২০১৮ এর নির্বাচন বাস্তব উপলব্দি'র বহিঃপ্রকাশ।।


  ২০১৮ সালের শেষপ্রান্তে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন ষাটোর্ধ বয়সের প্রায় সকল বাঙ্গালীকে অবচেতন মনে হলেও ১৯৭০ এর অখন্ড পাকিস্তান সরকারের শেষলগ্নের জাতীয় নির্বাচনের সামগ্রিক প্রেক্ষাপটের সাদৃশ্য,বৈসাদৃশ্য বিবেচনায় প্রায় অবলুপ্ত স্মৃতি উস্কে দিতে পেরেছে। উভয় নির্বাচনের পারিপাশ্বিক অবস্থান, আদর্শিক লড়াই, শত্রু-মিত্র চিহ্নিতকরণ প্রায় অভিন্ন। উভয় নির্বাচনে বাংলাদেশের সকল 'শ্রেনী-পেশা'র জনগনের অংশগ্রহনে সৃষ্ট সর্বাত্মক গনজোয়ারে সাদৃশ্য থাকলেও সৃষ্ট লড়াইয়ের ধরণ, ভেসে যাওয়া জনগোষ্টি এবং শক্তির মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে।
  ২০১৮ সালের গনতান্ত্রিক ধারাবাহিকতায় গনমানুষের সুসংগঠিত লড়াই  বিদেশী কোন শক্তি, দখলদার বাহিনী বা জনগোষ্টি'র বিরুদ্ধে ছিলনা।এই লড়াই ছিল একান্ত বাঙ্গালী জাতির গর্ভে ধারনকৃত--'পরাজিত শক্তি পাকিস্তানী ভাবধারায় পরিপূষ্ট, সাম্প্রদায়িক শক্তির লালীত, সাম্রাজ্যবাদী শোষক শক্তির আদর্শে অনুপ্রানীত প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য বাংলাদেশ বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে।
 যারা দীর্ঘবছর কখনও ধর্মের দোহাই, কখনও বা পাশ্ববর্তি দেশের দখলদারিত্বের দোহাই দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে ভিক্ষুকের দেশ, ভিক্ষুক জাতীর পরিচয়ে বেঁচে থাকার অপচেষ্টায় ব্রতি ছিল। তাঁরা সর্বতো অপশাসন, অপসংস্কৃতি, অনৈতিকতা'র বেড়াজালে জাতিকে নিমগ্ন রেখে তাঁদের কোঠারী শাসন শোষন, লুটপাট বহাল রেখে সার্বিকভাবে ব্যার্থরাষ্ট্রে পরিণত করে, বিদেশী শক্তির হাতে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে তুলে দেয়ার প্রানপণ চেষ্টায় লিপ্ত ছিল।
  ৭০এর জাতীয় নির্বাচনে পাকিস্তানী শাসক-শোষক গোষ্টি ছিল চিহ্নিত।তাঁরা প্রায় দুই হাজার মাইল দুরের ভিন্ন জাতিগোষ্টি। তাঁদের শাসন-শোষনের বিরুদ্ধে  বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ৬৯ এর গনভ্যুত্থানের ফসল ছিল ৭০ এর জাতীয় নির্বাচনে সৃষ্ট গনজোয়ার। জাতীয় নির্বাচনে সর্বাত্মক পরাজয় হলেও কাংক্ষিত লক্ষে পৌঁছার উদ্দেশ্যে অবশেষে  সংগঠিত সসস্ত্র লড়াইয়ের প্রয়োজন অবশ্যাম্ভাবি হয়ে উঠেছিল। দীর্ঘ ৯ মাসের জীবনপণ লড়াইয়ের মাধ্যমে বাঙ্গালী জাতী তাঁদেরকে পরাজিত করে এদেশ থেকে বিতাড়িত করে স্বাধীন,সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছিল।শত্রু মিত্র চিহ্নিতকরণ ও বিতাড়নে সময় নিয়েছিল ২৩ বছর।
    পাকিস্তানী শাসকগোষ্টির এদেশীয় বাঙ্গালী দোসর প্রেতাত্বা'রা ছিল বাঙ্গালী জাতীর গর্ভে জম্ম নেয়া। এদেশের আবাহাওয়ায় বেড়ে উঠা কতিপয় দেশবিরুধী সংগঠন ও ব্যাক্তি।তাঁদের প্রভূরা পরাজিত হয়ে এদেশ ছেড়ে গেলেও তাঁদের দোসরেরা বাঙ্গালী জাতীর চিরায়ত বদন্যতার গুনে বাংলাদেশের সমাজে মিশে যেতে পেরেছিল। সাপ দুধ কলা দিয়ে পুষে রাখলেও সাপই থাকে।৭৫ এ দেশী বিদেশী পরাজিত শত্রুদের সহযোগীতায় কতিপয় দিকভ্রান্ত সেনা কর্মকর্তার যোগসাজসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে বাংলাদেশের সমাজে তাঁদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ পূণঃত্থান ঘটে।
    দেশ বিরোধী অশুভশক্তি প্রতিনিয়ত মিথ্যা, অপপ্রচার, গুজব, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ট মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের আপামর জনগনকে বিভ্রান্ত করে দীর্ঘ ৩০ বৎসরের অধিক বাংলাদেশের সমাজে অধিপত্য বিস্তার করে রাখে। '৭৫ এ বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, বাঙ্গালী জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু'কে স্বপরিবারে হত্যা করে,বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী অশুভশক্তি তাঁর স্বপ্নের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের বাংলাদেশকে সর্বক্ষেত্রে পরাজিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের আদর্শিক ধারায় ফিরিয়ে নেয়ার চেষ্টায় ব্রতি হয়।
  তাঁরা একাজে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের বৃহৎ একটি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের জনগোষ্টিকে পরিকল্পিত অপপ্রচার, মিথ্যা, ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত এবং সর্বাত্মক রাষ্ট্রিয় পৃষ্টপোষকতায় বিভ্রান্ত,অন্ধ করে রেখেছিল।এবং কি তাঁদেরকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে সুদৃড় অবস্থান গ্রহনে উৎসাহিত করতে পেরেছিল।
  বাংলাদেশ বিরুধী অশুভশক্তি বিভিন্ন কলা কৌশলে জাতিকে বিভ্রান্ত করে লুটপাট, দখলবাজী, অপসংস্কৃতি, অনৈতিকতা, ঘূষ দূনীতি, অপশাসনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল। তাঁদেরকে বাংলাদেশের সমাজ থেকে আলাদা করে চিহ্নিত করা ছিল একপ্রকার দুঃসাধ্য কাজ। কিভাবে করবে? তাঁরাও দেখতে বাঙ্গালী, কথাও বলে বাংলা ভাষায়।
  সেই দুঃসাধ্য কাজটিই জাতির জনকের জৈষ্ঠকন্যা দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম, কখনও বা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার শীর্ষে অবস্থান করে--একাগ্রচিত্তে, ধৈয্যের পরকাষ্টায় আরোহন করে সাহষিকতার অন্যন্ন নজির স্থাপন করে চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছেন।আইনানুগ প্রক্রিয়ায় দেশবিরুধী শক্তি চিহ্নিত করতে পেরেছেন বলেই২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির গনজাগরণের মুখে সকল দেশবিরুধী শক্তি লেজ গুটিয়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে।
   মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির একমাত্র আশাভরসার স্থল জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু'র জৈষ্ঠকন্যা শেখহাসিনা দেশবিরোধী অশুভশক্তি চিহ্নিতকরণে একদল দেশপ্রেমিক সাথীকে সঙ্গে নিয়ে' অসীম সাহষিকতা, চরম ধৈয্যের পরাকাষ্টায় একটানা ২১ বছর একাগ্রচিত্তে নিরবচ্ছিন্ন আন্দোলন, বিরামহীন সংগ্রাম চালিয়েছেন। তাঁর বিচক্ষন নেতৃত্বে অসংগঠিত, ছিন্নভিন্ন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি সঙগঠিত শক্তিতে আত্মপ্রকাশ করে।
   তিনি ভোট ও ভাতের অধিকার আন্দোলন,  শ্বৈরাচারের পতন আন্দোলন, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারকায্য সমাপন, '৭১ এর মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার অনুষ্ঠান, অশুভ দেশবিরুধী শক্তির প্রধান প্রেতাত্বা জিয়া পরিবারের বিচার প্রক্রিয়া সমাপন করেন।সমস্ত প্রক্রিয়া তিনি প্রতিষ্ঠিত আদালতে, প্রচলিত আইনে মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার, লুটপাটের বিচার অনুষ্ঠান ও শাস্তি প্রদান করে বাংলাদেশের জনগনকে জাগ্রত করার মহতি প্রচেষ্টা গ্রহন করে সর্বতো সফল হন। তাঁর সামগ্রিক প্রচেষ্টা বাংলাদেশের জনগনের নিকট "দেশবিরুধী অশুভ শক্তি চিহ্নিত করণের অন্যতম বিশ্বস্ত মাধ্যম হয়ে উঠে।
   তাইতো দেখা যায়--'৭০ এর নির্বাচনে বাঙ্গালী জাতির আদর্শিক লড়াই এবং গনজাগরণের পারিপাশ্বিক স্মৃতি এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনের পারিপাশ্বিক প্রেক্ষাপট এবং সাদৃশ্য অবলোকন করে--অনেকেই আবেগপ্রবন হয়ে চোখের পানি ঝর ঝর করে ছেড়ে দিতে দেখা গেছে।
  '৭০ এর জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে ২০১৮ সালের নির্বাচনে সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়--দেশের বরেন্য শিক্ষক, সাহিত্যিক, সরকারী অবসরপ্রাপ্ত আমলা,অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা, শিল্পি সহ  সকল শ্রেনী-পেশার মানুষ মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের পক্ষে নৌকা জেতাতে নির্বাচনী প্রচারাভিযানে সর্বাত্মক ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।সমসাময়িক কালের বিশ্ব রাজনৈতিক ইতিহাসে কোন একটি দেশের অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনে এমনটি আর দেখা যায়নি।
  নির্বাচনী প্রচারযজ্ঞে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহনকারী দেশের বিভিন্ন পেশার শীর্ষ সম্মানীত নাগরীকগনের মধ্যে বেশীরভাগ আওয়ামীলীগের দলীয় আদর্শ ধারন করেন না। তাঁরা শুধুমাত্র দেশবিরোধী অশুভশক্তির কালছায়া থেকে তাঁদের প্রানপ্রিয় দেশমাতৃকা মুক্ত রাখতে বাংলাদেশের পক্ষে নৌকা জেতাতে এবারের নির্বাচনী কর্মযজ্ঞে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন।
 আমার স্মৃতি উল্লেখ করে পাঠকসমাজের বোধগম্যতায় গনজাগরণের সাদৃশ্য তুলে ধারছি। '৭০এর নির্বাচন প্রাক্কালে আমি ছিলাম স্কুল পড়ুয়া এক দুরন্ত কিশোর।পশ্চিম পাকিস্তানের শাসন শোষনের যাতাকলে পিষ্ট হয়ে আমার এলাকা সহ বর্তমান বাংলাদেশের বহু অঞ্চলের গরীব,নিপীড়িত মানুষের সন্তানেরা কিশোর বয়সে পানির জাহাজে পাকিস্তানের সমৃদ্ধ শহরের ধনী পরিবারের বাসায় "চাকর বাকরের কাজ" করার জন্য যেত।এতদাঞ্চলের বহু বয়স্ক মানুষ এবং যুবকগন পশ্চিম পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে কলকারখানায় কাজেও জড়িত ছিলেন। ৭০ এর নির্বাচনের আগে আমার প্রতিবেশী অনেকের মা বাবার নিকট লেখা চিঠি আমাকে পড়ে দিতে হত, অনেকের চিঠির উত্তরও আমার লেখার সৌভাগ্য হতো।আমি তখন তাঁদের  প্রতিটি চিঠির ছত্রে ছত্রে খুঁজে পেতাম আকুল কান্না, বুকভরা ব্যাথার সুর।তাঁরা লিখতেন--"মা, মাগো--"তোমার ছেলেকে যদি জীবন্ত পেতে চাও, বঙ্গবন্ধুর নৌকায় ভোট দিও। বাবাকে বলিও নৌকায় ভোট দিতে, বাড়ীর ছোট বড় সকলকে বলিও নৌকায় ভোট দিতে।
  ২০১৮ ইং সালের নির্বাচনেও ব্যাতিক্রম হয়নি--বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী, দেশের সিংহভাগ বৈদেশীক মুদ্রার যোগানদাতা,পরিশ্রমী বাঙ্গালী জাতীর গর্ভের প্রবাসী লক্ষ লক্ষ ভাই, বন্ধু এবার দেশে এসেছেন, তাঁরাও নৌকা জেতাতে নির্বাচনী কর্মযজ্ঞে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। এককথায় সর্বমহলের পদচারণায় নির্বাচনী মাঠ হয়ে উঠে নৌকার একক প্রচারের নির্বাচনী মাঠ।
    উল্লেখ্য--'৭০ এর নির্বাচন ছিল ২৩বছরের পাকিস্তানী শাসক-শোষকগোষ্টির বিরুদ্ধে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে শোষনহীন, অসাম্প্রদায়িক স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় অবচেতন মনে ঐক্যবদ্ধ বাঙ্গালী জাতীর গনবিস্ফোরন। ২০১৮ সালের শেষপ্রান্তে'র ক্ষনগণনায় স্বাধীন বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় নির্বাচন ছিল--বঙ্গবন্ধুর জৈষ্ঠকন্যার নেতৃত্বে অশুভ সাম্প্রদায়িক শক্তির লালীত প্রেতাত্বা,সামাজ্যবাদের দোসর এবং পাকি প্রেতাত্বাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির সচেতন মনের আপামর জনগনের সর্বতো গনবিস্ফোরণ।
    ইহা একান্ত সত্য যে--সদ্য অনুষ্ঠিত জাতীয়  নির্বাচনের ফলাফলের উপর নির্ভরশীল ছিল প্রায় অর্ধশতবছর একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারকারী  স্বাধীনতা বিরোধী, মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী, অশুভ সাম্প্রদায়িকশক্তি এবং তাঁদের  প্রেতাত্বাদের নগ্ন আস্ফালন আরো বহুকাল মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে অব্যাহত থাকবে? নাকি সর্বস্তরের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির গনজাগরণে তাঁদের চিরতরে বাংলার মাটিতে কবর রচনা হবে। 
   শেষ বিচারে বাংলাদেশের সকল শ্রেনী পেশার জনগন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখহাসিনার নেতৃত্বে বৈশম্যহীন, দূর্নীতিমুক্ত, অ-সাম্প্রদায়িক মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমৃদ্ধ রাষ্ট্রের পক্ষে সচেতনতার সঙ্গে অবস্থান গ্রহন করেছে। জাতির জনকের স্বপ্নের সুখী, সমৃদ্ধ মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ বিনির্মানের পক্ষে জেনে, বুঝে, স্বজ্ঞানে, স্বইচ্ছায় অঘোষিত জনবিস্ফোরণ ঘটেছে। জনককন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগন সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের আইন, রীতিনীতি, বিচার অনুষ্ঠান করে দেশবিরুধী শক্তির উৎস, শক্তি চিহ্নিত করেছে।অতঃপর  গনতন্ত্রের প্রতিটি ধারা উপধারার প্রতি সম্পূর্ণ অবিচল,নেতৃত্বের প্রতি অনুগত থেকে সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে জনভারে অশুভশক্তির প্রেতাত্বাদের সকল ঘাঁটি সর্বাত্মক অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল।বাংলাদেশের জনগন সর্বাত্মক সচেতন মনে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের পক্ষে গনরায় প্রদান করেছে।
  অতএব নিঃসন্দেহে বলা যায়--জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে '৬৯ এর গনভ্যুত্থান পরবর্তি '৭০ এর গনজাগরণ ছিল পশ্চিমাদের শাসন-শোষনের বিরুদ্ধে অনেকাংশে ভাবাবেগ জনীত গনবিস্ফোরণ।২০১৮ সালের গনজাগরণ তাঁর কন্যার নেতৃত্বে একটানা ১০বছর সফল রাষ্ট্র পরিচালনা এবং উক্ত সময়কালে রাষ্ট্রের প্রচলীত আইন ও বিধি প্রয়োগের মাধ্যমে রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে দেশবিরোধী অশুভশক্তি নির্ভুল শনাক্তকরণের ফসল। অশুভ দেশ বিরুধী শক্তির প্রমানীত লুটপাট, ব্যার্থরাষ্ট্র বানাবার অপপ্রয়াশের লক্ষ অর্জনে তাঁদের দ্বারা সংগঠিত প্রমানীত অপকর্মের উপর আপামর জনগনের বিশ্বাস স্থাপনের বাস্তব ফসল ২০১৮ সালের নির্বাচনের বাস্তব গনজাগরণ। ফলে ৭০ এর আবেগপ্রসূত গনজাগরণের রেশ সহসাই জনগনের মন হতে মূছে যাওয়ায় প্রাপ্ত ফসলের প্রতি বাংলাদেশের জনগন একপ্রকার উদাসীন ছিল। সুযোগ বুঝে অশুভ দেশবিরোধী শক্তি  মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় উক্ত ফসল লুটে নিতে পেরেছিল। ২০১৮ ইং সালের গনজাগরণ সম্পূর্ণ সচেতনভাবে, দীর্ঘ ৩০ বছরের অধিক ভুক্তভূগীর কষ্টার্জিত ফসল।এই ফসল বাংলাদেশের জনগন প্রয়োজনীয় মহুর্তে সর্বক্ষন পাহারায় রেখে রক্ষা করবে।
 এই জয় বাংলাদেশ আর কখনও হারিয়ে যেতে দিবেনা, হারাবে না।   

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা