২০১৮সালের নির্বাচন সকল মহলের প্রচারণায় মুক্তিযুদ্ধের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণের পক্ষে গনবিস্ফোরণ ঘটেছে।

  ২০১৮ সালের শেষপ্রান্তে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন ষাটোর্ধ বয়সের প্রায় সকল বাঙ্গালীকে অবচেতন মনে হলেও ১৯৭০ এর অখন্ড পাকিস্তান সরকারের শেষলগ্নের জাতীয় নির্বাচনের সামগ্রিক প্রেক্ষাপটের সাদৃশ্য,বৈসাদৃশ্য বিবেচনায় প্রায় অবলুপ্ত স্মৃতি উস্কে দিতে পেরেছে। উভয় নির্বাচনের পারিপাশ্বিক অবস্থান, আদর্শিক লড়াই, শত্রু-মিত্র চিহ্নিতকরণ প্রায় অভিন্ন। উভয় নির্বাচনে বাংলাদেশের সকল 'শ্রেনী-পেশা'র জনগনের অংশগ্রহনে সৃষ্ট সর্বাত্মক গনজোয়ারে সাদৃশ্য থাকলেও সৃষ্ট লড়াইয়ের ধরণ, ভেসে যাওয়া জনগোষ্টি এবং শক্তির মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে।
  ২০১৮ সালের গনতান্ত্রিক ধারাবাহিকতায় গনমানুষের সুসংগঠিত লড়াই  বিদেশী কোন শক্তি, দখলদার বাহিনী বা জনগোষ্টি'র বিরুদ্ধে ছিলনা।এই লড়াই ছিল একান্ত বাঙ্গালী জাতির গর্ভে ধারনকৃত--'পরাজিত শক্তি পাকিস্তানী ভাবধারায় পরিপূষ্ট, সাম্প্রদায়িক শক্তির লালীত, সাম্রাজ্যবাদী শোষক শক্তির আদর্শে অনুপ্রানীত প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য বাংলাদেশ বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে।
 যারা দীর্ঘবছর কখনও ধর্মের দোহাই, কখনও বা পাশ্ববর্তি দেশের দখলদারিত্বের দোহাই দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে ভিক্ষুকের দেশ, ভিক্ষুক জাতীর পরিচয়ে বেঁচে থাকার অপচেষ্টায় ব্রতি ছিল। তাঁরা সর্বতো অপশাসন, অপসংস্কৃতি, অনৈতিকতা'র বেড়াজালে জাতিকে নিমগ্ন রেখে তাঁদের কোঠারী শাসন শোষন, লুটপাট বহাল রেখে সার্বিকভাবে ব্যার্থরাষ্ট্রে পরিণত করে, বিদেশী শক্তির হাতে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে তুলে দেয়ার প্রানপণ চেষ্টায় লিপ্ত ছিল।
  ৭০এর জাতীয় নির্বাচনে পাকিস্তানী শাসক-শোষক গোষ্টি ছিল চিহ্নিত।তাঁরা প্রায় দুই হাজার মাইল দুরের ভিন্ন জাতিগোষ্টি। তাঁদের শাসন-শোষনের বিরুদ্ধে  বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ৬৯ এর গনভ্যুত্থানের ফসল ছিল ৭০ এর জাতীয় নির্বাচনে সৃষ্ট গনজোয়ার। জাতীয় নির্বাচনে সর্বাত্মক পরাজয় হলেও কাংক্ষিত লক্ষে পৌঁছার উদ্দেশ্যে অবশেষে  সংগঠিত সসস্ত্র লড়াইয়ের প্রয়োজন অবশ্যাম্ভাবি হয়ে উঠেছিল। দীর্ঘ ৯ মাসের জীবনপণ লড়াইয়ের মাধ্যমে বাঙ্গালী জাতী তাঁদেরকে পরাজিত করে এদেশ থেকে বিতাড়িত করে স্বাধীন,সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছিল।শত্রু মিত্র চিহ্নিতকরণ ও বিতাড়নে সময় নিয়েছিল ২৩ বছর।
    পাকিস্তানী শাসকগোষ্টির এদেশীয় বাঙ্গালী দোসর প্রেতাত্বা'রা ছিল বাঙ্গালী জাতীর গর্ভে জম্ম নেয়া। এদেশের আবাহাওয়ায় বেড়ে উঠা কতিপয় দেশবিরুধী সংগঠন ও ব্যাক্তি।তাঁদের প্রভূরা পরাজিত হয়ে এদেশ ছেড়ে গেলেও তাঁদের দোসরেরা বাঙ্গালী জাতীর চিরায়ত বদন্যতার গুনে বাংলাদেশের সমাজে মিশে যেতে পেরেছিল। সাপ দুধ কলা দিয়ে পুষে রাখলেও সাপই থাকে।৭৫ এ দেশী বিদেশী পরাজিত শত্রুদের সহযোগীতায় কতিপয় দিকভ্রান্ত সেনা কর্মকর্তার যোগসাজসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে বাংলাদেশের সমাজে তাঁদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ পূণঃত্থান ঘটে।
    দেশ বিরোধী অশুভশক্তি প্রতিনিয়ত মিথ্যা, অপপ্রচার, গুজব, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ট মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের আপামর জনগনকে বিভ্রান্ত করে দীর্ঘ ৩০ বৎসরের অধিক বাংলাদেশের সমাজে অধিপত্য বিস্তার করে রাখে। '৭৫ এ বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, বাঙ্গালী জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু'কে স্বপরিবারে হত্যা করে,বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী অশুভশক্তি তাঁর স্বপ্নের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের বাংলাদেশকে সর্বক্ষেত্রে পরাজিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের আদর্শিক ধারায় ফিরিয়ে নেয়ার চেষ্টায় ব্রতি হয়।
  তাঁরা একাজে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের বৃহৎ একটি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের জনগোষ্টিকে পরিকল্পিত অপপ্রচার, মিথ্যা, ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত এবং সর্বাত্মক রাষ্ট্রিয় পৃষ্টপোষকতায় বিভ্রান্ত,অন্ধ করে রেখেছিল।এবং কি তাঁদেরকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে সুদৃড় অবস্থান গ্রহনে উৎসাহিত করতে পেরেছিল।
  বাংলাদেশ বিরুধী অশুভশক্তি বিভিন্ন কলা কৌশলে জাতিকে বিভ্রান্ত করে লুটপাট, দখলবাজী, অপসংস্কৃতি, অনৈতিকতা, ঘূষ দূনীতি, অপশাসনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল। তাঁদেরকে বাংলাদেশের সমাজ থেকে আলাদা করে চিহ্নিত করা ছিল একপ্রকার দুঃসাধ্য কাজ। কিভাবে করবে? তাঁরাও দেখতে বাঙ্গালী, কথাও বলে বাংলা ভাষায়।
  সেই দুঃসাধ্য কাজটিই জাতির জনকের জৈষ্ঠকন্যা দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম, কখনও বা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার শীর্ষে অবস্থান করে--একাগ্রচিত্তে, ধৈয্যের পরকাষ্টায় আরোহন করে সাহষিকতার অন্যন্ন নজির স্থাপন করে চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছেন।আইনানুগ প্রক্রিয়ায় দেশবিরুধী শক্তি চিহ্নিত করতে পেরেছেন বলেই২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির গনজাগরণের মুখে সকল দেশবিরুধী শক্তি লেজ গুটিয়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে।
   মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির একমাত্র আশাভরসার স্থল জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু'র জৈষ্ঠকন্যা শেখহাসিনা দেশবিরোধী অশুভশক্তি চিহ্নিতকরণে একদল দেশপ্রেমিক সাথীকে সঙ্গে নিয়ে' অসীম সাহষিকতা, চরম ধৈয্যের পরাকাষ্টায় একটানা ২১ বছর একাগ্রচিত্তে নিরবচ্ছিন্ন আন্দোলন, বিরামহীন সংগ্রাম চালিয়েছেন। তাঁর বিচক্ষন নেতৃত্বে অসংগঠিত, ছিন্নভিন্ন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি সঙগঠিত শক্তিতে আত্মপ্রকাশ করে।
   তিনি ভোট ও ভাতের অধিকার আন্দোলন,  শ্বৈরাচারের পতন আন্দোলন, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারকায্য সমাপন, '৭১ এর মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার অনুষ্ঠান, অশুভ দেশবিরুধী শক্তির প্রধান প্রেতাত্বা জিয়া পরিবারের বিচার প্রক্রিয়া সমাপন করেন।সমস্ত প্রক্রিয়া তিনি প্রতিষ্ঠিত আদালতে, প্রচলিত আইনে মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার, লুটপাটের বিচার অনুষ্ঠান ও শাস্তি প্রদান করে বাংলাদেশের জনগনকে জাগ্রত করার মহতি প্রচেষ্টা গ্রহন করে সর্বতো সফল হন। তাঁর সামগ্রিক প্রচেষ্টা বাংলাদেশের জনগনের নিকট "দেশবিরুধী অশুভ শক্তি চিহ্নিত করণের অন্যতম বিশ্বস্ত মাধ্যম হয়ে উঠে।
   তাইতো দেখা যায়--'৭০ এর নির্বাচনে বাঙ্গালী জাতির আদর্শিক লড়াই এবং গনজাগরণের পারিপাশ্বিক স্মৃতি এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনের পারিপাশ্বিক প্রেক্ষাপট এবং সাদৃশ্য অবলোকন করে--অনেকেই আবেগপ্রবন হয়ে চোখের পানি ঝর ঝর করে ছেড়ে দিতে দেখা গেছে।
  '৭০ এর জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে ২০১৮ সালের নির্বাচনে সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়--দেশের বরেন্য শিক্ষক, সাহিত্যিক, সরকারী অবসরপ্রাপ্ত আমলা,অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা, শিল্পি সহ  সকল শ্রেনী-পেশার মানুষ মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের পক্ষে নৌকা জেতাতে নির্বাচনী প্রচারাভিযানে সর্বাত্মক ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।সমসাময়িক কালের বিশ্ব রাজনৈতিক ইতিহাসে কোন একটি দেশের অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনে এমনটি আর দেখা যায়নি।
  নির্বাচনী প্রচারযজ্ঞে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহনকারী দেশের বিভিন্ন পেশার শীর্ষ সম্মানীত নাগরীকগনের মধ্যে বেশীরভাগ আওয়ামীলীগের দলীয় আদর্শ ধারন করেন না। তাঁরা শুধুমাত্র দেশবিরোধী অশুভশক্তির কালছায়া থেকে তাঁদের প্রানপ্রিয় দেশমাতৃকা মুক্ত রাখতে বাংলাদেশের পক্ষে নৌকা জেতাতে এবারের নির্বাচনী কর্মযজ্ঞে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন।
 আমার স্মৃতি উল্লেখ করে পাঠকসমাজের বোধগম্যতায় গনজাগরণের সাদৃশ্য তুলে ধারছি। '৭০এর নির্বাচন প্রাক্কালে আমি ছিলাম স্কুল পড়ুয়া এক দুরন্ত কিশোর।পশ্চিম পাকিস্তানের শাসন শোষনের যাতাকলে পিষ্ট হয়ে আমার এলাকা সহ বর্তমান বাংলাদেশের বহু অঞ্চলের গরীব,নিপীড়িত মানুষের সন্তানেরা কিশোর বয়সে পানির জাহাজে পাকিস্তানের সমৃদ্ধ শহরের ধনী পরিবারের বাসায় "চাকর বাকরের কাজ" করার জন্য যেত।এতদাঞ্চলের বহু বয়স্ক মানুষ এবং যুবকগন পশ্চিম পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে কলকারখানায় কাজেও জড়িত ছিলেন। ৭০ এর নির্বাচনের আগে আমার প্রতিবেশী অনেকের মা বাবার নিকট লেখা চিঠি আমাকে পড়ে দিতে হত, অনেকের চিঠির উত্তরও আমার লেখার সৌভাগ্য হতো।আমি তখন তাঁদের  প্রতিটি চিঠির ছত্রে ছত্রে খুঁজে পেতাম আকুল কান্না, বুকভরা ব্যাথার সুর।তাঁরা লিখতেন--"মা, মাগো--"তোমার ছেলেকে যদি জীবন্ত পেতে চাও, বঙ্গবন্ধুর নৌকায় ভোট দিও। বাবাকে বলিও নৌকায় ভোট দিতে, বাড়ীর ছোট বড় সকলকে বলিও নৌকায় ভোট দিতে।
  ২০১৮ ইং সালের নির্বাচনেও ব্যাতিক্রম হয়নি--বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী, দেশের সিংহভাগ বৈদেশীক মুদ্রার যোগানদাতা,পরিশ্রমী বাঙ্গালী জাতীর গর্ভের প্রবাসী লক্ষ লক্ষ ভাই, বন্ধু এবার দেশে এসেছেন, তাঁরাও নৌকা জেতাতে নির্বাচনী কর্মযজ্ঞে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। এককথায় সর্বমহলের পদচারণায় নির্বাচনী মাঠ হয়ে উঠে নৌকার একক প্রচারের নির্বাচনী মাঠ।
    উল্লেখ্য--'৭০ এর নির্বাচন ছিল ২৩বছরের পাকিস্তানী শাসক-শোষকগোষ্টির বিরুদ্ধে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে শোষনহীন, অসাম্প্রদায়িক স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় অবচেতন মনে ঐক্যবদ্ধ বাঙ্গালী জাতীর গনবিস্ফোরন। ২০১৮ সালের শেষপ্রান্তে'র ক্ষনগণনায় স্বাধীন বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় নির্বাচন ছিল--বঙ্গবন্ধুর জৈষ্ঠকন্যার নেতৃত্বে অশুভ সাম্প্রদায়িক শক্তির লালীত প্রেতাত্বা,সামাজ্যবাদের দোসর এবং পাকি প্রেতাত্বাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির সচেতন মনের আপামর জনগনের সর্বতো গনবিস্ফোরণ।
    ইহা একান্ত সত্য যে--সদ্য অনুষ্ঠিত জাতীয়  নির্বাচনের ফলাফলের উপর নির্ভরশীল ছিল প্রায় অর্ধশতবছর একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারকারী  স্বাধীনতা বিরোধী, মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী, অশুভ সাম্প্রদায়িকশক্তি এবং তাঁদের  প্রেতাত্বাদের নগ্ন আস্ফালন আরো বহুকাল মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে অব্যাহত থাকবে? নাকি সর্বস্তরের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির গনজাগরণে তাঁদের চিরতরে বাংলার মাটিতে কবর রচনা হবে। 
   শেষ বিচারে বাংলাদেশের সকল শ্রেনী পেশার জনগন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখহাসিনার নেতৃত্বে বৈশম্যহীন, দূর্নীতিমুক্ত, অ-সাম্প্রদায়িক মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমৃদ্ধ রাষ্ট্রের পক্ষে সচেতনতার সঙ্গে অবস্থান গ্রহন করেছে। জাতির জনকের স্বপ্নের সুখী, সমৃদ্ধ মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ বিনির্মানের পক্ষে জেনে, বুঝে, স্বজ্ঞানে, স্বইচ্ছায় অঘোষিত জনবিস্ফোরণ ঘটেছে। জনককন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগন সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের আইন, রীতিনীতি, বিচার অনুষ্ঠান করে দেশবিরুধী শক্তির উৎস, শক্তি চিহ্নিত করেছে।অতঃপর  গনতন্ত্রের প্রতিটি ধারা উপধারার প্রতি সম্পূর্ণ অবিচল,নেতৃত্বের প্রতি অনুগত থেকে সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে জনভারে অশুভশক্তির প্রেতাত্বাদের সকল ঘাঁটি সর্বাত্মক অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল।বাংলাদেশের জনগন সর্বাত্মক সচেতন মনে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের পক্ষে গনরায় প্রদান করেছে।
  অতএব নিঃসন্দেহে বলা যায়--জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে '৬৯ এর গনভ্যুত্থান পরবর্তি '৭০ এর গনজাগরণ ছিল পশ্চিমাদের শাসন-শোষনের বিরুদ্ধে অনেকাংশে ভাবাবেগ জনীত গনবিস্ফোরণ।২০১৮ সালের গনজাগরণ তাঁর কন্যার নেতৃত্বে একটানা ১০বছর সফল রাষ্ট্র পরিচালনা এবং উক্ত সময়কালে রাষ্ট্রের প্রচলীত আইন ও বিধি প্রয়োগের মাধ্যমে রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে দেশবিরোধী অশুভশক্তি নির্ভুল শনাক্তকরণের ফসল। অশুভ দেশ বিরুধী শক্তির প্রমানীত লুটপাট, ব্যার্থরাষ্ট্র বানাবার অপপ্রয়াশের লক্ষ অর্জনে তাঁদের দ্বারা সংগঠিত প্রমানীত অপকর্মের উপর আপামর জনগনের বিশ্বাস স্থাপনের বাস্তব ফসল ২০১৮ সালের নির্বাচনের বাস্তব গনজাগরণ। ফলে ৭০ এর আবেগপ্রসূত গনজাগরণের রেশ সহসাই জনগনের মন হতে মূছে যাওয়ায় প্রাপ্ত ফসলের প্রতি বাংলাদেশের জনগন একপ্রকার উদাসীন ছিল। সুযোগ বুঝে অশুভ দেশবিরোধী শক্তি  মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় উক্ত ফসল লুটে নিতে পেরেছিল। ২০১৮ ইং সালের গনজাগরণ সম্পূর্ণ সচেতনভাবে, দীর্ঘ ৩০ বছরের অধিক ভুক্তভূগীর কষ্টার্জিত ফসল।এই ফসল বাংলাদেশের জনগন প্রয়োজনীয় মহুর্তে সর্বক্ষন পাহারায় রেখে রক্ষা করবে।
 এই জয় বাংলাদেশ আর কখনও হারিয়ে যেতে দিবেনা, হারাবে না।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন