মুক্তিযুদ্ধে দিকভ্রান্ত ছাত্রলীগের মুক্তি আজও মিলেনি--"এনএসএফ" এর পদাঙ্ক অনুসারণকারীদের প্রতি জাতীর আভিশাপ।"

 মুক্তিযুদ্ধে দিকভ্রান্ত ছাত্রলীগের মুক্তি আজও মিলেনি- "এনএসএফ পদাংক অনুসারীদের প্রতি জাতির অভিশাপ"।

    ৫২ এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে সর্বশেষ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে ২০০৫-০৬ ইং সাল পয্যন্ত জোট সরকারের ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চক্রান্তের বিরুদ্ধে গড়ে উঠা সকল জাতীয় আন্দোলন, সংগ্রামে নি:সন্দেহে ছাত্র সংগঠনের মধ্যে ছাত্রলীগ চালিকাশক্তি'র ভূমিকা পালন করেছে। বলা যায় '৬২ এর কুখ্যাত হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের সাম্প্রদায়িক শিক্ষানীতি'র বিরুদ্ধে গড়ে উঠা ছাত্র আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধিকার আন্দোলন, ৬৯ এর গনভ্যুত্থান এবং বাঙ্গালী জাতী'র মহান মুক্তিযুদ্ধ সময়কাল পয্যন্ত সকল আন্দোলন সংগ্রামে গৌরবজনক ভুমিকা 'ছাত্রলীগ 'বাঙ্গালী জাতীর সমীহ আদায় করে নিতে পেরেছিল।
      উল্লেখ্য, পুর্ব বাংলার সমস্ত আন্দোলন, সংগ্রামই সংগঠিত হয়েছিল পাকিস্তানী শাসকচক্র, সামরিকজান্তা সরকারের জেল, জুলুম, হুলিয়া, প্রকাশ্য রাজপথে মূহু মূহু গুলী বর্ষনের ভীতি উপেক্ষা করেই হয়েছিল। ৫২ সালে বাঙ্গালী জাতীর মুখের ভাষা বাংলা রক্ষার আন্দোলনে সফল নেতৃত্বের অধিকারি ছাত্রলীগ। শুধু তাই নয়--'বাংলা'কে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্র ভাষার মায্যদায় প্রতিষ্ঠিত করার গৌরব এনে দেয়ার ক্ষেত্রে অগ্রনী ভুমিকার অধিকারিও ছাত্রলীগ। ৬২ ইং সালের শিক্ষা আন্দোলনের মূল নেতৃত্বই ছিল আজকের এই এনএসএফের পদভারে ক্যুজ্ব হয়ে পড়া ছাত্রলীগের হাতেই। পাকিস্তানের ফ্যাসিবাদী সরকার শিক্ষানীতি প্রনয়নের উদ্দেশ্যে একটি কমিটি গঠন করেছিল।  গঠিত হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী পুর্ব বাংলায় শিক্ষা ক্ষেত্রে তাঁরা সাম্প্রদায়িক শিক্ষা নীতি' চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। উক্ত কমিশনের বিরুদ্ধে ছাত্র সমাজের গড়ে উঠা আন্দোলনের মূল কারিগর ছাত্রলীগ।
    '৬৬ এর বঙ্গবন্ধু ঘোষিত ৬দফা ছিল বাঙ্গালী জাতীর মুক্তিসনদ। তিন বছরের অধিক সময় ৬দফার যথাযথ প্রচার করার সুযোগ পাকিস্তানী জান্তা সরকার বঙ্গবন্ধু'কে দেয়নি। ৬দফা আন্দোলন বানচাল করার উদ্দেশ্যে সর্বশেষ পাকিস্তানী সরকার বঙ্গবন্ধু'কে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দিয়ে জেলে নিক্ষেপ করে। পাকিস্তানী সামরিক জান্তা জেলভ্যন্তরে ক্যাঙ্গারু আদালত বসিয়ে বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসির দন্ডাদেশ দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত হয়। এমত:বস্থায় ৬৯এ ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে ছাত্রসমাজের ১১দফা দাবী নিয়ে মাঠে নামে। ছাত্রজনতার মিলিত গনআন্দোলন নিমিষেই  গনভ্যুত্থানে রুপান্তরীত হয়। আন্দোলনের তিব্রতায় জান্তা সরকার 'বঙ্গবন্ধু'কে নি:শর্ত মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। ছাত্রজনতার প্রিয় নেতা শেখ মুজিব'কে সরওয়ার্দি উদ্যানে নিয়ে যায় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ, এবং স্মরণাতীতকালের বৃহৎ সমাবেশে তাঁকে 'বঙ্গবন্ধু' উপাধি'তে ভূষিত করে।
   জাতী'র মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানী আধুনিক সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ সমরে লিপ্ত হয়ে ছাত্রলীগ হারিয়েছে তাঁর নিবেদিত '৩৭ হাজার' নেতাকর্মী। যা পৃথিবী'র ইতিহাসে বিরল ঘটনা। এমন একটি দেশও বিশ্বে খুঁজে পাওয়া যাবেনা, স্বজাতীর মুক্তির লড়াইয়ে, সেই দেশের ছাত্র সমাজ, অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিয়েছে। '৭১এর মুক্তিযুদ্ধে গঠিত  'মুক্তিবাহিনী' এবং উক্ত বাহিনীর সর্বনিম্ন পয্যায়ের গ্রুপ কমান্ডার থেকে আরাম্ভ করে সর্বোচ্ছ বাহিনী প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছে অ-প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত আজকের এই প্রেতাত্বার ভারে ন্যুজ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা'ই। ছাত্র মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কর্মরত: এদেশীয় নিয়মিত প্রশিক্ষন প্রাপ্ত ইষ্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট, বাঙ্গালী ইপিআর, পুলিশবাহিনী, আনসার বাহিনী, সর্বশেষ ভারতীয় মিত্র বাহিনী সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অসীম সাহষিকতায় যুদ্ধ করেছে। এই পয্যন্ত আজকের এই অনাদর্শিক নেতাকর্মীর পদভারে ক্লান্ত, অবসন্ন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তাঁর আপন মহিমায় বাঙ্গালী জাতীর গৌরব, অহংকার, শৌয্য, বিয্যের প্রতিকে অধিষ্ঠিতই ছিল বলা যায়।
   ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ পাকিস্তানী দখদার সেনাবাহিনীর চরম পরাজয় এবং মুক্তিযুদ্ধের কাংক্ষিত বিজয় সাধিত হয়। ইত্যবসরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু'র অনুপস্থীতিতে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন সময় ভারতের মাটিতে সাম্রাজ্যবাদী চক্রের কালছায়া আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দদের একাংশ এবং যুদ্ধরত: মুক্তিযোদ্ধাদের একাংশ'কে ছেয়ে ফেলে। ঘটনাটি প্রখর দূরদৃষ্টি সম্পন্ন প্রয়াত কংগ্রেস নেত্রী, ভারতের প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশের অকৃতিম বন্ধু, শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধির নজর এড়ায়নি। তিনি তড়িগড়ি তাঁর দেশের সেনাবাহিনী'র সহযোগীতায় 'মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সেনাবাহিনী'র সমন্বয়ে যৌথ কমান্ড "মিত্রবাহিনী" গঠন পূর্বক  বাংলাদেশ মুক্ত করতে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেন। অল্পসময়ের যুদ্ধে প্রায় ১৪হাজার ভারতীয় সেনা, ত্রিশলক্ষ মা-বোনের ইজ্জত, তিনলক্ষ মুক্তিকামী মানুষ, অজস্র সম্পদহানীর বিনিময়ে-অবশেষে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি'র উম্মেষ ঘটে।
  মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা এবং পরাজিত শত্রু পাকিস্তানের যে কালছায়া সামগ্রিক যুদ্ধপরিস্থীতিকে টালমাটাল করে দিতে চেয়েছিল। সেই ষড়যন্ত্রটি যুদ্ধশেষে স্বাধীনদেশের মাটিতে দেশবিরুধী শক্তির পরিচয্যায় পরাজিতশক্তি সযত্নে কায্যকরভাবে প্রোথিত করে। নতুন দেশ, নতুন সরকারের বিরুদ্ধে অচিরেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠে প্রতিবিপ্লবীদের পদচারনা। চরম ডান পন্থি সাম্প্রদায়িক শক্তি, মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত এদেশীয় পাকিস্তানী দালাল সংগঠন নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলাম, মুসলিমলীগ, নেজামে ইসলাম, সাম্রাজ্যবাদী শক্তির এদেশীয় অনুচর কতিপয় বুদ্ধিজীবি, চরম বামপন্থি তথাকথিত কমিউনিষ্ট পার্টি সমূহ, নিষিদ্ধ ঘোষিত স্বসস্ত্র সর্বহারা পার্টি সমূহ--সম্মিলীত সকলের প্রকাশ্য রাজনৈতিক প্লাটফরমের দায়িত্ব গ্রহন করে-'দিকভ্রান্ত ছাত্রলীগের তথাকথিত প্রতিবিপ্লবী দল "জাসদ"।
   সম্মিলীত শক্তি মুক্তিযুদ্ধে দিকভ্রান্ত ছাত্র মুক্তিযোদ্ধাদের নেতৃত্বে গঠিত প্রতিবিপ্লবী, বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী "জাসদে'র ছায়াতলে বঙ্গবন্ধু সরকারকে অস্থির করে তুলে। ছাত্রলীগের প্রতিবিপ্লবী তরুন তুর্কিরা ষড়যন্ত্রের অ,আ,ক,খ, সম্পর্কে প্রথমাবস্থায় কিছু বুঝে উঠতে না পারলেও সব হারিয়ে সময়ে ঠিকই বুঝতে পেরেছে। তাইতো দেখি--ভুক্তভুগী কারো কারো মুখে বিএনপি দলের সমালোচনায় রাজনীতির ভাষাজ্ঞান হারিয়ে কি বলেন হুঁশ জ্ঞানও থাকেনা। অনন্তকাল অনুশোচনার আগুনে দগ্ধ হয়েই জাতির পিতা হত্যার প্রায়চিত্ত করতে হবে তথাকথিত বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রীদের--ইহাই প্রকৃ।তি'র অলিখিত বিধান।
   সম্মিলীত দেশবিরুধী শক্তি'র ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগ নেতৃত্ব বাংলাদেশের জনগনের মধ্যে এবং ছাত্রলীগ নেতৃত্ব 'ছাত্র সমাজে'র মধ্যে কায্যত কোন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি। এবং কি তাঁদের প্রতিনিয়ত গোয়েবলসীয় অপপ্রচারেরও সময়মত  জবাব প্রদান করার আগ্রহ প্রকাশ করেনি। বিশাল ব্যাক্তিত্বের অধিকারী বঙ্গবন্ধু মুজিবে'র ছায়াতলে বসে আওয়ামীলীগ এবং ছাত্রলীগ নেতৃত্ব সবকিছুকে ডেমকেয়ার মানষিকতায় তুচ্ছ তাচ্ছিল্যই করেছেন। ফলে ক্রমেই মিথ্যাচার মহিরুহ আকার ধারন করে বঙ্গবন্ধু হত্যার ক্ষেত্র প্রস্তুত করে। অবশেষে পরাজিত শক্তি মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় সুযোগ বুঝে ১৫ই আগষ্ট ১৯৭৫ কালরাতে স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধু'কে হত্যা করে চরম প্রতিশোধ গ্রহন করে।
    মুক্তিযুদ্ধের স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশে '৭৫ পরবর্তি সময় একরকম আওয়ামীলীগ, বঙ্গবন্ধু নির্বাসিতই ছিল। পরোক্ষভাবে--প্রেতাত্বার প্রধান 'মেজর জিয়া' আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী'দের উপর প্রকাশ্য দিবালোকে অথবা রাতের অন্ধকারে হত্যা, গুম, খুনের তান্ডব চালাতে থাকে। নিদেনপক্ষে হত্যা, গুম, খুনে ব্যর্থ হলে সেই সমস্ত নেতাদের জেলখানার চার দেয়ালে বন্দিবস্থায় জীবন কাটাতে বাধ্য করে। বঙ্গবন্ধু'র খুনীচক্র আওয়ামীলীগ নেতাদের জন্যে জেলখানাও নিরাপদ রাখেনি। ৩রা নভেম্বর '৭৫এ জেলভ্যন্তরে হত্যার শিকার হন বঙ্গবন্ধু'র খুনীচক্রের সঙ্গে আপোষ না করা বাঙ্গালী জাতির অবিসংবর্ধিত জাতীয় চারনেতা।
    সন্দেহাতীতভাবে প্রমানীত--৭৫ পরবর্তি সকল হত্যা নিয্যাতন, নিপীড়নের নেপৈথ্য নায়ক মুক্তিযুদ্ধে লুকিয়ে থাকা অশুভশক্তির প্রেতাত্বা, মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান দখলদার বাহিনীর চর, সাম্রাজ্যবাদের দালাল, মেজর জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধু হত্যার রেশ কিছুটা স্তিমিত হওয়ার পর এই খুনী রাতের আঁধারে বাংলাদেশের ক্ষমতার মসনদ দখল করে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষনা করে। এবার তাঁর  প্রত্যক্ষ ভূমিকায় বঙ্গবন্ধুর ঘামের ফসল, বাংলার মাটি ও মানুষের সংগ্রামের ফসল, জাতী'র মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বকারী দল, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকেও খন্ড বিখন্ড করার চেষ্টা চালায়। এমত:বস্থায় সুচুতুর আওয়ামীলীগ নেতৃত্ব দলের ভাঙ্গন রোধে বঙ্গবন্ধু'র জৈষ্ঠকন্যা শেখ হাসিনার কাঁধে দলীয় নেতৃত্ব তুলে দিয়ে নিজেরা হাফ ছেড়ে বাঁচেন।
    জনককন্যা দেশ, দল, জাতীর বৃহত্তর স্বার্থে এবং অশুভ শক্তির নিপীড়ন, নিয্যাতনের হাত থেকে দেশ ও জাতীকে রক্ষার ব্রত নিয়ে ১৯৮১ সালে আওয়ামীলীগ দলের সভানেত্রী'র দায়িত্ব গ্রহন করেন। ঐ বছরের ১৭ই মে সামরিক জান্তা সরকারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে স্বদেশে'র মাটিতে ফিরে আসেন। তাঁর এই ফিরে আসা--দল, দেশ, জাতীর মনে নতুন আশার সঞ্চার করে। চতুদিকে দেখা দেয় উৎফুল্লতা। বাংলাদেশের সর্বত্র সামরিক জান্তার অলিখিত, অঘোষিত নিষিদ্ধ মুক্তিযুদ্ধের রণশ্লোগান 'জয়বাংলা  জয়বঙ্গবন্ধু" ধ্বনিতে প্রকম্পিত হতে থাকে।
     জনককন্যা শেখ হাসিনার বিচক্ষন নেতৃত্বে শুরু হয় ক্যান্টনম্যান্টে বন্দি গনতন্ত্রের মুক্তির সংগ্রাম।  দীর্ঘ ২১ বছর সাম্রাজ্যবাদের দোসর, পাকিস্তানী প্রেতাত্বার সরকার, সামরিক সরকার, সামরিক আমলা শাসিত ফ্যাসিবাদী শাসন-শোষনের বিরুদ্ধে বিরামহীন আন্দোলন, সংগ্রামের নেত্রী শেখ হাসিনা, একমাত্র দল আজকের এই রাজাকার, আলবদরের বংশধরদের পদভারে ক্যুজ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ।  জাতীর গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম,  স্বৈরাচার বিরুধী গন আন্দোলন, ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম সহ সর্বশেষ জোট সরকারের ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চক্রান্তের বিরুদ্ধে  গনআন্দোলন সহ বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার  প্রতিটি যৌক্তিক আন্দোলন, সংগ্রামে ছাত্র সমাজের পক্ষে একমাত্র আজকের এনএসএফ এর পদাংক অনুসারী বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এই ছাত্রলীগের অকুতোভয় নেতাকর্মীরাই বুকের তাজা রক্তে জাতী'র সফলতা'র ভান্ডার বার বার পূর্ণ করে দিয়েছে, দুর্বৃত্তরা বার বার এই ভান্ডার লুটপাট করে খালী করেছে।
  সর্বশেষ গত 'মে ২০১৮ ইং থেকে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ পয্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্ধিত বেতন, ফিস আদায়ের বিরুদ্ধে 'চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের নেতৃত্বে প্রতিবাদী আন্দোলন সংগ্রাম--'চট্টগ্রামের আপামর জনগনের বিপুল প্রশংসা অর্জন করেছে। উল্লেখ্য  চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ আন্তদলীয় বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে আন্দোলন সংগঠিত করেছে। প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক ছাত্র সমাজের দাবী আদায় করে দিয়েছে। 'চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ ছাত্রদের পক্ষে অবস্থান নেয়ায় ষড়যন্ত্রের ফাঁদেও বারকয়েক পড়েছে। সর্বশেষ তাঁদের নেতা মহানগর ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক রণি' ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। তাতেও ছাত্রলীগের আন্দোলন থামানো যায়নি। বলতে গেলে মহানগর ছাত্রলীগের অপরিসীম ত্যাগেের বিনীময়ে জাতীয়ভাবে ছাত্র সমাজের মাঝে ছাত্র রাজনীতি'র ধ্বংসপ্রায় নীতিনৈতিকতা, সংগ্রামী ঐতিহ্য উজ্জলাকারে তুলে ধরেছে।অন্তত:পক্ষে প্রায় পতিত ছাত্ররাজনীতিতে  আশার প্রদিপ জ্বালাতে সক্ষম হয়েছে।
    প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অদ্যাবদি জাতীয়, বিভিন্ন  অঞ্চল, শহর, বন্দর, শিক্ষাঙ্গন ভিত্তিক ছাত্র জনতার ন্যায্য দাবী আদায়ের আন্দোলন সংগ্রামে ছাত্রলীগের নেতৃত্বের অনবদ্য ভুমিকা জাতীকে উজ্জিবীত, আশাম্বিত করেছে। ছাত্রলীগ বাংলাদেশের জনগনের প্রতিটি আন্দোলনে রাজপথে নিজেদের তাজা রক্ত ঢেলে জনগনের বিজয় ঘরে তুলে দিয়েছে। বিনিময়ে এমপি হওয়ার বায়না করেনি, মন্ত্রী হওয়ার তদ্ভিরও করেনি। বিনা ইন্টারভিউতে চাকুরীর সুযোগ চায়নি, সরকারের আমলা হওয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করেনি। শুধুই স্বপ্নই দেখেছে--প্রতিটি আন্দোলনের বিজয়ের পর দেশে শান্তি-শৃংখলা ফিরে আসবে। লেখা পড়ার পরিবেশ ফিরে আসবে,উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের পথ প্রশস্ত হবে। জীবন যাত্রার ব্যয় কমবে, পড়ালেখার খরছ কমবে। গাবেষনার সুযোগ অবারীত হবে,উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনে দেশে বিদেশে ব্যাপক সুযোগ পাবে। সর্বশেষ--লেখাপড়া শেষান্তে যথারীতি যোগ্যতানুযায়ী জীবিকা নির্বাহ করার সুযোগ পাব, মাতাপিতার দু:খ্য ঘুছাতে পারবে।
     এ যাবৎকাল সংগঠিত ছোট বড়, প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক, জাতীয় ও আঞ্চলিক, বিভিন্ন শ্রেনী ও পেশার আন্দোলন সংগ্রামে ভুমিকা রাখতে গিয়ে ছাত্রলীগ একেবারেই ভুল করেনি তা বলবো না। তাও ঘটেছে ছাত্র রাজনীতিতে মেজর জিয়ার নষ্ট রাজনীতি চর্চার সুযোগ অবারিত করার কারনে। লক্ষনুযায়ী 'পেশী শক্তি' প্রদর্শন, চাঁদাবাজী, অস্ত্রবাজী, দখল, মাদকের অবাধ ব্যবহার ইত্যাদির তান্ডবের জোয়ারে। তাঁর সৃষ্ট শিক্ষাঙ্গনের নষ্ট রাজনীতির বাতাস ছাত্রলীগকে স্পর্ষ করতে পারেনি বলি কোন মুখে?এই সেদিনও জগন্নাথ বিশ্ব বিদ্যালয়ে বিশ্বজিৎকে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে এই এনএসএফ এর পদাংক অনুসারী আজকের  ছাত্রলীগ।
   ভুলের পথেও একাধিকবার যায়নি তাও বলি কিভাবে? অনেকবার ভুল রাজনীতি'র গব্বরে নিমজ্জিত হয়েছে আবার উঠেও এসেছে। ভুল না করলে কি আর সদ্য স্বাধীন দেশ পুর্ণগঠনকালে প্রতিবিপ্লবী জাসদ সংগঠনের জম্ম হ'য়? জাসদের জম্ম না হলে জাতী কি বঙ্গবন্ধু'কে হারিয়ে এতিম হয়? ভুল না হলে কি দীর্ঘ তিন দশকেরও অধিক সময় ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ ছাত্র জনতার বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দেয়ার প্রয়োজন হ'ত?
    এতসব কিছুর পরেও বিগত এক দশকে'র মধ্যে ২০১৩/১৪/১৫ এই তিন বছর বাদ দিলে জাতীয় রাজনীতিতে, ছাত্র রাজনীতিতে, শিক্ষাঙ্গনে নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি চর্চার সুবাতাস বয়ে যাওয়ার আলামত পরিস্ফুটিত হয়ে উঠেনি, শত্রুও বলবেনা। এখন আর চর দখলের মত করে--হল দখলের সংস্কৃতি শিক্ষাঙ্গনে কোন সংগঠন চর্চা করে না। সকাল, বিকাল, সন্ধ্যা রাতে অস্ত্রের ঝঝনানি শুনা যায়না। সেশন জটের কবলে পড়ে মুল্যবান শিক্ষা জীবন নষ্টের কোন ভয়--'কোন ছাত্রই করেনা'। মারামারী, হানাহানি, আধিপত্য বিস্তারের খবর পত্রিকায় এই দশকের আগের দশকের মত করে আসেনা।এখন আর কোন পিতা মাতাই নিজের নয়নের মণিকে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়ে  মানষিক যন্ত্রনায় চটপট করেনা।
    এতসব ইতিবাচক দিক উম্মুচিত হওয়ার পরেও কিভাবে বলি--"ছাত্ররাই যতসব  নষ্টের মূল, অবিলম্বে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হোক! যে দাবীটি এই দেশের বুদ্ধিজীবি, ছাত্র অভিভাবক, সুশীল সমাজ, বিদগ্ধ রাজনীতিবীদ, নিবেদিত ছাত্রনেতা, অখ্যাত, প্রখ্যাত ব্যাক্তিদের মুখে গত দশকেও খইয়ের মত ফুটে উঠেছিল। ইহা কি নষ্ট রাজনীতি'র বিপরীতে নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে ফিরে এসে গনতন্ত্র চর্চার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অর্জন নয়?  শিক্ষিত সমাজই তো আগামী দিনের উন্নত, সমৃদ্ধ, তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর বাংলাদেশের নেতৃত্ব কাঁধে তুলে নিতে হবে। তাঁরাই যদি রাজনীতি চর্চা থেকে বিরত থাকে--কে দেশ ও জাতীর নেতৃত্ব দিবে? অশিক্ষিত,  অথর্ব, অশুভের প্রেতাত্বা? জনগনের টাকায় লালিত দেশরক্ষার পাহারাদার সামরিক আমলা? সাম্রাজ্যবাদী চক্রের পেইড এজেন্ট তথাকথিত এনজিও কর্মকর্তা? সুদখোর, ঘুষখোর, কাল টাকার মালিক, লুটেরা ব্যাবসায়ী? মৌলবাদী  সাম্প্রদায়িক গুষ্টি? ইদানিং তদ্রুপ আলামতই তো দেখছি।
  নচেৎ বিগত দশ বছরের মধ্যে প্রথম ছাত্র সমাজের মধ্যে গড়ে উঠা যৌক্তিক 'কোটা আন্দোলন' কিভাবে, কোন শক্তির বলে অশুভ শক্তির অন্ধকার কুঠরী থেকে বের হয়? তাঁদের অন্ধগলি থেকে বের হয়েছে বলেই তো জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের অপমানিত, লাঞ্চিত হতে হয়েছে। প্রকাশ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের কুটুক্তি করার সাহষ পেয়েছে। পাকিস্তানী সেনাদের বিয্যে জম্ম নেয়া জারজ সন্তানেরা স্বাধীন দেশের রাজপথে বুকে, পিঠে, গালে রাজাকার উল্কি এঁকে মিছিল, মিটিং করার সাহষ পেয়েছে। মুক্তি যোদ্ধারা যদি জীবনবাজী রেখে যুদ্ধ না করতো--ঐ আন্দোলনকারীদের অধিকাংশ ইউনিভারসিটিতে পড়ার সুযোগ পেত কিনা, একবার কি তাঁরা ভেবেছে? অখন্ড পাকিস্তানের সিভিল সার্ভিসে কতজন বাঙ্গালী কর্মকর্তা ছিল, তাঁরা কি জানে? সামরিক বাহিনীর উচ্চ পদে বাঙ্গালী সামরিক কর্মকর্তা আদৌ ছিল কিনা--তাঁরা কি জানে? আন্দোলনকারী ছাত্রদের অনেকের পিতা, পিতামহ পশ্চিম পাকিস্তানের মাত্র এক প্রদেশ-- পাঞ্জাবের-পাঞ্জাবীদের বাসা বাড়ীতে এই সেদিনও চাকরে'র কাজ করতে হয়েছে, তাঁরা কি জানে? আজও পাঞ্জাব ব্যাতিত বাকি তিন প্রদেশের সকল জাতী গুষ্টি পাঞ্জাব জাতীর হুকুমের গোলাম--তাঁরা কি জানে? এই না জানার দোষ কি দেব--নি:সন্দেহে ৭২ এর প্রতিবিপ্লবীদের!
   কোটা সংস্কার আন্দোলন অবশ্যই যৌক্তিক আন্দোলন, কোটা সংস্কার রাষ্ট্রের নিয়মিত তদারকি কর্মকান্ডের মধ্যে একটি। অতীতে অনেকবারই কোটা, কোটাপদ্ধতি সংস্কার, পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংকোচন, সংযোজন, বিয়োজন হয়েছে--প্রয়োজনে আরো বহুবার হবে। এটা রাষ্ট্রের একটি চলমান প্রক্রিয়া। তবে কি সেটা দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের লাঞ্চিত করে? তাঁরা কি তাঁদের এই সুযোগ জাতীর নিকট কখনও দাবী করেছিল? তাঁরা কি তাঁদের সন্তানদের বিশেষ সুবিধা আদায়ে এযাবৎ রাজপথে একদিনের জন্যে আন্দোলনে নেমেছিল?
     জাতী বিবেকের তাড়নায় তাঁদের সন্তানদের এই সুযোগ দিয়েছে। দীর্ঘ তিন দশক অঘোষিত ভাবে তাঁদের ছেলেমেয়েদের সরকারী চাকুরীতে নিয়োগ বন্ধ ছিল। তাঁরা কি কখনও ক্ষোভ প্রকাশ করে আন্দোলনে নেমেছিল? মাত্র গত ৫বছর তাঁদের সন্তানদের বিশেষ সুবিধার ব্যাবস্থা করেছে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির সরকার। এতেই আপনারা এত বিচলিত কেন? বিচলিত হবেন ভাল কথা--কটুক্তি কেন? আপনি কার ওরসে জম্ম নিয়েছেন? পরাজিত শক্তির? বিশ্বের কোন দেশেই পরাজিত শক্তির নাগরিক অধিকার নেই, আপনারও থাকার কথা ছিলনা। বাঙ্গালী জাতীর ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে আপনি লেখাপড়ার সুযোগ পেয়েছেন, ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে নিয়েছেন। আপনি থাকার কথা ছিল মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের গোলাম। ইসলামের প্রথম যুগেও যেটা স্বিকৃত ছিল, প্রচলিত ছিল। আপনাদের কিসের আন্দোলন, কার বিরুদ্ধে আন্দোলন?কোথায় পান এত শক্তি?
   অশুভশক্তির বংশধরদের প্রকাশ্য রাজপথে আস্ফালনের দায় কার?  ছাত্র সমাজের কোটা সংস্কার করার দাবী'র যৌক্তিকতা অবশ্যই রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি'র বহু ছাত্র সংগঠন শিক্ষাঙ্গনে তৎপর থাকা সত্বেও সাধারন ছাত্রদের চাওয়া, পাওয়া কি, জানার চেষ্টা করেনি। অন্যভাবে বলতে গেলে বলতে হয়--প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ছাত্রসমাজের  পালস বুঝেনি, বা বুঝার চেষ্টা করেনি। এতে স্পষ্টত:ই প্রমানীত হয় সাধারন ছাত্রদের সঙ্গে ছাত্র নেতাদের সম্পর্ক নেই। সাধারন ছাত্রদের সাথে সম্পর্ক নেই বিধায় কোটা আন্দোলনের চাবি হাতে নিতে পারেনি। থাকবে কোত্থেকে? ছাত্র রাজনীতিও যে বড় ব্যবসা--এই ধারনাতো জিয়াই প্রথম ছাত্র নেতাদের শিখিয়ে গেছেন, বুড়িগঙ্গার প্রমোদতরী'র বিশেষ রাজনৈতিক প্রশিক্ষনে।
    প্রগতিশীল ছাত্রনেতাদের মুরুব্বিরা সবাই এখন মন্ত্রী, এমপি, দেশ ও জনগনের ভাগ্য নিয়ন্তা। তাঁদের ড্রয়িং রোম পাহারা দিবে, নাকি শিক্ষাঙ্গনে সাধারন ছাত্রদের সাথে সঙ্গ দিবে? প্রগতিশীল  ছাত্রনেতাদের শিক্ষাঙ্গনে দীর্ঘ অনুপস্থীতি'র সুযোগটাইতো নিলো অশুভ শক্তির প্রেতাত্বার তরুন তুর্কিরা। সুতারাং তাঁদের উত্থান যে বৃত্তের মধ্য থেকে হয়েছে, সেই বৃত্তের স্বার্থরক্ষাই তো করবে--ইহাই স্বাভাবিক, করেছেও তাই।
  মাননীয় প্রধানমন্ত্রী'র সংসদে দেয়া ঘোষনানুযায়ী ছাত্র সমাজের দাবী সম্পূর্ণ বাস্তবায়িত হোক আন্তরিক ভাবে'ই কামনা করি। একটি মাত্র কারনেই দাবী বাস্তবায়ীত হওয়া প্রয়োজন--জাতিরজনকের কন্যার ঘোষনার কোনরুপ ব্যাত্যায় ঘটতে পারেনা, ব্যাত্যায় ঘটা উচিৎ নয়।"
    পরিশেষে জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তানদের কটুক্তির সম্পূর্ণ দায় আওয়ামীলীগের অভ্যন্তরে ঘাপটি মেরে থাকা '৭১/ '৭৫ এর রাজাকার, দালাল, মীরজাপরে'র প্রেতাত্বা, লুটেরা, দুর্বৃত্ত নেতাদের দিয়ে যাচ্ছি। যারা নিজ স্বার্থ চরিতার্থের উদ্দেশ্যে দলে দলে বিরুদ্ধ আদর্শের নেতাকর্মীদের আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশ করার সুযোগ দিয়েছে--তাঁদেরকে দিচ্ছি। যে সমস্ত ছাত্র নেতারা ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে রাতের অন্ধকারে ছদ্মবেশী অশুভশক্তির প্রেতাত্বার হাতে আমার বোন এশা'কে লাঞ্চিত করার সুযোগ  দিয়েছে তাঁদের' প্রতি লাঞ্চিত বাঙ্গালী জাতির অভিশাপ। যারা রাতের অন্ধকারে সম্মানীত ভিসি'র বাসভবন লুটতরাজের সুযোগ করে দিয়েছে--তাঁদের প্রতি লক্ষলক্ষ মুজিবাদর্শের ত্যাগী নেতাকর্মীদের অন্তরে'র অভিশাপ বর্ষিত হোক, তাঁরা অচিরে'ই ধ্বংস হোক।

   
      

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা